Tag: Bengali news

Bengali news

  • Yoga Day 2023: মন আর শরীরকে তরতাজা রাখতে হাতিয়ার হোক যোগাভ্যাস! 

    Yoga Day 2023: মন আর শরীরকে তরতাজা রাখতে হাতিয়ার হোক যোগাভ্যাস! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিয়ম মাফিক যোগাভ্যাস বদলে দিতে পারে অনেক কিছুই! প্রত্যেক দিন নির্দিষ্ট কিছু সময় যোগের জন্য বরাদ্দ করলে একাধিক সমস্যা কমবে। শরীরের পাশাপাশি মনকেও সুস্থ রাখে যোগাভ্যাস! আজ, ২১ জুন বিশ্ব যোগ দিবস। আর বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বছরের এই একদিন নয়। প্রত্যেক দিন সঙ্গী হোক যোগ (Yoga Day 2023)!

    কারা যোগাভ্যাস (Yoga Day 2023) করতে পারেন?

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যোগাভ্যাসের জন্য কোনও বয়সের সীমা নেই। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যে কেউ যোগ করতে পারেন। নিয়মিত যোগ করলে, তার উপকার হয় দীর্ঘপ্রসারী। তবে, শিশুকাল থেকে যোগাভ্যাসে অভ্যস্ত হলে, তা আরও ভালো। কম বয়স থেকে যোগ (Yoga Day 2023) শুরু করলে শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি বেশি থাকে। তাই শিশুদের যোগে অভ্যস্ত করার বিষয়ে বেশি জোর দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন কোন উপকার পাওয়া যায় (Yoga Day 2023)? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যোগাভ্যাসের একাধিক উপকার রয়েছে। শরীরের পক্ষে যেমন খুব ভালো, তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও এই অভ্যাস ইতিবাচক। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যোগ শরীরের বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। পাকস্থলী, লিভার, অন্ত্র সহ একাধিক অঙ্গ সক্রিয় রাখতে যোগাভ্যাস (Yoga Day 2023) খুব উপকারী। পাশাপাশি, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীর সচল থাকে। শরীরের সমস্ত অঙ্গের সক্রিয়তা বাড়ে। তাই পেশি মজবুত হয়। পেশির ব্যথা কমে। 
    যোগাভ্যাস করলে হাড়ের জন্যও উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত যোগাভ্যাস হাড়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। কারণ, শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়লেই পেশি ও হাড়ের সমস্যা কমতে থাকে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যোগ রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। তার ফলে, হৃদযন্ত্র সচল থাকে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে।

    মানসিক স্বাস্থ্যেরও বিকাশ ঘটে (Yoga Day 2023)

    যোগাভ্যাস শুধু শরীরের নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। নিয়মিত যোগ (Yoga Day 2023) মানসিক উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। কারণ, যোগাভ্যাসের জন্য মনঃসংযোগ করতে হয়। তাই মানসিক উদ্বেগ কমে। আর উদ্বেগ কমলে যেমন মানসিক স্বাস্থ্য বজায় থাকে, তেমনি রক্তচাপ সহ একাধিক রোগও নিয়ন্ত্রণে থাকে। 
    মানসিক অবসাদ ও চাপ কমানোর ক্ষেত্রেও যোগ খুব সাহায্য করে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস অবসাদ রুখতে সাহায্য করে। 
    শিশুদের মনঃসংযোগ বাড়াতে যোগাভ্যাস খুব উপকারী। তাই স্কুল পড়ুয়াদের নিয়মিত যোগাভ্যাসের জন্য সময় বরাদ্দ করার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। 
    পাশাপাশি, মহিলাদের ওভারির সমস্যা, পিসিওডি কিংবা অনিয়মিত ঋতুস্রাবের মতো সমস্যাও কমাতে সাহায্য করে যোগাভ্যাস। এতে মানসিক স্থিতি বাড়ে। তাই শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। তার জেরেই উপকার হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • International Yoga Day: ২১ জুন বিশ্ব যোগ দিবস, দিনটি সম্পর্কে জানেন?

    International Yoga Day: ২১ জুন বিশ্ব যোগ দিবস, দিনটি সম্পর্কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুন ‘ইন্টারন্যাশনাল যোগা ডে’ (International Yoga Day)। এবার নবম বর্ষে পড়ল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মার্যাদার সঙ্গে পালন করা হবে দিনটি। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের (UN) সদর দফতরেও পালিত হবে দিনটি। এবার ওই অনুষ্ঠানে দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও (PM Modi)। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত যোগা হবে সেখানে।

    যোগা কী?

    আগে জেনে নেওয়া যাক যোগা কী? যোগা হল একই সঙ্গে শরীর, মন এবং আধ্যাত্মিকতার যোগ। প্রাচীন ভারতে জন্ম যোগার। সংস্কৃতে ‘যোগা’ শব্দের অর্থ যোগ করা, একীভূত করা। দেহের সঙ্গে চৈতন্যকে একীভূত করাই হল যোগা। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৬৯ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে যোগার উপকারিতা সম্পর্কে বলেছিলেন মোদি। সেদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “যোগা হল আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যের এক অমূল্য ধারা। যোগা শরীর এবং মনের ঐক্য সাধন করে। চিন্তার সঙ্গে ঐক্য গড়ে তোলে কাজের। …শরীর এবং মন ভাল রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হল যোগা। এটা কেবল শরীর চর্চা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। যোগা একটা পথ, যে পথ নিজের সঙ্গে একাত্মবোধ গড়ে তোলে, ঐক্যবোধ গড়ে তোলে বিশ্ব এবং প্রকৃতির সঙ্গেও।”

    ‘বিশ্ব যোগা ডে’

    তার পরেই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘকে অনুরোধ করেন ২১ জুন দিনটিকে ‘বিশ্ব যোগা ডে’ (International Yoga Day) হিসেবে ঘোষণা করার। ২১ জুন দিনটিকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জানান, এদিন উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন, রাত ছোট। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সেই অনুরোধে সাড়া দেয় রাষ্ট্রসংঘ। তার পরের বছর থেকে ২১ জুন দিনটি পালিত হয়ে আসছে ‘ওয়ার্ল্ড যোগা ডে’ হিসেবে। নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে যে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনও ভাল থাকে, তামাম বিশ্বকে সেই বার্তা দিতেই আন্তর্জাতিক যোগা ডে পালনের সিদ্ধান্ত নেয় রাষ্ট্রসংঘ। যোগা ডে পালন সংক্রান্ত খসড়ায় স্বাক্ষর করেন বিশ্বের ১৭৭টি দেশের প্রতিনিধিরা।

    আরও পড়ুুন: তিনি না শাওনি, ঠিক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বিস্ফোরক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    দেশে প্রথমবার আন্তর্জাতিক যোগা ডে (International Yoga Day) পালনের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রের আয়ূষ মন্ত্রক। সেবার অংশ নিয়েছিলেন ৩৫ হাজার ৯৮৫ জন। এঁদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৮৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিও। দিল্লির রাজপথের ওই অনুষ্ঠানে ৩৫ মিনিটে তাঁরা ২১টি আসন করেছিলেন। এটাই হচ্ছে বিশ্বের সব চেয়ে বড় যোগার ক্লাস। নিয়মিত যোগাভ্যাসের গুরুত্ব স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তারাও সদস্য দেশগুলিকে অনুরোধ করেছে যোগা সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন করতে। কারণ নিয়মিত যোগাভ্যাসের ফলে দূরে রাখা যায় ক্যান্সার, ডায়বেটিস মায় হার্টের রোগকেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: আমি না শাওনি, ঠিক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বিস্ফোরক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    Murshidabad: আমি না শাওনি, ঠিক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বিস্ফোরক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরতপুরের (Murshidabad) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, তৃণমূল নেতা অশোক দাসকে পাশে বসিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী শাওনি সিংহরায়কে অপসারণ করতে হবে বলে দাবি তুললেন। শাওনির জায়গায় নিয়ামত শেখকে বসাতে হবে বলেও তাঁর দাবি। একধাপ এগিয়ে তিনি আরও বলেন, জেলার আরও এক নেতা অপূর্ব সরকারকেও সরাতে হবে। কার্যত তৃণমূলের এই বিধায়ক জেলার নিজের দলের বিরুদ্ধেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তাঁর গুরুত্বকে আরও একবার প্রমাণ করতে দলের বিরুদ্ধে এভাবেই বিস্ফোরক হলেন এই তৃণমূল বিধায়ক।

    কীভাবে ক্ষমতায় এল তৃণমূল?

    হুমায়ুন বলেন, এই জেলার (Murshidabad) রাজনৈতিক ইতিহাস দীর্ঘদিনের। অশোক দাসের মতো মানুষ ১৯৯৮ সাল থেকে দলের সদস্য। সেই সময় এই জেলায় তৃণমূলের ভোটের পরিমাণ ছিল ৪%। পরে অশোক দাসকে দলের সভাপতি করলে ভোটের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯%। সেই সময় তাঁকে জেলার ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট করা হয়েছিল। এরপর মোহম্মদ আলি যখন প্রেসিডেন্ট হন, তখন দলের ভোট ৯% থেকে ২৪% এ পৌঁছায়। যারা যোগ্য, যারা জিতেছে, তাদের মধ্যে কেউ দলের ক্ষমতায় নেই। কিন্তু যারা হেরেছে, তাদেরকেই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে! ঠিক এইভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান দলের বিধায়ক হুমায়ন কবীর।

    মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ

    হুমায়ুন কবীর ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যখন নন্দীগ্রামে হেরেছিলেন, আমরা ২১৩ জন বিধায়ক তখন মুখ্যমন্ত্রীকে দলনেত্রী হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছিলাম। রাজ্যপালের কাছে শপথ নেওয়ার সময় আমরা বিধায়করাই সই করেছিলাম। সেখানে শাওনি সিংহরায় সই করেনি! হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের সামনে আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাকে আগে প্রয়োজন! হুমায়ুন কবীরকে (Murshidabad) না শাওনি সিংহরায়কে? এটা মুখ্যমন্ত্রীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে! তাঁর এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্যে দলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: আমেরিকা উড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী, দেখা করবেন ইলন মাস্কের সঙ্গেও?

    PM Modi: আমেরিকা উড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী, দেখা করবেন ইলন মাস্কের সঙ্গেও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সকালে আমেরিকা উড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের আমন্ত্রণে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি সফরে তিনি সাক্ষাৎ করবেন টেসলা সিইও এবং ট্যুইটারের মালিক মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে।

    মোদি-মাস্ক সাক্ষাৎ

    ২০১৫ সালে ক্যালেফোর্নিয়ার টেসলা মোটরস কারখানা পরিদর্শনের সময় ইলন মাস্কের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সেই সময় ট্যুইটারের মালিক ছিলেন না মাস্ক। ভারতে কারখানা গড়ে তোলার জন্য জায়গা খুঁজছে টেসলা। এমন সময় ইলন মাস্কের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বই কি! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক জানিয়েছিলেন, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই টেসলা ভারতে কারখানা গড়ার জন্য জমি নির্বাচন চূড়ান্ত করে ফেলবে।

    কার কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মোদি?

    কেবল মাস্ক নন, এদিন নিউইয়র্কে পা রাখার পরেই প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সাক্ষাৎ করবেন দু ডজনেরও বেশি খ্যাতনামা ব্যক্তির সঙ্গে। এঁদের মধ্যে যেমন নোবেল পুরস্কার প্রাপক রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন গায়ক, শিক্ষাবিদ সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। জানা গিয়েছে, চলতি সফরে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করবেন লেখক ও জ্যোতির্পদার্থবিদ নীল ডিগ্র্যাস টাইসন, অর্থনীতিবিদ পল রোমার, পরিসংখ্যানবিদ নিকোলাস নাসিম তালেব, বিনিয়োগকারী রে ডালিও, ইন্দো-মার্কিন গায়ক ফালু শাহ, লেখক ও গবেষক জেফ স্মিথ, প্রাক্তন মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি মাইকেল ফ্রোম্যান, কূটনীতিক ড্যানিয়েল রাসেল এবং প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এলব্রিজ কোলবির সঙ্গে। নোবেলজয়ী চিকিৎসক পিটার অ্যাগ্রে, স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞ স্টিফেন ক্লাসকো এবং ইন্দো-মার্কিন ব্যবসায়ী ও শিল্পী চন্দ্রিকা ট্যান্ডনের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: “পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা দেশ মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী”! পশ্চিমবঙ্গ দিবসে তোপ শুভেন্দুর

    আমেরিকায় ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)। প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি বুধবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি। পরের দিন বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ভাষণ দেবেন মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে। ওই দিনই নৈশভোজ সারবেন বাইডেন ও তাঁর স্ত্রী জিল বাইডেনের সঙ্গে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। আমেরিকা সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী যাবেন মিশরে। সেখানেও যোগ দেবেন একাধিক কর্মসূচিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Election 2023: সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের! কমিশন, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দু-সুকান্তর

    Panchayat Election 2023: সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের! কমিশন, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দু-সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেখানেও মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। ধাক্কা খেয়েছে কমিশনও। দেশের শীর্ষ আদালতও বহাল রেখেছে হাইকোর্টের রায়। সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়কে স্বাগত জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    মঙ্গলবার বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ সাংগঠনিক জেলার দফতরে বসে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে। আর যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামছে, তাই বাহিনীর কমান্ডান্টদের ওপরেও যাতে রাজ্য সরকার তাদের বসিয়ে রাখতে না পারে। এটা কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের সুপারিশে হচ্ছে না, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। আমরা সেটা করাব। কারণ ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামটা হচ্ছে অমিত শাহ।”

    আক্রমণ কমিশনকে

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আইনজীবী মারফত যা খবর পেয়েছি, তাতে এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (Panchayat Election 2023) নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে আদালত। রাজ্য সরকারের কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আপত্তি থাকতে পারে, কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরোধিতার কারণ কী? তারা তো যত বেশি বাহিনী পাবে, তত নির্বিঘ্নে নির্বাচন করাতে পারবে। রাজ্য সরকার কোথা থেকে বাহিনী এনে দিল, তা দেখা তো তাদের কাজ নয়। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের কাজকর্মের ওপর নজর রাখব। দরকারে প্রতিদিন আদালতে লড়াই হবে।”

    এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল নিজে গোলমাল পাকিয়ে এখন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। নির্বাচন (Panchayat Election 2023) কমিশনার হিসেবে যে তিনজনের নাম জমা পড়েছিল, তা নিয়ে রাজ্যপাল সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। তা না করে তিনি নিজে থেকে রাজীব সিনহাকে নিয়োগ করেছেন। যার ফলে এতগুলো মানুষের প্রাণ গেল।”

    এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

    তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার যাওয়ার আগেই আমি জানিয়েছিলাম, রাজ্যের মুখ পুড়বে। যা এদিন চূড়ান্ত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের পরেই প্রথমে এক গালে চড় খেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এবার সুপ্রিম রায়ে দু গালেই চড় খেয়ে লাল হয়ে ফিরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    আরও পড়ুুন: “পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা দেশ মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী”! পশ্চিমবঙ্গ দিবসে তোপ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Paschimbanga Diwas: “পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা দেশ মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী”! পশ্চিমবঙ্গ দিবসে তোপ শুভেন্দুর

    Paschimbanga Diwas: “পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা দেশ মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী”! পশ্চিমবঙ্গ দিবসে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদায় রাজভবনে পালিত হল পশ্চিমবঙ্গ দিবস (Paschimbanga Diwas)। মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি উড়িয়েই রাজ্যপালের উপস্থিতিতে পালিত হয় দিনটি। পশ্চিমবঙ্গ দিবস উপলক্ষে এদিন রেড রোডে মিছিল করেন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।”

    শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী

    রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনে আপত্তি জানানোয় এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা দেশ হিসেবে মনে করেন। তাঁর হাতে যদি ক্ষমতা থাকত তাহলে পশ্চিমবঙ্গের জন্য আলাদা সংবিধান বানাতেন। ইতিহাসকে বিকৃত করা যায় না। অপ্রাসঙ্গিক করা যায় না। তাই আজকের দিন পশ্চিমবঙ্গ দিবস (Paschimbanga Diwas) পালনের মধ্যে দিয়ে ভারতভুক্তি নিশ্চিত হয়েছিল।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, মহাত্মা গান্ধী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, মা সারদা কাউকে ক্রেডিট দিতে রাজি নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানচন্দ্র রায়ের সৃষ্টিকেও অস্বীকার করেন। স্বাভাবিকভাবে আজকের ২০ জুন দিনটিতে পশ্চিমবঙ্গ ভারতে থাকবে, নাকি পূর্ব পাকিস্তানে থাকবে, তা যে ঠিক হয়েছিল, সেটিকেও অস্বীকার করছেন। এর মাধ্যমে রাজ্যের অস্তিত্বও অস্বীকার করছেন উনি।”

    বামপন্থীদের ভূমিকা 

    শুভেন্দু বলেন, “সেই সময় বামপন্থীরাও বাংলার ভারতভুক্তির পক্ষে সমর্থন দিয়েছিলেন। ভোট দিয়েছিলেন জ্যোতি বসু। ইতিহাস বিকৃত বা অপ্রাসঙ্গিক করা যায় না। আমরা অকৃতজ্ঞও নই। দিনটির গুরুত্ব আগামী প্রজন্মকে জানানোর দায়িত্ব আমাদের রয়েছে।” ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা লাভ করে ভারত। যদিও সলতে পাকানো হচ্ছিল ঢের আগে থেকেই। ওই বছর ২০ জুন বৈঠকের আয়োজন করে বঙ্গীয় আইন পরিষদ। বাংলা পাকিস্তানের সঙ্গে থাকবে নাকি ভারতের সঙ্গে থাকবে, তা নিয়েই আলোচনা হয়। দীর্ঘ আলোচনার পর বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করার ও পশ্চিমবঙ্গের ভিত্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই থেকেই দিনটি পালিত হয় পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে (Paschimbanga Diwas)।

    আরও পড়ুুন: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    বিজেপির দাবি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই ২০ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে সিলমোহর পড়ে। সে দিন শ্যামাপ্রসাদপন্থী ৫৪ জন বিধায়কের প্রবল দাবির জেরেই পশ্চিমবঙ্গ স্বীকৃতি পেয়েছিল। জন্ম হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও পশ্চিমবঙ্গ দিবস (Paschimbanga Diwas) পালনের দাবি জানিয়েছিলেন বিধানসভায়। তাঁর সেই দাবিকে অবশ্য মান্যতা দেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     
     
  • Paschimbanga Diwas: মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি উড়িয়ে রাজভবনে পালিত হল পশ্চিমবঙ্গ দিবস, জানেন দিনটির গুরুত্ব?

    Paschimbanga Diwas: মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি উড়িয়ে রাজভবনে পালিত হল পশ্চিমবঙ্গ দিবস, জানেন দিনটির গুরুত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপত্তি জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস (Paschimbanga Diwas) পালনের সিদ্ধান্তে তিনি যে মর্মাহত, চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন তাও। সেসব উপেক্ষা করেই ২০ জুন, মঙ্গলবার রাজভবনে পালিত হল পশ্চিমবঙ্গ দিবস। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উপস্থিতিতে এনসিসির প্রতিনিধিরা প্যারেড করে সূচনা করেন অনুষ্ঠানের। পশ্চিমবঙ্গ দিবস উপলক্ষে এদিন বসে আঁকো সহ নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল স্কুল পড়ুয়ারা।

    পশ্চিমবঙ্গ দিবসে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বার্তা

    পশ্চিমবঙ্গ দিবস উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর বার্তা, “পশ্চিমবঙ্গ শিল্প, সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, অর্থনীতি, খেলাধূলা এবং অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের সমন্বয়ে ভারতের অনন্য গল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। …পশ্চিমবঙ্গের প্রতিভাবান ব্যক্তিরা আমাদের জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রেখে উদ্ভাবন এবং অর্থনৈতিক প্রাণবন্ততার আর একটি তরঙ্গ আনতে পারে। আমি পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে আমার শুভেচ্ছা জানাই এবং সাফল্য কামনা করি।” আনন্দ বোসের আগে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল ছিলেন জগদীপ ধনখড়। তাঁর আমলেও মর্যাদা সহকারে পালিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ দিবস (Paschimbanga Diwas)। সেই রীতি মেনে এবারও পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করলেন আনন্দ বোস।

    পশ্চিমবঙ্গের জন্ম

    ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা লাভ করে ভারত। যদিও সলতে পাকানো হচ্ছিল ঢের আগে থেকেই। ওই বছর ২০ জুন বৈঠকের আয়োজন করে বঙ্গীয় আইন পরিষদ। বাংলা পাকিস্তানের সঙ্গে থাকবে নাকি ভারতের সঙ্গে থাকবে, তা নিয়েই আলোচনা হয়। দীর্ঘ আলোচনার পর বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করার ও পশ্চিমবঙ্গের ভিত্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই থেকেই দিনটি পালিত হয় পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে।বিজেপির দাবি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই ২০ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে সিলমোহর পড়ে। সে দিন শ্যামাপ্রসাদপন্থী ৫৪ জন বিধায়কের প্রবল দাবির জেরেই পশ্চিমবঙ্গ স্বীকৃতি পেয়েছিল। জন্ম হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের।

    আরও পড়ুুন: “দুষ্কৃতীরা ওয়াররুম খুলেছে, তাই রাজভবনে পিস রুম”, কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও পশ্চিমবঙ্গ দিবস (Paschimbanga Diwas) পালনের দাবি জানিয়েছিলেন বিধানসভায়। তাঁর সেই দাবিকে অবশ্য মান্যতা দেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টির পিছনে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, মেঘনাদ সাহা, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতো বহু বরেণ্য মানুষ ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করে আমরা যে নিজেদের ভারতবাসী বলে পরিচয় দিতে পারছি, তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল ২০ জুন। এই দিনটি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Panchayat Election 2023: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Panchayat Election 2023: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের পর এবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও ধাক্কা খেতে হল রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) রাজ্যের সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে যে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তাতে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করতে রাজি হল না শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিভি নাগরত্না এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘ভোটে কোনও ধরনের অশান্তি কাম্য নয়। অতীতে বাংলায় ভোটের সময় হিংসা দেখা গিয়েছে। এই অবস্থায় হাইকোর্ট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েছিল। সেই রায়তে কোনও সমস্যা নেই।’’

    শুনানি-পর্বে কী হল?

    পঞ্চায়েতের মনোনয়ন-পর্বকে (Panchayat Election 2023) ঘিরে রাজ্যে যে সীমাহীন হিংসা ও রক্তক্ষয় হয়েছে, তা বিচার করে গত সপ্তাহেই সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে অবাধ ও স্বচ্ছ ভোটের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিভি নাগরত্না এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দেয়, হাইকোর্টের রায়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত।

    আরও পড়ুন: “দুষ্কৃতীরা ওয়াররুম খুলেছে, তাই রাজভবনে পিস রুম”, কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে কমিশন

    বাহিনী মোতায়েন নিয়ে মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন বিচারপতি নাগরত্না রাজ্যের আইনজীবীকে বলেন, ‘‘এমনিতে আপনারা পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) জন্য পাঁচ রাজ্যের থেকে পুলিশ চেয়েছেন। এদিকে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হলে তার খরচ কেন্দ্রই বহন করবে। তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়?’’ 

    আবার, রাজ্য কমিশনের (Panchayat Election 2023) আইনজীবী দাবি করেন, ‘‘রাজ্যের পুলিশ যথেষ্ট দক্ষ। তবে সংখ্যায় পুলিশকর্মী কম থাকায় অন্য রাজ্য থেকে বাহিনী চাওয়া হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মনোনয়ন পর্বে কমিশন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। মনোনয়ন কেন্দ্রের ১ কিমি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল।’’ কমিশনের যুক্তি, ‘‘আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এই আবহে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হলে পরিকল্পনা বদল করতে হবে। তাছাড়া, নিরাপত্তার বিষয়টি রাজ্য দেখে। এখানে কমিশনকে সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।’’

    একথা শোনার পর বিচারপতি বলেন, ‘‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা আপনাদের উপর নয় যখন, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চিন্তিত কেন? আপনারা আপনাদের কাজ করুন। যেখান থেকেই বাহিনী আসুক, আপনাদের অসুবিধা কোথায়?’’ এই প্রেক্ষিতে এদিন সুপ্রিম কোর্টের কড়া মন্তব্যের মুখে পড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘নির্বাচন করানো মানে হিংসার লাইসেন্স দেওয়া নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Election: টিকিট না পেয়ে নির্দল, মান ভাঙাতে প্রার্থীদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে তৃণমূল নেতৃত্ব!

    Panchayat Election: টিকিট না পেয়ে নির্দল, মান ভাঙাতে প্রার্থীদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে তৃণমূল নেতৃত্ব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে যাঁদের টিকিট দেওয়া হয়নি, তাঁরাই এখন ডাবগ্রাম ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। টিকিট না পাওয়া দলের বিক্ষুব্ধ যে আটজন নেতা-কর্মী নির্দল প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) প্রত্যাহার করানোর জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। হুমকিতে কাজ না হওয়ায় এখন তাঁদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে অনুনয় বিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন দলের নেতারা।  

    ‘অযোগ্যদের’ নিয়ে কেন এত চিন্তা তৃণমূলের (Panchayat Election)? 

    এ নিয়ে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান তৃণমূলের এবারেরও প্রার্থী সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাকযুদ্ধ চরমে উঠেছে বিদায়ী উপ প্রধান নির্মল বর্মনের। নির্মলবাবু এই অঞ্চলে তৃণমূলের দীর্ঘদিনের কর্মী। বাম আমলে তিনিই এই অঞ্চলে তৃণমূলের প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি এখানকার পঞ্চায়েত সদস্য। দল এবার তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় তিনি নির্দল প্রার্থী হয়ে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। নির্মলবাবু বলেন, আমরা তো অযোগ্য, গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাহলে আমাদের নির্দল প্রার্থী থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য কেন দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে তৃণমূল নেতৃত্ব? একটু থেমে হুঙ্কার দিয়ে তিনি বলেন, কোনও চাপ আমাদের মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) প্রত্যাহার করাতে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধায় এলেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবো না। এতদিন দেদার টাকা চুরি করেছে। এলাকার মানুষের জন্য কোনও কাজ করেনি। ভোটের প্রচারে গিয়ে তৃণমূল নেতা ও প্রার্থীরা বুঝতে পারছেন, মানুষ তাঁদের গ্রহণ করছেন না। টাকার বিনিময়ে যাঁদের প্রার্থী করা হয়েছে, মানুষের কাছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। তাই এখন তৃণমূল নেতৃত্ব পাগল হয়ে গিয়েছে। 

    চাপে পড়ে কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (Panchayat Election)?

    বিদায়ী প্রধান তথা তৃণমূলের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নির্মল বর্মন এখন দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছেন, তা তিনি তৃণমূলের টিকিটে জিতে ক্ষমতায় থাকতে করেননি কেন? নির্মল বর্মন কেমন, সেটা এলাকার মানুষ ভালোমতোই জানেন। তবু দলের থেকে যাঁরা নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে গিয়ে বোঝাচ্ছি মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) প্রত্যাহার করার জন্য। যাতে পরে কেউ না বলতে পারে, দলের থেকে তাঁদের ভুল ধরিয়ে দেওয়া হয়নি, অভিমান ভাঙার সুযোগ পাননি তাঁরা। তারপরেও কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে দল ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু গোষ্ঠী কোন্দলের পাশাপাশি এই গ্রাম পঞ্চায়েতে পানীয় জলের অসহনীয় সঙ্কট ও বেহাল রাস্তা তৃণমূলকে এবার এখানে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Tarapith: মা তারাও রথে চড়ে নগর ভ্রমণ করেন! জানেন এর প্রচলন কবে হয়েছিল?

    Tarapith: মা তারাও রথে চড়ে নগর ভ্রমণ করেন! জানেন এর প্রচলন কবে হয়েছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারাপীঠের (Tarapith) মা তারা দশ মহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। সাধক বামাখ্যাপার সাধনভূমি সারা বছরই গমগম করে ভক্তদের ভিড়ে। ভক্তদের বিশ্বাস, মা তারা তাঁদের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। সারা বছরে বিশেষ কিছু পবিত্র তিথিতে তারাপীঠে ধুমধাম করে অনুষ্ঠান হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রথযাত্রা। কথিত আছে, বামাখ্যাপার সময় থেকেই রথযাত্রার দিন মা তারা রথে চড়ে পথে পা বাড়ান। আবার অনেকে মনে করেন, তারাপীঠের দ্বিতীয় সাধক আনন্দনাথের সময় থেকে মায়ের এই নগর ভ্রমণ শুরু। সেই সময়ে মায়ের রথ তৈরি হয়েছিল পিতলে। এখনও সেই রথেই ওঠেন মা তারা। ভক্তরা টানেন মায়ের রথের দড়ি।

    রথের দিন কী কী হয় তারাপীঠে (Tarapith)?

    ফি বছর পিতলের রথকে পালিশ করে সাজানো হয়। রথের দিন দুপুরে অন্নভোগ দেওয়ার পরে মায়ের রথ বের হয় বিকাল ৩ টে নাগাদ। রথের সঙ্গে চলতে থাকে নামগান। ভক্তরা আনন্দে মেতে ওঠেন। ফলমূল সহযোগে নৈবেদ্য সাজান গৃহস্থরা। শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে চারদিক। রীতি অনুযায়ী, উত্তরমুখে যাত্রা শুরু করে দ্বারকা সেতু পেরিয়ে রামপুরহাট-সাঁইথিয়া রোড ধরে তিনমাথা মোড়ে পৌঁছয় মায়ের রথ। ওখান থেকে একই পথ ধরে মন্দিরে ফেরেন মা। রথ থেকে সেবায়েতরা মায়ের প্রসাদ বাতাসা ও পেঁড়া লুট দিতে থাকেন। এ এক অসামান্য দৃশ্য। ভক্তের ঢল নামে পথেঘাটে। রথের রশি স্পর্শ করলেই কেটে যাবে সব বিপদ, এমনই বিশ্বাস ভক্তদের। ‘জয় মা তারা’ ধ্বনি তুলে ভক্তরা প্রার্থনা করেন।

    কীভাবে প্রচলন তারা মায়ের রথযাত্রার?

    তারা মায়ের রথের কবে থেকে প্রচলন, তা নিয়ে অবশ্য ভিন্ন মত রয়েছে। একটি মহল বলে, বামাখ্যাপার আমল থেকেই রথযাত্রার শুরু। তাঁদের মতে, সাধক বামাখ্যাপার আমলেই তারা মাকে রথে বসিয়ে, জগন্নাথ রূপে বিশেষ পুজো-অর্চনার আয়োজন করা হয়। আবার অন্য একটি মহলের মতে, প্রখ্যাত সাধক দ্বিতীয় আনন্দনাথ এই রথযাত্রার প্রচলন করেছিলেন। এক্ষেত্রে তাঁরা তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েত প্রবোধ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখ করেন। সেখানেই রথযাত্রার সঙ্গে দ্বিতীয় আনন্দনাথের নাম জড়িয়ে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share