Tag: Bengali news

Bengali news

  • Rajya Sabha: “নাটক করা আপনাদের অভ্যাস”, তৃণমূলের ডেরেককে বললেন ধনখড়

    Rajya Sabha: “নাটক করা আপনাদের অভ্যাস”, তৃণমূলের ডেরেককে বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির দাবিতে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে শুক্রবারও মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভার (Rajya Sabha) অধিবেশন। শোরগোলের জেরে মুলতুবি হয়ে গিয়েছে লোকসভাও। এই দাবিতে এনিয়ে টানা ষষ্ঠ দিন মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের বাদল অধিবেশন। এই হট্টগোলের আবহেই লোকসভায় খনি ও খনিজ সম্পদ (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিল সরকার।

    ধ্বনি ভোটে পাশ বিল

    খনি বিল পাশ হয় ধ্বনি ভোটে। ২০১৫ সাল থেকে এই বিলের একাধিক ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন বিরোধীরা। খনি বিলের পাশাপাশি এদিন লোকসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হয়েছে আরও দুটি বিল। একটি হল জাতীয় নার্সিং কমিশন বিল, অন্যটি জাতীয় ডেন্টাল কমিশন বিল। এদিন মুলতুবি হওয়ার আগে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার (Rajya Sabha) চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় ও সাংসদ তৃণমূলের ডেরেক ও’ ব্রায়েন। ডেরেকের উদ্দেশে ধনখড়কে বলতে শোনা যায়, “নাটক করা আপনাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।” তাঁকে এও বলতে শোনা যায়, “আমাকে এত বোঝানোর কোনও প্রয়োজন নেই।”

    হট্টগোলের সূত্রপাত 

    প্রসঙ্গত, মণিপুরে দুই তরুণীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। তার পরেই মণিপুরের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল। বাদল অধিবেশনের শুরুতেই ২৬৭ ধারায় মণিপুরের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবিতে নোটিশ দিয়েছিল (Rajya Sabha) কংগ্রেস সহ বিভিন্ন বিরোধী দল। তবে তাতে রাজি হয়নি মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী ২৬৭ ধারার পরিবর্তে আলোচনা চান ১৭৬ ধারায়।

    আরও পড়ুুন: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিজেপির তিন সহ ৪ জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    এদিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড়ও জানিয়েছিলেন মণিপুর নিয়ে আলোচনা হতে কোনও আপত্তি নেই। তবে কোন ধারায় আলোচনা হবে, তা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি। এ থেকেই শুরু বিতণ্ডার। এদিনও  নাগাড়ে ডেস্ক চাপড়াতে দেখা যায় তৃণমূলের ডেরেককে। তখনই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেন, ডেস্ক চাপড়ানো বন্ধ করুন। চেয়ারকে সম্মান করুন। তার পরেও ডেরেককে দমানো যায়নি। এমতাবস্থায় এদিনের মতো মুলতুবি করে দেওয়া হয় রাজ্যসভার (Rajya Sabha) অধিবেশন। শনি ও রবিবার বন্ধ থাকায় সংসদের অধিবেশন ফের হবে ৩১ জুলাই, সোমবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • WBBPE: ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    WBBPE: ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগ (WBBPE) প্রক্রিয়া স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কুহেলি, বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের এদিনের নির্দেশের ফলে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত বিশ বাঁও জলে। 

    ১২ হাজারের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের (WBBPE) মধ্যে প্রায় ১২ হাজারের নিয়োগ প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষে ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতে অংশ নেওয়ার আর্জি নিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, প্রশিক্ষণের (WBBPE) কোর্স যে শেষ হয়নি, তার দায় পর্ষদের। তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চান। এই মর্মে আগেই  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশ নিতে দিতে হবে। এরপরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২০২০-২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল।

    মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায়েকে চ্যালেঞ্জ জানায় ২০২০ সালের আগের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। নির্ধারিত কোর্স শেষ না করে কেন এই প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছে বোর্ড (WBBPE)? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে ২০২০ সালের আগের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে। এই মর্মে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়াতে অংশ নেওয়া যাবে না। পরবর্তীতে ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ যাঁদের বেশিরভাগই ২০২০-২২ সালের প্রশিক্ষণ (WBBPE) নিয়েছিলেন। এই মর্মে শুক্রবার উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, আগে এই ২০২০-২২ সালের প্রশিক্ষণরতরা নিয়োগ প্রক্রিয়াতে অংশ নিতে পারবেন কিনা সেই বিষয়ে নির্দেশ দেবে আদালত। তারপর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তার আগে পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: ভারী বৃষ্টির জের! বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল, তেলঙ্গানায় মৃত ৯

    Heavy Rain: ভারী বৃষ্টির জের! বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল, তেলঙ্গানায় মৃত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টিতে (Heavy Rain) বিপর্যস্ত জনজীবনের চিত্র যেন কিছুতেই বদলাচ্ছেনা। শুক্রবার সকালেও দেবভূমির বেশ কিছু জায়গায় ধস নামার খবর মিলেছে। ধসের কারণে গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। একই চিত্র হিমাচলেরও। সেখানেও ধস নেমেছে। যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে জাতীয় সড়ক। অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতের তেলঙ্গানা রাজ্যেও একই পরিস্থিতি। একাধিক নদী সেখানে বিপদসীমা অতিক্রম করে বইছে। ইতিমধ্যে সেখানে ১৯০০ বন্যা (Heavy Rain) দুর্গতকে উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। সবমিলিয়ে তেলঙ্গানার পরিস্থিতি বেশ খারাপ।

    ধসের কারণে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলে বন্ধ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়ক

    উত্তরাখণ্ডে ধস ক্রমশই সেখানকার জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এ প্রসঙ্গে সে রাজ্য়ের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিভিন্ন এলাকায় ধস নামায় এবং রাস্তার উপর ধ্বংসস্তূপ এসে পড়ায় শুক্রবার সকালে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী জাতীয় সড়ক। ধ্বংসস্তূপ পড়ায় ধরসু এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়ক।’’ ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain), ধস, মেঘভাঙা বৃষ্টি, বন্যার জেরে একেবারে বিপর্যস্ত দেবভূমি। অন্যদিকে একই ছবি হিমাচলপ্রদেশেও দেখা যাচ্ছে। কয়েকটি সংবাদ সংস্থার দাবি, ভারী বৃষ্টিতে ধস নামছে ব্যাপক। যার জেরে শিমলা এবং কিন্নর জেলায় ৫ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গত মঙ্গলবার কুলুতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে দু’টি সেতু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। তবে হতাহতের খবর মেলেনি।

    বন্যায় বিপর্যস্ত তেলঙ্গানা

    ভারী বর্ষণের (Heavy Rain) জেরে তেলঙ্গানার বহু জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একাধিক নদী বিপদসীমা পেরিয়ে জনপদে চলে এসেছে। রাজ্যের কয়েকটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে রাজ্যের জয়শঙ্কর ভূপালপল্লি জেলাতে। এই জেলার স্থানীয় গ্রাম মোরাঞ্চাপল্লি বর্তমানে ১৫ ফুট জলের নিচে চলে গিয়েছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, প্রাণ বাঁচাতে বহু মানুষ গাছের উপরে, বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার কারণে গতকাল থেকে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে এই নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। সে রাজ্যে হনুমানকোণ্ডায় বি প্রেম সাগর নামে এক কিশোর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে বলে খবর। জলমগ্ন রাস্তা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাওয়াতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতেই এনডিআরএফ এর দল উদ্ধারের কাজে নামে মোরাঞ্চাপল্লি গ্রামে। বায়ুসেনার দু’টি হেলিকপ্টারও নামাতে হয় দুর্গতদের উদ্ধার (Heavy Rain) করতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিজেপির তিন সহ ৪ জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Panchayat Elections 2023: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিজেপির তিন সহ ৪ জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections 2023) বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীদের অপহরণের অভিযোগ। খাস কলকাতা শহরের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য। অপহৃত চার প্রার্থীর মধ্যে তিনজন বিজেপির, একজন বাম সমর্থিত নির্দল। শহরের একটি গেস্ট হাউস থেকে অপহরণ করা হয় তাঁদের। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই অপহরণ করেছে ওই প্রার্থীদের। অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল।

    অপহরণের দাবি

    জানা গিয়েছে, পঞ্চসায়র থানা এলাকার পিয়ারলেস হাসপাতালের কাছে সপরিবারে একটি গেস্ট হাউসে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Elections 2023) চার প্রার্থী। তাঁদের পরিবারের দাবি, নিরাপত্তার কারণেই তাঁরা ওই গেস্ট হাউসে ছিলেন। রাত ১১টা নাগাদ তাঁরা দেখেন, ওই গেস্ট হাউসের সামনে বেশ কয়েকটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। গাড়িতে তৃণমূল নেতারা ছিলেন। গেস্ট হাউসের মালিক বাপ্পা ঘোষ জানান, গন্ডগোলের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। উঠে দেখেন, কয়েকজনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন কেউ বা কারা। অনেকেই যেতে চাইছিলেন না, জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান রয়েছে বলে ঘর ভাড়া নিয়েছিল ওই পরিবারগুলি।

    প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ

    সিপিএমের অভিযোগ, গেস্ট হাউস থেকে ওই চার জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে। তার একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। সিপিএমের তরফে প্রবীণ রাজনীতিবিদ (Panchayat Elections 2023) তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মথুরাপুর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য বিরোধীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল তৃণমূল। সেই কারণেও ওঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন ওই গেস্ট হাউসে। বন্দুক দেখিয়ে অপহরণ করা হয়েছে ওঁদের।

    আরও পড়ুুন: ‘এক দেশ এক ভোট’, আইন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, জানালেন মন্ত্রী

    ১৫ আসন বিশিষ্ট কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি আসনে জেতে তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছে ৬টি আসন। আর সিপিএম জয়ী হয়েছে তিনটি আসনে। নির্দল প্রার্থীরা জেতেন দুটি আসনে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections 2023) তৃণমূল যে যেন-তেন প্রকারে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া, এই ঘটনাই তার প্রমাণ বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তাঁদের দাবি, সেই কারণেই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই সন্ত্রাসের আবহ সৃষ্টি করা হয়েছে রাজ্যে। তার পরেও বিরোধীরা ভাল ফল করায় এবার অপহরণের পথ নিয়েছে শাসকদল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: ‘এক দেশ এক ভোট’, আইন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, জানালেন মন্ত্রী

    One Nation One Election: ‘এক দেশ এক ভোট’, আইন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, জানালেন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এক দেশ এক ভোটে’র (One Nation One Election) পক্ষে বারংবার সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ফের একবার এক দেশ এক ভোট নীতি কার্যকরের পক্ষে সওয়াল করল নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল জানান, ওই নীতি কার্যকরের দিকগুলি খতিয়ে দেখার জন্য আইন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “এর ফলে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে, তা রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের প্রচারে ব্যয় হতে পারে। এই নীতি কার্যকর হলে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের গতিও বাড়বে।”

    মোদি সরকারের যুক্তি 

    ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে পরেই ‘এক দেশ এক ভোটে’র তত্ত্বের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর যুক্তি ছিল, লোকসভার সঙ্গেই দেশের সব বিধানসভার নির্বাচন সেরে নিলে কমবে নির্বাচনী ব্যয়। কেবল তাই নয়, উন্নয়নমূলক কাজের গতিও বাড়বে। একই ভোটার তালিকায় দুই নির্বাচন হলে কর্মীদের তালিকা তৈরির কাজের চাপও কমবে। মোদি সরকারের এই ভাবনাকে সমর্থন করেছিল নীতি আয়োগ, আইন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশন।

    ‘এক দেশ এক ভোট’ 

    ‘এক দেশ এক ভোট’ (One Nation One Election) নীতি লাগু করতে গেলে সংবিধানের বেশ কিছু অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে বলেও সরকারি সূত্রে খবর। সংবিধানের ৮৩ নম্বর অনুচ্ছেদে সংসদের দুই কক্ষের মেয়াদের কথা বলা হয়েছে। ৮৫ নম্বর অনুচ্ছেদে লোকসভা ভেঙে দেওয়ার নিয়ম বলা হয়েছে। ১৭২ নম্বর অনুচ্ছেদে রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদের কথা বলা হয়েছে। ১৭৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার নিয়মের উল্লেখ করা হয়েছে। ৩৫৬ নম্বর ধারায় রয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি সংক্রান্ত নিয়ম। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনও সংশোধন করা প্রয়োজন হতে পারে।

    আরও পড়ুুন: “কৃষ্ণ-রুক্মিণীর বিয়ে লাভ জিহাদ”! কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের কী জবাব দিলেন হিমন্ত?

    বিজেপি ‘এক দেশ এক ভোট’ (One Nation One Election) নীতি লাগু করার পক্ষে সওয়াল করলেও, বিরোধী দলগুলি এই নীতির সমালোচনায় মুখর প্রথম থেকেই। তাদের মতে, এই নীতি নিয়ে মোদি সরকার ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী। এক দেশ এক ভোট নীতি চালু হওয়ার পরে কেন্দ্রে বা কোনও রাজ্যে পাঁচ বছরের আগেই নির্বাচিত সরকার পড়ে গলে কী হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • Love Jihad: “কৃষ্ণ-রুক্মিণীর বিয়ে লাভ জিহাদ”! কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের কী জবাব দিলেন হিমন্ত?

    Love Jihad: “কৃষ্ণ-রুক্মিণীর বিয়ে লাভ জিহাদ”! কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের কী জবাব দিলেন হিমন্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলটপকা মন্তব্য করে বিপাকে অসম প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতি ভূপেন বোরা। বৃহস্পতিবার মহাভারতের কৃষ্ণ-রুক্মিণী এবং ধৃতরাষ্ট্র-গান্ধারীর বিয়েকে লাভ জিহাদের (Love Jihad) সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি। ভূপেনের মন্তব্যের পাল্টা কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, হিন্দু দেব-দেবী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করায় এমন একটা দিন আসবে যখন মসজিদ এবং মাদ্রাসা ছাড়া কংগ্রেসের আর লুকোনোর কোনও জায়গা থাকবে না। কংগ্রেস নেতার এহেন বেফাঁস মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ধর্মীয় নেতারাও। তাঁদের মতে, মহাভারত সম্পর্কে ভূপেনের জ্ঞান অসম্পূর্ণ।

    কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্য

    প্রসঙ্গত, ভূপেন বলেছিলেন, ঐতিহাসিক কাল থেকেই এ দেশে ভিন ধর্মে বিয়ের চল রয়েছে। এমন কী মহাভারতের যুগের রাজাদের সময়ও এসব ছিল। মহাভারতের মূল গল্প হল, গান্ধারীর পরিবার তাঁর সঙ্গে ধৃতরাষ্ট্রের বিয়ে দিতে চায়নি। পিতামহ ভীষ্মই জোর করাতেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। শকুনির ভাইকে বন্দি করা হয়েছিল এবং পরে মামা প্রতিশোধ নিয়েছিলেন। এটাও লাভ জিহাদ। গান্ধারীর পরিবার প্রতিবাদ করেছিলেন। যেহেতু জোর (Love Jihad) করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাই গান্ধারী সব সময় চোখে একটা কাপড় বেঁধে রাখতেন। কৃষ্ণ যখন রুক্মিণীকে নিতে এলেন, তখন অর্জুনের অন্য রূপ।

    প্রতিক্রিয়া হিমন্তের

    প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এহেন মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন হিমন্ত। তিনি বলেন, অভিযোগ দায়ের করলে বোরা গ্রেফতার হবেন। ধর্মীয় আবেগ নিয়ে তাঁর এহেন মন্তব্য করা উচিত হয়নি। তিনি বলেন, আমি জানি না, কী কারণে তিনি কৃষ্ণ-রুক্মিণীকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন। তাঁর এই মন্তব্য সনাতন ধর্মের পরিপন্থী। এটা হিন্দু ধর্মেরও বিরোধী। আমি কংগ্রেসকে অনুরোধ করব, আমরা যেমন হজরত মহম্মদ কিংবা যীশুখ্রিস্টকে নিয়ে কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করি না, তেমনি কৃষ্ণকে নিয়েও কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করা ঠিক নয়। মানুষের কোনও অপরাধের সঙ্গে ভগবানকে যুক্ত করা ঠিক নয়।

    আরও পড়ুুন: মহিলাদের নগ্ন করে হাঁটানোর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত, নির্দেশ কেন্দ্রের

    তাছাড়া, লাভ জিহাদ (Love Jihad) কী, জানেন? যখন কোনও মহিলাকে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিয়ে করা হয় এবং বিয়ের পর ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য করা হয়, সেটাই লাভ জিহাদ। ভগবান কৃষ্ণ কখনওই রুক্মিণীকে তাঁর ধর্ম পরিবর্তন করতে বলেননি। কেউ যদি এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন, তাহলে আমরা ওঁকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হব। আমি ওঁকে বাঁচাতে পারব না। তিনি বলেন, গোলাঘাটে তিনটি খুনের ঘটনায় আমরা লাভ জিহাদের ফল দেখতে পেয়েছি। অনেক মেয়েকে আত্মহত্যা করতে হয়। তাই আমি তরুণ তরুণীদের অনুরোধ করব, স্বধর্মেই বিয়ে করুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: নথি বিকৃতি! এসডিও-বিডিও সহ তিন সরকারি কর্তাকে সাসপেন্ডের সুপারিশ, বাতিল ভোট

    Panchayat Election 2023: নথি বিকৃতি! এসডিও-বিডিও সহ তিন সরকারি কর্তাকে সাসপেন্ডের সুপারিশ, বাতিল ভোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) দুর্নীতির দায়ে তিন সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করল কলকাতা হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি। বেনজির ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যে। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীদের নথি বিকৃত করার মামলায় বিডিও-সহ তিন আধিকারিককে সাসপেন্ডের সুপারিশ ওই কমিটির। বৃহস্পতিবার আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি। সেখানেই সুপারিশ করা হয়েছে সাসপেন্ডের। এফআইআর দায়ের করতে হবে বলেও সুপারিশ করে কমিটি।

    আদালতে দুই প্রার্থী

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) মনোনয়নপত্র বিকৃত করার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের প্রার্থী কাশ্মীরা বিবি এবং ওমজা বিবি। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের নথি বিকৃত করা হয়েছে। তার জেরেই বাতিল হয়ে গিয়েছে তাঁদের মনোনয়নপত্র। বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। মামলাটি উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। এর পরেই বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র নেতৃত্বে এক সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষ করে এদিন আদালতে রিপোর্ট দেয় ওই কমিটি। তাতে বলা হয়েছে, মামলাকারীদের অভিযোগ সত্যি।

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    কমিটির (Panchayat Election 2023) রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, উলুবেড়িয়ার এসডিও শমীককুমার ঘোষ, বিডিও নিলাদ্রীশেখর দে এবং জাতি শংসাপত্র বিভাগের অতিরিক্ত ইন্সপেক্টর কৃপাসিন্ধু সামইয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিত। উলুবেড়িয়ার সংশ্লিষ্ট আসনটি ওবিসি প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত। সিপিএম প্রার্থী কাশ্মীরা ওবিসি সম্প্রদায়ের। কিন্তু তদন্তের সময় তৃণমূল প্রার্থী লুৎফানেসা বেগম স্বীকার করে নেন, তিনি ওবিসি সম্প্রদায়ের নন। অথচ অসত্য তথ্য দিয়ে তাঁকে ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতাই নেই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানেই হারাব’’! লোকসভা ভোটে মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    কিন্তু তথ্য বিকৃত করে সিপিএম প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী। পুরো প্রক্রিয়ায় সরকারি আধিকারিকরা যুক্ত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদালতের নির্দেশ, ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে অবিলম্বে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে হবে। তাঁদের সাসপেন্ড করার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই আসনটিতে পুনর্নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নির্দেশও দিয়েছে আদালত। বলা হয়েছে, উলুবেড়িয়ার বহিরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন শূন্য ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে আসনটিতে পুনর্নির্বাচনের দিন ঠিক করতে হবে রাজ্যকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘‘যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানেই হারাব’’! লোকসভা ভোটে মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানেই হারাব’’! লোকসভা ভোটে মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেখানে দাঁড়াবেন সেখানেই হারাব।” লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষায়ই চ্যালেঞ্জ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “দম থাকলে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের আসনগুলি পুনর্গণনা করে দিন না! বড় বড় কথা বলছেন উনি। ২০১৪ সাল থেকে হারছেন। মিত্র ইনস্টিটিউশনে নিজে হেরেছেন তো। কেন্দ্রীয় পুলিশ থাকলেই হারছেন। আবার আগামী বছরে হারবেন। মিত্র ইনস্টিটিউশনে হারবেন, ওঁর নিজের বুথে হারাব।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “উনি ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করে দিল্লিতে পালাতে চাইছেন। তো দিল্লি যেতে গেলে তো লোকসভায় দাঁড়াতে হবে, নাহলে রাজ্যসভায় পিছনের দরজা দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু ভোটে দাঁড়ালেই হারাব। যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানেই হারাব।”

    ‘কমপার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার’

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কাছে হেরে গিয়েছিলেন মমতা। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, “হ্যাঁ, শুভেন্দু জিতেছে। জিতেছে বলেই আপনি কমপার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার। জিতেছে বলেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে কলার ধরে পদত্যাগ করিয়ে ভবানীপুরে ছাপ্পা মেরে আপনাকে জিততে হয়েছে।” প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে হেরে গিয়ে ভাবনীপুর উপনির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা।

    ‘হারলেন ১৯৫৬ ভোটে’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “একটা ভাঙা রেকর্ড আছে। শুভেন্দু গণনায় কারচুপি করে নন্দীগ্রামে জিতেছে। একই বিল্ডিংয়ে তিনটে বিধানসভার গণনা হয়েছে। মহিষাদল, হলদিয়া এবং নন্দীগ্রাম। হলদিয়া থেকে বিজেপি প্রার্থী জিতলেন ১৫ হাজার প্লাস। মহিষাদলে তৃণমূল প্রার্থী জিতলেন ২১০০ ভোটে। একই বিল্ডিংয়ে আপনি হারলেন ১৯৫৬ ভোটে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “আপনি একটা কেস করেছেন। আপনার বিচারপতিকে অপছন্দ হয়েছিল, মাননীয় কৌশিক চন্দ। তাঁকে বদলালেন। দু বছরের বেশি সময় চলে গেল। মামলা আপনি করেছেন, আমি করিনি। কিন্তু আপনি তোলেন না। কারণ, সবই কানে শোনা, চোখে দেখা কিছু নেই। কোনও নথি নেই। সব নথি তো আমার কাছে।”

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া”, রাজস্থানের সভায় ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা মোদির

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওয়েবেল এবং ডব্লুটিএল দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত টেন্ডার ও কাগজপত্র নিয়ে কাল (শুক্রবার) দুপুর ৩টেয় সাংবাদিকদের সামনে হাজির হব।” আগামী লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপি ৩৬টি আসন পাবে বলেও দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘আটটি বাড়ি নিল কে? কাকা-ভাইপো ছাড়া আবার কে’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে শোরগোল

    TMC: ‘আটটি বাড়ি নিল কে? কাকা-ভাইপো ছাড়া আবার কে’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবরাজপুরের অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের গেটে পড়ল আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টার। পোস্টারে আবাস যোজনার দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। তৃণমূল (TMC) নেতার কাছে দুর্নীতির জবাব চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে?

    পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘আটটি বাড়ি নিল কে? কাকা ভাইপো ছাড়া আবার কে? পৌরপিতা জবাব দেন। যার মূল্য ৩০ লাখ টাকা। মমতা ব্যানার্জী, অভিষেক ব্যানার্জী জিন্দাবাদ।’ কিন্তু, কে এই কাকা ভাইপো? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। বৃহস্পতিবার দুবরাজপুর পুরসভা এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কুলুপাড়ার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঠিক এমনই পোস্টার দেখা যায়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খুলতে এসে কর্মীদের এই পোস্টার চোখে পড়ে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, আবাস যোজনার বাড়ি নিয়েই দুর্নীতি হয়েছে। তা বিরুদ্ধে এই পোস্টার, রাতের অন্ধকারে লাগানো হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা এই পোস্টার লাগালো তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    এ বিষয়ে তৃণমূল (TMC) নেতা তথা দুবরাজপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পান্ডে বলেন, উপভোক্তাদের চিহ্নিত করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। পরে, উপভোক্তারা নিজেরাই বাড়ি করেন। কাকা, ভাইপোকে আটটা বাড়ি দেওয়া হয়েছে এরকম অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেউ নেশা করে এই ধরনের পোস্টার লাগিয়েছে। তবুও আমি ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলেছি।

    কী বললেন পুরসভার কাউন্সিলার?

    ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার ভাস্কর রুজ বলেন, কেউ অসৎ উদ্দেশ‍্য নিয়ে এরকম কাজ করেছে। তবে, এই ওয়ার্ডে স্বচ্ছভাবে আবাস যোজনার কাজ হয়েছে। দলকে বদনাম করার জন্য এই কাজ করা হয়েছে। কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, রাজ্যের পিসি ভাইপোর কথা আমরা জানি। কিন্তু, দুবরাজপুরে কাকা, ভাইপো কে আছেন এর জবাবটা একমাত্র পৌর প্রধানই দিতে পারেন। সারা রাজ্য জুড়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার যে দুর্নীতি হয়েছে সেটা বারংবার আমরা বলেছি। আজকে দুবরাজপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে পোস্টার দিয়ে আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তা পোস্টারের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। আবাস যোজনার বাড়িগুলি নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তাতে চেয়ারম্যান, কাউন্সিলার এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা যুক্ত রয়েছেন। কাকা ভাইপোর নামে পোস্টার দিয়ে সেই ইঙ্গিতই দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: লোকসভা ভোটের রণনীতি স্থির করতে সোমবার থেকে এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে মোদি

    PM Modi: লোকসভা ভোটের রণনীতি স্থির করতে সোমবার থেকে এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন বিরোধীরা। বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী ২৬টি দল গঠন করেছে ‘ইন্ডিয়া’। বিরোধীদের এই জোটকে অবশ্য পাত্তা দিচ্ছে না বিজেপি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও। লোকসভা নির্বাচনে এবার আগের বারের চেয়েও বেশি আসন নিয়ে সংসদে ফিরতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেই কারণে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএতে থাকা বিভিন্ন দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    দুই পর্বে বৈঠক 

    লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল স্থির করতে সহযোগী দলগুলির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। বৈঠক শুরু হবে ৩১ জুলাই। চলবে অগাস্টের ১০ তারিখ পর্যন্ত। প্রতিদিন দুটি পর্যায়ে হবে বৈঠক। প্রথমটি শুরু হবে সাড়ে ৬টায়। পরেরটি সাড়ে ৭টায়। জানা গিয়েছে, প্রথম দিন প্রথম পর্যায়ের বৈঠকটি হবে উত্তর প্রদেশের সাংসদদের নিয়ে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, ব্রজ, কানপুর এবং বুন্দেলখণ্ডের সাংসদরা। উপস্থিত থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং নীতিন গডকড়িও। বৈঠক সঞ্চালনা করবেন সঞ্জীব বালিয়ান ও বিএল ভার্মা। ওই দিনই দ্বিতীয় পর্বে যে বৈঠকটি হবে তাতে যোগ দেবেন পশ্চিমবাংলা, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার সাংসদরা। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সঞ্চালনায় ধর্মেন্দ্র প্রধান ও শান্তনু ঠাকুর।

    থাকবেন শাহ, রাজনাথ 

    সব মিলিয়ে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ৪১ জন সাংসদ। পরের দিনের প্রথম বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন উত্তর প্রদেশের কাশী, গোরখপুর এবং অওয়ধের সাংসদরা। এই বৈঠকেও (PM Modi) থাকবেন শাহ এবং রাজনাথ। দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকে যোগ দেবেন অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গনা, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, কেরল, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং লাক্ষাদ্বীপের সাংসদরা। তার পরের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বসবেন বিহার, হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, ছত্তিসগড়, উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের সাংসদদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া”, রাজস্থানের সভায় ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা মোদির

    অগাস্টের ৮ তারিখের বৈঠকে যোগ দেবেন রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং গোয়ার সাংসদরা। তার পরের দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে গুজরাট, দাদরা নগর হাভেলি, দমন ও দিউয়ের সাংসদদের। ওই দিনই দ্বিতীয় পর্বে তিনি (PM Modi) বৈঠক করবেন মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়ের সাংসদদের সঙ্গে। শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার সাংসদদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share