Tag: Bengali news

Bengali news

  • Suvendu Adhikari: ‘ইন্ডি’ জোটকে ফের নিশানা, দেশরক্ষায় মোদিজির হাত শক্ত করার বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ইন্ডি’ জোটকে ফের নিশানা, দেশরক্ষায় মোদিজির হাত শক্ত করার বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, রাহুল গান্ধী, শেখ আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে দূরে থাকুন। স্বাধীন ভারতে দু’জন প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার ছিলেন। তাই, দু’ভাগ হয়েছে দেশ। এখন ২৬ জন প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার। তাই, দেশকে আফগানিস্থান তালিবান হতে দেবেন না। দেশরক্ষার জন্য মোদিজির হাত শক্ত করুন। শুক্রবার পাণ্ডবেশ্বরের শীতলপুর মারে জনসভা থেকে ‘ইন্ডি’ জোটকে এভাবেই নিশানা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফর নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    আগামী ২০২৪ লোকসভাকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমেছে গেরুয়া শিবির। পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে একটি করে জনসভা করার টার্গেট নিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার ছিল পাণ্ডবেশ্বরের শীতলপুর মাঠে জনসভা। এদিন কেন্দ্রের সুশাসন তুলে ধরে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কু-শাসন বলে আখ্যা দেন। তাঁর বক্তব্যের আগাগোড়া ছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফরকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘২০ কোটি টাকা খরচ করে শিল্প আনতে গিয়েছেন। আর রাজ্যের সিঙ্গুরে ডিনামাইট ফাটিয়ে টাটাদের গুজরাটে পাঠিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী খেলা আর মেলার বাইরে বেরোতে পারেননি। এ রাজ্যে রেল নিজস্ব ফান্ডে প্রকল্প করতে চিঠি দিয়েছিল। ৬১টি প্রকল্পের জমি দেয়নি রাজ্য। দমদমের পাশে ভাঙড়ে নতুন বিমানবন্দর করতে চাওয়া হয়েছিল। জমি দেয়নি রাজ্য। ১২ বছর অতিক্রান্ত, নতুন শিল্প নেই। রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প হতে দেয়নি। ভুয়ো স্বাস্থ্যসাথি কার্ড চালু করেছেন। ২০১৯ সাল থেকে ফসল বিমা যোজনা বন্ধ করে রেখেছেন। নতুন করে দামোদরে বালি তুলে গতিপথটাই বদলে দিয়েছেন। খনিজ থেকে রাজ্যের রাজস্ব লোকসান হয়। রাজস্বের ২০ শতাংশ রাজকোষে জমা পড়ে। আর বাকি ৮০ শতাংশ তোলামূলে চলে যায়।’’

    কেষ্ট প্রসঙ্গে কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘বীরভূমে ডিসিআরের নামে পাথর লুট হচ্ছে। কেষ্ট নেই তো কী হয়েছে। কাজল শেখ আছে। নতুন বোতলে পুরোনো মদ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যে বেআইনি কয়লার সিন্ডিকেট হয়েছে। ওই সিন্ডিকেট উপড়ে ফেলার কাজ চলছে। রাজ্য সরকার পুলিশ সরিয়ে নিক। কোনও রাষ্ট্রপতি শাসন লাগবে না। কোনও ৩৫৬ ধারা লাগবে না। গান্ধীমূর্তির নিচে আর শহিদ মিনারের নীচে যাঁরা বসে আছেন, তাঁরাই কালীঘাটের সব ইট খুলে নিয়ে চলে আসবেন।’’

    ডিয়ার লটারি নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘ডিয়ার লটারির মালিক মুখ্যমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে বাংলায় লটারি ব্যাবসার জন্য বেশ কয়েক কোটি টাকা দিয়েছেন। মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে এই ডিয়ার লটারিকে নিয়ে, সব সত্যি এবার সামনে আসবে। উপাচার্য্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয় এটা পিসির লজ্জা। বিচারপতি এজলাসে মামলা আসার ব্যাপারটাকে নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তুলোধোনা করেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dumdum Train Derailed: দমদম স্টেশনে লাইনচ্যুত ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকাল, ভোগান্তি যাত্রীদের

    Dumdum Train Derailed: দমদম স্টেশনে লাইনচ্যুত ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকাল, ভোগান্তি যাত্রীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইনচ্যুত হল ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকাল ট্রেন। শনিবার সকাল ৯:৫২ মিনিটে দমদম স্টেশনে ঢোকার মুখে এই ঘটনাটি ঘটে। লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে হতাহতের কোন খবর মেলেনি। জানা গিয়েছে দুর্ঘটনার (Dumdum Train Derailed) সময় ট্রেনের গতিবেগ খুবই কম ছিল যার জেরে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা মিলেছে। তবে এটাই প্রথম নয় গত পাঁচ দিনে এনিয়ে, দ্বিতীয়বার দুর্ঘটনা ঘটল দমদম স্টেশনের কাছে। মঙ্গলবারই মাঝের একটি লাইনে ঢুকে যায় শিয়ালদাগামী একটি ট্রেন। স্টেশনে ট্রেন না ঢোকার ফলে ট্রেনে ওঠানামা করতে পারছিলে না যাত্রীরা। রেল কর্তৃপক্ষ জানায় যে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এই ঘটনা ঘটে।

    লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন  

    জানা গিয়েছে ওই লোকাল ট্রেনটি দমদম স্টেশনের ৫ নম্বর প্লাটফর্মে এসে দাঁড়ালে চার ও পাঁচ নম্বর বগি লাইনচ্যুত হয়। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন চালক। দুর্ঘটনার পর পরই রেলের ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মীরা সেখানে পৌঁছে যান। এক রেলযাত্রী বলেন, ‘‘আচমকাই একটা প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমরা একে ওপরের ঘাড়ে গিয়ে পড়ি। তখন ব্যাপারটা সেভাবে বুঝতেই পারিনি। ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। অনেকেই লাইন দিয়ে নীচে নেমে আসেন। তারপর বুঝি লাইনচ্যুত (Dumdum Train Derailed) হয়েছে ট্রেন।’’

    আরও পড়ুুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই, এবার জানিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও

    রেলের বিবৃতি 

    পূর্বরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সময় দমদমে ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকালের (Dumdum Train Derailed) মাঝের দিকের একটি কামরার দু’টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। চালকের তৎপরতায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন তিনি থামিয়ে দিয়েছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা সেখানেই ট্রেনটি ছিল। সকাল সাড়ে ১১টায় চাকা দু’টিকে ফের লাইনে তোলা সম্ভব হয়। ট্রেন চলাচল তার পর থেকে স্বাভাবিক হয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Paschim medinipur: মৌচাকে ঢিল মেরে গ্রেফতার হয়েছিলেন দেবমাল্য, মিলল শর্তাধীন জামিন

    Paschim medinipur: মৌচাকে ঢিল মেরে গ্রেফতার হয়েছিলেন দেবমাল্য, মিলল শর্তাধীন জামিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থানার ওসি, আইসি কিংবা বিডিও-কার্যত তৃণমূলের ব্লক সভাপতির মতো আচরণ করছেন। একাধিক জেলার পুলিশ সুপার, জেলাশাসকদের ভূমিকাও একইরকম। শাসকদলের ব্যাটন এখন দলের নেতাদের থেকে আমলাদের হাত বেশি। এটা বিরোধীদের অভিযোগ নয়, খোদ দলেরই কর্মীদের একাংশই একাধিক জেলায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন। তাঁদের অভিযোগ, কোনও নেতাকে পুলিশ আধিকারিকের পছন্দ না হলে তার পদে ঠিকে থাকা দায় হয়ে দাঁড়ায়। পশ্চিম মেদিনীপুরে আনন্দবাজার পত্রিকার খড়গপুরের প্রতিনিধি দেবমাল্য বাগচীকে গ্রেফতার করার ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    নদিনের মাথায় দেবমাল্যের জামিন, শর্ত কী জানেন?

    ৬ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। পরে, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তফশিলি জাতি ও জনজাতিদের প্রতি অত্যাচার দমন আইনের ৩ (১) (আর) (এস) ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৩, ৩৫৪বি, ৫০৯ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয় দেবমাল্য এবং বাসন্তী দাসকে। বাসন্তীদেবী চোলাই কারবারিদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। আর দেবমাল্য সেই খবর প্রকাশিত করেছিলেন। গ্রেফতারের ৯ দিন পর তিনি মুক্তি পান। জামিনের ক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া হয়েছে, যে এলাকায় অভিযোগকারী থাকেন, আগামী ১৪ দিন সেই সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় (অর্থাৎ খড়্গপুরে) দেবমাল্য এবং বাসন্তী ঢুকতে পারবেন না। এই সময়ের মধ্যে তাঁরা অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারবেন না।

    দেবমাল্যকে গ্রেফতারের পিছনে আসল কী কারণ লুকিয়ে রয়েছে জানেন?

    খড়্গপুর শহরের সাঁজোয়াল এলাকায় চোলাই মদের রমরমা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কীভাবে পুলিশ প্রশাসনের অকর্মণ্যতার জন্যই এই রমরমা এবং কীভাবে বাড়িতে বসে বসেই চোলাইয়ের ব্যবসা চলছে তা বিশদে তুলে ধরেন দেবমাল্য। গত ২৭ অগাস্ট আনন্দবাজার পত্রিকার খড়্গপুর সংস্করণে খবর প্রকাশের পরেই স্থানীয় মানুষের রোষের মুখে পড়ে পুলিশ। পুলিশ ওই চোলাই ঠেকের কয়েকজন মদ্যপকে ধরে জনরোষ সামাল দিতে চায় ঠিকই, কিন্তু মূল অভিযুক্তরা পালায়। এই ঘটনার পর, বাসন্তী দাস নামে ওই মহিলা যিনি এই অভিযোগ করেছিলেন তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে চোলাই মদের কারবারিরা। তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এই চোলাই কারবারিদের থেকে মোটা অঙ্কের মাসোহারা নেয় পুলিশ। সেই মাসোহারা পুলিশের বিভিন্ন মহলে পৌঁছে যেত। এই মৌচাকেই ঢিল মেরেছিলেন দেবমাল্য। আর পুলিশের চেহারা জনগনের কাছে বেআব্রু করে দিয়েছিলেন। এবার পুলিশ যেটা বিরোধী দল বিজেপি ক্ষেত্রে গোটা রাজ্যজুড়ে করছে, মিথ্যা কেস দিয়ে লকআপে ঢোকানো, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেই বাহদুরি কাজ দেখিয়েছে পুলিশ। খোদ বিরোধী দলনেতা এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। 

    দেবমাল্য গ্রেফতারি নিয়ে কী বলেছেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনাটি টুইট করে লিখছেন, অভিযোগকারিণী বাসন্তী দাস এবং এলাকার অন্যান্য মহিলারা ওইখানকার কিশোর-কিশোরীদের বাঁচাতে এই অবৈধ ব্যবসাকে আইনত বাধা দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। ওই এলাকার পরিবেশ এতটাই বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল যে মহিলারা নিরাপদ বোধ করছিলেন না। পুলিশ, স্থানীয় কাউন্সিলর ও পৌরসভার চেয়ারপার্সনের কাছে সাহায্য চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। পুলিশ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে খবর হতেই শোরগোল পড়ে। সংবাদ সংস্থার বাধ্যতা তাঁর কাছে অজানা নয়। তাঁরা ‘নির্লজ্জভাবে নীরব’ কারণ সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিজ্ঞাপন রাজস্বের উপর তাদের নির্ভর করে চলতে হয়। ছদ্ম উদারপন্থী এবং বুদ্ধিজীবীরাও খানিক এই কারণেই চুপ।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধী দল থেকে আদিবাসী সংগঠন

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমার প্রেস ক্লাব, বিভিন্ন দল ও সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদনও জানানো হয়েছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। আদিবাসী সংগঠন আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। তাদের দাবি ছিল, এই আইনটির অপব্যবহার হচ্ছে। বিজেপির বক্তব্য, সংবাদ মাধ্যমের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা হয়েছে।

    কী বললেন দেবমাল্য?

    জামিনে মুক্তি পেয়ে দেবমাল্য বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই, এখনই এই ঘটনা নিয়ে কিছু মন্তব্য করব না। এই বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে যা বলার তা বলব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Biometric Fraud: বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি টাকা গায়েব করছে প্রতারকরা, কীভাবে বাঁচবেন?

    Biometric Fraud: বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি টাকা গায়েব করছে প্রতারকরা, কীভাবে বাঁচবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করতে নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করছে প্রতারকরা। প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে যেখানে এটিএম থাকে না অথবা ব্যাঙ্কের কোনও শাখা নেই, সেখানে সিএসপি সেন্টারের উপরে নির্ভর করতে হয় গ্রাহকদের। এখানেই তাদের দিতে হয় যাবতীয় বায়োমেট্রিক তথ্য (Biometric Fraud)। তাই সেক্ষেত্রে এই সিএসপি সেন্টারের কোনও কোনও কর্মীর জোগসাজশে প্রতারকরা বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে নেয় এবং জালিয়াতি করে।  

    সম্প্রতি কলকাতার মহেশতলাতেও এমন অভিযোগ সামনে এসেছে। মহেশতলার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ কর গত ৭ সেপ্টেম্বর দেখেন, তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ এসেছে। সেখানে লেখা রয়েছে, ১০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে (Biometric Fraud)। প্রসেনজিৎ বাবু বলতে থাকেন, তিনি টাকা তোলেননি। মহেশতলার এই প্রোমোটার তখন মনে করেন যে প্রায় দু মাস আগে তিনি জমির রেজিস্ট্রি করাতে গিয়ে আঙুলের ছাপ দিয়েছিলেন। সেখান থেকে কেউ তথ্য চুরি করেছে।  বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রি অফিসগুলি এখন বায়োমেট্রিক তথ্যচুরির ঘুঘুর বাসা হয়ে গিয়েছে। ফাঁদ পেতে বসে থাকে প্রতারকরা এবং বায়োমেট্রিক চুরি করে তথ্য। 

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের এক আধিকারিকের কথায়, সম্প্রতি এই অভিযোগ লাগাতার আসছে আমাদের কাছে। অভিযোগকারীরা বলছেন, তাঁরা ওটিপি শেয়ার (Biometric Fraud) করেননি। কারও কথায় তাঁরা কোনও লিঙ্কও খোলেননি, অথচ তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগকারীরা আরও জানাচ্ছেন যে মেসেজে লেখা হচ্ছে আধার এনেবেলড পেমেন্ট সিস্টেম (এইপিএস)-এর মাধ্যমে টাকা তোলা হচ্ছে। এইপিএস হল এক ধরনের সুবিধা যেখানে এটিএম কাউন্টার নেই সেখানে এই পদ্ধতিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মাধ্যমে টাকা তোলা যায়। 

    কীভাবে মিলবে রেহাই

    কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের আধিকারিকরা বলছেন, মোবাইল ফোনে mAdhaar অ্যাপ রয়েছে। এটি ইনস্টল করে আধার অথেন্টিকেশন করতে হবে। এরপরে বায়োমেট্রিক (Biometric Fraud) অথেন্টিকেশন অপশনে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে বায়োমেট্রিক লক করে দেওয়া যেতে পারে। ভবিষ্যতে নিজের যে কোনও কাজে প্রয়োজন হলে আবার এটি খোলা যেতে পারে। বায়োমেট্রিক লক থাকলে তার অপব্যবহার হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Partha Chatterjee: “আদালতে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না”, পার্থ প্রসঙ্গে সাফ জানালেন বিচারক

    Partha Chatterjee: “আদালতে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না”, পার্থ প্রসঙ্গে সাফ জানালেন বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারও জন্য আদালতে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া হবে না। শুক্রবার সাফ জানিয়ে দিলেন বিচারক। নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি রয়েছেন জেলে। তাঁরই জামিনের শুনানির জন্য তারিখ চেয়ে আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থর আইনজীবী। তখনই বিচারক জানিয়ে দেন, কারও জন্য আদালতে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া হবে না। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৭ সেপ্টেম্বর।

    বিশেষ সুবিধা নয়

    আলিপুরে বিশেষ আদালতে নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডের শুনানি ছিল। এদিন ফের একবার পার্থর জামিনের আবেদন করা হয়। তখনই বিচারক বলেন, “আদালতে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না। যে রকম যা তারিখ নির্ধারিত রয়েছে, সে রকম হবে।” উল্লেখ্য, এর আগে ৮ সেপ্টেম্বরও একবার পার্থর জামিনের আর্জি জানানো হয়েছিল। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন পার্থ। হাজির করানো হয়েছিল নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ধৃত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা অশোক সাহা, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এজেন্ট চন্দন মণ্ডলকে। ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাও।

    ফের জেল হেফাজত

    বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আদালতের কাছে সবাই সমান। কাউকে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া আদালতের পক্ষে সম্ভব নয়। এর পর যেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হবে, সেদিনই জামিনের আবেদনের শুনানি হবে।” এদিন পার্থ (Partha Chatterjee) সহ বাকি অভিযুক্তদেরও জামিনের শুনানি হয়। কেউ অসুস্থতা, কেউ বয়সের কারণ দেখিয়ে জামিন চেয়েছিলেন। তবে তাতে কর্ণপাত করেননি বিচারক। প্রত্যেককেই ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই, এবার জানিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও

    প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি তত্ত্বে খারিজ হয়ে যায় পার্থর জামিনের আবেদন। তবে তিনি যে নির্দোষ, তা একাধিকবার বলতে শোনা গিয়েছে পার্থকে। ২৪ জুলাই আদালতে ঢোকার সময় তিনি (Partha Chatterjee) তো বলেইছিলেন, “আমি নির্দোষ। আমি নিয়োগ কর্তা নই, আমি সুপারিশ কর্তাও নই। আমি কোনও ব্যাপারের সঙ্গে ছিলাম না।” তাঁকে বিনা বিচারে এক বছর ধরে জেলে আটকে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Pakistan Occupied Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই, এবার জানিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও

    Pakistan Occupied Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই, এবার জানিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই বোধহয় বলে বন্ধুর গালে সপাটে থাপ্পড়! পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Pakistan Occupied Kashmir) ভারতেরই। সাফ জানালেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উপ-প্রধানমন্ত্রী। ভারত, ইউরোপ এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যে তৈরি হবে অর্থনৈতিক করিডর। এর একটা বিরাট অংশ রয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। সেই প্রসঙ্গেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি জানিয়ে দিল, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই। সম্প্রতি দিল্লিতে হয়ে গেল জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। তার পরেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এই বার্তাকে নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের

    সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উপ-প্রধানমন্ত্রী সইফ বিন জাহেদ আল নাহিয়ান। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সদ্য সমাপ্ত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে করিডরটিকে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপের অর্থনৈতিক করিডর হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। এজন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, নাহিয়ান অর্থনৈতিক করিডরের একটি মানচিত্র দেখাচ্ছেন। সেখানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে (Pakistan Occupied Kashmir) ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সম্পর্কের যে উন্নতি হয়েছে এবং দুই দেশই যে আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে শক্তিশালী করতে চায়, সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে ভিডিওটিতে।

    কী বলেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী?

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর যে ভারতেরই, তা বরাবর দাবি করে আসছে নয়াদিল্লি। তার পরেও কাশ্মীরের ওই অংশ দখল করে রেখেছে ইসলামাবাদ। গত জুন মাসেও কাশ্মীরের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে প্রতিরক্ষমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়েছিলেন, ইসলামাবাদ যতই দাবি করুক না কেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের ছিল, আছে এবং থাকবে। এ ব্যাপারে সংসদে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি, রাজভবন-নবান্ন সংঘাতে ইতি টানতে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, দিন তিনেক আগে প্রাক্তন সেনা প্রধান তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিংহ বলেছিলেন, অচিরেই স্বেচ্ছায় ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Pakistan Occupied Kashmir)। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে অবশ্য পাকিস্তানের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বন্ধু দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এহেন ঘোষণায় পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Supreme Court: স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি, রাজভবন-নবান্ন সংঘাতে ইতি টানতে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Supreme Court: স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি, রাজভবন-নবান্ন সংঘাতে ইতি টানতে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সঙ্কট কাটাতে সাহায্য করতে হবে। শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে এমনই বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করার নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। উপাচার্য নিয়োগে প্রধান ভূমিকা নেবে এই সার্চ কমিটিই। এর পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির দিকে নজর দেওয়ার জন্য রাজ্য ও রাজ্যপাল দু’ পক্ষকেই উদ্যোগী হতে হবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ

    এদিন বিচারপতি সূর্য কান্ত ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চের নির্দেশ, রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করতে ২৫ সেপ্টেম্বর সার্চ কমিটি গঠন করে দেবে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগেই শীর্ষ আদালতে জমা দিতে হবে প্যানেলের সদস্যদের নাম। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, রাজ্য সরকার পাঁচজন সদস্যের নাম জানাবে। আচার্যও জানাবেন পাঁচজন সদস্যের নাম। ইউজিসির তরফেও দিতে হবে পাঁচজনের নাম। এঁদের মধ্যে থেকেই প্রত্যেক পক্ষ থেকে সমসংখ্যক নাম বেছে নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করে দেবে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এই কমিটিই প্রস্তাব করবে স্থায়ী উপাচার্যের নাম।

    ‘রাজ্যপালকে অপমান করা হচ্ছে’

    রাজ্যপালের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য যে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল, এদিন তা দেয়নি শীর্ষ আদালত। যার অর্থ, আপাতত স্বপদেই বহাল থাকছেন রাজ্যপাল মনোনীত অস্থায়ী উপাচার্যরা। এদিনের শুনানিতে রাজ্যের তরফে সওয়াল  করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। আর রাজ্যপালের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “আদালতের নির্দেশ মোতাবেক রাজ্যের তরফে আলোচনায় ডাকা হলেও, তাতে সাড়া দেননি রাজ্যপাল।” পাল্টা রাজ্যপালের আইনজীবী বলেন, “প্রতিদিন রাজ্যপালকে প্রকাশ্যে অপমান করা হচ্ছে। তাই আলোচনার উপযুক্ত পরিবেশ নেই।”

    আরও পড়ুুন: নির্দিষ্ট সঞ্চালকদের বয়কটের সিদ্ধান্ত ইন্ডি জোটের, ‘স্বৈরাচারী দৃষ্টিভঙ্গি’র পরিচয়, কটাক্ষ বিজেপির

    দু’ পক্ষের সওয়াল শেষে আদালত জানায়, মতপার্থক্য ভুলে এগোনো উচিত রাজ্য ও রাজ্যপালের। আপনাদের ব্যক্তিগত ইগোর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রছাত্রীরা ভুক্তভোগী হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যপালকেও সঙ্কট কাটাতে সহযোগিতা করার পরামর্শ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন আচার্য। এর জেরেই রাজভবন-নবান্ন বিবাদের সূত্রপাত। আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যায় রাজ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
  • BJP: নির্দিষ্ট সঞ্চালকদের বয়কটের সিদ্ধান্ত ইন্ডি জোটের, ‘স্বৈরাচারী দৃষ্টিভঙ্গি’র পরিচয়, কটাক্ষ বিজেপির

    BJP: নির্দিষ্ট সঞ্চালকদের বয়কটের সিদ্ধান্ত ইন্ডি জোটের, ‘স্বৈরাচারী দৃষ্টিভঙ্গি’র পরিচয়, কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার স্বৈরাচারী দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিল ইন্ডি জোট! অন্ততঃ বিজেপির (BJP) অভিযোগ তেমনই। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের বাসভবনে বৈঠকে বসেছিল ইন্ডি জোটের সমন্বয় কমিটি। সেখানে টেলিভিশনের ১৪ জন সঞ্চালককে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    কড়া সমালোচনা বিজেপির

    বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডির এহেন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। ইন্ডি জোটকে অহংকারী জোট বলে কটাক্ষ করেছে পদ্মশিবির। দলের প্রধান মুখপাত্র অনিল বালুনির তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “জরুরি অবস্থার সময় সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। এখনও কিছু রাজনৈতিক দল সেই অহংকার বজায় রেখেছে। তারা দেশকে আবারও জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে চায়।”

    ‘জরুরি অবস্থার মতো মানসিকতা’

    পদ্মশিবিরের (BJP) দিল্লির অফিস থেকে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের পিছিয়ে থাকা মানসিকতা মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী’। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ইন্ডি জোটকে নিশানা করে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “এফআইআর করে, সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে, নাৎসি কায়দায় কাকে কাকে টার্গেট করা হবে সেই তালিকা বানানো হচ্ছে। এই দলগুলির মধ্যে জরুরি অবস্থার মতো মানসিকতা এখনও রয়ে গিয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস আমলে বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমের ওপর চাপ তৈরি করে ভিন্ন মতের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হয়েছে। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এনিয়ে একটি তালিকাও দিয়েছেন নাড্ডা।

    আরও পড়ুুন: ৫০ কোটির দুর্নীতি মামলা! রাজ্যকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    এদিকে, ইন্ডি জোটের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছে নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যান্ড ডিজিটাল অ্যাসোসিয়েশন বা এনবিডিএ (NBDA)। লিখিত বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, বিরোধী জোট যেভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকের টিভি নিউজ শো বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা গণতন্ত্রের মূল সুরের বিরোধী। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘বিরোধী জোট সব সময় বহুত্ববাদ ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে। কিন্তু তাদের এই সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রের মৌলিক শর্ত অর্থাৎ ভাবনা ও মতপ্রকাশের অবিচ্ছেদ্য (BJP) স্বাধীনতাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে’। তাদের মতে, এভাবে কয়েকজন সাংবাদিক বা সঞ্চালককে বয়কটের সিদ্ধান্ত যেন সেই এমার্জেন্সি অধ্যায়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে দেশকে। যখন সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়া হত, স্বাধীন মত দমন করা হত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • Dengue: খাস কলকাতায় ডেঙ্গির বলি আরও এক, এবার মৃত্যু খোদ চিকিৎসকের

    Dengue: খাস কলকাতায় ডেঙ্গির বলি আরও এক, এবার মৃত্যু খোদ চিকিৎসকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন তিনেক আগে মারা গিয়েছিলেন অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের বোন। ডেঙ্গিতে (Dengue) ভুগছিলেন তিনি। কলকাতায় ফের ডেঙ্গির বলি হলেন একজন। এবার ডেঙ্গি যাঁর প্রাণ কেড়েছে, তিনি পেশায় চিকিৎসক। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসকের নাম দেবদ্যূতি চট্টোপাধ্যায়। মাত্র ২৮ বছরেই জীবনের মায়া ত্যাগ করতে হল তাঁকে। গড়ফার শহিদ নগর এলাকায় বাড়ি ওই চিকিৎসকের। দিন চারেক ধরে জ্বর থাকায় প্রথমে তাঁর চিকিৎসা চলছিল বাড়িতে। পরে তাঁকে ভর্তি করা হয় বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই প্রয়াত হন তিনি। ওই বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চক্ষু দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মৃত চিকিৎসকের পরিবার।

    ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত তুঙ্গে

    ফি বর্ষায় রাজ্যে বাড়বাড়ন্ত হয় ডেঙ্গির (Dengue)। যত্রতত্র জমা জল, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকঠাক পরিষ্কার না হওয়া সহ নানা কারণে রাজ্যে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত বলে রাজ্যবাসীর অভিযোগ। প্রতি বছর তারই মাশুল গোনেন রাজ্যবাসী। কেউ হারান সন্তান, কেউ হারান বাবা কিংবা মা অথবা কোনও স্বজন-বান্ধবকে। রাজ্যে বর্ষা নামার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এ রাজ্যে হানা দেয় ডেঙ্গি। কিছুদিন আগেই ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার। চলতি বছর অগাস্ট মাসে ডেঙ্গির (Dengue) বাড়বাড়ন্ত তুঙ্গে। ২৭ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ হাজার ৩৬৯ জন। এর একমাস পরেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ হাজারের চৌকাঠ। অর্থাৎ, প্রতিদিন রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন তিনশোরও বেশি

    শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা

    পরিসংখ্যান বলছে, ডেঙ্গি সংক্রমণে প্রতিবার প্রথমে থাকে উত্তর ২৪ পরগনা। এর পর কলকাতা। এবারও তালিকার একেবারে ওপরে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হাজার চারেক। বিধাননগরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৪। দক্ষিণ দমদমে ৩১০। আর শহর কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮৯ জন।

    সরকারি হিসেবে এই পরিসংখ্যান মিললেও, বেসরকারি হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা ঢের বেশি। স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব থেকে জানা গিয়েছে, অন্যান্যবার গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গির প্রকোপ ততটা দেখা যায় না। তবে এবার গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গির প্রকোপ ৬০ শতাংশ। আর শহরাঞ্চলে ৪০ শতাংশ।

    আরও পড়ুুন: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

    শহরের এই ৪০ শতাংশের মধ্যেই রয়েছেন সাহেবের বোন, রয়েছেন সদ্য প্রয়াত চিকিৎসকও। সাহেবের বোন মারা (Dengue) যাওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল টলিউড। অভিনেত্রী দেবলীন দত্ত বলেছিলেন, ডেঙ্গি বা এমন অতিমারি চিন্তা তো বাড়াবেই। রোগের উৎসটা চিন্তার। এ ধরনের রোগ তো হবেই। এমন একটা নোংরা শহর। কোনও রক্ষণাবেক্ষণ নেই।’’ তাঁর ক্ষোভ, ‘‘রাস্তাঘাটের কী খারাপ অবস্থা! বছরের পর বছর দেখে যাচ্ছি, যেখানে জল জমার সেই জমেই থাকছে। কোনও সুরাহা হচ্ছে না। এগুলোই তো অসুখের উৎস। সেগুলোকে ঠিক করার জন্য কোনও সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক অভিনেতা সখেদে বলেছিলেন, “আমাদের শহরটা কার্যত ভাগাড়ে ভরে গিয়েছে। তাতেই মশার আঁতুড়ঘর। যা বিপদ বাড়াচ্ছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • Chandrayaan 3: বিশ্বরেকর্ড গড়েছে ইসরো! অভিনন্দন জানালেন ইউটিউব কর্তা, কী সেই অনন্য নজির?

    Chandrayaan 3: বিশ্বরেকর্ড গড়েছে ইসরো! অভিনন্দন জানালেন ইউটিউব কর্তা, কী সেই অনন্য নজির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণভূমে পা রেখেছে ভারত। দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) চন্দ্রবিজয়ের প্রতিটি মুহূর্ত ইউটিউবে স্ট্রিম করেছিল ইসরো। এই সময়টা বিশ্বে ইউটিউবে চোখ রেখেছিলেন ৮০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। সেই কারণে এবার ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউটিউব কর্তা। 

    স্পেনের রেকর্ড ভাঙল 

    বৃহস্পতিবার এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে ইসরোকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। ইউটিউবের প্রধান নীল মোহন ওই অভিনন্দন জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এটা (চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণ) দেখা খুব উৎসাহব্যঞ্জক ছিল। ইসরোর গোটা টিমকে অনেক অভিনন্দন। এক সঙ্গে ৮ মিলিয়ন ভিউয়ার থাকা অসাধারণ একটি বিষয়।” পোস্টের সঙ্গে সেঁটে দেওয়া হয়েছে একটি ভিডিও-ও। সেখানে ধরা রয়েছে ইসরোর চাঁরমারির প্রতিটি মুহূর্ত। পোস্টের সঙ্গে যে ভিডিও দেওয়া হয়েছে সেটি ১৬ সেকেন্ডের। ইসরোর আগে রেকর্ড গড়েছিল স্পেন। স্পেনের এলবিএআইয়ের ৩৪ লক্ষ ভিউয়ারের বিশ্ব রেকর্ড ছিল। আর ইসরোর চন্দ্রাভিযান দেখেছেন ৮০ লক্ষের বেশি মানুষ।

    চন্দ্রভূমে ঘুমের দেশে 

    ২৩ অগাস্ট সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি ছোঁয় ল্যান্ডার বিক্রম (Chandrayaan 3)। তারই পর পর তার পেট থেকে বেরিয়ে আসে প্রজ্ঞান। পৃথিবীতে সেই সময় সন্ধে হলেও, চাঁদে হচ্ছিল সূর্যোদয়। চাঁদের একটি দিন মানে পৃথিবীতে ১৪ দিন। রাত্রিও ১৪ দিনের। প্রজ্ঞানে রয়েছে সৌর প্যানেল। তাই চাঁদে যতদিন দিনের আলো ছিল, ততদিন হেঁটে-চলে বেড়িয়ে নিজের কাজ করেছে প্রজ্ঞান। ছ’ পায়ে ল্যান্ডার বিক্রমের ছবিও তুলেছে সে। বিক্রম আবার সেই ছবি পাঠিয়েছে আঁতুড়ঘর ইসরোয়। দিনের আলো থাকতে থাকতেই হাতের কাজ শেষ করেছে প্রজ্ঞান।

    আরও পড়ুুন: ট্যুইন টাওয়ারের পর এবার হাইকোর্টে উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ, কেন জানেন?

    তারপর চাঁদে যখন সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় হয়েছে, গুটি গুটি পায়ে সে ফের গিয়ে সেঁধিয়ে গিয়েছে বিক্রমের পেটে। ঘুমিয়ে পড়েছে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান (Chandrayaan 3)। চাঁদে এখন চলছে রাত। সূর্য উঠবে সেই ২২ তারিখে। সেদিন ফের বিক্রম এবং প্রজ্ঞান জেগে ওঠে কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে ইসরোর পাশাপাশি তামাম ভারতবাসীও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share