Tag: Bengali news

Bengali news

  • PM Vishwakarma Yojana: শিল্পী-দরদি মোদি সরকার, স্বল্প সুদে ঢালাও ঋণ বিশ্বকর্মা যোজনায়

    PM Vishwakarma Yojana: শিল্পী-দরদি মোদি সরকার, স্বল্প সুদে ঢালাও ঋণ বিশ্বকর্মা যোজনায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে ৩০ লাখ শিল্পী পেতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা স্কিমের (PM Vishwakarma Yojana) সুবিধা। চলতি বছরের বিশ্বকর্মা পুজো রয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর। এদিনই শুরু হবে এই নয়া প্রকল্পের। যদিও আবেদন গ্রহণের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রকল্পটি চালু করবেন। মোদি সরকারের এই যোজনা অনুযায়ী দেশের চিরাচরিত শিল্পীরা প্রথম দফায় পাবেন ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ এবং তারপরে ২ লাখ টাকা ঋণ। বাজার থেকে অনেক কম সুদে মাত্র ৫ শতাংশ হারে এই ঋণ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রথম দফায় ১ লাখ টাকা ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদ থাকবে ১৮ মাস এবং দ্বিতীয় পর্বের ২ লাখ টাকা ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদ থাকবে ৩০ মাস। এর পাশাপাশি টুল কিটস কিনতে তাঁদের দেওয়া হবে ১৫ হাজার টাকাও।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১৬ অগাস্ট অনুমোদন পায় স্কিম

    গত ১৬ অগাস্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পায় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা স্কিম (PM Vishwakarma Yojana)। জানা গিয়েছে, স্বর্ণকার, তাঁতি ,নাপিত, চর্মকার ধোপা সহ নানা পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষরা এর ফলে উপকৃত হবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকা। স্কিল ট্রেনিংও দেওয়া হবে শিল্পীদের। প্রশিক্ষণের সময় প্রতিদিন তাঁরা ভাতা বাবদ ৫০০ টাকা করে পাবেন। জানা গিয়েছে, এই ঋণের ক্ষেত্রে যাঁরা আবেদন করবেন তাঁদের সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ১৮ বছর এবং যে কোনও পরিবার থেকে মাত্র একজন সদস্যই এই প্রকল্পের (PM Vishwakarma Yojana) সুবিধা নিতে পারবেন। এ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি গতমাসেই বলেছিলেন, ‘‘যাঁরা চিরাচরিত শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত তাঁরাই পাবেন এই সুবিধা। এই বিশ্বকর্মা যোজনার মাধ্যমে প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন। ওবিসি সমাজেরও ব্যাপক সুবিধা হবে।’’

    একনজরে দেখে নেব কারা পাবেন এই সুবিধা

    কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী দর্জি, ধোপা, মালা প্রস্তুতকারক, নাপিত, পুতুল এবং খেলনা প্রস্তুতকারক, ঝুড়ি/ মাদুর  প্রস্তুতকারক, রাজমিস্ত্রি, মুচি (চর্মকার)/ জুতোর কারিগর, ভাস্কর (মূর্তিকার, স্টোন কার্ভার), কুমোর, স্বর্ণকার, হাতুড়ি এবং টুল কিট প্রস্তুতকারক, কামার, নৌকা নির্মাতা এবং কাঠমিস্ত্রিরা পাবেন এই প্রকল্পের (PM Vishwakarma Yojana) সুবিধা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anantnag Encounter: তেরঙায় মোড়া সন্তানদের নিথর দেহ, শোকে পাথর শহিদ জওয়ানদের পরিবার

    Anantnag Encounter: তেরঙায় মোড়া সন্তানদের নিথর দেহ, শোকে পাথর শহিদ জওয়ানদের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ সকালেই ফোন করে কথা বলেছিলেন বাড়িতে। কারও বাড়িতে ফেরার কথা ছিল অক্টোবরেই। বদলে তাঁরা ফিরলেন তেরঙায় মোড়া শববাহী শকটে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব হাসি মিলিয়ে গেল কান্নায়। অনন্তনাগে তিন বীর শহিদের বাড়িতে এখন শুধুই হাহাকার। শোকে পাথর গোটা পরিবার। 

    বুধবার, জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদমন অভিযানে (Anantnag Encounter) নেমেছিল সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী। গারোল এলাকায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে শহিদ হন সেনার কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশিস ধোনচক এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হিমায়ুন মুজামিল ভাট। এদিন তিন শহিদের বাড়িতে ছিল শুধুই নিস্তব্ধতা। পরিবারের লোকজন কেউই বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, তাঁদের প্রিয়জন আর বাড়ি ফিরবেন না।

    ‘‘ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলব’’, সেই শেষ কথা!

    ১৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন শহিদ কর্নেল মনপ্রীত সিং। তাঁর বাড়ি পঞ্চকুলার ২৬ নম্বর সেক্টরে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে মনপ্রীতের পরিবারের সম্পর্ক নতুন নয়। তাঁর ঠাকুরদা শীতল সিং, বাবা লক্ষ্মীর সিং (বর্তমানে প্রয়াত) ও কাকা রণজিৎ সিং সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন৷ তাঁর স্ত্রী জগমিত গ্রেওয়াল হরিয়ানার একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা (Anantnag Encounter)। তার দুই সন্তান রয়েছে। এক ছেলের বয়স ৬ বছর আর মেয়ের বয়স দুই বছর। শহিদ কর্নেলের শ্যালক জানান, বুধবার ভোরবেলা শেষবার কথা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। সেই সময় মনপ্রীত জানিয়েছিল, এখন ব্যস্ত আছে, পরে কথা বলবে। সেটাই শেষ কথা..। 

    অক্টোবরেই বাড়ি আসার কথা ছিল

    হরিয়ানার পানিপথের বাসিন্দা ছিলেন শহিদ মেজর আশিস ধোনচক। বছর দুয়েক আগেই জম্মুতে বদলি হন আশিস। এ বছরই তিনি পেয়েছিলেন ‘সেনা মেডেল’ (Anantnag Encounter)। পরিবারে বাবা, মা, স্ত্রী এবং দু’বছরের সন্তান রয়েছে। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তাঁর কাকা জানান, দেড় মাস আগেই বাড়িতে এসেছিলেন আশিস। আবার অক্টোবরে আসার কথা ছিল বাড়ি বদল করার জন্য। কিন্তু, তার আগেই সব শেষ।

    শহিদ ডিএসপির কন্যার বয়স ২ মাস

    অন্য দিকে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হুমায়ুন ভাটের পরিবারেও শুধু হাহাকার। ২০১৮ সালেই পুলিশে যোগ দেন হুমায়ুন। শহিদ পুলিশ অফিসারের বাবা গুলাম হাসান ভাট জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর জেনারেল। মাত্র দুই মাস আগেই হুমায়ুনের কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল (Anantnag Encounter)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Special Parliamentary Session: সংসদের বিশেষ অধিবেশনে কী নিয়ে আলোচনা হবে জানেন?

    Special Parliamentary Session: সংসদের বিশেষ অধিবেশনে কী নিয়ে আলোচনা হবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখে বসছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন (Special Parliamentary Session)। পাঁচ দিনের এই অধিবেশন চলবে ২২ তারিখ পর্যন্ত। অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা প্রকাশ করা হয়নি বলে দিন কয়েক আগে ইন্ডি জোটের (INDIA) তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। তার জবাবে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ঠিক সময়েই জানানো হবে অ্যাজেন্ডা।

    অ্যাজেন্ডা প্রকাশ সরকারের

    শেষমেশ বুধবার কেন্দ্রের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভায় দু’টি করে গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করা হবে। এর মধ্যে অন্যতম হল প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল। ফি বার অধিবেশনের আগে বিরোধীদের অ্যাজেন্ডা বা আলোচ্যসূচি জানানোই সংসদীয় রীতি। কিছু দিন আগেই শেষ হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগেও প্রকাশ করা হয়েছিল অ্যাজেন্ডা। এদিন জানানো হল বিশেষ অধিবেশনের (Special Parliamentary Session) অ্যাজেন্ডা।

    পেশ হবে ৩ বিল

    নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল ছাড়াও আরও যে তিনটি বিল পেশ করা হবে সেগুলি হল, অ্যাডভোকেটস (সংশোধনী) বিল, ২০২৩, দ্য প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ পিরিওডিক্যালস বিল, ২০২৩ এবং পোস্ট অফিস বিল, ২০২৩। অধিবেশনের প্রথম দিন লোকসভায় ৭৫ বছরের সংসদীয় যাত্রার বিষয়ে আলোচনা হবে। সংবিধান সভা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সংসদের সাফল্য, অভিজ্ঞতা, স্মৃতি ও শিক্ষা নিয়ে আলোচনা হবে। অধিবেশনের আগের দিন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। সেখানেও এই অ্যাজেন্ডা নিয়ে হবে আলোচনা।

    এই চারটি বিলের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করা হয়েছিল সংসদের বাদল অধিবেশনে। ১০ অগাস্ট পেশ হয়েছিল বিলটি। বাকি তিনটি বিল নিয়ে বিরোধীদের খুব একটা সমস্যা না থাকলেও, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিলটির বিরোধিতা করবেন (Special Parliamentary Session) তাঁরা। এই বিলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে যে প্যানেল তৈরি হয় তা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে।

    এতে কেন্দ্রের ক্ষমতা ও একছত্র আধিপত্যই প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশঙ্কা বিরোধীদের। সেই কারণেই এই বিলের বিরোধিতা করবেন বিরোধীরা। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের তরফেও বলা হয়েছিল, কেন্দ্র চাইলে মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল আনতে পারে সংসদে।

     

  • Suvendu Adhikari: “এটা চোরেদের জোট”, ‘ইন্ডিয়া’-কে ফের নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “এটা চোরেদের জোট”, ‘ইন্ডিয়া’-কে ফের নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা জোট নয়। আই ডট এন ডট ডি ডট আই ডট অ্যালায়েন্স। এটা চোরেদের জোট।” এই ভাষাতেই ফের একবার ‘ইন্ডি’-জোটকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই জোটের জন্যই লোকসভা নির্বাচনে মোদিজি ৪০০ আসন পেরিয়ে যাবেন বলেও দাবি করেন তিনি। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “এটা দুর্নীতিবাজ, বংশবাদী, পরিবারবাদী ও তুষ্টিকারীদের জোট। এটা কোনও জোটই নয়। দেখবেন, মোদিজি পরের বার ৪০০ পেরিয়ে যাবেন।”

    শুভেন্দুর নিশানায় অভিষেক

    বুধবারই ইডির প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ইডির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “কয়লা পাচার, গরু পাচার, এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি, সবেতেই তাঁকে একই প্রশ্ন করা হচ্ছে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও হিসেবে তিনি প্রমাণ করুন দুর্নীতির টাকা ওই কোম্পানিতে ঢোকেনি!” 

    এদিকে, এদিনই ‘ইন্ডি’ জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয়েছে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের দিল্লির বাসভবনে। ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ায় ওই বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি অভিষেক। বৈঠকের সময় তাঁর জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছিল চেয়ার। এনিয়ে বেজায় চটেছে জোটের শরিক সিপিএম।

    বৈঠকে বিজেপি

    বিজেপিকে হারাতে দিল্লিতে যখন ছক কষছেন ‘ইন্ডি’ জোটের নেতারা, সেই সময় বৈঠকে বসেন  বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটিও। বৈঠক হয় এদিন সন্ধ্যায়। দিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয়ের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ প্রমুখ। উপস্থিত (Suvendu Adhikari) ছিলেন ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির সদস্য তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষে হবে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচন। সেই কারণে ইন্ডিয়ার প্রথম জনসভা হবে এই রাজ্যেই, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে।

    আরও পড়ুুন: এবার আর জি করের হস্টেলে র‌্যাগিং! অভিযোগ দায়ের থানায়

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • C-295 Aircraft: আরও শক্তিশালী বায়ুসেনা, এবার ভারতের হাতে এল ‘সি-২৯৫’, কী এর বিশেষত্ব?

    C-295 Aircraft: আরও শক্তিশালী বায়ুসেনা, এবার ভারতের হাতে এল ‘সি-২৯৫’, কী এর বিশেষত্ব?

    আরও শক্তিশালী হল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। অবশেষে ভারতের হাতে এল অত্যাধুনিক সামরিক পণ্য সরবরাহকারী বিমান ‘সি-২৯৫’ এয়ারলিফটার। এই বিমানকে বলা হচ্ছে ‘মুশকিল আসান’। কিন্তু, কেন? কী আছে এই বিমানে? কী এর বিশেষত্ব? পড়ুন বিস্তারিত।

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম ‘সি-২৯৫’ মিডিয়াম ট্যাক্টিক্যাল ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফট (C-295 Aircraft) এল ভারতের হাতে। বুধবার, স্পেনের সেভিয়া শহরে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরির হাতে এই বিমানের প্রতীকী চাবি তুলে দেন এয়ারবাসের কর্মকর্তারা। এই বিমানের উৎপাদন হয়েছে স্পেনে। তৈরি করেছে এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস।

    ২২ হাজার কোটি টাকার চুক্তি এয়ারবাসের সঙ্গে

    বর্তমানে ব্যবহৃত পুরনো আমলের এবং তুলনামূলক ছোট ও কম শক্তিশালী অ্যাভরো-৭৪৮ বিমানকে অবসরে পাঠিয়ে তার জায়গায় নতুন শক্তিশালী, আরও প্রযুক্তিগত উন্নত এবং সর্বোপরি অধিক সক্ষমতার একটি পণ্য সরবরাহকারী বিমানের খোঁজে ছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই মোতাবেক, ২ বছর আগে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এয়ারবাসের সঙ্গে ৫৬টি ‘সি-২৯৫’  (C-295 Aircraft) বিমান কেনার চুক্তি করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, যার মূল্য প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। 

    ৫৬টির মধ্যে ৪০টি বিমান তৈরি হবে ভারতেই

    চুক্তি মোতাবেক, ৫৬টি বিমানের মধ্যে প্রথম ১৬টি একেবারে ফ্লাই-অ্যাওয়ে কন্ডিশনে (সম্পূর্ণ তৈরি অবস্থায়) ভারতে উড়িয়ে আনা হবে। বাকি ৪০টি ভারতে তৈরি হবে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে। চুক্তি অনুযায়ী, ভারতে বিমানগুলি তৈরি হবে গুজরাটের ভাদোদরায়, যেখানে টাটার সঙ্গে যৌথ অংশিদারীতে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস-এর কারখানায়। 

    এদেশে বেসরকারি সংস্থায় তৈরি হওয়া প্রথম সামরিক বিমান

    চুক্তিতে বলা হয়েছিল, স্বাক্ষর হওয়ার দিন থেকে চার বছরের মধ্যে ১৬টি ‘সি-২৯৫’ (C-295 Aircraft) বিমান ভারতের হাতে একেবারে তৈরি অবস্থায় তুলে দেবে এয়ারবাস। এদিন চুক্তির ঠিক ২ বছরের মাথায় প্রথম বিমানটি ভারতের হাতে তুলে দিল এয়ারবাস। ২০২৫ সালের অগাস্টের মধ্যে ১৬ নম্বর বিমানটি ভারতের হাতে চলে আসবে বলে এদিন আশাপ্রকাশ করেন এয়ারবাসের কর্তারা। ২০২৬ সাল থেকে ভাদোদরায় টাটাদের সঙ্গে যৌথভাবে শুরু হবে উৎপাদন, যা শেষ হওয়ার কথা ২০৩১ সালের অগাস্ট মাস নাগাদ। তেমনটা হলে, তা হবে ভারতের মাটিতে বেসরকারি সংস্থায় তৈরি হওয়া দেশের প্রথম সামরিক বিমান।

    কেন এই বিমান নিয়ে এত মাতামাতি? কী এর বিশেষত্ব?

    জানা যাচ্ছে, ২৫ সেপ্টেম্বর ভারতে আসবে প্রথম বিমানটি। বর্তমানে, স্পেনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) পাইলটরা। প্রথম স্কোয়াড্রন থাকবে উত্তরপ্রদেশের হিন্ডন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। ‘সি-২৯৫’ বিমানগুলি প্রায় ৯ টন ওজন বহন করতে পারে। এদের গতি ঘণ্টায় ৪৮০ কিলোমিটার। মোট ৭১ জন সেনাকর্মী বা ৪৫ জন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্যারাট্রুপারকে বইতে পারবে এই বিমান। আকাশ থেকে বাহিনী বা রসদ নামানোর জন্য রিয়ার ব়্যাম্প রয়েছে এই বিমানে।

    এই বিমানে দুটি শক্তিশালী প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি টার্বোপ্রপ ইঞ্জিন রয়েছে যাতে ভর করে এই বিমানটি ১৩ ঘণ্টা টানা কম জ্বালানী খরচ করে উড়তে পারে। একটি ইঞ্জিনের সাহায্য এটি সাড়ে ১৩ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। ২টি ইঞ্জিন ব্যবহার করলে, এই বিমান ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে। এছাড়া, এই বিমানে মিড-এয়ার রিফুয়েলিং ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ, যুদ্ধবিমানের মতো মাঝ-আকাশেই জ্বালানি ভরতে সক্ষম ‘সি-২৯৫’ এয়ারলিফটার।

    টেক অফের জন্য এই বিমানের প্রয়োজন মাত্র ৪২০ মিটার রানওয়ে। ল্যান্ডিংয়ের জন্য প্রয়োজন এর অর্ধেক। ফলে, ছোট বা সম্পূর্ণ তৈরি না হওয়া এয়ারস্ট্রিপ থেকেও উড়ান দিতে পারবে এটি। এয়ারবাসের তরফে জানানো হয়েছে, কাঁচা, নরম এবং বালুকাময় অথবা ঘাসের এয়ারস্ট্রিপ থেকে এর অসাধারণ শর্ট টেক-অফ এবং ল্যান্ডিং (STOL) করার ক্ষমতা রয়েছে ‘সি-২৯৫’ (C-295 Aircraft) বিমানের।

    কেন একে ‘মুশকিল আসান’ বিমান বলছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক?

    বলা বাহুল্য, এই বিমান হাতে আসায় আরও শক্তিশালী হল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। কারণ, অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় বায়ুসেনাকে। বিশেষ করে ভারত-চিন সীমান্ত অঞ্চলে এই সমস্যা বেশি দেখা দিয়েছে। সেনা ট্রাকে করে সড়কপথে বাহিনী বা সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছতে অনেক বিলম্ব হয়। এখন ভারতের হাতে ‘মুশকিল আসান’ বিমান (C-295 Aircraft) চলে আসায় এবার থেকে সেই সমস্যায় পড়তে হবে না বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। এর ফলে লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিমে মতো দুর্গম অঞ্চলে অতি সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে অস্ত্র ও রসদ পৌঁছে দিতে পারবে বায়ুসেনা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anantnag Encounter: জম্মুর অনন্তনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ দুই সেনা, এক পুলিশ আধিকারিক

    Anantnag Encounter: জম্মুর অনন্তনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ দুই সেনা, এক পুলিশ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগে (Anantnag Encounter) জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন সেনার দুই অফিসার এবং জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক। দুই সেনা আধিকারিকদের মধ্যে একজন কর্নেল এবং অপরজন মেজর পদমর্যাদার অফিসার ছিলেন। অন্যদিকে, পুলিশের ডেপুটি সুপার (ডিএসপি) পদমর্যাদার এক অফিসারও জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। 

    মঙ্গলবার শুরু হয়েছিল অভিযান

    সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, কাশ্মীরের অনন্তনাগ (Anantnag Encounter) জেলার কোকেরনাগের অন্তর্গত গাদোলে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং সিআরপিএফ-এর একটি যৌথ দল মঙ্গলবার রাতে এলাকায় অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে৷ 

    বাহিনীর যৌথ দলটি সন্দেহভাজন স্থানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গিরা তাদের উপর গুলি চালায়৷ পালটা গুলি চালানো হয় নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে৷ সেই থেকেই এই এনকাউন্টারের শুরু৷ বেশি রাতে অভিযান স্থগিত করা হয়৷ বুধবার সকালে আবার অভিযান শুরু হয়৷ সময়ই জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর জখম হন ওই কর্নেল৷ পরে তাঁর মৃত্যু হয়। 

    ৩ শহিদ অফিসারের পরিচয়

    জানা গিয়েছে, নিহত কর্নেলের নাম মনপ্রীত সিং। তিনি রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ১৯ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। একই ভাবে জঙ্গিদের বুলেটে আহত হন সেনার মেজর পদের অফিসার এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডেপুটি সুপারিন্টেডেন্ট। নিহত সেনা মেজরের নাম আশিস ধনচক। অন্যদিকে, নিহত জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের (Jammu Kashmir) ডেপুটি সুপারিন্টেডেন্টের নাম হিমায়ুন মুজামিল ভাট। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তিন নিরাপত্তা আধিকারিকের মৃত্যুর পরেই জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কর্ডন করে দেওয়া হয়েছে একাধিক রাস্তা। চলছে ব্যাপক তল্লাশি (Anantnag Encounter)।

    রাজৌরিতেও সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ

    এর আগে, এদিনই রাজৌরি জেলায় সেনার সঙ্গে গুলি বিনিময়ে ২ জঙ্গি খতম হয়েছে। সেখানেও টানা ২ দিন ধরে চলেছে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন এক সেনা জওয়ানও। আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। জওয়ানকে রক্ষা করতে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে মারা গিয়েছে এক সামরিক সারমেয়র (Jammu Kashmir)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: টানা ইডির প্রশ্নবাণের মুখে অভিষেক, অফিস থেকে বেরিয়ে এ কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    Abhishek Banerjee: টানা ইডির প্রশ্নবাণের মুখে অভিষেক, অফিস থেকে বেরিয়ে এ কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে ইডির প্রশ্নবাণের ধাক্কা সামলালেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বুধবার সকালে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছান তৃণমূল নেত্রীর ভাইপো। শুরু হয় ম্যারাথন জেরা। যদিও তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলেন, “আমাকে ছিয়ানব্বই ঘণ্টা জেরা করেও কিছু হবে না।”

    এ কী বললেন তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাইপো?

    বিজেপিকে রুখতে জোট বেঁধেছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। এই জোটে রয়েছে কংগ্রেসের মতো সর্বভারতীয় দল। কিছু দিন আগেও তৃণমূলের গায়ে সর্বভারতীয় তকমা সেঁটে দিয়েছিলেন দলীয় নেত্রী। সেই তকমাও মুছে গিয়েছে। তবে এদিন ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাইপো যা বললেন, তাতে ‘ইন্ডিয়া’র ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। ঘাসফুল শিবিরের এই নেতা বলেন, “সব দল ছেড়ে ইডি বেছে বেছে আমাকে নোটিশ দিয়েছে। দিয়েছে ভাল করেছে। কিন্তু হাজিরার জন্য ডাকল, যেদিন বৈঠক রয়েছে। ৪টের সময় দিল্লিতে বৈঠক ছিল।”

    তিনি বলেন, “বৈঠকে যদি আমি অংশগ্রহণ করতে চাই, তাহলে ২টোর মধ্যে আমাকে দিল্লিতে পৌঁছতে হবে। আর আমাকে একই দিনে কলকাতার ইডি অফিসে ডাকা হল সকাল সাড়ে ১১টায়। আজকের আগে-পরে ডাকলে আমি (Abhishek Banerjee) বৈঠকে থাকতে পারতাম। আজকে ডাকার ফলে এটা স্পষ্ট, ভারতীয় জনতা পার্টি বেছে বেছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিকে আটকেছে। তাই ইন্ডি বা বিরোধী জোট গঠনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা কী সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র তৃণমূলকেই যে এরা আটকাতে চায়, এটা আর একবার আজ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “আমাকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টায় রাজ্য খরচ করেছে ২৯৫ কোটি টাকা”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মৌখিক রক্ষাকবচ পেয়েই ইডির দফতরে অভিষেক!

    প্রসঙ্গত, এর আগে রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার শুনানি হয়। অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, বুধবার তাঁর (অভিষেকের) বিশেষ একটি বৈঠক রয়েছে। তিনি এও বলেছিলেন, “এটা বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ। কাল তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। এই ধরনের হয়রানির মানে কি?” তার প্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবী বলেছিলেন, “সমন পাঠানো মানে কড়া পদক্ষেপ নয়। তিনি অভিযুক্ত নন। ইডির কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তাই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সমন পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের কোনও বাধা নেই। গ্রেফতার করতে আমাদের কোনও সমনের দরকার নেই। আমরা যখন ইচ্ছা গিয়ে গ্রেফতার করতে পারি। গ্রেফতারির জন্য সমন পাঠানো হয়েছে এই আশঙ্কা অমূলক।”

    তিনি বলেন, “এই আদালতের অন্য এজলাসেও মামলা চলছে। সেখানে আমাদের রিপোর্ট দিতে হবে। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গ্রেফতার করা হবে না এই আশ্বাস পেয়েই এদিন ইডির মুখোমুখি হন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রসঙ্গ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, এবার মোদি-স্তুতি শোনা গেল পুতিনের গলায়ও

    PM Modi: প্রসঙ্গ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, এবার মোদি-স্তুতি শোনা গেল পুতিনের গলায়ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লিতে হয়ে গেল জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। আয়োজক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করেছেন উপস্থিত রাষ্ট্রপ্রধানরা। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছিলেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী। 

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট

    তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রচার করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। একদম সঠিক কাজ করছেন তিনি। দেশে তৈরি গাড়ি ব্যবহার করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই উদাহরণ তৈরি করেছে ভারত।” মঙ্গলবার দেশের বন্দর শহর ভ্লাদিভসতকে ইস্টার্ন ইকনোমিক ফোরামে যোগ দিয়েছিলেন পুতিন। সেখানেই তাঁর মুখে শোনা গেল মোদি-স্তুতি।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’

    দেশীয় পণ্যের ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করে পুতিন বলেন, “আগে আমাদের কাছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি গাড়ি ছিল না, এখন আমাদের কাছে রয়েছে। এটা সত্যি যে মার্সিডিজ বা অডি গাড়ির তুলনায় আমাদের তৈরি গাড়িগুলি অনেক শোভনীয় দেখতে। নয়ের দশকে আমরা অনেক গাড়ি কিনেছিলাম, কিন্তু এটা ইস্যু নয়। আমাদের বন্ধুদের দেখে শেখা উচিত। যেমন ভারত। ওরা দেশীয় প্রযুক্তিতে গাড়ি তৈরি ও তা ব্যবহারের ওপর নজর দিয়েছে। আমার মনে হয়, মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রচার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) একদম সঠিক কাজ করছেন। উনি একদম ঠিক।”

    আরও পড়ুুন: লুকিয়ে একা পর্ন ছবি দেখা কি দণ্ডনীয় অপরাধ? যুগান্তকারী মন্তব্য কেরল হাইকোর্টের

    তিনি বলেন, “আমাদের কাছে নিজস্ব তৈরি গাড়ি রয়েছে। আমাদের সেগুলি ব্যবহার করা উচিত। ওই গাড়িতে কোনও সমস্যা নেই। এতে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিক্রি বাড়বে। এমন একটা চেইন তৈরি করতে হবে, যাতে কোন শ্রেণির আধিকারিকরা কী ধরনের গাড়ি ব্যবহার করেন, তা জেনে সেই অনুযায়ী গাড়ি তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই গাড়ি কেনা নিয়ে একাধিক প্রস্তাবনা আনা হয়েছে।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমাদের অটোমোবাইল সংস্থা রয়েছে। আর আমাদের সেই গাড়িগুলি ব্যবহার করা উচিত। এই পদক্ষেপের জন্য আমাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের সঙ্গে থাকা কোনও নীতির বিরোধিতা বা লঙ্ঘন করতে হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: “আমাকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টায় রাজ্য খরচ করেছে ২৯৫ কোটি টাকা”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “আমাকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টায় রাজ্য খরচ করেছে ২৯৫ কোটি টাকা”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চন্দ্রযান চাঁদে পাঠাতে ভারত সরকারের খরচ হয়েছে ৬১৫ কোটি টাকা। আর আমাকে জেলে ঢোকানোর প্রচেষ্টার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার এ পর্যন্ত হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আমার জন্য ২৯৫ কোটি টাকা খরচ করেছে।” সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার’

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে পরাজিত করেন তিনি। শুভেন্দুর অভিযোগ, এই দুই কারণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা করে তাঁকে জেলে ঢোকানোর প্রাণপণ চেষ্টা করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) জানান, ব্রিটিশ আমলেও তাঁর পরিবার জেল খেটেছেন। তাই তিনি যে সহজে মাথা নোয়াবেন না তা বারংবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন শুভেন্দু।

    পুলিশের খাতায় এফআইআরের পরিসংখ্যান

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথা যে নিছকই ফাঁপা নয়, তার প্রমাণ মেলে পুলিশের খাতার পরিসংখ্যানেই। জানা গিয়েছে, শুভেন্দু যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে মাত্র একটি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই ক’ বছরে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে ২৭টি। দিন কয়েক আগে এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে এখনই আর কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না। এর প্রেক্ষিতে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে উঠেপড়ে লেগেছিল বাংলার শাসক দল তথা সরকার। এতে ফের ওদের মুখ পুড়ল।”

    আরও পড়ুুন: এই বছরেই হবে টেট! প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার তারিখ এবং নিয়ম জানাল পর্ষদ

    শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করার যৌক্তিকতা কোথায়, সে প্রশ্নও তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। তাদের প্রশ্ন, সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা আইনজীবীদের পিছনে খরচ করে কলকাতা হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টে বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় লড়াই করার যৌক্তিকতা কোথায়? এ নিয়ে এতদিন চুপ থাকলেও, এদিন মুখ খোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। জানান, মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে তাঁর পিছনে রাজ্য সরকার ঠিক কত টাকা ব্যয় করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • All Party Meeting: সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আগে সর্বদল বৈঠকের ডাক মোদি সরকারের, কেন জানেন?

    All Party Meeting: সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আগে সর্বদল বৈঠকের ডাক মোদি সরকারের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে ১৮ সেপ্টেম্বর। পাঁচ দিনের এই অধিবেশন শুরুর আগে সর্বদল বৈঠক (All Party Meeting) ডাকা হল সরকারের তরফে। বৈঠকটি ডেকেছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। এর আগে সর্বদল বৈঠক হয়েছিল সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে। এবার হচ্ছে বিশেষ অধিবেশনের আগে। তবে বিশেষ অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা কী, তা জানা যায়নি।

    ‘ইন্ডি’ জোটের তরফে চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে

    অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা বিরোধীদের জানানো হয়নি দাবি করে ‘ইন্ডি’-জোটের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। পাল্টা চিঠিতে জোশী জানিয়েছিলেন, অধিবেশনের আগে কখনওই অ্যাজেন্ডা প্রকাশ করা হয় না। অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করে অ্যাজেন্ডা ঠিক করা হয়। কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে বলেই আমরা সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছি। শীঘ্রই এর অ্যাজেন্ডা প্রকাশ করা হবে। হাতে পর্যাপ্ত সময় আছে। উপযুক্ত সময়ে অ্যাজেন্ডা প্রকাশ করা হবে।”

    নয়া সংসদ ভবনে গৃহপ্রবেশ!

    সংসদের এই বিশেষ অধিবেশন বসবে পুরনো সংসদ ভবনে। তবে নয়া ভবনে গৃহপ্রবেশ ঘটতে পারে পরের দিনই। কারণ, ওই দিন গণেশ চতুর্থী। তিথি, নক্ষত্রও ভাল রয়েছে। তাই এই দিন অধিবেশন বসতে পারে নয়া সংসদ ভবনে। তবে এ ব্যাপারে সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। সর্বদল বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। বিশেষ অধিবেশনের (All Party Meeting) অ্যাজেন্ডা জানা না গেলেও, বিরোধীদের একাংশের মতে, এই অধিবেশনে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ প্রণয়ন ও সংবিধান সংশোধন করে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ করার চেষ্টা করতে পারে সরকার।

    আরও পড়ুুন: লুকিয়ে একা পর্ন ছবি দেখা কি দণ্ডনীয় অপরাধ? যুগান্তকারী মন্তব্য কেরল হাইকোর্টের

    ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশটিও প্রকাশ্যে আসতে পারে এই অধিবেশনে। বিরোধীদের একাংশের মতে, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ, রামমন্দির নির্মাণ, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মতো ইস্যুগুলিকে লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের হাতিয়ার করতে পারে নরেন্দ্র মোদি সরকার। সেই কারণেই ডাক দেওয়া হয়েছে বিশেষ অধিবেশনের। এর সঙ্গে সংসদের নয়া ভবনে বিশেষ অধিবেশন বসিয়ে বিরোধীদের মাতও দিতে পারে (All Party Meeting) নরেন্দ্র মোদির সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share