Tag: Bengali news

Bengali news

  • BJP: প্রকাশ্যে গুলিতে ঝাঁঝরা বিজেপি নেতা, আততায়ীদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি উত্তরপ্রদেশে

    BJP: প্রকাশ্যে গুলিতে ঝাঁঝরা বিজেপি নেতা, আততায়ীদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি উত্তরপ্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হল এক বিজেপি (BJP) নেতাকে। উত্তরপ্রদেশের সম্বলের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোরদাবাদে বাড়ির সামনে হাঁটছিলেন অনুজ চৌধুরী নামে বছর চৌত্রিশের ওই যুবক। পিছন থেকে তিন দুষ্কৃতী তাঁকে গুলি করে চম্পট দেয়। বাড়ির বাইরে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে শিউরে ওঠা সেই খুনের ছবি। আততায়ীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

    শিউরে ওঠা খুনের দৃশ্য

    পুলিশ জানিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় বাড়ির বাইরে পরিচিত একজনের সঙ্গে গল্প করতে করতে হাঁটছিলেন ওই বিজেপি (BJP) নেতা। আচমকা বাইকে চড়ে আসা তিন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। অনুজ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আততায়ীরা পালায়। ওই বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এলাকারই এক বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসা চলাকালীন সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

    সন্দেহের তালিকায় 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুজ খুনের ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় রয়েছে অমিত চৌধুরী ও অনিকেত নামের দুই যুবক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই খুন বলে অনুমান পুলিশের। পুলিশের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু পক্ষের মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পাঁচটি দল গঠন করা হয়েছে। শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে।

    অনুজ খুনের ঘটনাটিকে পুলিশ ব্যক্তিগত শত্রুতা বলে দাবি করলেও, তাঁর পরিবারের দাবি, ঘটনাটি রাজনৈতিক (BJP) প্রতিদ্বন্দ্বিতার জের। তাঁদের দাবি, অনুজ সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি সম্বলের আসমলি ব্লকের প্রধান নির্বাচনে পদ্ম চিহ্নে প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি। যদিও হেরে যান। সেই কারণেই খুন বলে দাবি পরিবারের। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে অনুজ এলাকায় দলীয় সংগঠন মজবুত করার কাজ করছিলেন বলে দাবি স্থানীয়দের। সেই কারণেও তাঁকে খুন করা হতে পারে বলে অনুমান তাঁদের।

    আরও পড়ুুন: আজ আসছেন মোহন ভাগবত! ‘পঞ্চায়েত রাজ’ সম্মেলন সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে নাড্ডাও

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     
     

     

      

     

  • PM Modi: “২০২৮ সালে ফের অনাস্থা আনার চেষ্টা করুন”, সংসদে বিরোধীদের বললেন প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “২০২৮ সালে ফের অনাস্থা আনার চেষ্টা করুন”, সংসদে বিরোধীদের বললেন প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২৪ সালে প্রত্যাবর্তন করবে বিজেপি (BJP)।” বৃহস্পতিবার অনাস্থা-বিতর্কের জবাবি ভাষণে অংশ নিয়ে একথা বলেন প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব বিজেপি এবং এনডিএর জন্য শুভ বলেও মনে করেন তিনি।

    “বিরোধীদের অনাস্থা আমাদের জন্য শুভ”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঈশ্বরের ইচ্ছা এবং আশীর্বাদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন বিরোধীরা। ২০১৮ সালেও আমি তা-ই বলেছিলাম। আসলে অনাস্থা প্রস্তাব বিরোধীদেরই পরীক্ষা হয়ে দাঁড়ায়। ২০১৮ সালের শেষেও দেখা গেল ভোটাভুটিতে নিজেদের হাতে থাকা সব ভোট বিরোধীরা পাননি। জনতাও ২০১৯-এ বিরোধীদের ওপর অনাস্থা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। বিজেপি, এনডিএ আগের তুলনায় বেশি আসন পেয়েছিল। অর্থাৎ বিরোধীদের অনাস্থা আমাদের জন্য শুভ হয়। আমি (PM Modi) দেখছি এনডিএ এবং বিজেপি পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে ২০২৪-এ জনতার আশীর্বাদ নিয়ে ফেরত আসবে।”

    “বিজেপিকে জিতিয়ে আনার সিদ্ধান্ত”

    তিনি বলেন, “আপনারা (বিরোধীরা) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এনডিএ এবং বিজেপিকে রেকর্ড ভোটে জিতিয়ে আনবেন।” তিনি বলেন, “এর পর ২০২৮ সালে বিরোধীরা যখন অনাস্থা প্রস্তাব আনবেন, তখন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার তিন নম্বরে থাকবে ভারত।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা যখন বলি, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকার তিন নম্বরে থাকবে, তখন দায়িত্বশীল বিরোধীদের উচিত ছিল কীভাবে তা সম্ভব, সে প্রশ্ন করা। এটাও কী আমাকে শিখিয়ে দিতে হবে?”

    বিজেপি বিরোধী ২৬টি দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিরোধীদের সমস্যা হল তাঁদের বাঁচিয়ে রাখতে এনডিএর সমর্থন প্রয়োজন। কিন্তু ‘আমিত্বে’র ঔদ্ধত্য তাঁদের ছেড়ে যায় না। সেই কারণে ঔদ্ধত্যের প্রতীক হিসেবে তাঁরা এনডিএতে দু’-দুটো ‘আই’ যোগ করেছেন। প্রথম ‘আই’ ২৬ দলের ঔদ্ধত্য, আর দ্বিতীয় ‘আই’ একটি পরিবারের ঔদ্ধত্য। তাঁরা এনডিএকেও চুরি করেছেন। তাঁরা ‘এনডিএ’কে ভেঙে ‘আইএনডিআইএ’ করেছেন।”

    আরও পড়ুুন: “গুড় দিয়ে কীভাবে গোবর বানাতে হয়…”, অনাস্থা বিতর্কে অধীরকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এই ঔদ্ধত্যের কারণেই তাঁরা বাস্তবটাকে দেখতে পাচ্ছেন না। ১৯৬২ সালে তাঁরা জিতেছিলেন তামিলনাড়ুতে। তারপর থেকে তামিলনাড়ুর বাসিন্দারা বলছেন, ‘নো কংগ্রেস’।” পশ্চিমবঙ্গে তাঁরা জিতেছিলেন ১৯৭২ সালে। তার থেকে পশ্চিমবঙ্গবাসী বলছেন, ‘নো কংগ্রেস’। ১৯৮৫ সালে তাঁরা জিতেছিলেন উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং গুজরাটে। তার পর থেকে এই তিন রাজ্যের বাসিন্দারাও বলছেন, ‘নো কংগ্রেস’।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।    

     

  • PM Modi: “গুড় দিয়ে কীভাবে গোবর বানাতে হয়…”, অনাস্থা বিতর্কে অধীরকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “গুড় দিয়ে কীভাবে গোবর বানাতে হয়…”, অনাস্থা বিতর্কে অধীরকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গুড় দিয়ে কীভাবে গোবর বানাতে হয়, তাতে ওঁর দাপট রয়েছে।” বৃহস্পতিবার সংসদে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর এই খোঁচার অভিমুখ পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর দিকে। এদিন ছিল অনাস্থা বিতর্কের শেষ দিন। সংসদে এই বিতর্কে অংশ নেন অধীর। অগ্নিবাণ তাক করেন বিজেপির দিকে। অন্য দু’দিন সংসদে নিজের চেম্বারে বসে অনাস্থা বিতর্ক শুনলেও, এদিন অধীরের ভাষণ শুরু হতেই সংসদে চলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। মন দিয়ে শোনেন অধীরের বক্তৃতা।

    ছক্কা হাঁকালেন প্রধানমন্ত্রী

    এদিন যে প্রধানমন্ত্রী জবাবি ভাষণ দেবেন, তা ঠিকই ছিল। সেই মতো বলতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই হাঁকান ছক্কা। শান্ত এবং রসিকতার সুরে অধীরকে লক্ষ্য করে একের পর এক গোলা ছুড়তে শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “২০০৩ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস। সেবার বলেছিলেন বিরোধী দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আর এবার সব থেকে বড় বিরোধী দলের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর নাম বলার সূচিতেই ছিল না। কেন অধীরবাবুকে কোণঠাসা করা হল? মনে হয় কলকাতা থেকে কোনও ফোন এসেছিল। আমি অধীরবাবুর প্রতি পূর্ণ সমবেদনা জানাচ্ছি। এটা অমিত শাহের উদারতা যে তিনি অধীরবাবুকে সময় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস ওঁকে বারবার অপমান করে। অধীরবাবুকে কেন ঠিক মতো কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না?”

    ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদ’

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “দেশের মানুষ বারবার আমাদের সরকারের প্রতি আস্থা প্রকাশ করছে। এজন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ। ঈশ্বর অত্যন্ত দয়ালু এবং তিনি কোনও না কোনও উপায়ে তাঁর ইচ্ছে পূরণ করেন। আমি এটাকে ঈশ্বরের আশীর্বাদ বলে মনে করি যে ঈশ্বর বিরোধীদের পরামর্শ দিয়েছেন এবং তাঁরা প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন। ২০১৮ সালে অনাস্থা প্রস্তাবের সময় আমি বলেছিলাম যে এটি আমাদের জন্য ফ্লোর টেস্ট নয়, এটি তাদের জন্য একটি ফ্লোর টেস্ট এবং ফলস্বরূপ তারা নির্বাচনে হেরেছে। একভাবে বিরোধীদের অবিশ্বাস আমাদের জন্য ভাল। আজ আমি দেখছি যে আপনারা (বিরোধীরা) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে জনগণের আশীর্বাদে ২০২৪ সালের নির্বাচনে এনডিএ এবং বিজেপি আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে একটি দুর্দান্ত জয় নিয়ে ফিরে আসবে।”

    আরও পড়ুুন: বোর্ড হাতছাড়া হচ্ছে দেখে এবার বিজেপির জয়ী প্রার্থীর শংসাপত্র ছিঁড়ে টপাটপ মুখে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Justice Gangopadhyay: ‘‘এখন পিএসসির অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে’’, আক্ষেপ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Gangopadhyay: ‘‘এখন পিএসসির অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে’’, আক্ষেপ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে নিয়োগে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Gangopadhyay)। এদিন প্রাথমিকের একটি মামলার শুনানি চলছিল। সেই মামলা চলাকালীন বর্তমানে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Gangopadhyay) পাবলিক সার্ভিস কমিশন নিয়ে মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়, ‘‘এখন পিএসসির অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে, চোখের সামনে একটা সিস্টেম খারাপ হয়ে গেল।’’ তিনি এই কথা বলতে গিয়ে নিজের ব্যক্তি জীবনের প্রসঙ্গও টেনে আনেন।

    কী বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

     বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমিও একসময় পিএসসির পরীক্ষা দিয়ে সরকারি চাকরি করেছি। আমি দুটো সরকারি চাকরি করেছি। কাউকে এক টাকাও দিতে হয়নি। তখন অত্যন্ত স্বচ্ছ নিয়োগ হত।’’ এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Gangopadhyay) কথায় উঠে আসে পিএসসি নিয়োগের দুর্নীতির প্রসঙ্গও। তাঁর কথায়, ‘‘পিএসসিতে ২৮ নম্বর ৮২ হয়ে গেল, ভাবা যায়! খারাপ লাগে।’’ আবার রাজ্যের নিম্ন আদালতের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি-মৃত্যু নিয়ে ফের চাপানউতোর, রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য চেপে যাওয়ার অভিযোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের!

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক নেতা-মন্ত্রী জেলে

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির একাধিক মামলা চলছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Gangopadhyay) এজলাসে। জেলবন্দী রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তা। শুধু তাই নয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়েছে শাসকদলের আরও অনেক নেতার নাম। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাও রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে  শুধু স্কুল সার্ভিস কমিশন বা প্রাথমিক টেট নয় পিএসসিরও দুর্নীতি সামনে এসেছে। এছাড়া রাজ্যের ৮০টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিরও তদন্ত চলছে। দুর্নীতির শিকড়ের সন্ধানে একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টে বারবার ভর্ৎসিত হতে হয়েছে রাজ্যকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: ৩৮ বছর পরে বদলাচ্ছে থার্ড রেল! এবার থেকে প্রতি আড়াই মিনিট অন্তর মেট্রো

    Kolkata Metro: ৩৮ বছর পরে বদলাচ্ছে থার্ড রেল! এবার থেকে প্রতি আড়াই মিনিট অন্তর মেট্রো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৮ বছর পরে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় পরিকাঠাময় বড় বদল আসতে চলেছে। প্রসঙ্গত, মেট্রো (Kolkata Metro)  পরিষেবা শুরুই হয়েছিল ৩৮ বছর আগে। জানা গিয়েছে, প্রতি আড়াই মিনিটের ব্যবধানে ট্রেন চালাতে প্রায় চার দশক আগেকার ইস্পাতের থার্ড রেল বদলে এবার অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেল বসতে চলেছে। জানা গিয়েছে, সিঙ্গাপুর, লন্ডন, মস্কো, ইস্তানবুল, বার্লিন শহরে যেমনভাবে মেট্রো (Kolkata Metro) চালানো হয়, সেই ধাঁচেই এবার চলবে কলকাতার মেট্রো। ওই সমস্ত দেশগুলিতে মেট্রো পরিষেবার শুরুর দিকে ইস্পাতের থার্ড রেল ব্যবহার করা হতো এবং তা পরবর্তীকালে বদলে ফেলা হয় অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেলে। এবার ঠিক এমনটাই হতে চলেছে কলকাতা মেট্রোতে।  কিন্তু হঠাৎ ইস্পাতের পরিবর্তে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার কেন? এর উত্তর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে ইস্পাতের তুলনায় অ্যালুমিনিয়াম উত্তম পরিবাহী এবং অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেলের বিদ্যুতের অপচয় ইস্পাতের তুলনা অনেক কম হবে। সাধারণভাবে ইস্পাতের রোধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় যখন বিদ্যুৎ পরিবহন হয়, তখন তা অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিদ্যুৎ প্রবাহের ক্ষেত্রে রোধকে আরও বাড়িয়ে তোলে। শুধু তাই নয় থার্ড রেল অত্যন্ত উত্তপ্ত হলে তাতে আগুনের স্ফুলিঙ্গ পর্যন্ত সৃষ্টি হতে পারে এবং ট্রেনের বৈদ্যুতিক মোটরে তড়িৎ ঠিকঠাক পৌঁছতে পারেন। এর ফলে মেট্রো চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়। মূলত এই সমস্ত সমস্যাগুলির কথা মাথায় রেখেই কলকাতা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো, জোকা-তারাতলা, নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোতে অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেল ইতিমধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। 

    কি বলছেন মেট্রো আধিকারিকরা

    মেট্রো রেলের (Kolkata Metro) মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আগামী দু বছরের মধ্যে অ্যালুমিনিয়ামে থার্ড রেল বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এবং প্রথম পর্যায়ে এই কাজ চলবে দমদম থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশন পর্যন্ত। আরও খবর মিলেছে অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেল বসানো হলে বিদ্যুতের অপচয় ৮৪ শতাংশ কমানো যাবে। হিসাব বলছে থার্ড রেল বসানো হলে যা খরচ হবে, সেই খরচ তিন বছরের বিদ্যুৎ সাশ্রয়তেই উঠে আসবে। এছাড়াও ইস্পাতের থার্ড রেল উত্তপ্ত হওয়ার হলে মেট্রো সুরঙ্গ যেভাবে গরম হয়ে যেত সেটাও বন্ধ হবে। 

    বর্তমানে উত্তর দক্ষিণ লাইন বা ব্লু লাইনের মেট্রো সবচেয়ে কম পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে চলাচল করে, ট্রেনের (Kolkata Metro) এই ব্যবধান আড়াই মিনিটে নিয়ে আসতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সিগন্যাল ব্যবস্থা তেও পরিবর্তন করতে হবে এবং আধুনিক স্বয়ংক্রিয় কমিউনিকেশন বেস্ট ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম চালু করার জন্য থার্ড রেল বদল এর কাজ করা হচ্ছে।  ওয়াকিবহুল মহল বলছে এই ব্যবস্থার ফলে মানুষ আরো দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।

    ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে যাত্রী বৃদ্ধি ৪৩৬ শতাংশ 

    অন্যদিকে জানা গিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো, যা গ্রীন লাইন নামে পরিচিত। বর্তমানে শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত এই মেট্রো (Kolkata Metro) চড়ে গন্তব্যে পৌঁছান শহর এবং শহরতলীর অসংখ্য মানুষ।  চলতি বছরে, শিয়ালদহ মেট্রো চালু হওয়ায় এই লাইনে যাত্রীবৃদ্ধি হয়েছে প্রথম চার মাসে ৪৩৬ শতাংশ যা নয়া রেকর্ড। এই মেট্রোতে যাত্রীসংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের অনুমান। তার কারণ চলতি বছরের শেষেই হুগলি নদীর নিচ দিয়ে মেট্রো পরিষেবা শুরু হলে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর সঙ্গে তা জুড়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: অনাস্থা বিতর্কে জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, আজ কোন অস্ত্রে বধ বিরোধীদের?

    PM Modi: অনাস্থা বিতর্কে জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, আজ কোন অস্ত্রে বধ বিরোধীদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দুদিন ধরে লোকসভায় চলছে অনাস্থা বিতর্ক। আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বুধবার বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বাগ্মিতায় তিনি যতটা না মাত দিতে পেরেছেন সরকার পক্ষকে, তার চেয়েও বেশি ফাউল করে ফেলেছেন রাহুল। অভিযোগ, মহিলা সাংসদদের উদ্দেশে ফ্লাইং কিস ছুড়েছেন রাহুল। এ নিয়ে স্পিকারের কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন বিজেপির জনা কুড়ি মহিলা সাংসদ।

    সকালে একপ্রস্ত বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

    আজ, বৃহস্পতিবার অনাস্থা বির্তকে জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তিনি যে রীতিমতো প্রস্তুত হয়েই লোকসভায় যাচ্ছেন, তার ইঙ্গিত মিলেছে এদিন দিনের শুরুতেই। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ও অর্জুন রাম মেঘওয়ালের সঙ্গে একপ্রস্ত বৈঠক করে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী। গত দুদিন ধরে নিজের চেম্বারে বসে অনাস্থা-বিতর্ক শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার দেবেন জবাবি ভাষণ। বুধবারই রাজনাথ জানিয়েছিলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি ভাষণ দিতে ১০ অগাস্ট সংসদে আসবেন প্রধানমন্ত্রী।

    “শেষ বলে ছক্কা মারব”

    কংগ্রেসের তরফে অনাস্থা প্রস্তাবটি এনেছিলেন গৌরব গগৈ। মঙ্গলবার অনাস্থা বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) মৌনব্রত ভাঙতে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে বাধ্য হয়েছিলেন বিরোধীরা।” প্রধানমন্ত্রী যে এদিন ছক্কা হাঁকাবেন, মঙ্গলবার বিজেপির সংসদীয় বৈঠকে  সেই ইঙ্গিত দিয়েই রেখেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “শেষ বলে ছক্কা মারব।” তাই এদিন তিনি কী ছাক্কা মারেন, তা-ই দেখতে মুখিয়ে গোটা দেশ।

    মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়েছিল আগেও একবার, ২০১৮ সালে। তবে সেবার আনা অনাস্থার সঙ্গে এবার আনা অনাস্থার বিস্তর ফারাক। কারণ সেবার বিরোধীরা সংঘবদ্ধ ছিলেন না। এবার তাঁরা গড়েছেন বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। রাজনৈতিক মহলের মতে, এদিন ‘ইন্ডিয়া’র নানা দুর্নীতিকেই নিশানা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: সম্মতিতেই যৌন সম্পর্ক! পকসোতে অভিযুক্তকে জামিন দিল্লি হাইকোর্টের, অভিযোগ খারিজ কর্নাটকে

    সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব ধোপে টিকবে না। মঙ্গলবার তাই বিজেপি সাংসদদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেই দিয়েছিলেন, “অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় বিরোধীদের প্রত্যেকটি বল পাঠিয়ে দিতে হবে মাঠের বাইরে।” ৯ অগাস্ট ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের দিন ট্যুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছিলেন, “দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, পরিবারতন্ত্র কুইট ইন্ডিয়া, তোষণের রাজনীতি কুইট ইন্ডিয়া।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এদিনও প্রধানমন্ত্রীর তুরুপের তাস হতে পারে ‘কুইট ইন্ডিয়া’র এই তিন ‘মন্ত্র’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: তৃণমূলকে হটাতে বিরোধীরা এককাট্টা, সিপিএমের সমর্থনে মহিষাদলে বোর্ড গঠন বিজেপির

    BJP: তৃণমূলকে হটাতে বিরোধীরা এককাট্টা, সিপিএমের সমর্থনে মহিষাদলে বোর্ড গঠন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রে বিজেপিকে হারাতে তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস সহ এককাট্টা হয়েছে বিরোধীরা। সেই মতো বিরোধীদের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। আর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে হারাতে মরিয়া বামেরা। সিপিএমের সমর্থনে বোর্ড গঠন করল বিজেপি (BJP)। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।

    কীভাবে বিজেপি (BJP) বোর্ড গঠন করল?

    অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৮টি। বিজেপি ও তৃণমূল ৮ টি করে আসন পেয়েছে। আর সিপিএমের দখলে রয়েছে দুটি আসন। বোর্ড গঠনের সময় সিপিএমের নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বুলুপ্রসাদ জানা বিজেপিকে সমর্থন করেন। সিপিএমের সমর্থনে ভোটে এক আসনে জিতে বিজেপি এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে। বিজেপি বোর্ডের প্রধান হন শুভ্রা পন্ডা এবং উপপ্রধান হন পরেশ পানিগ্রাহি। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কী বললেন বিজেপিকে সমর্থনকারী সিপিএমের জয়ী সদস্য?

    সিপিএমের জয়ী সদস্য বুলুপ্রসাদ জানা বলেন, স্থানীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই আমি বিজেপিকে সমর্থন করেছি। তৃণমূলকে হারাতেই এই সমর্থন। নতুন বোর্ডের হাত ধরেই এলাকায় অনেক উন্নয়ন হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা একসঙ্গে থেকে উন্নয়নমূলক কাজ করব।

    কী বললেন বিজেপির প্রধান?

    বিজেপির (BJP) প্রধান শুভ্রা পন্ডার বক্তব্য, তৃণমূল কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত দল তা রাজ্যবাসী জানেন। এই এলাকার মানুষ জানেন, তৃণমূল ফের ক্ষমতায় আসলে কাটমানি, তোলাবাজি শুরু হয়ে যাবে। এলাকায় আর উন্নয়ন হবে না। তাই, সিপিএম নেতৃত্ব মনে করেছেন এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপিকেই প্রয়োজন। আর পঞ্চায়েতে দুর্নীতি রুখতে সিপিএমের সমর্থনে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আগামীদিনে এই পঞ্চায়েতের হাত ধরে এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন করা হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা সৌমেন মহাপাত্র বলেন, উঁচুতলার নেতাদের কথা মানছে না নিচুতলার কর্মীরা। তার জন্য এই ঘটনা ঘটছে। আসলে তৃণমূলকে রুখতে বিজেপি মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই, বামেদের সমর্থন নিয়ে বিজেপি (BJP) বোর্ড গঠন করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: প্রবল বৃষ্টি, ধস, পৃথক ঘটনায় উত্তরাখণ্ডে মৃত ৯

    Uttarakhand: প্রবল বৃষ্টি, ধস, পৃথক ঘটনায় উত্তরাখণ্ডে মৃত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টি উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। বিপদসীমা ছাড়িয়েছে গঙ্গার জল। বৃষ্টিজনিত নানা দুর্ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ন জনের। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। একজনের নিখোঁজ হওয়ার খবর মিলেছে। জখম হয়েছেন প্রায় ১২ জন। ধসের কারণে বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর। জখম হয়েছে একজন। গৌরীকুণ্ড এলাকার ওই ঘটনায় নেমেছে শোকের ছায়া।

    গৌরীকুণ্ডে ধস 

    প্রসঙ্গত, এই গৌরীকুণ্ড থেকেই শুরু হয় কেদারনাথ যাত্রা। গত পাঁচ দিনে এ নিয়ে ধস নামল দ্বিতীয়বার। উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দেবপ্রয়াগে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গা। হরিদ্বারেও গঙ্গার জল বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand), হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে। অতিবৃষ্টি ও ধসের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক। চামোলি জেলার ছিঁকাও এলাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে সাত নম্বর জাতীয় সড়কও। 

    সঙ্কট বিদ্যুৎ, পানীয় জলের

    বৃষ্টি ও ধসের কারণে নানা জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ। সঙ্কট দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের। বিপন্নদের উদ্ধার করতে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। হাত মিলিয়েছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। গৌরীকুণ্ডের যে এলাকায় এদিন দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেখান থেকে মেরেকেটে আধ কিলোমিটার হবে ৪ অগাস্ট যেখানে ধস নেমেছিল, সেই জায়গাটি। সেই ধসে মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। নিখোঁজ ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডের পউরি জেলায় পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

    প্রবল বৃষ্টির জেরে জলবন্দি হয়েছেন হৃষিকেশের (Uttarakhand) ধালওলা ও খারার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। হৃষিকেশে বহু বাড়ি ডুবে গিয়েছে জলে। দুর্গতদের উদ্ধার করতে নামানো হয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। তারা উদ্ধার করেছেন ৫০ জন দুর্গতকে।

    আরও পড়ুুন: সম্মতিতেই যৌন সম্পর্ক! পকসোতে অভিযুক্তকে জামিন দিল্লি হাইকোর্টের, অভিযোগ খারিজ কর্নাটকে

    মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি বলেন, “রাজ্যের বহু এলাকা জলমগ্ন। বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসে আমরা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছিলাম। দিল্লির সঙ্গে কথাও বলেছি। উদ্ধার কাজ করছে রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। উদ্ধারকাজে আমরা কোনও খামতি রাখতে চাই না।” তিনি বলেন, আমি তীর্থযাত্রীদের অনুরোধ করব, আবহাওয়ার খবর নিয়েই যেন বাড়ির বাইরে বের হন তাঁরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Repo Rate: ফের অপরিবর্তিত রইল রেপো রেট, জানালেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর

    Repo Rate: ফের অপরিবর্তিত রইল রেপো রেট, জানালেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরিবর্তিতই রইল রেপো রেট (Repo Rate)। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়ে দেওয়া হল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) তরফে। তার আগে মানিটারি পলিসির বৈঠকে একথা জানিয়েছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি বলেন, “ভারতীয় অর্থনীতি ক্রমেই আরও শক্তিশালী ও স্থিতিশীল হচ্ছে।” শক্তিকান্ত জানান, ভারতীয় অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতেই রেপো রেট নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে এই ত্রৈমাসিকে রেপো রেট থাকবে ৬.৫ শতাংশ। গত বছরের মে মাস থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মুদ্রাস্ফীতির উদ্বেগের কারণে ধাপে ধাপে রেপো রেট বাড়িয়েছিল ২৫০ বেসিস পয়েন্ট। যদিও গত তিনটি মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট অপরিবর্তিতই রাখা হয়েছে।

    রেপো রেট

    রেপো রেটের (Repo Rate) ওপর ভিত্তি করেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্য ব্যাঙ্কগুলিকে ধার দিয়ে থাকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষবারের মতো রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এপ্রিল ও জুন মাসে তা অপরিবর্তিত রাখে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এবার ফের অপরিবর্তিত রাখা হল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট বৃদ্ধি করলে ব্যাঙ্কের ঋণ মহার্ঘ হয়ে ওঠে। গত দেড় বছরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট বৃদ্ধি করেছে অনেকটাই। রেপো রেট বৃদ্ধির অর্থ হল ঋণের ওপর সুদের হার বৃদ্ধি হওয়া। দিন কয়েক আগে অর্থনীতিবিদদের একটা বড় অংশই জানিয়েছিলেন, রেপো রেট পুরনো স্তরেই থাকবে এবারও। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ও ইউরোপিয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সুদের হার বৃদ্ধি সত্ত্বেও তাঁরা জানিয়েছিলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখতে পারে। তাঁদের হিসেব যে নিছক অমূলক ছিল না, এদিন শক্তিকান্তের ঘোষণাই তার প্রমাণ।

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পদক্ষেপ

    এপ্রিলেও রেপো রেট (Repo Rate) অপরিবর্তিত রেখেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অপরিবর্তিত ছিল জুন মাসেও। অগাস্টেও যে রেপো রেট একই রইল, তা জানিয়ে দেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তা। শক্তিকান্ত জানান, অগাস্টে মানিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে তিনজন এবং সরকারের তরফে মনোনীত তিনজন থাকেন মানিটারি কমিটিতে।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্য চিন! নেপাল-ভুটানের সঙ্গে রেলপথে জুড়তে চাইছে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর জানান, এপ্রিল থেকে জুন ২০২৪ সালের জন্য জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস নির্ধারণ করা হয়েছে ৬.৬। ২০২৩-২৪ সালের জন্য মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস ৫.১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫.৪ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • S Jaishankar: লক্ষ্য চিন! নেপাল-ভুটানের সঙ্গে রেলপথে জুড়তে চাইছে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর   

    S Jaishankar: লক্ষ্য চিন! নেপাল-ভুটানের সঙ্গে রেলপথে জুড়তে চাইছে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ন’ বছরে সীমান্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুই-ই মজবুত করেছে ভারত। সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠকে একথাই জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি জানান, জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থেই দেশের উত্তরে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত করা হচ্ছে। দেশের নিরাপত্তা আরও সুরক্ষিত করতেই এসব করছে মোদি সরকার। তিনি জানান, খুব শীঘ্রই ভারত-কাঠমান্ডু রেলপথে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে। জয়শঙ্কর বলেন, শেষ পর্যায়ে রয়েছে রক্সৌল-কাঠমান্ডু ক্রস বর্ডার রেলওয়ে প্রজেক্ট। প্রজেক্টটি সম্পূর্ণ হলে ভারতের সঙ্গে কাঠমাণ্ডুর যোগাযোগ হবে সুগম। বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “অসম থেকে ভুটান পর্যন্ত রেলপথে যোগাযোগ স্থাপন করার কথাও ভাবছে মোদি সরকার।”

    ভারত-নেপাল যোগ

    জানা গিয়েছে, বিহারের চম্পারণের রক্সৌল থেকে বীরগঞ্জ, নিজগড়, সিন্সেনারি এবং খোকনা হয়ে পৌঁছবে রেলপথ পৌঁছবে কাঠমান্ডুর কাছের জেলা ললিতপুরে। নেপালে চিনের প্রভাব ঠেকাতেই এই রেললাইন গড়ায় তড়িঘড়ি করছে নয়াদিল্লি। এই পথে কার্গো এবং টু-টায়ার দু ধরণের ট্রেনই চালানো হবে। এতে যেমন কাঠমান্ডু যাওয়া অনায়াস হবে, তেমনি অন্য দেশে জিনিসপত্র পাঠানোও সহজ হবে। মোট রাস্তার ৪২ কিমি হবে টানেলের মধ্যে। পথে পড়বে ৪০টি বাঁক। তৈরি করতে হবে ১২৪টি ব্রিজ।

    ভারত-ভুটান সেতুবন্ধন

    কেবল নেপাল নয়, ভুটানের সঙ্গেও রেলপথে যোগাযোগ গড়ে তুলতে চাইছে ভারত। এজন্য অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের জিলেপেউ পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইন পাতা হবে। খরচ ধরা হয়েছে হাজার কোটি টাকা। দুই দেশের এই সেতুবন্ধনে তৈরি করতে হবে ৫৭.৫ কিলোমিটার রেলপথ। বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “ভারত-ভুটান রেলপথ চালু হয়ে গেলে ভুটানে আরও বেশি করে পর্যটক যেতে পারবেন।”

    আরও পড়ুুন: বাঁকুড়ার ৭ শিক্ষককে তলব করে চার-ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    জানা গিয়েছে, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা ভারতের পক্ষে যতটা সহজ, ততটাই কঠিন হয়েছে মায়ানমার সীমান্তে ত্রিস্তরীয় হাইওয়ে তৈরির কাজ শেষ করা। জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “হাইওয়ের কাজ অর্ধেক হয়ে পড়ে রয়েছে। বাকি থাকা কাজ শেষ করতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।” তিনি জানান, এই হাইওয়ের দৈর্ঘ দাঁড়াবে ১৪০০ কিলোমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share