Tag: Bengali news

Bengali news

  • GDP: বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতির দেশ ভারত! বলছে জিডিপি বৃদ্ধির হার

    GDP: বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতির দেশ ভারত! বলছে জিডিপি বৃদ্ধির হার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জমানায় ক্রমেই উন্নতির শিখরে পৌঁছচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি। দেশের জিডিপির (GDP) লেখচিত্র ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। এহেন আবহে ফের এল সুখবর। জানা গেল, প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধি হয়েছে ৭.৮ শতাংশ। এই হার বিশ্বের যে কোনও অর্থনীতির তুলনায় দ্রুততম।

    প্রথম ত্রৈমাসিকের জিডিপি

    বৃহস্পতিবার প্রথম ত্রৈমাসিকের জিডিপি প্রকাশ করেছে জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস। সেখানেই জানা গিয়েছে, প্রথম ত্রৈমাসিকে উদার সরকারি ব্যয়, শক্তিশালী ভোক্তা চাহিদা এবং উচ্চ পরিষেবা খাতের কার্যকলাপের মতো কারণগুলি সাহায্য করেছে ভারতীয় অর্থনীতিকে। এর আগে প্রকাশ করা হয়েছিল কোর সেক্টরের পরিসংখ্যান। জুলাই মাসে কোর সেক্টরের বৃদ্ধির হার নেমে এসেছিল ৮ শতাংশে। অথচ তার ঠিক এক মাস আগে কোর সেক্টরের বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৩ শতাংশ।

    উৎপাদন খাতে বৃদ্ধির হার

    জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জুন ২০২২ ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার ছিল ১৩.১ শতাংশ। সেই তুলনায় এবার বৃদ্ধির হার প্রভাবিত হয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে কৃষি খাতে বৃদ্ধির হার ৩.৫ শতাংশ, নির্মাণ খাতে বৃদ্ধির হার ৭.৯ শতাংশ। তবে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে উৎপাদন খাতে বৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ৪.৭ শতাংশে।

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, দেশের আর্থিক প্রগতি চারটি ত্রৈমাসিকের মধ্যে এখানেই সব চেয়ে বেশি হতে চলেছে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি পূর্বাভাস ৭.৮ থেকে ৮.৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে। অর্থনৈতিক নীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যা পূর্বাভাস দিয়েছিল, তার সঙ্গেই মিলে যেতে পারে।

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডিয়া’ নয়, কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, জানাল আরও একটি রিপোর্ট

    প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বের বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার হবে ৬.৫ শতাংশের মতো। প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার হবে ৮ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, জানুয়ারি থেকে মার্চের যা জিডিপি, তার তুলনায় এপ্রিল থেকে জুনের ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি থাকবে অনেকটাই বেশি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার ২০২৩-এর জন্য অনুমান করেছিল ৫.৯ শতাংশ। পরে এটি সংশোধন করে জানায় ৬.১ শতাংশ।

    তামাম বিশ্বে বৃদ্ধির নিরিখে এগিয়ে রয়েছে ভারত। বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসেবে এগিয়ে রয়েছে নরেন্দ্র মোদির দেশ। ভারতের তুলনায় ঢের পিছিয়ে রয়েছে ব্রিটেন। প্রথম ত্রৈমাসিকে সে দেশে বৃদ্ধির হার ০.৪, জার্মানির ০.২। আর এই সময়সীমায় জাপানের বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aditya-L1: শুরু হল ২৪-ঘণ্টার কাউন্টডাউন, শনিবারই মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে আদিত্য এল-১

    Aditya-L1: শুরু হল ২৪-ঘণ্টার কাউন্টডাউন, শনিবারই মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে আদিত্য এল-১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অগাস্টের ২৩ তারিখই চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে ল্যান্ডার বিক্রম। গড়েছে নতুন ইতিহাস। প্রথম কোনও দেশ হিসেবে দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে পেরেছে আমাদের ভারত। এবার তোড়জোড় শুরু হয়েছে সূর্য অভিযানের। শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ভারতের মাটি থেকে এই মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেবে আদিত্য এল-১ (Aditya-L1)। সৌর মিশনের প্রস্তুতিও তুঙ্গে চলছে ইসরোতে। জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকেই সূর্যকে নিরীক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা (Aditya-L1) চালাবেন অনুসন্ধান এবং গবেষণা।

     

     

    শনিবার সকাল ১১টা ৫০মিনিটে সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দেবে আদিত্য এল-১  

    শনিবার সকাল ১১টা ৫০মিনিট নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী হরিকোটা সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল বা পিএসএলভি-এক্সএল রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেবে আদিত্য এল-১ (Aditya-L1)। নজরদারি চালাবে সূর্যের বায়ুমণ্ডলের বাইরের আবরণের। এর ফলে সৃষ্টির আদিতে সূর্য কেমন ছিল! সূর্য (Aditya-L1) ভবিষ্যতে কিরকম হতে পারে! তার অনেক কিছুই জানা যাবে। এই অভিযানের মাধ্যমে। এই আবহে ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন, ‘‘সফলভাবে উৎক্ষেপণের (Aditya-L1) মহড়া শেষ হয়েছে। এদিকে সব যন্ত্রাংশ সঠিক ভাবে কাজ করছে কি না, সেই পরীক্ষাও সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’’

    সৌরমিশনের আরও খুঁটিনাটি

    সূর্যের উপর গবেষণা চালানোর জন্য রয়েছে ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট। জানা যায়, গণিতবিদ জোসেফ লুইস ল্যাগ্রাঞ্জ এই পয়েন্টের আবিষ্কারক ছিলেন। এখান থেকে নিরাপদ ভাবে সূর্যকে নিরীক্ষণ (Aditya-L1) করা যায়। পর্যবেক্ষণ করা যায়। কোন রকমের বাধাবিঘ্ন ছাড়াই। সব তথ্য এখান থেকে হাতে পাওয়া সম্ভব। ইসরোর মহাকাশযান এই ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট থেকে এই সূর্যকে গবেষণা চালাবে। জানা গিয়েছে, এই মহাকাশযান আগামী পাঁচ বছর ধরে সূর্যকে নিরীক্ষণ করবে। প্রসঙ্গত, সূর্যকে পর্যবেক্ষণ (Aditya-L1) করতেই প্রথম কোনও উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। স্যাটেলাইটে রয়েছে মোট সাতটি যন্ত্র। এই উপগ্রহের মূল পেলোডটি তৈরি করেছেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্র ফিজিক্সের বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, আদিত্য এল-১ (Aditya-L1) তার গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় নেবে ১২৫ দিন। যেখানে এই স্যাটেলাইট পাঠানো হচ্ছে সেখান থেকে পৃথিবীর দূরত্ব ১৫ লাখ কিলোমিটার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘ইন্ডিয়া’ নয়, কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, জানাল আরও একটি রিপোর্ট

    BJP: ‘ইন্ডিয়া’ নয়, কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, জানাল আরও একটি রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যে বিজেপির (BJP) নেতৃত্বাধীন এনডিএ-ই ক্ষমতায় ফিরছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে একাধিক সমীক্ষা। এবার সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবেও জানা গেল এনডিএকে সিংহাসনচ্যুত করা ‘ইন্ডিয়া’র ‘কম্ম’ নয়। বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল।

    অঙ্কের হিসেব

    বৃহস্পতিবার থেকে মুম্বইয়ে শুরু হয়েছে দুদিন ব্যাপী এই জোটের তৃতীয় বৈঠক। সেই সময়ই প্রকাশ্যে এল অঙ্কের হিসেব। ২০১৯ সালের নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করেই জানা গেল, কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় আসছে এনডিএ। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ পেয়েছিল ৩৮.৫ শতাংশ ভোট। উল্টো দিকে ‘ইন্ডিয়া’র (তখন অবশ্য ‘ইন্ডিয়া’ নাম ছিল না) জোট সঙ্গীদের প্রাপ্ত ভোট ছিল শতাংশের হিসেবে ৩৮। সেবার ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছিল ১৫৮টি আসন। এনডিএ পেয়েছিল ২২৪টি আসন। শতাংশের হিসেবে ৫০।

    ভোট বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি

    ভোট বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, বিজেপি বিরোধী সব দলগুলির ভোট ‘ইন্ডিয়া’র ঝুলিতে পড়লে এনডিএকে জোর লড়াই দেবে ইন্ডিয়া। তাঁদের মতে, ত্রিমুখী বা চতুর্মুখী লড়াই হলে ভোট কাটাকুটির খেলায় এতদিন বেরিয়ে যেতেন এনডিএ প্রার্থী। এবার লড়াই হবে মুখোমুখি। একদিকে এনডিএ প্রার্থী। অন্যদিকে থাকবেন ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থী। সেই কারণেই তাঁরা এনডিএ নয়, এগিয়ে রাখছেন ‘ইন্ডিয়া’কে। তবে, সেটা ২-৩ শতাংশ আসনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

    ইক্যুইটি ব্রোকার আইআইএফএল সিকিউরিটিজ জানিয়েছে, লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে এরকম হতে পারে ১৭টি আসনে। তা হলেও, এনডিএ (BJP) পাবে অন্তত ম্যাজিক ফিগার ২৭২টিরও বেশি আসন। এদের মতে, যদি ২ শতাংশ ভোটও স্যুইং করে ‘ইন্ডিয়া’র ঝুলিতে যায়, তাহলেও এনডিএ পাবে ২৮৫টির মতো আসন। চলতি বছর পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেক্ষেত্রে যদি এনডিএ-র ফল খারাপ হয়, তার একটা প্রভাব অবশ্য পড়বে লোকসভা নির্বাচনে। আইআইএফএলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ছত্তিসগড়ে কংগ্রেস ফিরতে পারে। তবে রাজস্থানের ক্ষমতার রাশ কংগ্রেসের হাত থেকে যেতে পারে বিজেপির হাতে। প্রসঙ্গত, সি-ভোটার এবং ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্সের সমীক্ষাও বলছে, লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জয়ী হবে যথাক্রমে ৩০৬ ও ৩১৮টি আসনে।

    আরও পড়ুুন: তিলকে আপত্তি মমতার! ভিডিও পোস্ট করে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে খোঁচা সুকান্তর

    ‘ইন্ডিয়া’কে ‘স্বার্থপরদের জোট’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

    এদিকে, ‘ইন্ডিয়া’কে ‘স্বার্থপরদের জোট’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি (BJP) মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। তিনি বলেন, “ইন্ডিয়ায় যে ‘কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেখানে আলোচনা হয়েছে ‘কোরাপশনস ম্যাক্সিমাম প্রফিট’ নিয়ে। কারণ এই দলগুলির সম্মিলিত দুর্নীতির পরিমাণ ২০ লক্ষ কোটির বেশি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হচ্ছে, তাকে আটকে দেওয়াই লক্ষ্য তাদের।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Rafale-M Fighters: চলছে দর কষাকষি! রাফাল-এম চুক্তি করতে ভারতে ফরাসি দল

    Rafale-M Fighters: চলছে দর কষাকষি! রাফাল-এম চুক্তি করতে ভারতে ফরাসি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফ্রান্স সফরের ঠিক পরেই নৌসেনার জন্য ২৬টি রাফাল-এম (ফরাসি যুদ্ধবিমানের মেরিন বা নৌ-সংস্করণ) কেনার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র (Rafale-M Fighters)। উন্নতমানের এই যুদ্ধবিমানগুলোকে ভারতের বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিরাট-এ মোতায়েন করা হবে। এবার সেই চুক্তির বিষয়বস্তু (Navy Fighter Jet Deal) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে ও তাকে বাস্তব রূপ দিতে সম্প্রতি ভারতে এসেছিল ফরাসি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তার নেতৃত্বাধীন দল। 

    চুক্তি মূল্য ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার!

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ভারতে যে প্রতিনিধি দল এসেছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন ফরাসি প্রতিরক্ষা বিষয়ক দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত (এশিয়া অঞ্চল) আধিকারিক। অন্যদিকে, ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন নৌসেনার উপ-প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল জনক বেভলি। সূত্রের খবর, চুক্তি (Navy Fighter Jet Deal) সংক্রান্ত পরবর্তী ধাপগুলোর আলোচনা করতেই ভারত সফরে আসা ওই প্রতিনিধি দলের। জানা যাচ্ছে, মোট চুক্তি মূল্য হতে পারে ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার। দুপক্ষের মধ্যে দর কষাকষি চলবে এখন।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় নৌসেনায় আসছে ২৬টি ‘রাফাল এম’ যুদ্ধবিমান! ট্যুইটে ঘোষণা দাসোর

    এফ-১৮ সুপার হর্নেটকে হারিয়ে বরাত জেতে রাফাল-এম

    নৌসেনার জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান (Rafale-M Fighters) কিনতে ইচ্ছাপ্রকাশ করে ভারত। সেই মোতাবেক, একাধিক সংস্থা ভারতের এই বরাত পাওয়ার দৌড়ে অবতীর্ণ হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে, দুই বিমানের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। একটি ছিল ফরাসি সংস্থা দাসো নির্মিত রাফাল-এম। অন্যটি, মার্কিন বোয়িং নির্মিত এফ-১৮ ই/এফ সুপার হর্নেট। শেষমেশ, ফরাসি রাফাল নির্বাচিত করে ভারত। জুলাই মাসে এই মর্মে, প্রস্তাব পাশ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (Navy Fighter Jet Deal)। 

    ভারতের প্রয়োজনতীয়তাকে গুরুত্ব ফ্রান্সের

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, আলোচনায় ফরাসি দল জানিয়েছে, ভারতের প্রয়োজনতীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে তারা রাফাল (Rafale-M Fighters) উৎপাদনের সংখ্যা বর্তমানে বছরে ১৮ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ পর্যন্ত করতে পারে। অন্যদিকে, ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন যুদ্ধবিমানগুলোতে দেশীয় আকাশ-থেকে-আকাশ মাঝারি পাল্লার অস্ত্র মিসাইলকে যুক্ত করার সংস্থান থাকতে হবে। এই চুক্তি রূপায়িত হলে ভারতীয় নৌসেনার শক্তি এক লাফে কয়েকগুন বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    ভারত-ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক দীর্ঘ

    এখানে বলে দেওয়া যাক, এর আগে, ২০১৫ সালে মোদির ফ্রান্স সফরে ৩৬টি রাফাল কেনার বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল। একেবারে, দুই সরকারের মধ্যে ওই চুক্তি মোতাবেক ভারত ফ্রান্সের থেকে একেবারে তৈরি অবস্থায় (ফ্লাই-অ্যাওয়ে) ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান বায়ুসেনার জন্য কেনা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ভারতে এসেছে সেই যুদ্ধবিমানগুলি। এর অনেক আগে, ১৯৮০ সালে মিরজ বিমানও কিনেছিল ভারত। এখনও সেই যুদ্ধবিমানের দুটি স্কোয়াড্রন ভারতীয় বায়ুসেনার অংশ। ২০০৫ সালে ৬টি স্করপিন ক্লাস ডিজেল সাবমেরিন ফ্রান্স থেকে এসেছিল ভারতে। আরও ২টোর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সম্প্রতি। সেই সঙ্গে আসছে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান (Rafale-M Fighters)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তিলকে আপত্তি মমতার! ভিডিও পোস্ট করে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: তিলকে আপত্তি মমতার! ভিডিও পোস্ট করে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিডিও পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে বিঁধলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতির পোস্ট করা ওই ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপালে তিলক এঁকে দিতে যাচ্ছেন এক মহিলা। কিন্তু দ্রুত মাথা সরিয়ে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত তুলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে আমি লাগাবো না তিলক। এমনটাই দেখা যাচ্ছে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) পোস্ট করা ওই ভিডিওতে।

    সুকান্ত মজুমদারের পোস্ট করা ভিডিও 

    এই নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি তাঁর ট্যুইটার (অধুনা এক্স) হ্যান্ডেলে লিখছেন, ‘‘তৃণমূল সুপ্রিমো লম্বা-চওড়া বক্তব্য রাখেন তাঁর নিজস্ব ব্র্যান্ড ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে। আর সম্মানীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sukanta Majumdar) নমাজের সময় মাথায় ঢাকতে পারেন কিন্তু টিকা নিতে পারেন না। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে তিনি রাজবংশীদের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যকে অপমান করেছেন।’’

    প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন নেটিজেনদের 

    সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) পোস্ট করা এই ভিডিওতে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়াও সামনে এসেছে। একজন লিখছেন, ওনার মাথায় হিজাব ভালো লাগে। আর একজন লিখছেন, গেরুয়া তিলকে কেমন বিজেপি বিজেপি গন্ধ আছে, ওসব কপালে পরলে রাষ্ট্রবাদের রোগ হয়ে যাবে। আর একজন লিখছেন, ওসব কপালে পরলে কী করে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাবেন বাংলাকে? আর প্রধানমন্ত্রীই  বা হবেন কীভাবে স্বাধীন পশ্চিম বাংলাদেশের?

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল সমাবেশে বেফাঁস মন্তব্য, চটে লাল রাজবংশী, মতুয়ারা, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুরও

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durand Cup: রবিবার কলকাতা ডার্বি, ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল

    Durand Cup: রবিবার কলকাতা ডার্বি, ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ফের মুখোমুখি হতে চলেছে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। সৌজন্যে কলকাতা ডার্বি (Durand Cup)। ১৯ বছর পর ফের ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মুখোমুখি সবুজ-মেরুন ও লাল-হলুদ। বৃহস্পতিবার গোয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ওঠে মোহনবাগান। এদিন শুরুতে এক গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে নেয় বাগান। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফল ছিল ১-১। মোহনবাগানের হয়ে দুটি গোল করেন জেসন কামিন্স ও আর্মান্দো সাদিকু। আর গোয়ার হয়ে গোলটি করেন নোহা। এদিকে, আগের সেমিফাইনালে নর্থইস্টকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল। সেই কারণেই রবিবার মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।

    আক্রমনাত্মক গোয়া

    এদিন শুরুর দিকে এফসি গোয়াকে আক্রমনাত্মক খেলতে (Durand Cup) দিলেও, ম্যাচ ধরে খেলার দিকে নজর দেয় বাগান। তাই জাঁকিয়ে বসার চেষ্টা করে গোয়া। ১০ মিনিটে একাধিকবার বাগানের সুপার জায়ান্টসের বক্সে ঢুকে যায় গোয়া। মাঝমাঠের দখলও নিয়ে নেয় তারা। ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় আক্রমণ শুরু করে মোহনবাগান। যদিও গোয়ার বক্সে ঢুকে পড়লেও, গোল করতে পারেনি। ১৬ মিনিটের মাথায় ফের আক্রমণ। অবশ্য গোল পায়নি বাগানি সেনারা। ২৩ মিনিটের মাথায় গোল করেন গোয়ার নোহা। ১ গোলে এগিয়ে যায় গোয়া।

    ঝড় তোলে মোহনবাগান

    তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে মোহানবাগান। তার আগে অবশ্য ৪২ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায় বাগান। বক্সে ঢোকার চেষ্টা করেন সাহাল আবদুল সামাদ। তাঁকে ফাউল করেন গোয়ার ডিফেন্ডার। সাদা চোখে মনে হচ্ছিল ফাউল (Durand Cup) হয়েছে বক্সের বাইরে। গোয়ার ফুটবলাররাও সেই দাবি জানান লাইন্সম্যান ও রেফারির কাছে। কিন্তু রেফারি পেনাল্টি দেন। স্পট থেকে গোল করেন কামিংস। ১-১ গোলে বিরতিতে যায় দু দল।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল সমাবেশে বেফাঁস মন্তব্য, চটে লাল রাজবংশী, মতুয়ারা, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুরও

    দ্বিতীয়ার্ধে হুগো বোমাসকে তুলে নামানো হয় সাদিকুকে। নেমেই বাজিমাত করেন তিনি। ৬২ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে জয়সূচক গোলটি করেন তিনি। খেলা শেষের দিকে বক্স থেকে বক্সে খেলা হচ্ছিল। গোল শোধ করে সমতা আনার মরিয়া চেষ্টা করছিল গোয়া। ডিফেন্স করছিল বাগানি সেনারা। শেষতক আর গোল করতে পারেনি গোয়া। ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে মোহনবাগান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Special Session: সংসদের পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশন সেপ্টেম্বরে, কেন জানেন?  

    Parliament Special Session: সংসদের পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশন সেপ্টেম্বরে, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হয়েছে নির্দিষ্ট দিনেই। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ফের বসতে চলেছে পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশন (Parliament Special Session)। বৃহস্পতিবার ট্যুইট-বার্তায় একথা জানিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তিনি জানান, ১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই অধিবেশন চলবে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অমৃতকালের মধ্যেই ফলপ্রসূ আলোচনা হবে বলে আশাবাদী।  

    দানা বেঁধেছে জল্পনা

    তবে ঠিক কী কারণে এই বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন, তা জানা যায়নি। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে জল্পনা। দিন কয়েক আগেই তৃণমূল নেত্রী তথা ‘ইন্ডিয়া’র অন্যতম নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সরকার লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আনতে পারে। ‘ইন্ডিয়া’র আর এক নেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে দাবি করেছেন রাজস্থান সহ চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গেই লোকসভা নির্বাচন (Parliament Special Session) করিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকায় এইসব জল্পনার পালে লেগেছে হাওয়া।

    জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন?

    অন্য একটি অংশের মতে, গত বাদল অধিবেশনে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সংক্রান্ত বিল পেশ করার পরিকল্পনা করেছিল মোদি সরকার। বিশেষ অধিবেশন ডেকে সেই বিলই পাশ করিয়ে নিতে চাইছে সরকার। জম্মু-কাশ্মীরে যে কোনও সময় নির্বাচন করতে প্রস্তুত সরকার। বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টে একথা জানিয়েছে কেন্দ্র।

    সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বিশেষ অধিবেশন ডাকা হতে পারে বলেও ছড়িয়েছে জল্পনা। ইচ্ছে থাকলেও, বাদল অধিবেশনে বেশ কয়েকটি বিল পাশ করতে পারেনি সরকার। এর মধ্যে রয়েছে ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত তিনটি বিলও। বিশেষ অধিবেশনে সেই বিলও সরকার পাশ করিয়ে নিতে পারে বলে ধারণা অনেকের।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল সমাবেশে বেফাঁস মন্তব্য, চটে লাল রাজবংশী, মতুয়ারা, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুরও

    অসমর্থিত সূত্রের খবর, পুরনো সংসদ ভবন থেকে সবকিছু নতুন (Parliament Special Session) সংসদ ভবনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। সেই কারণেও আয়োজন করা হতে পারে বিশেষ অধিবেশনের। এ ব্যাপারে সরকারি তরফে কিছু না বলা হলেও, এই বিশেষ অধিবেশন নয়া ভবনেই বসতে পারে বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Murshidabad: কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা, খুনিকে ফাঁসির সাজা

    Murshidabad: কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা, খুনিকে ফাঁসির সাজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালের ২ মে বহরমপুর (Murshidabad) গোরাবাজারে একটি মেসের সামনে ছুরি দিয়ে, নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করা হয় মালদার ইংলিশ বাজারের সুতপা চৌধুরীকে। আদালত আজ সুশান্তকে এই খুনের শাস্তি হিসাবে মৃত্যু দণ্ডাদেশ শুনিয়েছেন। খুনির শাস্তি ঘোষণায় স্বস্তি পেল পরিবার। 

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল (Murshidabad)?

    সুতপা চৌধুরী বহরমপুর (Murshidabad) গার্লস কলেজের জিওলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি গোরাবাজারে একটি মেস ভাড়া নিয়ে পড়াশোনা করতেন। উল্লেখ্য সুতপার সঙ্গে মালদার বাসিন্দা সুশান্ত চৌধুরীর সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। সুতপা এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করছিল আর তার ফলস্বরূপ গত ২ মে ভর সন্ধ্যায় বহরমপুর গোরাবাজারে সুইমিং পুলের কাছে সুতপাকে, তার মেস থেকে ডেকে এনে, রাস্তায় ফেলে, নৃশংসভাবে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে সুশান্ত চৌধুরী। সুতপার শরীরে ৪২ বার ছুরি চালিয়েছে সুশান্ত। ঘটনাস্থল থেকে সুশান্ত পালিয়ে গেলেও মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের তৎপরতায় ধরা পড়ে সুশান্ত। পরে সুশান্ত এই ঘটনার সমস্ত দোষ স্বীকার করে নেয়।

    আদালতে ফাঁসির রায় ঘোষণা

    গত পরশু মঙ্গলবার বহরমপুরে (Murshidabad) দ্রুত নিস্পত্তি আদালতে এই মামলার রায় শুনতে বহরমপুরের সাধারণ মানুষ আইনজীবী থেকে লক্লার্ক ভিড় জমান। এই আদালতের বিচারক গত সপ্তাহে বন্ধু প্রকাশ পাল খুনের অপরাধে উৎপল বেহারাকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। সেই কারণে সুতপা চৌধুরী খুনের মামলায় বহরমপুরের বাসিন্দাদের আলাদা নজর ছিল। গত পরশু মঙ্গলবার বিকেলে সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ২৮ অস্ত্র আইনে বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সুশান্ত চৌধুরীকে বহরমপুরের তৃতীয় দ্রুত নিষ্পত্তি (ফাস্ট ট্র্যাক) আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক সুশান্ত চৌধুরী ফাঁসির সাজা শোনান। সুশান্ত চৌধুরী ফাঁসির সাজা শোনার পরে আত্মীয় পরিজনদের দিকে তাকিয়ে কেঁদে ফেলেন। সুশান্তের আইনজীবী পীযূষ ঘোষ বলেন যে তার মক্কেল একজন মেধাবী ছাত্র, তার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রার্থনা করেছিলাম, মহামান্য আদালত তার মৃত্যুদণ্ড আদেশ দিয়েছেন। আইনজীবী আরও বলেন, রায়ের কপি পাওয়ার পর সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Titagarh Wagons: আমেদাবাদ মেট্রোর ১০টি রেক তৈরির বরাত পেল বাংলার টিটাগড় ওয়াগন

    Titagarh Wagons: আমেদাবাদ মেট্রোর ১০টি রেক তৈরির বরাত পেল বাংলার টিটাগড় ওয়াগন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গুজরাটের মেট্রোর রেক (Ahmedabad Metro Phase 2) তৈরি হবে বাংলার টিটাগড়ে (Titagarh Wagons)। গুজরাট রেল কর্পোরেশন ৩৫০ কোটি টাকার বরাত দিল টিটাগড় রেল সিস্টেমকে। এই মেট্রো প্রকল্পের নির্মাণ, নকশা তৈরি সহ যাবতীয় কাজ এবং পরীক্ষা করার কাজ করবে টিটাগড় ওয়াগন। বাংলার জন্য এই বরাদ্দ অত্যন্ত সুখবর বলেই অনেকে মনে করছেন।

    টিটাগড় রেল সিস্টেমের ডিরেক্টরের বক্তব্য (Ahmedabad Metro Phase 2)

    টিটাগড় রেল সিস্টেমের (Titagarh Wagons) ডিরেক্টর পৃথ্বীশ চৌধুরি বলেন, আগামী ৭০ সপ্তাহের মধ্যে মেট্রোর রেক তৈরি হবে। হুগলির উত্তরপাড়ায় সংস্থার যে প্ল্যান্ট রয়েছে, সেখানেই তৈরি হবে এই রেক। তিনি আরও বলেন, মোটামুটি আগামী ৯৪ সপ্তাহের মধ্যে আমেদাবাদে (Ahmedabad Metro Phase 2) রেক পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। বরাত অনুযায়ী টিটাগড়ে মোট ১০ টি রেক তৈরি হওয়ার কথা হয়েছে। আমেদাবাদে এই দ্বিতীয় মেট্রো প্রকল্পে খরচ হবে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আরও জানা গেছে, আমেদাবাদে এখনও পর্যন্ত যতটা মেট্রো সম্প্রসারণ হয়েছে, তার সঙ্গে আরও ২৮.২ কিমি নতুন পথ সংযোজন হবে। উল্লেখ্য, আমেদাবাদ মেট্রো প্রকল্পের প্রথম পর্বে, টিটাগড় ওয়াগন ৮৫০ কোটির কাজ করেছিল। এছাড়াও সুরাটের মেট্রো প্রকল্পে মোট ২৪ টি রেক তৈরির কাজ করেছিল এই টিটাগড় ওয়াগন (Titagarh Wagons)। এবার তারা আরও নতুন বরাত পেল।

    আমেদাবাদ মেট্রো প্রকল্প

    আমেদাবাদে দ্বিতীয় পর্যায়ের মেট্রো প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শিলান্যাস করেছিলেন তিনি। সেই সময় এই প্রকল্পের কাজের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজয় রুপানি এবং রাজ্যপাল ছিলেন আচার্য দেবদ্রাত। এছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে ছিলেন অমিত শাহ এবং হরদ্বীপ সিং পুরী। সেই সময় মোট মেট্রোর পথ ছিল ২৮.২৫৪ কিমি এবং আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল ৫৩৮৪.১৭ কোটি টাকা। আমেদাবাদের মেট্রো প্রকল্পের সঙ্গে বাংলার নাম জুড়ে যাওয়ায় অনেকেই খুশি। 

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূল সমাবেশে বেফাঁস মন্তব্য, চটে লাল রাজবংশী, মতুয়ারা, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুরও

    BJP: তৃণমূল সমাবেশে বেফাঁস মন্তব্য, চটে লাল রাজবংশী, মতুয়ারা, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুল সংশোধন না করলে ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বুধবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন গাইঘাটার বিধায়ক বিজেপির (BJP) সুব্রত ঠাকুর। কেবল মতুয়ারা নন, তৃণমূল সুপ্রিমোকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজবংশীরাও। দুই সম্প্রদায়ের এহেন হুঁশিয়ারিতে যারপরনাই বিব্রত তৃণমূল নেত্রী। নেত্রীকে বাঁচাতে দলের তরফে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করা হয়েছে বটে, তবে তাতে যে কাজ হয়নি, সুব্রতর হুঁশিয়ারিতেই তা স্পষ্ট।

    তৃণমূল নেত্রীর বেফাঁস মন্তব্য

    ২৮ অগাস্ট ধর্মতলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে স্বশরীরের এক একটি অঙ্গের সঙ্গে তুলনা করছিলেন এক একটি জাতিকে। মতুয়া ও রাজবংশীদের তিনি তুলনা করেন তাঁর পায়ের সঙ্গে। তৃণমূল নেত্রীর এহেন মন্তব্যে বেজায় চটেছেন এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষ। মমতার বক্তব্যের নিন্দা করে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন।

    ক্ষোভ উগরে দিলেন মতুয়ারা

    বুধবার ক্ষোভ উগরে দেন মতুয়ারাও (BJP)। মতুয়া মহাসংঘের মহাসংঘাধিপতি তথা বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর বলেন, “এর আগেও উনি (মমতা) আমাদের ঠাকুর সম্পর্কে বিকৃত মন্তব্য করেছেন। সমাজের পিছিয়ে রাখা মানুষগুলোকে নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করে যাচ্ছেন। এটা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের শোভা পায় না। আমরা রাজবংশীদের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিবাদ করব।” তৃণমূল নেত্রীর ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে ট্যুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    আরও পড়ুুন: একই ব্যাঙ্কে আলাদা নামে দুই অ্যাকাউন্ট রুজিরার! ফাঁসতে পারেন অভিষেকের স্ত্রী?

    তিনি (BJP) লিখেছেন, “রাজবংশী শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল গিয়ে ‘রাজকীয় সম্প্রদায়’ অথবা ‘রাজার বংশধর’। ব্যুৎপত্তিবিদদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী কোচ রাজবংশের উত্তরাধিকারীদের একটি ধারা রাজবংশী জনজাতিগোষ্ঠীর সূচনা করেছিলেন। রাজবংশীদের একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দ্বিধায় তাঁদের নিজের পায়ের সঙ্গে তুলনা করে দিলেন। করতে পারলেন এমন? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া যায় যে বিভিন্ন সম্প্রদায় কতটা প্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তা বোঝাতে গিয়ে উনি নিজের দেহের অংশবিশেষের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, তাহলে কাউকে প্রশংসা করার জন্য নয়নের মণি, হৃদয় অথবা কর্মঠ বাহুর সঙ্গে তুলনা টানতেন। কখনও শুনেছেন কাউকে পায়ের সঙ্গে অথবা নখের সঙ্গে তুলনা করতে, প্রশংসাসূচক বক্তব্য রাখতে গিয়ে? কেউ তা করেন না। কারণ তা অপমানের শামিল বলেই গণ্য হয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

LinkedIn
Share