Tag: Bengali news

Bengali news

  • Sanatana Dharma Row: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য, ডিএমকের উদয়নিধিকে নিশানা নির্মলার

    Sanatana Dharma Row: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য, ডিএমকের উদয়নিধিকে নিশানা নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে বিতর্কিত (Sanatana Dharma Row) মন্তব্য করায় এবার তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ছেলে উদয়নিধিকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। শনিবার স্ট্যালিনপুত্রর উদ্দেশে নির্মলা বলেন, “রাজ্যের একজন মন্ত্রী হয়ে ডিএমকে নেতা উদয়নিধির মনে রাখা প্রয়োজন ছিল, তিনি কী বলছেন।” সনাতন ধর্ম হিংসায় বিশ্বাস করে না বলেও মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “উদয়নিধি যদি মনে করেন সনাতন ধর্ম সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করলেও, কোনও প্রতিক্রিয়া হবে না, তাহলে তিনি ভুল করছেন।”

    কী বললেন নির্মলা?

    চেন্নাইয়ের ওই সাংবাদিক বৈঠকে নির্মলা বলেন, “সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত ডিএমকে নেতা উদয়নিধির বক্তব্যকে ঘিরে। এই ডিএমকে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডিয়ায় রয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ফয়দা তুলতেই তারা এমন মন্তব্য করেছে।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা বিতর্ক শুরু করিনি। আপনারাই শুরু করেছেন। প্রত্যেকেরই মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু একজন মন্ত্রী হয়ে তাঁর একথা বলা ঠিক হয়নি। তিনি যে মন্ত্রী, তা মাথায় রাখা উচিত ছিল তাঁর।”

    সেদিনের ঘটনায় এখনও ব্যথা পাই

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন (Sanatana Dharma Row), “যে সব মন্তব্য হিংসা ছড়াতে উৎসাহ দেয় কিংবা হিংসায় ইন্ধন জোগায়, সে সব কথা বলা ঠিক নয়।  সংবিধানেও বলা হয়েছে, যে সব কথায় অশান্তি ছড়ায়, তা বলা ঠিক নয়।” উদয়নিধি বলেছিলেন, তাঁর দল শতবর্ষ ধরে সনাতন ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করবে। সে প্রসঙ্গ তুলে নির্মলা বলেন, “আপনি বলতেই পারেন। তবে যে সব কথা হিংসায় ইন্ধন জোগায়, তা কারওরই বলা উচিত নয়।”

    আরও পড়ুুন: বিশ্বকর্মা ও গণেশ পুজোতে বৃষ্টি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, তিনি একটি তামিল পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। একদিন শোভাযাত্রা করার সময় রামের প্রতিকৃতিতে ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল জুতোর মালা। সেদিনের সেই ঘটনায় খারাপ লেগেছিল তাঁর। সে কষ্ট আজও (Sanatana Dharma Row) ব্যথা দেয় তাঁকে। নির্মলা বলেন, “এই হল সনাতন ধর্ম। আমরা সেদিন দাঁতের বদলে দাঁত, চোখের বদলে চোখের নীতি গ্রহণ করিনি। কিন্তু এটা যদি অন্য ধর্মের ক্ষেত্রে ঘটত, তাহলে কী হত, তা বুঝতেই পারছেন। জীবন কীভাবে যাপন করতে হয়, সেই শিক্ষা দেয় সনাতন ধর্মই।”

     

         

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Pakistan Cricket: পাক ক্রিকেট দলে ‘গৃহযুদ্ধ’ চরমে, বিশ্বকাপের আগে অশনি সঙ্কেত!

    Pakistan Cricket: পাক ক্রিকেট দলে ‘গৃহযুদ্ধ’ চরমে, বিশ্বকাপের আগে অশনি সঙ্কেত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক ক্রিকেট (Pakistan Cricket) টিমে ‘গৃহযুদ্ধ’! সাজঘরে তুমুল ঝামেলা ক্যাপটেন বাবর আজম ও দলের প্রধান বোলার শাহিন আফ্রিদির। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গিয়েছে পাকিস্তান। তার পরেই শুরু হয় ঝামেলা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন কোচ গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন ও রিজওয়ান। বিশ্বকাপের আগে এই ঘটনায় অশনি সঙ্কেত দেখছে পাক ক্রিকেট মহল।

    কেন খেপে গেলেন বাবর?

    জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর সাজঘরে ফেরে পাক ক্রিকেট দল। সেখানে দলের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন বাবর। ওই সময় নাম না করে কয়েকজন ক্রিকেটারের উদ্দেশ্যে তাঁদের পারফরম্যান্স বাড়ানোর কথা বলেন। এই সময় শাহিন বাবরকে বলেন, যাঁরা ভাল ব্যাট ও বল করেছেন, তাঁদের প্রশংসা করতে। এতেই খেপে যান বাবর। বক্তৃতার মাঝে (Pakistan Cricket) শাহিন কথা বলায় ক্ষুব্ধ হন তিনি। বলেন, দলের হয়ে কারা ভাল খেলেছে, তা আমি জানি। এ নিয়েই বাবর ও শাহিনের মধ্যে তুমুল ঝামেলা হয়। দ্রুত চলে আসেন রিজওয়ান এবং কোচ। থেমে যায় ঝামেলা।

    সতীর্থদের সঙ্গে দূরত্ব রচনা বাবরের

    জানা গিয়েছে, এর পরেই দলের বাকি ক্রিকেটারদের থেকে দূরত্ব তৈরি করেছেন বাবব। তাঁদের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করছেন না। তাই চিন্তা বেড়েছে দল পরিচালন সমিতির। প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয় বাবরের দল। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। মাত্র ২৯ রানে আউট হয়ে যান বাবর। নির্ধারিত ৪২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান তোলে ২৫২ রান। পাকিস্তানের হয়ে রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন উইকেটকিপার ব্যাটার মহম্মদ রিজওয়ান। ৭৩ বলে তিনি করেন ৮৬ রান। ওপেনার আবদুল্লা শফিক করেন ৫২। আর ৪৭ রান করেন ইফতিকার আহমেদ।

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডি’ জোটে অনৈক্যে! বাতিল হল প্রথম জনসমাবেশ, কটাক্ষ বিজেপির

    ব্যাট করতে নেমে প্রথমে ভালই খেলছিল শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় উইকেটে পাথুম নিশঙ্কার সঙ্গে ৫৭ রানের এবং তৃতীয় উইকেটে সাদিরা সমরবিক্রমার সঙ্গে শতরানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন কুশল মেন্ডিস। উইকেটকিপার ব্যাটার কুশল ৮৭ বলে ৯১ রানের ইনিংস উপহার দেন দলকে। এদিকে, খেলা যখন শেষের দিকে, তখন ঝলসে ওঠেন শাহিন (Pakistan Cricket)। এক ওভারে ধনঞ্জয় ডি সিলভা ও দুনিথ ওয়েলালাগের উইকেট নিয়ে নেন তিনি। ৪৯ রানে শেষ পর্যন্ত চরিথ আশালঙ্কা জিতিয়ে দেন দলকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA Raid: এদেশেই গোপনে গড়ে উঠেছে আইসিস-এর প্রশিক্ষণ শিবির! ৩০টি জায়গায় হানা এনআইএ-র

    NIA Raid: এদেশেই গোপনে গড়ে উঠেছে আইসিস-এর প্রশিক্ষণ শিবির! ৩০টি জায়গায় হানা এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবার অলক্ষ্যে ভারতের মধ্যেই গড়ে উঠেছে ইসলামিক স্টেটের আস্তানা! সেখানে গোপন চালানো হচ্ছে প্রশিক্ষণ শিবির! নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সকাল থেকেই বিশাল অভিযানে নামল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। একযোগে তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানার প্রায় ৩০টি জায়গায় হানা দিল এনআইএ-র দল (NIA Raid)। 

    দিল্লি বিমানবন্দরে গ্রেফতার আইএস-এর বড় মাথা!

    বৃহস্পতিবার, ওঁৎ পেতে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর এক বড় মাথাকে। এনআইএ সূত্রের খবর, আরাফত আলি নামে ওই জঙ্গি ওইদিন বিকেলেই কেনিয়ার নাইরোবি থেকে ভারতে আসে। দিল্লি বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর অন্যতম চক্রী আরাফত আলি। এবারেও ভারতে নাশকতা করার পরিকল্পনা করে দিল্লিতে আসে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।

    ৩০ জায়গায় একসঙ্গে অভিযানে এনআইএ

    এনআইএ সূত্রে খবর, আরাফত আলিকে দফায় দফায় জেরা করে প্রচুর তথ্য পান গোয়েন্দারা। এনআইএ জানতে পারে, এদেশে গোপনে চলছে আইএস জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। আরও জানা যায়, ওই শিবিরেই যাওয়ার কথা ছিল আরাফতের। এর পর সময় নষ্ট না করে অভিযানে নেমে পড়ে এনআইএ-র একাধিক টিম (NIA Raid)। 

    আরাফতের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ শিবিরের খোঁজে এদিন সকাল থেকে তামিলনাড়ুর চেন্নাই, কোয়েম্বত্তুরে হানা দেন এনআইএ আধিকারিকরা। এদিন তামিলনাড়ুর ২৫টি জায়গায় একযোগে হানা দেয় এনআইএ দল। এর মধ্যে কোয়েম্বত্তুরের ২১টি জায়গা, চেন্নাইয়ের ৩টি, তেনকাসির একটি জায়গা রয়েছে। এর পাশাপাশি, তেলঙ্গানা রাজ্যের অন্তর্গত হায়গরাবাদের পাঁচচি জায়গাতেও হানা দেয় এনআইএ (NIA Raid)। 

    জোড়া বিস্ফোরণে যোগসাজস

    এর আগে, কোয়েম্বত্তুর বিস্ফোরণকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চলতি মাসের গোড়ায় চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করা হয় সৈয়দ নাবীল নামে আরও এক ব্যক্তিকে। এনআইএ-র অনুমান, আইএস-এর ত্রিশূর মডেলের সদস্য হল এই সৈয়দ। এর আগে, গত মার্চ মাসে ভয়েস অব খোরাসান নামে ওই সংগঠনের এক মুখপত্রে আইএস-এর তরফে উল্লেখ করা হয়েছিল যে দক্ষিণ ভারতে আইএস জঙ্গির অস্তিত্ব রয়েছে। তারা এও দাবি করে, কোয়েম্বত্তুর ও মেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে তাদের হাত রয়েছে। যে কারণে, প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিকে খুঁজে বের করা খুবই জরুরি বলে মনে করছে এনআইএ (NIA Raid)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: নারী সশক্তিকরণে জোর সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠকে, দেশজুড়ে শুরু মহিলা সম্মেলন

    RSS: নারী সশক্তিকরণে জোর সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠকে, দেশজুড়ে শুরু মহিলা সম্মেলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী সশক্তিকরণে জোর দিচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। শনিবার পুণেতে সমন্বয় বৈঠক শেষে  সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান সঙ্ঘ নেতা মনমোহন বৈদ্য। প্রসঙ্গত ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠক, এদিন তা শেষ হয়। মোট ৩৬টি শাখা সংগঠনের ২৬৬ জন নেতা এই বৈঠকে হাজির ছিলেন। বিজেপির তরফে বৈঠকে যোগ দেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। শনিবার সঙ্ঘের (RSS) সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন আরএসএস-এর দুই সর্বভারতীয় পদাধিকারী সুনীল আম্বেকর এবং মনমোহন বৈদ্য। সাংবাদিক বৈঠকে সঙ্ঘের কাজের রিপোর্টও প্রকাশ করেন মনমোহন বৈদ্য। তিনি জানান, ফি বছর বাড়েছে সঙ্ঘের শাখা। ২০২০ সালে সারাদেশে শাখার সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ৪১৯ বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার ৫৫১ তে।

    নারী সশক্তিকরণে জোর

    ২০২৫ সালে সঙ্ঘ শতবর্ষে পদার্পণ করবে। সেই লক্ষ্যে সংগঠনের কাজে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে জোর দিচ্ছে সঙ্ঘ (RSS)। ইতিমধ্যে শাখা সংগঠনগুলিও একাজে নেমে পড়েছে বলে জানান মনমোহন বৈদ্য। জানা গিয়েছে, সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করা মহিলাদের ১১টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এনজিও-এর কর্ণধার, উকিল, ডাক্তার, প্রশাসনিক আধিকারিক, লেখিকা, গ্রামস্তরের রাজনীতিবিদ, জনজাতি সমাজের মধ্যে কার্যরত মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো হবে। দেশজুড়ে এনিয়ে মহিলা সম্মেলনও শুরু করে দিয়েছে সঙ্ঘ (RSS)। অগাস্ট থেকে শুরু হওয়া সম্মেলনগুলি চলবে জানুয়ারি পর্যন্ত। দেশের নানা প্রান্তে মোট ৪১১টি মহিলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মনমোহন বৈদ্য জানান, ইতিমধ্যে ৭৩টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসাহ সহকারে বিভিন্ন পেশার মহিলারা তাতে অংশগ্রহণ করেছেন। সঙ্ঘের রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ১লাখ ২৩ হাজার মহিলা এই সম্মেলগুলিতে অংশগ্রহণ করেছেন।

    আরও পড়ুুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই, এবার জানিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও

    আধ্যাত্মিক স্বাধীনতা ভারতেই দেখা যায়

    এদিন স্ট্যালিন পুত্র উদয়নিধির সনাতন ধর্ম বিরোধী মন্তব্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে মনমোহন বৈদ্য বলেন, ‘‘আধ্যাত্মিক স্বাধীনতা আমাদের দেশের অন্যতম ভিত্তি। এখানে মনে করা হয় প্রতিটি মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের বাস। সনাতন ধর্ম বিদ্বেষী মন্তব্য যাঁরা করেন, তাঁরা জানেন না ধর্ম কী? ভারতের ধর্ম পাশ্চাত্যের রিলিজিয়নের থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। সনাতন ধর্ম তো সর্বত্র বিরাজমান। তাইতো লোকসভায় দেখা যায়, লেখা রয়েছে ‘ধর্মচক্রপ্রবর্তন’ এবং সুপ্রিম কোর্টে ‘যথা ধর্ম তথা জয়’।’’ সঙ্ঘ (RSS) নেতা আরও জানিয়েছেন দেশের যুব সমাজের মধ্যে স্বয়ংসেবক হওয়ার বিপুল আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। প্রতিবছর ১ লাখের বেশি যুবক অনলাইনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: ‘ইন্ডি’ জোটকে ফের নিশানা, দেশরক্ষায় মোদিজির হাত শক্ত করার বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ইন্ডি’ জোটকে ফের নিশানা, দেশরক্ষায় মোদিজির হাত শক্ত করার বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, রাহুল গান্ধী, শেখ আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে দূরে থাকুন। স্বাধীন ভারতে দু’জন প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার ছিলেন। তাই, দু’ভাগ হয়েছে দেশ। এখন ২৬ জন প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার। তাই, দেশকে আফগানিস্থান তালিবান হতে দেবেন না। দেশরক্ষার জন্য মোদিজির হাত শক্ত করুন। শুক্রবার পাণ্ডবেশ্বরের শীতলপুর মারে জনসভা থেকে ‘ইন্ডি’ জোটকে এভাবেই নিশানা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফর নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    আগামী ২০২৪ লোকসভাকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমেছে গেরুয়া শিবির। পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে একটি করে জনসভা করার টার্গেট নিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার ছিল পাণ্ডবেশ্বরের শীতলপুর মাঠে জনসভা। এদিন কেন্দ্রের সুশাসন তুলে ধরে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কু-শাসন বলে আখ্যা দেন। তাঁর বক্তব্যের আগাগোড়া ছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফরকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘২০ কোটি টাকা খরচ করে শিল্প আনতে গিয়েছেন। আর রাজ্যের সিঙ্গুরে ডিনামাইট ফাটিয়ে টাটাদের গুজরাটে পাঠিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী খেলা আর মেলার বাইরে বেরোতে পারেননি। এ রাজ্যে রেল নিজস্ব ফান্ডে প্রকল্প করতে চিঠি দিয়েছিল। ৬১টি প্রকল্পের জমি দেয়নি রাজ্য। দমদমের পাশে ভাঙড়ে নতুন বিমানবন্দর করতে চাওয়া হয়েছিল। জমি দেয়নি রাজ্য। ১২ বছর অতিক্রান্ত, নতুন শিল্প নেই। রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প হতে দেয়নি। ভুয়ো স্বাস্থ্যসাথি কার্ড চালু করেছেন। ২০১৯ সাল থেকে ফসল বিমা যোজনা বন্ধ করে রেখেছেন। নতুন করে দামোদরে বালি তুলে গতিপথটাই বদলে দিয়েছেন। খনিজ থেকে রাজ্যের রাজস্ব লোকসান হয়। রাজস্বের ২০ শতাংশ রাজকোষে জমা পড়ে। আর বাকি ৮০ শতাংশ তোলামূলে চলে যায়।’’

    কেষ্ট প্রসঙ্গে কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘বীরভূমে ডিসিআরের নামে পাথর লুট হচ্ছে। কেষ্ট নেই তো কী হয়েছে। কাজল শেখ আছে। নতুন বোতলে পুরোনো মদ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যে বেআইনি কয়লার সিন্ডিকেট হয়েছে। ওই সিন্ডিকেট উপড়ে ফেলার কাজ চলছে। রাজ্য সরকার পুলিশ সরিয়ে নিক। কোনও রাষ্ট্রপতি শাসন লাগবে না। কোনও ৩৫৬ ধারা লাগবে না। গান্ধীমূর্তির নিচে আর শহিদ মিনারের নীচে যাঁরা বসে আছেন, তাঁরাই কালীঘাটের সব ইট খুলে নিয়ে চলে আসবেন।’’

    ডিয়ার লটারি নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘ডিয়ার লটারির মালিক মুখ্যমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে বাংলায় লটারি ব্যাবসার জন্য বেশ কয়েক কোটি টাকা দিয়েছেন। মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে এই ডিয়ার লটারিকে নিয়ে, সব সত্যি এবার সামনে আসবে। উপাচার্য্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয় এটা পিসির লজ্জা। বিচারপতি এজলাসে মামলা আসার ব্যাপারটাকে নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তুলোধোনা করেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dumdum Train Derailed: দমদম স্টেশনে লাইনচ্যুত ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকাল, ভোগান্তি যাত্রীদের

    Dumdum Train Derailed: দমদম স্টেশনে লাইনচ্যুত ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকাল, ভোগান্তি যাত্রীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইনচ্যুত হল ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকাল ট্রেন। শনিবার সকাল ৯:৫২ মিনিটে দমদম স্টেশনে ঢোকার মুখে এই ঘটনাটি ঘটে। লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে হতাহতের কোন খবর মেলেনি। জানা গিয়েছে দুর্ঘটনার (Dumdum Train Derailed) সময় ট্রেনের গতিবেগ খুবই কম ছিল যার জেরে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা মিলেছে। তবে এটাই প্রথম নয় গত পাঁচ দিনে এনিয়ে, দ্বিতীয়বার দুর্ঘটনা ঘটল দমদম স্টেশনের কাছে। মঙ্গলবারই মাঝের একটি লাইনে ঢুকে যায় শিয়ালদাগামী একটি ট্রেন। স্টেশনে ট্রেন না ঢোকার ফলে ট্রেনে ওঠানামা করতে পারছিলে না যাত্রীরা। রেল কর্তৃপক্ষ জানায় যে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এই ঘটনা ঘটে।

    লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন  

    জানা গিয়েছে ওই লোকাল ট্রেনটি দমদম স্টেশনের ৫ নম্বর প্লাটফর্মে এসে দাঁড়ালে চার ও পাঁচ নম্বর বগি লাইনচ্যুত হয়। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন চালক। দুর্ঘটনার পর পরই রেলের ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মীরা সেখানে পৌঁছে যান। এক রেলযাত্রী বলেন, ‘‘আচমকাই একটা প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমরা একে ওপরের ঘাড়ে গিয়ে পড়ি। তখন ব্যাপারটা সেভাবে বুঝতেই পারিনি। ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। অনেকেই লাইন দিয়ে নীচে নেমে আসেন। তারপর বুঝি লাইনচ্যুত (Dumdum Train Derailed) হয়েছে ট্রেন।’’

    আরও পড়ুুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই, এবার জানিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও

    রেলের বিবৃতি 

    পূর্বরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সময় দমদমে ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকালের (Dumdum Train Derailed) মাঝের দিকের একটি কামরার দু’টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। চালকের তৎপরতায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন তিনি থামিয়ে দিয়েছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা সেখানেই ট্রেনটি ছিল। সকাল সাড়ে ১১টায় চাকা দু’টিকে ফের লাইনে তোলা সম্ভব হয়। ট্রেন চলাচল তার পর থেকে স্বাভাবিক হয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Paschim medinipur: মৌচাকে ঢিল মেরে গ্রেফতার হয়েছিলেন দেবমাল্য, মিলল শর্তাধীন জামিন

    Paschim medinipur: মৌচাকে ঢিল মেরে গ্রেফতার হয়েছিলেন দেবমাল্য, মিলল শর্তাধীন জামিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থানার ওসি, আইসি কিংবা বিডিও-কার্যত তৃণমূলের ব্লক সভাপতির মতো আচরণ করছেন। একাধিক জেলার পুলিশ সুপার, জেলাশাসকদের ভূমিকাও একইরকম। শাসকদলের ব্যাটন এখন দলের নেতাদের থেকে আমলাদের হাত বেশি। এটা বিরোধীদের অভিযোগ নয়, খোদ দলেরই কর্মীদের একাংশই একাধিক জেলায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন। তাঁদের অভিযোগ, কোনও নেতাকে পুলিশ আধিকারিকের পছন্দ না হলে তার পদে ঠিকে থাকা দায় হয়ে দাঁড়ায়। পশ্চিম মেদিনীপুরে আনন্দবাজার পত্রিকার খড়গপুরের প্রতিনিধি দেবমাল্য বাগচীকে গ্রেফতার করার ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    নদিনের মাথায় দেবমাল্যের জামিন, শর্ত কী জানেন?

    ৬ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। পরে, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তফশিলি জাতি ও জনজাতিদের প্রতি অত্যাচার দমন আইনের ৩ (১) (আর) (এস) ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৩, ৩৫৪বি, ৫০৯ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয় দেবমাল্য এবং বাসন্তী দাসকে। বাসন্তীদেবী চোলাই কারবারিদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। আর দেবমাল্য সেই খবর প্রকাশিত করেছিলেন। গ্রেফতারের ৯ দিন পর তিনি মুক্তি পান। জামিনের ক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া হয়েছে, যে এলাকায় অভিযোগকারী থাকেন, আগামী ১৪ দিন সেই সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় (অর্থাৎ খড়্গপুরে) দেবমাল্য এবং বাসন্তী ঢুকতে পারবেন না। এই সময়ের মধ্যে তাঁরা অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারবেন না।

    দেবমাল্যকে গ্রেফতারের পিছনে আসল কী কারণ লুকিয়ে রয়েছে জানেন?

    খড়্গপুর শহরের সাঁজোয়াল এলাকায় চোলাই মদের রমরমা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কীভাবে পুলিশ প্রশাসনের অকর্মণ্যতার জন্যই এই রমরমা এবং কীভাবে বাড়িতে বসে বসেই চোলাইয়ের ব্যবসা চলছে তা বিশদে তুলে ধরেন দেবমাল্য। গত ২৭ অগাস্ট আনন্দবাজার পত্রিকার খড়্গপুর সংস্করণে খবর প্রকাশের পরেই স্থানীয় মানুষের রোষের মুখে পড়ে পুলিশ। পুলিশ ওই চোলাই ঠেকের কয়েকজন মদ্যপকে ধরে জনরোষ সামাল দিতে চায় ঠিকই, কিন্তু মূল অভিযুক্তরা পালায়। এই ঘটনার পর, বাসন্তী দাস নামে ওই মহিলা যিনি এই অভিযোগ করেছিলেন তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে চোলাই মদের কারবারিরা। তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এই চোলাই কারবারিদের থেকে মোটা অঙ্কের মাসোহারা নেয় পুলিশ। সেই মাসোহারা পুলিশের বিভিন্ন মহলে পৌঁছে যেত। এই মৌচাকেই ঢিল মেরেছিলেন দেবমাল্য। আর পুলিশের চেহারা জনগনের কাছে বেআব্রু করে দিয়েছিলেন। এবার পুলিশ যেটা বিরোধী দল বিজেপি ক্ষেত্রে গোটা রাজ্যজুড়ে করছে, মিথ্যা কেস দিয়ে লকআপে ঢোকানো, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেই বাহদুরি কাজ দেখিয়েছে পুলিশ। খোদ বিরোধী দলনেতা এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। 

    দেবমাল্য গ্রেফতারি নিয়ে কী বলেছেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনাটি টুইট করে লিখছেন, অভিযোগকারিণী বাসন্তী দাস এবং এলাকার অন্যান্য মহিলারা ওইখানকার কিশোর-কিশোরীদের বাঁচাতে এই অবৈধ ব্যবসাকে আইনত বাধা দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। ওই এলাকার পরিবেশ এতটাই বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল যে মহিলারা নিরাপদ বোধ করছিলেন না। পুলিশ, স্থানীয় কাউন্সিলর ও পৌরসভার চেয়ারপার্সনের কাছে সাহায্য চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। পুলিশ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে খবর হতেই শোরগোল পড়ে। সংবাদ সংস্থার বাধ্যতা তাঁর কাছে অজানা নয়। তাঁরা ‘নির্লজ্জভাবে নীরব’ কারণ সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিজ্ঞাপন রাজস্বের উপর তাদের নির্ভর করে চলতে হয়। ছদ্ম উদারপন্থী এবং বুদ্ধিজীবীরাও খানিক এই কারণেই চুপ।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধী দল থেকে আদিবাসী সংগঠন

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমার প্রেস ক্লাব, বিভিন্ন দল ও সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদনও জানানো হয়েছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। আদিবাসী সংগঠন আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। তাদের দাবি ছিল, এই আইনটির অপব্যবহার হচ্ছে। বিজেপির বক্তব্য, সংবাদ মাধ্যমের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা হয়েছে।

    কী বললেন দেবমাল্য?

    জামিনে মুক্তি পেয়ে দেবমাল্য বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই, এখনই এই ঘটনা নিয়ে কিছু মন্তব্য করব না। এই বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে যা বলার তা বলব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Biometric Fraud: বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি টাকা গায়েব করছে প্রতারকরা, কীভাবে বাঁচবেন?

    Biometric Fraud: বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি টাকা গায়েব করছে প্রতারকরা, কীভাবে বাঁচবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করতে নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করছে প্রতারকরা। প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে যেখানে এটিএম থাকে না অথবা ব্যাঙ্কের কোনও শাখা নেই, সেখানে সিএসপি সেন্টারের উপরে নির্ভর করতে হয় গ্রাহকদের। এখানেই তাদের দিতে হয় যাবতীয় বায়োমেট্রিক তথ্য (Biometric Fraud)। তাই সেক্ষেত্রে এই সিএসপি সেন্টারের কোনও কোনও কর্মীর জোগসাজশে প্রতারকরা বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে নেয় এবং জালিয়াতি করে।  

    সম্প্রতি কলকাতার মহেশতলাতেও এমন অভিযোগ সামনে এসেছে। মহেশতলার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ কর গত ৭ সেপ্টেম্বর দেখেন, তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ এসেছে। সেখানে লেখা রয়েছে, ১০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে (Biometric Fraud)। প্রসেনজিৎ বাবু বলতে থাকেন, তিনি টাকা তোলেননি। মহেশতলার এই প্রোমোটার তখন মনে করেন যে প্রায় দু মাস আগে তিনি জমির রেজিস্ট্রি করাতে গিয়ে আঙুলের ছাপ দিয়েছিলেন। সেখান থেকে কেউ তথ্য চুরি করেছে।  বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রি অফিসগুলি এখন বায়োমেট্রিক তথ্যচুরির ঘুঘুর বাসা হয়ে গিয়েছে। ফাঁদ পেতে বসে থাকে প্রতারকরা এবং বায়োমেট্রিক চুরি করে তথ্য। 

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের এক আধিকারিকের কথায়, সম্প্রতি এই অভিযোগ লাগাতার আসছে আমাদের কাছে। অভিযোগকারীরা বলছেন, তাঁরা ওটিপি শেয়ার (Biometric Fraud) করেননি। কারও কথায় তাঁরা কোনও লিঙ্কও খোলেননি, অথচ তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগকারীরা আরও জানাচ্ছেন যে মেসেজে লেখা হচ্ছে আধার এনেবেলড পেমেন্ট সিস্টেম (এইপিএস)-এর মাধ্যমে টাকা তোলা হচ্ছে। এইপিএস হল এক ধরনের সুবিধা যেখানে এটিএম কাউন্টার নেই সেখানে এই পদ্ধতিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মাধ্যমে টাকা তোলা যায়। 

    কীভাবে মিলবে রেহাই

    কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের আধিকারিকরা বলছেন, মোবাইল ফোনে mAdhaar অ্যাপ রয়েছে। এটি ইনস্টল করে আধার অথেন্টিকেশন করতে হবে। এরপরে বায়োমেট্রিক (Biometric Fraud) অথেন্টিকেশন অপশনে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে বায়োমেট্রিক লক করে দেওয়া যেতে পারে। ভবিষ্যতে নিজের যে কোনও কাজে প্রয়োজন হলে আবার এটি খোলা যেতে পারে। বায়োমেট্রিক লক থাকলে তার অপব্যবহার হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Partha Chatterjee: “আদালতে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না”, পার্থ প্রসঙ্গে সাফ জানালেন বিচারক

    Partha Chatterjee: “আদালতে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না”, পার্থ প্রসঙ্গে সাফ জানালেন বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারও জন্য আদালতে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া হবে না। শুক্রবার সাফ জানিয়ে দিলেন বিচারক। নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি রয়েছেন জেলে। তাঁরই জামিনের শুনানির জন্য তারিখ চেয়ে আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থর আইনজীবী। তখনই বিচারক জানিয়ে দেন, কারও জন্য আদালতে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া হবে না। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৭ সেপ্টেম্বর।

    বিশেষ সুবিধা নয়

    আলিপুরে বিশেষ আদালতে নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডের শুনানি ছিল। এদিন ফের একবার পার্থর জামিনের আবেদন করা হয়। তখনই বিচারক বলেন, “আদালতে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না। যে রকম যা তারিখ নির্ধারিত রয়েছে, সে রকম হবে।” উল্লেখ্য, এর আগে ৮ সেপ্টেম্বরও একবার পার্থর জামিনের আর্জি জানানো হয়েছিল। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন পার্থ। হাজির করানো হয়েছিল নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ধৃত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা অশোক সাহা, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এজেন্ট চন্দন মণ্ডলকে। ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাও।

    ফের জেল হেফাজত

    বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আদালতের কাছে সবাই সমান। কাউকে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া আদালতের পক্ষে সম্ভব নয়। এর পর যেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হবে, সেদিনই জামিনের আবেদনের শুনানি হবে।” এদিন পার্থ (Partha Chatterjee) সহ বাকি অভিযুক্তদেরও জামিনের শুনানি হয়। কেউ অসুস্থতা, কেউ বয়সের কারণ দেখিয়ে জামিন চেয়েছিলেন। তবে তাতে কর্ণপাত করেননি বিচারক। প্রত্যেককেই ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই, এবার জানিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও

    প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি তত্ত্বে খারিজ হয়ে যায় পার্থর জামিনের আবেদন। তবে তিনি যে নির্দোষ, তা একাধিকবার বলতে শোনা গিয়েছে পার্থকে। ২৪ জুলাই আদালতে ঢোকার সময় তিনি (Partha Chatterjee) তো বলেইছিলেন, “আমি নির্দোষ। আমি নিয়োগ কর্তা নই, আমি সুপারিশ কর্তাও নই। আমি কোনও ব্যাপারের সঙ্গে ছিলাম না।” তাঁকে বিনা বিচারে এক বছর ধরে জেলে আটকে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Pakistan Occupied Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই, এবার জানিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও

    Pakistan Occupied Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই, এবার জানিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই বোধহয় বলে বন্ধুর গালে সপাটে থাপ্পড়! পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Pakistan Occupied Kashmir) ভারতেরই। সাফ জানালেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উপ-প্রধানমন্ত্রী। ভারত, ইউরোপ এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যে তৈরি হবে অর্থনৈতিক করিডর। এর একটা বিরাট অংশ রয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। সেই প্রসঙ্গেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি জানিয়ে দিল, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই। সম্প্রতি দিল্লিতে হয়ে গেল জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। তার পরেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এই বার্তাকে নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের

    সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উপ-প্রধানমন্ত্রী সইফ বিন জাহেদ আল নাহিয়ান। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সদ্য সমাপ্ত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে করিডরটিকে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপের অর্থনৈতিক করিডর হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। এজন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, নাহিয়ান অর্থনৈতিক করিডরের একটি মানচিত্র দেখাচ্ছেন। সেখানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে (Pakistan Occupied Kashmir) ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সম্পর্কের যে উন্নতি হয়েছে এবং দুই দেশই যে আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে শক্তিশালী করতে চায়, সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে ভিডিওটিতে।

    কী বলেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী?

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর যে ভারতেরই, তা বরাবর দাবি করে আসছে নয়াদিল্লি। তার পরেও কাশ্মীরের ওই অংশ দখল করে রেখেছে ইসলামাবাদ। গত জুন মাসেও কাশ্মীরের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে প্রতিরক্ষমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়েছিলেন, ইসলামাবাদ যতই দাবি করুক না কেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের ছিল, আছে এবং থাকবে। এ ব্যাপারে সংসদে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি, রাজভবন-নবান্ন সংঘাতে ইতি টানতে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, দিন তিনেক আগে প্রাক্তন সেনা প্রধান তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিংহ বলেছিলেন, অচিরেই স্বেচ্ছায় ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Pakistan Occupied Kashmir)। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে অবশ্য পাকিস্তানের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বন্ধু দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এহেন ঘোষণায় পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share