Tag: Bengali news

Bengali news

  • Howrah: পাশে এলেন মহিলা আরপিএফ, হাওড়া স্টেশনে নির্বিঘ্নে সন্তান প্রসব গৃহবধূর

    Howrah: পাশে এলেন মহিলা আরপিএফ, হাওড়া স্টেশনে নির্বিঘ্নে সন্তান প্রসব গৃহবধূর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরপিএফের মানবিক মুখ। মহিলা আরপিএফ কর্মীদের তৎপরতায় হাওড়া (Howrah) স্টেশনে নির্বিঘ্নে সন্তান প্রসব করলেন এক গৃহবধূ। শুক্রবার হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সে এই ঘটনাটি ঘটে। মা ও সদ্যোজাত শিশু দুজনেই সুস্থ। হাওড়া জেলা হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন দুজনেই।

    কীভাবে হল সন্তান প্রসব (Howrah)?

    জানা গেছে, পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের বাসিন্দা সুপ্রিয়া করণ (২৮), স্বামী আকাশের সঙ্গে হাওড়া স্টেশনে এসেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল দুরন্ত এক্সপ্রেসে চেপে বেঙ্গালুরুতে যাবেন। ট্রেন থেকে হাওড়া (Howrah) স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সে নামতেই সুপ্রিয়ার প্রসব বেদনা শুরু হয়। বিষয়টি দেখতে পেয়েই সেখানে কর্তব্যরত মহিলা আরপিএফ কর্মীরা সুপ্রিয়াকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন। ট্রেনের কয়েকজন মহিলা সহযাত্রীও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। এরপরই মহিলা আরপিএফ কর্মীরা প্লাটফর্মের চারদিকে কাপড় দিয়ে ঘিরে একটি অস্থায়ী লেবার রুম তৈরি করেন। তাঁদের সাহায্যে ওই মহিলার সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন রেলের চিকিৎসক। চিকিৎসক এসে দুজনকেই সুস্থ বলে ঘোষণা করেন। পরে আরপিএফ কর্মীরা রেলের অ্যাম্বুল্যান্সে করে দুজনকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে মা ও সদ্যোজাত সন্তান দুজনেই।

    গৃহবধূর স্বামীর বক্তব্য

    সুপ্রিয়া দেবীর স্বামী আকাশ করণ জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরু যাওয়া খুব জরুরি ছিল। তাই গর্ভবতী হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রীকে নিয়ে যেতে হচ্ছিল। কিন্তু এইদিন হাওড়া (Howrah) স্টেশনে নামতেই স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। তখন কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না৷ সেই সময় এগিয়ে আসেন আরপিএফের মহিলারা। তারাই দ্রুত পুরো এলাকা কাপড় দিয়ে ঘিরে দিয়ে তাঁর স্ত্রীর প্রসব করান। এই জন্যে আরপিএফ কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

    এর আগেও হাওড়া (Howrah) স্টেশন সহ বিভিন্ন রেল স্টেশনে প্রসব যন্ত্রণা ওঠা মহিলাদের সহযোগিতার করে নজির সৃষ্টি করেছে রেল পুলিশ। মাসখানেক আগেই হাওড়া স্টেশনে পরপর দুবার সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটে। সেখানেও মহিলা পুলিশ কর্মীরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। রেলের নিরাপত্তা দেখার পাশাপাশি মানুষের সহযোগিতায় রেল পুলিশের এই ভুমিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন রেল যাত্রীরা। বিশেষ করে মহিলা রেল যাত্রীরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আরপিএফের এই মহিলা কর্মীদের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Aditya-L1: আদিত্য এল ওয়ান তৈরির টিমেও বাদুড়িয়ার জয়ন্ত পাল, গর্বিত এলাকাবাসী

    Aditya-L1: আদিত্য এল ওয়ান তৈরির টিমেও বাদুড়িয়ার জয়ন্ত পাল, গর্বিত এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিত্য এল-১ (Aditya-L1) মিশনের জন্য ইসরোর অন্য বিজ্ঞানীদের দিন-রাত এক করে কাজ করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার ছেলে জয়ন্ত পাল। শনিবার সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে শ্রীহরিকোটা থেকে আদিত্য এল-১ (Aditya- L1)-র উৎক্ষেপণে সফল হয়েছে ইসরো। এদিন সকাল থেকে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমিয়েছিলেন আত্মীয়, প্রতিবেশী থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রত্যেকেই ইসরো-র আদিত্য এল-১ (Aditya- L1) মিশনের সাফল্য কামনা করেন।

    কী বললেন বিজ্ঞানীর পরিবারের লোকজন? (Aditya- L1)

    বাদুড়িয়া ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর গ্রামের ছেলে জয়ন্তবাবু। ২০১৮ সালে ইসরোয় বিজ্ঞানী হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২-এর অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। সেই অভিযান পুরোপুরি সফল না হলেও, সাফল্য এসেছে ২০২৩-এ। চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করেছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। আর সেই অভিযানের টিমেও অন্যতম সদস্য ছিলেন বাংলার তিনি। এবার সূর্যযানেও (Aditya-L1) অন্য বিজ্ঞানীদের সঙ্গে তিনি রয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই ছাত্র হিসেবে মেধাবী ছিলেন জয়ন্ত। তবে, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জয়ন্ত যে এভাবে একদিন পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে তা বাবা-মায়ের আশার অতীত ছিল। আজ বাদুড়িয়া তথা গোটা বাংলার গর্ব জয়ন্ত। জয়ন্তবাবুর বাবা অর্ধেন্দু পাল পেশায় ছোট ব্যবসায়ী। আর্থিক আনুকুল্য তেমন ছিল না কোনও দিনই। প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ছেলের স্বপ্নপূরণ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তাঁর মা আলপনা পাল ছেলেকে শিক্ষার পথ থেকে সরে যেতে দেননি কখনও। সকাল থেকেই টিভি-তে চোখ রেখে বসেছিলেন জয়ন্তবাবুর বাবা অর্ধেন্দু পাল ও মা আলপনা পাল। আলপনা দেবী বলেন, আমি মা হিসেবে চাই জয়ন্তর নাম একদিন গোটা দেশ তথা গোটা বিশ্ব যেন জানতে পারে। জয়ন্ত পালের বাবা অর্ধেন্দুবাবু বলেন, ছেলে ফের এত বড় ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ায় খুবই ভাল লাগছে। এদিন জন প্রতিনিধি থেকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ফুল ও মিষ্টি নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে পাল বাড়িতে ভিড় জমান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: চিনের যুব সমাজের চরিত্র গঠনে বিবেকানন্দের পাঠ, রামকৃষ্ণ মিশনে প্রস্তাব কনসাল জেনারেলের

    Birbhum: চিনের যুব সমাজের চরিত্র গঠনে বিবেকানন্দের পাঠ, রামকৃষ্ণ মিশনে প্রস্তাব কনসাল জেনারেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে যুব সমাজের চরিত্র গঠনের জন্য বিবেকানন্দ পড়ানোর আবেদন জানালো চিন সরকার। চিন সরকার আরও বলল, মার্ক্স-লেলিন নয় চাই বিবেকানন্দের নৈতিকতা। রামকৃষ্ণ মিশনের কাছে সম্প্রতি চিনের কনসাল জেনারেল এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন। এই কথাই বোলপুরে (Birbhum) জানালেন রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে। ভারতীয় জীবনবোধে বিবেকানন্দের প্রভাব কি পড়বে এবার কম্যুনিস্ট পার্টি অফ চায়নাতেও? বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে (Birbhum)?

    বিবেকানন্দের ভাবধারায় চীনের যুবসমাজকে গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুবিরানন্দ মহারাজ আজ বোলপুরে একথা জানিয়েছেন একটি অনুষ্ঠানে। চিনে সবথেকে বেশি দার্শনিক হিসাবে মান্যতা পেয়েছেন বিবেকানন্দ। বিবেকানন্দের দেখানো পথ, এখন পৃথিবীকে মুক্তির পথ দেখাবে। চীনের কনসাল জেনারেল সম্পর্কে মহারাজ আরও বলেন যে চিন এই দেশকে চা দিয়েছে কিন্তু ভারতবর্ষ বিশ্বকে স্বামী বিবেকানন্দকে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, চিনের কনসাল জেনারেল বলেছেন, সমাজ তৈরির জন্য মার্ক্স-লেলিনকে দরকার হয় না, বিবেকানন্দ হলেন অন্যতম সমাজ চিন্তাবিদ। বিবেকানন্দের আদর্শ এবং নৈতিক মূল্যবোধ বর্তমান প্রজন্মের কাছে একান্ত প্রয়োজন। তাই চিনের মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবেকানন্দের বাণীকে কীভাবে পৌঁছানো যায়, সেই বিষয়ে কাজ করতে হবে। চিনের আগ্রহকে মিশনের পক্ষ থেকে ইতিবাচক বিষয় হিসাবে দেখা হচ্ছে বলে মহারাজ জানিয়েছেন।

    অনুষ্ঠানে উজ্জ্বল উপস্থিতি

    আজ বোলপুরে (Birbhum) রামকৃষ্ণ মঠের একটি সাধু নিবাসের উদ্বোধন করে মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুবিরানন্দ মহারাজ বক্তব্য রাখেন। চিনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিতে কিভাবে বিবেকানন্দের ভাবধারা পৌঁছে দেওয়া যায়, সে নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের সংসদ তহবিলের ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি সাধু নিবাস নির্মাণ করা হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা শাসক বিধান রায় সবাই রামকৃষ্ণ মিশনের সেবামূলক বিভিন্ন কাজের কথা তুলে ধরেন এবং সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • R Madhavan: পুণের এফটিআইআই-এর নতুন চেয়ারম্যান আর মাধবন, অভিনন্দন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    R Madhavan: পুণের এফটিআইআই-এর নতুন চেয়ারম্যান আর মাধবন, অভিনন্দন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এফটিআইআই)-এর নতুন চেয়ারম্যান হলেন আর মাধবন (R Madhavan)। একইসঙ্গে, সরকারি পরিচালন পরিষদের চেয়ারম্যান পদেও মনোনীত হয়েছেন অভিনেতা৷ শুক্রবার, এই খবর জানান কেন্দ্রীয় তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কী বললেন?

    শুক্রবার ট্যুইটারে অভিনেতা-পরিচালক মাধবনকে অভিনন্দন জানিয়ে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘‘এফটিআইআই-এর প্রধান এবং এর সরকারি পরিষদের পরিচালন চেয়ারম্যান মনোনীত হওয়ার জন্য মাধবনজিকে অভিনন্দন। আমি নিশ্চিত যে মাধবনজির বিশাল অভিজ্ঞতা এবং কঠোর নীতি এই প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ ভাবে সমৃদ্ধি করবে, প্রতিষ্ঠানকে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাবে এবং ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। আপনার সঙ্গে রইল আমার শুভেচ্ছা।’’  তাঁকে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মাধবনও (R Madhavan) পাল্টা অনুরাগকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘‘এই সম্মান এবং শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম। আপানাদের আশা পূরণে আমি সচেষ্ট থাকব।’’ এই পদে মাধবনের আগে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছিলেন বিশিষ্ট পরিচালক শেখর কাপুর।

    অভিনেতা আর মাধবন

    ৫৩ বছর বয়সী মাধবন (R Madhavan) একজন অভিনেতা, লেখক, পরিচালক এবং প্রযোজক। তিনি হিন্দি, তামিল সহ একাধিক ভাষায় বহু সিনেমা করেছেন। তাঁর উল্লেখ যোগ্য সিনামেগুলির মধ্যে হল, ‘বিক্রম বেদা’, ‘কান্নাথিল’, ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘রং দে বসন্তী’। অভিনয়ের কৃতিত্বে একাধিক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর পরিচালিত ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারের বিশেষ সম্মানও পেয়েছেন। তিনি ২০২২ সালে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণের জীবনীর ওপর বিশেষ ছবি বানিয়েছিলেন। ‘রেকট্রি দ্য নাম্বি এফেক্ট’ নামক ওই ছবির চিত্রনাট্য, প্রযোজনা, পরিচালনার বিশেষ দায়িত্ব পালন করেন নিজে। ছয়টি ভাষায় সিনেমাটি মুক্তি পায়। ৫ অগাস্ট সংসদে ভবনে সিনেমাটি দেখানো হয়েছিল। তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবিই শ্রেষ্ঠ ফিচার ফিল্ম হিসেবে জিতে নিয়েছে জাতীয় পুরস্কার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: “ভারত হিন্দু রাষ্ট্র”, নাগপুরের অনুষ্ঠানে আবারও দাবি মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “ভারত হিন্দু রাষ্ট্র”, নাগপুরের অনুষ্ঠানে আবারও দাবি মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত হিন্দু রাষ্ট্র।” ফের একবার দাবি করলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তাঁর মতে, সমস্ত ভারতীয় হিন্দু ও ভারত হিন্দুত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। শুক্রবার নাগপুরে ‘তরুণ ভারত’ নামে একটি দৈনিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই মত পোষণ করেন ভাগবত।

    হিন্দুস্তানের অর্থ

    সরসংঘচালক বলেন, “হিন্দুস্তান মানে হচ্ছে হিন্দু রাষ্ট্র। আর এটা ধ্রুব সত্য। সেই কারণে বর্তমানে যাঁরা দেশে বসবাস করেন, তাঁদের আমি হিন্দু বলে মনে করি। এঁরা সকলেই হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত। এঁদের পূর্বসূরিরাও হিন্দু ছিলেন। বিশ্বজুড়ে হিন্দুত্বের কদর বেড়েছে।” ভাগবত বলেন, “কিছু মানুষ এটা বুঝতে পেরেছেন। অনেকে আবার বুঝেও না বোঝার ভান করছেন। এর কারণ তাঁদের অভ্যাস এবং স্বার্থপরতা। আবার কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা বুঝতে পারছেন না কিংবা ভুলে গিয়েছেন।” স্বদেশি, পারিবারিক মূল্যবোধ এবং শৃঙ্খলার ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন ভাগবত।

    হিন্দুত্বের কদর বাড়ছে

    সরসংঘচালক (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমাদের নিজস্ব আদর্শ অক্ষুণ্ণ রেখে ন্যায্যভাবে এবং সত্যের ভিত্তিতে কোনও কাজ করা উচিত। আমাদের আদর্শের মতো সারা বিশ্বে আর কিছু নেই। এর বিকল্পও নেই। সবাই এটা বুঝতে পেরেছে। কেউ এটা স্বীকার করে, কেউ করে না।” আরএসএস প্রধান বলেন, “আমরা সেই ১৯২৫ সাল থেকেই বলে আসছি যে ভারতে বসবাসকারী প্রত্যেকেই হিন্দু। যারা ভারতকে তাদের মাতৃভূমি বলে মনে করে এবং বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের সংস্কৃতি নিয়ে বাঁচতে চায় এবং ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা, খাদ্যাভাস এবং আদর্শ যাই হোক না কেন, এই পথে এগোনোর চেষ্টা করে, তারা সকলেই হিন্দু।”

    আরও পড়ুুন: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    প্রসঙ্গত, হিন্দুত্ব নিয়ে ভাগবতের (Mohan Bhagwat) এই দাবি এই প্রথম নয়। গত বছর নভেম্বর মাসেও ছত্তিশগড়ে গিয়ে হিন্দুত্বের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। সংঘের একটি অনুষ্ঠানেও ভারতে বসবাসকারী সবাই হিন্দু বলেও দাবি করেছিলেন আরএসএস প্রধান। ভারতে বসবাসকারী সকলের ডিএনএ এক বলেও মন্তব্য করেছিলেন ভাগবত। হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে কোনও পার্থক্যই নেই বলেও দাবি করেছিলেন সংঘপ্রধান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: বাংলায় দলের হালহকিকৎ বুঝতে বৈঠকে বসছেন নাড্ডা, কারা থাকছেন জানেন?

    JP Nadda: বাংলায় দলের হালহকিকৎ বুঝতে বৈঠকে বসছেন নাড্ডা, কারা থাকছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। এমতাবস্থায় ঘুঁটি সাজাচ্ছেন বিরোধীরা। দেশের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। রণকৌশল স্থির করতে শুক্রবার মুম্বইয়ে বৈঠকে বসেছেন ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা। আরব সাগরের তীরে যখন অস্ত্রে শান দিচ্ছে ‘ইন্ডিয়া’, সেই সময় বাংলা নিয়ে বৈঠকে বসছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। নাড্ডার ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধানের মতো বিজেপির প্রথম সারির কয়েকজন নেতার।

    পদ্মের চোখ ধাঁধানো ফল 

    যেহেতু বাংলায় তৃণমূলকে কোণঠাসা করার দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়েছিল এঁদের ওপর, তাই তাঁদের সঙ্গেই আলোচনায় বসছেন বিজেপি সভাপতি (JP Nadda)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বাংলার পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা কেন্দ্রগুলির অবস্থা বোঝার চেষ্টা করবেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে ৪২টি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম এ রাজ্যে চোখ ধাঁধানো ফল করে পদ্ম শিবির। নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে গেরুয়া নেতৃত্ব জানতে পেরেছিলেন, যে ২৪টি আসনে ধরাশায়ী হতে হয়েছে তাঁদের, সেখানে ব্যবধান ছিল খুব কম।

    ১২৪ আসন নিয়ে পরিকল্পনা 

    বাংলার এই আসনগুলির পাশাপাশি দেশের ১০০টি কেন্দ্রেও অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন পদ্ম প্রার্থীরা। এই আসনগুলিকে কীভাবে পদ্মঝুলিতে নিয়ে আসা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। বাংলায় যে ২৪টি আসনে অল্প ভোটের ব্যবধানে হারতে হয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে, সেই আসনগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল স্মৃতি, ধর্মেন্দ্র, প্রতিমা ভৌমিক সহ দলের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে। এই বৈঠকে এঁদের কাছ থেকেই বাংলার আসনগুলির হালহকিকৎ জানতে চাইছেন নাড্ডা (JP Nadda)।

    আরও পড়ুুন: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    এদিকে, ভোটার তালিকা যাতে স্বচ্ছভাবে প্রস্তুত করা হয়, তা নিশ্চিত করতেও বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ দিয়েছেন নাড্ডা। নয়া ভোটারদের নাম তালিকায় উঠছে কিনা, সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকায় ভুয়ো ভোটারের নাম থাকলে তা বাদ দিতে দলীয় কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। শেষ যেবার বঙ্গ সফরে এসেছিলেন নাড্ডা, তখনই তিনি এইসব নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন বলে পদ্ম-শিবির সূত্রে খবর। পুরো প্রক্রিয়া যাতে সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়, তাই রাজ্যস্তরে সাত সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করেছে বিজেপি। জেলাগুলিতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিধানসভাগুলিতে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি লক্ষ্যে পৌঁছবে”, নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির  

    Calcutta High Court: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি লক্ষ্যে পৌঁছবে”, নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।” শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মুর্শিদাবাদের গোঠা হাইস্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরিতে যোগদানের মামলায় এদিন এই মন্তব্য করে বিচারপতি বসু। এই মামলায় আগের শুনানিতে সিআইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন তিনি। এদিন প্রকাশ করেন সন্তোষ।

    সিআইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন

    এদিন সিআইডির আইনজীবীকে আদালতের প্রশ্ন, “যাঁরা জাল নথি জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কি চিহ্নিত করা গিয়েছে?” সিআইডির আইনজীবী জানান, তাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। বিচারপতি বসুর প্রশ্ন, “তাঁদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি?” সিআইডির তরফে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, নথি পরীক্ষার কাজ চলছে। এর পরেই বিচারপতি (Calcutta High Court) বসু বলেন, “মনে হচ্ছে সিআইডি সিবিআইয়ের আগে লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে বলুন এই শিক্ষকদের ওপর নজর রাখতে।”

    নিয়োগ দুর্নীতি 

    প্রসঙ্গত, জাল নথি দিয়ে সুতির গোঠা এ আর রহমন হাইস্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন অনিমেষ তিওয়ারি। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর বাবা। অভিযোগ, তিনিই প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। পরে জানা যায়, কেবল অনিমেষ নন, জাল নথি দিয়ে আরও কয়েকজনও ওই স্কুলে চাকরি করছেন। এই দুর্নীতির তদন্তভার সিআইডির হাতে দেন বিচারপতি বসু। তদন্ত করতে সিআইডির আধিকারিকরা একাধিকবার ওই স্কুলে যান। তার পরেও তদন্তে বিশেষ অগ্রগতি না হওয়ায় গত শুনানিতে সিআইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    সিআইডির তরফে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বে কারা রয়েছেন, তার তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তদন্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের আদালতে তলবও করেন বিচারপতি বসু (Calcutta High Court)। সিআইডির তদন্তকারী ওই দলের প্রধানকে তাঁর প্রশ্ন, “আপনি কী মনে করছেন, থালায় করে আপনাকে নথি সাজিয়ে দিয়ে আসা হবে?” তদন্ত এভাবে এগোলে এই মামলায় তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশের ব্যাপারে বিবেচনা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন বিচারপতি বসু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    Calcutta High Court: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বুথ দখল হওয়ার পরে দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণ ভয়ে কিছু করতে পারিনি।” শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনই জানালেন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের এক প্রিসাইডিং অফিসার। পেশায় শিক্ষক সুমিত পাণ্ডে নামের ওই প্রিসাইডিং অফিসার আদালতকে জানিয়েছেন, দেদার ছাপ্পা হলেও, প্রাণ ভয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট লিখতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।

    প্রিসাইডিং অফিসারের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি 

    প্রিসাইডিং অফিসারের এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তির পর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ২ ব্লকের ওই বুথে পুনর্নির্বাচন করা নিয়ে কমিশনের অবস্থান জানতে চেয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, ৪ জুলাই রাজ্যে এক দফায় হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোট গণনা হয় ১১ জুলাই। এই নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা ও বুথ দখলের অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ যে নিছক অমূলক নয়, এদিন প্রিসাইডিং অফিসারের স্বীকারোক্তিই তার অন্যতম ‘প্রমাণ’।

    পুনর্নির্বাচনের দাবি

    বেলডাঙার কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ছাপ্পা ও রিগিংয়ের অভিযোগে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন সিপিএম প্রার্থী নাসিমা বেগম। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনের দিন ও ভোট গণনার দিন তাঁর এজেন্টদের মারধর করে ভোটকেন্দ্র ও গণনাকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। মামলাটি ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। তিনি ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের হলফনামা তলব করেন। আদালতে হলফনামা দিয়ে ওই প্রিসাইডিং অফিসার জানান, ভোট গ্রহণের দিন বেলা ১২টা নাগাদ বুথে ঢুকে পড়ে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্য ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি লাগু! কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ নাড্ডার

    গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল তাদের মুখ। বুথে ঢুকেই ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে দেদার ছাপ্পা দিতে শুরু করে তারা। সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বুথ দখল করে রেখেছিল তারা। দুষ্কৃতীরা তাঁর ও পোলিং অফিসারদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছিল। তাই তাঁরা ঘটনার কথা পুলিশকে জানাতে পারেননি। বিকেল ৫টায় নির্বাচন শেষ হলে তাঁকে ‘ভোট শান্তিপূর্ণ’ লিখতে বাধ্য করে। প্রিসাইডিং অফিসারের  এই হলফনামার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ওই বুথে ফের নির্বাচন করাতে চায় কিনা, ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা দিয়ে তা জানাতে হবে কমিশনকে। ১২ সেপ্টম্বর ফের শুনানি হবে ওই মামলার (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বেহালায় ৩২ বছর ধরে চলছে সরকারি অনুমোদনহীন স্কুল! বিস্মিত বিচারপতি

    Calcutta High Court: বেহালায় ৩২ বছর ধরে চলছে সরকারি অনুমোদনহীন স্কুল! বিস্মিত বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ৩২ বছর ধরে চলছে স্কুল। তাও আবার খাস কলকাতার বুকে। বেহালার বিবেকানন্দ পল্লী কিশোর ভারতী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এই ৩২ বছরে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের নাকি সরকারি অনুমোদনই নেই। এই তথ্য সামনে আসতেই শুক্রবার সরগরম হয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ঘটনা এক শিক্ষিকার পেনশনকে ঘিরে। ২০১৭ সালে বেহালার বিবেকানন্দ পল্লী কিশোর ভারতী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অবসর নেন শিক্ষিকা ধারা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু তারপরে থেকেই তিনি পেনশন পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। সব জায়গায় দরবার করার পরে তিনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দ্বারস্থ হন সেখানেও তাঁর সমস্যার সমাধান হয় না। এরপর স্কুল শিক্ষিকা সোজা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন। 

    শুক্রবারই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়

    শুক্রবারই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চে (Calcutta High Court) এই মামলার শুনানি হয়। সেখানে ধারা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদে গিয়ে তাঁর মক্কেল জানতে পারেন যে স্কুলের সরকারি অনুমোদনের পুনর্নবীকরণ সংক্রান্ত ১৬,০০০ টাকা বকেয়া রয়েছে। ওই টাকা পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যদি পায় তখনই পদক্ষেপ নিতে পারবে।’’ এই শুনে রীতিমতো অবাক হয়ে যান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta High Court)। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘কীভাবে স্থায়ী সরকারি (Calcutta High Court) অনুমোদন ছাড়া ৩২ বছর ধরে একটা স্কুল চলছে! জেলা স্কুল পরিদর্শকরা এতদিন ধরে কী করছিলেন? তাঁদের কাজ কি শুধু বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে নজরদারি রাখা?’’ বিচারপতি (Calcutta High Court) বসুর আরও সংযোজন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদই বা কি করছে? এত বছরে তো হাজার হাজার জন স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছে? তাঁরা যদি বাইরে পড়তে যায় এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয় যদি স্কুলের অনুমোদন সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করে না পায় তাহলে মহা বিপদে পড়বে পড়ুয়ারা।’’  

    কী বলছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ?

    অন্যদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী বলেন,‘‘এরকম অনেক স্কুল আছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে অস্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয় এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে স্কুলের আবেদনের ভিত্তিতে স্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয়। এই স্কুল হয়তো সেই আবেদন করেনি।’’ এই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘এটা তো অত্যন্ত চিন্তার বিষয়!’’এদিন বিচারপতি (Calcutta High Court) বিশ্বজিৎ বসু, নির্দেশ দেন সরকারি অনুমোদনের জন্য কোনও শিক্ষিকার পেনশন আটকে থাকতে পারে না। এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতে জমা করারও নির্দেশ দেন বিচারপতি বসু। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য (Calcutta High Court) করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: লক্ষ্য ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি লাগু! কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ নাড্ডার

    One Nation One Election: লক্ষ্য ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি লাগু! কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই ডাকা হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) নীতি কার্যকর করতে গড়া হয়েছে কমিটিও। এই কমিটির মাথায় রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আজ, শুক্রবার তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এর পরেই দুয়ে দুয়ে চার করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। চলতি বছরেই রয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। আপাতত এই নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। এগিয়ে আসতে পারে লোকসভা নির্বাচন। আর যদি ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি কার্যকর হয়, তবে দেশ ফিরবে ’৬৭ সালের আগের অবস্থায়।

    ‘এক দেশ এক নির্বাচন’

    ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বসবে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। এই অধিবেশনে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’র পাশাপাশি ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত বিল পাশ করানো হবে বলে জল্পনা। সরকারি একটি সূত্রে খবর, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ পেশ করা হতে পারে এই বিশেষ অধিবেশনেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি বিশেষ অধিবেশনে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) বিল পাশ হয়ে যায়, তাহলে ঘর গোছানোর সময় পাবেন না বিরোধীরা। বিভিন্ন রাজ্যে আলাদা আলাদা নির্বাচন হলে যে বিস্তর খরচ হতো, তাও বেঁচে যাবে। এমতাবস্থায় কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করলেন নাড্ডা।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তি

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসেই ‘এক দেশ এক নির্বাচনে’র পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর যুক্তি ছিল, এতে নির্বাচনের বিপুল খরচ কমবে। এক সঙ্গে দুটি নির্বাচন হলে সরকারি কর্মীদের কাজের চাপ কমবে। পৃথক ভোট হলে বারংবার আদর্শ আচরণবিধি লাগুর কারণে যে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম থমকে থাকে, তা আর হবে না। মোদি সরকারের এই নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডিয়া’ নয়, কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, জানাল আরও একটি রিপোর্ট

    তাঁদের মতে, এই নীতির সাহায্যে মোদি সরকার ঘুরপথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে দেশে। এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী। প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এক সঙ্গেই হতো লোকসভা ও বিধানসভাগুলির নির্বাচন। পরে কয়েকটি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু হওয়ায় ছেদ পড়ে এই ধারাবাহিকতায়। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর এ বিষয়ে (One Nation One Election) আলোচনা করতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল মোদি সরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

LinkedIn
Share