Tag: Bengali news

Bengali news

  • Kargil Vijay Diwas: শ্রদ্ধাজ্ঞাপন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর, দেশজুড়ে পালিত কার্গিল বিজয় দিবস

    Kargil Vijay Diwas: শ্রদ্ধাজ্ঞাপন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর, দেশজুড়ে পালিত কার্গিল বিজয় দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্গিল যুদ্ধজয়ের ২৩ তম বর্ষপূর্তি হিসেবে দেশজুড়ে মহাধুমধামের সঙ্গে পালিত হচ্ছে কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas)। ১৯৯৯ সালে আজকের দিনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কার্গিল যুদ্ধে জয়ী (Victory Over Pakistan) ঘোষিত হয়েছিল ভারতীয় সেনা। ১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই, অপারেশন বিজয়ের সাফল্য ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। প্রায় ২ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ভারতের অনেক বীর সন্তান দেশের জন্য প্রাণের বলিদান দিয়েছেন। প্রতি বছর এই দিনে ভারতের সেই যোদ্ধাদের বীরত্বকে স্মরণ, সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশজুড়ে পালিত হয় কার্গিল বিজয় দিবস। 

    কী বললেন রাষ্ট্রপতি?

    এদিন কার্গিল যুদ্ধজয়ের ২৩ তম বর্ষপূর্তিতে ভারতীয় সেনাকে শ্রদ্ধঘা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সেনাবাহিনীর তরফেও। এদিন ট্যুইট করে দ্রৌপদী মুর্মু লেখেন, ‘‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অসাধারণ বীরত্ব, পরাক্রম ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক এই কার্গিল দিবস৷ ভারত মাতার রক্ষার জন্য প্রাণ বলিদান দেওয়া সব বীর সৈনিককে আমি প্রণাম জানাই৷ সব দেশবাসী, তাঁদের পরিবারের প্রতি সর্বদা ঋণী থাকবে৷ জয় হিন্দ!’’

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘‘কার্গিল বিজয় দিবস মা ভারতীর গৌরবের প্রতীক৷ মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য পরাক্রম দেখানো দেশের সাহসী সুপুত্রদের আমার শত শত প্রণাম৷ জয় হিন্দ!’’ 

    তিনি আরও লেখেন, ‘‘কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas) ভারতের সেই অসাধারণ সাহসীদের বীরগাথাকে স্মরণে আনে, যাঁরা সর্বদা দেশবাসীর জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। এই বিশেষ দিনে, আমি তাঁদের প্রতি আমার হৃদয়ের গভীর থেকে প্রণাম এবং অভিবাদন জানাচ্ছি। জয় হিন্দ!”

    অমিত শাহের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

    কার্গিল দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ট্যুইট করে বলেছেন, ‘‘কার্গিল বিজয় দিবস কোটি কোটি দেশবাসীর কাছে সম্মানের এক মুহূর্ত। আমি কার্গিলের দুর্গম পাহাড়ে তেরঙ্গা উত্তোলন করে দেশের অখণ্ডতা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য আপনার উৎসর্গকে সালাম জানাই।’’

    দ্রাসে কার্গিল যুদ্ধসৌধে শ্রদ্ধা রাজনাথের

    জম্মু ও কাশ্মীরের দ্রাস সেক্টরের কার্গিলে হওয়া এই যুদ্ধে শহিদ হয়েছিলেন ৫২৭ জন ভারতীয় জওয়ান। আহত হয়েছিলেন ১৩৬৩ জন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। এদিন লাদাখের দ্রাসে কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে (Kargil Vijay Diwas) পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

    রাজনাথ বলেন, ‘‘১৯৯৯ সালে ইসলামবাদ পিছন থেকে ভারতের পিঠে ছুরি মেরেছিল। ভারতের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়। যুদ্ধে ভারতীয় জওয়ানরা যে বীরত্ব দেখিয়েছিলেন, তাকে কুর্ণিশ।’’ একইসঙ্গে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে রাখেন, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবার বেআইনি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে ভারত চুপ করে বসে থাকবে না।

    সংসদেও কার্গিল দিবস পালন

    ২৪ বছর আগে ওই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদরা। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বুধবার লখনউতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে কার্গিল যুদ্ধে নিহত সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বুধবার তিনি ট্যুইটে লেখেন, “কার্গিল বিজয় দিবসে রাজ্যের সমস্ত মানুষকে আন্তরিক অভিনন্দন। ভারত মাতার সমস্ত অমর পুত্রদের প্রতি শত শত প্রণাম যাঁরা দেশের সেবায় তাঁদের সর্বস্ব উৎসর্গ করেছেন!”

    মিগ-২৯ বিমানের ফ্লাই পাস্ট

    সেনাবাহিনীর তরফে এদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas) উপলক্ষে দ্রাস সেক্টরে কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনির তিনটি চিতাল হেলিকপ্টার দ্রাসের কার্গিল যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ফুল বর্ষণ করা হয়। ফ্লাই পাস্ট করে নৌসেনার ৪টে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান।

     

    ফোর্ট উইলিয়ামেও কার্গিল দিবস উদযাপন

    কলকাতাতেও পালিত হলো কার্গিল দিবস (Victory Over Pakistan)। এদিন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতর ফোর্ট উইলিয়ামে শহিদবেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কালিতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পকসো মামলায় নির্যাতিতার ছবি প্রকাশ, আইসি-আইওকে সাসপেন্ডের নির্দেশ হাইকোর্টের  

    Calcutta High Court: পকসো মামলায় নির্যাতিতার ছবি প্রকাশ, আইসি-আইওকে সাসপেন্ডের নির্দেশ হাইকোর্টের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পকসো (POCSO) আইনের মামলার কেস ডায়েরিতে নির্যাতিতার ছবি দিয়ে নাম লিখে দেওয়ার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবার ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ করে অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের অন্তর্গত বাগুইআটি থানা।

    সাসপেন্ডের নির্দেশ

    এই মামলায় থানার আইসি ও তদন্তকারী অফিসারকে (IO) সাসপেন্ড করে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য বিধাননগরের কমিশনারকে নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে চার সপ্তাহ পরে। সেদিন বিধাননগর কমিশনারেটকে আদালতে জানাতে হবে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। এদিন আদালতের ভর্ৎসনার মুখেও পড়ে পুলিশ। বেঞ্চের (Calcutta High Court) প্রশ্ন, “যিনি নাবালিকাকে পাচারকারীদের হাত থেকে বাঁচালেন, তাঁকেই অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করার কারণ কী? তার মানে কি ওই যুবক পাচার চক্র ভাঙতে চাইছিলেন না? পাচার চক্র যাতে চলতে পারে, পুলিশ কি সেই রাস্তা করে দিচ্ছে? কেন পুলিশ নাবালিকার গোপন জবানবন্দি দেখল না? না কি দেখেও দেখল না! সেখানে স্পষ্ট লেখা, ওই যুবক তাকে উদ্ধারে সাহায্য করেছেন।”

    বিচারপতির প্রশ্ন 

    কেস ডায়েরিতে কীভাবে পাচার হওয়া নাবালিকার ছবি সহ পরিচয় প্রকাশ করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এর পরেই বাগুইআটি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ শান্তনু সরকার ও তদন্তকারী অফিসার বিশ্বজিৎ দাসকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, ৩ মার্চ বন্ধুর বাড়ি যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নাবালিকার মা। পরে তিলজলা এলাকা থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: মালদার ২ মহিলাকে নির্যাতন! রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

    পুলিশকে সাহায্য করে ওই নাবালিকার প্রেমিক অনল সর্দার। পরে তাঁকেই অভিযুক্ত ঠাউরে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মামলায় আদালতের (Calcutta High Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিশ। অনিলকে জামিনও দিয়েছে আদালত। এদিন থানার আইসি এবং তদন্তকারী অফিসারকেও তলব করেছিল হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: রামনবমী হিংসা মামলা, তদন্তে সহযোগিতা করছে না রাজ্য, আদালতে এনআইএ

    Calcutta High Court: রামনবমী হিংসা মামলা, তদন্তে সহযোগিতা করছে না রাজ্য, আদালতে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তে সহযোগিতা করছে না রাজ্য সরকার। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এই অভিযোগ জানান এনআইএর আইনজীবী। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

    রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার অভিযোগ

    রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে হিংসার অভিযোগ ওঠে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া, চন্দননগর এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায়। এ নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় এনআইএ তদন্তের। হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। তাদের যুক্তি ছিল, জনস্বার্থ মামলায় তদন্তের ভার এনআইএকে দেওয়া যায় না। দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা ছাড়া সাধারণ হিংসার মামলায় এনআইএ আইন প্রয়োগ করা যায় না।

    সুপ্রিম কোর্টের রায় 

    এনআইএ তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাজ্য সরকারের তরফে যে আর্জি জানানো হয়েছিল, মে মাসে তা খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারডিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চেও খারিজ হয়ে গিয়েছে ওই আর্জি। তার পরেই জোর কদমে তদন্ত শুরু করে এনআইএ।

    তবে এই প্রথম নয়, চলতি বছরের জুন মাসেও রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসা সংক্রান্ত মামলার নথি হস্তান্তর না করায় রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল এনআইএ। সেই সময় হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা নির্দেশে বলেন, “রায় চ্যালেঞ্জ করার মানে আগের নির্দেশ কার্যকর করা না হয়। রাজ্য বাধ্য ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ কার্যকর করতে। তাই আগে নথি হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এলে তখন আলাদা হবে। স্থগিতাদেশ পেয়ে যাব, এই ধারণা করে রাজ্য নথি চেপে বসে থাকতে পারে না।”

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ-দুর্নীতিতে নজরে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর পুরসভা! সিবিআই তলবে হাজির আধিকারিকরা

    এদিন হাইকোর্টে এনআইএর আইনজীবী জানান, আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনে রাজ্যের কাছে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া-চন্দননগর, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় হিংসার নথি রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের কাছে চাওয়া হলেও, তারা এখনও দেয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: “৫ অগাস্টের দরকার নেই, আগেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দে!” বলেই মাথায় লাঠির বাড়ি!

    Nadia: “৫ অগাস্টের দরকার নেই, আগেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দে!” বলেই মাথায় লাঠির বাড়ি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ অগাস্ট বিজেপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। এতো দেরি বোধহয় কর্মীদের সহ্য হল না। তার অনেক আগেই শুরু হয়ে গেল হামলা। নদিয়া (Nadia) জেলার গয়েশপুর পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুরের ঘটনা। বিজেপির পঞ্চায়েত ভোটের এজেন্টকে রাস্তায় ঘেরাও করে ব্যাপক মারধর করল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ একটাই, কেন বিজেপি করেন?

    ঘটনা কী ঘটেছে (Nadia)?

    মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় শ্রীরামপুর (Nadia) গ্রামে বিজেপির বুথ এজেন্টের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা অজয় মাঝি এবার ভোটে তাঁর এলাকায় বিজেপির বুথ এজেন্ট হয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে কাজ শেষে পূর্ব পাড়া থেকে বাড়ি ফেরার সময়, তাঁকে কিছু তৃণমূলের দুষ্কৃতী ঘিরে ধরে এবং ৫ই অগাস্টের আগেই ব্যবস্থা নেব বলে তাঁর ওপর হামলা চালায়। মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয় মানুষজন। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর দাবি, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে গয়েশপুর এলাকায় ভালো ফল করেছে বিজেপি। একদিকে তাঁর উপর তৃণমূলের হিংসাত্মক আক্রোশ এবং অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিমূলক মন্তব্য, এই দুইয়ে মিলে তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    বিজেপি কর্মীর বক্তব্য

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মী অজয় মাঝি (Nadia) বলেন, তৃণমূলের গুন্ডা তারকনাথ কবিরাজ বলে, ৫ অগাস্টের দরকার নেই, আগেই মেরে মাথা ফাটিয়ে দে! এই প্রসঙ্গে অজয়বাবু আরও বলেন, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির এজেন্ট ছিলাম। সেই সময় বিজেপি ১৩ টি ভোট পেয়েছিল। এই বছর ২০২৩ সালে আবার আমি বিজেপির এজেন্ট হই। এই বার আমাদের গ্রামের পঞ্চায়েতে ১১ টার মধ্যে ১০ টায় বিজেপি প্রার্থী দিয়ে জয়ী হয়েছে। আমি একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলেই আমায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সোমবারের আগে অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়, আদালতে জানাল ইডি

    Abhishek Banerjee: সোমবারের আগে অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়, আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারের আগে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মামলার শুনানি হচ্ছে না। তাই ওই দিন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করবে না ইডি (ED)। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানিয়ে দিলেন ইডির আইনজীবী। মঙ্গলবার অভিষেকের মামলা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে পাঠিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বুধবার মামলাটি এজলাসে উঠতেই দ্রুত শুনানির আবেদন জানান ইডির আইনজীবী। কিন্তু অন্যান্য মামলার চাপ থাকায় সোমবারের আগে শুনানি সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি ঘোষ। তার পরেই ওই দিন পর্যন্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নেয় ইডি। পরে তা আদালতে জানিয়েও দেওয়া হয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।

    মামলার সাত সতের

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় আদালতে এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড (Abhishek Banerjee)। গত সোমবার পর্যন্ত রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। মামলা নির্দিষ্ট না করা পর্যন্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। মামলাটি বিচারপতি ঘোষের এজলাসে উঠলে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইডি। ইডির আইনজীবী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলাটি বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে গিয়েছে। সেখানে তদন্ত চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাই মামলাটি বিচারপতি সিনহার বেঞ্চেই যাওয়া উচিত। বিচারপতি ঘোষ জানিয়ে দেন, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিই ঠিক করবেন, কার এজলাসে শুনানি হবে সংশ্লিষ্ট মামলার। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম মামলাটি ফেরত পাঠান বিচারপতি ঘোষের এজলাসে। শুনানির জন্য মামলাটি উঠলে তিনি জানান, সোমবারের আগে এই মামলার শুনানি সম্ভব নয়।

    নাম জড়ায় অভিষেকের 

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হন যুব তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা কুন্তল ঘোষ। পরে তিনি অভিযোগ করেন, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নাম বলতে তাঁকে চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। এর পরেই ওই মামলায় নাম জড়ায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের। সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলেও, ইডির হাজিরা এড়াতে অভিষেক দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টে। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, ওই মামলা শুনবে হাইকোর্টই। এবার মামলা আসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নন্দীগ্রাম থানার সিভিক! জেলাজুড়ে শোরগোল

    অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর করে ইডি তদন্ত করতে পারবে বলে নির্দেশ দেন তিনি। এর পরেই এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে ফের একবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। সেই মামলারই শুনানি সোমবারের আগে হবে না বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি ঘোষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy  Rain: প্রবল বৃষ্টি, জলে ভাসছে দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, বন্ধ স্কুল

    Heavy  Rain: প্রবল বৃষ্টি, জলে ভাসছে দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, বন্ধ স্কুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাময়িক বিরতির পর ফের প্রবল বর্ষণ। তার জেরে জলে ভাসার জোগাড় দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব এবং তেলঙ্গানা। ২৮ জুলাই পর্যন্ত এভাবেই বৃষ্টি (Heavy  Rain) চলবে বলে পূর্বাভাস মৌসম ভবনের। আগামী দু দিনের জন্য রাজ্যের সব স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে জল থইথই হায়দরাবাদ। স্কুল বন্ধ তেলঙ্গানায়ও। একই কারণে স্কুল বন্ধ থাকছে নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডায়ও।

    নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডা

    বুধবার সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে দিল্লি ও লাগোয়া কিছু এলাকায়। দ্রুত বাড়ছে যমুনা নদীর জল। নয়ডা, গাজিয়াবাদ এলাকার কয়েকটি জায়গায় জল জমে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টি ও জমা জলের কারণে এদিন নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডার সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছে প্রশাসন। নয়ডায় বন্যার (Heavy  Rain) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যমুনার পাশাপাশি ফুঁসছে হিন্দন নদীও। ইতিমধ্যেই নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে শতাধিক মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে মহারাষ্ট্রেও। দিল্লি ও নয়ডায় জারি হয়েছে ইয়োলো অ্যালার্ট।

    হড়পা বানের আশঙ্কা

    প্রবল ধারাপাতে বিপর্যস্ত কর্নাটকও। হড়পা বানের আশঙ্কায় বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজে। নিতান্ত প্রয়োজন (Heavy  Rain) ছাড়া লোকজনকে বাড়ি থেকে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে। রাজ্যের মালনাড এলাকায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণ কান্নাডা, উত্তর কান্নাডা, উদুপি, চিকমাগালুরু, কোডাগু ও শিবমোগা জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় হতে পারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি।

    নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে তেলঙ্গানায়ও। আগামী দু দিনও রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। আগামী দু দিনের জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে। বুধবারের জন্য রেড অ্যালার্ট (Heavy  Rain) জারি করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের রায়গড়, পুণে, সাতারা এবং রত্নগিরি জেলায়। মুম্বই, পালঘর ও ঠানেতে জারি রয়েছে অরেঞ্জ সতর্কতা। রায়গড় সহ বিভিন্ন জেলায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজে।

    আরও পড়ুুন: মমতা ঘনিষ্ঠ হলেই ডবল চাকরি! ট্যুইটে তোপ শুভেন্দুর

    ওড়িশায়ও জারি হয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ২৭ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। বৃষ্টির জেরে বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। বৃষ্টির বিরাম (Heavy  Rain) নেই হিলাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডেও। বুধ ও বৃহস্পতিবার বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরাখণ্ডের আট জেলায়। এদিকে, মঙ্গলবারও ফের মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে হিমাচল প্রদেশে। তার জেরে প্রচুর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে কুলু জেলায়। ক্ষতি হয়েছে চাষের জমিরও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Justice Abhijit Ganguly: ছক কষেই দুর্নীতি! জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ সিবিআই-ইডিকে

    Justice Abhijit Ganguly: ছক কষেই দুর্নীতি! জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ সিবিআই-ইডিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় মঙ্গলবার সিবিআইয়ের (CBI) সমালোচনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তাঁর প্রশ্ন, “কতবার মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই?” সিবিআইয়ের সিটের প্রধান অশ্বিনী শেনভিকে ভার্চুয়ালি তলবও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদের ‘ডিজাইনড কোরাপশনে’র উল্লেখও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    ‘নতুন ধরনের দুর্নীতি’

    ২০২০ সালে কাউন্সেলিং পর্বে হয়েছে এই ডিজাইনড কোরাপশন। আদালত চায়, সিবিআই নতুন করে এফআইআর রুজু করে তদন্ত করুক। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এদিনই জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই। তিনি (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “২০২০ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এটা নতুন ধরনের দুর্নীতি। আজই মানিক ভট্টাচার্যকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সিবিআইয়ের দক্ষ দুই অফিসার। সন্ধে ৬টার মধ্যে মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে আজই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।

    ‘ডিজাইনড কোরাপশন’

    প্রশ্ন হল, ডিজাইন কোরাপশন কী? জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে হয়েছিল কাউন্সেলিং। পরের বছর জুলাই মাসে কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। সেখানে চতুরতার সঙ্গে ড্রাফট লেখা হয়েছিল। হোম ডিস্ট্রিক্ট ফাঁকা না দেখিয়ে, প্রেফার্ড ডিস্ট্রিক্টকে পছন্দ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কাউন্সেলিং পর্বে প্রার্থীদের বলা হয় ‘লাস্ট চান্স’। যদিও সেবারই তাঁরা প্রথম সুযোগ পাচ্ছিলেন। এখানেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। তিনি জানান, যে মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ পেয়েছেন মানিক, সেই মামলার সঙ্গে এই নতুন মামলার কোনও যোগ নেই। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, তদন্ত চালিয়ে গেলেও, মানিকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    ইডির উদ্দেশে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এই মামলায় কোনও আর্থিক তছরুপ হয়ে থাকলে তদন্ত করতে পারবে তারা। প্রয়োজনে মানিককে হেফাজতেও নিতে পারবে। আজ, মঙ্গলবার থেকেই তদন্ত শুরু করতে পারবে ইডি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, যে ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বীরভূম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ ও হুগলিতে ডিজাইন কোরাপশনের অভিযোগ উঠেছে।

    মঙ্গলবার প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলাটি ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে। ওই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকের নিয়োগে পরিকল্পিত দুর্নীতি হয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। মানিক-ই ছক কষে ডিজাইনড কোরাপশন করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • BJP: ফের উত্তপ্ত সংসদ, বিরোধীদের হাতিয়ার মণিপুর, বিজেপির অস্ত্র বঙ্গে নারী নিগ্রহ

    BJP: ফের উত্তপ্ত সংসদ, বিরোধীদের হাতিয়ার মণিপুর, বিজেপির অস্ত্র বঙ্গে নারী নিগ্রহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক-বিরোধী তরজায় ফের উত্তপ্ত সংসদ। চলছে বাদল অধিবেশন। মণিপুরে দুই তরুণীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি (BJP) বিরোধী দলগুলি। মণিপুর ইস্যুকে ঘিরে অধিবেশন মুলতুবি করতে হয়েছে। নষ্ট হয়েছে অধিবেশনের মূল্যবান দুটি দিন। বিরোধীরা যখন মণিপুরকেই হাতিয়ার করছে, তখন বিজেপি অস্ত্র করছে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক নারী নিগ্রহের ঘটনাকে। এদিন শাসক থেকে বিরোধী সবাই সরব হয়েছেন নারী নিগ্রহ নিয়ে।

    শাসক-বিরোধী তরজা

    এক পক্ষ যখন সরব হয়েছে মণিপুর ইস্যুতে, অন্য পক্ষ তখন সুর চড়িয়েছেন বাংলায় নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে। সোমবারও এই ইস্যুতে একাধিকবার উত্তাল হয়েছে সংসদ। উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। এদিন নাম-পরিচয় সহ বিজেপি সাংসদদের প্রশ্নগুলোর উল্লেখ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। অথচ বিরোধী (BJP) দলগুলির সাংসদদের প্রশ্নগুলোর উল্লেখ করা হয়েছে নাম-পরিচয় ছাড়াই। এনিয়েই তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন ধনখড় এবং ডেরেক। পরে ডেরেককে সতর্কও করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।

    বঙ্গে নারী নিগ্রহ

    বুধবার পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতনের ঘটনায় সুর চড়ান মূলত বাংলার সাংসদরা। আর কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল সরকার পক্ষকে নিশানা করেছে মণিপুর-অস্ত্র প্রয়োগ করে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পাঁচলা হোক, মালদা হোক, আলিপুরদুয়ার হোক, বীরভূম হোক, গতকাল (সোমবার) রাতে নতুন একটি বিষয় এসেছে, কোচবিহারে একটি নাবালিকা মেয়ে ১৪ বছর বয়স, তাকে চার দুষ্কৃতী মিলে লাগাতার ধর্ষণ করেছে। এর জন্য কি বিজেপি দায়ী?  নাকি মুখ্যমন্ত্রী দায়ী, যে অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী শাসন ব্যবস্থাকে এমন করে দিয়েছে, যেখানে মহিলাদের সুরক্ষা পশ্চিমবঙ্গে নেই। আজকে মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে, না হলে গদি ছাড়তে হবে।”

    আরও পড়ুুন: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    এদিনও লোকসভার অধিবেশন শুরু হতেই মণিপুর ইস্যুতে সরব হন বিরোধীরা (BJP)। ফলে দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি করা হয় লোকসভার অধিবেশন। প্রসঙ্গত, সোমবারই বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে যে, মণিপুর নিয়ে বিতর্কের জন্য তারা প্রস্তুত। তার পরেও অধিবেশন ভেস্তে দিতে বিরোধীরা অযথা হট্টগোল করছেন বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    Suvendu Adhikari: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের অস্ত্রেই রাজ্য সরকারকে ঘায়েল করার পরিকল্পনা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)! মণিপুরে দুই তরুণীকে নগ্ন করে ঘোরানোর ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। তাকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত তৃণমূল সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও, তা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। অথচ বুধবার মণিপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত হতে পারে বিধানসভা।

    প্রসঙ্গ মণিপুর

    মঙ্গলবারই এ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে এদিন ধূপগুড়ির বিধায়ক বিজেপির বিষ্ণুপদ রায় প্রয়াত হন এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে এদিন মুলতুবি ঘোষণা করা হয় বিধানসভা। তাই এদিন আর কোনও আলোচনা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই ওঠেনি মণিপুর প্রসঙ্গও। তাই বুধবার এনিয়ে শাসক-বিরোধী তরজায় উত্তপ্ত হতে পারে বিধানসভার কক্ষ। তৃণমূল সূত্রে খবর, মণিপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার সভায় নিন্দা প্রস্তাব আনবে ঘাসফুল শিবির। তবে বিজেপি বিধায়করা যে তা হতে দেবেন না, তা স্পষ্ট রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কথায়ই।

    শুভেন্দুর হাতিয়ার

    তিনি বলেন, “মণিপুর নিয়ে কোনও প্রস্তাব আনতে পারে না। কারণ এডুকেশন স্ক্যাম নিয়ে আমরা আগে যখন বলেছিলাম, তখন বলা হয়েছিল সাব জুডিস ম্যাটার। আলোচনা করা যাবে না। মণিপুরও সাব জুডিস ম্যাটার। সুপ্রিম কোর্ট হয়েছে। ফলে একই যুক্তিতে এটাও আলোচনা করা যায় না।” শুভেন্দু বলেন, “তবুও জোর করে আনলে আলোচনা হবে। আমাদের মহিলা সদস্যরা অংশ নেবেন। আমরা হাউস (বিধানসভা) বন্ধ করে নয়, সচল রেখেই প্রতিবাদ জানাব।”

    তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতে এদিন আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব এবং ডেঙ্গি রোধে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে এদিন বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনবে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “রামপুরহাটের বগটুই থেকে মালদহ, গোটা রাজ্যে নারী নির্যাতন চলছেই। নিয়োগ দুর্নীতির মাঝেই বাড়ছে বেকারত্ব। বর্ষার শুরুতেই মহামারির আকার নিয়েছে ডেঙ্গি। এরই প্রতিবাদে সরব হবেন আমাদের প্রতিনিধিরা।”

    আরও পড়ুুন: সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মার, গ্রেফতার ৪, এলাকায় শোরগোল

    প্রসঙ্গত, জরুরি ভিত্তিতে মঙ্গলবারই দিল্লি গিয়েছেন শুভেন্দু। তার আগে তিনি করেন পরিষদীয় দলের বৈঠক। তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা চাইব। না হলে প্রতিবাদে শামিল হব।” বুধবারই বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনবেন বিজেপির মহিলা বিধায়করা। শ্যামবাজারে অবস্থানও করবেন। রাজ্যে বিভিন্ন বিস্ফোরণের ঘটনায় দাবি করবেন এনআইএ তদন্তও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মার, গ্রেফতার ৪, এলাকায় শোরগোল

    Siliguri: সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মার, গ্রেফতার ৪, এলাকায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া, মালদার ছায়া এবার শিলিগুড়িতে। সালিশি সভায় পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে এক আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার বাগডোগরা থানার ভুজিয়াপানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম প্রদীপ সরকার, গৌরী সরকার, শিবা বাল্মিকী, ললিতা বাল্মিকী। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি আদালতে তাদের তোলা হয়। পাশাপাশি গোটা ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করতে আদিবাসী কল্যাণ সমিতির রাজ্য নেতৃত্ব এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলে।

     ঠিক কী হয়েছিল?

    ভুজিয়াপানির বাসিন্দা প্রদীপ সরকারের সঙ্গে এলাকার এক মহিলার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এনিয়ে গত ১৯ জুলাই এলাকায় সালিশি সভা বসে। সেখানে প্রদীপ সরকারের স্ত্রী ও অপর এক মহিলার সঙ্গে হাতাহাতি হয়। তাদের ছাড়াতে গেলে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ওই নির্যাযিতা মহিলাও। ঘটনার পরের দিন আবার ওই ঘটনা নিয়ে সালিশি সভা ডাকা হয়। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বুলবুলি সিংহ। শিলিগুড়ির (Siliguri) এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

     কী বললেন নির্যাতিতা মহিলা?

    নির্যাতিতা আদিবাসী মহিলা বলেন, সালিশি সভার প্রথম দিন প্রদীপ সরকারের সঙ্গে যে মহিলার পরকীয়া চলছিল, তার সঙ্গে গৌরিদেবীর হাতাহাতি শুরু হয়। গৌরিদেবী প্রদীপ সরকারের স্ত্রী।  আমি হাতাহাতি থামাতে গেলে আমাকে মারধর করা হয়। তারপর সবাই মিটমাট করে দিলে বাড়ি চলে আসি। পরের দিন আবার সালিশি সভা ডাকা হয়। আমি যাইনি। আমাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পৌঁছতেই অভিযুক্ত মহিলা আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর শুরু করে। পঞ্চায়েত সদস্যের সামনে এই ঘটনা ঘটে। তারপর আরও কয়েকজন আমাকে মারধর করে। সকলের সামনেই আমাকে বিবস্ত্র করেই হামলা চলে। আমি মাটিতে পড়ে যেতেই সকলে চলে যায়। কয়েকজন এসে আমাকে গামছা চাপা দিয়ে লজ্জা নিবারণ করে। খবর পেয়ে আমার ছেলে বাড়ি থেকে নাইটি নিয়ে যায়। সেই নাইটি পরে বাড়িতে ফিরে আসি। বাড়িতে ফেরার পর রবিবার রাতে আমার নড়ার ক্ষমতা ছিল না। সেই সঙ্গে লজ্জায় বাড়ির বাইরে বের হইনি। বাড়িতে শুয়েই ছিলাম। সোমবার স্থানীয় কয়েকজনের পরামর্শে আমি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করি। 

    কী বললেন পঞ্চায়েত সদস্য?

    কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য বুলবুলি সিংহ সালিশি সভা ও আদিবাসী  মহিলাকে নিগ্রহের ঘটনা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন, ওই মহিলাকে মারধর করা হলেও বিবস্ত্র করা হয়নি।

    নিন্দায় সরব আদিবাসি কল্যাণ সমিতি

    এই খবর পেয়ে এদিন ওই নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করে গোটা ঘটনা শোনে আদিবাসি কল্যাণ সমিতির নেতৃত্ব। সমিতির অন্যতম সদস্য মন্টু বরাইক বলেন,  আদিবাসী কল্যাণ সমিতির  রাজ্য নেতৃত্ব এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। হাওড়া, মালদার পর শিলিগুড়িতে এধরনের ঘটনা ঘটায় আমরা উদ্বিগ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share