Tag: Bengali news

Bengali news

  • Panchayat Election: সোনামুখীতে মনোনয়নে বাধা! রক্ত ঝরল বিজেপি নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Election: সোনামুখীতে মনোনয়নে বাধা! রক্ত ঝরল বিজেপি নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শুরু থেকেই রাজ্যজুড়ে বিজেপি প্রার্থীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলীদের তাণ্ডবে বহু জায়াগায় বিজেপি মনোনয়নপত্র জমা করতে পারেনি। সোমবার মনোনয়নপত্র জমা করতে গিয়ে বিজেপি নেতারা আক্রান্ত হলেন। এদিন ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকে। দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। সোনামুখী গ্রামীণ মণ্ডল-২ এর সম্পাদক দেবশঙ্কর ঘোষকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    এদিন সকালে বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামির নেতৃত্বে দলীয় প্রার্থীরা ব্লক অফিসে জমায়েত হন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য প্রশাসনের নির্দেশ মেনে তাঁরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সকাল থেকে সমস্যা না হলেও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শুরু হতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিডিও অফিসের সামনে ব্যাপক জমায়েত করা হয়। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিজেপি বিধায়ক সহ বিজেপি নেতাদের উপর বেধড়ক হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতা দেবশঙ্করবাবুর সহ কয়েকজন কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের সামনে আক্রান্ত হন বিজেপি বিধায়ক। বিজেপি প্রার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। আক্রান্ত বিধায়ক দিবাকর ঘরামি সোনামুখী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা করান। বাকি আহতদেরও চিকিৎসা করা হয়।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি বিধায়ক দিবাকরবাবু বলেন, এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য দলীয় প্রার্থীদের প্রচুর ভিড় ছিল। প্রার্থীদের উৎসাহ দেখে খুব ভাল লাগছিল। আচমকা তৃণমূলের ছেলেরা এসে হামলা চালাতে শুরু করে। তৃণমূলের নেতারা আমাদের উপর চড়াও হয়েছে। পুলিশের সামনে আমি আক্রান্ত হই। দলীয় নেতা দেবশঙ্করকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। আসলে ওরা সন্ত্রাস করে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। ভয় উপেক্ষা করেই দলীয় প্রার্থীরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন জমা করবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল শিবির। ধানশিমলার প্রধান তথা তৃণমূল নেতা ইউসুফ মণ্ডল বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বিজেপি নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করেই মাথা ফাটিয়েছে। নিজেদের কোন্দল ঢাকতে আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WB BJP: ‘দিদিকে বলো’-র ফোন নম্বরেই কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’! কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি

    WB BJP: ‘দিদিকে বলো’-র ফোন নম্বরেই কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’! কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে প্রশান্ত কিশোরের আই প্যাক সংস্থা এরাজ্যে শুরু করেছিল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। সরাসরি তৃণমূল নেত্রীকে অভাব অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা ছিল ওই কর্মসূচিতে। সামনে রাখা হয় একটি ফোন নম্বর ৯১৩৭০৯১৩৭০। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দোরগোড়ায় আবার চালু হয়েছে একটি সরকারি কর্মসূচি, যার পোশাকি নাম ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’। এখানেও একইভাবে নাগরিকরা অভিযোগ জানাতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বিতর্ক দানা বেঁধেছে কর্মসূচিতে ব্যবহৃত ফোন নম্বর নিয়ে। এখানেও দিদিকে বলো কর্মসূচির নম্বর ৯১৩৭০৯১৩৭০ ব্যবহার করা হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির ফোন নম্বর কীভাবে সরকারি কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। বিজেপির (WB BJP) দাবি, কেন্দ্র সরকার গত ১ মে, ১৮১ এই ফোন নম্বর রাখার প্রস্তাব দিলেও তা মানেনি নবান্ন। এহেন কর্মসূচি বন্ধের জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জিও জানাতে চলেছে বিজেপি, এমনটাই জানা গিয়েছে গেরুয়া শিবির সূত্রে।

    কী বলছে বিজেপি (WB BJP) নেতৃত্ব?

    রবিববারই এনিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। জগন্নাথের কথায়, ‘‘কেন্দ্রের পরামর্শ ১৮১ নম্বর থাকলেও, দিদিকে বলো কর্মসূচির নম্বর জোরপূর্বক ব্যবহার করে তৃণমূল সরকার।’’ বিপুল টাকা এই প্রকল্পে খরচ হচ্ছে কিনা তা জানতে চেয়ে জগন্নাথের প্রশ্ন, ‘‘এই প্রকল্পে কি ১৬০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে?’’  কেন এই প্রকল্প কোনও সরকারি অফিসের বদলে সেক্টর ফাইভে চলছে এমন প্রশ্নও তোলেন জগন্নাথ। পর্দার আড়ালে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প যে আই প্যাক চালাচ্ছে, তা নিয়েও নাম না করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানান বিজেপি নেতা।

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    শুক্রবারই এনিয়ে ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট-বার্তায় তাঁর প্রশ্ন, একটি রাজনৈতিক দলের কাজে ব্যবহৃত ফোন নম্বর কীভাবে সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয়?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার কোনও ভাবনা ভারতের নেই”, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার কোনও ভাবনা ভারতের নেই”, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাটোয় (NATO) যোগ দেওয়ার কোনও ভাবনা ভারতের (India) নেই। সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি জানান, পশ্চিমি বিশ্বের ওই জোটে যোগ দিলে ভারতের খুব একটা উপকার হবে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গঠিত হয় নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন। পথ চলা শুরু হয় ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল। সদস্য দেশগুলিতে শান্তি রক্ষাই ন্যাটোর উদ্দেশ্য।

    ন্যাটোর সদস্য

    ন্যাটোয় এখনও পর্যন্ত ৩১টি দেশ যুক্ত হয়েছে। এই দেশগুলির মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি এবং ইটালির মতো দেশ। তবে ন্যাটোয় নেই ভারত। যদিও চলতি বছর এপ্রিলেই নর্থ আটলান্টিক মিলিটারি অ্যালায়েন্সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি জুলিয়ানে স্মিথ এক বার্তায় বলেছিলেন, ভারতের সংযুক্ত হওয়ার জন্য ন্যাটোর দরজা খোলা রয়েছে। ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্ত হতে ভারত কতটা আগ্রহী, সেটাও জানতে চেয়েছিল ওয়াশিংটন। আমেরিকা চাইলেও, ভারত এ ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি।

    ন্যাটো (NATO) নিয়ে ভারতের অবস্থান

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) তো জানিয়েই দিলেন, ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার কোনও ভাবনা ভারতের নেই। অথচ ভারত সহ আরও ৬টি দেশকে ন্যাটো প্লাসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এই দেশগুলি হল, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড, ইজরায়েল এবং দক্ষিণ কোরিয়া। বিশ্ব নিরাপত্তা শক্তপোক্ত করতেই ন্যাটের শক্তি বাড়ানো প্রয়োজন বলেই মনে করেছিলেন ন্যাটোর কর্তাব্যক্তিরা।

    আরও পড়ুুন: ঠাকুরনগরে তুমুল বিক্ষোভ মতুয়াদের, অভিষেককে গো-ব্যাক স্লোগান

    তবে ভারত যে ন্যাটোয় যোগ দেবেই না, তা জানাই ছিল। কারণ আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানোর পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে থাকা পুরানো সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইছে না ভারত (S Jaishankar)। বিশ্ব রাজনীতিতে ভারত বরাবরই ভারসাম্যের নীতি নিয়েছে। ন্যাটোয় যোগ দিলে রাশিয়ার বিরাগভাজন হতে হবে ভারতকে। তাই ন্যাটোয় যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছে নয়াদিল্লি।

    যদিও আমেরিকা বিশ্বাস করে চিনকে ঠেকানো এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারতের ন্যাটোয় যোগ দেওয়া প্রয়োজন। তবে ভারত যে চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে সক্ষম, তা জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তাই ন্যাটোয় যোগ দিচ্ছে না ভারত।

    এখন দেখার, ভারত-মার্কিন সম্পর্কের জল কোনদিকে গড়ায়!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • BJP: বাইক থেকে নামিয়ে বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মেরে হাত ভেঙে দিল তৃণমূল

    BJP: বাইক থেকে নামিয়ে বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মেরে হাত ভেঙে দিল তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন  জমা দেওয়া শুরু হতেই আউশগ্রামের জঙ্গল মহলে রাজনৈতিক আবহাওয়া উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। আউশগ্রামের বিজেপি (BJP) নেতা চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মেরে তাঁর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে অভিযোগ বিজেপির। ঘটনায় নাম জড়ায় আউশগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি ইমদাদুল শেখের।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) নেতা?

    আউশগ্রামের বাসিন্দা চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির আউশগ্রাম বিধানসভার আহ্বায়কের পদে রয়েছেন। তিনি বলেন, রবিবার বিকেলে বংশধর গোপ নামে এক দলীয় কর্মীর সঙ্গে মোটর বাইকে করে আমি আউশগ্রাম বাসস্ট্যাণ্ডের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন আমাদের রাস্তায় আটকে বাইক থেকে ফেলে ইমদাদুল শেখের নেতৃত্বে ৭-৮ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করে। পঞ্চায়েত ভোটে আউশগ্রামে বিজেপির (BJP) প্রার্থীদের মনোনয়নে আমি তদারকি করছিলাম। সেকারণেই পরিকল্পিতভাবে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। পঞ্চায়েতের আগে তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসী গিয়ে ওই বিজেপিকে নেতাকে উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে আউশগ্রাম থানা। থানায় খবর গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর চন্দ্রনাথবাবু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য  বননবগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও এই ঘটনার পর পর পুলিশ ভুলু বাগদি এবং নজরুল খান নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, এই মারধরের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোন যোগ নাই। পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। সুতরাং প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়েছে। তৃণমূল কেন আক্রমণ করতে যাবে? বরং, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election : নজিরবিহীন! পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগ কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের

    Panchayat Election : নজিরবিহীন! পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগ কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বারবার। ভোট পরবতী হিংসা থেকে হাল আমলে ময়নায় বিজেপি কর্মীর খুন — সর্বত্র ছুটে গিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা। এই প্রেক্ষাপটে এবার রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) ডিজি (ইনভেস্টিগেশন)-কে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায়, স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল বুথগুলিতে নজরদারি চালাবেন এই পর্যবেক্ষক।

    রাজনৈতিক সন্ত্রাসে লঙ্ঘিত মানবাধিকার

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই জেলায় জেলায় অশান্তির ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠে এসেছে। ইতিমধ্যে এক বিরোধী কর্মীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। জানা গিয়েছে বিধানসভা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস এবং ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা দেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। রাজনৈতিক হিংসায় ঘর ছাড়া থেকেছেন ১ লক্ষ বিজেপি কর্মী, তাঁদের অনেকে এখনও বাড়ি ফিরতে পারেননি। দিন কাটাচ্ছেন বিজেপি পার্টি অফিসে। বিজেপি কর্মীদের হত্যার রাজনীতি এখনও চলছে। উত্তরে কালিয়াগঞ্জ বা দিনহাটা থেকে দক্ষিণের ময়না – শাসকের সন্ত্রাস অব্যাহত। পশ্চিমবঙ্গের এই বিশেষ পরিস্থিতি দেখেই কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে তথ্য তলব

    জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্যে বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার, দু’পক্ষকেই জানিয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও আলাদাভাবে জানানো হয়েছে। এদিন যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি এসেছে তাতে বলা হয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখে রাজ্যের পরিস্থিতি একেবারে সরেজমিন দেখতে চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সে কারণেই আসছেন ডিজি। কোন কোন জেলা স্পর্শকাতর, সে সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে। ইতিমধ্যে যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, সে সম্পর্কেও বিশদ জানতে চাওয়া হতে পারে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) কোনও রক্তক্ষরণ হতে দিতে চায় না কমিশন।

    আরও পড়ুুন: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দিল্লিতে ন্যাশনাল ট্রেনিং কনক্লেভের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: দিল্লিতে ন্যাশনাল ট্রেনিং কনক্লেভের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রথম ন্যাশনাল ট্রেনিং কনক্লেভের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার দিল্লির প্রগতি ময়দানের ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে ওই কনক্লেভের উদ্বোধন করা হয়। দেশের সমস্ত সিভিল সার্ভিস ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এদিনের কনক্লেভে। কনক্লেভের মূল লক্ষ্য ছিল, দেশের বিভিন্ন সিভিল সার্ভিস ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা। ওই প্রতিষ্ঠানগুলির পরিকাঠামো শক্তিশালী করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

    কনক্লেভে যাঁরা ছিলেন

    এদিনের কনক্লেভে ট্রেনিং প্রতিষ্ঠানগুলির দেড় হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন সেন্ট্রাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটস, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রেনিং ইন্সটিটিউটস, রিজিওনাল ও জোনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এবং রিসার্চ ইন্সটিটিউটসের প্রতিনিধিরাও। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের সিভিল সার্ভিস আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন এদিনের কনক্লেভে। যোগ দিয়েছিলেন বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার বিশেষজ্ঞরাও।

    মত বিনিময়

    সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে (PM Modi) বলা হয়েছে, এই যে বিভিন্ন দফতরের লোকজন ছিলেন, তাঁদের মধ্যে মত বিনিময় হয়েছে। বর্তমানে কোন কোন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে, সুযোগই বা কী কী রয়েছে, সমস্যার সমাধানই বা কীভাবে করা যায়, দক্ষতা বাড়ানোর জন্যই বা কী কী করা যেতে পারে, এসব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কনক্লেভে আটটি প্যানেল ডিসকাসন হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘মমতা চাইছেন গন্ডগোল হোক, সেই ফাঁকে তাঁরা জিতে যাবেন’, দাবি দিলীপের

    সবগুলিই সিভিল সার্ভিস ট্রেনিং ইন্সটিটিউট সংক্রান্ত। কীভাবে ফ্যাকাল্টি উন্নত করা যায়, ট্রেনিং ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট করা যায়, কনটেন্ট ডিজিটাইজেশন করা যায়, এসব বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শাসন পদ্ধতি ও পলিশি উন্নয়নের ওপর জোর দেন। প্রসঙ্গত, যাঁরা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় (PM Modi) পাশ করে কাজে যোগ দেন, প্রথমে তাঁদের পাঠানো হয় ট্রেনিংয়ে। সেখানের পাঠ শেষ হলে নিয়োগ করা হয় তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: নামল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিমান, অন্ধকারে ডুবে চেন্নাই, চাপানউতোর

    Amit Shah: নামল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিমান, অন্ধকারে ডুবে চেন্নাই, চাপানউতোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাত ৯.২০। চেন্নাই (Chennai)  বিমানবন্দরে নামলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। নিকষ কালো অন্ধকারে তখন ডুবে বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকা। শহরের বিস্তীর্ণ এলাকাও তখন অন্ধকারে ডুবে। তমশার বুক চিরেই শহরের উদ্দেশে ছুটল শাহের কনভয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকের সঙ্গে চাপানউতোর বিজেপির।

    বিজেপির অভিযোগ

    পদ্ম নেতৃত্বের অভিযোগ, শাহের মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গলদ ছিল। ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। তামিলনাড়ুর বিজেপির সহ সভাপতি কারু নাগারাজন বলেন, “একজন গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আমাদের দলের নেতা বিমানবন্দরে নামার সময় কীভাবে বিদ্যুৎ চলে যেতে পারে? এর তদন্ত হওয়া উচিত।”

    ডিএমকের দাবি

    বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ডিএমকের দাবি, তীব্র (Amit Shah) গরমের কারণে বিদ্যুতের বিপুল চাহিদা রয়েছে। পাওয়ার গ্রিডগুলোর ওপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে কোনও অভিসন্ধি বা চক্রান্ত ছিল না বলেই দাবি শাসক দলের। ডিএমকের মুখপাত্র টিকেএস এলানগোভান বলেন, “অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন বিদ্যুতের চাহিদা বেশি। তাই মাঝেমধ্যেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। বিজেপি চাইলে এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দিতে পারে। এটা নিয়ে ওরা অহেতুক রাজনীতি করছে।”

    আরও পড়ুুন: ঠাকুরনগরে তুমুল বিক্ষোভ মতুয়াদের, অভিষেককে গো-ব্যাক স্লোগান

    তামিলনাড়ুর বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় যে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের লাইন রয়েছে, তা পাওয়ার গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে (Amit Shah) যাওয়ায়ই এই ঘটনা। কেবল বিমানবন্দরই নয়, পোরুর, সেন্ট থমাস মাউন্ট, পুনামাল্লের মতো এলাকাও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছে রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।

    আরও পড়ুুন: ‘মমতা চাইছেন গন্ডগোল হোক, সেই ফাঁকে তাঁরা জিতে যাবেন’, দাবি দিলীপের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ছন্দে ফিরছে মণিপুর, ড্রপবক্সে পড়ছে ছিনতাই হওয়া অস্ত্রও

    Manipur: ছন্দে ফিরছে মণিপুর, ড্রপবক্সে পড়ছে ছিনতাই হওয়া অস্ত্রও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধীরে হলেও, শান্তি ফিরছে মণিপুরে (Manipur)। শান্তি ফেরাতে এ মাসেও মোতায়েন রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী। গড়া হয়েছে বিশেষ শান্তিরক্ষক কমিটি। এই জোড়া পদক্ষেপের জেরে শান্তি ফিরতে শুরু করেছে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে। যেহেতু রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, তাই শিথিল করা হয়েছে কারফিউ। তবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকছে ১৫ জুন বেলা ৩টে পর্যন্ত।

    কারফিউ শিথিল

    সরকারের মুখপাত্র সপম রঞ্জন বলেন, কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানে জরুরি পরিষেবা দেওয়া হয়, সেখানে আমরা ইন্টারনেট পরিষেবা দিচ্ছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে কতদিন। জানা গিয়েছে, ইম্ফল পূর্ব এবং ইম্ফল পশ্চিম সহ আরও কয়েকটি জেলায় কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। ইম্ফলে ভোর ৫টা থেকে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। এর আগে ছিল সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। 

    অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি

    প্রশাসন সূত্রে খবর, ৪ জুনের পর এখনও পর্যন্ত অশান্তির কোনও ঘটনা ঘটেনি রাজধানীতে (Manipur)। সরকারের ওই মুখপাত্র বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি। এ থেকে প্রমাণ হয় রাজ্যে ক্রমেই ফিরছে শান্তি। ছন্দে ফিরছে গোটা রাজ্য।

    এদিকে, ফের অস্ত্র সমর্পণ করতে শুরু করেছেন তরুণরা। ছিনতাই হওয়া অস্ত্র সমর্পণের একটি পোস্টার টাঙানো হয়েছিল এক বিজেপি বিধায়কের বাড়ির সামনে। ইংরেজি এবং মেইতেই ভাষায় অস্ত্র সমর্পণের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, যাঁরা অস্ত্র ফেরাবেন, তাঁদের নামধাম জানানোর প্রয়োজন নেই। রাখা হয়েছিল একটি ড্রপবক্সও। দেখা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ড্রপবক্সে জমা পড়েছে এক (Manipur) জোড়া অটোমেটিক রাইফেল সহ মোট ১৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র। স্থানীয় বিধায়ক সুশীন্দ্র বলেন, ড্রপবক্সের চাবি পুলিশের কাছে রয়েছে। তারা যখন খুশি এসে অস্ত্র নিয়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশি চলছে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানও। আধাসেনা ও রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযানে কেবল শুক্রবারই ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: “টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হচ্ছে,” সরব তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি

    অন্যদিকে, শনিবার ইম্ফলে (Manipur) গিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পদ্ম-শাসিত রাজ্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মণিপুরের হিংসা নিয়েই আলোচনা হয়েছে দুই মুখ্যমন্ত্রীর। প্রসঙ্গত, মাসাধিককাল ধরে অশান্তির আগুনে জ্বলছিল মণিপুর। হিন্দু মেইতেই ও কুকি উপজাতির (যাদের সিংহভাগই খ্রিস্টান) মধ্যে চলছিল সংঘর্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ব্রিকস সম্মেলনের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টকে ফোন মোদির, কী আলোচনা হল জানেন?

    PM Modi: ব্রিকস সম্মেলনের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টকে ফোন মোদির, কী আলোচনা হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগাস্ট মাসে ব্রিকস (BRICS) সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। তার আগে শনিবার টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী কথা বললেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে। দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। ব্রিকস সম্মেলনে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। শনিবার বিবৃতি জারি করে একথা জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে।

    জি-২০র সভাপতিত্বকে সমর্থন

    বর্তমানে জি-২০র সভাপতিত্ব করছে ভারত। তাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট। বিবৃতিতে এও জানানো হয়েছে, দুই রাষ্ট্রনেতাই দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। দুই দেশের ঐতিহাসিক এবং মানুষে মানুষে বন্ধনের কথাও উঠে এসেছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায়।

    ব্রিকসের অন্যতম সদস্য রাশিয়াও

    অগাস্ট মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে হবে ব্রিকস সম্মেলন। এ বছর এই সম্মেলনের নেতৃত্ব দেবে রামাফোসার দেশ। সেই সম্মেলনে যাওয়ার আগে একপ্রস্ত আলোচনা সেরে রাখলেন মোদি-রামাফোসা। ভারতকে ১২টি চিতা দেওয়ার জন্য রামাফোসাকে ধন্যবাদও জানান মোদি (PM Modi)। ব্রিকসের অন্যতম সদস্য দেশ রাশিয়া। সেই রাশিয়াই বর্তমানে পড়শি দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকাও চায়, বন্ধ হোক যুদ্ধ। স্থায়ী শান্তি ফিরে আসুক রাশিয়া-ইউক্রেনে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেওছেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। তার পরেও যুদ্ধ থামেনি। দুই দেশকেই আলোচনার টেবিলে বসে সমস্যার সমাধান করতে বলেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

    আরও পড়ুুন: ‘উদ্ধব ঠাকরে বিজেপির সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন’, মহারাষ্ট্রের সভায় শাহি তোপ

    গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি দেখেছিলেন, কীভাবে পশ্চিম বিশ্বকে মাত দিতে ক্রমেই এগোচ্ছে দক্ষিণ বিশ্ব। ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনের আলোচ্যসূচি কী হবে, তাও চূড়ান্ত হয়েছে বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, একটি হল ব্রিকসের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো (PM Modi) এবং সদস্য দেশগুলির মধ্যে অভিন্ন মুদ্রা চালু করা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NCP: ব্রাত্য ভাইপো অজিত!  এনসিপি-র কার্যকরী সভাপতি হিসেবে কাদের নাম ঘোষণা করলেন শরদ?

    NCP: ব্রাত্য ভাইপো অজিত! এনসিপি-র কার্যকরী সভাপতি হিসেবে কাদের নাম ঘোষণা করলেন শরদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় একমাস ধরে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি (NCP) প্রেসিডেন্ট শরদ পাওয়ারের সঙ্গে ভাইপো অজিত পাওয়ারের  ‘ঠান্ডা লড়াই’ চলছিল। শনিবার দলের ২৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবসেই সুপ্রিয়া সুলে ও প্রফুল্ল প্যাটেলের হাতে কার্যত দলের ব্যাটন’ তুলে দিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক শরদ পাওয়ার। এনসিপি (NCP) প্রধানের এই ঘোষণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কী বললেন এনসিপি (NCP) প্রধান?

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অজিতকে কার্যত ব্রাত্য রেখেই প্রফুল্ল প্যাটেল এবং সুপ্রিয়া সুলেকে এনসিপি (NCP) কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। পরে, শরদ পাওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, “দেশের পরিস্থিতি এমন যে সমস্ত রাজ্যের দায়িত্ব শুধুমাত্র একজনকে দেওয়া ভুল হবে।” প্রফুল্ল প্যাটেল এবং মিসেস সুলেকে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ার ভালভাবে নেবেন কি না জানতে চাওয়া হলে, এনসিপি প্রধান বলেন, “যে তার ভাইপো ইতিমধ্যেই অনেক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।” প্রসঙ্গত, গত মাসেই এনসিপি (NCP) প্রেসিডেন্ট শরদ পাওয়ার দলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে তাঁর পদে ইস্তফা দেন। কিন্তু, দলের কার্যকরী কমিটি তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেনি। গত ৫ জুন তাঁর পদত্যাগপত্র খারিজ করে দেওয়া হয়। এদিকে, প্রায় একমাস ধরে অজিত পাওয়ারের সঙ্গে এনসিপি (NCP)-র দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে এদিন হঠাৎ করেই শরদ পাওয়ারের সাংবাদিক বৈঠক করে দলের কার্যকরী সভাপতি হিসাবে সুপ্রিয়া সুলে ও প্রফুল্ল প্যাটেলের নাম ঘোষণা করা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এর ফলে অজিত পাওয়ার যে দলে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়লেন, তা বলা বাহুল্য। আজ, অজিত পাওয়ার এই ঘোষণার সাথে দৃশ্যত বিচলিত হয়েছিলেন এবং সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলে মুম্বাইতে দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করেছিলেন। যদিও পরে, টুইট করে এনসিপির নতুন দুজন পদাধিকারীকে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    নতুন পদাধিকারীদের কোন কোন রাজ্যের দেওয়া হয়েছে?

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিসেস সুলে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের এনসিপি বিষয়ক এবং মহিলা, যুব, ছাত্র এবং লোকসভা সম্পর্কিত বিষয়গুলির দায়িত্বে থাকবেন। আর প্রফুল্ল প্যাটেলকে মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, গোয়া এবং রাজ্যসভার এনসিপি-এর ইনচার্জও করা হয়েছে।

    নতুন দায়িত্ব পেয়ে কী বললেন এনসিপি (NCP) পদাধিকারীরা?

    এদিন প্রফুল্ল প্যাটেল বলেন,”আমি ১৯৯৯ সাল থেকে পাওয়ার সাহেবের সঙ্গে কাজ করছি। তাই, এটি আমার জন্য নতুন কিছু নয়। অবশ্যই, আমি কার্যকরী সভাপতি হিসাবে উন্নীত হয়ে খুশি। আমি দলের পদচিহ্ন বাড়ানোর জন্য কাজ চালিয়ে যাব। মিসেস সুলে টুইট করেছেন, “আমি এনসিপি (NCP) সভাপতি পাওয়ার সাহেব এবং প্রফুল্ল প্যাটেল ভাইয়ের সঙ্গে কার্যকরী সভাপতির এই বিশাল দায়িত্ব দেওয়ার জন্য এনসিপির সমস্ত সিনিয়র নেতা, দলের সহকর্মী, দলীয় কর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share