Tag: Bengali news

Bengali news

  • Cooch Behar: অবিলম্বে হিংসা বন্ধ এবং দোষীদের গ্রেফতার করার কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    Cooch Behar: অবিলম্বে হিংসা বন্ধ এবং দোষীদের গ্রেফতার করার কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বারবার শিরোনামে উঠে আসা কোচবিহারে (Cooch Behar) দিনহাটা, সিতাই, শীতলকুচি সহ একাধিক জায়গায় পরিদর্শন করবেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ কোচবিহারের সার্কিট হাউসে রাত কাটাবেন তিনি, তার আগে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান অবিলম্বে হিংসা বন্ধ করতে হবে এবং দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। সেই সঙ্গে  বলেন, হিংসায় আক্রান্ত সকল এলাকায় পরিদর্শন করবেন তিনি এবং এই পরিদর্শনের যাত্রাকে ‘মোবাইল রাজভবন’ বলে উল্লেখ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

    কী বলেছেন রাজ্যপাল (Cooch Behar)?

    উত্তরবঙ্গে গতকাল পাহাড়ে সফর শেষ করে কোচবিহারে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শনের যাবেন রাজ্যপাল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা, সিতাই, শীতলকুচি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এলাকায় ভোট পরবর্তী ব্যাপক সন্ত্রাসের খবর উঠে এসেছিল। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও দিনহাটাতে খুন হয়েছেন বিরোধী দলের একাধিক কর্মী। সামনেই ৮ই জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন। তাই নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ করতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়ে মতপ্রকাশ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। হিংসা ঠেকাতে জেলে রাখতে হবে গুন্ডাদের। যে সমস্ত দুষ্কৃতীদের সাহায্যে নেতারা এলাকাকে দখলে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নিতে হবে। রাজ্যের গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে হবে। ভারতবর্ষ স্বাধীন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, এই রাজ্যের পরিস্থিতিকে গণতন্ত্রের অনুকুল করতে হবে। কোচবিহারকে সন্ত্রাসকে মুক্ত করতে হবে এবং নাগরিকদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। হাইকোর্টের আদেশকে দ্রুত পালন করতে হবে কমিশনকে, বলেও মন্তব্য করেন সিভি আনন্দ বোস। পুলিশকে সাধারণ মানুষের মনকে ভয়মুক্ত করে বিশ্বাস এবং আস্থাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। কোনও প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে প্রশাসনকেই দায়িত্ব নিতে হবে। রাজ্যের নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের অধীনে, নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যপাল নিযুক্ত করলেও নির্বাচনকে হিংসা মুক্ত করার দায়িত্ব প্রশাসনেরই। দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল।

    অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান রাজ্যপাল

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল নিজে বলেছিলেন, রাজভবনের রাজ্যপাল নন জনগণের রাজ্যপাল হতে চান তিনি। ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা এবং ভোটের প্রচারে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু ঘটেছে রাজ্যে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বারবার কড়া মত প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। কমিশনকে পঞ্চায়েত নির্বাচন বিষয়ে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচনের কথা খুব স্পষ্ট করে বলেছেন। রাজভবনে পিস রুম তৈরি করেছেন নিজে। রাজ্যের যে সকল স্থানে দুষ্কৃতীদের আক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ, তাঁদের জন্য সরাসরি পিস রুমে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা করেন রাজ্যপাল। ক্যানিং পূর্ব, ভাঙরে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছিল এলাকা এবং যেভাবে দুষ্কৃতীরা দৌরাত্ম্য চালিয়ে আইনকে হাতে তুলে নিয়ে গণতন্ত্রকে হরণ করেছে, সেই বিষয়ে কমিশনকে বিশেষ ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। দক্ষিণবঙ্গে মনোনয়নের সময় হিংসা কবলিত এলাকা এবং বিরোধী প্রার্থীদের এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল। রাজ্যপাল রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহকে শান্তিপূর্ণ করেতে চাহাইছেন। সাধারণ মানুষ যাতে নিজেরদের ভোট নিজেরা ঠিক ঠাক দিতে পারেন সেই বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। কোচবিহারে (Cooch Behar) সাংবাদিক সম্মলেনে রাজ্যপাল রাজ্যের নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসনকে দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের কোটিপতি প্রার্থী, সরগরম হিলি

    Dakshin Dinajpur: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের কোটিপতি প্রার্থী, সরগরম হিলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটিপতি এবারে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী! হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও, দক্ষিন দিনাজপুরের হিলির (Dakshin Dinajpur) দুর্গ ধরে রাখতে এবারে এমনই এক কোটিপতিকে প্রার্থী করল তৃণমূল। জেলাপরিষদের ১৩ নম্বর আসন থেকে নির্বাচনে দাঁড়ানো ওই তৃণমূল প্রার্থীর নাম কৌশিক মাহাতো ওরফে ডাকু।

    কোথায় (Dakshin Dinajpur) প্রার্থী হলেন এই তৃণমূল কর্মী?

    হিলির জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিধাই এলাকার বাসিন্দা হলেও এবারের নির্বাচনে ১৩ নম্বর জেলাপরিষদ আসন থেকেই লড়ছেন তিনি। হিলি ব্লকের ধলপাড়া ও বিনশিরা এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে তৈরি হওয়া নতুন দক্ষিণ জেলা পরিষদের আসনটিতে প্রার্থী হওয়া কৌশিক মাহাতো, নির্বাচন কমিশনকে যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা সম্পত্তি ও নগদ অর্থের পরিমান প্রায় এক কোটি টাকা। যা জেলার প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদেরই পিছনে ফেলে দিয়েছে। আচমকা তৃণমূল এমন কোটিপতিকে ভোটে দাঁড় করিয়ে দেওয়াতেই, এখন জোর চর্চা দক্ষিন দিনাজপুর জেলা জুড়ে।

    নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য

    নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কোটিপতি ওই তৃণমূল প্রার্থীর (Dakshin Dinajpur) কাছে নগদ অর্থ রয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। স্ত্রীর ব্যাঙ্ক একাউন্টে দুলক্ষ টাকা এবং নগদ ২৫ হাজার টাকা রয়েছে। প্রার্থীর নিজস্ব দুই ভরি সোনার গহনা এবং স্ত্রীর রয়েছে সাতভরি সোনার গহনা। বাড়ি ও জমি হিসাবে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি রয়েছে কৌশিক বাবুর। এছাড়াও অন্য বিনিয়োগ হিসাবে আট লক্ষ টাকা দেখিয়েছেন এই তৃণমূল প্রার্থী। রয়েছে একটি মোটর সাইকেল ও একটি চার চাকা গাড়িও। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া তথ্যে ওই তৃণমূল প্রার্থী জানিয়েছেন তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকা, যেখানে তিনি নিজেকে একজন এক্সপোর্টার ও মদের ব্যবসায়ী হিসাবে দাবি করেছেন। এছাড়া তাঁর একটি গেস্ট হাউসও রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। আর নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া এই হিসাবই জেলার সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদেরকে ছাপিয়ে গিয়েছে। খোদ তৃণমূলের জেলা সভাপতি, যুব সভাপতিরা নির্বাচনে লড়াই করলেও, কৌশিক মাহাতোর সম্পত্তির ধারেপাশে পৌঁছাতে পারেনি কোনও প্রার্থীই।

    প্রার্থীর বক্তব্য

    তৃণমূল প্রার্থী কৌশিক মাহাতো (Dakshin Dinajpur) বলেন, এই এলাকার মানুষ উন্নয়নের পক্ষেই রয়েছেন। জেতার ব্যাপারে তিনি একশো শতাংশ আশাবাদী। বিপক্ষ হিসাবে বিজেপিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি, কেননা বামদের তেমন কিছু নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। নিজের জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ আশা বাদী তৃণমূল প্রার্থী কৌশিক মাহাতো।

    বিরোধীদের বক্তব্য

    হিলির ১৩ নম্বর জেলা পরিষদ (Dakshin Dinajpur) আসনের বিজেপি প্রার্থী বাপি সরকার বলেন, রাজনীতির লড়াইয়ে কোটিপতি, লাখোপতি বলে কোন ব্যাপার নেই। সেখানে লড়াই শুধুমাত্র রাজনৈতিক। সিপিএম প্রার্থী শিবতোষ চ্যাটার্জী বলেন, কোটিপতি প্রার্থী টাকা ছিটিয়ে পিকনিক, মিষ্টির প্যাকেট বিলি করলেও ভোটারদের কিনতে পারবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: হাঁটু সমান কাদায় হেঁটে দেখুন বিধায়ক, কেমন লাগে? কেন বললেন ভাতারের গ্রামবাসীরা

    Purba Bardhaman: হাঁটু সমান কাদায় হেঁটে দেখুন বিধায়ক, কেমন লাগে? কেন বললেন ভাতারের গ্রামবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট চাইতে এসে বিপাকে এলাকার বিধায়ক। এক হাঁটু কাদায় নামিয়ে হাঁটালেন গ্রামবাসীরা। ভাতারের (Purba Bardhaman) বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীকে এমনই ভাবে এলাকার উন্নয়নের চিত্র পরিদর্শন করালেন। বেশ কয়েক মিটার ভাঙা রাস্তা হাঁটলেন বিধায়ক নিজে। গ্রামবাসীরা বললেন, হাঁটু কাদায় বিধায়ক হেঁটে দেখুক কেমন লাগে?

    কী হয়েছে ঘটনা (Purba Bardhaman )?

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামের মূল রাস্তার বেহাল দশা। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকে গেছে, পঞ্চায়েত ভোটে প্রচার ও জোর কদমে চলছে। শনিবার সকালে, ভাতারের (Purba Bardhaman) কালুরচট্ট গ্রামের প্রচারে যান বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির ৯ নম্বর আসনের প্রার্থী আব্দুর রউকের সমর্থনে মূলত প্রচার করতে যান। গ্রামের মানুষের কাছে ভোট চাইতে গেলে তিনি বিপত্তিতে পড়েন বলে জানা গেছে। গ্রামবাসীরা বলেন, আজকে এই মুহূর্তে এই এক হাঁটু কাঁদার রাস্তায় আপনাকে হাঁটতে হবে! আর তাতেই বেহাল কাদামাখা রাস্তায় হাঁটতে হল বিধায়ককে। কার্যত স্বীকার করে নিলেন বিধায়ক যে রাস্তা খারাপ! তিনি তারপর বলেন – ভোটের জন্য কাজ দেরি হচ্ছে, ভোটের পরেই শুরু হবে রাস্তা তৈরীর কাজ। বর্ষা এলে কাদা ও জলে হাঁটা দায় হয়ে ওঠে এলাকাবাসীদের। গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। অবিলম্বে এই রাস্তা মেরামত করতে হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন বিধায়ক।

    বিধায়কের বক্তব্য

    যদিও তৃণমূল বিধায়ক (Purba Bardhaman) মানগোবিন্দ অধিকারী গ্রামবাসীদের ক্ষোভের প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূল বলেই এটা সম্ভব, গ্রামের রাস্তা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ ছিল। আজ প্রচারে ওই গ্রামে যাওয়ায় মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে আমায় হেঁটে যেতে বলেন। আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়েই, মানুষের জন্য রাজনীতি করি। সুবিধা, অসুবিধা শুনি, দেখি আবার সমাধানও করি। গ্রামের মানুষের আবদার মেনেই জল কাদা রাস্তায় হেঁটেছি। ভোট মিটলেই এই রাস্তা পঞ্চায়েত থেকে তৈরি করে দেওয়ার কথা দিয়েছি। তাতেও যদি না হয়, আমি আমার বিধায়ক তহবিল থেকে এই রাস্তা তৈরি করে দেবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Monsoon Session: ইতিহাসের পাতায় পুরানো! বাদল অধিবেশন কি নয়া সংসদ ভবনেই?

    Parliament Monsoon Session: ইতিহাসের পাতায় পুরানো! বাদল অধিবেশন কি নয়া সংসদ ভবনেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় সংসদের বাদল অধিবেশন (Parliament Monsoon Session)। তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে নয়া সংসদ ভবনে। এখানেই বসতে পারে বাদল অধিবেশন। পুরানো সংসদ ভবনে হয়েছিল বাজেট অধিবেশন। আসন্ন অধিবেশনে সেটার হয়তো ঠাঁই হবে ইতিহাসের পাতায়। ১৭ জুলাই বাদল অধিবেশন শুরু হতে পারে। চলবে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত। তবে ঠিক কবে থেকে অধিবেশন বসবে তা ঠিক হবে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বে ওই বৈঠক হবে দু একদিনের মধ্যেই। সেখানেই চূড়ান্ত হবে অধিবেশনের দিন। 

    কাজ বাকি নয়া ভবনে

    তবে সেই অধিবেশন (Parliament Monsoon Session) পুরানো না নতুন কোন ভবনে হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। কেননা, নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন হয়ে গেলেও, ভিতরে এখনও বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে এই কাজ শেষ করা কার্যত অসম্ভব। তাই নয়া সংসদ ভবনে এবার বাদল অধিবেশন বসবে কিনা, সে ব্যাপারে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। তবে নয়া ভবনে বাদল অধিবেশন বসতে পারে ধরে নিয়েই রাতদিন এক করে কাজ করে চলেছেন কর্মীরা। নিয়মিত চলছে অডিও-ভিজ্যুয়াল পরীক্ষার কাজ। ২৮ মে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পর থেকেই জল্পনা চলছে, কোথায় হবে আসন্ন বাদল অধিবেশন (Parliament Monsoon Session)।

    নয়া ভবনে তৎপরতা

    তবে এই অধিবেশন যে নতুন বিল্ডিংয়েই হবে, তা কর্মীদের তৎপরতা দেখলেই বোঝা যায়। একেবারে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে বেসমন্টে এবং মন্ত্রীদের অফিসগুলিতে। লোকসভা ও রাজ্যসভার অডিও, ভিডিও এবং অন্যান্য সিস্টেম পরীক্ষার কাজও চলছে জোরকদমে। কেবল সাউন্ড সিস্টেমই নয়, কুলিং সিস্টেমের কাজও চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। লোকসভার কর্মীদের জন্য ডেস্ক অ্যারেঞ্জমেন্টের কাজও চলছে। লোকসভায় কোরাম হয়েছে না হয়নি, তা জানা যায় যে সিস্টেমের সাহায্যে, সেই সিস্টেমের পরীক্ষার কাজও চলছে।

    আরও পড়ুুন: নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি, তুষার লিঙ্গ দর্শনে অমরনাথের পথে পাড়ি দ্বিতীয় দলেরও

    এদিকে, সংসদের আলোচনার বিষয়বস্তু জানতে এখন থেকে সাংসদদের (Parliament Monsoon Session) আর কেবল হিন্দি কিংবা ইংরেজির ওপর ভরসা করতে হবে না। কারণ এবার থেকে সংসদের আলোচ্য বিষয়বস্তু সাংসদরা জানতে পারবেন আঞ্চলিক ভাষায়ও। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার উদ্যোগেই চালু হতে যাচ্ছে নয়া এই সিস্টেম। ভারতীয় সংবিধানে যে ২২টি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, তার সবকটিতেই জানা যাবে সংসদের আলোচ্যসূচি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amaranth Yatra: নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি, তুষার লিঙ্গ দর্শনে অমরনাথের পথে পাড়ি দ্বিতীয় দলেরও

    Amaranth Yatra: নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি, তুষার লিঙ্গ দর্শনে অমরনাথের পথে পাড়ি দ্বিতীয় দলেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রয়েছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা। হতে পারে জঙ্গিহানাও। সেসব আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েই শুক্রবার শুরু হয়ে গিয়েছিল অমরনাথ যাত্রা (Amaranth Yatra)। ওই দিন সবুজ পতাকা নেড়ে অমরনাথ যাত্রার সূচনা করেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা। শনিবার যাত্রার দ্বিতীয় দিনে অমরনাথের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ৪ হাজার ৪০০ পুণ্যার্থী। এদিন ভোরে গান্ডেরবাল জেলার বালতাল থেকে ওই দলটি রওনা দিয়েছে তুষার লিঙ্গ দর্শনের উদ্দেশ্যে।

    নজিরবিহীন নিরাপত্তা

    এবার যাত্রা চলবে ৬২ দিন ধরে। জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিংহ জানান, তীর্থযাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তার দিকে সতর্ক নজর রয়েছে প্রশাসনের। যাত্রা পথে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, কেন্দ্রীয় আধাসেনা ও সেনা। যাত্রাপথের বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালাচ্ছে ড্রোন ও বিশেষ প্রশিক্ষিত সারমেয় বাহিনী।

    প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি

    জঙ্গি হানার আশঙ্কার পাশাপাশি রয়েছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের (Amaranth Yatra) সম্ভাবনাও। গত বছর অমরনাথ গুহা লাগোয়া এলাকায় প্রবল বৃষ্টির জেরে আছড়ে পড়েছিল হড়পা বান। সেই বান এসে পড়েছিল বালতালের বেস ক্যাম্পেও। সেবার মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হয়েছিল হড়পা বান। মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থীর। এবারও ফের এমন ঘটনা ঘটলে, তার মোকাবিলা কীভাবে করা হবে, সেজন্য নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও।

    তিন হাজার আটশো অষ্টআশি মিটার উঁচুতে রয়েছে অমরনাথ গুহা। ফি বছর এই গুহায়ই প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয় তুষার লিঙ্গ। এই লিঙ্গকেই অমরনাথ শিব রূপে পুজো করেন পুণ্যার্থীরা। এদিন ভোরে পুণ্যার্থীদের (Amaranth Yatra) নিয়ে ১৮৮টি গাড়ির কনভয় রওনা দেয় বেস ক্যাম্পের দিকে। গত দু দিনে মোট ৭ হাজার ৯০৪জন রওনা দিয়েছেন তুষার লিঙ্গ দর্শনে।

    আরও পড়ুুন: বারে বারে হামলা, জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথকে

    জানা গিয়েছে, এ বছর ২৮ জুন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ পুণ্যার্থী অমরনাথ যাত্রার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এবারই প্রথম তাঁদের দেওয়া হয়েছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ। কেউ দুর্ঘটনার কবলে পড়লে কিংবা হারিয়ে গেলে এই ট্যাগের সাহায্যেই খুঁজে পাওয়া যাবে তাঁদের। অমরনাথ যাত্রায় অংশ নেওয়া তীর্থযাত্রীদের শুভ কামনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

      

     

  • Dakshin Dinajpur: ‘গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা’ আয়োজন করলেন বিজেপি বিধায়ক, উত্তেজনা বালুরঘাটে

    Dakshin Dinajpur: ‘গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা’ আয়োজন করলেন বিজেপি বিধায়ক, উত্তেজনা বালুরঘাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে গণতন্ত্র বিপন্ন, মৃত্যু হয়েছে সুস্থ গণতন্ত্রের, তাই তার পুনর্জন্ম কামনা করে ‘গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা’ করলেন বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। শনিবার সকালে বিজেপির শহর মন্ডল কমিটির ডাকে অশোক লাহিড়ীর নেতৃত্বে এই শ্মশান যাত্রার আয়োজন হয়। গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত।

    কী ঘটেছে ঘটনা (Dakshin Dinajpur)?   

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার বালুরঘাট বিজেপি পার্টি অফিস থেকে খিদিরপুর শ্মশান পর্যন্ত গণতন্ত্রের শব নিয়ে শ্মশান যাত্রা করল বিজেপি। বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী, প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি বিনয় বর্মন শহর মন্ডলের সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত সহ বিজেপি নেতৃত্বরা শনিবার গণতন্ত্রের শব নিয়ে শ্মশান যাত্রা হয়। দীর্ঘ প্রায় তিন কিমি পথ অতিক্রম করে খিদিরপুর শ্মশানে যায় গণতন্ত্রের শব মিছিল। অশোক লাহিড়ী নিজেই মৃতদেহ বহন করেন।

    কেন শ্মশান যাত্রা?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যজুড়ে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে। সেই মৃত্যু ঘটিয়েছে রাজ্য সরকার, মনোনয়ন জমা দেওয়ার থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভোটে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন প্রায় ২০ হাজার প্রার্থী। এটা সুস্থ গণতন্ত্রের লক্ষণ নয়, সেই কারণেই গণতন্ত্রের মৃতদেহ দাহ করে তার পুনর্জন্ম হোক, এই আশা প্রকাশ করলেন বিজেপি নেতা অশোক লাহিড়ী (Dakshin Dinajpur)।

    বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য?

    বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী (Dakshin Dinajpur) জানান, যেভাবে রাজ্যে খুন জখম বেড়ে চলেছে, নির্বাচন নিয়ে প্রতিটি বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ দিতে হচ্ছে, তাতে বোঝা যায় রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। সেকারণে এদিন গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, বালুরঘাটে আমরা দেখলাম গুটি কয়েক মানুষজন দলবল বেঁধে গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা করলেন। আমি বলবো পশ্চিমবঙ্গে কোনও গণতন্ত্র হত্যা হয়নি। গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে ২০১৪ সালে যখন ভারতবর্ষে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথের দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের হাতেই!

    Panchayat Election 2023: কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথের দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের হাতেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের গুঁতোয় কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) আনতে বাধ্য হয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা নিতান্তই কম। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) রাজ্যের প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা সম্ভব নয়। সেই কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও তাদের গতিবিধি সীমাবদ্ধ থাকবে এলাকা টহলদারির কাজের মধ্যেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথের নিরাপত্তা ও নজরদারির ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের ওপরই ভরসা রাখতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী

    আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। ভোট হবে এক দফায়। আদালতে ধাক্কা খেয়ে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পরে ফের আদালতের গুঁতোয় আরও আটশো কোম্পানি বাহিনী চেয়ে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন। তবে সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তাই সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা সম্ভব নয়।

    ভোটারদের আস্থা ফেরাতে

    কমিশনের সিদ্ধান্ত, ওই পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মোতায়েন করা হবে মূলত এরিয়া ডমিনেশন ও নাকা চেকিংয়ের কাজে। ভোটারদের আস্থা ফেরাতে, রাজ্য ও আন্তর্জাতিক সীমানার চেক পয়েন্ট ও প্যাট্রলিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হবে তাদের। মূলত যেসব এলাকা থেকে অশান্তির (Panchayat Election 2023) খবর এসেছে, সেই সব এলাকায় রুট মার্চ ও প্যাট্রলিংয়ের কাজ আরও বেশি করে করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গোটা জেলায় ভ্রাম্যমান বাহিনী হিসেবেও কাজ করবে ওই বাহিনী। তবে কমিশন সূত্রে খবর, এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনের দিনের জন্য নয়।

    আরও পড়ুুন: বারে বারে হামলা, জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথকে

    রাজ্যে বুথ রয়েছে ৬১ হাজার ৩৪০টি। তাই প্রতিটি বুথে গড়ে একজন করে জওয়ান মোতায়েন করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই বুথ (Panchayat Election 2023) সামলাবে রাজ্য পুলিশ। বুথের বাইরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়াও সার্ভিলেন্স টিম, কুইক রেসপন্স টিম, হেভি রেডিও ফ্লাইং ভেহিকেল স্কোয়াড রাখা হবে। এসবের দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে স্পর্শকাতর এলাকায় নজরদারি চালাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: প্রচার দূরের কথা এলাকায় ঢুকতেই পারছেন না বিজেপি প্রার্থী, কী বলছে তৃণমূল?

    North 24 Parganas: প্রচার দূরের কথা এলাকায় ঢুকতেই পারছেন না বিজেপি প্রার্থী, কী বলছে তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসতে (North 24 Parganas) বাম আমলে মুচলেকা দিয়ে বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। সেই যে ঘরছাড়া হয়েছিলেন তারপর ২২ বছর পরও ফিরতে পারেননি গ্রামের বাড়িতে। সন্ত্রাসের জেরে লাগাতার হুমকির মুখে পড়েতে হয়েছে তাঁকে। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে আজ বসবাস করতে হচ্ছে ভাড়া বাড়িতে। তাও পরিবার ছেড়ে শত যোজন দূরে! ঘরছাড়া হয়েও তিনি এবারের পঞ্চায়েত ভোটে গেরুয়া শিবিরের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা পরিষদ আসনে।

    কোথায় লড়াই করছেন (North 24 Parganas)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে দীপঙ্কর হালদার নামে ওই বিজেপি নেতা বারাসত (North 24 Parganas) জেলা পরিষদের ৩৮ নম্বর আসন থেকে লড়াই করছেন। আরও জানা যায়, একদা এই শাসনের বারাসত ২ নম্বর ব্লকের বেতাজ বাদশা ছিলেন মজিদ মাস্টার। তবে, বহু বাধা, বিপত্তি অতিক্রম করে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সন্ত্রাসের জেরে এখনও এলাকায় ঢুকতেই পারেননি এই বিজেপি প্রার্থী। প্রচার তো দুরের কথা! এলাকা ছাড়া হয়ে আছেন এই প্রার্থী। ফলে, এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরে সরগরম হয়ে উঠেছে শাসন অঞ্চল।

    জেলা বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি (North 24 Parganas) জেলা সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, এলাকায় ভোটের প্রচার করতে গেলে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দেয়। এই এলাকায় শাসক দলের সন্ত্রাস চলছে। বিজেপি প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার লাগাতে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি প্রার্থী এবং কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমিক দেওয়া হচ্ছে বলে বিশেষ অভিযোগ করেন বিজেপির এই জেলা সভাপতি। এই এলাকাকে বিরোধী শূন্য করে শাসক দল একতরফা জয়ী হতে চাইছে। সকল অভিযোগ পত্র নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে বলে জানান এই বিজেপি নেতা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    শাসক দলের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে (North 24 Parganas) জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থীর প্রচার করতে না পারার বিষয়ে জানতে চাহিলে সাংবাদিকদের উত্তরে তিনি বলেন, আমার কাছে এমন কোনও অভিযোগ নেই। তাছাড়া ওই এলাকা আমার বিধানসভার মধ্যে পড়ছে না, হাড়োয়া বিধানসভার মধ্যে পড়ছে। এখানে বিরোধী প্রার্থীদের প্রচারে আটকানোর কোনও ঘটনা ঘটছে না। ওই প্রার্থীর সমস্যা হলে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন বলে উল্লেখ করেন তৃণমূল শাসক দলের এই মন্ত্রী।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: বারে বারে হামলা, জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথকে

    Nisith Pramanik: বারে বারে হামলা, জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হয়েছিল হামলা। তার জেরে এবার নিশীথের নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হল। এতদিন জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেতেন নিশীথ। এখন থেকে তাঁকে দেওয়া হল জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা। দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য থাকে এসপিজির (SPG) নিরাপত্তা বলয়। দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা হল জেড প্লাস। এই নিরাপত্তাই দেওয়া হল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথকে। বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, “মন্ত্রীর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তাঁকে দেওয়া হয়েছে জেড প্লাস নিরাপত্তা।”

    একাধিকবার হামলা মন্ত্রীর ওপর

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নিশীথের (Nisith Pramanik) ওপর হামলা হয়েছে বারে বারে। মাস কয়েক আগে সিতাইয়ে যাওয়ার পথে কোচবিহারের সাংসদের কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনহাটার বুড়িরহাটেও হামলা চালানো হয়েছিল নিশীথের কনভয়ে। ওই দিন আক্রান্ত এক দলীয় কর্মীকে দেখতে যাওয়ার পথে হামলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কনভয়ে। সেদিন নিশীথের গাড়ির কাচ ভাঙা হয়েছিল। চালানো হয়েছিল গুলি। বোমাবাজির অভিযোগও উঠেছিল।

    মন্ত্রীর কনভয়ে তির

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্ক্রুটিনির দিনও ফের এক দফা হামলা হয় নিশীথের (Nisith Pramanik) কনভয়ে। সাহেবগঞ্জে তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে তির ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। নিশীথ বলেছিলেন, “পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিন্দনীয়। তির মারা হল, পর পর দুটো বোম চার্জ করা হল। প্রার্থীদের ওপর নির্মম অত্যাচার।” এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে নিশীথের নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন বলে রিপোর্ট দেন গোয়েন্দারা। তার পরেই জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় অমিত শাহের ডেপুটিকে।

    আরও পড়ুুন: কোচবিহারে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিশীথ প্রামাণিকের, কী কথা হল?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে কোচ রাজাদের ভূমি। অশান্তির ঘটনা ঘটছে আকছার। সম্প্রতি ৬ বার ঘটেছে গুলি চালানোর ঘটনা। নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, ততই চড়বে উত্তেজনার পারদ। সেই কারণেই নিশীথের (Nisith Pramanik) পাশাপাশি কোচবিহারের পাঁচ বিজেপি বিধায়কের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। এই পাঁচ বিধায়ক হলেন সুকুমার রায়, মালতি রাভা, নিখিল রঞ্জন দে, সুশীল বর্মন ও বরেনচন্দ্র বর্মন। এতদিন এঁদের সঙ্গে চারজন করে সিআইএসএফ জওয়ান থাকতেন। এখন থেকে থাকবেন পাঁচজন করে  সিআইএসএফ  জওয়ান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sundarban: সুন্দরবনে বাঘে মানুষের লড়াই, দুই মহিলার মারে রণে ভঙ্গ দিল বাঘ!

    Sundarban: সুন্দরবনে বাঘে মানুষের লড়াই, দুই মহিলার মারে রণে ভঙ্গ দিল বাঘ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দরবন (Sundarban) কলস জঙ্গলে মানুষ এবং বাঘের লড়াই, শেষ পর্যন্ত রণে ভঙ্গ দিল বাঘ, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে মৎস্যজীবী। এলাকায় বাঘ এবং মানুষের লড়াইতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    কী ঘটেছে ঘটনা (Sundarban)?

    স্বামী-স্ত্রী এবং মেয়ে নৌকায় করে কলস জঙ্গলে (South 24 Parganas) কাঁকড়া ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। পাথর প্রতিমার জি প্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের সত্যদাসপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এই মৎসজীবী পরিবার। সারাদিন কাঁকড়া ধরার পর বেলা চারটের দিকে কলস জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে ব্যস্ত ছিলেন তিন জনেই। হঠাৎ দক্ষিণ রায় স্বামী দীনু মল্লিকের ঘাড়ে দাঁত বসিয়ে থাবায় করে হিড় হিড় করে টানতে থাকে! দৃশ্য দেখে এবং দিনুবাবুর চিৎকারে মেয়ে এবং স্ত্রী ছুটে আসেন। এরপর হাতে থাকা শাবল নিয়ে বাঘের উপর মারতে থাকেন মেয়ে ও মা। আর বাঘে মানুষে লড়াই চলতে থাকে বেশ কিছুক্ষণ। স্ত্রী এবং মেয়ে লাঠি শাবল নিয়ে আঘাত করতে থাকেন বাঘকে। কোনও রকমে ছিটকে জলে পড়ে যান দিনু মল্লিক। আর জলে পড়েই কোন ক্রমে প্রাণটা বাঁচাতে সক্ষম হন দিনুবাবু, অন্যদিকে স্ত্রী মেয়ে স্বামীর জন্য জলে লাফিয়ে পড়ে স্বামীকে উদ্ধার করেন। অপর দিকে ততক্ষণে বাঘ জঙ্গলের দিকে পালতে শুরু করে দিয়েছে। সেই রক্তাক্ত স্বামীকে নিয়ে স্ত্রী-মেয়ে নৌকা চালিয়ে পাথরপ্রতিমা হাসপাতাল পৌঁছান। কিন্তু বাঘের আঘাতে দিনু রায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের (Sundarban) তরফ থেকে বলা হয়, আমাদের অভাবের সংসার, মাছ ও কাঁকড়া ধরে এবং বিক্রি করে আমাদের পরিবার চলে। পরিবারে একদিকে অভাব এবং জলে জঙ্গলে বাঘের ভয়কে নিয়েও আমাদের প্রত্যেক দিনের জীবন চলছে। পরিবারের তরফে আগেও বলা হয়, কলস জঙ্গলে আমরা মূলত কাঁকড়া ধরতে পরিবারের তিন জন গিয়েছিলাম। হঠাৎ বাঘের আক্রমণে আমরা ভীষণ ভাবে আতঙ্কিত হয়েছি। এছাড়াও মেয়ে বলেন, বাবাকে অনেক কষ্ট করে বাঘের সঙ্গে লড়াই করে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছি। বাবার ঘাড়ে এবং মাথায় ভীষণ ক্ষত হয়েছে। প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। ভগবানের অশেষ কৃপা যে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ফিরে আসতে পেড়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share