Tag: Bengali news

Bengali news

  • Gyanvapi Mosque: মসজিদ কমিটির আর্জি খারিজ, জ্ঞানবাপীতে এএসআইকে সমীক্ষার অনুমতি আদালতের

    Gyanvapi Mosque: মসজিদ কমিটির আর্জি খারিজ, জ্ঞানবাপীতে এএসআইকে সমীক্ষার অনুমতি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) কমিটির আর্জি খারিজ এলাহাবাদ হাইকোর্টে। আজ, বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি প্রীতিনকর দিবাকরের বেঞ্চ মসজিদে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে সমীক্ষার অনুমতি দিল। তবে বিতর্কিত ওজুখানায় পাওয়া তথাকথিত শিবলিঙ্গ ও সন্নিহিত এলাকায় এখনই কোনও সমীক্ষা হবে না বলে বারাণসী জেলা আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা বহাল রেখেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

    সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ 

    গত ২৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ ৪৮ ঘণ্টার জন্য বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ২৬ জুলাই মসজিদ (Gyanvapi Mosque) কমিটির তরফে হাইকোর্টকে জানানো হয়েছিল, সমীক্ষার অনুমতি দিলে প্রাচীন ওই সৌধের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই সময় এএসআইয়ের তরফে আদালতকে জানানো হয়েছিল, গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডারের সাহায্যে খননের কাজ ছাড়াই সমীক্ষার কাজ চালানো যেতে পারে। তাতে ওই প্রাচীন কাঠামোর ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। এদিন রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, সমীক্ষার জন্য বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশ বৈধ। ন্যায় বিচারের স্বার্থে মসজিদের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার প্রয়োজন।

    সমীক্ষার নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের আবেদনের ভিত্তিতে গত জুলাই মাসে বারাণসীর জেলা আদালত ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে দিয়ে মসজিদে (Gyanvapi Mosque) সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। ওজুখানা এলাকা বাদ দিয়ে এই সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ২৪ জুলাই এএসআইয়ের ৩০ সদস্যের একটি দল রাডার ম্যাপিং সহ আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সমীক্ষা করতে জ্ঞানবাপী মসজিদে যায়। তার পরেই আসে সুপ্রিমকোর্টের স্থগিতাদেশের নির্দেশ। বন্ধ হয়ে যায় সমীক্ষার কাজ। এদিন এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশের পর আর বাধা রইল না সমীক্ষার কাজে।

    আরও পড়ুুন: “কোনও সংবিধান পরিষদ চিরকালীন নয়”, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অগাস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর মা শৃঙ্গার গৌরী ও মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে পূজার্চনার অনুমতি চান। দ্বারস্থ হন আদালতের। তার প্রেক্ষিতেই মসজিদের (Gyanvapi Mosque) অন্দরে ভিডিও সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল বারাণসীর নিম্ন আদালত। তার পরেই জানানো হয় কার্বন ডেটিং পরীক্ষার আর্জি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: “কোনও সংবিধান পরিষদ চিরকালীন নয়”, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট

    Jammu Kashmir: “কোনও সংবিধান পরিষদ চিরকালীন নয়”, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংবিধান পরিষদ কোনওভাবেই সংসদ বা সুপ্রিম কোর্টের মতো স্থায়ী সংস্থা নয়। কোনও সংবিধান পরিষদ অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকতে পারে না। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) সংবিধান পরিষদ রাজ্যের সংবিধান তৈরির জন্য গঠিত হয়েছিল। তার মেয়াদ ফুরনোর পরে ক্ষমতা ছিল রাষ্ট্রপতির হাতেই।” বুধবার সাফ জানিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

    ৩৭০ ধারা সংক্রান্ত মামলা

    জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা। তার জেরে মামলা হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এদিন শুরু হয়েছে সেই মামলা। সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার কথা বলা ছিল। ৩৭০ ধারা রদের পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরকে (Jammu Kashmir) ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি হয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। স্থির হয়েছে সোম ও শুক্রবার বাদে প্রতিদিন শুনানি হবে এই মামলার।

    সিব্বলের সওয়াল 

    বৃহস্পতিবার, প্রথম দিনের শুনানিতে মামলাকারীদের তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তাঁর অভিযোগ, ৩৭০ ধারা রদ করে ও পূর্ণ রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে সংসদ রাজ্যের বিধানসভার ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নিয়েছিল। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রপতি ওই অনুচ্ছেদ রদ করতে পারেন। কিন্তু একই সঙ্গে তার জন্য জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধান পরিষদের সুপারিশ প্রয়োজন বলেও শর্ত ছিল। সিব্বলের অভিযোগ, রাজ্যের বিধানসভা ভেঙে দিয়ে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন। বিধানসভা বা জম্মু-কশ্মীরের সংবিধান পরিষদের বদলে সংসদ কীভাবে ৩৭০ ধারা রদের সুপারিশ করতে পারে?

    আরও পড়ুুন: গণনায় কারচুপি! বড়জোড়ার বিডিও-এসডিওকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    সেই প্রসঙ্গেই প্রধান বিচারপতি ওই মন্তব্য করেন। সিব্বলকে তিনি প্রশ্ন করেন, সংবিধান পরিষদের (Jammu Kashmir) মেয়াদ শেষ হলে কী হবে? কোনও গণপরিষদ অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকতে পারে না। ৩৭০ ধারার ধারা ৩ এর বিধানটি রাজ্যের গণপরিষদের সুপারিশ প্রয়োজন। কিন্তু, প্রশ্ন হল, যখন গণপরিষদ বন্ধ হয়ে যাবে, তখন কী হবে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Parliament Adjourned: “ওঁরা মণিপুরে যেতে পারেন, বাংলা, রাজস্থানে নয়”, ‘ইন্ডিয়া’কে তোপ অনুরাগের  

    Parliament Adjourned: “ওঁরা মণিপুরে যেতে পারেন, বাংলা, রাজস্থানে নয়”, ‘ইন্ডিয়া’কে তোপ অনুরাগের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর নিয়ে প্রথম দিন থেকেই উত্তপ্ত সংসদের বাদল অধিবেশন। বুধবার এ নিয়ে বিরোধীদের তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, “বিরোধী নেতারা মণিপুর ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত নন। তাঁরা সংসদের আলোচনায় (Parliament Adjourned) অংশগ্রহণ করছেন না। তাঁরা কেবল পালিয়ে যাচ্ছেন, সংসদকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না।”

    বিরোধীদের তোপ অনুরাগের

    তিনি বলেন, “তাঁরা (বিরোধীরা) মণিপুরে যেতে পারেন, কিন্তু বাংলা ও রাজস্থানে যেতে পারেন না। তাঁরা কেবল রাজনীতি করছেন।” বিরোধীদের উদ্দেশে অনুরাগ বলেন, “সংসদে বিল পেশ করতে বাধা দিলে কিছুই হবে না। তাই তাঁদের সংসদে আসা এবং আলোচনায় অংশ নেওয়া উচিত। তাঁরা এর থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন।” এদিকে, সংসদীয় কাজে (Parliament Adjourned) ব্যাঘাত ঘটায় শাসক ও বিরোধী দু পক্ষের সাংসদদের ওপরই ক্ষুব্ধ লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। যতদিন না সংসদরা উপযুক্ত আচরণ করছেন, ততদিন তিনি আর লোকসভায় আসবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  

    হট্টগোলে বিরক্ত স্পিকার

    মঙ্গলবার লোকসভায় দিল্লি জাতীয় রাজধানী এলাকার সরকার (সংশোধনী) বিল ২০২৩ পেশ করেছে সরকার। এই বিল পেশের সময় ব্যাপক হট্টগোল হয় সংসদে (Parliament Adjourned)। তার জেরে বিরক্ত বোধ করেন স্পিকার। জানা গিয়েছে, অধ্যক্ষের কাছে সংসদের মর্যাদা রক্ষাই রয়েছে অগ্রাধিকারের তালিকায়। সংসদীয় কার্যক্রম চলার সময় সাংসদরা সংসদের মর্যাদা ও শালীনতা বজায় রাখবেন, এমনটাই আশা করেন তিনি। কিন্তু, ২০ জুলাই বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকে বিরোধী দল ও ট্রেজারি বেঞ্চের বাধায় যেভাবে বারংবার ব্যাহত হয়েছে সংসদের কাজকর্ম, তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্পিকার। সেই কারণেই অধিবেশন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে দফায় দফায়, সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট নুসরতের”, দাবি বিজেপির

    আজ, বুধবার স্পিকারের আসনে ছিলেন নাম ওম বিড়লা। এদিন দিল্লি জাতীয় রাজধানী এলাকার সরকার (সংশোধনী) বিল ২০২৩ এর ওপর আলোচনা ও ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। তবে এদিনও সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই মণিপুর হিংসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির দাবিতে হট্টগোল শুরু করে দেন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সাংসদরা। যেহেতু লোকসভার ডেপুটি পদে কেউ এখন নেই, তাই সংসদ পরিচালনা করেন সাংসদ বিজেপির কিরিৎ সোলাঙ্কি। তিনি একাধিকবার বিরোধীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানালেও, কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে এদিনের মতো মুলতুবি করে দিতে হয় সংসদের দুই কক্ষের কার্যক্রম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • BJP: ‘বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের ১০ লক্ষ টাকা টোপ দিয়ে কিনতে চাইছে তৃণমূল’, বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা

    BJP: ‘বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের ১০ লক্ষ টাকা টোপ দিয়ে কিনতে চাইছে তৃণমূল’, বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর-১ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী চার অপহরণ হওয়া প্রার্থীকে পুলিশি নিরাপত্তায় বাড়িতে ফেরানো হয়। এরপরই তাদের সঙ্গে বুধবার দেখা করতে যান বিজেপি (BJP) নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। এদিন তিনি  বিজেপির জয়ী ৬ প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদেরকে তিনি সবরকমভাবে আশ্বস্ত করেন।

    কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কে এগিয়ে রয়েছে?

    কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সমীকরণ,মোট আসন সংখ্যা ১৫টি। তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছে ৪টি আসনে। বিজেপি (BJP) জয়লাভ করেছে ৬টি আসনে। সিপিআইএম জয়লাভ করেছে ৩টি আসনে। আর নির্দল দুটি আসনে জয়লাভ করেছে। বোর্ড গঠন করতে হলে মোট আটজন সদস্যের প্রয়োজন, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে রয়েছে মাত্র চারজন সদস্য। তৃণমূল কংগ্রেস বোর্ড গঠন করার লক্ষ্যে বিরোধীদের চারজন সদস্যকে অপহরণ করে এমনটাই অভিযোগ বিজেপি সহ বিরোধীদের।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    গত ২৭ জুলাই কলকাতা থেকে রাতের অন্ধকারে চারজন জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে, জোরপূর্বক তাঁদের থেকে লিখিত ও ভিডিও বার্তা করে নেওয়া হয়। এরপর একাধিক গেস্টহাউসে স্থানান্তরিত করে রাখা হয়েছিল তাঁদের। পরে সাদা কাগজে তাঁদের স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে তাঁদেরকে বাড়িয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করেন অপহৃত বিজেপির তিন প্রার্থী ও সিপিআইএমের এক প্রার্থী।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল?

    এদিন জয়ী দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে বিজেপি নেত্রী (BJP) অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, তৃণমূল সরকার ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে বিজেপি প্রার্থীদের কিনতে চাইছে। তাতে কাজ না হওয়ায় তাদের অপহরণ করা হয়েছিল। এসব করে তৃণমূল বোর্ড গঠন করতে পারবে না। সামনের ১০ তারিখে কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হবে। বিজেপির নেতৃত্বে বিরোধীরা বোর্ড গঠন করবে। আমি নিজে উপস্থিত থাকব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়দেব হালদার বলেন, বিজেপির (BJP) আনা অভিযোগ ঠিক নয়। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Nusrat Jahan: “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে দফায় দফায়, সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট নুসরতের”, দাবি বিজেপির

    Nusrat Jahan: “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে দফায় দফায়, সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট নুসরতের”, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ খারিজ করতে আজ, বুধবার ডেকেছিলেন সাংবাদিক বৈঠক। সাংবাদিকরা আগেভাগে হাজির হলেও, তৃণমূলের (TMC) নায়িকা সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) এলেন নির্ধারিত সময়ের প্রায় পঁচিশ মিনিট পরে। নুসরতের উদ্দেশে প্রশ্নবাণ ধেয়ে আসতেই খানিক পরে মেজাজ হারান বসিরহাটের সাংসদ। সাংবাদিক বৈঠক মাঝপথে ফেলেই বেরিয়ে গেলেন। তার আগে অবশ্য তৃণমূল নেত্রী বললেন, “ঋণ নিয়েছিলাম, সুদ সহ ফেরত দিয়েছি।”

    নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট না দিয়ে, ওই টাকায় নিজের নামে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ উঠেছে নুসরতের বিরুদ্ধে। তার জেরে অভিযোগকারীদের নিয়ে ইডির দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। এরই জবাব দিতে এদিন সাংবাদিক বৈঠক নুসরতের। তৃণমূল নেত্রী (Nusrat Jahan) অভিযোগ অস্বীকার করলে কী হবে, চেক নম্বর দিয়ে শঙ্কুদেবের দাবি, “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে, দফায় দফায়। সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত। ফ্ল্যাটের দলিলে কবে, কত টাকা নিয়েছেন, তাও জানিয়েছেন নুসরত।” নুসরতের গ্রেফতারির দাবিও জানিয়েছে পদ্ম শিবির।

    প্রতারণার নয়া ছক

    বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, “এটাই প্রতারণার নয়া ছক। টাকা তুলব, সংস্থা থেকে ইস্তফা দেব, এভাবেই প্রতারণা।” বিজেপির প্রশ্ন, “অভিযোগ মিথ্যে হলে কেন আদালতে যাচ্ছেন না বসিরহাটের সাংসদ?” বিজেপির অভিযোগ, “ নুসরতের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে, অথচ তাঁকে আড়াল করছে পুলিশ। এখন বলছেন ঋণ নিয়েছেন! নিজের সংস্থা থেকে নিজেই ঋণ নিয়েছেন! মামলা না করার জন্য অভিযোগকারীদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে কেন? কেন নথি দেখাতে পারলেন না?  কে ঋণ মঞ্জুর করল?  কোথায় সিদ্ধান্ত হয়েছে?”  

    আরও পড়ুুন: জাল নথি দিয়ে সেনায় চাকরি! পাক নাগরিক নিয়োগ মামলায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    নুসরত (Nusrat Jahan) প্রভাবশালী বলেই অভিযোগকারীরা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না  বলে অভিযোগ। শঙ্কুদেবের অভিযোগ, “দফায় দফায় ৫ লক্ষ, ১১ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২০ লক্ষ, ৩৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন নুসরত। ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকার ট্রানজাকশন হয়েছে। অথচ বলছেন ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন! কীভাবে?” বিজেপির দাবি, বকলমে সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sujay Krishna Bhadra: কালীঘাটে তৃণমূলের দফতরে বসেই চাকরি বিক্রি করতেন ‘কালীঘাটের কাকু’! দাবি ইডির

    Sujay Krishna Bhadra: কালীঘাটে তৃণমূলের দফতরে বসেই চাকরি বিক্রি করতেন ‘কালীঘাটের কাকু’! দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটে তৃণমূলের (TMC) পার্টি অফিসে বসেই চাকরি বিক্রির চক্র চালাতেন স্কুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ (Sujay Krishna Bhadra)। অন্তত এমনই অভিযোগ করা হয়েছে ইডির (ED) চার্জশিটে। সম্প্রতি দায়ের করা ইডির ওই চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, কালীঘাটের পার্টি অফিস থেকে যে চাকরি বিক্রির চক্র চলত, তদন্তকারীদের জেরায় তা কবুল করেছেন সুজয়কৃষ্ণ স্বয়ং।

    সুজয়কৃষ্ণের প্রতিপত্তি

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জেল হেফাজতে থাকা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও ছিল সুজয়কৃষ্ণের। সুজয়কৃষ্ণ (Sujay Krishna Bhadra) তদন্তকারীদের এও জানিয়েছেন যে, মূলত তাঁর সুপারিশেই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে টিকিট পেয়েছিলেন মানিক। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিও মিলেছে সুজয়কৃষ্ণের কাছে। নদিয়ার নাকাশিপাড়া থেকে মানিককে প্রার্থী করার অনুরোধ জানিয়ে অভিষেককে চিঠি লেখেন তৃণমূল কর্মীরা। সেই চিঠি তাঁরা পাঠান সুজয়কৃষ্ণের কাছে। কেবল মানিক নন, জেলা পরিষদে তৃণমূলের জ্ঞানানন্দ সামন্তকেও প্রার্থী করতে তদ্বির করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ।

    সুজয়কৃষ্ণের হাত দিয়েই হত চাকরি!

    ইডির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ বলেছেন, তাঁর কাছে চাকরি প্রার্থীরা কেউ সরাসরি আসতেন, কেউ বা নেতার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতেন। ইডির দাবি, চাকরিপ্রার্থীরা জানতেন সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে অভিষেকের সম্পর্ক কেমন। তাই তাঁরা সমস্যার সমাধানের জন্য দ্বারস্থ হতেন সুজয়কৃষ্ণের (Sujay Krishna Bhadra)। ইডির আরও অভিযোগ, কালীঘাটের তৃণমূল অফিসে বসেই বাঁকা পথে আসা চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন সুজয়কৃষ্ণ। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রাক্তন দুই যুব নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বেসরকারি কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডলের সঙ্গে কালীঘাটের ওই পার্টি অফিসে বসেই বৈঠকও করেছেন তিনি। ইডির তদন্তকারীদের দাবি, কুন্তল ও তাপসের মাধ্যমে ২০১২-১৪ সালের টেট চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা তিনিই পাঠিয়েছিলেন মানিককে।

    আরও পড়ুুন: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    সুজয়কৃষ্ণের (Sujay Krishna Bhadra) মোবাইল থেকে বেশ কিছু ভয়েস-মেসেজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এগুলি আদালতে প্রামাণ্য নথি হিসেবে পেশ করতে গেলে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনা প্রয়োজন। এই নমুনা দিতে রাজি হননি সুজয়। তদন্তকারীদের অভিযোগ, সেই কারণেই অসুস্থতার বাহানা দিয়ে সময় নষ্ট করছেন কালীঘাটের কাকু। কেবল চাকরি বিক্রি নয়, ইডির চার্জশিটে বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের আরও একাধিক বেআইনি ব্যবসা রয়েছে। বিভিন্ন ভুয়ো বিল তৈরি করা হয়েছে। প্রভাব খাটিয়ে চাপ দিয়ে ব্যবসায়ীদের শেয়ারও তিনি কিনিয়েছেন বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • OMG 2: সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেল অক্ষয় কুমারের ‘ওহ মাই গড ২’! কোন শর্তে জানুন

    OMG 2: সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেল অক্ষয় কুমারের ‘ওহ মাই গড ২’! কোন শর্তে জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘ওহ মাই গড’-২ (OMG 2) ‘এ’ শংসাপত্র পেল সেন্সর বোর্ডের তরফ থেকে। প্রসঙ্গত, ১২ বছরে এই প্রথম কোনও অক্ষয় কুমারের অভিনীত ছবি কে ‘ইউ/এ’ এর বদলে ‘এ’ শংসাপত্র দিল সেন্সর বোর্ড। তাঁর এবং জন আব্রাহামের অভিনীত ছবি ‘দেশি বয়েজ’ এর আগে ‘এ’ শংসাপত্র পেয়েছিল। ‘ওহ মাই গড’-২ ছবির (OMG 2) মুক্তি পাওয়ার কথা ঠিক ৯ দিন পরেই। বেশ কয়েকদিন ধরেই সেন্সর বোর্ডের জাঁতাকলে আটকে ছিল এই ছবি। তার কারণ ছবির বেশ কিছু দৃশ্য নিয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার কথা উঠেছে। 

    ‘ওহ মাই গড’-১ মুক্তি পেয়েছিল ২০১২ সালে

    ২০১২ সালে অক্ষয় কুমার অভিনীত ছবি ‘ওহ মাই গড’ (OMG 2) বক্স অফিসে খুব ভাল সাড়া ফেলেছিল। ‘ওহ মাই গড’-১ ছবিতে পরেশ রাওয়াল কাঞ্জি ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং মানববেশী শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অক্ষয় কুমারকে। ভূমিকম্পে কাঞ্জি ভাইয়ের দোকান ভেঙে পড়ে। সেই মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। কাঞ্জি ভাইকে ইন্সুরেন্স সংস্থা বলে যে ভূমিকম্প ‘অ্যাক্ট অফ গড’-এর এক্তিয়ারভুক্ত। তাই স্বাভাবিকভাবে তাঁর দোকান ভেঙে পড়ার জন্য ভগবানকেই দায়ী করে বিমা সংস্থা।  ভগবানের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবিতে আদালতে মামলা ঠোকেন পরেশ রাওয়াল। পরবর্তীকালে কাঞ্জি ভাইকে সাহায্য করতে ধরাধামে মানববেশী শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন অক্ষয় কুমার। এই নিয়েই ছিল ছবির গল্প। কীভাবে কাঞ্জি ভাই মামলা যেতেন ভগবানের বিরুদ্ধে!

    কেন সেন্সর বোর্ডের জাঁতাকলে পড়ল ‘ওহ মাই গড’-২

    অন্যদিকে অক্ষয় কুমারের ‘ওহ মাই গড’-২ তে (OMG 2) তাঁকে দেবাদিদেব মহাদেবের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে। কিন্তু এখানেও দেবাদিদেব মহাদেব মানববেশী! তা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতে পারে এই ভেবে সেন্সর বোর্ড আপত্তি জানায়। এবং শিবের বদলে ঈশ্বরের দূত হিসেবে চরিত্রকে তুলে ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় ছবিতে আরও বেশ কতগুলি দৃশ্য নিয়ে আপত্তি তোলে সেন্সর বোর্ড। ছবির বেশকিছু দৃশ্য এবং সংলাপ ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানতে পারে, এই কথা ভেবে সেগুলোকে পরিবর্তন করা হয়েছে।  জানা গিয়েছে ‘ওহ মাই গড’-২ ছবিতে (OMG 2) সমকামিতা এবং দেহ ব্যবসার উল্লেখ নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে সেন্সর বোর্ড।  প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘আদিপুরুষ’ নিয়ে ব্যাপক বিতর্কে ঝড় ওঠে দেশ জুড়ে। সইফ আলি খান সেখানে রাবণের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এবং তাঁকে কাঁচা মাংস খেতে দেখা গেছে। পাশাপাশি হনুমানের মুখে এমন কিছু সংলাপ দেওয়া হয়েছে যা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে মামলাও গড়ায় কোর্টে। মুখ থুবড়ে পড়ে ‘আদিপুরুষ’ ছবির ব্যবসা।  ওয়াকিবহাল মহল বলছে, অক্ষয় কুমারের অভিনীত ‘ওহ মাই গড’-২ ছবিতে (OMG 2) ২৫ থেকে ২৭টি দৃশ্যে কাটাছেঁড়া করা হয়েছে।  ছবি ‘এ’ ছাড়পত্র পেয়েছে মানে এখন শুধু প্রাপ্তবয়স্করাই এই ছবি দেখতে পারবেন। চলতি মাসের ১১ অগাস্ট মুক্তি পেতে চলেছে ‘ওহ মাই গড’-২। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র মেলায় এবার ছবির প্রচারে তোড়জোর শুরু করেছেন নির্মাতা থেকে অভিনেতা সকলেই। অক্ষয় কুমারও তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ছবির প্রচার শুরু করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Calcutta High Court: পঞ্চায়েতের টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন বিডিও! খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: পঞ্চায়েতের টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন বিডিও! খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বিডিও (BDO)! শুধু আত্মসাৎ করাই নয়, একেবারে টাকা বিদেশে পাচার করেছেন ওই সরকারি আধিকারিক! এ সংক্রান্ত মামলায় জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের বিডিও কৃশানু রায়ের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন সদস্য। আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তাঁরা। এই মামলার প্রেক্ষিতেই জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।

    বিডিও’র বিরুদ্ধে অভিযোগের বহর

    আদালত সূত্রে খবর, নায়ারণগড় ব্লকে তৃণমূলের দখলে থাকা একাধিক পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ফান্ড খরচ করেছেন বিডিও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ভুয়ো বিল বানিয়ে টাকা খরচ করা হয়েছে বলেও দেখিয়েছেন তিনি। আদালতে যাঁরা মামলা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন আয়নাল হক মোল্লাও। তিনি (Calcutta High Court) বলেন, “বিষয়টি আগেই জেলাশাসককে জানিয়েছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। জেলাশাসক কোনও পদক্ষেপ না করায় আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।” মঙ্গলবার এই মামলাই ওঠে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। জেলাশাসককে আদালতের নির্দেশ, যথাযথ তদন্ত করে আট সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ করতে হবে। অভিযুক্ত বিডিওকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    মামলাকারী কারা জানেন? 

    জানা গিয়েছে, বিডিওর বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু হয়েছিল ২০ জুলাই। প্রধান আবেদনকারী নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির সদ্য বিদায়ী শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অনাদি বারিক। বাকিরা হলেন পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি নমিতা সিংহ, সহকারী সভাপতি গণেশ মাইতি, বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ তথা নারায়ণগড় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুকুমার জানা, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ কাওসার আলি সহ সাতজন কর্মাধ্যক্ষ। বিদায়ী পঞ্চায়েতের প্রধান সহ আরও কয়েকজনও রয়েছেন মামলায় (Calcutta High Court)। মামলাকারীদের অভিযোগ— কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন বিডিও। ট্রেনিংয়ের টাকা সঠিক খাতে খরচ না করে ভুয়ো বিল বানিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। বিডিও অফিসের গাড়ি ব্যবহার করেছেন ব্যক্তিগত কাজে। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতের বিল নকল করেও টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিযুক্ত বিডিও। পরে, সেই টাকা বিদেশে পাচার করেছেন ওই বিডিও। 

    আরও পড়ুুন: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব।” মঙ্গলবার বিধানসভায় কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “আমরা কেন্দ্রের টাকা আটকাইনি। চুরি আটকেছি।” 

    কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজ সহ নানা প্রকল্পে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ প্রতিনিয়তই তোলে রাজ্য সরকার। তাদের অভিযোগ, বঙ্গ বিজেপি নেতাদের জন্যই আটকে রয়েছে রাজ্যের বরাদ্দ। অভিযোগের নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রকে দেওয়া শুভেন্দুর চিঠি। রাজ্যে কেন্দ্রীয় নানা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার পর থেকেই নিয়মিত বরাদ্দ আটকে থাকায় বিজেপি নেতাদের দুষছে রাজ্য সরকার। এদিন সে প্রসঙ্গেই বিধানসভায় সরব হন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, রাজ্যে আবাস প্রকল্পের কাজ ও একশো দিনের কাজের বেশ কিছু বিষয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি।

    ‘খরচ হয়নি ফান্ড’ 

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমার পাঠানো চিঠির উত্তরে ওঁর দফতর জানায় দুটি ছাড়া আমার করা সব অভিযোগ সত্য। এই মর্মে সেকশন ২৭ প্রয়োগ করা হল। সংশ্লিষ্ট বিডিওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে টাকা দেওয়া হবে না।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলা হয়েছে। একশো দিনের কাজ সহ বেশ কয়েকটি কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন খাতে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তাতে সমস্যার কথা আপনারা বলছেন। সমস্যা হচ্ছে একশো দিনের টাকা আর আবাস যোজনার শেয়ার অর্থ নিয়ে। অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় রাজ্যের ৯০ শতাংশ জিএসটি ফান্ড রিলিজ হয়েছে। বাকি টাকা হয়নি।”

    আরও পড়ুুন: “কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে”, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, “শিক্ষা দফতরের ফান্ড ব্যবহার না হয়ে পড়ে রয়েছে। জল জীবন মিশনে ফান্ড ব্যবহার হয়নি। ১৭৯১ কোটি টাকা ব্যবহার হয়নি। ৪ হাজার কোটি টাকা মাইনরিটি খাতে ব্যবহার হয়নি। কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম আপনারা বদল করেছেন। ভারত সরকারের থেকে টাকা পেতে গেলে কেন্দ্রের স্কিমের নাম দিতে হবে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “সাগরদিঘি, নওদায় প্রধান নিজেই একাধিক বাড়ি নিয়েছেন। একাধিক জেলায় পুকুর কাটার টাকা তুলেছেন, অথচ পুকুর কাটেননি। টাকা না পাওয়ার জন্য আপনাদের কাজই দায়ী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: “কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে”, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে”, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে আন্দোলন করে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বিজেপি (BJP) যে তাঁদের পাশে রয়েছে, তা একাধিকবার দাবি করেছিলেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। বাদল অধিবেশনে তাঁদের সেই দাবিতেই সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    ‘ডিএ দিতেই হবে’

    মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে শুভেন্দু বলেন, “রাজ্য সরকারকে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দিতেই হবে।” বিধানসভার বাইরেও ডিএ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। বলেন, “রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী ও পেনশনাররা বঞ্চিত। তাঁদের ডিএ এবং ডিআর দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের সংসারে টানাপোড়েন চলছে। আর সরকার চুপ করে বসে রয়েছে। এটা বরদাস্ত করা হবে না। ডিএ মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই মামলা বারবার পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এতে সরকারি কর্মীদের ক্ষতি হচ্ছে। তাঁরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করে রয়েছেন। আমরা বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলতে চাই না। কিন্তু এই সরকার বারবার বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলে।”

    ‘চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা কষ্টে রয়েছেন’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের সরকারি কর্মীরা সরকারের দ্বারা অবহেলা, বঞ্চনার শিকার। কেন্দ্রীয় হারে সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে। তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে হবে। আর তা যত দ্রুত সম্ভব।” তিনি বলেন, “মেধাবীরা রাস্তায় বসে রয়েছে। সরকার আলোচনা করে সমস্যা মেটাক। সরকারি চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা কষ্টে রয়েছেন। চাষিরা ফসলের দাম পাচ্ছেন না। ফড়েরা দালালি করছে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেতন কাঠামো ও সম কাজে সম বেতন চালু করতে হবে। রাজ্য সরকার অনুমোদিত কয়েক লক্ষ পদ খালি থাকলেও, নিয়োগ হচ্ছে না।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় পেশ দিল্লি পরিষেবা বিল, “ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান” ‘ইন্ডিয়া’কে জবাব শাহের

    শুভেন্দু বলেন, “ভিলেজ পুলিশদের বেতন কাঠামো পুনর্মূল্যায়ন করেনি সরকার। ৬ লক্ষ পদের বিলোপ ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা কেন ১০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করবেন? বাংলায় ২ কোটি বেকারের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে। এই সরকার অমানবিক, দুর্নীতিগ্রস্ত।” ডিএ নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানারে। এই মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষ বলেন, “সরকারি কর্মীদের হয়ে বিধানসভায় কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এজন্য বিরোধী দলনেতার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। এটা আমাদের লড়াইয়ের স্বীকৃতি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share