Tag: Bengali news

Bengali news

  • Duttapukur: দত্তপুকুরে ফের ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ, পুলিশ কী করছিল?

    Duttapukur: দত্তপুকুরে ফের ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ, পুলিশ কী করছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রামে কিছুদিন আগেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। সেই বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছিল আস্ত একটি তিনতলা বাড়ি। এবার সেই বিস্ফোরণের রেশ কাটতে না কাটতেই উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর (Duttapukur) থানার কদম্বগাছি উলা মাঝেরপাড়া গ্রামে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, কী করে বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Duttapukur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ দত্তপুকুরের (Duttapukur) কদম্বগাছি উলা মাঝেরপাড়া গ্রামে একটি জমির পাশে প্রচুর পরিমাণে  বোমা মজুদ করে রাখা হয়েছিল। আর সেই বোমা ফেটে এবার আবারও বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তার জেরে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কম্পনের তীব্রতা অনুভব করেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি এদিন যে স্থানে বিস্ফোরণ হয় সেই স্থানে মাটি বহুদূর উড়ে যায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই স্থানে এর আগেও বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ করেন, এই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে বোমা বাধার কাজ চলতো।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাতে বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজ আমরা শুনতে পাই। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বাড়িঘর পুরো কেঁপে ওঠে, এমনই অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। তারপরেই এলাকার লোকজন সবাই মিলে বেরিয়ে সেখানে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি, প্লাস্টিকের ড্রামে করে বোমা মাটির মধ্যে গর্ত করে রাখা ছিল। আর সেখানেই বিস্ফোরণ হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিদিনই প্রায় এখানে বোমা বাধার কাজ চলে। এলাকাবাসী আরও বলেন,  আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের উপরে আক্রমণ হয়। এলাকায় কিছু দুষ্কৃতী তারা প্রতিনিয়ত আমাদেরকে হুমকি দিতে থাকে। পুলিশের একাংশকে হাত করেই এখানে দুষ্কৃতীরা বোমা বাঁধার কাজ করত। পঞ্চায়েত নির্বাচনে আগে থেকে এসব চলত। দত্তপুকুরের (Duttapukur) ঘটনার পর কিছুদিন সব কিছু বন্ধ ছিল। ফের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় পুলিশের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • VK Singh: “শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর”, দাবি প্রাক্তন সেনা প্রধানের

    VK Singh: “শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর”, দাবি প্রাক্তন সেনা প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শীঘ্রই নিজে থেকেই ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর।” রাজস্থানের দৌসায় এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সেনা প্রধান ভিকে সিংহ (VK Singh)। চলতি বছরই রয়েছে রাজস্থান বিধানসভার নির্বাচন। সেই উপলক্ষে রাজস্থানে এসেছেন মন্ত্রী। এখানেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “শীঘ্রই নিজে থেকেই ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর। একটু অপেক্ষা করুন।”

    শিয়া মুসলিমদের দাবি

    নির্বাচনমুখী রাজস্থানে ‘পরিবর্তন সঙ্কল্প যাত্রা’র আয়োজন করা হয়েছে বিজেপির তরফে। এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। সেই কারণেই দৌসায় এসেছিলেন মন্ত্রী। উল্লেখ্য, শিয়া মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন লাদাখের কারগিল চেকপোস্ট খুলে দেওয়ার। সেই প্রসঙ্গেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভারতে মিশে যাওয়ার কথা বলেন মন্ত্রী (VK Singh)। জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনসংখ্যা ৪৫ লাখের কাছাকাছি। এর ৯৭ শতাংশই মুসলিম। বাকি তিন শতাংশ হিন্দু সহ অন্যান্য ধর্মের।

    চিনা আগ্রাসন নিয়ে জবাব মন্ত্রীর

    কেবল পাকিস্তান নয়, চিনা আগ্রাসন নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন বিদেশ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী। মানচিত্রের নয়া সংস্করণে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনকে নিজেদের এলাকা বলে দেখিয়েছে বেজিং। এদিন সে প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “এটা চিনের পুরনো অভ্যাস। শুধুমাত্র ভারতের কিছু অংশ নিয়ে মানচিত্র প্রকাশ করে ওরা কিছু করতে পারবে না। এতে কিছু বদলাবে না। কোন এলাকাগুলি আমাদের, আমাদের সরকার তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। অবান্তর দাবি করলেই অন্য লোকের এলাকা আপনার হয়ে যায় না।”

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইডি দফতরে পৌঁছলেন অভিষেক, শুরু জিজ্ঞাসাবাদ

    প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লি বরাবরই দাবি করে আসছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের। অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। মে মাসে গোয়ায় অনুষ্ঠিত এসসিও-র বিদেশমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টোও। তাঁর সামনেই অবৈধভাবে দখল করা এলাকা তাঁরা কখন ফাঁকা করে দেবেন, এ প্রশ্নও তুলেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    কংগ্রেস সরকারের আমলে রাজস্থানে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, এদিন তাও জানিয়েছেন মন্ত্রী (VK Singh)। বছর কয়েক আগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে পাক ভূখণ্ডে থাকা বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছিল ভারত। তার পর থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতে নিয়ে আসার আশ্বাস দিচ্ছেন বিজেপির বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রী। অখণ্ড কাশ্মীরের স্বপ্ন যে অচিরেই পূরণ হতে চলেছে, এদিন প্রাক্তন সেনা প্রধানের কথায়ই তা স্পষ্ট।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED on Abhishek Banerjee: কিছু প্রশ্ন রয়েছে, তাই তলব করা হয়েছে অভিষেককে, হাইকোর্টে জানাল ইডি

    ED on Abhishek Banerjee: কিছু প্রশ্ন রয়েছে, তাই তলব করা হয়েছে অভিষেককে, হাইকোর্টে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সরাসরি রক্ষাকবচ মিলল না তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। মামলা যতক্ষণ বিচারাধীন, ততক্ষণ যেন ইডি কোনও পদক্ষেপ না করে, আদালতের কাছে এমনই আবেদন জানান তৃণমূল নেতার আইনজীবী।

    “নির্দেশনামায় কেন নতুন শব্দবন্ধ লিখতে যাব?”

    ইডির (ED on Abhishek Banerjee) আইনজীবীর মৌখিক প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে ইডির আধিকারিকরা এই মামলার শুরু থেকে কোনও কড়া পদক্ষেপ করেননি। মঙ্গলবার ফের শুনানি হয় এই মামলার। মামলা ওঠে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। তিনি বলেন, “এই মামলার শেষ মুহূর্তে নির্দেশনামায় কেন নতুন শব্দবন্ধ লিখতে যাব? কালকেও আমার বিচার্য বিষয় একই থাকবে।  জামিনের মামলা শুনানির জন্য আমার কাছেই আসবে।” প্রসঙ্গত, ইসিআইআর খারিজের দাবিতে যখন মামলা চলছে, তখন ১০ সেপ্টেম্বর অভিষেককে নতুন করে সমন পাঠানো হয়েছে।

    অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন

    ১৩ সেপ্টেম্বর, বুধবার হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। অভিষেকের আইনজীবী জানান, বুধবার তাঁর (অভিষেকের) বিশেষ একটি বৈঠক রয়েছে। তিনি বলেন, “এটা বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ। কাল তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। এই ধরনের হয়রানির মানে কি?” ইডির আইনজীবী বলেন, “সমন পাঠানো মানে কড়া পদক্ষেপ নয়। তিনি অভিযুক্ত নন।  ইডির (ED on Abhishek Banerjee) কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তাই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সমন পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের কোনও বাধা নেই। গ্রেফতার করতে আমাদের কোনও সমনের দরকার নেই।  আমরা যখন ইচ্ছা গিয়ে গ্রেফতার করতে পারি। গ্রেফতারির জন্য সমন পাঠানো হয়েছে এই আশঙ্কা অমূলক।” তিনি বলেন, “এই আদালতের অন্য এজলাসেও মামলা চলছে।  সেখানে আমাদের রিপোর্ট দিতে হবে। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘টাকা সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট দুবাই’’! মমতার বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বিচারপতি ঘোষ বলেন, “ইসিআইআর খারিজের মূল মামলায় অভিষেক এবং ইডির বক্তব্যের লিখিত আকারে খুশি (ED on Abhishek Banerjee) নয় আদালত। ১৯ সেপ্টেম্বর নতুন করে লিখিত আকারে বক্তব্য পেশ করতে হবে।” অভিষেকের আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন,  “আপনি এমন কিছু নির্দেশনামার উল্লেখ করেছেন যা আপনার বিপক্ষে যেতে পারে। আপনি মুখে যা বলেছেন এবং লিখিত আকারে যা জমা দিয়েছেন তার মধ্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। অনেক বক্তব্য লিখিত আকারে দেননি।” এদিন রিপোর্ট জমা দিল সিএফএসএল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে  ১৯ সেপ্টেম্বর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা, হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা, হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। তার জেরে মঙ্গলবার রাজ্যপালের দফতরের হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হলফনামা জমা দিতে হবে ৪ অক্টোবরের মধ্যে। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে চাওয়া হয় হলফনামা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৬ অক্টোবর।

    কেন্দ্রের আইনজীবীকে প্রশ্ন আদালতের

    মামলাকারীর অভিযোগ, রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগের যে বিল বিধানসভায় পাশ হয়েছে, তা আটকে রেখে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি করেছেন রাজ্যপাল। এদিন মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের আইনজীবীকে আদালতের (Calcutta High Court) প্রশ্ন, “যদি সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়, তাহলেও কি আদালত রাজ্যপালকে কোনও একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অনুরোধ জানাতে পারে না? ডানদিকে হোক, বামদিকে হোক বা কেন্দ্রে হোক, যেখানেই হোক, কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অনুরোধ রাজ্যপালকে আদালত জানাতে পারে না? এই ধরনের সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের কৈফিয়ত তলব করা যায় না, সময় বেঁধে দেওয়া যায় না, কিন্তু যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধও কি আদালত করতে পারে না?”

    কী জবাব দিলেন কেন্দ্রের আইনজীবী?

    কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, “সংবিধান রাজ্যপাল সহ একাধিক সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। তাঁরা জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। মামলাকারীর রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখা হোক। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক। এই পরিচয় গোপন করে তিনি মামলা করেছেন। তাই এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়।”

    রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন (Calcutta High Court), “একটি বিল যাওয়ার পরে রাজ্যপাল তিনটি কাজ করতে পারেন। প্রথমত, তিনি বিলে সম্মতি জানিয়ে সই করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, তিনি পরামর্শ দিয়ে বা না দিয়ে পুনরায় বিবেচনার জন্য বিধানসভায় বিলটি ফেরত পাঠাতে পারেন। তৃতীয়ত, তিনি বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন। বিলটি তাঁর কাছে যাওয়ার পর এক বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও, রাজ্যপাল এই তিনটি পদক্ষেপের কোনওটিই করেননি।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি! ভোটার তালিকায় ত্রুটি রুখতে গুচ্ছ নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    প্রসঙ্গত, বিধানসভা ও রাজ্য মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়ার পর ২০২২ সালের ১৫ জুন বিলটি পাঠানো হয় রাজ্যপালের কাছে। বিলটিতে তিনি সই করলে সেটি আইনে পরিণত হত। রাজ্যপাল বিলটি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। এর প্রেক্ষিতেই দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Elections 2024: লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি! ভোটার তালিকায় ত্রুটি রুখতে গুচ্ছ নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    Loksabha Elections 2024: লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি! ভোটার তালিকায় ত্রুটি রুখতে গুচ্ছ নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Elections 2024)। তার আগে ভোটার তালিকায় ত্রুটি রুখতে জেলাশাসকদের সতর্ক করে দিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার পদমর্যাদার দুই আধিকারিক ধর্মেন্দ্র সাউ ও নীতীন ব্যাস।

    কমিশনের কড়া নির্দেশ

    সোমবার কলকাতার একটি হোটেলে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। সেখানেই সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ভোটার তালিকায় কোনওরকম ত্রুটি থাকা চলবে না। সংশোধিত ভোটার তালিকা থেকে মৃতদের নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই। ধর্মেন্দ্র ও নীতীন জানান, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে যেসব নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। কমিশনের নির্দেশ যেন কোনওভাবেই লঙ্ঘন করা না হয়।

    ভোটার তালিকা প্রকাশ কবে?

    ভোটার তালিকা সংশোধনের পর ১ নভেম্বর সংশোধিত ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করা হবে। নতুন বছরের ৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে, এমনই ঠিক আছে। ভোটার তালিকা নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দল যাতে অভিযোগের আঙুল তুলতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক হয়ে এগোতে হবে। বুথগুলোকে (Loksabha Elections 2024) এখনই চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে। সেখানকার সুবিধা-অসুবিধাগুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে শুরু করবে বলেও জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে।

    আরও পড়ুুন: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    জেলাশাসকদের সঙ্গে নির্বাচনী আধিকারিকদের এদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়। প্রত্যেক জেলাশাসকের  সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করেন তাঁরা। এদিন জেলাশাসকদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও ভোটারের নাম (Loksabha Elections 2024) যেন দু’ জায়গায় না থাকে, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। দু’ জায়গায় নাম থাকলে কমিশনের নিয়ম মেনে একটি জায়গা থেকে নাম বাদ দিতে হবে। ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গিয়ে নতুন ভোটাররা যাতে প্রতিকূলতার সম্মুখীন না হন, সেদিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। কাটাতে হবে প্রতিকূলতা। ভোটার তালিকা সংক্রান্ত যে সব অভিযোগ জমা পড়েছে, এদিন তার তালিকা জমা নেন নির্বাচনী আধিকারিকরা। এই সব অভিযোগের নিষ্পত্তি কীভাবে হয়েছে, তাও শোনেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: সৌদির যুবরাজের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, কী নিয়ে আলোচনা হল জানেন?

    PM Modi: সৌদির যুবরাজের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, কী নিয়ে আলোচনা হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২০১৯ সালে তৈরি হওয়া ভারত-সৌদি আরব কৌশলগত অংশীদারি পরিষদের বৈঠকও হয়েছে দিল্লিতে।

    রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্বাগত যুবরাজকে

    এদিনের বৈঠকে ভারত ও সৌদি দুই দেশই পশ্চিম উপকূলবর্তী তেল উত্তোলনের ৫০০ কোটি ডলারের প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার রূপরেখা নিয়ে কথা বলেছে। জ্বালানি, সেমিকন্ডাক্টর, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যৌথ উৎপাদন, মহাকাশ গবেষণায় সহযোগিতা বাড়ানো নিয়েও কথা হয়েছে দুই দেশের। রবিবারই নয়াদিল্লিতে শেষ হয়েছে দু’ দিনের জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। সেই উপলক্ষে দেশে এসেছেন সৌদির যুবরাজ। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্বাগত জানানো হয় তাঁকে।  

    ঐতিহাসিক অর্থনৈতিক করিডর শুরুর সিদ্ধান্ত 

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেন, চিন এবং ফ্রান্সের পর ভারতই চতুর্থ দেশ যার সঙ্গে কৌশলগত পরিষদ গঠন করল সৌদি আরব। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে সহযোগিতা গোটা অঞ্চলের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য খুবই জরুরি। আজকের আলোচনায় সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমরা গতকালই ঐতিহাসিক অর্থনৈতিক করিডর শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই করিডর অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে ডিজিটাল সংযোগ বাড়াবে। ভারত ও সৌদির বাণিজ্য সম্পর্ক দুই দেশকেই নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে বলেও আমরা আত্মবিশ্বাসী। গ্রিড সংযোগ, পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে আমাদের সহযোগিতার অপরিসীম সুযোগ রয়েছে। এই দুই দেশ মিলে ঐতিহাসিকভাবে অর্থনৈতিক করিডরের সূচনা করেছি।” 

    আরও পড়ুুন: ‘‘টাকা সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট দুবাই’’! মমতার বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    সৌদির যুবরাজ বলেন, “আমরা কঠোর পরিশ্রম করে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপের মধ্যের এই অর্থনৈতিক করিডরকে বাস্তবে পরিণত করব। আমরা ভবিষ্যতের সুযোগের লক্ষ্যে এখন কাজ করছি।” এদিনের বৈঠকে ভারত (PM Modi) ও সৌদি একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সম্মত হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে ভারতে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন সৌদির যুবরাজ। সেই বিনিয়োগকে সঠিক দিশা দেখাতেই গঠিত হয়েছে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: পার্থর মতো স্কুল রয়েছে মানিকেরও! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি ইডির

    Manik Bhattacharya: পার্থর মতো স্কুল রয়েছে মানিকেরও! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্কুলের হদিশ মিলেছিল। এবার প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যেরও (Manik Bhattacharya) স্কুলের সন্ধান পেলেন ইডি আধিকারিকরা। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই দাবি করল ইডি। মানিককে আদালতে হাজির করানোর অনুমিতও চেয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। যদিও বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, আপাতত এর প্রয়োজন নেই। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে শুনানির সময় কোনও অভিযুক্তকে নিয়ে আসা হয় না।

    মানিকেরও স্কুলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে?

    আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, “আমরা একটা স্কুলের সন্ধান পেয়েছি। পার্থর মতো মানিকেরও স্কুলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।” মানিকের আইনজীবী অবশ্য জানান, যে স্কুলের কথা বলা হচ্ছে, সেটি সরকারি স্কুল এবং তা একশো বছরের পুরনো। মানিকের মালিকানাধীন কোনও বেসরকারি স্কুল নেই।

    নিয়োগ দুর্নীতির ‘কিংপিন’

    এর আগে মানিককে (Manik Bhattacharya) নিয়োগ দুর্নীতির ‘কিংপিন’ বলে আদালতে দাবি করেছিল ইডি। একাধিকবার জামিনের আবেদন জানানো হলেও, তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ইডির তদন্ত নিয়ে এদিনও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি ঘোষ। ইডির আইনজীবীর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, “দু সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে কী করেছেন?” ২৭ সেপ্টেম্বর হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে পিংলায় রয়েছে বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। খিরিন্দা মৌজায় সাড়ে তিন একর জমিতে ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটি রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, পার্থের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য তাঁর মামার কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে স্কুলটি করেছিলেন। পার্থ নিজেও দু’ বার গিয়েছিলেন স্কুলটিতে। ইডির দাবি, এরকম একটি স্কুল রয়েছে মানিকেরও।

    আরও পড়ুুন: ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে তলব পেয়ে ফাইল হাতে ইডি দফতরে নুসরত জাহান, কী তথ্য পেশ?

    এদিকে, এদিন বিচারপতি ঘোষের এজলাসে শুনানি হয়নি মানিক (Manik Bhattacharya) ও তাঁর ছেলে সৌভিকের জামিনের আবেদনের। অগাস্টে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে নিয়োগ মামলায় জামিন দেয় আদলত। তার পর থেকেই বিচারপতি ঘোষের এজলাসে জামিনের আবেদন করতে শুরু করেন নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্তরা। এই তালিকায় পার্থর পাশাপাশি রয়েছেন মানিক ও তাঁর পুত্র সৌভিকও। ২৭ সেপ্টেম্বর হবে এই মামলার শুনানি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue And Kiwi: বাজারে কিউই-র ব্যাপক চাহিদা! ডেঙ্গিতে কি সত্যিই কাজ দেয় এই ফল?

    Dengue And Kiwi: বাজারে কিউই-র ব্যাপক চাহিদা! ডেঙ্গিতে কি সত্যিই কাজ দেয় এই ফল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্য জুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গি। বর্ষার মরশুমে কয়েক গুণ বেড়েছে ডেঙ্গির দাপট। ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে দেখা দিচ্ছে নানা শারীরিক জটিলতা। সুস্থ হলেও ক্লান্তি আর দুর্বলতা গ্রাস করছে। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে অনেক সময় লাগছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে সঙ্গে থাকুক বিশেষ ফল (Dengue And Kiwi)। আর তাতেই এড়ানো যাবে বড় বিপদ।

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেখতে খানিকটা সবেদার মতো। কিন্তু কাটলেই সম্পূর্ণ আলাদা। মোটা বাদামি খোসা ছাড়ালেই হালকা সবুজ রং। আর কালো রঙের দানা! দাম বেশি হলেও বাজারে এখন দেদার পাওয়া যাচ্ছে কিউই। পুষ্টিবিদদরা জানাচ্ছেন, এই ফল (Dengue And Kiwi) নিয়মিত খেলেই একাধিক বিপদের সঙ্গে ডেঙ্গির মোকাবিলা করা সহজ হবে।

    কী উপকার আছে এই ফলে? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিউই নিয়মিত একটা খেলে শরীরের জন্য তা যথেষ্ট উপকারী। কিউই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। এই ফল নিয়মিত খেলে সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হয়। বিশেষত বর্ষা বা শীতের ঋতু পরিবর্তনের সময় এই ফল নিয়ম করে খেলে নানা ভাইরাসঘটিত রোগ এড়ানো যায়। কারণ, ভিটামিন সি শরীরে এই ধরনের রোগকে বাসা বাঁধতে দেয় না। তাই ডেঙ্গির মতো রোগে আক্রান্ত হলে নিয়মিত কিউই খেলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি হবে না। পাশাপাশি ভিটামিন সি-র জোগান অব্যাহত থাকলে যে কোনও বড় বিপদ এড়ানো সহজ হয়। 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিউই (Dengue And Kiwi) ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। দেহের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এই ফল বিশেষ সাহায্য করে। ডেঙ্গি হলে কিডনি, লিভার এবং চোখে একাধিক সমস্যা তৈরির আশঙ্কা থাকে। অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হলে ডেঙ্গি জটিলতা আরও বাড়িয়ে দেয়। এমনকি প্রাণনাশের আশঙ্কাও তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো জরুরি। তাই ডেঙ্গি হলে কিউই নিয়মিত খাওয়া জরুরি। যাতে অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। 

    কিউই ফলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ডেঙ্গি হলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি তৈরি হতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তের অনেক সময়ই একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই এই সময়ে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পর্যাপ্ত থাকা জরুরি। নিয়মিত একটা কিউই খেলে সেই চাহিদা পূরণ সম্ভব। 

    এর পাশপাশি, পুষ্টিবিদদরা জানাচ্ছেন, ফুসফুস থেকে জরায়ু, যে কোনও রকম ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই নিয়মিত কিউই খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পর্যাপ্ত থাকে। ফলে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। 

    তাছাড়া হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে কিউই ফল। এমনই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদরা। ডেঙ্গি আক্রান্তের হজমের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই কিউই সেই সমস্যা মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। পাশপাশি, যেহেতু কিউই হজম শক্তি বাড়ায়, তাই ডেঙ্গি আক্রান্তের খাবারের ইচ্ছে বজায় থাকে। দুর্বলতা কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য যা খুবই জরুরি।

    কীভাবে খাবেন কিউই? 

    পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে নিয়মিত একটা কিউই (Dengue And Kiwi) খাওয়া উচিত। তবে, অতিরিক্ত কোনও রকম নুন বা মশলা মেশানো হলে, গুণমান কমে যায় বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাই তাঁদের পরামর্শ, পরিষ্কার জলে ধুয়ে এই ফল খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। তবে ডেঙ্গি হলে অনেক সময়ই খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। তখন কিউই শুকিয়ে ড্রাই ফ্রুটসের মতো করে খাওয়া যেতে পারে বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কিউই কেটে গোলমরিচ মাখিয়ে রোদে শুকিয়ে রাখলে তার স্বাদ যেমন থাকে, তেমনি উপকারও এক রকম থাকে। তাই এভাবেও কিউই ফল রাখা যেতে পারে। এতে খাওয়ার ইচ্ছে বাড়ে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: চন্দ্রযান ৩-এর যা খরচ, মমতা তার ৫৭ শতাংশ বিলিয়ে দিচ্ছেন পুজো কমিটিগুলিকে!

    Durga Puja 2023: চন্দ্রযান ৩-এর যা খরচ, মমতা তার ৫৭ শতাংশ বিলিয়ে দিচ্ছেন পুজো কমিটিগুলিকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩ পাঠাতে কত টাকা খরচ হয়েছে, জানেন কি? তবে এটা জানলে অবাকই হবেন যে, চন্দ্রযান ৩ তৈরির যা বাজেট, তার ৫৭ শতাংশ মমতা বিলিয়েছেন পুজো কমিটিগুলিকে। দেশ যেখানে কম খরচে চাঁদে যান পাঠাচ্ছে, সেখানে রাজ্য সরকার এভাবে কোটি কোটি টাকা ডোল দিল স্রেফ ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে? বাজারে অন্তত এমনই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, প্রত্যেক দুর্গাপুজো কমিটিকে (Durga Puja 2023) দেওয়া হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা করে। ইসরো এত কম খরচে চাঁদে চন্দ্রযান ৩ পাঠাল, অথচ এই রাজ্যে সাধারণ মানুষের করের টাকা খরচ হচ্ছে পুজোর ক্লাবগুলির পিছনে। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, দুর্গাপুজো কেবল উৎসব নয়! প্রচুর বিনিয়োগ এবং ব্যবসার সুযোগ রয়েছে, তাই এই অনুদান। পাল্টা রাজ্যের অনুদান বিতরণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। তারা বলছে, ক্লাবের নামে তৃণমূলের চোরেদের টাকা দিচ্ছে সরকার। এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে রাজ্যে। বিরোধীদের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অর্থ সঙ্কটের কথা বলছেন। তাহলে এই টাকা আসছে কোথা থেকে?

    মোট কত অনুদান দেওয়া হচ্ছে (Durga Puja 2023)?

    রাজ্যের সব দুর্গাপুজো কমিটির জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ অনুদান ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই বছর প্রত্যেক দুর্গাপুজো কমিটিকে (Durga Puja 2023)  ১০ হাজার করে টাকা বৃদ্ধি করে, মোট অনুদান দেওয়া হবে ৭০ হাজার টাকা। অর্থ দফতরের হিসাব অনুযায়ী, কলকাতার ৪ হাজার সহ রাজ্যের মোট ৪০ হাজার পুজোর জন্য সরকারি কোষাগার থেকে এক কথায় বেরিয়ে যাবে ২৮০ কোটি টাকা। এছাড়া বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বাবদ ৭০ কোটি ধরলে সব মিলিয়ে খরচের পরিমাণ হবে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। উল্লেখ্য চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণে খরচ হয়েছিল ৬১৫ কোটি টাকা। আর রাজ্যের পুজো কমিটিকে অনুদানের পরিমাণ ৩৫০ কোটি টাকা! ফলে সব মিলিয়ে হিসাব দাঁড়াচ্ছে চন্দ্রযান তৈরি করতে যত টাকা খরচ হয়েছে, তার ৫৭ শতাংশ টাকা মুখ্যমন্ত্রী খরচ করছেন পুজোর ক্লাবগুলির জন্য। অথচ রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা মিলছে না। তাই একে কটাক্ষ করছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশও। যে টাকায় ভারতের চন্দ্রযান ৩ চাঁদে পৌঁছেছে, সেই টাকার একটা বড় অংশ খরচ হচ্ছে উন্নয়নের জন্য নয়, ক্লাবগুলির জন্য। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। এই বেলাগাম অনুদানে সরব হয়েছে বিজেপিও।

    তৃণমূলের চোরেদের পকেটেই টাকা দেওয়া হল!

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ইদ্রিশ আলির মতো মানুষরা ভারতের চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণ নিয়ে অবিবেচকের মতো মন্তব্য করেছেন। তাঁর কাছে চন্দ্রযান উৎক্ষেপণ মানে অর্থের অপচয় করা মাত্র। রাজ্য সরকার যে অর্থ অপচয় করে পুজো কমিটিগুলিকে দিতে চলেছে, তা তো সাধারণ মানুষের করের টাকা। রাজ্য সরকার এইভাবে সাধারণ মানুষের টাকা খরচ করতে পারে কি? রাজ্যে যেভাবে তৃণমূলের নেতারা টাকা চুরি করেছেন, এই পুজোর ক্লাবে অনুদান, কার্যত কিছু তৃণমূলের চোরেদের পকেটেই টাকা দেওয়ারই সমান। এছাড়াও বিজেপির কাউন্সিলার সজল ঘোষ বলেন, আমাদের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো (Durga Puja 2023) বেশ বড় পুজো। লাখ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম হয়। আমরা গত দুই বছর ধরে সরকারের এই অনুদান গ্রহণ করছি না।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nusrat Jahan: ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে তলব পেয়ে ফাইল হাতে ইডি দফতরে নুসরত জাহান, কী তথ্য পেশ?

    Nusrat Jahan: ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে তলব পেয়ে ফাইল হাতে ইডি দফতরে নুসরত জাহান, কী তথ্য পেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে ইডির মুখোমুখি তৃণমূল (TMC) নেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ সল্টলেকে ইডির দফতরে নথি হাতে পৌঁছন তৃণমূলের অভিনেত্রী-সাংসদ। এদিন ১১টায় তাঁকে তলব করেছিল ইডি। তৃণমূল নেত্রী এলেন মিনিট ১৫ আগেই।

    নুসরতকে কেন তলব?

    গড়িয়াহাটের রিয়েল এস্টেট সংস্থা ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডে’র বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে তারা ৫০০ জন প্রবীণ ব্যক্তির কাছ থেকে ২৪ কোটি টাকা তুলেছে। তার পর দীর্ঘ দিন কেটে গেলেও, ফ্ল্যাট দেওয়া হয়নি তাঁদের। দু’ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন তৃণমূল নেত্রী নুসরত (Nusrat Jahan)। ঘাসফুল চিহ্নে জয়ী হয়ে তিনি হয়েছেন সাংসদ। এই নুসরতের নামেই ইডির দফতরে অভিযোগ জানান প্রতারিতদের কয়েকজন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তলব করা হয় তৃণমূলের তারকা-নেত্রীকে।

    হাজিরা এড়িয়েছেন রাকেশ, কে তিনি?

    তৃণমূল নেত্রীর আগে তলব করা হয়েছিল ওই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর রাকেশ সিংহকেও। তবে শারীরিক অসুস্থতা ও নথি জোগাড়ে সময় চেয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন রাকেশ। মঙ্গলবার হাজির হয়েছেন নুসরত। বুধবার তলব করা হয়েছিল ওই সংস্থার আর এক ডিরেক্টর রূপলেখা মিত্রকেও। নথি জোগাড়ে সময় চেয়েছেন তিনিও। তৃণমূল নেত্রী নুসরতকে কী কী প্রশ্ন করা হবে, আগে থেকেই তা প্রস্তুত করে রেখেছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুুন: ‘কনভয়ের গতিবিধির ওপর নজরদারি করছে রাজ্য’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হবে ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডে’র সঙ্গে তিনি কীভাবে যুক্ত, সংস্থায় কোন কোন বিষয় দেখতেন তিনি। এর পাশাপাশি জানতে চাওয়া হবে সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে তিনি কি দায়িত্বে ছিলেন, ফ্ল্যাট তৈরির চুক্তি সংক্রান্ত তথ্য তাঁর জানা ছিল কিনা। নুসরত (Nusrat Jahan) এই প্রশ্নগুলির কী উত্তর দেন, তা দেখেই করা হবে পরবর্তী প্রশ্ন।

    এদিকে, সোমবারও আলিপুরের জজ কোর্টে হাজির হননি নুসরত। আর্থিক প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত নুসরতের এদিন আদালতে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। যদিও হাজিরা এড়িয়ে যান তৃণমূল নেত্রী। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৪ ডিসেম্বর। সেদিন তাঁকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

LinkedIn
Share