Tag: Bengali news

Bengali news

  • Dengue Vaccines: শীঘ্রই আসছে ডেঙ্গির টিকা! দেশজুড়ে ট্রায়াল শুরু নভেম্বরে, কারা পাবেন?

    Dengue Vaccines: শীঘ্রই আসছে ডেঙ্গির টিকা! দেশজুড়ে ট্রায়াল শুরু নভেম্বরে, কারা পাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতে আসতে চলেছে ডেঙ্গির টিকা (Dengue Vaccines)। নভেম্বর মাসেই দেশজুড়ে শুরু হবে চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। দেশের মোট ২০টি কেন্দ্রে ট্রায়াল হওয়ার কথা। এ রাজ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে বেলেঘাটা নাইসেডে। আইসিএমআর এবং প্যানাসিয়া বায়ো টেক লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে ট্রায়াল হবে। পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেওয়া হবে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে।

    আসছে ডেঙ্গির প্রতিষেধক

    ফি বছর এ রাজ্য তো বটেই, গোটা দেশে ডেঙ্গির শিকার হন বহু মানুষ। যত্রতত্র জমা জল, চারদিকে নোংরা-আবর্জনা, নিয়মিত নর্দমা পরিষ্কার না হওয়া সহ নানা কারণে এ রাজ্যে প্রতি বছর ডেঙ্গির বলি হন বহু মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় কয়েক হাজারের গন্ডি। দেশবাসীকে ডেঙ্গির হাত থেকে রক্ষা করতে দেশে শুরু হয়েছিল ডেঙ্গির প্রতিষেধক (Dengue Vaccines) তৈরির কাজ। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালের পর চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল হওয়ার কথা ছিল। কিছু জটিলতার কারণে টিকায় পরিবর্তন করতে হয়। সেই কাজ শেষ হয়েছে। তাই এবার হবে চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল।

    কারা তৈরি করেছে টিকা?

    যাঁদের ডেঙ্গির টিকা দেওয়া হবে, বছরভর তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় তাঁদের শরীরে কী পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে, তা দেখেই ছাড়পত্র পাবে ভ্যাকসিন। তারপর আসবে বাজারে। নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত বলেন, “ডেঙ্গি ভ্যাকসিনের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যেখানে ডেঙ্গির প্রবণতা বেশি, সেখানে এই ভ্যাকসিন কাজ করবে। সেরো পজিটিভিটি কতটা আছে, তা দেখে দেওয়া হবে।” কেবল প্যানাসিয়া বায়ো টেক লিমিটেড নয়, পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটও ডেঙ্গির টিকা তৈরি করেছে। আমেরিকায় ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় অনুমোদন পেয়েছে সানোফি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটিডের টিকা (Dengue Vaccines)।

    আরও পড়ুুন: মহিলা সংরক্ষণ বিল মোদির ‘মাস্টারস্ট্রোক’, এক সিদ্ধান্তেই দিশেহারা বিরোধী-জোট

    প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গি। এক সপ্তাহে মশকবাহিত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৩৫৮ জন। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ৬৭ জন। প্রতি বছরের মতো এবারও ডেঙ্গি সংক্রমণে শীর্ষ স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: মহিলা সংরক্ষণ বিল মোদির ‘মাস্টারস্ট্রোক’, এক সিদ্ধান্তেই দিশেহারা বিরোধী-জোট

    PM Narendra Modi: মহিলা সংরক্ষণ বিল মোদির ‘মাস্টারস্ট্রোক’, এক সিদ্ধান্তেই দিশেহারা বিরোধী-জোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলা সংরক্ষণ বিল (Womens Reservation Bill) পেশ করে কি এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)? দুই পাখির একটি হল ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির মহিলা ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করা। দ্বিতীয় পাখি হল— বিরোধী-ঐক্যকে বা বলা ভাল, অধুনা ‘ইন্ডি’ জোটের ঐক্যকে খান-খান করা। নরেন্দ্র মোদির এই এক সিদ্ধান্তেই বিরোধীদের ‘রাতের ঘুম’ যে উড়ে গিয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। অন্তত এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    মঙ্গলবার, গণেশ চতুর্থীর পুণ্য-লগ্নে নতুন সংসদ ভবনের প্রথম অধিবেশনেই ‘মাস্টারস্ট্রোক’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi)। প্রথমেই মহিলা সংরক্ষণ বিল (নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম বিল, ২০২৩) লোকসভায় পেশ করে মোদি সরকার। দেশের সংসদ ও রাজ্যগুলির বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের সংস্থান রয়েছে এই বিলে। মহিলা সংরক্ষণ ইস্যুকে হাতিয়ার করে মোদি সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল অবলম্বন করার কথা ভেবে আসছিল সাম্প্রতিককালে-গঠিত বিরোধীদের ‘ইন্ডি’ জোট। 

    ইস্যু হারিয়ে দিশাহীন ইন্ডি-জোট!

    কিন্তু, গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মহিলা সংরক্ষণ বিলে অনুমোদন দেওয়ায় বিরোধীদের মুখের গ্রাস সেখানেই কেড়ে নেন নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এদিকে, ইস্যু হাত ফস্কে বেরিয়ে যাওয়ায় সেই থেকেই বিরোধীরা কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়ে। ইন্ডি-জোট যেখানে ভেবেছিল, মোদিকে কোণঠাসা করবে, সেখানে দেখা যায়, উল্টে তারাই চাপে পড়ে গিয়েছে। কারণ, এখন মহিলা সংরক্ষণ বিলের স্বপক্ষেই যাওয়া ছাড়া তাদের কাছে অন্য কোনও পথ নেই। বিরোধীরা ভালমতোই বুঝতে পারছে, তারা যদি এখন সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করার স্বার্থে মহিলা বিলকে (Womens Reservation Bill) সমর্থন না করে, তাহলে, দেশবাসীর সামনে তাদের আসল চেহারা বেরিয়ে পড়বে। অন্যদিকে, সমর্থন করলেও আখেরে লাভ হবে বিজেপি তথা এনডিএ-র। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এর পুরো ফায়দা যে বিজেপির ঘরেই উঠবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এই নিয়ে ইন্ডি-জোট উভয় সঙ্কটে। যে কারণে, তারা এখন কৃতিত্বের দাবি করে বেড়াচ্ছে সব জায়গায়।

    অতীতে বিরোধিতা, এখন সমর্থন বিরোধীদের!

    নরেন্দ্র মোদি সরকারের আনা এই বিলকে সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী-জোটের ‘হেড অফ দ্য ফ্যামিলি’ কংগ্রেস। সমর্থনের কথা জানানো হয়েছে বিরোধী জোট-শরিক সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও বহুজন সমাজ পার্টির তরফে। এমনকি, সমর্থন জানাতে সম্মত হয়েছে বিজেপির একসময়ের শরিক তথা বর্তমানে বিরোধী ধরের সদস্য নীতীশ কুমারের জেডিইউ। এখানে বিশেষ করে উল্লেখ করতে হবে প্রথম তিন শরিক দলের। কারণ, এই দলগুলিই এক সময় সংসদে পেশ হওয়া মহিলা সংরক্ষণ বিল (Womens Reservation Bill) নাকচ করেছিল। সেই ইতিহাসের সাক্ষী রয়েছে সদ্য-প্রাক্তন হওয়া সংসদ ভবন। এখন এই দলগুলির সামনের সারিতে একাধিক মহিলা মুখ আসায়, মনোভাবও পাল্টাতে বাধ্য হচ্ছে তারা।

    মহিলা ভোটাররাই বিজেপির শক্তি

    পাশাপাশি, আরেকটা চিন্তা যা বিরোধীদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে তা হল ভোট ব্যাঙ্ক হাতছাড়া হওয়ার ভয়। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিল সংসদে পাশ হয়ে গেলে ভোটে সবচেয়ে লাভবান হবে বিজেপি। তাঁদের মতে, বিজেপির মহিলা ভোট ব্যাঙ্ক বিপুলভাবে ফুলে উঠবে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে পুরুষদের তুলনায় এক শতাংশ ভোট বেশি ছিল মহিলাদের। আবার মহিলা ভোটারদের বেশিরভাগ পছন্দ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi)। লোকসভা নির্বাচনে মহিলাদের ভোটদানের হার ছিল ৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৩৬ শতাংশ আর কংগ্রেস পেয়েছিল ২০ শতাংশ মহিলা ভোট। পাঁচ বছর আগে, ২০১৪ সালে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন ২৯ শতাংশ মহিলা। অর্থাৎ, পাঁচ বছরে বিজেপির মহিলা ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই বেড়েছে। 

    নরেন্দ্র মোদির ‘গেম-চেঞ্জার’ সিদ্ধান্ত!

    আরেকটি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ১২টি এমন রাজ্য ছিল যেখানে পুরুষদের থেকে বেশি সংখ্যক মহিলা ভোট দিয়েছিলেন। ২টো রাজ্য বাদ দিয়ে বাকি ১০টিতে বিপুল সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে গেরুয়া শিবির মহিলাদের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে। সেই তালিকার অন্যতম ছিল তিল তালাক নিষিদ্ধ করা। এর পাশাপাশি, উজ্জ্বলা যোজনা, মহিলাদের মুদ্রা ঋণ, পোষণ প্রকল্প, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও-এর মতো কর্মসূচি বিপুল জনপ্রিয় হয়েছে। এবার, মহিলা সংরক্ষণ বিল (Womens Reservation Bill) পাশ হলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে এই শতাংশের হার আরও বৃদ্ধি পাবে। আর ঠিক এই জন্যই, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) এই সিদ্ধান্তকে ‘গেম-চেঞ্জার’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Women’s Reservation Bill: ‘‘মহিলাদের হয়ে কি পুরুষরা এগিয়ে আসতে পারেন না?’’ অধীরকে ‘শাহী’-পাঠ

    Women’s Reservation Bill: ‘‘মহিলাদের হয়ে কি পুরুষরা এগিয়ে আসতে পারেন না?’’ অধীরকে ‘শাহী’-পাঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মহিলাদের হয়ে কি পুরুষরা এগিয়ে আসতে পারেন না?” বুধবার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকে এমনই প্রশ্ন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “আমি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসা করি, এই ইস্যুতে (মহিলা সংরক্ষণ বিল) (Women’s Reservation Bill) কেবল মহিলারাই বলবেন। মহিলাদের ইস্যুতে পুরুষরা বলতে পারবেন না?”  

    অধীরকে জবাব শাহের

    সোমবার শুরু হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। চলবে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে পেশ হয় মহিলা সংরক্ষণ বিল। বিলটি নিয়ে বিজেপির তরফে প্রথমে বলতে ওঠেন সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তখনই কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, “মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বিজেপির হয়ে ব্যাটিং করছেন একজন পুরুষ সাংসদ।” এর পরেই অধীরকে শাহি-পাঠ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রথম বক্তা হতে না পারায় অধীর চৌধুরী নিশিকান্তের ওপর ঈর্ষাকাতর হচ্ছেন।”

    ভারতের ঐতিহ্য মনে করালেন শাহ 

    অধীরের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শাহ মনে করিয়ে দেন, “ভারতের ঐতিহ্যই হল পরিবারের মহিলাদের কল্যাণ কামনা করবেন ওই পরিবারের পুরুষ সদস্যরা।” প্রসঙ্গত, নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women’s Reservation Bill) পেশ করে বিজেপি। বিলটি আইনে পরিণত হলে, লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভার ৩৩ শতাংশ সংরক্ষিত হবে মহিলাদের জন্য। এদিকে, এদিন মহিলা সংরক্ষণ বিলের স্বপক্ষে সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। লোকসভায় বিলটি পেশ করেছিলেন তিনিই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘রাজনীতি করা বন্ধ করুন…’’! মহিলা বিলের কৃতিত্ব দাবি করায় সোনিয়াকে তোপ বিজেপির

    কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, “মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ করতে ভারতীয় জনতা পার্টি চেষ্টার কসুর করছে না।” তিনি বলেন, “বিজেপিই দেশের প্রথম রাজনৈতিক দল যারা লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করতে চাইছে। বিজেপি যখন বিরোধী পক্ষ ছিল, আমরা সরকারের কাছে এই বিলের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু কংগ্রেস, যারা তখন ক্ষমতায় ছিল, বিলটি আনেনি। ২০১৪ সালে তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। বিলটিও (Women’s Reservation Bill) ল্যাপস হয়ে যায়।” কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, “১৯৪৯ সালের ২৫ নভেম্বর বিআর আম্বেদকর বলেছিলেন, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি আমরা রাজনৈতিক সাম্য পাব। কিন্তু সামাজিক যেসব বিষয় বাদ থেকে গেল, সেগুলি অবশ্যই সংশোধন করবে পরবর্তী সরকারগুলি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • BJP: ‘‘রাজনীতি করা বন্ধ করুন…’’! মহিলা বিলের কৃতিত্ব দাবি করায় সোনিয়াকে তোপ বিজেপির

    BJP: ‘‘রাজনীতি করা বন্ধ করুন…’’! মহিলা বিলের কৃতিত্ব দাবি করায় সোনিয়াকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে পেশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। তার পরেই ক্রেডিট নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই তালিকায় রয়েছে কংগ্রেসও। তাই বুধবার কংগ্রেসকে নিশানা করল বিজেপি (BJP)।

    প্রসঙ্গ গীতা মুখার্জি ও সুষমা স্বরাজ

    গেরুয়া শিবিরের সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, “যখন সোনিয়া গান্ধী ভাষণ দিচ্ছিলেন, আমি ভেবেছিলাম রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে তিনি বলবেন। কারণ তিনিই বিরোধীদের কণ্ঠস্বর। মহিলারা যাঁরা এই বিলের স্বপক্ষে গলা ফাটিয়েছিলেন তাঁরা হলেন বাংলার গীতা মুখোপাধ্যায় এবং বিজেপির সুষমা স্বরাজ। তাঁরা না থাকলে আমরা এই বিলটি দেখতে পেতাম না। কিন্তু সোনিয়া গান্ধী এঁদের কারও নামই উচ্চারণ করলেন না। এটা কী ধরনের রাজনীতি? তিনি (সোনিয়া) এই বিলের ক্রেডিট নিতে চাইলেন। কিন্তু এটা আপনাদের বিল নয়।”

    ‘বিল এনেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী’

    তিনি (BJP) বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) এবং আমাদের দল এই বিলটি এনেছিল। এটাই সহ্য হচ্ছে না বিরোধীদের।” বিজেপি সাংসদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বারংবার বলেছেন এই হল সময়, এটাই উপযুক্ত সময়। এবং এটি (মহিলা সংরক্ষণ বিল) উপযুক্ত সময়েই নিয়ে আসা হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই হাউসেই ২০১২ সালে যখন ভি নারায়ণস্বামী এসসি/এসটিদের জন্য কোটা বাড়ানোর বিল পেশ করছিলেন, তখন সমাজবাদী পার্টির যশবীর সিংহ তাঁর হাত থেকে বিলটি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। এবং সেটিকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিলেন। এই সংসদে তখন সোনিয়া গান্ধীজি ম্যাডাম এগিয়ে এসে তাঁর জামার কলার ধরেছিলেন। সেই সময় আমি তাঁকে বলেছিলাম, আপনি আমাদের ডিক্টেটর নন, রানিও নন। আপনি হিংসায় ইন্ধন জোগাতে পারেন না। মুলায়ম সিংহ নিজেই বলেছিলেন, বিজেপি সাংসদরা না থাকলে সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা বেঁচে ফিরতেন না। আপনি ওই সাংসদদের হত্যা করতে চেয়েছিলেন।”

    আরও পড়ুুন: “গার্হস্থ্য হিংসায় বাংলা এক নম্বরে”, তৃণমূল সরকারকে নিশানা অগ্নিমিত্রার

    ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করেছে তৃণমূলও। মহিলা সংরক্ষণ বিল তাঁদের ভাবনা বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানান বিজেপির (BJP) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “যমালয়ে জীবন্ত মানুষে এক বিধবা ভেবেছিলেন একাদশীর দিন খাবার খাবেন। তাই পাপ হয়েছিল। সেরকম তৃণমূল অনেক কিছুই ভাবে, করে না কিছুই।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Woman Reservation Bill: “গার্হস্থ্য হিংসায় বাংলা এক নম্বরে”, তৃণমূল সরকারকে নিশানা অগ্নিমিত্রার

    Woman Reservation Bill: “গার্হস্থ্য হিংসায় বাংলা এক নম্বরে”, তৃণমূল সরকারকে নিশানা অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারীর ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে সংসদে পেশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল (Woman Reservation Bill)। এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে এখনও গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হচ্ছেন মহিলারা। এনিয়ে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কিংবা তাঁর দল মহিলাদের সামনের সারিতে নিয়ে এলেও, বাংলার মহিলারা আজ সুরক্ষিত নন। গার্হস্থ্য হিংসায় আমাদের বাংলা আজ এক নম্বরে। এগিয়ে মহিলা পাচারের পরিসংখ্যানেও।”

    ‘তৃণমূলের মহিলা সমাজ চোখ বুজে রয়েছে…’

    অগ্নিমিত্রা বলেন, “যারা কন্যাশ্রী প্রকল্প পাচ্ছে, তারা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। কোনও বিচার হচ্ছে না। তৃণমূলের মহিলা সমাজ সব দেখে শুনেও চোখ বুজে রয়েছে।” বিজেপি বিধায়ক বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির একজন মহিলা বিধায়ক হিসেবে আমি আজ গর্বিত। শুধু আমি নই, ভারতের সব মহিলা যাঁরা নিজেদের কথা বলতে চান। যাঁরা নিজেদের সমাজের কথা বলতে চান, তাঁরা প্রত্যেকেই খুশি। ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীকে। বিরোধীরা অনেক কথাই বলছে। কিন্তু বিজেপি কিংবা প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেন, সেটা করে দেখান। ধর্ষণ হলে মৃত্যুদণ্ড হবে।”

    তৃণমূলকে নিশানা সুকান্তের 

    তিনি বলেন, “বাংলা তথা গোটা দেশের মহিলারা দেখছেন প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের সুরক্ষার বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আগামিদিনে আরও মহিলা নেত্রী রাজনীতিতে উঠে আসবেন। একজন মহিলার দুঃখ-কষ্ট-বঞ্চনা সহ বিভিন্ন বিষয় যেগুলো মহিলারা বুঝবেন, একজন পুরুষের পক্ষে তা বোঝা সম্ভব নয়।” মহিলা সংরক্ষণ বিল আগের বলে দাবি করেছে তৃণমূল। এদিন তা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

    আরও পড়ুুন: ‘‘প্ররোচনার উদ্দেশ্য ছিল না’’, ভারত চাপ দিতেই খালিস্তান নিয়ে সুর বদল কানাডার

    তিনি বলেন, “যমালয়ে জীবন্ত মানুষে এক বিধবা ভেবেছিলেন একাদশীর দিন খাবার খাবেন। তাই পাপ হয়েছিল। সেরকম তৃণমূল অনেক কিছুই ভাবে, করে না কিছুই।” ঘাসফুল শিবিরের দাবি, ২০১৪ সালে ৩৩ শতাংশ মহিলা সাংসদ ছিল। তৃণমূলের এহেন দাবি প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “২০১৪ সালে ছিল, এখন নেই কেন? একটা দলের ভিতরের নিয়ম। আর একটা আইন। দু’টো আলাদা। যেমন, এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেনে গিয়ে পিয়ানো বাজাচ্ছেন, এরপর জার্মানিতে গিয়ে বাজাবেন। আর সারা বছর বাজাবেন বাংলার মানুষ।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Delhi High Court: মেয়েরা সেনা হতে পারলে, পুরুষদের নার্স হতে আপত্তি কেন? প্রশ্ন দিল্লি আদালতের

    Delhi High Court: মেয়েরা সেনা হতে পারলে, পুরুষদের নার্স হতে আপত্তি কেন? প্রশ্ন দিল্লি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়েরা সিয়াচেনে গিয়ে সেনাবাহিনীর কাজে যোগ দিলে, ছেলেদের নার্স হতে আপত্তি কোথায়? এক মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার এই প্রশ্নই করেছে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। নির্দিষ্ট কোনও একটি পেশা থেকে একটি বিশেষ লিঙ্গের মানুষকে কেন সরিয়ে রাখা হবে, সেই প্রশ্নও তুলেছে দিল্লির উচ্চ আদালত।

    পুরুষ নার্সদের দূরে রাখা অযৌক্তিক 

    হাসপাতালগুলিতে কেবল মহিলা নার্স রাখার অসাংবিধানিক প্রথার বিরুদ্ধে সম্প্রতি মামলা দায়ের হয় দিল্লি হাইকোর্টে। ইন্ডিয়ান প্রফেশনাল নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে হাজার হাজার প্রশিক্ষিত পুরুষ নার্স রয়েছেন। কিন্তু মিলিটারি থেকে তাঁদের দূরে রাখাটা অযৌক্তিক। এদিন ওই অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আইনজীবী অমিত জর্জ জানান, সমস্ত হাসপাতালে এখন পুরুষ নার্স রয়েছে। এমনকী সুপ্রিম কোর্টও বলছে মিলিটারিতেও একটি বিশেষ লিঙ্গকে কোনও কাজ থেকে বিরত করা যাবে না।

    ‘পুরুষও হাসপাতালে কাজ করতে পারেন’

    মামলার (Delhi High Court) শুনানি চলছে বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা ও বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার ডিভিশন বেঞ্চে। কেন্দ্রের পক্ষে ছিলেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি। আদালতে তিনি জানান, সেনা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কেবল মহিলা নার্স রাখার প্রথা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। তবে সরকার সবে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণের বিল পেশ করেছে। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “এক দিকে আপনারা নারী ক্ষমতায়নের কথা বলছেন, অন্য দিকে আপনারাই বলছেন, পুরুষরা নার্স হিসেবে কাজে যোগ দেন না। একজন মহিলা যদি সিয়াচেনে গিয়ে সেনা অফিসার হিসেবে কাজে যোগ দিতে পারেন, তবে একজন পুরুষও হাসপাতালে কাজ করতে পারেন।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘প্ররোচনার উদ্দেশ্য ছিল না’’, ভারত চাপ দিতেই খালিস্তান নিয়ে সুর বদল কানাডার

    ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে মহিলাদের যোগদানের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে ছাড়পত্র দিয়েছিল, সে কথাও মনে করিয়ে দেয় আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে নভেম্বর মাসে। প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনীতে যাতে লিঙ্গ বৈষম্য না থাকে, সে ব্যাপারে নানা সময় মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই প্রেক্ষিতে এদিন দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: তদন্তে ‘অখুশি’! মানিক মামলায় সিবিআইয়ের সিট প্রধানকে তলব হাইকোর্টের

    Justice Abhijit Ganguly: তদন্তে ‘অখুশি’! মানিক মামলায় সিবিআইয়ের সিট প্রধানকে তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই-এর কাজে ‘হতাশ’ হয়ে এবার মানিক ভট্টাচার্যের মামলায় এবার সিট প্রধানকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 

    ২৭ তারিখ তলব অশ্বিনী শেনভিকে

    মঙ্গলবার প্রাথমিকের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) মামলার শুনানি চলছিল হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে। সিবিআইয়ের কাজকর্মে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত রিপোর্ট দেখার পর বলতে হচ্ছে সিবিআই তদন্ত সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এটা ছাড়া বিকল্প কিছু বলার নেই।’’ সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা করে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, সিবিআই বোকা সেটা বিশ্বাস করি না। কিন্তু মন দিয়ে কাজ করেনি। এই মামলায় সিবিআইয়ের পারফরম্যান্স খুবই খারাপ। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলি করেনি। সাধারণ মানুষ জানুক, সিবিআই ফেল করেছে। সিবিআই অফিসার নির্লজ্জ। থার্ড ক্লাস ক্লার্কের মতো কাজ। আগে লোকে সিবিআইকে ভয় পেত। এখন হাসে। ডাকলেও যায় না।

    আরও পড়ুন: “মানিক ভট্টাচার্যের কিছু অনুগামী গন্ডগোল করছেন”! শুনানিতে পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    এর পরই, এই দুর্নীতির তদন্তে থাকা সিবিআই সিটের প্রধান অশ্বিনী শেনভিকে হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly)। ২৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে ডাকা হয়েছে আদালতে। বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টোয় তাঁকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি জানিয়েছেন, গাফিলতির কারণ সিটের প্রধানকে জানাতে হবে।

    “সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্য যোগসাজশ”!

    এর আগও, মানিক মামলায় সিবিআইয়ের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে ভর্ৎসনা করে বলেছিলেন, “আমার তো মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে।” তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “ওএমআর শিট নষ্ট করা নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন? সুপ্রিম কোর্ট কড়া পদক্ষেপ করতে বারণ করেছে, জিজ্ঞাসাবাদ করতে তো বারণ করেনি।” বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “আমার নির্দেশের পরেও সিবিআই মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। দীর্ঘদিন ছেড়ে রেখে দিয়েছিলেন, আমার তো মনে হয় যোগসাজশ আছে। আমার তো মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে”, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kurmi Agitation: আন্দোলনকে হাইকোর্ট বেআইনি বলতেই রেল অবরোধ স্থগিত কুড়মি সমাজের

    Kurmi Agitation: আন্দোলনকে হাইকোর্ট বেআইনি বলতেই রেল অবরোধ স্থগিত কুড়মি সমাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গলমহলে কুড়মি সমাজের বিভিন্ন দাবিতে লাগাতার রেল ও রাস্তা রোকো আন্দোলনকে (Kurmi Agitation)  বেআইনি ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই আন্দোলনের নামে জনজীবন স্তব্ধ করা আটকাতে পুরুলিয়া চেম্বার অব কমার্স-এর জনস্বার্থ মামলায় মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই আন্দোলনকে বেআইনি বলে জানায়। আদালতের নির্দেশ মিলতেই আন্দোলন প্রত্যাহার ঘোষণা করে কুড়মি সমাজ।

    কুড়মি আন্দোলন (Kurmi Agitation) নিয়ে আদালত কী জানাল?

    আদালতের নির্দেশ, এই রেল ও রাস্তা রোকো কোনওভাবে সাংবিধানিক নয়। আন্দোলনের (Kurmi Agitation) নামে এভাবে রেল, রাস্তা বন্ধ করা যায় না। অবিলম্বে তা বন্ধ করতে পদক্ষেপ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ নিয়ে প্রয়োজনে সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করতে পারবে রাজ্য। একই সঙ্গে, প্রয়োজনে প্রতিবেশী রাজ্যের থেকেও এলাকার নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপারে সাহায্য নেওয়া যাবে। এছাড়াও আদালত জানিয়েছে, আরপিএফ ও জিআরপিকে প্রয়োজনে ওই রেলের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হবে। জেলাগুলির গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আরও বাহিনীর ব্যবস্থা রাখতে হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কোনওভাবে নাগরিকের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা যাবে না। এই রেল ও রাস্তা অবরোধ শুধু রাজ্যের পুরুলিয়া সহ চার-পাঁচটা জেলায় নয়, দুর্ভোগ বাড়ে প্রতিবেশী রাজ্যেরও। কোনও ভাবে এই নির্দেশ অমান্য করে রেল ও রাস্তা বন্ধের চেষ্টা হলে বা কোনও আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যার পরিস্থিতি হলে সামাল দেওয়ার জন্য বাহিনী রাখতে হবে রাজ্যকে। তবে বল প্রয়োগ না করে কীভাবে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, সেই ‘চেষ্টা করতে হবে রাজ্যকে।

    কী বললেন কুড়মি নেতা?

    আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গে কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাত বলেন, আমরা পুরুলিয়া সহ জঙ্গলমহলের চার জেলায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন (Kurmi Agitation) করতাম। অথচ জলকামান, বিশাল বাহিনী দিয়ে যেন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল পুলিশ। আমরা আপাতত অবরোধ কর্মসূচি এই রাজ্য থেকে তুলে নিচ্ছি। কিন্তু, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশায় যথারীতি কর্মসূচি পালন করব। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মানবাজারে কেন্দ্রীয় কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।

    দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে কী জানা গেল?

    কুড়মিদের আন্দোলন (Kurmi Agitation) হবে ধরে নিয়ে বুধবার ৭১টি ট্রেন বাতিল করার কথা জানিয়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। একইসঙ্গে পাঁচটি ট্রেন ঘুরপথে চালানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও কুড়মিদের আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণার পর দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানিয়েছে, যেসব ট্রেন বাতিল বা যাত্রা সংক্ষেপের কথা জানানো হয়েছিল, সেগুলি নির্ধারিত রুটে চলাচল করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohammed Shami: বধূ নির্যাতনের মামলায় মিলল জামিন, বিশ্বকাপের আগে স্বস্তি পেলেন মহম্মদ শামি

    Mohammed Shami: বধূ নির্যাতনের মামলায় মিলল জামিন, বিশ্বকাপের আগে স্বস্তি পেলেন মহম্মদ শামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের আগেই মিলল স্বস্তি। মঙ্গলবার জামিন পেলেন ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। জামিন পেয়েছেন তাঁর দাদা মহম্মদ হাসিমও। এদিন দাদাকে নিয়ে আলিপুর আদালতে হাজির হন শামি। আবেদন মঞ্জুর করে তাঁদের জামিন দেন বিচারক।

    জামিন পেলেন শামি

    ২ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শামির জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। শামির আইনজীবী সেলিম রহমান বলেন, “শামি ও তাঁর দাদা হাসিম আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন। ওঁরা জামিনের আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।” ২০১৮ সালে শামির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন হাসিন জাহান। সেই মামলাই চলছে। জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য হওয়ায় শামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেনি আদালত। তবে আদালত এও নির্দেশ দিয়েছিল, এক মাসের মধ্যে সশরীরে আলাদতে আত্মসমর্পণ করে তিনি যেন জামিনের আবেদন করেন। সেই মতো এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন শামি (Mohammed Shami)।

    চার্জশিট জমা পড়ার পর করণীয় 

    শামির আইনজীবী বলেন, “বধূ নির্যাতনের মামলায় চার্জশিট জমা হয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রেই মিথ্যা অভিযোগ ছিল। পুলিশ তদন্ত করে বাকি সব অভিযোগ বাদ দিয়ে কেবল বধূ নির্যাতনের ওপরে শামি ও তাঁর দাদার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। আইন অনুযায়ী, চার্জশিট জমা পড়লে আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে জামিন নিতে হয়। আজ আদালত শামিকে জামিন দিয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “যেদিন ভাইপো কেষ্টর সাথে যাবে, সেদিন থেকে তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে”, তোপ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ মার্চ শামি (Mohammed Shami) ও তাঁর দাদার বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ তুলে যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেন হাসিন। পরের বছর ২৯ অগাস্ট শামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে আলিপুরের এসিজেএম কোর্ট। ওই বছরই ৯ সেপ্টেম্বর ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় আলিপুর জেলা দায়রা আদালত। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হাসিন। বিচারপতি শম্পা সরকার নিম্ন আদালতের নির্দেশ বহাল রাখলে হাসিন যান সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, এক মাসের মধ্যে (Mohammed Shami) সব পক্ষের বক্তব্য শুনে মামলাটির নিষ্পত্তি করতে হবে দায়রা বিচারককে। তার পর থেকে চলছে শুনানি।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ফের হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন অভিষেক, বুধবারই দিতে হবে লিখিত জবাব, জানাল আদালত

    Calcutta High Court: ফের হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন অভিষেক, বুধবারই দিতে হবে লিখিত জবাব, জানাল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ধাক্কা খেলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে লিখিতভাবে বক্তব্য জমা দিতে আরও তিনদিন সময় চেয়েছিলেন অভিষেক। আদালত তা মঞ্জুর করেনি। মঙ্গলবার বিচারপতি  তীর্থঙ্কর ঘোষের মন্তব্য, “আজকের মধ্যে সব পক্ষের লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার কথা ছিল। আরও তিন দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া যাবে না। বুধবারের মধ্যে বক্তব্য জানাতে হবে অভিষেককে।”

    বক্তব্য জমা দিয়েছে ইডি

    এদিন অবশ্য আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছে ইডি। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টেয় হবে এই মামলার শুনানি। প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোর। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। গ্রেফতারির আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, ইডি আগেই এ ব্যাপারে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে। তাই নতুন করে কোনও রক্ষাকবচের প্রয়োজন তাঁর নেই।

    কী বলেছিলেন অভিষেকের আইনজীবী? 

    প্রসঙ্গত, আদালতে (Calcutta High Court) অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ১০ সেপ্টেম্বর অভিষেককে সমন পাঠিয়েছে ইডি। বুধবার তাঁকে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়। এর আগেও একবার সমন পাঠানো হয়েছিল অভিষেককে। কিন্তু মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন কীভাবে ইডি নতুন করে সমন পাঠাতে পারে? সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে, ইডি নিজের পদক্ষেপকেই চ্যালেঞ্জ করেছে। অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। কেবল লোক দেখানো তদন্তের জন্য সমন পাঠানো হয়েছে। তাই অভিষেককে রক্ষাকবচ দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুুন: “ভগবান হয়তো আমাকেই বেছে নিয়েছেন”, মহিলা বিল পেশ করে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    সওয়ালে ইডির আইনজীবী জানিয়েছিলেন, এখানে গ্রেফতারির প্রশ্নই উঠছে না। অভিষেককে সমন পাঠানো হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অনেককেই তো সমন পাঠানো হয়, সবাইকে কি গ্রেফতার করা হয়? ওই দিনই বিচারপতি জানিয়েছিলেন, ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব পক্ষ আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিতে পারবে। তখনই সময় চান অভিষেক। যে সময় তাঁকে দেননি বিচারপতি (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share