Tag: Bengali news

Bengali news

  • Calcutta High Court: ভাঙড় থেকে প্রত্যাহৃত ১৪৪ ধারা, আদালতে জানাল রাজ্য সরকার

    Calcutta High Court: ভাঙড় থেকে প্রত্যাহৃত ১৪৪ ধারা, আদালতে জানাল রাজ্য সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হল ভাঙড় থেকে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একথা জানাল রাজ্য সরকার। স্বাভাবিকভাবেই এখন আর ভাঙড়ে যেতে কোনও বাধা রইল না স্থানীয় বিধায়ক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকির। এদিন রাজ্য সরকারও জানিয়েছে, এখন আর ভাঙড়ের বিধায়কের মামলার কোনও যৌক্তিকতা নেই।

    ভাঙড়ে জারি ১৪৪ ধারা

    ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মনোনয়ন-পেশ পর্বেও হয়েছে খুনখারাপি। তারপরেই এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। তার জেরে এলাকায় ঢুকতে পারেননি স্থানীয় বিধায়ক নওশাদ। নির্বাচন-পর্ব মিটে যাওয়ার পরেও কেন ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, সে প্রশ্নও ওঠে। এই ১৪৪ ধারার কারণেই ১২ জুলাই নওশাদকে ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। ১৭ জুলাইও তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্রে যেতে দেওয়া হয়নি নওশাদকে।

    হাইকোর্টে ভাঙড়ের বিধায়ক 

    এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ভাঙড়ের বিধায়ক। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে সেই মামলার (Calcutta High Court) শুনানি হয় আজ, সোমবার। সেখানেই রাজ্য সরকার জানায়, এদিন থেকেই ভাঙড়ে প্রত্যাহার করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এর পরেই বিচারপতি সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, এখন আর ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা নেই বিধায়কের। কেবল স্থানীয় বিধায়ক নন, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় ভাঙড়ে ঢুকতে গিয়ে বাধা পেয়েছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তৃণমূলের সওকত মোল্লা এবং তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামও। 

    আরও পড়ুুন: ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের! বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    জানা গিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক সওকতের আবেদনে কান দেওয়ায়ই ভাঙড় থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বিধানসভার বাদল অধিবেশনে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের (Calcutta High Court) আবেদন করেন সওকত। তিনি বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই, যাতে ভাঙড় থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়। ভাঙড়ের তপ্ত পরিবেশের জেরে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছিল। আমার মনে হয়, এখন ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া উচিত। গরিব মানুষের অসুবিধা হোক, সেটা আমরা কখনও চাই না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Yogi Adityanath : ‘‘তাহলে মসজিদের ভিতর ত্রিশূল কেন?’’ জ্ঞানবাপী নিয়ে প্রশ্ন যোগীর

    Yogi Adityanath : ‘‘তাহলে মসজিদের ভিতর ত্রিশূল কেন?’’ জ্ঞানবাপী নিয়ে প্রশ্ন যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপীকে মসজিদ বলা ঠিক নয়। বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে মামলার মাঝেই বিতর্কিত মন্তব্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath controversial comment on Gyanvapi)। সোমবার তিনি বলেন, ‘জ্ঞানবাপী আদৌ কোনও মসজিদ নয়। মসজিদে কি ত্রিশূল থাকে, দেবতার মূর্তি থাকে? জ্ঞানবাপীতে সেগুলি কোথা থেকে এল? নিশ্চয়ই হিন্দুরা সেগুলি রাখেনি।’ তাঁর কথায়, ‘জ্ঞানবাপীকে মসজিদ বলাতেই যত বিবাদ।’

    যোগী আদিত্যনাথের দাবি

    জ্ঞানবাপীর কার্বন ডেটিং নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে যোগী বলেন, এটাকে মসজিদ বললে ভুল হবে। যদি মসজিদই হয়, তবে তার মধ্যে ত্রিশূল এবং শিবলিঙ্গ কী করে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। যোগী বলেন, জ্ঞানবাপীর দেওয়ালে রয়েছে হিন্দু দেবদেবীর ছবি। মসজিদের দাবি থেকে মুসলিম সম্প্রদায়কে পিছিয়ে আসার পরামর্শ দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,‘বিবাদ মীমাংসায় সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে তার আগে মুসলিমপক্ষকে ঐতিহাসিক ভুলের কথা স্বীকার করতে হবে।’

    আরও পড়ুন: ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা প্রার্থনা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

    ৩ অগাস্ট রায়দান

    প্রসঙ্গত, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ভেঙে ঔরঙ্গজেব জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন, বলে অভিযোগ বহু দিনের। ঘটনার নতুন মাত্রা পায় ২০২১ সালের অগস্ট মাসে। মসজিদ চত্বরে হিন্দু দেবদেবীর অস্তিত্ব এবং পুজো অর্চনার দাবি করে বারাণসী জেলা আদালতের দ্বারস্থ হন পাঁচ মহিলা। সেই সময় মসজিদের ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের নির্দেশ দেয় আদালত। আর তার রিপোর্টে মসজিদ চত্বরে একটি অংশে শিবলিঙ্গ আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এরপর মসজিদের কার্বন ডেটিংয়ের দাবি করে বারাণসী আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দু সংগঠনগুলি। এএসআই-কে দিয়ে সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সমীক্ষার সময় মসজিদের পরিকাঠামো ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করে মসজিদ কমিটি। সমীক্ষার উপর স্থগিতাদেশ জারি করতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। শুনানি শেষ হলেও, আগামী ৩ অগাস্ট রায়দান। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা প্রার্থনা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

    Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা প্রার্থনা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মহাভারতে’ ‘লাভ জিহাদ’ (Love Jihad) ছিল বলে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বোরা। তাঁর এই মন্তব্যে বিস্তর হইচই হয় রাজ্যে। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ভূপেনকে গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় এফআইআর দায়ের হয় ভূপেনের বিরুদ্ধে। এর পরেই সুর নরম করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। চান নিঃশর্ত ক্ষমাও। ক্ষমা প্রার্থনা করে ভূপেন বলেন, “আমার এই মন্তব্যের জন্য কোনও সম্প্রদায় যদি আঘাত পেয়ে থাকে, তার জন্য আমি দুঃখিত। ধর্মকে আঘাত করার মতো কোনও পরিকল্পনা আমার ছিল না।” মন্তব্যের জন্য শ্রীকৃষ্ণের কাছেও ক্ষমা চাইবেন বলে জানান তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভেদাভেদের অভিযোগও তোলেন ভূপেন।

    ‘লাভ জিহাদ’

    ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। এদিন হিন্দু স্ত্রী সহ শ্বশুরবাড়ির বেশ কয়েকজন সদস্যকে খুন করার অভিযোগ ওঠে জনৈক নাজিবুর রহমান বোরার বিরুদ্ধে। পরে থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এই ঘটনার পিছনে ‘লাভ জিহাদে’র (Love Jihad) তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি দাবি করেছিলেন, মহাভারতেও ‘লাভ জিহাদ’ ছিল। এ ব্যাপারে তিনি ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারী এবং শ্রীকৃষ্ণ ও রুক্মিনীর বিয়ের উদাহরণ দেন।

    ভূপেনের আলটপকা মন্তব্য

    তাঁর দাবি, মহাভারতের এই চরিত্রদের বিয়েও ছিল ‘লাভ জিহাদ’। ভূপেনের আলটপকা মন্তব্যের জেরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। ঘরে-বাইরে বিপাকে পড়ে যায় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মকে অপমান করার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে সরব হয় হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন। গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের! বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এহেন আলটপকা মন্তব্যে বিপাকে পড়তে পারে দল। বিজেপি ভূপেনের এই বিতর্কিত মন্তব্যকেই (Love Jihad) হাতিয়ার করতে পারে। সূত্রের খবর, এসব চিন্তা করেই ভূপেনের ওপর চাপ বাড়াতে থাকেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই তড়িঘড়ি ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন ভূপেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজ্যকে ভর্ৎসনা! রামনবমী নিয়ে সরকারের ভূমিকায় বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: রাজ্যকে ভর্ৎসনা! রামনবমী নিয়ে সরকারের ভূমিকায় বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমী মামলায় (Ramnabami Case) কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে মামলা করার অনুমতি চায় রাজ্য। কিন্তু বিচারপতি রাজ্যের আবেদনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সোমবার রাজ্যের এই আচরণেই বিরক্তি প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, রামনবমীর অশান্তি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে, তাতে তারা কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করবে না। 

    কী বললেন বিচারপতি

    হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘আপনারা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে একটা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। তার পর শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পক্ষে না গেলে নতুন মামলা করছেন। এটা হতে পারে না।’’ রামনবমীর মিছিল ঘিরে রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় যে অশান্তি তৈরি হয়েছিল, তাতে এনআইএ তদন্তের কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পরে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যায়। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল যাবতীয় মামলার নথি এনআইএ কে দিতে হবে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, ‘‘আগে শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ কার্যকর করুক রাজ্য, তার পরে আপনাদের মামলা শুনব।’’ বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বাইপাস করে রাজ্য নতুন মামলা করে আগের নির্দেশ কার্যকর করতে দেরি করবে। সেটা মেনে নেব না।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন হয়নি, তাই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত’’! মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ওয়াকআউট বিজেপির

    রাজ্যকে ধমক

    গত মার্চ মাসে, রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় দফায় দফায় অশান্তি হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলায়, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ, হাওড়া, হুগলি, ডালখোলায় অশান্তির ঘটনায় এনআইএ-কে তদন্তভার দেয়। এরপর, এনআইএ তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে সু্প্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই আবেদনে সাড়া দেয়নি সর্বোচ্চ আদালত। এনআইএ তদন্তের বিষয়টি হাইকোর্টের ওপরেই ছেড়ে রাখে সর্বোচ্চ আদালত। তার প্রেক্ষিতেই এদিন বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘আপনারা টাকা খরচ করে সুপ্রিম কোর্ট যাবেন, সেখানে পক্ষে রায় না পেলেও সেখানকার নির্দেশ পালন করবেন না, এটা হতে পারে না। আগে এনআইএ মামলা করেছে, সেই মামলা আগে শুনব, তার পরে রাজ্যের মামলা শুনব। কারণ, রাজ্য কোর্টের নির্দেশ পালন না করে নতুন মামলা করে বিষয়টা আরও ঘোরালো করছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল যাবতীয় মামলার নথি এনআইএকে দিতে হবে। আগে তাই দিন তারপর কথা হবে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: মহারাষ্ট্রে লাভ জিহাদ! প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, গ্রেফতার ৪

    Love Jihad: মহারাষ্ট্রে লাভ জিহাদ! প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, গ্রেফতার ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদ (Love Jihad) এবং ধর্মান্তকরণের ঘটনা মহারাষ্ট্রে ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংগঠন দাবি তুলেছে যে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের (Love Jihad) বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনা হোক। মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলা থেকে অভিযোগ এসেছে যে একটি নাবালিকাকে ৮ জন মিলে ষড়যন্ত্র করে তাকে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে এবং পরবর্তীকালে তাকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হতে প্ররোচনা দেওয়া হয়। এই প্রত্যেক অভিযুক্তকে শনাক্ত করা গেছে। ৮ অভিযুক্ত হল, আভেজ নিশার শেখ, কাইফ শেখ, সোহেল শেখ, হিনা শেখ, আলিসা শেখ, সালিম পাঠান, আলতাব শেখ, সাকির সাহেব। জানা গিয়েছে আটজন অভিযুক্তের মধ্যে পুলিশ এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে। যাদের মধ্যে দুজন মহিলা আছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪(৩), ৩৫৪ (ডি) ১০৯ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে। পাশাপাশি পক্সো আইনের ৮ এবং ১২ নম্বর ধারাতেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    অভিযুক্ত শিক্ষিকা হিনা হিন্দু মেয়েদের বোরখা পরতে বলতো  

    প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত মহিলা হিনা শেখ টিউশিন পড়াত। আসল উদ্দেশ্য ছিল, হিন্দু নাবালিকাদের সে প্ররোচনা দেওয়া মুসলিম ধর্মের অনুসরণ করার জন্য। জানা গিয়েছে, আহমেদনগর জেলার রাহুরির উম্রে গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এবং নির্যাতিতা নাবালিকা ইতিমধ্যে অভিযোগও দায়ের করেছে। ওই নাবালিকার মতে, সে দশম শ্রেণিতে পড়তো এবং টিউশন নিত অভিযুক্ত হিনার কাছে।  ২০২১ সাল থেকে ওই নাবালিকা হিনার কাছে পড়তো বলে জানা গেছে।  হিনার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনা হয়েছে যে মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবকদেরকে তিনি ক্লাসে ডেকে আনতেন এবং হিন্দু মেয়েদের সঙ্গেই তাদেরকে বসাতেন।  আরও মারাত্মক অভিযোগ, হিনা শেখের কাছে যে মুসলিম যুবকরা আসত, তারা পড়তে আসতো না। বরং শুধু বসে থাকার জন্যই আসতো এবং হিনাও হিন্দু মেয়েদের মুসলিম ধর্ম মেনে চলার পরামর্শ দিত। শুধু তাই নয়, বোরখা পরার পরামর্শ দেওয়া হতো তাদেরকে।  কপালে টিপ পরারও বিপক্ষে ছিলেন হিনা। অভিযোগ হিন্দু মেয়েদের লাভ জিহাদের (Love Jihad) ফাঁদে ফেলে তাদেরকে ধর্মান্তকরণ করে ইসলামে নিয়ে আসা হিনার মূল উদ্দেশ্য ছিল।

    হিন্দু নাবালিকার দাবি

    ওই নাবালিকার দাবি, একদিন সে যখন বাড়ি যাচ্ছিল তখন আভেজ তার পথ আটকায় এবং তাকে বলে যে সে তাকে ভালোবাসে (Love Jihad)। এবং পরবর্তীকালে সে ওই নাবালিকার ভাইয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে এবং তার বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। এই সময়ের মধ্যে এসে আভেজ নিশার শেখ আবারও বলে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এবং পরবর্তীকালে হোয়াটসঅ্যাপে লাগাতার মেসেজও পাঠাতে থাকে অভিযুক্ত আভেজ। একদিন ওই নাবালিকাকে আভেজ পরামর্শ দেয় যে হিন্দু ধর্ম পরিত্যাগ করতে এবং তার সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে (Love Jihad) করতে। সে আরও বলে যে গ্রামের অনেকেই তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে জেনে গেছে এবং তার সম্প্রদায়ের অনেকেই টাকা দিয়ে তাকে সাহায্য করতে চায়। পরবর্তীকালে ওই নাবালিকা আভেজের সঙ্গে সমস্ত রকমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কিন্তু এর পরেও আভেজ তাকে ইনস্টাগ্রামে মেসেজ করতে থাকে। কিন্তু সে আর কোনও উত্তর দেয় না।  এই ঘটনা ২০২১ সালের। পরবর্তীকালে চলতি বছরের ২৬ জুলাই ওই একই টিউশন অপর একটি হিন্দু নাবালিকা আভেজের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। এই অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয় যে আভেজ এবং তার বোন আলিশা জোরপূর্বক তাকে বোরখা পরাতে চায় এবং মুসলিমদের মতো থাকতে বলে। শুধু তাই নয় ওই টিউশন থেকে আরও তিন থেকে চার জন হিন্দু নাবালিকা আভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে তাদেরকে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে সে ধর্মান্তকরণ করতে চেয়েছে। এবং এই কাজে সম্পূর্ণভাবে জড়িত তাদের শিক্ষিকা।  এই ঘটনাযটি স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক প্রসাদ লাড বিধানসভায় উত্থাপন করেছেন এবং পুলিশ প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Calcutta High Court: ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের! বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের! বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার আদালতে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল তৃণমূলের! ৫ অগাস্ট রাজ্যের ব্লকস্তরের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এই কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, “কেউ যদি বলেন, কাল হাইকোর্ট ঘেরাও করা হবে, তবে কি সরকার বা পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না? কেউ যদি কোথাও বোমা রাখা হবে বলে, তবে কি সরকার বা পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না?”

    অভিষেকের কর্মসূচি

    প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই তৃণমূলের সমাবেশ মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেন অভিষেক। অভিষেক ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আদালতের দ্বারস্থও হয় বিজেপি। এই মামলার শুনানিতেই এদিন স্থগিতাদেশ দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ (Calcutta High Court)। ধর্মতলায় তৃণমূলের ওই সমাবেশ মঞ্চে একশো দিনের টাকা আটকে রাখার প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রকে নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রীর ভাইপো। সেই সূত্রেই বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেন তিনি। ভরা জনসভায় অভিষেক বলেন, “আগামী ৫ অগাস্ট সমস্ত বুথ, অঞ্চল, ব্লক, জেলা থেকে রাজ্যস্তরের বিজেপি নেতাদের বাড়ি শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও করতে হবে। তবে বাড়িতে কোনও বৃদ্ধ মানুষ থাকলে তাঁকে ছেড়ে দেবেন। বিজেপি নেতা বাড়ি থেকে বেরোবেন না, ঢুকবেনও না।” দলীয় কর্মীদের সতর্ক করতে অভিষেক বলেন, “কারও গায়ে হাত দেবেন না। প্রথম এখানে গণঘেরাও কর্মসূচি হবে। তারপর দিল্লি ঘেরাও হবে।”

    মমতার সংশোধিত কর্মসূচি 

    অভিষেকের পরে ভাষণ দিতে উঠে কর্মসূচির খানিক পরিবর্তন করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কর্মসূচি হবে ব্লক স্তরে। আর ঘেরাও করা হবে বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে, প্রতীকীভাবে। যাতে কেউ না বলতে পারেন, বাধা দেওয়া হচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “কী করে কিছু মানুষকে একজোট হয়ে বাড়ি ঘেরাও করতে বলেন! একজন সাংবিধানিক পদাধিকারীর কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য আশা করা যায় না।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন হয়নি, তাই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত’’! মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ওয়াকআউট বিজেপির

    আদালতের (Calcutta High Court) রায় প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আদালতের এই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। আদালত এই অগণতান্ত্রিক কর্মসূচিকে কড়া হাতে দমন করেছেন। আদালতের এই নির্দেশের পর আশা করব, পিসি-ভাইপো এই ধরনের অসংসদীয় কাজ থেকে বিরত থাকবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Buddhadeb Bhattacharjee: কমছে সংক্রমণ, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বুদ্ধদেবের

    Buddhadeb Bhattacharjee: কমছে সংক্রমণ, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বুদ্ধদেবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও সঙ্কট কাটেনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee)। সোমবার সকালে সিটি স্ক্যান হয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কোনও অবনতি হয়নি। সিটি স্ক্যানের এই রিপোর্ট নিয়েই সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ আলোচনায় বসেন মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা। তাঁর রক্তে সিআরপির পরিমাণ কত, তা দেখেই করা হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।

    নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ফুসফুস

    চিকিৎসকদের বক্তব্য, রক্তে সিআরপির পরিমাণ কমে গেলে বোঝা যাবে বুদ্ধদেবের শরীরে কমেছে সংক্রমণের মাত্রা। শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তির সময় তাঁর শরীরে সিআরপির মাত্রা বেশি ছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দুটি ফুসফুসই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। রবিবারই বুদ্ধদেবকে (Buddhadeb Bhattacharjee) দেখে গিয়েছিলেন মেডিক্যাল টিমের সদস্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সরোজ মণ্ডল। করানো হয় ইকো-কার্ডিয়োগ্রাম। সেই রিপোর্টও ভাল। বুদ্ধদেব আলিপুরের যে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, সেখানকার চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, বুদ্ধদেববাবুর কার্ডিয়াক ফাংশন বেশ ভাল। তাই ফুসফুসের অবস্থা খারাপ থাকলেও, উনি লড়ে যাচ্ছেন। শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে। রাইলস টিউবের মাধ্যমে তাঁকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। কোনও সমস্যা ছাড়াই তাঁর খাদ্যনালী দিয়ে শরীরে খাবার ঢুকছে। এটা ভাল লক্ষণ।

    কানে শুনতে পাচ্ছেন বুদ্ধদেব

    তিনি বলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এখন কানে শুনতে পাচ্ছেন। বুঝতে পারছেন, আশপাশটা অনুভব করতে পারছেন। আমরা ডাকলে উনি তাকাচ্ছেন, মাথাও নাড়ছেন। কখনও কখনও ইশারায় হ্যাঁ বা না বোঝানোর চেষ্টাও করছেন। তবে এখনও বিপন্মুক্ত নন তিনি। হাসপাতালেরই একটি সূত্রে খবর, বুদ্ধদেবের (Buddhadeb Bhattacharjee) সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা মনে করছেন, ক্রমেই নিয়ন্ত্রণে আসছে তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণ। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে সংক্রমণ এখন অর্গানাইজিং পর্যায়ে রয়েছে। তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণ আর বাড়ছে না। বুকে জল জমার পরিস্থিতিও আর নেই। তবে ফুসফুসে ফাইব্রসিস নজরে এসেছে চিকিৎসকদের।

    আরও পড়ুুন: “মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি বিজেপি, কথা হোক বাংলা নিয়েও”, দাবি অগ্নিমিত্রার

    প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Buddhadeb Bhattacharjee) ভর্তি করা হয় আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁর শ্বাসনালীতে সংক্রমণ ছিল। টাইপ ২ রেসপিরেটরি ফেলিয়োরও হয়েছিল। বাইপ্যাপ সাপোর্টে ছিলেন। বুদ্ধদেবের চিকিৎসায় গঠিত হয়েছে আট সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম। এই টিমে রয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কৌশিক চক্রবর্তী, ক্রিটিক্যাল বিশেষজ্ঞ সৌপ্তিক পান্ডা ও সুস্মিতা দেবনাথ, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, পালমোলজিস্ট অঙ্কন বন্দোপাধ্যায়, ইন্টারন্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ধ্রুব ভট্টাচার্য, অ্যানাস্থিটিওলজিস্ট আশিস পাত্র, সোমনাথ মাইতি ও সপ্তর্ষী বসু। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: “মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি বিজেপি, কথা হোক বাংলা নিয়েও”, দাবি অগ্নিমিত্রার

    Manipur: “মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি বিজেপি, কথা হোক বাংলা নিয়েও”, দাবি অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur) ইস্যুতে সরগরম দেশ। বিজেপি শাসিত এই রাজ্য নিয়ে আলোচনার দাবিতে উত্তাল হয়েছে সংসদ। বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে নষ্ট হয়েছে সংসদের বেশ কয়েকটা মূল্যবান দিন। মণিপুর ইস্যুতে হইচই হয়েছে রাজ্যের বিধানসভায়ও। আজ, সোমবার এনিয়ে বিধানসভায় আলোচনায় সম্মতি দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মালদহ-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতন নিয়ে বিজেপি মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চাইলেও, তাতে রাজি হননি তিনি। স্পিকারের ‘দ্বিচারিতা’র বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির।

    ক্ষোভ উগরে দিলেন অগ্নিমিত্রা 

    রবিবার এ ব্যাপারে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, “ওরা এ প্রসঙ্গে আগামিকাল (আজ, সোমবার) আলোচনা চালাবে এবং আমরাও আলোচনা করতে রাজি আছি। তবে আমরা এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা কী অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা নিয়েও আলোচনা করতে চাই। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় আমাদের উচিত প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কথা বলা, তারপর মণিপুর (Manipur)। আমরা দুটো রাজ্য নিয়েই আলোচনা করতে প্রস্তুত।”

    তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিন বিধানসভায় আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন বিরোধীরাও। প্রসঙ্গত, মণিপুর নিয়ে বিধানসভায় তৃণমূলের আনা নিন্দাপ্রস্তাব গৃহীত হয়েছে শুক্রবার। বিধানসভার সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, আজ, সোমবার এই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। এ সংক্রান্ত বিবৃতিতে মণিপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি ওই রাজ্যের প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মণিপুর সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠারও।

    বিবৃতি জারি বিধানসভার

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার ঘটনায় মহিলাদের ওপর সব থেকে বেশি আক্রমণ হচ্ছে। তাঁদের নিশানা করা হচ্ছে। গোটা রাজ্য জ্বলছে। রাজ্যে লুটপাট, অরাজকতা চলছে। মানুষের ন্যূনতম স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে, লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হিংসাশ্রয়ী এই সংঘর্ষের ছবি শুধু মণিপুরের (Manipur) নয়, গোটা দেশের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করেছে। অমানবিক পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা করে রাজ্য বিধানসভা দাবি করেছে, কেন্দ্র অবিলম্বে মণিপুরকে শান্ত করুক।

    আরও পড়ুুন: বাড়িতে বোমা মজুত! বিস্ফোরণে উড়ে গেল তৃণমূল কর্মীর বাড়ির চাল

    ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা যে নৃশংসতার শিকার হচ্ছেন, তা নিয়েও অবশ্যই আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। এটা (নিন্দা প্রস্তাব) কেবল মণিপুর নিয়েই নয়, বাংলা নিয়েও হওয়া প্রয়োজন। এই প্রস্তাব রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • RPF Jawan: মহারাষ্ট্রে চলন্ত ট্রেনে এলোপাথাড়ি গুলি আরপিএফ জওয়ানের! নিহত অফিসার সহ ৪

    RPF Jawan: মহারাষ্ট্রে চলন্ত ট্রেনে এলোপাথাড়ি গুলি আরপিএফ জওয়ানের! নিহত অফিসার সহ ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেল যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে তাঁদের ওপর। সেই রক্ষকই হয়ে উঠল ভক্ষক। রেল সুরক্ষা পুলিশ (RPF Jawan)-এর এক কর্মীর আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে প্রাণ গেল চলন্ত ট্রেনে চার যাত্রীর। নিহত চার জনের মধ্যে রেল পুলিশের (RPF Jawan) এক সাব-ইনস্পেক্টরও রয়েছেন। সূত্রের খবর, ট্রেনটির প্যান্ট্রি কারের এক কর্মীরও মৃত্যু হয়েছে গুলি চালনার ঘটনায়। সোমবার সকালেই এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, রাজস্থানের জয়পুর থেকে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল জয়পুর এক্সপ্রেস। তখনই ঘটে এই গুলি চালনার ঘটনা। ট্রেনের গায়ে, জানলার কাচে গুলির দাগ রয়েছে।

    ঘটনার বিস্তৃত ব্যাখা

    ভারতীয় রেল আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়েছে এই ঘটনায়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার জয়পুর এক্সপ্রেস ভোর ৫টা ২৩ মিনিটে পালঘর স্টেশন দিয়ে যাচ্ছিল। সে সময়ই হঠাৎই নিজের স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকেন আরপিএফের ওই জওয়ান। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই রেল পুলিশ (RPF Jawan) কর্মীর নাম চেতন সিং। জানা গিয়েছে, জয়পুর এক্সপ্রেসের বি ফাইভ কোচে ডিউটি করছিলেন চেতন সিং। গুলি চালনার ঘটনায় মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা জয়পুর এক্সপ্রেসে। গুলি করে চার জনকে হত্যা করার পরেই ট্রেনের চেন টেনে নামার চেষ্টা করেন ওই রেল পুলিশ কর্মী। জানা গিয়েছে, পালঘরের পরের স্টেশন দাহিসারে তিনি ঝাঁপ দিয়ে নামার চেষ্টা করতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর আগ্নেয়াস্ত্র।

    কেন গুলি চালাল চেতন?

    গুলি চালনার কারণ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, নিহত আরপিএফ অফিসার তাঁর পূর্বপরিচিত ছিলেন। তবে নিহতের সঙ্গে বিবাদ ছিল না অভিযুক্তের (RPF Jawan)। পুলিশ অবশ্য প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি (RPF Jawan)। তার অসুস্থতার কারণে বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি চাইছিলেন। কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ারও পরামর্শও দিয়েছিলেন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পরে অবশ্য চেতন নিজেই জানান, সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন তিনি। তারপরেই এই পরিণতি। জয়পুর এক্সপ্রেসকে এরপর বরিভালি স্টেশনে দাঁড় করানো হয়। সেখানে দেহগুলিকে নামানো হয়। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের দেহগুলি স্থানীয় বাবাসাহেব অম্বেদকর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বরিভালি স্টেশনে হাজির হয়েছেন জিআরপির আধিকারিক রবীন্দ্র শিসভে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kerala Murder: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় শোকস্তব্ধ কেরল, ‘সরি, ডটার’, বলছে পুলিশ

    Kerala Murder: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় শোকস্তব্ধ কেরল, ‘সরি, ডটার’, বলছে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর পাঁচেকের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের (Kerala Murder) ঘটনায় শোকস্তব্ধ কেরল। রবিবার শিশুটির দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার স্কুলে। শেষযাত্রায় পা মেলান কয়েকশো মানুষ। স্কুলে নিয়ে যাওয়া হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন সহপাঠী এবং শিক্ষকরা। শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর এর্নাকুলাম জেলার আলুভা শহরের কাছে কিঝমাড কবরস্থানে সমাহিত করা হয় তাকে। দোষী ব্যক্তির কড়া শাস্তিও দাবি করেন শেষযাত্রায় পা মেলানো মানুষ।

    গ্রেফতার অভিযুক্ত

    জানা গিয়েছে, তিন ভাইবোনের সঙ্গে বেড়ে উঠছিল মেয়েটি। শুক্রবার সন্ধ্যায় আলুভা শহরের কাছ থকে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় আসফাক আসলাম নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক। নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করে বস্তায় ভরে জঞ্জাল ফেলার জায়গায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায় আসফাক। শিশুটির পরিবার বিহারের বাসিন্দা। পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে এসেছিলেন কেরলে। ওই দিনই আসফাককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ (Kerala Murder) সূত্রে খবর, মদ্যপ অবস্থায় থাকায় আসফাককে এদিন জেরা করা যায়নি।

    কঠোর সাজার দাবি

    শেষযাত্রায় অংশ নেওয়া এক মহিলা বলেন, “পুলিশ ওকে আমাদের হাতে ছেড়ে দিক। ও যেভাবে শিশুটিকে নৃশংসভাবে মেরেছে, ওর সেভাবেই মরা উচিত। সরকার না পারলে, আমাদের হাতে তুলে দিক।” “ঘটনাটি কেবল যে নৃশংস, তাই নয়, হৃদয়বিদারকও”, বলছেন অন্য এক মহিলা। তিনি বলেন, “এটা সহ্য করা যায় না। এই ঘটনাটা শোনার পর থেকে আমি ঠিকঠাক ঘুমোতে পর্যন্ত পারিনি। আমাদের আইন আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন। যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।”

    আরও পড়ুুন: ছুটিতে বাড়িতে এসে নিখোঁজ কাশ্মীরের তরুণ জওয়ান, গাড়িতে রক্তের দাগ কেন?

    নৃশংস এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে কেরল পুলিশ। ট্যুইট-বার্তায় তারা লিখেছে, “সরি, ডটার।” ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তিনি বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমি খুব কষ্ট পেয়েছি এবং লজ্জাবোধ করছি। সরকারের (Kerala Murder) পক্ষে হয়তো সবকিছু ঠেকানো সম্ভব নয়। কিন্তু সরকারের কর্তব্য এ জাতীয় অপরাধীর জন্য কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা। এমন শাস্তি যে যা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের কাজ করার আগে ভয় পায়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share