Tag: Bengali news

Bengali news

  • Krishna Nagar: কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে পড়ুয়ার মুখে সিগারেট গুঁজে র‍্যাগিং! পিস্তল নিয়ে হুমকি

    Krishna Nagar: কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে পড়ুয়ার মুখে সিগারেট গুঁজে র‍্যাগিং! পিস্তল নিয়ে হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংকাণ্ডে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। রহস্যজনকভাবে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল। এবার ঘটনাস্থল নদিয়ার কৃষ্ণনগর (Krishna Nagar)। সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের মুখে সিগারেট গুঁজে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল পাঁচ সিনিয়র ছাত্রের বিরুদ্ধে। এমনকী, ওই পাঁচ ছাত্রের একজনের বিরুদ্ধে পিস্তল নিয়ে জুনিয়র ছাত্রকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর স্কুলেও র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠায় উদ্বেগ বাড়ছে শিক্ষা জগতে। অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রকে বহিষ্কার করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল চলাকালীন স্কুলের শৌচাগারে নবম শ্রেণির এক ছাত্রের বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Krishna Nagar)

    বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরের মতো এবারও শিক্ষক দিবসের দিন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা নিচু ক্লাসের পড়ুয়াদের ক্লাস নিচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময় ওই পাঁচ পড়ুয়া জুনিয়র পড়ুয়াদের ধূমপান করতে এবং পোশাক খুলতে বাধ্য করে। অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রকে চিহ্নিত করে বহিষ্কার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার নবম শ্রেণির এক ছাত্র শৌচালয়ে গিয়ে দেখতে পায় এক সিনিয়র ছাত্রের কোমরে বন্দুক গোঁজা রয়েছে, তা দেখে ফেলায় ওই ছাত্র তার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আর দেরি করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। পর পর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন অভিভাবকরা। শুক্রবার তাঁরা কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ডেপুটেশন জমা দেন।

    কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক?

    কৃষ্ণনগর (Krishna Nagar) কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ বিশ্বাস বলেন, ‘এক ছাত্রের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভব্য আচরণের অভিযোগ পেয়েছি। সব মিলিয়ে পাঁচজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যতদিন না বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শেষ হবে,ততদিন অভিযুক্ত ছাত্রদের অভিভাবকদের তাদের স্কুলে পাঠাতে বারণ করা হয়েছে।’ গোটা ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রধান শিক্ষক। স্কুলে এমন ঘটনা ঘটায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্কুলের গেটে শুক্রবার রীতিমতো নোটিশ টাঙিয়ে ওই পাঁচ ছাত্রকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • G20 Summit: জি২০ সম্মেলনস্থলে বসল ২৭ ফুটের নটরাজ, মূর্তির বিশেষত্ব বর্ণনা প্রধানমন্ত্রীর

    G20 Summit: জি২০ সম্মেলনস্থলে বসল ২৭ ফুটের নটরাজ, মূর্তির বিশেষত্ব বর্ণনা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপমে শুরু হচ্ছে জি২০ সম্মেলন (G20 Summit)। শুক্রবার থেকেই বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতারা হাজির হতে শুরু করেছেন দিল্লিতে। ইতিমধ্যে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনকে ঘিরে সাজো সাজো রব গোটা রাজধানী জুড়ে। জানা গিয়েছে, জি২০ (G20 Summit) শীর্ষ সম্মেলনে অতিথিদের স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং তাঁদেরকে সম্মেলন স্থল পর্যন্ত নিয়ে আসবেন। এর পাশাপাশি অতিথিদের স্বাগত জানাতে ২৭ ফুটের দীর্ঘ নটরাজের মূর্তিও বসানো হয়েছে ঠিক ভারত মণ্ডপমের সামনে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই নটরাজের মূর্তির ছবিগুলি নিজের ট্যুইটার (অধুনা এক্স) হ্যান্ডেল থেকে শেয়ারও করেছেন।

    ভারত মণ্ডপমের সামনে বসেছে নটরাজের মূর্তি (G20 Summit)

    প্রসঙ্গত, নটরাজকে হিন্দু দেবতা শিবের একটি রূপ বলে বিবেচনা করা হয়। জানা গিয়েছে, বিশ্বের মধ্যে এটি সব থেকে লম্বা নটরাজের মূর্তি। এই মূর্তিকে ঘিরে রয়েছে ধর্ম, দর্শন, শিল্প সমেত বিজ্ঞানের সমন্বয় (G20 Summit)। সোনা, রুপো, কাঁচ তামা সহ আটটি ধাতু দিয়ে তৈরি হয়েছে এই মূর্তিটি। শুধুই মূর্তি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা। সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে ১০০ জন শিল্পী মিলে তৈরি করেছেন এই মুর্তিটি। যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘‘গোটা বিশ্ব যখন ভারতের দিকে তাকাবে আগামী তিন দিন এই মূর্তি ভারতের সোনার ঐতিহ্য ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে মূর্তমান হবে।’’ 

    চোখ ধাঁধানো সাজে সেজে উঠেছে ভারত মন্ডপম

    চোখ ধাঁধানো সাজে সেজে উঠেছে ভারত মণ্ডপম। সেখানে তৈরি হয়েছে কালচার করিডর জি২০ (G20 Summit) ডিজিটাল মিউজিয়াম। এখানে আগত রাষ্ট্রপ্রধানদের দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে। এর পাশাপাশি ৪ নম্বর এবং ১৪ নম্বর হলে ডিজিটাল ইন্ডিয়া এক্সপেরিয়েন্স জোন তৈরি করা হয়েছে, এখানে ভারতের প্রযুক্তিগত শক্তি ঠিক কতটা তা দেখতে পাবেন আগত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। গত ৯ বছরে মোদি সরকার ডিজিটাল ইন্ডিয়াতে যে সাফল্য পেয়েছেন সেই ইউপিআই, ই সঞ্জিবনী, দিক্ষা, ভাষিনী, ওএনডিসি ইত্যাদির কথা তুলে দরা হবে। ভারত মণ্ডপমের ৩ নম্বর হলে গেলে দেখা মিলবে ক্রাফট বাজারের এখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হস্তশিল্পকে তুলে ধরা হয়েছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G20 Summit: জি২০-র সাফল্য কামনায় গঙ্গাপুজো রাজ্যপালের, হাজির একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

    G20 Summit: জি২০-র সাফল্য কামনায় গঙ্গাপুজো রাজ্যপালের, হাজির একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে শুরু হচ্ছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন (G20 Summit)। এই সম্মেলনের সাফল্য কামনা করে কলকাতার গোয়ালিয়র ঘাটে গঙ্গা পুজো করতে দেখা গেল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। রাজ্যপালের সঙ্গে গঙ্গা পুজোয় হাজির ছিলেন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা। ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুভ্র কমল মুখোপাধ্যায়, যাদবপুরের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ সহ অন্যান্যরা।

    গঙ্গাপুজো করার পরে কী বললেন রাজ্যপাল?

    এদিন গঙ্গা পুজো করার পরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বলেন, ‘‘মহৎ কিছু করার আগে আমরা মা গঙ্গার আশীর্বাদ নিয়ে থাকি। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারত নিজের সেরাটাকে তুলে ধরতে সম্পূর্ণভাবে তৈরি রয়েছে। ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই সম্মেলন গোটা দেশ এবং বাংলার জন্য সফল হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ এর মাধ্যমেই তৈরি হবে নতুন ভারত, নতুন বাংলা। তাই আমাদের মা গঙ্গার আশীর্বাদ নিতে হবে, উন্নয়নের পথে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ঠিক যেভাবে বাধাহীন ভাবে মা গঙ্গা এগিয়ে চলেন।’’

    জি২০ শীর্ষ সম্মেলন ঘিরে সাজো সাজো রব 

    প্রসঙ্গত জি২০ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সাজা সাজে রব সারা দেশজুড়ে। আসবেন বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্র নেতারা। আজই পা রাখার কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। সম্মেলনে বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের খাবার পরিবেশন করা হবে সোনা-রুপোর পাত্রে। প্রায় ৩০টি দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি হাজির থাকবেন এই সম্মেলনে। প্রত্যেক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে ১৫০ থেকে ২০০ জনের প্রতিনিধি দলেরও অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। পাশাপাশি থাকবেন রাষ্ট্রনেতাদের নিরাপত্তা রক্ষীরাও। সবমিলিয়ে দশ হাজার প্রতিনিধির অংশগ্রহণে হতে চলেছে এই সম্মেলন। জি২০ (G20 Summit) শীর্ষ সম্মেলন শেষে বৃক্ষরোপণ করার কথা রয়েছে রাষ্ট্রনেতাদের। মার্কিন প্রসিডেন্ট জো বাইডেন রোপণ করবেন জারুল গাছের চারা। এই আবহে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য কামনা করে রাজ্যপালের গঙ্গাপুজো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G20 Summit: জি২০ শীর্ষ সম্মেলন শেষে বৃক্ষরোপণ রাষ্ট্রনেতাদের, কোন চারাগাছ রোপণ করবেন বাইডেন?

    G20 Summit: জি২০ শীর্ষ সম্মেলন শেষে বৃক্ষরোপণ রাষ্ট্রনেতাদের, কোন চারাগাছ রোপণ করবেন বাইডেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ুর পরিবর্তন জি২০ গোষ্ঠীর (G20 Summit) অন্যতম অ্যাজেন্ডা। সেই থিমকে মাথায় রেখে এবার ভারতে এসে বৃক্ষরোপণ করতে দেখা যাবে বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতাদের। জানা গিয়েছে বৃক্ষরোপণ করার তালিকায় নাম রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ সহ অন্যান্য রাষ্ট্র নেতাদের। শনিবারই শুরু হচ্ছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। তা চলবে রবিবার পর্যন্ত। দিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মণ্ডপমে জি২০ বৈঠক (G20 Summit) শেষ হওয়ার পরেই এই বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এখনও পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির স্থান হিসেবে কোনও নাম সংবাদমাধ্যমে আসেনি। এর কারণ হিসেবে নিরাপত্তাজনিত কারণ রয়েছে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    কোন দেশ থেকে কী কী গাছ এল?

    জানা গিয়েছে, চারা গাছগুলি আসছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, ইতালি, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, চিন, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা হচ্ছে চারা গাছগুলি।  ইতালি ও তুরস্ক থেকে আনা হয়েছে অলিভ গাছের চারা। বাংলাদেশ থেকে এসেছে আম গাছের চারা। সৌদি আরব থেকে এসেছে তাল গাছের চারা। আবার ভারতের কাশ্মীর থেকে এসেছে চিনার গাছের চারা। সৌদি আরব থেকে কতগুলো খেজুর গাছও নিয়ে আসা হয়েছে। আবার জার্মানি থেকে এসেছে উইন্টারলিন্ড গাছ। বেশ কিছু দেশকে এমনও দেখা যাচ্ছে যারা জি২০-র (G20 Summit) সদস্য নয় কিন্তু তারাও গাছের চারা পাঠিয়েছে। এই দেশগুলি হল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ওমান, মরিশাস, বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, মিশর এবং স্পেন।

    কে কোন গাছের চারা রোপণ করবেন?

    কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ রোপণ করবেন চিনার কাছে চারা, জানা গিয়েছে কাশ্মীর থেকে আনা হয়েছে এই গাছ। অন্যদিকে পুতিনের অনুপস্থিতিতে এই বৈঠকের যোগ দেওয়ার কথা রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রীর। তিনিও চিনার গাছের চারা রোপণ করবেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোপণ করবেন জারুল গাছের চারা, বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে রোপণ করতে দেখা যাবে উইলো গাছের চারা (G20 Summit)। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর রোপণ করবেন অর্জুন গাছের চারা। জানা গিয়েছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মস্তিষ্কপ্রসূত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G20 Summit: বাংলাদেশের পাশে থাকার বার্তা! নিজ বাসভবনেই হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    G20 Summit: বাংলাদেশের পাশে থাকার বার্তা! নিজ বাসভবনেই হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহের শুক্রবার বিকালে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রসঙ্গত আসন্ন জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G20 Summit) যোগ দিতে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক হবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ৭ লোক কল্যাণ মার্গে। সাধারণভাবে যে কোনও রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার রীতি রয়েছে হায়দরাবাদ হাউস অথবা সাউথ ব্লকে। কিন্তু সেই প্রথা ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি। 

    তিনদিনের ভারত সফরে শেখ হাসিনা

    বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তিন দিনের ভারত সফরে শুক্রবার দিল্লিতে পৌঁছবেন শেখ হাসিনা (G20 Summit)। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বিকাল সাড়ে পাঁচটায়। তবে মোদি-হাসিনার এই বৈঠকে নতুন কোনও চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বেশ কয়েকটি চুক্তি নিয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হতে পারে। যার মধ্যে একটি ভারত-বাংলাদেশের রেল প্রকল্প। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এবার উদ্বোধনের পালা। শোনা যাচ্ছে, চলতি মাসেই সেই উদ্বোধন হবে। প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে ব্রিকস সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়, সদস্য দেশ না হলেও সেখানে অতিথি হিসেবে হাজির ছিল বাংলাদেশ। ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় শেখ হাসিনার। অগাস্টের পর আবার সেপ্টেম্বের মুখোমুখি হতে চলেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

    অতিথি দেশ হিসেবেই জি২০ সম্মেলনে হাজির থাকবে বাংলাদেশ

    প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল থেকেই শুরু হতে চলেছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন (G20 Summit)। জি২০ গোষ্ঠীর মধ্যে বাংলাদেশ না থাকলেও অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছে এবং সেই সুবাদেই ভারতে আসবেন শেখ হাসিনা। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে, সদস্য দেশ ছাড়া বাংলাদেশে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া, আর্জেন্টিনা এবং সৌদি আরবের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ASEAN-India summit: ‘‘একুশের শতক এশিয়ার শতক’’! আসিয়ান-ইন্ডিয়া সামিটে কী বললেন মোদি?

    ASEAN-India summit: ‘‘একুশের শতক এশিয়ার শতক’’! আসিয়ান-ইন্ডিয়া সামিটে কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পূর্ব এশিয়ার ‘কণ্ঠস্বর’ জোরালো করার আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ভারত-আসিয়ান শীর্ষবৈঠকে যোগ দিয়ে মোদি বলেন, ‘‘একবিংশ শতক এশিয়ার শতক। অতিমারি পরিস্থিতিতেও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে আমরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি।’’

    ইন্দোনেশিয়ায় মোদি

    আসিয়ান-ইন্ডিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার ভোরবেলা ইন্দোনেশিয়ায় পা রাখেন মোদি। সেখানে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসিয়ান সামিটে সহ-সভাপতিত্ব করা ভারতের জন্য গর্বের এবং সম্মানের। এই সম্মেলন ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি সংক্রান্ত নীতি বা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আমাদের এই সহযোগিতার চার দশক পূর্ণ হয়েছে। গত বছর আমরা ভারত-আসিয়ান বন্ধুত্ব উদযাপন করেছি। এই সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।”

    এদিন বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পৌঁছলে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান জাকার্তার প্রবাসী ভারতীয়রা। চারিদিক ‘মোদি মোদি’, ‘বন্দেমাতরম’ স্লোগানে কেঁপে ওঠে।  

    কী বললেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিষয়ে আসিয়ানের দৃষ্টিভঙ্গিকে ভারত সমর্থন করে। শুধুমাত্র আর্থিক এবং বাণিজ্যিক লেনদেনের মধ্যে আসিয়ানকে সীমাবন্ধ না রেখে আসিয়ানকে বিশ্বের উন্নয়নে বৃহত্তর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

    পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের গোষ্ঠী আসিয়ান এবং ভারতের বার্তালাপের পাশাপাশি, জাকার্তায় হবে পূর্ব এশিয়ান সম্মেলন। সেখানে আমন্ত্রিত দেশ হিসাবে থাকবেন চিন, আমেরিকা, জাপানের প্রতিনিধিরাও। তবে সময়ের স্বল্পতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোনও দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠক করবেন না।

    শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রী তার আগেই দেশে ফিরবেন। তাই তাঁর অনুরোধেই সন্ধ্যায় নির্ধারিত পূর্ব এশিয়ান সম্মেলনকে দুপুরে এগিয়ে আনা হয়েছে বলে সাউথ ব্লক সূত্রের খবর।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G20 Summit: রাষ্ট্রনেতাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ‘ভারত মণ্ডপম’, খাবার পরিবেশন সোনার থালায়

    G20 Summit: রাষ্ট্রনেতাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ‘ভারত মণ্ডপম’, খাবার পরিবেশন সোনার থালায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান। তারপরেই ভারতের মাটিতে পা রাখবেন বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্র নেতারা। দিল্লির প্রগতি ময়দানে বসতে চলেছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন (G20 Summit)। ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ৮ সেপ্টেম্বর থেকেই বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা উপস্থিত হতে শুরু করবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রত্যেক রাষ্ট্রনেতাকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পাশাপাশি শনিবারে আগত রাষ্ট্রনেতাদের সম্মানে বিশেষ মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে খুঁটিনাটি

    জানা গিয়েছে, জি২০ শীর্ষ সম্মেলন (G20 Summit) যেদিন শুরু হবে অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ন’টার মধ্যেই সম্মেলন স্থলে হাজির হয়ে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিমধ্যেই সম্মেলন স্থলকে নানাভাবে সাজানো হয়েছে। যার ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। জি২০ শীর্ষ সম্মেলন স্থলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত মণ্ডপম’। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত মণ্ডপমে আসা রাষ্ট্রনেতাদের গাড়ি থেকে নামার সময় তাঁদের স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলন স্থল পর্যন্ত তাঁদের তিনি নিয়ে আসবেন। সূত্রের খবর, অনুযায়ী জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G20 Summit) হাজির থাকছেন প্রায় ৪০ জন রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী। যে সমস্ত দেশগুলিতে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি আসতে পারছেন না সেই দেশগুলির বিদেশ মন্ত্রীরা হাজির থাকবেন প্রতিনিধি হিসেবে। প্রতিটি রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রতিনিধি দলে থাকবেন ১৫০-২০০ থেকে সদস্য। এর পাশাপাশি থাকছে নিরাপত্তারক্ষী। সবমিলিয়ে শনিবার ও রবিবার ভারত মণ্ডপমে ১০ হাজার প্রতিনিধি জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে যে সমস্ত অতিথিরা আসবেন তাঁদের জন্য থাকছে ভিউয়িং রুম। এখানে বসেই সরাসরি জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সম্প্রচার দেখতে পাবেন অতিথিরা। এর পাশাপাশি একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির। প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, প্রগতি ময়দানে ২০টি মিটিং রুমও তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য।

    সোনা-রুপোর থালা বাটিতে খাবার পরিবেশন

    জি২০ শীর্ষ সম্মেলনকে (G20 Summit) কেন্দ্র করে সাজসাজো রব দিল্লির প্রগতি ময়দানে। আলোর মালা এবং বিভিন্ন ডেকোরেশনে ইতিমধ্যে সেজে উঠেছে ভারত মণ্ডপম। জানা গিয়েছে, আগত অতিথিদের কোনও ত্রুটি রাখতে চায় না কেন্দ্রীয় সরকার। তার জন্য একদম রাজকীয়ভাবে খাবার পরিবেশন করা হবে। অতিথিদের সোনা এবং রুপোর পাত্রে খাবার পরিবেশন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই খাবার পরিবেশনের রীতিতে দেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য ঝলক গোটা দুনিয়া দেখবে। প্রতিটি খাবার পাত্রেই রয়েছে কারুকার্য। মোট দু’শো জন কারিগর এই খাবার পাত্র তৈরিতে অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। কর্নাটক, বাংলা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যের কারিগরের পাত্রগুলি তৈরি করেছেন। বিশেষ ধরনের ডিনার সেটও তৈরি হয়েছে এবং লবণ রাখার ট্রেতে থাকছে অশোক চক্রের ছবি। রুপোর পাত্র ছাড়াও ডিনার সেটে থাকছে সোনার প্রলেপ দেওয়া বাটি এবং চামচ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shah Rukh Khan: ভোর ৫টার শো হাউসফুল! ‘জওয়ান’ শাহরুখে বুঁদ নিউটাউনের প্রেক্ষাগৃহ

    Shah Rukh Khan: ভোর ৫টার শো হাউসফুল! ‘জওয়ান’ শাহরুখে বুঁদ নিউটাউনের প্রেক্ষাগৃহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোরবেলায় কখনও কোনও সিনেমা হলের সামনে গিয়েছেন? গেলে দেখতে পাবেন, গোটা চত্বর ফাঁকা। আশপাশের চায়ের দোকানে হয়তো জনাকয়েক লোকজনকে দেখতে পাবেন। তবে, বৃহস্পতিবার সাতসকালে নিউটাউনের একটি মাল্টিপ্লেক্সের সামনে যা দেখা গেল, তা অবাক হওয়ার মতোই ঘটনা। তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। বৃষ্টি ভেজা শহরের রাস্তা প্রায় খালি। ঘড়ির কাঁটা বলছে সওয়া চারটে। বৃষ্টি পড়ছে। কিন্তু নিউটাউনের ওই মাল্টিপ্লেক্সের সামনে পৌঁছে দেখা গেল চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। হলের সামনে থিক থিক করছে ভিড়। তাঁদের মুখে একটাই স্লোগান- ‘শাহরুখ! শাহরুখ!’ (Shah Rukh Khan)

    “জওয়ান” ঘিরে প্রেক্ষাগৃহে ভক্তদের উন্মাদনা তুঙ্গে

    ৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে মুক্তি পেল শাহরুখের নতুন ছবি ‘জওয়ান’। ‘জওয়ান’-এর অগ্রিম বুকিং শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রথম কয়েক দিনের শো-এর টিকিট বিক্রি প্রায় শেষের দিকে। পরিসংখ্যানের দিক থেকে তা ‘পাঠান’ এর অগ্রিম টিকিট বিক্রিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। নিউটাউনের মিরাজ সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় ‘জওয়ান’-এর শোয়ের ব্যবস্থা করেছে।  প্রথম দিনে এখনও পর্যন্ত কলকাতায় এই প্রেক্ষাগৃহে সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। প্রেক্ষাগৃহে কান পাতা দায়। দর্শকদের চিৎকারে ভোরের প্রেক্ষাগৃহে তখন অন্য ছোঁয়া। ‘জিন্দা বান্দা’ গানে একাংশ আসন ছেড়ে উঠে পা মেলালেন। নয়নতারাকে দেখে যেমন হাততালি পড়ল, বিজয় সেতুপতিও সেখানে কোনও অংশে কম নন। দীপিকা পাড়ুকোনের এন্ট্রিতেও দর্শকরা একই রকম পাগলামো করলেন। বড় পর্দায় সিনেমার যে কোনও বিকল্প নেই, সেটাই প্রমাণ করল দর্শকদের বাঁধ ভাঙা আবেগ।

    সাতসকালে সিনেমা দেখতে আসা নিয়ে শাহরুখ (Shah Rukh khan) ভক্তরা কী বললেন?

    ‘পাঠান’ মুক্তির পর আরও এক বার এই ভিড় প্রমাণ করল, শাহরুখের (Shah Rukh Khan) প্রতি শহর কলকাতার নিঃশর্ত ভালবাসা এবং সমর্থনকে। ছবি শুরুর আগে প্রেক্ষাগৃহের বাইরে দেখা গেল, দর্শকদের মধ্যে কারও চোখে ঘুমের রেশ কাটেনি। কেউ আবার আগেভাগে নিজের টিকিট দেখে নিতে ব্যস্ত। তবে সকলের মুখেই হাসির রেখা। সেটাই তো স্বাভাবিক। আগামী ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট যে জগতে তাঁরা প্রবেশ করবেন, সেখানে তো শুধুই অনুরাগী এবং তাঁর আবেগের জয়গান। কলকাতায় ‘পাঠান’-এর প্রথম শো ছিল সকল ৬ টা ৪৫ মিনিটে। ভক্তের ‘ঈশ্বর’ দর্শনের সময় এ বার এগিয়ে এসেছে প্রায় ২ ঘণ্টা। গড়িয়া থেকে আসা এক অনুরাগী বললেন, “এটা কোনও সমস্যাই নয়। মাঝ রাতে শো থাকলে আরও ভাল হত। প্রয়োজনে সারা রাত এখানেই থাকতাম। কিন্তু শারুখকে সবার আগে পর্দায় দেখতে চাই।” হাওড়া থেকে আসা এক অনুরাগী জানালেন, প্রথম দিনেই তাঁর দু’বার ‘জওয়ান’ দেখার পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু সাধারণ সিনেপ্রেমীরা নন, কাক ভোরে শাহরুখ দর্শনের সাক্ষী হতে প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত হয়েছিলেন তারকাদের একাংশও।

    ভক্তদের সঙ্গে রাত জাগলেন শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)

    বৃহস্পতিবার ভক্তদের মতো রাত জাগলেন শাহরুখ খান। তিনি লিখলেন, “তোমাদের অনেক ভালবাসা। আশা করব তোমরা আনন্দ পাবে। সারা রাত জেগেছিলাম তোমাদের প্রেক্ষাগৃহে যেতে দেখব বলে।”

    রায়গঞ্জ শহরে শাহরুখ ভক্তদের ভিড়

    রায়গঞ্জ মাল্টিপ্লেক্সে এদিন সকাল থেকেই শাহরুখ (Shah Rukh Khan) ভক্তরা ভিড় করেন। জওয়ান সিনেমা দেখতে ভোর বেলায় রায়গঞ্জ শহর ছা়ড়াও আশপাশের গ্রাম থেকে ভক্তরা হলে ভিড় করেন। প্রথম শো-ই হাউস ফুল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: “আমার মিশন হল সমগ্র দেশের উন্নয়ন”, সাক্ষাৎকারে বললেন মোদি

    PM Narendra Modi: “আমার মিশন হল সমগ্র দেশের উন্নয়ন”, সাক্ষাৎকারে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিন পরেই দিল্লিতে বসছে জি২০ সম্মেলন। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) সাক্ষাৎকার দিলেন ‘মানি কন্ট্রোল’-কে। বর্তমান পৃথিবীতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ভারতের অবস্থান এবং ভূমিকা ঠিক কী হতে চলেছে, এ বিষয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ‘মানি কন্ট্রোল’কে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হল।

    প্রশ্ন: জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারত সভাপতিত্ব করছে, এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর (PM Narendra Modi): যদি আপনারা জি২০ সম্মেলনের দিকে লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন আমাদের মোটো রয়েছে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। যার অর্থ ‘‘এক পৃথিবী, এক পরিবার এবং এক ভবিষ্যৎ’’। আমাদের কাছে সমস্ত পৃথিবী হল একটা পরিবারের মতো। যেখানে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে অন্য সদস্যের উপর। যখন আমরা একসঙ্গে কাজ করি তখন আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাই। গত ৯ বছর ধরে আমরা সাক্ষী থেকেছি ‘‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস’’ এই নীতির। এটাই হল আমাদের বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের উপাদান।

    সবকা সাথ: সমগ্র পৃথিবী একসঙ্গে থেকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা।

    সবকা বিকাশ: পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলে মানব উন্নয়নের কাজ করা।

    সবকা বিশ্বাস: প্রত্যেকের বিশ্বাসকে জিতে নেওয়া।

    সবকা প্রয়াস: প্রতিটি দেশের যে সমস্ত কিছু শক্তি এবং রসদ আছে, তার ভরপুর প্রয়োগ করা।

    প্রশ্ন: বর্তমানে আপনি (PM Narendra Modi) বিশ্ব নেতাদের সম্মেলন করছেন, যখন সারা পৃথিবী একটি ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এমন অস্থির-পরিস্থিতি আর দেখা যায়নি। এই আবহে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের থিম রাখা হয়েছে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’, ‘‘এক পৃথিবী এক পরিবার এবং এক ভবিষ্যৎ।’’ এ বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের প্রতিক্রিয়া ঠিক কী? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: বিগত কয়েক বছরে সারা পৃথিবী সাক্ষী থেকেছে ভারতবর্ষের উন্নয়নের। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই উন্নয়ন হয়েছে। আমরা অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধশালী হয়েছি, আমাদের ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের সংস্কার হয়েছে। সামাজিকভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা এগিয়েছি। ডিজিটাল, ফিনান্সিয়াল সহ আরও অনেক দিকে ভারতের উন্নতি যথেষ্ট সদর্থক। বিদ্যুৎ, হাউসিং সমেত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত উন্নতির শিখর ছুঁয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং সংস্থা ভারতের এই বিকাশকে স্বাগত জানিয়েছে। সারা বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীরা ভারতবর্ষকে তাঁদের অন্যতম পছন্দের জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

    যখন বিশ্বব্যাপী মহামারি ছড়িয়ে পড়ল, তখন সবার একটা কৌতূহল ছিল যে ভারত কীভাবে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে! আমরা অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে পেরেছি। ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষদেরকেও এই সুবিধা আমরা দিয়েছি। আমাদের ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার আমাদের সাহায্য করেছে সরাসরি উন্নয়নকে ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে। আমরা ২০০ কোটিরও বেশি করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ বিনামূল্যে দিতে পেরেছি। আমরা ১৫০-এরও বেশি দেশে করোনার ভ্যাকসিন এবং ওষুধ সরবরাহ করতে পেরেছি। এটা আমাদের মানবকেন্দ্রিক বিকাশ নীতির কারণেই সম্ভব হয়েছে।

    এরই মাঝে বিগত ৯ বছর ধরে সারা পৃথিবী সাক্ষী থেকেছে, অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার এবং বিপর্যয় মোকাবিলার পরিকাঠামো তৈরিতে ভারত ঠিক কতটা এগিয়েছে। সারা বিশ্বের মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাসের জায়গা করে নিতে পেরেছে আমাদের দেশ। সে কারণেই আমরা জি২০ এর মতো শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করতে পেরেছি। জি২০ বিষয়ে যখন আমরা আমাদের অ্যাজেন্ডা প্রকাশ করি, বিশ্বব্যাপী তা গ্রহণ করা হয় এবং প্রশংসিত হয়। তার কারণ পৃথিবীর বিভিন্ন ইস্যুতে সমস্যার সমাধান করতে আমরা সক্ষম, যা সকলেই জানে। বর্তমান জি২০ সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে আমরা লঞ্চ করব বায়োফুয়েল-অ্যালায়েন্স। এর ফলে পরিবেশ বান্ধব শক্তির ব্যবহার যেমন বাড়বে বিভিন্ন দেশগুলির মধ্যে, তেমনই খরচ কমবে জ্বালানির।

    প্রশ্ন: আপনি (PM Narendra Modi) ব্যাখ্যা করেছেন যে ভারতের সভাপতিত্বে জি২০ সম্মেলন আসলে জনগণের সভাপতিত্ব। শুধু একটি বা দু’টি শহরে নয়, জি২০ এর ইভেন্টগুলি অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের বিভিন্ন শহরে। কেন নিলেন এমন সিদ্ধান্ত?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: অনেক মানুষই আমার জীবন সম্পর্কে পুরোটা জানেন। আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে, অনেক দশক ধরেই সাংগঠনিক কাজ করতাম রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক ক্ষেত্রে। সেই হিসেবে আমাকে জেলায় জেলায় সফর করতে হতো। ভারতবর্ষের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই আমার সফর করার সৌভাগ্য হয়েছে। এই সময়কালের মধ্যে আমি অনেক কিছু শিখেছি, ভারতের বৈচিত্র, বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের সংস্কৃতি, তাদের সমস্যা এবং আরও বিভিন্ন দিক সম্পর্কে। যা আমার কাছে একটা অনন্য অভিজ্ঞতা। এই এত বৈচিত্রতার মধ্যেও আমি লক্ষ্য করেছি যে আমাদের মধ্যে একটা সাধারণ বিষয় আছে এবং সেটা হল ‘হ্যাঁ পারব’ ‘আমরা পারব’। ক্ষমতার বৃত্তে থেকে সর্বপ্রথম ভাবা গিয়েছে দিল্লির বাইরেও কিছু করার কথা।

    আমরা (PM Narendra Modi) আরও দেখেছি যে পৃথিবীব্যাপী নেতারা শুধুমাত্র রাজধানীতে অথবা দু-একটি নির্বাচিত শহরে আসতেন। এবারে দেশের প্রায় কম বেশি গুরুত্বপূর্ণ সব শহরেই অনুষ্ঠিত হয়েছে জি২০ সম্মেলন। যার ফলে বিশ্বের নেতারা ভারতের বৈচিত্র নিজের চোখে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। এই যেমন ধরুন তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল তিনি বেঙ্গালুরুতে সফর করেছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বারাণসীতে সফর করেছেন। পর্তুগিজের রাষ্ট্রনেতারা গোয়া এবং মুম্বইতে সফর করেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শান্তিনিকেতনের সফর করেছেন। দিল্লির বাইরেও বিভিন্ন জায়গাতে সফর করার সুযোগ পেয়েছেন বিশেষ তাবড় রাষ্ট্রনেতারা। জি২০ সম্মেলনে ২২০টি মিটিং হয়েছে দেশের ৬০টি শহরে, ২৮টি রাজ্যে এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। এক লাখেরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন ১২৫টি দেশ থেকে। আমাদের দেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষ কোনও না কোনও ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন এই অনুষ্ঠানগুলোকে সফল করার জন্য।

    প্রশ্ন: জি২০ গঠন করা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, এশিয়ার অর্থনৈতিক সংকটকে সামলানোর জন্য। ঘটনা হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে অসংখ্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, কিন্তু সেগুলি তাদের উদ্দেশ্য পূরণে সেভাবে সফল হয়নি। আপনি (PM Narendra Modi) কি মনে করেন জি২০ তাদের উদ্দেশ্য পূরণে সফল হবে? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: আমি মনে করি এটা আমার বিষয় নয়। কিন্তু আমি মনে করি এটা একটা ভালো প্রশ্ন। সম্প্রতি, জি২০, ২৫ বছরে পদার্পণ করতে চলেছে। এই সময়ের মধ্যে অবশ্যই দেখতে হবে জি২০ কতটা উদ্দেশ্য পূরণ করতে পেরেছে! জি২০ প্রসঙ্গে বলতে গেলে এটা বলা যায় যে বিভিন্ন দেশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন, ধারাবাহিকভাবে জি২০ এর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের মতো করে তথ্য আদান-প্রদান করছে। বিভিন্ন পরিকল্পনা নিচ্ছে। আমাদের দেশ ভারতও এই অ্যাকটিভ ফোরামের অংশ। সন্ত্রাসবাদ থেকে কালো টাকা, জলবায়ু থেকে সার্বিক উন্নয়ন-এই সমস্ত বিষয়েই আলোচনা হয়েছে এবং পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।

    প্রশ্ন: পৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন শক্তির বিচ্ছিন্নতা নজরে পড়ছে। যেমন একদিকে চিনের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে জোট, অন্যদিকে আমেরিকার নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে অন্য আরেকটি জোট। অন্যদিকে ভারত ‘মাল্টি পোলার’ পৃথিবীর পক্ষে সওয়াল করছে। এ বিষয়ে আপনার (PM Narendra Modi) কী বক্তব্য?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: আমরা এমন একটা পৃথিবীতে বাস করছি যেখানে প্রত্যেকেই প্রত্যেকের উপর নির্ভরশীল। এই সময়ে মধ্যে এটাও বাস্তব যে প্রত্যেক দেশই তার নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে। তাই এই আবহে সচেতনতা বাড়াতে হবে আমাদের, প্রত্যেকের সাধারণ উদ্দেশ্যটা ঠিক কী। বর্তমানে পৃথিবীতে অনেকগুলি শক্তি অবস্থান করছে। প্রত্যেকেই অন্য দেশের একাধিক ইস্যুতে সম্মত হচ্ছে। আবার বিরুদ্ধ মতও পোষণ করছে। এই বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিজ দেশের স্বার্থকে তুলে ধরতে হবে আমাদের। বহু দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে যারা বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, আবার বিরোধিতাও করেছে।

    প্রশ্ন: বহুমুখী সংস্কারের ক্ষেত্রে আপনার নীতি ঠিক কী?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: কোনও প্রতিষ্ঠানে কখনও সংস্কার হতে পারে না, যদি তা পৃথিবীর কোনও নিয়মকে লঙ্ঘন করে। আমরা প্রতিষ্ঠানিক সংস্কারের কথা বলি। এর বাইরেও বহুমাত্রিক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে উন্নয়নকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য, সামাজিকভাবে অগ্রগতির জন্য সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হওয়ার জন্য এবং সভ্যতার অগ্রগতির জন্য যে কোনও ক্ষেত্রে সংস্কার খুবই প্রয়োজন। এটা তখনই সম্ভব যখন গণতান্ত্রিকভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিটি দেশের সঙ্গে প্রতিটি দেশের একটি সম্পর্ক তৈরি হবে। সারা পৃথিবীর মানুষের মধ্যে যোগাযোগের সেতু তৈরি হলেই এটা সম্ভব। এক দেশের মানুষের সঙ্গে অপর দেশের মানুষের যোগাযোগ বাড়বে বাণিজ্য এবং পর্যটনের মাধ্যমে, বিজ্ঞান এবং ক্রীড়ার মাধ্যমে, সংস্কৃতি এবং বাণিজ্যের মাধ্যমে।

    প্রশ্ন: সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের আজ সুসম্পর্ক রয়েছে।  আপনার (PM Narendra Modi) কি মনে হয় যে জি২০ তে ভারতবর্ষ বর্তমানে সকল দেশের বিশ্বস্ত কণ্ঠস্বর? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: বিগত কয়েক দশকের একটি অস্থিরতার পরে ২০১৪ সালে ভারতের জনগণ একটি স্থায়ী সরকারকে নির্বাচিত করেছেন। যে সরকারের অ্যাজেন্ডা শুধুই সারা ভারতের অগ্রগতি এবং বিকাশ। এই সংস্কারগুলি সম্ভব হয়েছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, শিক্ষার ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এবং সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে। যখনই কোনও দেশ আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে তখনই তারা বুঝেছে যে ভারত একটি বিশ্বস্ত বন্ধু। সেই সমস্ত দেশগুলির নিজেদেরও নানা সমস্যার মোকাবিলা এবং সংস্কারের জন্য ভারতকে দরকার পড়ছে। এইভাবেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।

    প্রশ্ন: জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে উন্নত দেশগুলি তাদের প্রতিশ্রুতি রাখেনি, উপরন্তু দেখা যাচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রে তারা অর্থ ব্যয় করেই চলেছে। এবিষয়ে জি২০ সম্মেলনে বিশ্বের ধনী দেশগুলি সম্পর্কে আপনার (PM Narendra Modi) বার্তা ঠিক কী?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: আমার মনে হয় আমাদের সকলকে বুঝতে হবে যে সারা পৃথিবীতে উন্নয়নশীল দেশ এবং উন্নত দেশ রয়েছে। শুধুমাত্র জলবায়ুর পরিবর্তন কোনও অঞ্চলের সমস্যা নয়, এটা সারা পৃথিবীব্যাপী সমস্যা। আমাদের এটা বুঝতে হবে যে এই পৃথিবীতে গরিব দেশগুলির সাহায্য দরকার। বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্য়াকে যা বিপদে ফেলবে তা অবশ্যই সারা বিশ্বের সমস্যা-এটা আমাদের বুঝতে হবে। পাশাপাশি আমাদের নীতি এবং কৌশলেও পরিবর্তন করতে হবে। পারস্পরিক দোষারোপ, সমালোচনা এগুলি আমাদের যেন লক্ষ্য না হয়। পরিবর্তে আমাদের সম্পূর্ণ ফোকাস করতে হবে কৃষি সমেত শক্তিক্ষেত্র এবং জীবনযাত্রার মানের ওপর।

    প্রশ্ন: আপনি (PM Narendra Modi) অপ্রচলিত শক্তির ক্ষেত্রে সর্বদাই সওয়াল করেন। অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহারের বিষয়ে জি-২০ এর সদস্য দেশগুলির কী করা উচিত? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: আমি আপনাদেরকে বলে দিতে চাই, ২০২৩ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ আমাদের শক্তি আসবে নন ফসিলস্ জ্বালানির উৎস থেকে। সরকার এখন নজর দিচ্ছে ইলেকট্রিক যানবাহন শিল্পের উপর এবং এতে এখন সফলতাও দেখা গিয়েছে। মানুষ ভাল রকমের প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে। কারণ এটি একটি বিকল্প শক্তির উৎস। গত ৯ বছরে মোদি সরকারের নানা প্রকল্পের ফলে নিরাপদ স্যানিটেশন, ব্যবস্থা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স বর্তমানে একটি মন্ত্র নিয়েছে তা হল, ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড ওয়ান সান ওয়ান গ্রিড’। বিশ্বের ১০০টি দেশে এই প্রকল্পের কাজ চলছে। ভারতবর্ষ এমন একটি দেশ যা দেশের মানুষের জীবন শৈলী এবং পরিবেশকে পাশাপাশি সমান দৃষ্টিতে দেখছে। বিশ্বব্যাপী আমাদের প্রতিটি ক্রিয়াকলাপ করা উচিত যাতে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হয়। তাই যা প্রকৃতি, পরিবেশকে ধ্বংস করবে এগুলো থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। আমি মনে করি স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন একজন মানুষ সদা তাঁর স্বাস্থ্যের প্রতি যেমন দৃষ্টি রাখেন, তেমনি আমাদেরও নিজেদের গ্রহের প্রতি সদা দৃষ্টি রাখা দরকার। ভারতের নীতি হল প্রকৃতি বান্ধব। যে কোনও অঞ্চলের অধিবাসীদের দেখলেই তা বোঝা যায়।

    প্রশ্ন: বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের সুবিধার্থে জি২০ এর ছাতার তলায় ভারতের ভূমিকা ঠিক কী? 

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) উত্তর:  ভূ-রাজনৈতিক এবং অন্যান্য উপাদান বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে। এরকম অবস্থায় প্রতিটি দেশের প্রয়োজন একটি স্থায়ী নীতি যা বাণিজ্য, শিল্প এবং নতুন নতুন আবিষ্কারকে উৎসাহিত করবে। জি২০ সম্মেলনের সভাপতিদের জন্য ভারত একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জি২০ এর সভাপতিত্বের দ্বারা ভারত খুব উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা পালন করছে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের ক্ষেত্রে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংস্কারের ক্ষেত্রেও ভারতের দৃষ্টি রয়েছে।

    প্রশ্ন: বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলির উন্নয়নের জন্য একটি ন্যায়সঙ্গত বাণিজ্যনীতি থাকা প্রয়োজন কি? 

    প্রধানমন্ত্রীর (Pm Modi) উত্তর: ভারত বর্তমান জি২০-তে সভাপতিত্ব করছে। এর পাশাপাশি বিশ্বের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারত সদা আগ্রহী। যে সমস্ত দেশ জি২০ এর সদস্য নয়, সেই দেশগুলোর উন্নয়নের দিকেও ভারতের দৃষ্টি রয়েছে। যেমন আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশ। সম্ভবত এটা জি২০ ইতিহাসে প্রথম যখন ইন্দোনেশিয়া, ভারত এবং ব্রাজিল এই তিন দেশ বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির সম্পর্কে আওয়াজ তুলেছে।

    প্রশ্ন: কম এবং মধ্য আয়ের দেশগুলিতে ঋণের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই সমস্ত দেশগুলির সার্বিক উন্নয়নের জন্য এবং ঋণ কমানোর জন্য জি-২০ কী করতে পারে?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: ভারতের সভাপতিত্বে জি২০ সম্মেলন হচ্ছে যেখানে কম এবং মধ্য আয়ের দেশগুলির বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে আলোচনা হবে। আমরা এই সমস্ত দেশগুলির স্বার্থের পক্ষে আওয়াজ তুলেছি। আমরা সমন্বয়ে আস্থা রাখি এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতেই এই ঋণের পরিমাণ কমানো সম্ভব বলে আমাদের (PM Narendra Modi) মনে হয়। জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীরা এবং বিভিন্ন দেশের জাতীয় ব্যাঙ্কের গভর্নররা এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। বর্তমানের এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ঋণের এই সংকটের খবর এক দেশ থেকে অন্য দেশে পৌঁছে যেতে খুব বেশি সময় নেয় না। যার ফলে আরেক দেশ সহজেই বুঝে যায় যে একই রকম পরিস্থিতি তৈরি না করার জন্য কী কী করতে হবে। আমাদের দেশের ক্ষেত্রেও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কুফল আনতে পারে এই সমস্ত নীতিগুলি থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এই জাতীয় ভুল নীতি শুধু অর্থনীতি নয় সমাজকেও ধ্বংস করে দেয়।

    প্রশ্ন: আমাদের দেশ ‘ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’-এর ক্ষেত্রে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। ইউপিআই, আধার বা ওএনডিসি-এই সমস্ত কিছুই রয়েছে যা প্রভাব সৃষ্টি করেছে ভারতীয় অর্থনীতিতে। বিশ্বের মাপকাঠিতে আপনি (PM Narendra Modi) কীভাবে দেখেন একে?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: বছর বছর ধরে আমাদের দেশ প্রতিভার জন্য পরিচিত। বর্তমানে ‘ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ গত ৯ বছর ধরে আমাদের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছে। ভারতবর্ষের এই প্রযুক্তি বিপ্লব শুধুমাত্র যে অর্থনীতিক প্রভাবিত করেছে তা নয়, সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছে। মানবকেন্দ্রিক এই উন্নয়নের মডেলে আমরা ভরপুর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছি। জনধন প্রকল্প, আধার এবং মোবাইল এই তিন প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর মানুষের কাছে দেশের উন্নয়নকে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ভারতবর্ষে বিদেশী প্রতিনিধিরা এসে আশ্চর্য হয়েছেন যে কীভাবে রাস্তার ধারের ব্যবসায়ীরাও কিউআর কোড শেয়ার করে ক্রেতাদের কাছে টাকা নিচ্ছেন। করোনার সময়কালে একটি টেক প্ল্যাটফর্ম Cowin আমাদেরকে ২০০ কোটি ভ্যাকসিন দিতে সাহায্য করেছে, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। একটি উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমাদের ‘ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’-এর নীতি সারা দেশের বিভিন্ন অর্থমন্ত্রীরা গ্রহণ করেছেন।

    প্রশ্ন: সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য মুদ্রাস্ফীতি একটি বড় সমস্যা, এ বিষয়ে জি২০ এর ধনী দেশগুলির কী দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে মুদ্রাস্ফীতির বোঝা না বইতে হয়? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: মুদ্রাস্ফীতি আজকে একটা সারা পৃথিবীব্যাপী ইস্যু। করোনা মহামারির পর থেকে সারা পৃথিবীতে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ বাড়তে থাকে। জি২০ সম্মেলনে একটি মিটিং হয় বিভিন্ন দেশের অর্থমন্ত্রী এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের গভর্নরদের মধ্যে। সেখানে তাঁরা বলেন, ‘‘একটা শক্তিশালী নীতির প্রয়োজন। যেখানে প্রত্যেকটি দেশ মিলিতভাবে এই মুদ্রাস্ফীতিকে রোধ করতে পারবে।’’ আমাদের ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে আমরা একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে ২০২২ সালে সারা পৃথিবীব্যাপী যে মুদ্রাস্ফীতি রয়েছে, ভারতে তার থেকে ২.২ শতাংশ কম রয়েছে। এই কারণে আপনারা বুঝতে পারবেন এই বছরের রাখি বন্ধনের সময় আমরা গ্যাসের দাম কমাতে পেরেছি উপভোক্তাদের জন্য।

    প্রশ্ন: ভারতবর্ষ বর্তমানে পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। ২০২৭ সালের মধ্যে আমরা তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছি। সারা পৃথিবীব্যাপী এর প্রভাব কী হতে পারে?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: আপনারা ঠিকই বলছেন ভারতবর্ষ পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে উঠে এসেছে। কীভাবে এটা হল, আমার (PM Narendra Modi) মনে হয় সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এই শিরোপা দখল করতে অনেক কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছে। সব থেকে বড় কথা বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার তার জনগণকে বিশ্বাস করে। জনগণের যে সামর্থ্য সেটাকেও বিশ্বাস করে। এটা মনে রাখতে হবে যে জনগণ আমাদেরকে এতটাই বিশ্বাস করে যে তারা আমাদেরকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে শুধুমাত্র একবারের জন্য নয়, দু’দুবারের জন্য। এর ফলে আমাদের দেশের রাজনৈতিক স্থিরতা এসেছে। সামাজিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন বঞ্চিত শ্রেণির ক্ষমতায়ন হয়েছে। সামাজিক বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। ‘ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট’ ভারতবর্ষে এসেছে রেকর্ড পরিমাণে। ভারতবর্ষের রফতানি হয়েছে রেকর্ড পরিমাণে। বিগত বছরগুলির সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। মেক ইন ইন্ডিয়া প্রজেক্টে আমরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। এর ফলে সারা দেশে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। বিগত পাঁচ বছরে ১৩.৫ কোটি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্রতা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। যেটা আমাদের কাছে একটা বড় সফলতা। ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এই শ্রীবৃদ্ধি শুধুমাত্র ভারতের জন্য নয় সারা পৃথিবীর জন্যই ভাল।

    প্রশ্ন: আপনি (PM Narendra Modi) ৭২ বছরে পা দিলেন, কিন্তু আপনার এনার্জি লেভেল দেখে যে কোনও যুবকও ঈর্ষা করবে। আপনি কীভাবে এতটা তরতাজা এবং সক্রিয় থাকেন? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: সারা পৃথিবীব্যাপী অনেক মানুষই থাকেন, যাঁরা তাঁদের শক্তিকে সময় এবং সংস্থান দিয়ে উদ্দেশ্যের পথে নিয়ে যান। এটা শুধুমাত্র আমি একা নই বা আমি ব্যতিক্রম এমনটাও নয়। আমি যখন রাজনীতিতে আসিনি তখন সমাজের জন্য কাজ করতাম এবং একদম ভূমিস্তরে এই কাজ ছিল আমার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমি ঘুরতে পেরেছি। দ্বিতীয় দিক হল, পার্থক্য আছে একটি মিশন এবং অ্যাম্বিশনের মধ্যে। যখন একজন মানুষ অ্যাম্বিশনের জন্য কাজ করেন, তখন তিনি নিজের পদ, ক্ষমতা এবং সুবিধাকে লক্ষ্য রাখেন। কিন্তু যখন একজন মানুষ মিশনের জন্য কাজ করেন, তখন তাঁর ব্যক্তিগতভাবে সেখানে পাওয়ার কিছু থাকে না। তাই উত্থান এবং পতন সেখানে খুব বেশি ভূমিকা রাখে না। তিনি মিশনের মধ্যেই নিজেকে উৎসর্গ করে দেন। তাঁর যা কিছু সংস্থান আছে সেই সমস্ত কিছুকে তিনি সেখানে রাখেন। আমার মিশন হল সমগ্র দেশের উন্নয়ন। আমি আগেও বলেছি যে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে আমি সারা ভারতের প্রতিটি জেলাতেই সফর করেছি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে এবং সেখানে আমি দেখেছি যে সাধারণ মানুষ কীভাবে থাকে এবং বাঁচে।

    ‘মানি কন্ট্রোল’-কে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎকার থেকে অনুবাদিত। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jill Biden: করোনা আক্রান্ত মার্কিন ফার্স্ট লেডি, জি-২০ সম্মেলনে কি যোগ দেবেন বাইডেন?

    Jill Biden: করোনা আক্রান্ত মার্কিন ফার্স্ট লেডি, জি-২০ সম্মেলনে কি যোগ দেবেন বাইডেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের হানা, একেবারে হোয়াইট হাউসে। আক্রান্ত হলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন (Jill Biden)। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, সুস্থ রয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর রক্তের নমুনার পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত  মার্কিন প্রেসিডেন্ট মাস্ক পরে থাকবেন বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত জি-২০ সম্মেলনে বৃহস্পতিবারই মার্কিন দেশ থেকে রওনা হওয়ার কথা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের। কিন্তু এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে (Jill Biden) তাঁর ভারত সফর নিয়ে সংশয় শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে মার্কিন ফার্স্ট লেডিকে হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকরা।

    আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি (Jill Biden) আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনা ভাইরাসে 

    জিল বাইডেনের (Jill Biden) করোনা পজেটিভ হওয়ার পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্টেরও পরীক্ষা করা হয়। তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও জানা গিয়েছে আগামী কয়েকদিন করোনার কোনও উপসর্গ তাঁর দেখা দেয় কিনা সেদিকে নজর রাখবে মার্কিন প্রশাসন। নিয়মিত পরীক্ষাও চলবে। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে বিগত কয়েকদিনে যাঁরা মার্কিন ফার্স্ট লেডির (Jill Biden) সংস্পর্শে এসেছেন তাঁরাও যেন করোনা পরীক্ষা করেন। প্রসঙ্গত এটাই প্রথম নয় এর আগেও জিল বাইডেন (Jill Biden) করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে। আবার ২০২২ সালের জুলাই মাসেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন জো বাইডেন নিজেও।

    জি-২০ সম্মেলনে আসছেন কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    জি-২০ সম্মেলনে ইতিমধ্যে  চিনের প্রেসিডেন্ট শি-জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আসছেন না বলে জানা গিয়েছে। এবার যদি মার্কিন প্রেসিডেন্টও না আসেন, তাহলে এই বৈঠকের জৌলুস অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে। তবে, মার্কিন ফার্স্ট লেডির কোভিড সংক্রমণের জেরে বাইডেনের ভারত সফর ঘিরে সংশয় তৈরি হয়েছিল সোমবার। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের মাটিতে পা রাখার কথা তাঁর। বাইডেনকে ভারতে আসার অনুমতি চিকিৎসকরা দেবেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। তবে, মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাই বৃহস্পতিবার তিনি দিল্লিতে আসছেন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share