Tag: Bengali news

Bengali news

  • PM Modi: “দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া”, রাজস্থানের সভায় ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা মোদির

    PM Modi: “দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া”, রাজস্থানের সভায় ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মহাত্মা গান্ধী যেমন ভারত ছাড়ো স্লোগান দিয়েছিলেন, আজকের মন্ত্র হল দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, পরিবারতন্ত্র কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া। এই কুইট ইন্ডিয়াই পারে আমাদের দেশকে বাঁচাতে।” বৃহস্পতিবার রাজস্থানে বিজেপির (BJP) এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজোট হয়েছে কংগ্রেস সহ দেশের ২৬টি রাজনৈতিক দল। বেঙ্গালুরুর সভায় এই দলের নাম হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’।

    ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা

    এদিন এই ‘ইন্ডিয়া’কেই নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধী একবার স্লোগান দিয়েছিলেন – ভারত ছাড়ো – ইংরেজ কুইট ইন্ডিয়া। ব্রিটিশদের দেশ ছাড়তে হয়েছিল। একইভাবে আমরা সমৃদ্ধ ভারত গড়ার সংকল্প নিয়েছি।” এর পরেই তিনি বলেন,“মহাত্মা গান্ধী যেমন ভারত ছাড়ো স্লোগান দিয়েছিলেন, আজকের মন্ত্র হল দুর্নীত কুইট ইন্ডিয়া, পরিবারতন্ত্র কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া। এই কুইট ইন্ডিয়াই পারে আমাদের দেশকে বাঁচাতে।”

    ইন্ডিয়া ইজ ইউপিএ

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ইন্ডিয়ার লেবেল দিয়ে তারা তাদের পুরনো কাজগুলো, ইউপিএ জমানার কাজগুলোকে ধামাচাপা দিতে চায়। তারা যদি সত্যিই ভারতের কথা ভাবত, তাহলে কি তারা বিদেশিদের বলত ভারতে হস্তক্ষেপ করতে? তারা একবার স্লোগান দিয়েছিল, ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া ইজ ইন্দিরা। তখন জনগণ তাদের উপড়ে ফেলেছিল। এই অহংকারীরা আবারও সেই একই কাজ করেছে। তারা বলে ইউপিএ ইজ ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়া ইজ ইউপিএ। মানুষ আবার তাদের সঙ্গে একই আচরণ করবে।”

    কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস একটি দিশাহীন দলে পরিণত হয়েছে। ঠিক আগেকার দিনের জালিয়াত কোম্পানিগুলোর মতো নাম পরিবর্তন করেছে কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা। তারা তাদের নাম পরিবর্তন করেছে যাতে তারা সেই দাগ মুছতে পারে, যা সন্ত্রাসের সামনে আত্মসমর্পণ করার পর তাদের গায়ে লেগেছিল। তারা দেশের শত্রুদের পথ অনুসরণ করছে। ইন্ডিয়া নামটি তাদের দেশপ্রেম দেখানোর জন্য নয়, বরং দেশকে লুট করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে।”

    আরও পড়ুুন: ভোটে সন্ত্রাস! “আগামী বছর সুদে আসলে হিসেব দিতে হবে”, বিধানসভায় শুভেন্দু

    তিনি (PM Modi) বলেন, “স্বাধীনতার কয়েক দশক পরে আজ দেশে এমন একটা সরকার ক্ষমতায় এসেছে, যারা কৃষকদের যন্ত্রণা বোঝে, তাঁদের উদ্বেগ বোঝে। সেই কারণে গত ন’ বছর ধরে তাঁদের কল্যাণের কথা ভেবেই নেওয়া হয়েছে যাবতীয় সিদ্ধান্ত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: ভোটে সন্ত্রাস! “আগামী বছর সুদে আসলে হিসেব দিতে হবে”, বিধানসভায় শুভেন্দু

    Panchayat Elections 2023: ভোটে সন্ত্রাস! “আগামী বছর সুদে আসলে হিসেব দিতে হবে”, বিধানসভায় শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-হিংসা নিয়ে ফের একবার উত্তপ্ত হল রাজ্য বিধানসভা। বৃহস্পতিবার নির্বাচনোত্তর হিংসা (Panchayat Elections 2023) নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই মুলতুবি প্রস্তাব গ্রহণও করেন স্পিকার।

    প্রসঙ্গ কেন্দ্রীয় বাহিনী

    সভায় শুভেন্দু বলেন, “২০০৮ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কী সংগঠন ছিল যে জিতেছিলেন? এবার নির্বাচনে যা করেছেন, আগামী বছর সুদে আসলে হিসেব দিতে হবে।” কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন পাথরপ্রতিমার বিধায়ক তৃণমূলের সমীর জানা। সে প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “জঙ্গলমহল এখনও শান্ত রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আজ কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস। রাজ্যে মোতায়েন করা রয়েছে ৮২২ কোম্পানি (Panchayat Elections 2023)। অমরনাথ যাত্রা থেকে দন্তেওয়াড়ায় এদের পরিষেবা মনে রাখতে হবে। শহিদ হন এঁরাই।”

    ত্রিস্তরীয় লুট

    শুভেন্দু বলেন, “ত্রিস্তরীয় লুট হয়েছে এবার। এর দায় রাজ্য সরকারের। ২৫টি ব্লক অবরোধ করে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। প্রশাসনের সহায়তা করে রাজ্য। নির্বাচন কমিশন প্যানেলের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়। নতুন নির্বাচন কমিশনার ৮ জুন নিজের পদে বসেই ভোট ঘোষণা করেছেন। ৯ তারিখে ভোট প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি।” তিনি বলেন, “১৯৭৮ সাল থেকে ভোটে এ রকম হয়নি। সবার আগে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। প্রশাসনের (Panchayat Elections 2023) বৈঠক হয়। ব্লক স্তরে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই ভোটে অংশ নেয় না। এরপর ডিজি, মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনার। সব কিছুর পর ভোট ঘোষণা হয়। কিন্তু এবার ভোট চুপি চুপি হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: অভিষেকের হুঁশিয়ারির পরই আক্রান্ত বিজেপি কর্মী, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্য সরকার বলছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সংবাদ মাধ্যম বলছে ৫৫ জন মারা গিয়েছেন। ২০ হাজার বুথ লুট হয়েছে।” বিরোধীদের মুলতুবি প্রস্তাব গ্রহণের জন্য স্পিকারকে ধন্যবাদও জানান শুভেন্দু। তিনি বলেন, “১২ বছরে বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়ার জন্য এই প্রথম শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • NDA: মোদির পাশেই জগন মোহন! অনাস্থা প্রস্তাবে সরকারকেই ভোট দেওয়ার ঘোষণা

    NDA: মোদির পাশেই জগন মোহন! অনাস্থা প্রস্তাবে সরকারকেই ভোট দেওয়ার ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদির পাশেই (NDA) অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সরকার পক্ষেই ভোট দেবে তাঁর দল। অন্যদিকে রাজ্যসভায়  জন্য কেন্দ্রের আনা ‘দিল্লি সার্ভিস অর্ডিন্যান্স’ বিলেও মোদির পাশেই থাকছেন জগনমোহন। প্রসঙ্গত, ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির রাজ্যসভায় নয়জন এবং লোকসভায় ২২ জন সাংসদ রয়েছেন। অন্যদিকে এই বিলকে সমর্থনের কথা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে ওড়িশার বিজু জনতা দলও। এর ফলে রাজ্যসভায় অনায়াসেই বিল পাশ করিয়ে নিতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই বিল আইনে পরিণত হলে দিল্লির আমলাদের নিয়ন্ত্রণ সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে চলে যাবে।

    আরও পড়ুন: এবার বুলেট ট্রেনের মানচিত্রে জুড়ল বাংলা! লোকসভায় ঘোষণা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মোদির পাশে নবীন ও জগন মোহন

    তবে শুধুই কি বিল পাশ? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নবীন পট্টনায়ক এবং জগন মোহনের বিজেপিকে সমর্থন (NDA) বিরোধী জোটের কাণ্ডারীদের কাছে বড় ধাক্কা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ‘‘আঞ্চলিক বঞ্চনার প্রতিবাদে এবং ফেডারেল কাঠামো মেনে চলার দাবিতেই মূলত একত্রিত হয়েছিল তৃণমূল-আরজেডি-সমাজবাদী পার্টির নেতারা। কিন্তু ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এনডিএ-এর (NDA) দিকে চলে যাওয়া, বিরোধীদের দাবিকেই নস্যাৎ করে দিল।’’ তবে এই প্রথম নয় একাধিক কর্মসূচি এবং ইস্যুতে মোদির পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে নবীন পট্টনায়েক এবং জগন মোহনকে।

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

    ৩১ জুলাই বিল পেশ হবে রাজ্যসভায়

    জানা গিয়েছে ৩১ জুলাই রাজ্যসভায় পেশ হতে চলেছে এই বিল। বর্তমানে এনডিএ (NDA) জোটের ১০১ জন সদস্য রয়েছেন রাজ্যসভায়। অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোটের কাছে রয়েছে ১০০ জন সদস্য। নবীন পট্টনায়েক এবং জগন মোহনের দলের রাজ্য সভায় সদস্য আছে ৯ জন করে। এরফলে মোদি সরকার কার্যত বিনা বাধায় বিল পাশ করে নিতে পারবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: “কাউকে চিনি না”! সিবিআই জেরায় দাবি মানিকের, কাকে বাঁচানোর চেষ্টা?

    Manik Bhattacharya: “কাউকে চিনি না”! সিবিআই জেরায় দাবি মানিকের, কাকে বাঁচানোর চেষ্টা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এমতাবস্থায়ও তৃণমূল কর্মীদের একাংশকে তিনি বাঁচাতে চাইছেন বলে অভিযোগ। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, গ্রেফতার হওয়ার পরেও মানিককে ছেঁটে ফেলেনি দল। তারই প্রতিদান দিতে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের সাফ জানালেন, “কাউকে চিনি না!”

    নিয়োগ কেলেঙ্কারির ‘মাস্টারমাইন্ড’

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত দু দফায় ঘণ্টা সাতেক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নিয়োগ কেলেঙ্কারির ‘মাস্টারমাইন্ড’কে (Manik Bhattacharya)। এই জিজ্ঞাসাবাদ-পর্বে তিনি পূর্ণ সহযোগিতা করছেন না বলে দাবি সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, মানিক অনেক কিছুই বলেছেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে বলেছেন, “অনেক কিছুই মনে নেই।” জেরার সময় কয়েকজনের নাম বলা হলে মানিক সাফ জানান, “চিনি না কাউকে।”

    সিবিআইয়ের অস্ত্র

    মানিককে জেরা করার আগে রীতিমতো তৈরিই হয়ে গিয়েছিল সিবিআই। আস্তিনে ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচির বয়ান। সেই বয়ানের ভিত্তিতেই প্রশ্ন করা হয় মানিককে। মানিক, তাঁর স্ত্রী, পুত্র এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি সম্পর্কেও জানতে চান তদন্তকারীরা। যেহেতু মানিক (Manik Bhattacharya) তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ, তাই দাওয়াই বাতলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মানিকের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওঁর ইমিডিয়েট পলিগ্রাফ টেস্ট করানো উচিত।”

    এদিকে, নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে মানিক ও তাঁর পরিবারের ৬১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর। মানিকের এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে পাওয়া আট কোটির কাছাকাছি টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে চার্জশিটে দাবি ইডির। চার্জশিটে ইডির দাবি, জেরায় ৬১টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে মাত্র ২৫টির কথা স্বীকার করেছিলেন পলাশিপাড়ার তৃণমূলের বিধায়ক মানিক। ওই চার্জশিটেই জানা গিয়েছে, ৩২টি কোম্পানিতে মানিকের ছেলে সৌভিকের ৩ লক্ষ ৪ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে। মানিকের স্ত্রী-ছেলের সঙ্গে পরিবারের বাইরের লোকের ১০টি অ্যাকাউন্টেরও হদিশ মিলেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় এগুলির তথ্য তাঁরা লুকিয়েছিলেন।  

    আরও পড়ুুন: ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পরিত্রাণ পাবেন’’! কাকে নিশানা করে এ কথা বললেন শুভেন্দু?

    রীতিমতো ফ্লো-চার্ট করে চার্জশিটে ইডি দেখিয়েছে, কীভাবে টাকা সরানো হয়েছে অন্যের অ্যাকাউন্টে। মে মাসে আদালতে ইডি দাবি করেছিল, ২০১৪ সালের টেটে ৩২৫ জনকে পাশ করিয়ে দিতে মানিক (Manik Bhattacharya) নিয়েছিলেন ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। সেই সময়ই তাঁর ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছিল। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা পর বুধবার সিবিআই মানিকের বিরুদ্ধে নতুন করে একটি এফআইআর দায়ের করে আলিপুর আদালতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে পাত্তা নয়, তৃতীয় দফায় জয় নিয়ে নিশ্চিত মোদিও

    PM Modi: ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে পাত্তা নয়, তৃতীয় দফায় জয় নিয়ে নিশ্চিত মোদিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যাতত্ত্বের হিসেব বলছে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব কোনও প্রভাবই ফেলবে না মোদি সরকারের (PM Modi) ওপর। তা সত্ত্বেও মোদি সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আনল বিজেপি-বিরোধী ২৬টি দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’। ওই প্রস্তাবকে কার্যত পাত্তা না দিয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, “আগামী বছর যে লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে, তাতে বিজেপির জয় নিয়ে কোনও দুশ্চিন্তাই নেই গেরুয়া শিবিরের।”

    তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ

    বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লির প্রগতি ময়দানের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার তৃতীয় দফার কার্যক্রমে আপনারা দেখবেন চোখের সামনে আপনাদের স্বপ্ন পূরণ হতে।” বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার লক্ষ্য হল, ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা এবং তৃতীয় মেয়াদে ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করা।”

    গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ 

    এদিকে, বিরোধীদের তৈরি হট্টগোলের আবহেই একাধিক বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে বিজেপি (PM Modi)। এর মধ্যে রয়েছে বহু-রাষ্ট্রীয় সমবায় সমিতি (সংশোধন) বিল, ২০২২ এবং জৈবিক বৈচিত্র্য (সংশোধন) বিল, ২০২২-র মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল। সোমবার জাতীয় নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কমিশন বিল, ২০২৩ জাতীয় ডেন্টাল কমিশন বিল, ২০২৩ এবং সংবিধান (তফশিলি উপজাতি) আদেশ (পঞ্চম)-ও পেশ করা হয়েছে।

    এদিকে, কংগ্রেস সহ ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবে কংগ্রসের অস্ত্রেই কংগ্রেসকে বধ করতে চাইছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও, সরকার ফেলার সামর্থ্য বিরোধীদের নেই জেনেও, মণিপুর নিয়ে বিতর্কে দেশবাসীর মন জিততেই অনাস্থা এনেছে তারা। লোকসভার আসন সংখ্যা ৫৪৩। এর মধ্যে পাঁচটি আসন শূন্য রয়েছে। বাকি আসনের মধ্যে এনডিএর (PM Modi) মধ্যে রয়েছে ৩৩০টি আসন। বিরোধীদের হাতে রয়েছে ১৪০টি আসনের রাশ। তাই সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে সরকার পতনের কোনও সম্ভাবনাই নেই।

    আরও পড়ুুন: ‘শ্যালিকার মত উনিও দেশের বাইরে পালাতে চাইছেন..’, অভিষেককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    ২০১৮ সালের ২০ জুলাইও অনাস্থা এনেছিলেন বিরোধীরা। সেবারও ৩২৫-১২৫ এর ব্যবধানে গোহারা হেরেছিল তারা। সূত্রের খবর, অনাস্থা বিতর্কে বিজেপি কংগ্রেস জমানায় নারী নির্যাতনের বিষয়গুলি তুলে ধরার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে নারী সুরক্ষা নিয়ে কংগ্রেস কতটা উদাসীন, সেই তথ্যও লোকসভায় পেশ করবে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণেও তুলে ধরা হবে কংগ্রেসের ব্যর্থতার দিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bomb Blast: সদাইপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ! ঝলসে গেলেন তৃণমূল নেতা

    Bomb Blast: সদাইপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ! ঝলসে গেলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ দিন আগেই বীরভূমের খয়রাশোলে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে প্রচুর বোমা উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম হলেন এক তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সদাইপুর থানার হাজরাপুর গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    বীরভূম জেলার সদাইপুর থানার পাথরচাপুরির কাছে হাজরাপুর গ্রামে বোমা তৈরির মশলা মজুত করা হয়েছিল। এমনকী বোমা বাঁধার কাজও চলছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোলাম রসুল। তার মুখ থেকে বুক ও হাত, পা ঝলসে যায়। বুধবার তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে হাজির হন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বিস্ফোরণের (Bomb Blast) পর থেকে গ্রামেও উত্তেজনা রয়েছে। যদিও বোমা নয়, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি শাসক দলের। যা নিয়ে এলাকায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। দুবরাজপুর ব্লক তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য স্বপন মণ্ডল বলেন, সব মিথ্যা অভিযোগ। চা করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। কোনও বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) নয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনায় বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, তৃণমূলের লোকজন বোমা মজুত করছিল। ওরা তৃণমূলের দুষ্কৃতী। সেই সময় বিস্ফোরণে (Bomb Blast) জখম হয় ওদেরই লোক। বীরভূম জেলাকে বারুদের স্তূপে পরিণত করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তো দেখলেন, কিভাবে ভোট করল ওরা। কোনও গণতন্ত্র নেই, দুষ্কৃতীদের রাজত্ব চলছে। পুলিশ ও প্রশাসন সবাই সব জেনেও নিশ্চুপ।

    সিউড়িতে উদ্ধার বোমা

    অন্যদিকে, সিউড়ি থানার ধল্লা গ্রামে তিনটি প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। প্রায় ৬০টি তাজা বোমা ছিল। পুলিশ বোমাগুলি উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে রাখে। কে বা কারা বোমাগুলি মজুত করেছিল তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত মহিলা কনস্টেবল, নিরাপত্তা বাহিনীর বাসে আগুন

    Manipur: মণিপুরে এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত মহিলা কনস্টেবল, নিরাপত্তা বাহিনীর বাসে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) এবার আক্রান্ত খোদ নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার কঙ্গপকপি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। বুধবার সকালে ভারত-মায়ানমারের সীমান্তে মোরে এলাকায়ও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। চালানো হয় এলোপাথাড়ি গুলিও। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা কনস্টেবলের। এদিকে, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য সরকারকে শান্তি ফেরাতে সক্রিয় হতে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

    গুলির লড়াই

    এদিন সকাল (Manipur) সাড়ে ন’টা নাগাদ সশস্ত্র দুষ্কৃতী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। মৃত্যু হয় ওই মহিলা কনস্টেবলের। গুলির ওই লড়াইয়ের জেরে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তার আগেই অবশ্য এলাকার অন্তত ৩০টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। জানা গিয়েছে, যে বাড়িগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, সেগুলি মেইতেইদের। হিংসার কারণে অবশ্য বাড়িগুলিতে এখন কেউ ছিলেন না। বাড়িগুলির পাশাপাশি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বন বিভাগের অফিসেও।

    বাসে আগুন 

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালে (Manipur) নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর থেকে জেলা সদরে যাওয়ার পথে সাপোরমেইনা এলাকায় অবরোধের মুখে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি বাস। তখনই বাস দুটিতে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত ৩ মে। এদিনই হিন্দু মেইতেইদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে খ্রিস্টান কুকিদের। মেইতেইরা দীর্ঘদিন ধরেই তফশিলি জাতি মর্যাদার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। তার প্রতিবাদে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর মিছিল করে। এর পরেই শুরু হয় দু পক্ষে সংঘর্ষ। যার জেরে ইতিমধ্যেই বলি হয়েছে শতাধিক মানুষের প্রাণ।

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

    হিংসা থামাতে একাধিক (Manipur) পদক্ষেপ করা হয়। তার পরেও জ্বলেছে অশান্তির আগুন। পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু বাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে ভিটেমাটি ছেড়ে সেনাবাহিনীর আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই নিয়েছেন বহু মানুষ। মণিপুরবাসীর জীবন এবং সম্পত্তি বাঁচাতে রাজ্যের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকের ভার তুলে দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহের হাতে। তার পরেও শান্তি ফেরেনি মণিপুরে। যার মাশুল গুণছেন সাধারণ মানুষও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Calcutta High Court: ভারতীয় সেনায় পাক নাগরিকের চাকরির মামলায় এফআইআর করতে চায় সিবিআই

    Calcutta High Court: ভারতীয় সেনায় পাক নাগরিকের চাকরির মামলায় এফআইআর করতে চায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাল নথি নিয়ে ভারতীয় সেনায় চাকরি করছেন দুই পাক নাগরিক। এ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই মামলায়ই এবার এফআইআর দায়ের করতে চায় সিবিআই। বুধবার মামলার শুনানি হয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। সেখানেই একথা জানায় সিবিআই। তদন্তকারী এই সংস্থার তরফে এও জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের আগের নির্দেশ মতো এই ঘটনার অনুসন্ধান করছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, সোমবারই সিবিআইকে তাদের অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    জাল নথি দিয়ে নিয়োগ

    কেবল সেনাবাহিনীতেই নয়, আধা সামরিক বাহিনীতেও জাল নথি দাখিল করে নিয়োগের হদিশ দিয়েছিল সিআইডি। তবে কোনও পাক নাগরিকের জাল নথি নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করার কোনও নজির (Calcutta High Court) তারা পায়নি বলে হাইকোর্টে জানিয়েছিল রাজ্য। ২৩ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। এর সঙ্গে দেশের নিরাপত্তাও জড়িয়ে রয়েছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সব সমস্যাকে সমন্বয় রেখে এই ঘটনার তদন্ত করতে হবে। এই মামলারই শুনানি হয়েছে বুধবার।

    সেনায় পাক চর!

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় সেনার ব্যারাকপুর ছাউনিতে দুই পাক নাগরিক জাল নথি দিয়ে চাকরি করছেন বলে হাইকোর্টে মামলা করেন বিষ্ণু চৌধুরী নামে হুগলির এক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই মারফত চর ঢোকানো হচ্ছে ভারতীয় সেনায়। তাঁর দাবি, ব্যারাকপুর সেনা ছাউনিতে জয়কান্ত কমার ও প্রদ্যুম্ন কুমার নামে দুই পাক নাগরিক চাকরি করছেন। সেনা বাহিনী, রাজ্য পুলিশ, ভিন রাজ্যের পুলিশ ও প্রভাবশালীদের মারফত তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। জাল নথি দাখিল করে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

    এই মামলার শুনানির পর প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা (Calcutta High Court)। ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি এবং মিলিটারি পুলিশকে এই মামলার শরিক করার নির্দেশও দেওয়া হয়। সিআইডির কাছেও এই মামলার প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসন্ধান করে সিবিআই। এদিকে, এদিন আদালতে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিষ্ণু। তিনি জানান, তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পরেই আদালত তাঁকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে হুগলি জেলার পুলিশ সুপারের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করার নির্দেশ দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের  

    Panchayat Election 2023: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) ব্যাপক অশান্তি হয়েছে রাজ্যে। এই নির্বাচনের আগে-পরে যত হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেসব ক্ষেত্রেই সিবিআই তদন্ত দাবি করল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। কেবল তাই নয়, বিজেপির দাবি, তদন্ত হতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে। নির্বাচন-পর্বে রাজ্যের যেসব জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, সব ক্ষেত্রেই এনআইএ তদন্ত দাবি করেছে ওই টিম।

    রাজ্যের সমালোচনা

    বুধবার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার হাতে ভোট-হিংসা নিয়ে রিপোর্টও জমা দিয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। দাবি করেছে সিবিআই, এনআইএ তদন্তের। নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারের নিন্দা করেন রবিশঙ্কর। সমালোচনা করেন তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানেরও। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election 2023) ঘিরে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে রাজ্যে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই শুরু হয়ে যায় খুনখারাপি। চলতে থাকে নির্বাচনের ফল বেরনোর পরেও বেশ কয়েকদিন ধরে। সব মিলিয়ে এই পর্বে রাজনৈতিক হিংসার বলি হন ৫২ জন। এঁরা যে সবাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থক তা নয়, এঁদের মধ্যে রয়েছেন ভোটারও।

    রক্তের হোলি খেলা

    এই হিংসায় কোথাও খুন হয়েছেন বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা, কোথাও আবার রাজনীতি করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছেন তৃণমূলেরই কোনও কর্মী-সমর্থক। তিনি অবশ্য বলি হয়েছেন গোষ্ঠীকোন্দলের। রাজ্যে ভোট-হিংসার প্রকৃত চিত্র দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গঠন করেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। টিমের মাথায় রাখায় হয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে। ১২-১৪ জুলাই তাঁরা (Panchayat Election 2023) ঘুরে দেখেন রাজ্যের বিভিন্ন হিংসা প্রবণ এলাকা। এই সময় তাঁরা যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন, সেই সব তথ্যই এদিন দিল্লিতে তুলে দেওয়া হয় নাড্ডার হাতে।

    আরও পড়ুুন: ভোট ‘সন্ত্রাসের শিকার’! আক্রান্ত মহিলাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেল বিজেপির পরিষদীয় দল

    ২৬ পাতার ওই রিপোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় গেলেও, স্পর্শকাতর বুথের তথ্য দেয়নি কমিশন। বাংলার গ্রামাঞ্চলে বিজেপি কর্মীরা যে ভয়ে ভয়ে রয়েছেন, তাও জানানো হয়েছে রিপোর্টে। এর পাশাপাশি সব হিংসার ক্ষেত্রে সিবিআই এবং সব বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে এনআইএ তদন্ত দাবি করা হয়েছে। রবিশঙ্কর বলেন, নির্বাচনের আগে আদালত অন্তত পাঁচবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছিল। স্পর্শকাতর জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনীর অপব্যবহার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: টানা ছ’ ঘণ্টা জেরা, মানিকের বিরুদ্ধে ১০০ পাতার নয়া এফআইআর সিবিআইয়ের  

    Manik Bhattacharya: টানা ছ’ ঘণ্টা জেরা, মানিকের বিরুদ্ধে ১০০ পাতার নয়া এফআইআর সিবিআইয়ের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) ঘণ্টা ছয়েক ধরে জেরা করে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বেরলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। মঙ্গলবার রাতেই মানিকের বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ পাতার এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, নকল নথি বানানো, নথি জাল করা, জালিয়াতি সহ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মানিক ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের নামেও দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। তবে জেরায় তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে মানিক সহযোগিতা করছেন না বলেই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।

    মানিকের বিরুদ্ধে এফআইআর

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআয়ের তরফে জানানো হয়, মানিকের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। এদিন মানিককে দীর্ঘক্ষণ জেরাও করা হয়েছে। মামলাটি নিয়ে অনেক কিছু বলেছেন তিনি। সব কিছু ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে। এর পরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই ভিডিও ফুটেজ আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টও সিবিআইকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    প্রেসিডেন্সি জেলে সিবিআই

    এদিন সকালে ফের একবার মানিককে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছান তদন্তকারীরা। প্রাথমিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মতো মঙ্গলবার রাতেই ঘণ্টা দুয়েক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। ওই রাতেই দায়ের হয় এফআইআর। এদিকে, এদিন সিবিআইয়ের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমাদের সরকারি আধিকারিকরা অত্যন্ত দক্ষ। ভাল কাজের জন্য ধন্যবাদ।”

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে কাউন্সেলিং পর্বে ডিজাইনড কোরাপশন (Manik Bhattacharya) হয়েছে বলে মঙ্গলবারই বলেছিল আদালত। তার পরেই আদালত চেয়েছিল, সিবিআই নতুন করে এফআইআর রুজু করে তদন্ত করুক। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, এদিনই জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই। তিনি বলেছিলেন, “২০২০ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এটা নতুন ধরনের দুর্নীতি। আজই মানিক ভট্টাচার্যকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সিবিআইয়ের দক্ষ দুই অফিসার।” সন্ধে ৬টার মধ্যে মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে আজই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।

    আরও পড়ুুন: ভোট ‘সন্ত্রাসের শিকার’! আক্রান্ত মহিলাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেল বিজেপির পরিষদীয় দল

    ২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে হয়েছিল কাউন্সেলিং। পরের বছর জুলাই মাসে কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। সেখানে চতুরতার সঙ্গে ড্রাফট লেখা হয়েছিল। হোম ডিস্ট্রিক্ট ফাঁকা না দেখিয়ে, প্রেফার্ড ডিস্ট্রিক্টকে পছন্দ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কাউন্সেলিং পর্বে প্রার্থীদের বলা হয় ‘লাস্ট চান্স’। যদিও সেবারই তাঁরা প্রথম সুযোগ পাচ্ছিলেন। এখানেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে, পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share