Tag: Bengali news

Bengali news

  • Calcutta High Court: পঞ্চায়েতের টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন বিডিও! খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: পঞ্চায়েতের টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন বিডিও! খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বিডিও (BDO)! শুধু আত্মসাৎ করাই নয়, একেবারে টাকা বিদেশে পাচার করেছেন ওই সরকারি আধিকারিক! এ সংক্রান্ত মামলায় জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের বিডিও কৃশানু রায়ের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন সদস্য। আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তাঁরা। এই মামলার প্রেক্ষিতেই জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।

    বিডিও’র বিরুদ্ধে অভিযোগের বহর

    আদালত সূত্রে খবর, নায়ারণগড় ব্লকে তৃণমূলের দখলে থাকা একাধিক পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ফান্ড খরচ করেছেন বিডিও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ভুয়ো বিল বানিয়ে টাকা খরচ করা হয়েছে বলেও দেখিয়েছেন তিনি। আদালতে যাঁরা মামলা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন আয়নাল হক মোল্লাও। তিনি (Calcutta High Court) বলেন, “বিষয়টি আগেই জেলাশাসককে জানিয়েছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। জেলাশাসক কোনও পদক্ষেপ না করায় আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।” মঙ্গলবার এই মামলাই ওঠে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। জেলাশাসককে আদালতের নির্দেশ, যথাযথ তদন্ত করে আট সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ করতে হবে। অভিযুক্ত বিডিওকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    মামলাকারী কারা জানেন? 

    জানা গিয়েছে, বিডিওর বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু হয়েছিল ২০ জুলাই। প্রধান আবেদনকারী নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির সদ্য বিদায়ী শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অনাদি বারিক। বাকিরা হলেন পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি নমিতা সিংহ, সহকারী সভাপতি গণেশ মাইতি, বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ তথা নারায়ণগড় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুকুমার জানা, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ কাওসার আলি সহ সাতজন কর্মাধ্যক্ষ। বিদায়ী পঞ্চায়েতের প্রধান সহ আরও কয়েকজনও রয়েছেন মামলায় (Calcutta High Court)। মামলাকারীদের অভিযোগ— কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন বিডিও। ট্রেনিংয়ের টাকা সঠিক খাতে খরচ না করে ভুয়ো বিল বানিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। বিডিও অফিসের গাড়ি ব্যবহার করেছেন ব্যক্তিগত কাজে। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতের বিল নকল করেও টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিযুক্ত বিডিও। পরে, সেই টাকা বিদেশে পাচার করেছেন ওই বিডিও। 

    আরও পড়ুুন: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব।” মঙ্গলবার বিধানসভায় কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “আমরা কেন্দ্রের টাকা আটকাইনি। চুরি আটকেছি।” 

    কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজ সহ নানা প্রকল্পে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ প্রতিনিয়তই তোলে রাজ্য সরকার। তাদের অভিযোগ, বঙ্গ বিজেপি নেতাদের জন্যই আটকে রয়েছে রাজ্যের বরাদ্দ। অভিযোগের নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রকে দেওয়া শুভেন্দুর চিঠি। রাজ্যে কেন্দ্রীয় নানা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার পর থেকেই নিয়মিত বরাদ্দ আটকে থাকায় বিজেপি নেতাদের দুষছে রাজ্য সরকার। এদিন সে প্রসঙ্গেই বিধানসভায় সরব হন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, রাজ্যে আবাস প্রকল্পের কাজ ও একশো দিনের কাজের বেশ কিছু বিষয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি।

    ‘খরচ হয়নি ফান্ড’ 

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমার পাঠানো চিঠির উত্তরে ওঁর দফতর জানায় দুটি ছাড়া আমার করা সব অভিযোগ সত্য। এই মর্মে সেকশন ২৭ প্রয়োগ করা হল। সংশ্লিষ্ট বিডিওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে টাকা দেওয়া হবে না।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলা হয়েছে। একশো দিনের কাজ সহ বেশ কয়েকটি কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন খাতে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তাতে সমস্যার কথা আপনারা বলছেন। সমস্যা হচ্ছে একশো দিনের টাকা আর আবাস যোজনার শেয়ার অর্থ নিয়ে। অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় রাজ্যের ৯০ শতাংশ জিএসটি ফান্ড রিলিজ হয়েছে। বাকি টাকা হয়নি।”

    আরও পড়ুুন: “কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে”, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, “শিক্ষা দফতরের ফান্ড ব্যবহার না হয়ে পড়ে রয়েছে। জল জীবন মিশনে ফান্ড ব্যবহার হয়নি। ১৭৯১ কোটি টাকা ব্যবহার হয়নি। ৪ হাজার কোটি টাকা মাইনরিটি খাতে ব্যবহার হয়নি। কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম আপনারা বদল করেছেন। ভারত সরকারের থেকে টাকা পেতে গেলে কেন্দ্রের স্কিমের নাম দিতে হবে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “সাগরদিঘি, নওদায় প্রধান নিজেই একাধিক বাড়ি নিয়েছেন। একাধিক জেলায় পুকুর কাটার টাকা তুলেছেন, অথচ পুকুর কাটেননি। টাকা না পাওয়ার জন্য আপনাদের কাজই দায়ী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: “কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে”, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে”, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে আন্দোলন করে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বিজেপি (BJP) যে তাঁদের পাশে রয়েছে, তা একাধিকবার দাবি করেছিলেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। বাদল অধিবেশনে তাঁদের সেই দাবিতেই সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    ‘ডিএ দিতেই হবে’

    মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে শুভেন্দু বলেন, “রাজ্য সরকারকে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দিতেই হবে।” বিধানসভার বাইরেও ডিএ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। বলেন, “রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী ও পেনশনাররা বঞ্চিত। তাঁদের ডিএ এবং ডিআর দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের সংসারে টানাপোড়েন চলছে। আর সরকার চুপ করে বসে রয়েছে। এটা বরদাস্ত করা হবে না। ডিএ মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই মামলা বারবার পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এতে সরকারি কর্মীদের ক্ষতি হচ্ছে। তাঁরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করে রয়েছেন। আমরা বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলতে চাই না। কিন্তু এই সরকার বারবার বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলে।”

    ‘চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা কষ্টে রয়েছেন’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের সরকারি কর্মীরা সরকারের দ্বারা অবহেলা, বঞ্চনার শিকার। কেন্দ্রীয় হারে সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে। তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে হবে। আর তা যত দ্রুত সম্ভব।” তিনি বলেন, “মেধাবীরা রাস্তায় বসে রয়েছে। সরকার আলোচনা করে সমস্যা মেটাক। সরকারি চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা কষ্টে রয়েছেন। চাষিরা ফসলের দাম পাচ্ছেন না। ফড়েরা দালালি করছে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেতন কাঠামো ও সম কাজে সম বেতন চালু করতে হবে। রাজ্য সরকার অনুমোদিত কয়েক লক্ষ পদ খালি থাকলেও, নিয়োগ হচ্ছে না।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় পেশ দিল্লি পরিষেবা বিল, “ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান” ‘ইন্ডিয়া’কে জবাব শাহের

    শুভেন্দু বলেন, “ভিলেজ পুলিশদের বেতন কাঠামো পুনর্মূল্যায়ন করেনি সরকার। ৬ লক্ষ পদের বিলোপ ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা কেন ১০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করবেন? বাংলায় ২ কোটি বেকারের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে। এই সরকার অমানবিক, দুর্নীতিগ্রস্ত।” ডিএ নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানারে। এই মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষ বলেন, “সরকারি কর্মীদের হয়ে বিধানসভায় কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এজন্য বিরোধী দলনেতার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। এটা আমাদের লড়াইয়ের স্বীকৃতি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Manipur: মণিপুরে অশান্তির আগুনে নিত্য ঘি ঢালছে চিন, পাকিস্তান! বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

    Manipur: মণিপুরে অশান্তির আগুনে নিত্য ঘি ঢালছে চিন, পাকিস্তান! বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন মাস হতে চলল। এখনও নেভেনি উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুরের (Manipur) অশান্তির আগুন। এই অশান্তির আগুনে নিত্য ঘি ঢেলে চলেছে ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ চিন ও পাকিস্তান। গোয়েন্দা দফতরের রিপোর্টেই এ খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, এই দুই দেশ নেপালের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের হাতে তুলে দিচ্ছে অস্ত্র, জোগাচ্ছে প্রয়োজনীয় অর্থও।

    মণিপুরে পাঠানো হচ্ছে অস্ত্র, অর্থ

    মায়ানমার সীমান্তে মাদক পাচারও নিয়ন্ত্রণ করছে ওই দুই দেশের ‘এজেন্ট’রা। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, অশান্তির আগুনে ইন্ধন জোগাতে নেপালি ব্যবসায়ীদের কাজে লাগাচ্ছে চিন। এজন্য শি জিনপিংয়ের দেশ নিয়োগ করেছে সে দেশের সিক্রেট সার্ভিসকে। এরাই জোগাচ্ছে অর্থ। মণিপুরে সন্ত্রাসবাদী এবং অস্ত্র অনুপ্রবেশের কাজটিও সুচারুভাবে করতে পাকিস্তান ও চিন ব্যবহার করছে নেপালকে।

    ‘আর একটা কাশ্মীর’

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, মণিপুর (Manipur) থেকে উদ্ধার হয়েছে চিনা অস্ত্র। যার অর্থ, বেশ কিছুদিন ধরে মায়ানমারকে ভায়া করে অস্ত্র পাঠাচ্ছে বেজিং। ২৬ জুলাই মোর্চ এলাকায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু বাড়িতে। এই ঘটনায় মায়ানমারের দুষ্কৃতীদের যোগ থাকার প্রমাণও মিলেছে। এই এলাকায় মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষে ব্যবহৃত বেশিরভাগ অস্ত্রই চিনে তৈরি। মণিপুরকে ‘আর একটা কাশ্মীর’ বানাতে চেয়েছে ভারতের চির শত্রু ওই দুই দেশ।

    মণিপুরে অশান্তি জিইয়ে রাখার পিছনে চিন ও পাকিস্তানের অতি-সক্রিয়তার কারণ এই মণিপুর দিয়েই সাউথ এশিয়ান দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যায়। নিত্য অশান্তি লেগে থাকলে ভারত সরকার যে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কোনও উন্নয়ন করেনি, তা ফলাও করে বলতে পারবে। যদিও তথ্য বলছে, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মণিপুরে (Manipur) অশান্তির নেপথ্যে যে চিনের হাত রয়েছে, তা দাবি করেছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানেও। তিনি বলেন, “অস্থিরতা সৃষ্টি করতে মণিপুরে হিংসার ঘটনায় জড়িত একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সাহায্য করছে বেজিং। সীমান্ত রাজ্যগুলিতে এই অস্থিরতা বৃদ্ধি দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।” নারাভানে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করে আসছে চিন। এখনও জারি রেখেছে সেই সাহায্য।” শান্তি ফেরাতে প্রশাসন তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে বলেও দাবি করেন প্রাক্তন সেনাকর্তা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Delhi Amendment Bill: লোকসভায় পেশ দিল্লি পরিষেবা বিল, “ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান” ‘ইন্ডিয়া’কে জবাব শাহের

    Delhi Amendment Bill: লোকসভায় পেশ দিল্লি পরিষেবা বিল, “ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান” ‘ইন্ডিয়া’কে জবাব শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পেশ হল দিল্লির প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইনের সংশোধনী বিল (Delhi Amendment Bill)। মঙ্গলবার গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি (জিএনসিটি) অফ দিল্লি নামের আইনের এই সংশোধনী বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘ডেপুটি’ নিত্যানন্দ রাই। বিলটি লোকসভায় পেশ হতেই প্রতিবাদ করতে শুরু করে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’।

    সমালোচনা আপের

    জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি (সংশোধনী) বিল ২০২৩কে “গণতন্ত্রের পরিবর্তে বাবুতন্ত্রের সূচনা” বলে বর্ণনা করেন আম আদমি পার্টির সাংসদ সুশীলকুমার রিঙ্কু সহ ‘ইন্ডিয়া’র বিভিন্ন দলের সাংসদরা। বিল পেশ করার সময় শাহ বলেন, “সংবিধান সংসদকে দিল্লি সংক্রান্ত যে কোনও বিল পাশ করানোর ক্ষমতা দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও জানিয়েছে, দিল্লি প্রশাসন সংক্রান্ত কোনও আইনের ওপর সংশোধনী বিল সংসদ চাইলে পাশ করতেই পারে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে যে বিরোধিতা করা হচ্ছে, তা সবটাই রাজনীতির স্বার্থে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরেই সভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদরা। আপের রিঙ্কু এবং কংগ্রেসের টিএন প্রথাপন কাগজ ছোড়ায় স্পিকার ওম বিড়লা তাঁদের সতর্ক করে দেন। বলেন, “এমন আচরণ ঠিক নয়, দেশবাসী আপনাদের দেখছে।” 

    খুশি হওয়া উচিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর!

    জানা গিয়েছে, বিলটি আইনে পরিণত হলে, দিল্লির সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত সুপারিশে চূড়ান্ত সম্মতি দেওয়ার ক্ষমতা পাবেন উপ-রাজ্যপাল। বিলটি (Delhi Amendment Bill) কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছিল ২৫ জুলাই। বিলটি সম্পর্কে সংসদে বিজেপি নেতা পরবেশ ভার্মা বলেন, “দিল্লির জনগণের জন্যই দিল্লি (পরিষেবা) অধ্যাদেশ আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে যে ক্ষমতা দিচ্ছে, তা আগে কখনও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীরা পাননি। তাই এই অধ্যাদেশ নিয়ে খুশি হওয়া উচিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর।”

    আরও পড়ুুন: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, আমলাদের নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকার না দিল্লির সরকার কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদ চলছে। মামলাও হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ১১ মে দিল্লির সরকারের পক্ষেই রায় দেয় শীর্ষ আদালত। এর পর মে মাসে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে কেন্দ্র। উদ্দেশ্য ছিল, দিল্লির আমলাদের নিয়োগ ও বদলির বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা। সেই অর্ডিন্যান্সকেই আইনের রূপ দিতে বিল (Delhi Amendment Bill) পেশ করল কেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Suvendu Adhikari: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূল (TMC) এখন জাতও চুরি করছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে এই ভাষায়ই কটাক্ষ-বাণ হানলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানেই তিনি নিশানা করেন রাজ্য সরকারকে। শুভেন্দুর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য অনেক বিরোধী প্রার্থীই তা পাননি। এর পরেই তিনি বলেন, “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে।”

    ‘জনজাতিদের অধিকারও খর্ব হচ্ছে’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, রাজ্য সরকার এখন জনজাতিদের অধিকারও খর্ব করছে। রায়গঞ্জে ভুয়ো তফশিলি উপজাতি শংসাপত্র দিয়ে চাকরি পাওয়া ৭৮ জনের চাকরি গিয়েছে। এই ধরনের দুর্নীতিতে যেসব সরকারি আধিকারিক মদত দিচ্ছেন, তাঁদের শাস্তি এবং গ্রেফতারিও দাবি করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বাংলায় দু’ কোটি বেকার কর্মসংস্থান পাচ্ছেন না। অমানবিক, বর্বর, অহংকারী, দুর্নীতিগ্রস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সমস্ত শূন্য পদে আগামী ছ’ মাসের মধ্যে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি রাখছি। আমি রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আরটিআই করে জানতে চেয়েছিলাম, কাস্ট রিজার্ভ আসনে যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, সেই তালিকা চেয়েছিলাম। ভুয়ো সার্টিফিকেট আমরা পেয়েছি। আমার ধারণা, ওবিসির ক্ষেত্রে যে তথ্য পেয়েছি, তার অধিকাংশই ভুয়ো।”

    দুর্নীতির খবর ফাঁস করার হুমকি

    রাজ্য সরকারের আরও দুর্নীতির খবর ফাঁস করবেন বলে হুমকিও দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বলেন, “১৫ অগাস্টের পর আরও তথ্য নিয়ে সামনে আসব। ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। জেনুইন এসসি, ওবিসিকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। ৭৮ জনের সার্টিফিকেট বাতিল করলে হবে না। অভিযুক্ত বিডিও-এসডিওদের সাসপেন্ড করলে হবে না। ওঁদের গ্রেফতারি দাবি করছি। অর্থনৈতিকভাবে যত টাকা বেতন আকারে তুলেছেন তাঁরা, সেটা ফেরত দিতে বলছি।”

    তিনি বলেন, “আপনার সরকারের আমলে বাজার দর বাড়ছে। আপনি প্রাণিসম্পদে কোনও চিকিৎসক নিয়োগ করেননি। হেল্থ সেক্টর চালাচ্ছেন আশা কর্মীরা।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আংশিক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা এখন খেতে পাচ্ছেন না। আমি বিধানসভায় বলেছি, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে। বাজার অগ্নিমূল্য, চাষিরা ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। পাবলিক সার্ভিস কমিশন কোনও নিয়োগ করছে না। যত রিক্রুটমেন্ট বোর্ড রয়েছে, সব বোর্ডকে অচল করে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ছ’ মাসের মধ্যে সমস্ত পদে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডিয়া’র বারণ উপেক্ষা করেই মোদির মঞ্চে শরদ, জোটের অন্দরেই চওড়া হচ্ছে ফাটল!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • PM Modi: ‘ইন্ডিয়া’র বারণ উপেক্ষা করেই মোদির মঞ্চে শরদ, জোটের অন্দরেই চওড়া হচ্ছে ফাটল!

    PM Modi: ‘ইন্ডিয়া’র বারণ উপেক্ষা করেই মোদির মঞ্চে শরদ, জোটের অন্দরেই চওড়া হচ্ছে ফাটল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডিয়া’র অন্দরেই চওড়া হচ্ছে ফাটল! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করতে তাঁকে পইপই করে না বলেছিলেন ইন্ডিয়ার সদস্যরা। সেসব উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননাও জ্ঞাপন করলেন তিনিই।

    প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা দিলেন পাওয়ার

    এদিন মহারাষ্ট্রের পুণেয় পালন করা হয় স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের ১০৩তম প্রয়াণ বার্ষিকী। তাঁর নামাঙ্কিত পুরষ্কারে ভূষিত করা হল প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে সেই সম্মাননা তুলে দিলেন এনসিপি প্রধান। এ মাসেই মুম্বইয়ে বসার কথা বিজেপি বিরোধী ২৬টি দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র তৃতীয় বৈঠক। এই বৈঠকের আগে ‘ইন্ডিয়া’র নেতাদের কথা না শুনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে শরদ জোটকে অস্বস্তিতে ফেললেন বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    ক্ষোভ এনসিপির অন্দরেই

    প্রবীণ রাজনীতিবিদের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ খোদ শরদ ঘনিষ্ঠ সাংসদই। রাজ্যসভার সাংসদ এনসিপির (শারদপন্থী) বন্দনা চহ্বান বলেন, “যিনি (PM Modi) আমাদের দল ভাঙলেন এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন সেই নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমাদের দলীয় প্রধানের এক মঞ্চে বসাটা ব্যক্তিগতভাবে ঠিক বলে মনে করি না। আমি পাওয়ারজিকে অনুরোধ করেছিলাম না যাওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন ওই অনুষ্ঠানে মোদিকে তিনিই আমন্ত্রণ করেছেন তিলক ট্রাস্টের অনুরোধে। সেটা অজিত পাওয়ার দল ভাঙার আগের ঘটনা।”

    এদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল লোকমান্য তিলক সম্পর্ক মন্দির ট্রাস্ট। অনুষ্ঠানে শরদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তাঁরই ভাইপো তথা এনসিপির বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা অজিতও। এহেন অনুষ্ঠানে শরদ কেন যোগ দিলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।এই অনুষ্ঠানের সাত বছর আগে মোদির (PM Modi) সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করেছিলেন শরদ। তারপর এবার। তবে এবার তাঁকে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বারণ করেছিল এমভিএ জোট এবং ইন্ডিয়ার বিভিন্ন শরিক দল। লোকসভা নির্বাচনের আগে আমজনতার কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে ভেবেই না বলা হয়েছিল তাঁকে। এদিক, এদিন পাওয়া পুরস্কার প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) উৎসর্গ করেন দেশবাসীকে। তিনি বলেন, “এই পুরস্কারের টাকা আমি নমামি গঙ্গে প্রকল্পে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    আরও পড়ুুন: ২৪ কোটির প্রতারণা! বয়স্কদের ঠকিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত? ‘কীর্তি’ জানত পুলিশও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     
     

     

  • Manipur: ‘ইন্ডিয়া’র অনাস্থা প্রস্তাব, আলোচনা ৮ অগাস্ট, ১০ তারিখে জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    Manipur: ‘ইন্ডিয়া’র অনাস্থা প্রস্তাব, আলোচনা ৮ অগাস্ট, ১০ তারিখে জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে পরাজয় নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও মণিপুর (Manipur) নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে ‘ইন্ডিয়া’। বিজেপি বিরোধী ২৬টি দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে ৮ অগাস্ট। তার দু দিন পরে জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, মঙ্গলবার বৈঠক ছিল লোকসভার অ্যাডভাইসারি কমিটির। সেখানেই অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আলোচনার দিনক্ষণ স্থির করার কথা ছিল।

    প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণ

    বৈঠকে জানানো হয়, এদিন দুপুর দুটোয় লোকসভায় দিল্লি সার্ভিসেস বিল পেশ করা হবে এবং বুধবার এ বিষয়ে আলোচনা চায় সরকার। এর তীব্র বিরোধিতা করেন বৈঠকে উপস্থিত বিরোধী দলের নেতারা। প্রতিবাদে মাত্র ১২ মিনিটের মাথায় বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান তাঁরা। বিরোধীরা বেরিয়ে যাওয়ার পরেই সরকার পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা (Manipur) হয় অধ্যক্ষের। তার পরেই স্থির করা হয় অনাস্থা প্রস্তাবের দিনক্ষণ। অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর প্রধানমন্ত্রী জবাবি ভাষণ দেবেন ১০ অগাস্ট। তার পরের দিনই শেষ হওয়ার কথা বাদল অধিবেশনের।

    অনাস্থা প্রস্তাব কী?

    অনাস্থা প্রস্তাব একটি সংসদীয় প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে চ্যালেঞ্জ করে বিরোধী পক্ষ। সংসদীয় নিয়ম অনুযায়ী, সংসদের যে কোনও সদস্যই অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারেন। তবে তাঁর সেই প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন থাকতে হবে অন্তত ৫০জন সাংসদের। এ নিয়ে দেশে মোট ২৮টি অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে লোকসভায়। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এর আগে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়েছিল ২০১৮ সালে। লোকসভায় শাসক জোট এনডিএর হাতে রয়েছে ৩৩১ জন সাংসদ। ‘ইন্ডিয়া’র (Manipur) সাংসদ রয়েছেন ১৪৪ জন। তাই সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে অনাস্থায় গোহারা হারবে ইন্ডিয়া।

    আরও পড়ুুন: ২৪ কোটির দুর্নীতি! অভিযোগ, নুসরতের ‘কীর্তি’ জানত গড়িয়াহাট থানা

    মেইতেই ও কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর (Manipur)। তফশিলি জাতির দাবিতে সোচ্চার হন মেইতেইরা। তার জেরে আক্ষরিক অর্থেই জ্বলছে মণিপুর। একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সম্প্রতি ঘি পড়ে  সেই আগুনেই। ৪ মে মণিপুরের এক গ্রামে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হয় দুই তরুণীকে। পরে তাঁদের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। এর জেরেই তোলপাড় দেশ। যার আঁচ লেগেছে সংসদের গায়েও। এহেন আবহেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     
     
  • PM Modi: প্রচারের হাতিয়ার স্থানীয় বিষয়, তৃণমূলের দুর্নীতি, রাজ্য বিজেপি নেতাদের ‘মার্গদর্শন’ মোদির

    PM Modi: প্রচারের হাতিয়ার স্থানীয় বিষয়, তৃণমূলের দুর্নীতি, রাজ্য বিজেপি নেতাদের ‘মার্গদর্শন’ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) বঙ্গ নেতাদের ‘মার্গদর্শন’ করালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের হাতিয়ার কী হবে, কীভাবে মন জয় করতে হবে রাজ্যবাসীর, সে সবই বিজেপি সাংসদদের বুঝিয়ে দিলেন তিনি। বিজেপি বিরোধী ২৬টি দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিরুদ্ধেও কীভাবে তোপ দাগতে হবে, সে পথও বাতলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    সাংসদদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তৃতীরবার ক্ষমতায় ফেরার ব্যাপারে নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তবে বিজেপি চাইছে, গত লোকসভা নির্বাচনের চেয়ে এবার আরও বেশি করে আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরতে। সেজন্য এনডিএর সদস্য দলগুলির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বৈঠক শুরু হয়েছে ৩১ জুলাই। চলবে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত। একদিনে বৈঠক হবে দু দফায়। প্রতিটি বৈঠক এক ঘণ্টার। সোমবার অবশ্য বৈঠক হয়েছে এক দফায়। বঙ্গ বিজেপির পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে ছিলেন ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের সাংসদরাও।

    বার্তা দিলেন ভিডিও দেখিয়ে

    বৈঠকে চারটি ভিডিও দেখানো হয়। প্রথম ভিডিওতে দেখানো হয়, মোদি সরকার কী কী প্রকল্প নিয়ে এসেছে, তাতে কতটা সাফল্য এসেছে, এইসব। এর পর দেখানো হয় রাজ্যওয়াড়ি ছোট ছোট ভিডিও। বাংলার ভিডিওয় ছিল রাজ্যে আবাস যোজনা থেকে বিমানবন্দর নির্মাণ, বন্দে ভারত থেকে মেট্রো রেল ইত্যাদি কেন্দ্রীয় প্রকল্প। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির তোলা দুর্নীতির অভিযোগের কথা ছিল বাংলার ভিডিওয়। বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, রামজন্মভূমি কিংবা ৩৭০ ধারা বাতিলের মতো ইস্যুগুলিকে প্রচারে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে স্থানীয় বিষয় এবং কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিতে কী কী কাজ করেছে, প্রচারে বলতে হবে সেসব কথাই। রাজ্য সরকার কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যর্থ, তাও তুলে ধরতে হবে প্রচারে।

    আরও পড়ুুন: কাশ্মীর-লাদাখ সীমান্তে তেজস মোতায়েন ভারতের, পাকিস্তানকে বার্তা দিতে শুরু মহড়াও

    প্রতিটি লোকসভা এলাকায় প্রবীণ ভোটারদের খুঁজে বের করে দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দিতে হবে। এলাকার বিশিষ্ট মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। শিক্ষক, লেখক কিংবা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছেন, এমন ব্যক্তিদের মতামত নিতে হবে। ভোটারদের নিয়ে টিফিন বৈঠক করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আজ (সোমবার) আমাদের মার্গদর্শন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রসের দুর্নীতি নিয়ে একটি ভিডিও দেখানো হয়েছে। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ বাতলে দিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Buddhadeb Bhattacharjee: সুস্থতার পথে বুদ্ধদেব, রাতেই হয়েছে ফিজিওথেরাপি, মাঝে মধ্যে দেওয়া হচ্ছে বাইপ্যাপ  

    Buddhadeb Bhattacharjee: সুস্থতার পথে বুদ্ধদেব, রাতেই হয়েছে ফিজিওথেরাপি, মাঝে মধ্যে দেওয়া হচ্ছে বাইপ্যাপ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee) শারীরিক অবস্থার। সোমের চেয়ে মঙ্গলবার বেশ ভাল রয়েছেন তিনি। সোমবারই বুদ্ধদেবকে বের করা হয়েছিল ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে। তার পর থেকে মঙ্গলবার বেলা ১০টা পর্যন্ত আর অবনতি হয়নি তাঁর শারীরিক অবস্থার। বুদ্ধদেব যাতে নিজেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারেন, তাই সোমবার রাতেই তাঁকে দেওয়া হয়েছে পালমোনারি ফিজিওথেরাপি। রক্তে সুগারের পরিমাণ যাতে বেড়ে না যায় তাই নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে ইনস্যুলিনও।

    মেডিক্যাল টিমের কড়া নজরে বুদ্ধদেব

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার অনেক রাত পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলেন বুদ্ধদেবের (Buddhadeb Bhattacharjee) চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা। সেই সময়ই তাঁকে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়েছে। এতে তিনি নিজে থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারবেন। এর পাশাপাশি তাঁকে মাঝে-মধ্যে দেওয়া হচ্ছে নন-ইনভেসিভ বাইপ্যাপ সাপোর্টও। সংক্রমণ কমাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক। তবে অ্যান্টিবায়োটিকের জেরে কিডনি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকেও কড়া নজর রাখছেন মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা। ওই মেডিক্যাল টিমের এক চিকিৎসক বলেন, “ওঁর সব প্যারামিটার স্টেবল রয়েছে। আগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে উনি ভাল আছেন।”

    স্বাভাবিকতার পথে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, অসুস্থতার কারণে শনিবার বিকেলে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বুদ্ধদেবকে (Buddhadeb Bhattacharjee)। সোমবার সন্ধ্যার মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছিল, অনেকটাই চেতনা ফিরেছে বুদ্ধদেবের। তাঁর রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নয়া অ্যান্টি বায়োটিক প্রয়োগ করায় এবং ভেন্টিলেশনে রাখায় অনেকটাই স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা।

    এদিন বুদ্ধদেবকে দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও বলেছিলেন, “স্থিতিশীল রয়েছেন বুদ্ধবাবু (Buddhadeb Bhattacharjee)।” মুখ্যমন্ত্রী এও বলেছিলেন, “আমার যেটুকু মনে হল, আমাকে যেন হাত নাড়লেন। এখন ভালই আছেন। স্থিতিশীল আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ওঁরা সাধ্যমতো ভাল করে করছেন। বোর্ডও তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয় প্যারামিটারগুলি অনেকটাই ঠিক আছে। বাদবাকিটা উনি কেমন আছেন, কী আছেন, যাঁরা মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন বা যাঁরা চিকিৎসা করছেন, তাঁরাই বলতে পারবেন।”

    আরও পড়ুুন: হরিয়ানায় হিন্দুদের শোভাযাত্রায় হামলা, নিহত ৩, জ্বলল গাড়ি, বন্ধ ইন্টারনেট

    সোমবারই জানা গিয়েছিল, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রক্তে সংক্রমণ আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে। কমেছে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও। হাসপাতালের তরফে এদিন বিকেলের মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, চিকিৎসকরা সর্বক্ষণ নজর রেখে চলেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ওপর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুদ্ধদেবের (Buddhadeb Bhattacharjee) শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে ধীরে ধীরে। তাঁদের আশা, আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠবেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফিরেও যাবেন পাম অ্যাভেনিউয়ের বাড়িতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

LinkedIn
Share