Tag: Bengali news

Bengali news

  • Fire in Train: আগ্রার কাছে পাতালকোট এক্সপ্রেসে আগুন! দাউ দাউ করে জ্বলছে কামরা

    Fire in Train: আগ্রার কাছে পাতালকোট এক্সপ্রেসে আগুন! দাউ দাউ করে জ্বলছে কামরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলন্ত পাতালকোট এক্সপ্রেসে (Fire in Train) আগুন। দাউ দাউ করে জ্বলছে কামরা। চরম আতঙ্কের মধ্যে পড়লেন যাত্রীর। যখন আগুন লাগে তখন ট্রেনটি আগ্রা থেকে ঢোলপুরের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু মালপুরা স্টেশনের কাছেই এই বিপত্তি দেখা যায়। যদিও হতাহতের কোনও খবর নেই। ট্রেনের মধ্যে প্রথমে ধোঁয়া দেখা যায়, এরপর ইঞ্জিনের পরের চার নম্বর কামরা থেকে আগুন লাগার কথা জানা যায়। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চাল্য তৈরি হয় যাত্রীদের মধ্যে।

    কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা (Fire in Train)?

    ভারতীয় রেল সূত্রে জানা গেছে, পঞ্জাবের ফিরোজপুর থেকে মধ্যপ্রদেশের সিওনি পর্যন্ত যাত্রাপথ ছিল পাতালকোট এক্সপ্রেসের (১৪৬২৪)। হঠাৎ ট্রেনের (Fire in Train) মধ্যে আগুন লেগে যায়। ইঞ্জিনের পরে ৪ নম্বর জিএস কামরার মধ্যে আগুন লাগে। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটিকে থামিয়ে, আগুন লেগে যাওয়া কামরাকে দ্রুত আলাদা করে দেওয়া হয়। বড় বিপদের সম্ভাবন থাকলেও সঠিক সিদ্ধন্তের কারণে দুর্ঘটনা থেকে যাত্রীরা প্রাণে রক্ষা পেলেন।

    রেল সূত্রে বক্তব্য

    রেলের (Fire in Train) আগ্রা ডিভিশনের পিআর প্রশস্তি শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, “হতাহতের কোনও খবর নেই। ঘটনাটি ঘটেছে ৩ টে ৪৫ মিনিটে। কামরায় আগুন লাগলে, দ্রুত যাত্রীদের নামিয়ে নেওয়া হয়। তবে আগুনের কারণের বিষয়ে খোঁজখবর করা হচ্ছে। কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য

    ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, “আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন (Fire in Train) থামিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। এরপর দ্রুত আগুন লাগার কামরা থেকে, বাকি বগিগুলিকে আলাদা করে দেওয়া হয়। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখার দাপট এতটাই ছিল যে আগুন দ্রুত এক কামরা থেকে আরেক কামরায় ছড়িয়ে পড়েছিল। ট্রেনের যাত্রীরা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে এদিকে ওদিকে ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছিলেন। আগুন লাগা দুটি কামরাকে ট্রেনের বাকি কামরা গুলি থেকে দ্রুত নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে, আগুন নেভানোর জন্য কাজ শুরু করা হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Digha: দিঘায় সমুদ্রের জলে নামতেই যুবকের হাত-পা-পেট কেটে ক্ষতবিক্ষত! জানেন কী ঘটেছিল?

    Digha: দিঘায় সমুদ্রের জলে নামতেই যুবকের হাত-পা-পেট কেটে ক্ষতবিক্ষত! জানেন কী ঘটেছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিঘায় (Digha) পর্যটকের সঙ্গে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটল একাদশীর দিনে। সমুদ্রের জলে নামতেই আচমকা স্পিড বোটের ধাক্কায়, বোটের পাখার আঘাতে এক যুবকের হাত-পা-পেট কেটে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেল। যুবকের চিৎকার শুনে আশপাশের পর্যটক এবং পুলিশ তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে, দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় সৈকত নগরী দিঘায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। পর্যটকদের একাংশের দাবি, দিঘার জলে হাই স্পিড বোটের দাপাদাপি চলছে। পর্যটকদের সুরক্ষা বলে কিছু নেই।

    পুজোর ছুটিতে সমুদ্র সৈকত দিঘায় পর্যটকদের বেড়াতে যাওয়ার বিপুল উন্মাদনা দেখা যায়। সমুদ্রের জলে স্নান থেকে শুরু করে স্পিড বোটে ঘোরাফেরার মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। ঢেউয়ের জলে গা ভাসিয়ে আনন্দের স্বাদ নিতে আগ্রহী থাকেন দর্শকরা। কিন্তু অতিরিক্ত ভিড় এবং নিয়ন্ত্রণবিহীন স্পিড বোটের চলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে। আর এদিন এমন ঘটনাই ঘটেছে। যুবকের আহত হওয়ার ঘটনা ফের পর্যটকদের সুরক্ষার বিষয়কে প্রশ্নের মুখে তুলে দিল।

    আহত পর্যটকের পরিচয় কী (Digha)?

    স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই আহত যুবকের নাম স্বরূপ আলি মোল্লা। তাঁর বাড়ি রাজারহাট বিদ্যাধরপুর এলাকায়। চার বন্ধু মিলে দশমীর দিনে দিঘায় ঘুরতে যান এবং এরপর একাদশীর দিনেই নিউ দিঘার (Digha) হলি ডে হোম ঘাটে, স্নান করতে গিয়ে এই বিপত্তি ঘটে। পর্যটকদের মরশুমে স্পিড বোটের চলাচল নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে, সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বোটের পাখার ধাক্কায় গুরুতর জখম হলে, প্রথমে ওই যুবককে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, এরপর পরবর্তী সময়ে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে, তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানা গেছে।

    পুলিশের বক্তব্য

    দিঘা (Digha) থানার এক আধিকারিক বলেন, “ঘটনা যা ঘটেছে তার সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঠিক কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে বিশেষ ভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্পিড বোটের মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটি, নাকি অসাবধানতার কারণে এমন বিপত্তি ঘটল, সেই বিষয়টিও ভেবে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্পিড বোটের চালককে থানায় ডাকা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Enforcement Directorate: এসএসকেএমকে চিঠি দিল ইডি, চাইল সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা

    Enforcement Directorate: এসএসকেএমকে চিঠি দিল ইডি, চাইল সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিল ইডির (Enforcement Directorate) বিশেষ আদলত। এসএসকেএমের মেডিক্যাল টিম জানিয়েছে, কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অবস্থা অনেকটাই এখন ঠিক। আর তাই এবার অভিযুক্ত কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা দেওয়ার কথা বলে এসএসকেএমকে চিঠি দিল ইডি। ঘটনায় তদন্তের গতি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে বিরোধী শিবির।

    চিঠি দিল ইডি (Enforcement Directorate)

    প্রেসিডেন্সি জেলেও চিঠি পাঠিয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। জেলে থাকার সময় কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অবস্থা কেমন ছিল, তা জানতে চেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়, কাকু বিচারাধীন বন্দি, কেন এতদিন ধরে এসএসকেএমে রেখে দেওয়া হয়েছে? সম্প্রতি সবটা জানতে জেলেও যায় ইডি। ইতিমধ্যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নামে চার্জশিটও পেশ করেছে ইডি। আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ২০ কোটির লেনদেনের সঙ্গে কাকুর আরও ৩ কোটির যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। তাই ফের তদন্তকে আরও গতি দিতে সুজয়কৃষ্ণর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার কথা বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইডি। 

    ইডির দাবি

    ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রের খবর, সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঠানো চিঠিতে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করার কথা জানানো হয়েছে। উল্লখ্য, এসএসকেএমের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্যের ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির কর্তাদেরকে কালীঘাটের কাকুর গলার স্বরের টেস্টের জন্য ইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা বিচার ভবনের সিবিআই আদালতের বিচারক। ইডির এক কর্তার দাবি, কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি কাচের ঘরের প্রয়োজন। ঘর এমন হবে যাতে ঘরের বাইরে থেকে ভিতরে এবং ভিতর থেকে বাইরে কোনও শব্দ যাবে না। একজন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে এই নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। আর তাই এসএসকেএমকে এই ঘরের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

    দুই মাস ধরে এসএসকেএমে কাকু

    স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কিন্তু গ্রেফতারের পর থেকেই অসুস্থতার দাবি করেছেন বারবার। ইতিমধ্যে আকস্মিক তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুতে জেল থেকে প্যারোলে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। ঠিক পর পরই আবার অসুস্থ হয়ে এসএসকেএমে বুকে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন। এরপর অস্ত্রোপচার করার পর বর্তমানে সব মিলিয়ে দুই মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, তৃণমূলের অনেক বড় বড় নেতা, ইডি কিংবা সিবিআইয়ের হাতে আটক হলেই বার বার এসএসকেএমে ভর্তি হয়েছেন। উল্লেখ্য মদন মিত্র, অনুব্রত মণ্ডল, ববি হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের কাছে এই হাসপাতাল ছিল আশ্রয়ের প্রধান কেন্দ্র। অবশ্য বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূলের নেতারা দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার হলেই এসএসকেএমকে নিরাপদ জায়গা মনে করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dawood Malik: পাকিস্তানে আততায়ীর গুলিতে খতম মাসুদ আজহার ঘনিষ্ঠ লস্কর জঙ্গি দাউদ মালিক

    Dawood Malik: পাকিস্তানে আততায়ীর গুলিতে খতম মাসুদ আজহার ঘনিষ্ঠ লস্কর জঙ্গি দাউদ মালিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে ফের অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীর হাতে খুন হল আরেক জঙ্গি-নেতা (Terrorist Killed in Pakistan)। পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত শুক্রবার পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মিরালি এলাকায় অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজের গুলিতে খুন হয়েছে লস্কর-ই-জব্বরের প্রতিষ্ঠাতা দাউদ মালিক (Dawood Malik)। দাউদের আরেকটি পরিচয় রয়েছে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিল এই দাউদ। এই নিয়ে পাকিস্তানে সাম্প্রতিককালে দুই শীর্ষ জঙ্গি-নেতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী খুন হল। এর আগে, অক্টোবরের গোড়ায় করাচিতে ব্যস্ত রাস্তায় মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের অন্যতম সহযোগী মুফতি কায়সর ফারুককে খুন করে পালায় অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীরা।

    গুলি করেই চম্পট মুখোশধারী আততায়ীর

    প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, হত্যাকারী মুখোশ পরে এসেছিল। ফলে তাকে চিহ্নিত করা যায়নি। দিনের বেলা সকলের সামনেই মাসুদ ঘনিষ্ঠ দাউদকে (Dawood Malik) গুলিতে ঝাঁঝরা করে চম্পট দেয় ওই আততায়ী। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ ধরা পড়েনি। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের প্রত্যন্ত ওয়াজিরিস্তানের উত্তরাংশে লোকচক্ষুর অন্তরালে কার্যত গর্তের মধ্যে লুকিয়ে থাকত কট্টর এই জঙ্গি নেতা। কিন্তু, চিকিৎসার জন্য সেদিন একটি ক্লিনিকে গিয়েছিল দাউদ মালিক। সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে একাধিক ভারত বিরোধী কার্যকলাপ এবং সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল দাউদ মালিক।  

    ১৯ মাসে পাকিস্তানে খুন ১৭ ভারত-বিরোধী জঙ্গি-নেতা

    সাম্প্রতিককালে, পাকিস্তানে পর পর অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর হামলায় খতম হয়ে চলেছে একের পর এক জঙ্গি-নেতা (Terrorist Killed in Pakistan)। পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৯ মাসে পাকিস্তানের মাটিতে ১৭ জন ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসবাদী নেতা খুন হয়েছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে, গত ১১ অক্টোবর, শিয়ালকোটে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদের শীর্ষ নেতা তথা পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হওয়া জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড শাহিদ লতিফকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে খতম করে দুই অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী। তার আগে, অক্টোবরেই মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের অন্যতম সহযোগী মুফতি কায়সর ফারুককে খুন করা হয়েছিল পাকিস্তানে। করাচিতে এক অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী ওই জঙ্গিকে গুলি করে হত্যা করে। 

    গত মাসে, জঙ্গি মহম্মদ রিয়াজকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে রাওয়ালকোটের একটি মসজিদে খুন করে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা। আবু কাসিম কাশ্মীরি নামেও পরিচিত ছিল মহম্মদ রিয়াজ। ১২ সেপ্টেম্বর করাচিতে খুন হয় মৌলানা জিয়াউর রহমান। লস্কর-ই-তৈবার এই জঙ্গির বিরুদ্ধে ভারতে একাধিক হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। এর আগে পাক মাটিতে খুন হয় মিস্ত্রি জহুর ইব্রাহিম। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তার মাথায় দু’বার গুলি করে আততায়ী। ভারতের আইসি-৮১৪ বিমান হাইজ্যাকিংয়ের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল কুখ্যাত এই জঙ্গিনেতা।

    তার আগে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে আইএসআই সদর দফতরের সামনেই অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর গুলিতে হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার বশির পীর নিহত হয় (Terrorist Killed in Pakistan)। গত বছর তাকে সন্ত্রাসবিরোধী ঘোষণা করেছিল ভারত। এর ঠিক ২ দিন পর, ২২ ফেব্রুয়ারি ইজাজ আহমেদ আহঙ্গার নামে এক জঙ্গিকে আফগানিস্তানের কাবুলে খতম করা হয়। ইজাজ ভারতে ইসলামিক স্টেট-এর শাখা চালু করতে চাইছিল। এর কিছুদিন পর আল বদর জঙ্গিগোষ্ঠীর কমান্ডার সৈয়দ খালিদ রাজাকে পাকিস্তানের করাচিতে তার বাড়ির বাইরে গুলি করে হত্যা করে এক অজ্ঞাপরিচয় আততায়ী। পরের মাসে ভারতের ওয়ান্টেডের তালিকায় থাকা সৈয়দ নূর শালোবারকে খুন করা হয়। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তাকে গুলি করে খুন করে। এই তালিকাতেই নবতম সংযোজন জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-জব্বরের প্রতিষ্ঠাতা দাউদ মালিক (Dawood Malik)। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclonic Storm Hamoon: বাংলাদেশে ল্যান্ডফল করে শক্তিক্ষয় ‘হামুন’-এর, এরাজ্য থেকে কি দুর্যোগ সরল?

    Cyclonic Storm Hamoon: বাংলাদেশে ল্যান্ডফল করে শক্তিক্ষয় ‘হামুন’-এর, এরাজ্য থেকে কি দুর্যোগ সরল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্বাভাস মতোই, বাংলাদেশে আছড়ে পড়ল ‘হামুন’ (Cyclonic Storm Hamoon)। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, স্থলে প্রবেশ করার পরই দ্রুত শক্তিক্ষয় হয় ‘হামুন’-এর। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব আর পড়বে না পশ্চিমবঙ্গে (Weather Updates)। ফলে, এরাজ্যে দুর্যোগের কোনও সতর্কতা নেই।

    নিম্নচাপে পরিণত ঘূর্ণিঝড়

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে ল্যান্ডফল করে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ (Cyclonic Storm Hamoon)। ল্যান্ডফলের সময় সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার। দেওয়াল ও গাছ চাপা পড়ে কক্সবাজারে কমপক্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কক্সবাজারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়। মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টি হয় খুলনা, বরিশাল সহ একাধিক জেলায়। তবে, শক্তি হারিয়ে বর্তমানে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফলে, ঘূর্ণিঝড়ের (Weather Updates) প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালি, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, বরিশাল সহ একাধিক নীচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। একইসঙ্গে, উত্তর-পূর্ব ভারতেও বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, দক্ষিণ অসম এবং মেঘালয়ে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

    রাজ্যে বাড়বে শীতের আমেজ!

    এদিকে, মৌসম ভবন জানিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এর বাইরে খুব একটা প্রভাব পড়বে না এপার বাংলায়। পশ্চিমমঙ্গের পূর্বাভাসে (Weather Updates) বলা হয়েছে, আজ বৃষ্টিপাতের কোনও সতর্কতা নেই। রাজ্যে প্রধানত পরিষ্কার আকাশ থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। অর্থাৎ, এরাজ্যে দুর্যোগ (Cyclonic Storm Hamoon) কেটে গিয়েছে বলেই মনে করছে আবহাওয়া দফতর। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে— দিনভর আকাশ রোদ ঝলমলে থাকবে। তবে রাতের দিকে সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। স্বাভাবিকের তুলনায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে তাপমাত্রা। একইসঙ্গে, আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এবার ধীরে ধীরে কমবে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। বাড়বে শীতের আমেজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Railway Board DA Hike: দশেরাতেই দীপাবলি উপহার! ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল রেল, কর্মীদের মুখে হাসি

    Railway Board DA Hike: দশেরাতেই দীপাবলি উপহার! ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল রেল, কর্মীদের মুখে হাসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশেরাতেই দীপাবলির উপহার পেলেন রেলকর্মীরা! দশেরা ও দীপাবলি উপলক্ষে কর্মচারীদের জন্য সুখবর আনল ভারতীয় রেল। লক্ষাধিক কর্মচারীকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি (Railway Board DA Hike) ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল বোর্ড। এই ঘোষণার ফলে, রেল কর্মচারীদের ডিএ বর্তমানের ৪২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৬ শতাংশ হল। রেল বোর্ডের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নতুন হার ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। 

    ডিএ বৃদ্ধিতে খুশি কর্মচারীরা

    এই প্রেক্ষিতে অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেন’স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শিব গোপাল মিশ্র জানান, জুলাই থেকে কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধি আটকে ছিল। এমতাবস্থায় এটা পাওয়া ছিল কর্মচারীদের অধিকার। অবশেষে সেই কর্মচারীরা তাঁদের অধিকার পাচ্ছেন। এদিকে, রেল বোর্ডের এই ঘোষণাকে (Railway Board DA Hike) স্বাগত জানিয়েছে রেলের কর্মচারী ইউনিয়নগুলি। ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান রেলওয়েম্যানের সাধারণ সম্পাদক এম রাঘভাইয়া জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র মুদ্রাস্ফীতির হারের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির কোনও প্রভাব যাতে কর্মীদের ওপর না পড়ে তাই এই সিদ্ধান্ত।

    আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ১০ গুণ বাড়াল মোদি সরকার

    গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মীদেরও বোনাস

    এর আগে, রেলের নন-গ্যাজেটেড অফিসার বা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি স্তরের কর্মীদের জন্য দীপাবলি বোনাসের ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে ১১ লাখের বেশি রেলওয়ে কর্মী ৭৮ দিনের অতিরিক্ত বেতন পাচ্ছেন। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের ন্যূনতম বেতন বা বেসিক পে-র ওপর ভিত্তি করে এই বোনাস হিসেব করা হয়—যার ঊর্ধ্বসীমা ছিল ৭ হাজার টাকা। সেই হিসেব অনুযায়ী, ৭৮ দিনের হিসেবে এরফলে প্রায় ১৮ হাজার টাকা বোনাস (Railway Board DA Hike) পাবেন রেলওয়ে কর্মচারীরা। এই বোনাসের জন্য মোট ১৫ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Rajnath Singh: বিজয়া দশমীতে চিন-সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে অস্ত্র পুজো রাজনাথের

    Rajnath Singh: বিজয়া দশমীতে চিন-সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে অস্ত্র পুজো রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয় দশমীর দিন অরুণাচল প্রদেশের অস্ত্র পুজোয় অংশ নিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এর পাশাপাশি চিন সীমান্তও পরিদর্শন করেন তিনি। নিজের ভাষণে রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘দশেরা হল অশুভ শক্তির ওপর শুভ শক্তির বিজয়।’’ এদিন অরুণাচল প্রদেশে ১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধে শহীদ জওয়ান সুবেদার যোগিন্দর সিং এর স্মৃতিসৌধের শ্রদ্ধার্ঘ্যও নিবেদন করেন তিনি। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন আর্মি চিফ জেনারেল মনোজ পাণ্ডে, ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং জেলারেল আর পি কালিতা  সমেত সেনাবাহিনীর অন্যান্য সিনিয়র অফিসাররা।

    গতকাল প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন অসমে

    প্রসঙ্গত দুদিনের উত্তর-পূর্ব ভারত সফরে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর সফরের দ্বিতীয় দিনে অরুণাচল প্রদেশে পৌঁছান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। গত ২৩ অক্টোবর দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) ছিলেন অসমে। গতকালই অসমের তেজপুরে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে অবতরণ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিশেষ বিমান। সেখানকার স্থানীয় মেঘনা স্টেডিয়ামে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে নৈশভোজও সারেন তিনি। জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সারা দেশকে এক হওয়ার বার্তাও দেন রাজনাথ। পাশাপাশি জঙ্গি দমনে যেন সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকেও সজাগ থাকতে বলেন তিনি।

    দেশের অর্থনীতিতে অবদান রয়েছে সেনারও

    রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) গতকাল তাঁর ভাষণে জানান, প্রতি বছর বিজয়া দশমীর দিনটা তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গেই কাটান। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্ব সারা বিশ্বে বিখ্যাত। ভারতীয় অর্থনীতি বর্তমানে বিশ্বে পঞ্চম স্থানে পৌঁছেছে, ২০২৪ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্থনৈতিক মানচিত্রে ভারতের স্থান হবে তৃতীয়।’’ দেশের অর্থনীতির এমন উন্নয়নে সেনাবাহিনীরও যে অবদান রয়েছে, তাও নিজের বক্তব্যে বলেন রাজনাথ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Cyclonic Storm Hamoon: প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত ‘হামুন’! সম্ভাব্য ল্যান্ডফল বাংলাদেশে, এপার বাংলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Cyclonic Storm Hamoon: প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত ‘হামুন’! সম্ভাব্য ল্যান্ডফল বাংলাদেশে, এপার বাংলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গে ফের আরেকটা ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ নবমীর নিশিতেই ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এ (Cyclonic Storm Hamoon) পরিণত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ঘূর্ণিঝড় ওপার বাংলায় আছড়ে পড়বে। তবে, তার প্রভাবে ভিজবে এপার বাংলাও।

    দিঘা থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে হামুন

    দশমীর সকাল, অর্থাৎ আজ, মঙ্গলবার মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আরও শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘হামুন’। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, ইরানের নাম দেওয়া ঘূর্ণিঝড়টি দিঘা থেকে মাত্র ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে। প্রতি ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার গতিবেগে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে থেকে উত্তর-উত্তরপূর্বের দিকে সরছে ‘হামুন’। ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclonic Storm Hamoon) অভিমুখ বাংলাদেশ। একাদশীর দুপুরে চট্টগ্রাম লাগোয়া উপকূলে ল্যান্ডফল হতে পারে বলে অনুমান। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, ২৫ অক্টোবর নাগাদ বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভূমিতে প্রবেশ করতে পারে।

    তিন জেলায় ঝড়ষ্টির পূর্বাভাস

    মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সরাসরি এপার বাংলায় না পড়লেও, পরোক্ষ প্রভাবে বৃষ্টি বাড়তে পারে দশমী থেকেই। জানা যাচ্ছে, আজ, দশমী থেকে দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলা—উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আজ মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতেও। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclonic Storm Hamoon) প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের উপর দিয়ে ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সমুদ্র উত্তাল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। 

    অন্যদিকে, আরবসাগরেও তৈরি হয়েছে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়, ঘূর্ণিঝড় ‘তেজ’। নাম দিয়েছে ভারত। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি প্রাথমিকভাবে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগুলোও পরে রবিবার আরও শক্তিশালী হয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হয়ে দিক পরিবর্তন করবে। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে বাঁক নিয়ে এটি চরম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ওমান ও ইয়েমেনে সম্ভাব্য ল্যান্ডফল হতে পারে ‘তেজ’-এর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Durga Puja 2023: ‘উমা ফিরে আসছে…’, দশমীতে শিবের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয় নীলকণ্ঠ পাখি

    Durga Puja 2023: ‘উমা ফিরে আসছে…’, দশমীতে শিবের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয় নীলকণ্ঠ পাখি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যখন মোবাইল ফোন ছিল না, হোয়াটসঅ্যাপ ছিল না, ডাকঘরের পিওন ছিল না, তখন বার্তা পাঠানোর উপায় কী ছিল জানেন? রূপকথার গল্পে রাজকুমারী তার প্রেমিককে চিঠি লিখলে পৌঁছে দিত কে? বার্তাবাহক পাখির ভূমিকায় সবথেকে জনপ্রিয় পাখির নাম পায়রা। প্রাচীন যুগের পটভূমিকায় রচিত চলচ্চিত্রগুলিতে আমরা দেখেছি পায়রার গলায় বার্তা বেঁধে তাকে উড়িয়ে দেওয়া হত এবং নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে সেই বার্তা পায়রা পৌঁছে দিত। কোথাও হ্যাক হত না সেই বার্তা। এরকমই একটি পাখির কাহিনি প্রচলিত আছে, জানেন কি? যে পাখিকে পৌরাণিক মতে স্বয়ং মহাদেবের সঙ্গী মনে করা হয়। মহাদেবের বার্তাবাহক রূপে কাজ করে এই পাখি। এই পাখিই (Durga Puja 2023) কৈলাসে গিয়ে শিবকে খবর দেয় বাপের বাড়ি থেকে উমা আসছে। বিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম ইন্ডিয়ান রোলার।

    বিজয়া দশমীর দিন নীলকন্ঠ পাখির দেখা পাওয়াকে শুভ মনে করা হয়

    বিজয়া দশমীর দিন (Durga Puja 2023) নীলকন্ঠ পাখির দেখা পাওয়াকে শুভ এবং সৌভাগ্যদায়ী  বলে মনে করা হয়। কথিত আছে এই পাখিটি দেখা গেলে সম্পদ বৃদ্ধি পায়, জীবনের সমস্ত অশুভ প্রভাব বিনষ্ট হয়। ফলস্বরূপ, বাড়িতে নিত্য শুভ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হতে থাকে। নীলকন্ঠ পাখি দেখার বিষয়ে বিভিন্ন ধারণা রয়েছে। নীলকন্ঠ পাখি উড়ে যাও, সেই কৈলাসে যাও, খবর দাও, উমা আসছে তখন নীলকন্ঠ পাখি আগমনের বার্তা নিয়ে মহাদেবের কাছে এসেছিল। আরেকটি জনপ্রিয় বিশ্বাস হল, মনে করা হয়, রাবণবধের ঠিক আগে এই পাখিটির (Durga Puja 2023) দেখা পান রামচন্দ্র। আবার অন্য একটি পৌরাণিক মতে, রাবণবধের আগেও, সেতুবন্ধনের সময় হাজির হয়েছিল নীলকণ্ঠ পাখি। পথ দেখিয়ে রাম-সেনাকে লঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিল সে। এরকম পৌরাণিক কাহিনি থেকেই এই পাখির মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত জায়গায়। তখন থেকেই মনে করা হয়, এই পাখির দর্শন অত্যন্ত শুভ।

    নীলকণ্ঠ পাখি কেন কৃষকদের বন্ধু?

    আরও একটি মত রয়েছে এবিষয়ে। লঙ্কা বিজয়ে রাম ব্রাহ্মণ হত্যার পাপ করেছিলেন। কারণ দশানন রাবণ ছিলেন ব্রাহ্মণ। তখন লক্ষ্মণ সহ রামচন্দ্র শিবের পুজো করেছিলেন এবং ব্রাহ্মণকে বধ করার পাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। সেই সময় শিব নীলকন্ঠ পাখির রূপে পৃথিবীতে এসেছিলেন বলে অনেকের বিশ্বাস রয়েছে। নীলকণ্ঠ অর্থ, যার গলা নীল। দেবাদিদেব মহাদেব সমুদ্র মন্থন করার সময় বিষ পান করেছিলেন। কণ্ঠে সেই বিষকে ধারণ করার ফলে মহাদেবের কণ্ঠ নীল হয়ে যায়। তাই শিবের আর একটি নাম হল নীলকণ্ঠ। নীলকণ্ঠ পাখিকে (Durga Puja 2023) মর্ত্যলোকে শিবের প্রতিনিধি মানা হয় এবং দেবাদিদেব মহাদেবের রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জনশ্রুতি অনুসারে, শিব পৃথিবীতে নীলকণ্ঠ পাখি রূপেই ঘোরাফেরা করেন। এই পাখিটিকে কৃষকদের মিত্রও বলা হয়। কারণ নীলকণ্ঠ পাখি জমিতে ফসলের সাথে জড়িত পোকামাকড় খেয়ে কৃষকদের উপকার করে থাকে। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, একসময় দুর্গাপুজোর পর এই পাখিকে উড়িয়ে দেওয়া বনেদি ও জমিদার পরিবারগুলির ঐতিহ্য ছিল। যেমন কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়িতে আগে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হত বিজয়া দশমীর দিনে। এখন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ফলে এটা সম্ভব হয় না। তবে কাঠের বা মাটির নীলকন্ঠ পাখি তৈরি করে সেটি প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে জলে দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Carbon Credit: কার্বন ক্রেডিট পদ্ধতিতে অতিরিক্ত আয়ের মুখ দেখছেন যোগী রাজ্যের কৃষকরা

    Carbon Credit: কার্বন ক্রেডিট পদ্ধতিতে অতিরিক্ত আয়ের মুখ দেখছেন যোগী রাজ্যের কৃষকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বায়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উষ্ণায়নও। যা নিয়ে চিন্তিত আন্তর্জাতিক মহলগুলিও। বিশ্ব-উষ্ণায়নের ফলে ইতিমধ্যে গলতে শুরু করেছে মেরু প্রদেশের বরফও। আন্তর্জাতিক স্তরেও নানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবিষয়ে। চলতি বছরে ভারতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনেও একপ্রস্থ আলোচনা হয় বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে। এনিয়ে শুরু হয়েছে নানা প্রয়াস। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন বাড়ার প্রধান কারণ হল ক্লোরোফ্লুরো কার্বন এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড। বর্ধিত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমাতে ভরসা তাই গাছ  লাগানো।

    কার্বন ক্রেডিট পদ্ধতি আসলে কী?

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলিতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে কার্বন ক্রেডিট পদ্ধতির (Carbon Credit)। কার্বন ক্রেডিট পদ্ধতি হল এক টন কার্বন ডাই অক্সাইডের অথবা যে কোনও গ্রিনহাউস গ্যাসের সমান ভর। বিষয়টি সরলভাবে বোঝাতে গেলে গেলে বলতে হবে, যে পরিমাণ গাছ এক টন ভরের কার্বন ডাই-অক্সাইডকে পরিবেশ থেকে হ্রাস করতে পারে সেই পরিমাণের চারা রোপণকে কার্বন ক্রেডিট (Carbon Credit) বলে। ভারতবর্ষের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার এনিয়ে নীতিও গ্রহণ করেছে। যোগী রাজ্যে কার্বন ক্রেডিট নিয়ে বেশ উৎসাহী কৃষকরাও। কার্বন ক্রেডিট পদ্ধতির মাধ্যমে অতিরিক্ত আয়ের মুখও দেখছেন যোগী রাজ্যের কৃষকরা। সেরাজ্যের কৃষকরা,নিজেদের চাষযোগ্য জমির সীমানায় গাছ লাগাচ্ছেন। 

    কী বলছেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের বনমন্ত্রী?

    উত্তরপ্রদেশ সরকারের বনমন্ত্রী অরুণ কুমার সাক্সেনার মতে, ‘‘পরিবেশ রক্ষায় এবং গ্রিন হাউস গ্যাস পরিবেশ থেকে কমানোটা কখনোই আমাদের পক্ষে সম্ভব হতো না যদি না কৃষকরা এগিয়ে আসতেন।’’ বর্তমানে যোগী সরকার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে যে সে রাজ্যের বনাঞ্চল ৯.২৩ শতাংশ তেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশে নিয়ে যাবে। যোগী সরকারের নীতি অনুযায়ী, প্রতিটি কৃষককে আর্থিকভাবে সাহায্য করা হবে কার্বন ক্রেডিট প্রকল্পে (Carbon Credit)। এই প্রকল্পে রোপণ করা চারাগাছগুলিকে পরিচর্যা রক্ষণাবেক্ষণ সমেত দেখভাল করবেন কৃষকরা। বর্তমানে বাজারদর বলছে ৬টি কার্বন ক্রেডিটের মূল্য হল এক ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৩ টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share