Tag: Bengali news

Bengali news

  • Sukanta Majumdar: বিজেপি নেতাদের বাড়ি ‘ঘেরাও’য়ের ডাক মমতা-অভিষেকের, তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Sukanta Majumdar: বিজেপি নেতাদের বাড়ি ‘ঘেরাও’য়ের ডাক মমতা-অভিষেকের, তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাবেশের পোশাকি নাম শহিদ দিবস। সেখানে শহিদদের স্মৃতিতর্পণের চেয়ে বেশি ছিল বিজেপিকে আক্রমণ। মণিপুর এবং ১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে আক্রমণ শানানো হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। ২১ জুলাইয়ের এই মঞ্চ থেকে মমতার দাওয়াই, “৫ অগাস্ট ব্লকে ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে প্রতীকী ঘেরাও করতে হবে।”

    সুকান্তর নিশানায় মমতা

    তৃণমূল নেত্রীর এহেন নিদানকে নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “এটা কেমন রাজনীতি! এটা কেমন গণতন্ত্র! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল বাংলার গণতন্ত্র পুরো শেষ করে দিয়েছে। চুরিতে একের পর এক রেকর্ড। আজ সেই দল বলছে কিনা যে বিজেপির ব্লক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বাড়ি ঘেরাও করতে হবে। আর তাঁদের আট ঘণ্টা বাড়ি থকে বেরোতে দেওয়া যাবে না। বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। পুরো ভারতে আমাদের বিপক্ষ দলের সামনে আমরা প্রশ্ন ছুড়ে দিতে চাই, এটা কেমন রাজনীতি?” মণিপুরের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “মণিপুরের ঘটনা ভীষণ দুঃখের। কিন্তু বাংলার হালও তো ভাল নয়। এখানে শুধু নারী নির্যাতনের ভিডিও করতে দেয় না। বাংলায়ও বিজেপির মহিলা কর্মীকে নগ্ন করে হেনস্থা করা হয়েছে।”

    শুভেন্দুর নিশানায় অভিষেক

    এদিন তৃণমূল নেত্রীর আগে প্রায় একই রকম কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন তাঁর ভাইপো তথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁকে পাল্টা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “ডিম-ভাতের উৎসবে তাঁর অহঙ্কার, দম্ভ দেখুন। বলছে, ৫ অগাস্ট বিজেপির ছোট থেকে বড় নেতাদের বাড়ি ঘিরবে। বিজেপি বিধায়ক বলেন, “ভাইপো শুনে রাখুন, আপনার বিরুদ্ধে এফআইআরের আবেদন নিয়ে আমরা কোর্টে যাচ্ছি। আপনি আমার মৌলিক অধিকার ২২৬, বাবা সাহেব আম্বেদকর দিয়ে গেছেন— আমার বাড়িতে কে ঢুকবে, কে বেরোবে। একটা বিজেপি কর্মীর বাড়ি ঘেরাও করে দেখুন, দিল্লিতে পার্লামেন্টে আপনাদের এমপিদের ঢুকতে দেব না।” শুভেন্দু যোগ করেন, “পরে মমতা সংশোধন করে বলেছেন, একটু ভুল বলে ফেলেছেন (অভিষেক)। আমরা গ্রামে গ্রামে করব না, ব্লকে করব। ১০০ মিটার দূরে করব। এটাও কিন্তু বলতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুুন: মমতার ভাষণে ২১ জুলাইয়ের কোনও কথাই নেই, শুধুই মণিপুর আর ১০০ দিনের বকেয়া!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Jagdeep Dhankhar: ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকলেই আন্দোলন কেন?’ ধনখড়ের নিশানা কাদের দিকে

    Jagdeep Dhankhar: ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকলেই আন্দোলন কেন?’ ধনখড়ের নিশানা কাদের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনকে নিজের কাজ করতে দিতে হবে। যদি তদন্তের স্বার্থে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কাউকে ডেকে পাঠায় তাহলে বিরোধিতা না করে সাহায্য করাই কর্তব্য বলে অভিমত বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankar)। রবিবার, দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই কথা বলেন তিনি।

    ধনখড়ের অভিমত

    সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে উপস্থিত পড়ুয়াদের আইন নিয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ধনখড় (Jagdeep Dhankar)। সেই বক্তৃতার মাঝেই তিনি টেনে আনেন ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং সংসদের অচলাবস্থা প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘আইন সকলের জন্য সমান। কোনও পরিবার সেখানে বড় নয়। আইনের কাছে সকলকে জবাবদিহি করতে হবে। ভারতে এখন আইন সঠিক পথে চলছে। তাই যাঁরা আইন লঙ্ঘন করতেন, তাঁদের জন্য চাপের কারণ হয়েছে।’ পাশাপাশি ধনখড় বলেন, ‘আইন লঙ্ঘনকারীরা এখন চাপে পড়ে পথে নামছে। কিন্তু কেন তাদের পথে নামতে হচ্ছে সেটাই ভাবার বিষয়।’ এরপরই বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপালের সংযোজন, ‘কাউকে যদি কোনও এজেন্সি ডেকে পাঠায়, তবে গণতন্ত্রের নিয়ম মেনে সেই ডাকে সাড়া দেওয়া উচিত।’

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে আজ এক বেলায় ৭৩টি পঞ্চায়েত ভোট মামলার শুনানি

    সংসদের অচলাবস্থা প্রসঙ্গে উপরাষ্ট্রপতি

    রবিবারের ওই বক্তৃতায় সংসদের অচলাবস্থার প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন ধনখড় (Jagdeep Dhankar)। তিনি বলেন, ‘‘আলোচনা পর্যালোচনার মাধ্যমেই জনগণের মঙ্গল করা সম্ভব। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অচলাবস্থা তৈরি করে, কাজে বাধা সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের মন্দিরকে কলুষিত করার চেষ্টা হচ্ছে। যে ভাবে দিনের পর দিন এই দু’টি বিষয়কে সুকৌশলে অস্ত্রের মতো ব্যবহার করে গণতন্ত্রের মন্দিরকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে, তা দেখে আমি মর্মাহত।’’ ধনখড় একই সঙ্গে নিজের মতামত জানিয়ে বলেছেন, ‘‘কিছু শক্তি ক্ষতি করার মানসিকতা থেকেই উন্নয়নের এই পবিত্রভূমিকে কলঙ্কিত করতে চাইছে। আমি এ দেশের তরুণ প্রজন্মকে বলব এই ধরনের শক্তিকে তোমাদেরই সমূলে বিনাশ করতে হবে। আর আমি জানি তোমরা সেটা পারবে।’’  তরুণ প্রজন্মের ওপর ভরসা রেখেই এদিন বক্তব্য রাখেন ধনখড়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মেয়াদ কি বাড়ানো যায়? কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মেয়াদ কি বাড়ানো যায়? কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের পর এখনও রাজ্যের  আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি  পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি বলে দাবি বিজেপির। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার খবর আসছে। তাই রাজ্যে আরও এক মাস কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানাল বিজেপি। সেই আর্জি শুনেই  রাজ্যে আরও চার সপ্তাহ  কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা যায় কি না কেন্দ্রকে বিবেচনা করে দেখতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 

    কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে সমস্যা

    এই বিষয়ে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। আদালতে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “এখনও বিভিন্ন জায়গায় মহিলা শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। বিজেপি কর্মীরা ঘর ছাড়া। বহু এলাকায় এখনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে। তাই রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থেই আরও চার সপ্তাহ কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হোক।” কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে বলে দাবি করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ট্যুইটারে জনপ্রিয়তার নিরিখে বাইডেন-সুনককে পিছনে ফেললেন মোদি

    কী বলছে আদালত

    শুক্রবার সেই মামলার শুনানির সময়,  হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ভোটের ফল প্রকাশের পরে প্রথম ১০ দিনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আরও রাখতে হলে কেন্দ্রের মতামত নিতে হবে। তারাই সিদ্ধান্ত নিক। কেন্দ্রীয় বাহিনী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। তাই এই পরিস্থিতিতে আদালত (Calcutta High Court) কোনও নির্দেশ দিতে পারব না। তবে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করতে পারে। তার পরে বাহিনী রাখা হবে কিনা, সেটা তাদের উপর নির্ভর করছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ২২ জুলাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর এ রাজ্যে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরপর আর কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না তা নিয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতকে জানাবে। সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘নাচগান-পাগলু ড্যান্সের মঞ্চ, সঙ্গে ডিম-ভাত’’! তৃণমূলের সমাবেশকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘নাচগান-পাগলু ড্যান্সের মঞ্চ, সঙ্গে ডিম-ভাত’’! তৃণমূলের সমাবেশকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একুশের মঞ্চ এক কাটমানির মঞ্চ। পাগলু ডান্সের মঞ্চ। ওখানে যাওয়ার জন্য সকাল-দুপুর-রাত তিনবেলা শুধু ডিম-ভাত।” ২১ জুলাই উপলক্ষে ধর্মতলায় তৃণমূল আয়োজিত সমাবেশকে এই ভাষায়ই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার ফের একবার চিটফান্ডকাণ্ডে তিনি নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবি

    শুভেন্দু বলেন, “চিটফান্ডকাণ্ডে গ্রেফতার সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডুরা মুখ্যমন্ত্রীর ফান্ডে টাকা দিতেন। একমাত্র উপেন বিশ্বাস ছাড়া তৃণমূলের সব বিধায়ককেই ২০ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়কে জেরা করা উচিত।” চিটফান্ডকাণ্ডে মেইন বেনিফিসিয়ারি হিসেবে তৃণমূল সুপ্রিমোকে গ্রেফতারির দাবিও জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকরণের সামনে থেকে যে অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধন করেছিলেন, তার টাকা কোথা থেকে এল, ডেলোর বৈঠকে কী হয়েছিল, এই সব তথ্য প্রমাণ আমি সিবিআইকে দিয়েছি।”

    ‘ইটিং ফিটিং সিটিং’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “একুশের মঞ্চ মানে তৃণমূলের মঞ্চ, জনগণের নয়। একুশে জুলাইয়ের আন্দোলন যুব কংগ্রেসের আন্দোলন, তৃণমূলের কিছু নয়। আর গুলি করেছিল সিপিএম। অর্থাৎ ২১ জুলাই যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে কংগ্রেসের সমাবেশ করা উচিত। যদিও এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায় জগাই-মাধাই-বিদায় তিনজন বেঙ্গালুরুতে বসে ইটিং ফিটিং সিটিং সব করে ফেলেছে। ফলে কে কার সঙ্গে আছেন, বলা মুশকিল।”

    আরও পড়ুুন: ‘ভোট-সন্ত্রাস’-এর তদন্তে ফের রাজ্যে বিজেপির প্রতিনিধি দল

    চিটফান্ড সংস্থা সারদা কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জড়িত বলে একাধিকবার দাবি করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কাছে এ ব্যাপারে প্রমাণও রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। সেই তথ্য প্রমাণ তিনি সিবিআইয়ের কাছে জমা দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার সারদাকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানিয়ে সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে চিঠি দিলেন তিনি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ওই চ্যানেলকে (একটি বেসরকারি চ্যানেলের নাম উল্লেখ করেন) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা দিতেন। টাকা দিতেন সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুন্ডুরাও। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur: “আলোচনা থেকে পালাবেন না”, মণিপুরকাণ্ডে বিরোধীদের অনুরোধ অনুরাগের  

    Manipur: “আলোচনা থেকে পালাবেন না”, মণিপুরকাণ্ডে বিরোধীদের অনুরোধ অনুরাগের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ঘটনায় উত্তাল হয়েছে সংসদ। নষ্ট হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশনের মূল্যবান দুটি দিন। অধিবেশন শুরুর পরপরই স্থগিত করে দিতে হয়েছে অধিবেশন। সোমবার, মণিপুরকাণ্ডে ফের একবার উত্তাল হতে পারে সংসদের উভয় কক্ষই। তাই এদিন আলোচনা থেকে বিরোধীদের পালিয়ে না যাওয়ার আহ্বান জানালেন কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

    অনুরাগের আবেদন

    তিনি বলেন, “যে কোনও রাজ্যেই মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের ঘটনা হৃদয় বিদারক। মহিলাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান অপরাধের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা রাজ্যগুলির দায়িত্ব। আমার মতে, সরকারের সঙ্গে সঙ্গে পুরো সমাজকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে। এই বিষয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। সংসদের ভিতরে আলোচনা হওয়া দরকার। সব দলের সেই আলোচনায় অংশ নেওয়া উচিত। কারওর এই আলোচনা এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। আমি বিরোধীদের কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি, আলোচনা থেকে পালাবেন না। আসুন, আলোচনায় অংশ নিন। রাজস্থান হোক, বিহার হোক, মণিপুর (Manipur) হোক – যে যে রাজ্যে এই ধরনের সমস্যা আছে, বুঝতে হবে নির্যাতিতারা আমাদেরই দেশেরই মা-মেয়ে। কেউ কীভাবে এরকম কাজ করতে পারে? এই জন্যই সবার প্রতি আমার অনুরোধ, আসুন সোমবার সংসদে এই বিষয়ে গুরুতর আলোচনা করি। বিরোধীদের এই ধরনের সংবেদনশীল বিষয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়, বরং আলোচনা করা উচিত। বিরোধীরা আলোচনার দাবি জানান, আলোচনায় অংশ নেন না।”

    উত্তপ্ত মণিপুর

    প্রসঙ্গত, হিন্দু মেইতেই এবং খ্রিস্টান কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়েছে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। সংঘর্ষ শুরু হয় ৩ মে। তার পরের দিনই কাংপোকপি জেলায় দুই মহিলাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় হাঁটতে বাধ্য করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজনকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ১৯ জুলাই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তার পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছ’ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুষ্কৃতীরা কড়া শাস্তি পাবে বলে জানিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহও জানান, এই ঘটনায় জড়িত সকলকে শাস্তি দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুুন: দিল্লির প্রগতি ময়দানের নয়া কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur: মণিপুরকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর, আগুন উত্তেজিত জনতার

    Manipur: মণিপুরকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর, আগুন উত্তেজিত জনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মূল অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তি প্রথমে তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে। পরে লাগিয়ে দেয় আগুন। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় বছর বত্রিশের ওই যুবককে। তাঁকে জেরা করে এদিন সন্ধ্যায়ই গ্রেফতার করা হয় আরও তিনজনকে। সব মিলিয়ে ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মোট চারজনকে।

    অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাস

    মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ বলেন, তদন্ত চলছে। যাঁরা এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সকলকে গ্রেফতার করা হবে। তদন্তের স্বার্থে এর চেয়ে বেশি কিছু বলছি না। জানা গিয়েছে, মণিপুরের (Manipur) থৌবাল জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। মহিলাদের বিবস্ত্র করে ঘোরানোর সময় তিনিই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বলে ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় (যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) দেখা গিয়েছে। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। এর পরেই উত্তেজিত জনতা আগুন লাগিয়ে দেয় তাঁর বাড়িতে।

    লজ্জাজনক সেই ঘটনা

    প্রসঙ্গত, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ইম্ফল থেকে প্রায় ৩৫ কিমি দূরের কাংপোকপি জেলার। পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, সেই ঘটনায় নির্যাতিতা মহিলাদের পরিবারের দুই সদস্যকেও খুন করা হয়েছিল। এফআইআরে বলা হয়েছে, ৪ মে আতঙ্কে এক কুকি পরিবারের ৫ সদস্য বনে লুকিয়ে পড়েছিলেন। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁদের।

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেস চায় না সংসদ সুষ্ঠুভাবে চলুক”, মণিপুরকাণ্ডে তোপ রবিশঙ্করের

    পরে বছর ছাপান্নর এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়। পরে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় দুই মহিলাকে। বছর একুশের এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। ২১ জুন ওই মহিলারা দায়ের করেন এফআইআর।প্রসঙ্গত, ৩ মে থেকে অশান্তি শুরু হয়েছে উত্তর পূর্বের পাহাড়ি এই রাজ্যে (Manipur)। হিন্দু মেইতেই এবং খিস্টান কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। পোড়ানো হয়েছে ঘর-বাড়ি-গাড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। তার পরেও ঘটে চলেছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: এনডিএর শরিক দলগুলির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    PM Modi: এনডিএর শরিক দলগুলির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে মহারণ। লোকসভার নির্বাচন। এই নির্বাচনে দিল্লির কুর্সি দখল করতে মরিয়া বিজেপি (PM Modi) বিরোধী দলগুলি। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর একটি হোটেলে বৈঠকে বসেছিলেন ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। ইউপিএর বিলোপ ঘটিয়ে সেখানে জন্ম হয় ইন্ডিয়ার। বিরোধীদের টেক্কা দিতে আস্তিন গুটিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-ও। মঙ্গলবারই সন্ধ্যায় দিল্লির একটি হোটেলে ৩৮টি সমমনস্ক দলকে নিয়ে বৈঠক করেছে বিজেপি।

    বৈঠকে বসবেন মোদি

    লোকসভা নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে শরিক দলগুলির সঙ্গে আরও বেশ কয়েকবার বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৫ জুলাই থেকে শুরু হবে ওই বৈঠক। লোকসভা ও রাজ্যসভা উভয় কক্ষের সাংসদদের সঙ্গেই বৈঠকে বসবেন তিনি। প্রতিদিন সন্ধ্যায় দুটি করে বৈঠক হবে। প্রথম বৈঠক হবে সন্ধে সাড়ে ৬টায়। আর পরের বৈঠকটি হবে সাড়ে ৭টায়।  

    জোটের হাতিয়ার

    ভৌগোলিক অঞ্চলের নিরিখে মোট ১০টি ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে সাংসদদের (PM Modi)। প্রতিটি ক্লাস্টারে ৩৫-৪০ জন করে সাংসদ থাকবেন। সেই ক্লাস্টার ধরে ধরে হবে বৈঠক। প্রথম দিন দু দফায় যে বৈঠক হবে, সেখানে উপস্থিত থাকবেন উত্তর প্রদেশ ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সাংসদরা। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, প্রতিটি ক্লাস্টারের বৈঠকে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে সরকার কী কী উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করেছে, তার একটি তথ্য দেওয়া হবে। প্রচারে সেগুলিই হবে জোটের হাতিয়ার।

    আরও পড়ুুন: ট্যুইটারে জনপ্রিয়তার নিরিখে বাইডেন-সুনককে পিছনে ফেললেন মোদি

    ওই এলাকায় এনডিএর প্রচারের মূল ইস্যুগুলি কী কী হবে, তা নিয়েও হবে আলোচনা। কীভাবে প্রচার করলে নির্বাচনে সুফল কুড়ানো যাবে, তারও ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হবে ওই বৈঠকগুলিতে। এই (PM Modi) সব কারণেই প্রত্যেক সাংসদকে তাঁর নিজের এলাকায় কী কী কাজ হয়েছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট আনতে বলা হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং রাজনাথ সিংহ। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি অন্তত ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে চাইছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব গোটা দেশের ১৬০টি আসনে বিশেষ নজর দিয়েছেন। এই কেন্দ্রগুলিতে ভোটের ফল গেরুয়া ঝুলিতে টানতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও খবর গেরুয়া শিবির সূত্রে। মঙ্গলবার বৈঠক শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “২০২৪ সালের নির্বাচনে আমাদের ফেরাবেন বলে দেশবাসী ঠিকই করে ফেলেছেন। তাই যারা ভারতের দুর্দশার জন্য দায়ী, ভোটের আগে তারাই তাদের দোকান খুলেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: “বিশ্বের ছোট বড় সব মন্দিরের তালিকা তৈরি করুন”, নির্দেশ ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “বিশ্বের ছোট বড় সব মন্দিরের তালিকা তৈরি করুন”, নির্দেশ ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা দেশে যত মন্দির রয়েছে তার একটা তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। এই তালিকায় দেশের ক্ষুদ্রতম মন্দিরগুলির নামও তুলতে হবে বলে জানান তিনি। রবিবার তিনদিনের আন্তর্জাতিক মন্দির কনভেনশন এবং এক্সপো ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আরএসএস প্রধান ওই নির্দেশ দেন। সম্মেলন হচ্ছে বারাণসীর রুদ্রাক্ষ ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে। এদিনের বক্তৃতায় ভাগবত বলেন, “সমাজে মন্দিরগুলির একটা বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সেই মন্দিরগুলির কর্তৃপক্ষের পর্যাপ্ত সম্পদ রয়েছে। প্রতিটি দিক – সেটা হতে পারে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত, পরিষেবা অথবা পরিকাঠামো – এ সবেরই উন্নতি ঘটানো উচিত।”

    মন্দিরের কাজ কী জানেন?

    সমাজে মন্দিরের ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে সংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, “মন্দির কর্তৃপক্ষের কাজ হল মানুষের বিপদের দিনে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো। প্রতিটি মন্দির, তাদের যতটুকু সামর্থ্য রয়েছে, সেই মতো তারা তাদের এলাকায় বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াবে। মন্দিরগুলি স্থানীয় মানুষের মধ্যে মূল্যবোধের জাগরণ ঘটাবে। তাঁদের প্রার্থনার পথ দেখাবে। সরসংঘ চালক বলেন, পরিষেবা এবং বাস্তুতন্ত্রে মন্দিরের গুরুত্ব কী, তা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বোঝানো প্রয়োজন।”

    মন্দিরে স্বচ্ছ ভারত মিশন

    মন্দিরগুলিতে স্বচ্ছ ভারত মিশনের প্রয়োজনীয়তার সদর্থক দিকগুলি নিয়েও আলোচনা করেন ভাগবত। তিনি বলেন, “মন্দির হল পবিত্রতার প্রতীক। তাই মন্দিরগুলিতে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা খুবই প্রয়োজন। মন্দিরগুলিতে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য স্বচ্ছ ভারত মিশনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল টেম্পল কনভেনশনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের খুঁজতে হবে বিশ্বের ছোট বড় সব মন্দিরের খুঁটিনাটি তথ্যও।” 

    আরও পড়ুুন: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৮ হাজার কোটি টাকা

    এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে সংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লেখা একটি চিঠি। তাতে তিনি এ ধরনের অনুষ্ঠানের প্রতি বিশেষ উৎসাহ দেখিয়েছেন। সংঘ প্রধান বলেন, “দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে সনাতনপন্থীদের সাতশোরও বেশি মন্দির থেকে প্রতিনিধিরা এসে যোগ দিয়েছেন এই কনভেনশনে।” আয়োজকদের তরফে প্রসাদ লাড বলেন, “এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আমরা গোটা দেশে মন্দির ও মন্দির সংস্কৃতিকে সাহায্য করতে চাই। এই কনভেনশনের মধ্যে দিয়ে ভারতের সমস্ত মন্দিরগুলির মধ্যে সেতুবন্ধন হবে। সেখানে একদিকে যেমন মিলিত হবে ধর্ম, তেমনি একসূত্রে গাঁথা পড়বে সমাজও।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Himachal Pradesh: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৮ হাজার কোটি টাকা  

    Himachal Pradesh: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৮ হাজার কোটি টাকা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েকের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh)। রাজ্যের একটা বিরাট অংশে হয়েছে বন্যা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েকশো কোটি টাকা। শনিবার হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু বলেন, “গত ৭৫ বছরে এমন বৃষ্টি ও বন্যা দেখেনি রাজ্য। বৃষ্টিজনিত কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পৌঁছে যেতে পারে ৮ শো কোটি টাকায়।”

    ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ

    কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে দ্রুত আর্থিক সাহায্য পাওয়া প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় দল এসে চাক্ষুষ করে গিয়েছে রাজ্যের পরিস্থিতি। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বিপর্যয় ফান্ড থেকে ৩১৫ কোটি টাকা চেয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলি মেরামত করার চেষ্টা করছি। বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ করার চেষ্টাও চলছে।” তিনি বলেন, “রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে এখনই প্রয়োজন কেন্দ্রীয় সাহায্যের। টানা বৃষ্টির সতর্কতা থাকায় বিপন্ন মানুষদের উদ্ধার করতে প্রস্তুত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল।”

    জলমগ্ন এলাকা 

    প্রসঙ্গত, বৃষ্টির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি এলাকায় হয়েছে হড়পা বান। সেই বানের জলে ভেসে গিয়েছে কয়েকটি গাড়ি। তবে হতাহতের কোনও খবর এখনও মেলেনি। প্রবল বৃষ্টির জেরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধস নেমেছে। নিচু (Himachal Pradesh) এলাকাগুলিতে জলমগ্ন বহু বাড়ি। প্রবল বর্ষণের জেরে মাণ্ডিতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে বিপাশা নদীর জল। জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মন্থলা পঞ্চায়েতের কমিউনিটি হল।

    আরও পড়ুুন: প্রবল বর্ষণের জেরে বিপর্যস্ত মুম্বই, ইঁদুর জ্বরের সতর্কতা, ভাসল গুজরাটও

    ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরাখণ্ডও

    এদিকে, প্রবল বর্ষণ ও মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উত্তরাখণ্ডেও। রাজ্যের বিভিন্ন রাস্তা, বাড়ি এবং দোকানদানিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বৃষ্টিজনিত কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কত, তা জানা যায়নি। উত্তরকাশী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক রুহেলা জেলা বিপর্যয় কন্ট্রোল রুম থেকে ঘন ঘন পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। ত্রাণ সামগ্রী বিলিতে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যাতে ত্রাণ বিলি করা হয়, সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটদের। বারকোট তহসিলে গংনানি এলাকায় ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু ট্যুরিস্ট রিসর্ট। কস্তুরবা গান্ধী গার্লস রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে জমা হয়েছে ধ্বংসাবশেষ। যদিও পড়ুয়ারা রয়েছে নিরাপদে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: “কংগ্রেস চায় না সংসদ সুষ্ঠুভাবে চলুক”, মণিপুরকাণ্ডে তোপ রবিশঙ্করের

    Manipur: “কংগ্রেস চায় না সংসদ সুষ্ঠুভাবে চলুক”, মণিপুরকাণ্ডে তোপ রবিশঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মণিপুরের (Manipur) পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত সরকার। মণিপুরের মানুষের নিরাপত্তায় সচেষ্ট সরকার। কংগ্রেস চায় না সংসদ সুষ্ঠুভাবে চলুক। সেই জন্যই হইহট্টগোল করছে। মণিপুরের লজ্জাজনক ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।” কথাগুলি বললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “মণিপুরের ঘটনায় আমরা সবাই মর্মাহত। আজ আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কড়া ভাষায় এর নিন্দাও করেছেন, মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে দেশকে জাগ্রত করার কথা বলেছেন। মণিপুরের সঙ্গে সঙ্গে রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের কথাও বলেছেন। নরেন্দ্র মোদির সরকার মা-বোনদের সম্মানের বিষয়ে সংবেদনশীল। কংগ্রেসের কাছে এই ঘটনা জরুরি নয়, অশান্তি জরুরি। যখন সকাল সকাল প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে কথা বলেছেন, তখন দেশের সকলের কাছে সংকেত যাওয়া উচিত ছিল।”

    মণিপুরকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন

    এদিকে, দুই মহিলাকে (Manipur) নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিও প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হল আরও তিন অভিযুক্তকে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মণিপুর পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ বলেন, “আমি সকলের কাছে আবেদন করতে চাইছি যেন মহিলা, বোন, দিদির বিরুদ্ধে এটাই শেষ অপরাধ হয়। আমাদের মা, বোন ও বড়দের সম্মান দেওয়া উচিত।”

    রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

    লজ্জাজনক এই ঘটনায় মণিপুরের মুখ্য সচিব ও ডিজিপির কাছে রিপোর্ট চেয়ে নোটিশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে চার সপ্তাহের মধ্যে। তদন্তের অগ্রগতি সহ নির্যাতিতাদের শারীরিক অবস্থা ও সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

    আরও পড়ুুন: ‘ভোট-সন্ত্রাস’-এর তদন্তে ফের রাজ্যে বিজেপির প্রতিনিধি দল

    এদিকে, মণিপুর (Manipur) নিয়ে বৃহস্পতিবারই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্টও। দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানায়, সংসদীয় গণতন্ত্রে এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। সুপ্রিম কোর্ট এদিনই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়ে দিয়েছিলেন, মামলাটির শুনানি হবে শুক্রবার। সেখানে সরকারকে জানাতে বলা হয়েছে, তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share