Tag: Bengali news

Bengali news

  • Sengol: রবিবার নয়া সংসদের উদ্বোধন! মোদির হাতে ‘সেঙ্গল’ তুলে দেবেন মাদুরাই মঠের প্রধান পুরোহিত

    Sengol: রবিবার নয়া সংসদের উদ্বোধন! মোদির হাতে ‘সেঙ্গল’ তুলে দেবেন মাদুরাই মঠের প্রধান পুরোহিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ভারতের দেশ বিখ্যাত মন্দির মাদুরাই আধিনম। প্রধান পুরোহিতের নাম শ্রী হরিহর দেশিকা। তাঁকে নিয়েই জোর আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। কারণ এই প্রধান পুরোহিত নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে সেঙ্গল (Sengol) তুলে দেবেন। এদিন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘২০২৪ সালে ফের ক্ষমতায় ফেরা উচিত নরেন্দ্র মোদির।’’ প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ২৮ তারিখে এই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন হবে। সেদিনই প্রধানমন্ত্রীর হাতে সেঙ্গল তুলে দেবেন মাদুরাই আধিনমের ২৯৩ তম প্রধান পুরোহিত। প্রসঙ্গত, রবিবার সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে হবে ভবনের প্রাণ প্রতিষ্ঠা। পুজো শেষে সংসদে স্থাপন করা হবে ‘সেঙ্গল’। এজন্য উপস্থিত থাকবেন তামিলনাড়ুর ২০ জন স্বামী। এর পর আধ ঘণ্টা ধরে হবে প্রার্থনা সভা। উপস্থিত থাকবেন শঙ্করাচার্য সহ দেশের পণ্ডিত বর্গ ও সাধুসন্তরা। দুপুর ১২টায় জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান।

    আরও পড়ুন: রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন, জেনে নিন মেগা অনুষ্ঠানের সূচি

    কী বললেন প্রধান পুরোহিত?

    এদিন প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বনেতা উল্লেখ করে প্রধান পুরোহিত শ্রী হরিহর দেশিকা বলেন, ‘‘আমরা সকলেই তাঁর (নরেন্দ্র মোদি) জন্য গর্বিত। তিনি জনগণের জন্য অনেক ভাল কাজ করছেন এবং ২০২৪ সালে তাঁর ফেরা উচিত দেশকে দিশা দেখানোর জন্য।’’

    সেঙ্গেল বসানো হবে লোকসভার অধ্যক্ষের চেয়ারের কাছেই

    ১৯৪৭ সালে দেশের স্বাধীনতার সময়ে এই সেঙ্গল ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুকে দিয়েছিল ব্রিটেন। ন্যায় বিচারের প্রতীক এই সেঙ্গলকে (Sengol) স্থাপন করা হবে ঠিক অধ্যক্ষের চেয়ারের কাছেই, এমনটাই জানা গেছে। লোকসভায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে রবিবার দুপুর থেকেই। হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান প্রমুখ। জানা গেছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কাছেও। লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ শিবরাজ পাতিল, কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে সহ একাধিক বিরোধী নেতার কাছে আমন্ত্রণ গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barasat: আগুনে ভস্মীভূত উচ্চ মাধ্যমিকে সফল রাজেশ দাসের রেল বস্তির ঠিকানা

    Barasat: আগুনে ভস্মীভূত উচ্চ মাধ্যমিকে সফল রাজেশ দাসের রেল বস্তির ঠিকানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের (Barasat) বয়েজ হাইস্কুল থেকে এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল রাজেশ দাস। অদম্য জেদ এবং দারিদ্রতাকে দূরে সরিয়ে আজ উচ্চমাধ্যমিকে সফল হয়েছে রেল বস্তির যুবক রাজেশ। বাণিজ্য বিভাগে ৮৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৩৮। নিজের স্কুলে বাণিজ্য বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে রাজেশ। কিন্তু পরীক্ষায় সাফল্য এলেও তার কাছে পরিবারের দারিদ্র এখন প্রধান বাধা।

    বারাসাতে (Barasat) কীভাবে পড়াশুনা করত রাজেশ

    ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছে রাজেশ। সেই থেকে সংগ্রাম শুরু। বাবার ছায়াতেই বড় হয়ে ওঠা তার। বাবা সহদেব দাস রাজেশের একমাত্র প্রেরণা। পাড়ায় পাড়ায় কসমেটিক্সের জিনিস ফেরি করে তার পিতা। সামান্য আয়ে, কোনও রকমে সংসার চলে দু’জনের পরিবার। তাই, নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করা যথেষ্টই কষ্টসাধ্য। তবে কষ্ট হলেও নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করে চলেছে (Barasat) পিতা।

    পড়াশুনার (Barasat) লড়াই কতটা কঠিন

    ভালো ফলাফল করেও মন ভালো নেই রাজেশের। কারণ, চারদিন আগেই শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার হৃদয়পুর (Barasat) স্টেশনের পাশে রেল ঝুপড়িতে ভয়াবহ আগুনে সর্বস্বান্ত রাজেশের পরিবার। চোখের সামনে নিমেষে পুড়ে ছাই হতে দেখেছে ছোট্ট সংসার। কোনক্রমে ঘর থেকে বেরিয়ে বাবা-ছেলে জীবন বাঁচাতে পারলেও, আগুনের গ্রাস থেকে রক্ষা করতে পারেনি জিনিসপত্র। নষ্ট হয়ে গিয়েছে রাজেশের যাবতীয় বই এবং উচ্চমাধ্যমিকের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও। উচ্চ মাধ্যমিকের এডমিট কার্ড, এমনকি পরনের জামা কাপড় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। একেই সামনে কলেজের ভর্তি আর সেক্ষেত্রে লাগবে এডমিট কার্ড। তাই কীভাবে সে কলেজে ভর্তি হবে, এখন সেই দুশ্চিন্তা তাকে ভাবাচ্ছে। আপাতত রেল লাইনের পাশেই এক অস্থায়ী ঠিকানায় ঠাঁই হয়েছে দু’জনের।

    বাবার আবেদন

    এই প্রসঙ্গেই পিতা সহদেব দাস বলেন, “আগুনে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। এই কষ্টের মধ্যেও ছেলে উচ্চমাধ্যমিকে (Barasat) ভালো ফলাফল করেছে, এটাই সবচেয়ে আনন্দের। আমার সামর্থ্য নেই যে ওকে আর্থিক সহযোগিতা করব। তাই প্রশাসনের কাছে আবেদন, আমার ছেলের ভবিষ্যৎ গড়তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে খুব উপকার হবে।”

    রাজেশের স্বপ্ন

    এদিকে, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোই যে তার একমাত্র লক্ষ্য, তা স্পষ্ট জানিয়েছে রাজেশ দাস। সে বলেছে, অনেক পরিশ্রম করে সমস্ত কিছু তৈরি করেছিলাম। কিন্তু, সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে আগুনে। শিক্ষিত হয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই। প্রশাসন (Barasat) এই আবেদনে কতটা সাড়া দেয়, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Diary of West Bengal: ‘ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর পরিচালককে তলব মমতা পুলিশের, প্রতিবাদ বিজেপির

    Diary of West Bengal: ‘ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর পরিচালককে তলব মমতা পুলিশের, প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সন্ত্রাস নতুন কোনও ঘটনা নয়। হত্যা ও লুটের এই রাজনীতির বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। এবার বড় পর্দায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসকে তুলে ধরার জন্য ‘ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ (Diary of West Bengal) নামের ছবির ট্রেলার প্রকাশ পেল। ছবিটির ট্রেলার সামনে আসতেই পরিচালক সনোজ মিশ্রকে থানায় তলব করেছে কলকাতা পুলিশ। জানা গেছে গত ১১ মে আমর্হাস্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ব্যক্তি। শুধু সনোজ মিশ্রই নয় অভিযোগে নাম রয়েছে প্রযোজক জিতেন্দ্র নারায়ণ সিংয়েরও। প্রযোজকই এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন বলে জানা যাচ্ছে।

    কী বলছেন ছবির পরিচালক?

    আগামী ৩০ মে তদন্তকারী অফিসারের সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে পরিচালককে। ছবির মালিককেও ডাকা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। পরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে আবার প্রদর্শনীর ছাড়পত্র পায় সিনেমাটি। এবার ‘ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ ছবির ক্ষেত্রেও একই পথে হাঁটছে মমতা সরকার। পরিচালক সনোজ মিশ্র বলেন, ‘‘কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে, বেকারত্ব বাড়ছে এসব নিয়েই বাংলার বাস্তব পরিস্থিতিকে তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে।’’

    কী বলছে বিজেপি?

    ছবির পরিচালককে (Diary of West Bengal) পুলিশি তলবের ঘটনাকে স্বৈরতান্ত্রিক বলছে বিজেপি। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের মতে, ‘‘বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। বাংলা থেকে জঙ্গি ধরা পড়ছে। এই বাস্তবতাকে কেউ যদি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরতে চান সেটা তো সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য। সেটা কতটা সত্য, কতটা আংশিক সত্য তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু সিনেমাকে নিষিদ্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চরম অগণতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণু।

    ট্যুইট করেছেন অমিত মালব্য

    বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন, ‘‘৩০ মে পরিচালককে ডাকা হয়েছে কলকাতার থানায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে এটাই হল বাক স্বাধীনতা, শিল্প ও শিল্পীর মুক্তচিন্তার পরিবেশ।’’

    ছবির খুঁটিনাটি

    এই ছবির যে ট্রেলার প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখানো হয়েছে বাংলায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের পরিবেশ। এবং তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে বাংলা নব্বইয়ের দশকের কাশ্মীর হওয়ার পথে এগোচ্ছে। মহারাষ্ট্রের সনোজ মিশ্র এই ছবিটির পরিচালক। এবং এটি ওয়াসিম রিজভি ফিল্মসের তরফ থেকে প্রযোজনা করা হচ্ছে। চিত্রনাট্য লিখেছেন জিতেন্দ্র নারায়ণ সিং। ফিল্ম নির্মাতাদের দাবি, সত্য ঘটনার উপরেই এই সিনেমা বানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়ে নবান্নের সঙ্গে সংঘাত, ফাইল ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘কুড়মিদের বিষয়ে শহরের রাজপুত্ররা কী জানবে’’! অভিষেককে তুলোধনা দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘কুড়মিদের বিষয়ে শহরের রাজপুত্ররা কী জানবে’’! অভিষেককে তুলোধনা দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বাড়ি ঘেরাও করার জন্য কুড়মিদের উস্কে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনও জানিয়েছিলেন, তিনি প্রয়োজনে সব রকম সাহায্য করবেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এবার খোদ জঙ্গলমহলে কুড়মিদের বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হল অভিষেককে। শুক্রবার শালবনীতে ভাঙচুর চালানো হয় তাঁর কনভয়ে থাকা গাড়ির। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কুড়মিদের দিকেই।

    কুড়মিদের উস্কছিলেন অভিষেকই!

    এই বিষয়ে শনিবার প্রতিক্রিয়া জানালেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। গত সপ্তাহে কুড়মিদের উস্কে দেওয়ার জন্য কার্যত তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে তুলোধনা করলেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘হিংসার আশ্রয় নিয়ে আন্দোলনকে কেউ সমর্থন করে না। আমরা নিন্দা করি। কিন্তু দুই দিন আগেই তো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আপনারা দিলীপ ঘোষের বাড়ি আক্রমণ করুন, আমি সবরকম সহযোগিতা করব। তখন কুড়মিদের উস্কে দিতে খুব মজা লাগছিল না!’’

    কী বলেছিলেন অভিষেক?

    বৃহস্পতিবার, ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে পুরুলিয়ার শিমুলিয়ায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কুড়মিদের উদ্দেশে অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘আপনারা আন্দোলন করুন। প্রয়োজন হলে যান দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বাড়ি ঘেরাও করুন। যা যা সমর্থন লাগবে আমি দেব। লড়াইয়ে কাঁধ মেলাতে যাব। সমর্থন মানে, গায়ে গতরে খাটব।’’ তার ২৪ ঘণ্টার মাথায় এবার কুড়মিদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তৃণমূল সাংসদকে। এনিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘আমার বাড়িতে যখন হামলা চলল, তখন তৃণমূল নেতারা উস্কানি দিয়েছিলেন। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করেননি। আজ তাঁরা বুঝতে পারছেন।’’

    আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয়ে হামলা, ভাঙচুর মন্ত্রীর গাড়িও

    অভিষেক ‘শহুরে রাজপুত্র’, কটাক্ষ দিলীপের

    অভিষেকের জঙ্গলমহল সফরকেও কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বলেন, ‘‘এত রাতের বেলা কেন জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন? জঙ্গলমহেলর মানুষ শান্তিপ্রিয় সন্ধে বেলা বাড়ি চলে যায়। ওনার দরকার কী আছে জঙ্গলমহলে যাওয়ার। জেলায় জেলায় বোমা বিস্ফোরণ বন্ধ করার ক্ষমতা নেই। তা না করে জঙ্গলমহলের গরিব মানুষকে গিয়ে চমকাচ্ছেন। কিছু তো করতে পারবেন না। চুপচাপ বেড়ালের মতো পালিয়ে আসতে হবে।’’ এদিন অভিষেককে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, ‘‘আমি জঙ্গলমহলের ছেলে। আমি জানি কে আছে না আছে, ওখানে। উনি তো কালীঘাটের ছেলে, উনি কী করে বুঝবেন, কুড়মিরা কী খায়, কী করে থাকে। আমি জানি তাঁদের অভাব-অভিযোগ। ৫০ বছর ধরে বঞ্চনা হয়েছে। সে সব কথা শহরে বড় হওয়া রাজপুত্ররা জানেন না।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য কৃষক সন্তান অর্ণব সাহার

    Murshidabad: উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য কৃষক সন্তান অর্ণব সাহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যন্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) এলাকার দরিদ্র কৃষক পরিবারে পড়াশুনা করে কীভাবে সাফল্য পাওয়া যায়, সেই দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে অর্ণব সাহা। পরিবারে, বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৭৮ নম্বর পেয়ে মুর্শিদাবাদে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে অর্ণব সাহা। তার বাড়ি কান্দি থানার অন্তর্গত জীবন্তি জিয়াদারা গ্রামে। তার সাফল্যে স্কুল, পরিবার থেকে এলাকায় নেমে এসেছে খুশির হাওয়া। পরিবারে বাবা মা, তার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত। আগামী দিনে পড়াশুনা করে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে সমাজসেবার কাজ করতে চায় সে। 

    অর্ণব বাড়িতে (Murshidabad) কীভাবে পড়াশুনা করতো?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ স্কুলের কলাবিভাগের ছাত্র অর্ণব সাহা। তার বিষয় ছিল বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষাবিজ্ঞান, ভূগোল ও দর্শন। প্রতিটি বিষয়ে ৯০ এর উপরে নম্বর থাকলেও একমাত্র বাংলায় ৬৭ নম্বর পেয়েছে সে। অর্ণব জানিয়েছে, ভালো রেজাল্টের আশা করেছিলাম, কিন্তু বাংলায় এতো কমে পাব ভাবতে পারিনি। রিভিউ করলে আশাকরি নম্বর আরও বাড়বে! বাংলায় আরও বেশি নম্বর পেতে পারতাম। প্রতিদিন প্রায় ৬ থেকে ৭ ঘন্টা পড়াশোনা করতো বলে সে জানিয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি তুলতে এবং খেলাধূলা করতে পছন্দ করে অর্ণব।

    পরিবারের (Murshidabad) প্রতিক্রিয়া

    অর্ণবের বাবা পেশায় কৃষিকাজ করে পরিবার চালান। অত্যন্ত অভাব আর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে পরিবার চলত বলে জানিয়েছেন পরিবার। উচ্চ মাধ্যমিকের এই সাফল্যের পিছনে বাবা মায়ের (Murshidabad) যেমন পূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে, তেমনি তাকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারও যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তার পিতা সঞ্জীব সাহা জানান, ছেলে অর্ণবের ভালো ফল হয়েছে, আশাকরি ভবিষৎতে আরও এগিয়ে যাবে। অর্ণব আগামী দিনে উচ্চ শিক্ষা শেষ করে সরকারি অফিসার হয়ে সমাজসেবার কাজে নিযুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। কৃষক পরিবারের সন্তান অর্ণব সাহার এই ফলাফলে খুশির হাওয়া এলাকায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kharagpur:  নবজোয়ায়ের আগে তৃণমূলের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব

    Kharagpur: নবজোয়ায়ের আগে তৃণমূলের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেকের নবজোয়ারের কর্মসূচি ঠিক আগেই খড়গপুর শহরে আদি-নব্য তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলো। এবার ঘটনা দেখা গেল খড়গপুর (Kharagpur) পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে। সদ্য নির্দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কাউন্সিলার ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনলেন খড়গপুর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের আদি তৃণমূল নেতা জাবেদ আলী খান। এলাকায় এই নিয়ে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

    খড়গপুর (Kharagpur) কী অভিযোগ?

    পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের প্রেসিডেন্ট জাবেদ আলী খান অভিযোগ করেছেন, খড়গপুর (Kharagpur) পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার কিছুদিন আগেই নির্দল থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পৌর নির্বাচনে জাবেদ আলী তৃণমূলের দলীয় সিম্বল এবং তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে খড়গপুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারের কাজ করেছিলেন। আর এরপর থেকে তাঁদের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও তাঁর ভাই। তিনি আরো অভিযোগ করেছেন, দলীয় কোনও অনুষ্ঠানে তাঁকে ডাকা হয় না। শুধু তাই নয়, তিনি এই নিয়ে জেলা সভাপতি, শহর সভাপতি সকলকে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি আরও বিশেষ অভিযোগ জানিয়ে বলেন, আমার এক জায়গার উপরে পাঁচিল দিতে গেলে, কাউন্সিলার জোর করে সেই পাঁচিল ভেঙ্গে দেয়। সেই সঙ্গে পাঁচিল দেওয়ার সময় কর্মরত মিস্ত্রীর উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নব্য তৃণমূল কাউন্সিলার তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আর এই নিয়ে আদি তৃণমূল নেতা জাবেদ আলী খান লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখার্জিকে।

    কাউন্সিলারের বক্তব্য (Kharagpur)

    খড়গপুর (Kharagpur) পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ফিদা হোসেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানিয়েছেন, ১৬ ফুটের রাস্তাকে ১৪ ফুট করে দিয়েছেন জাবেদ আলী খান। সাধারণ মাপ থেকে দু ফুট এগিয়ে নিয়ে আসার প্রতিবাদ করাতে আমার বিরুদ্ধে উল্টোপাল্টা কথা বলা বলছেন তাঁরা। যাঁরা এই অভিযোগ আনছেন, তাঁরা আগে সিপিএম করতেন, এখন আবার তাঁরাই তৃণমূল করছেন বলে জানিয়েছেন ফিদা হোসেন। 

    কাজ করতে যাওয়া মিস্ত্রীর অভিযোগ (Kharagpur)

    ৫ নম্বর ওয়ার্ডের (Kharagpur) কাউন্সিলর ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক মিস্ত্রী অভিযোগ করে বলেছেন, আমি মিস্ত্রী হিসেবে রাস্তার কাজ করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমাকে কাজ বন্ধ করতে বলা হয় এবং এরপর পিছন থেকে কাউন্সিলার আমাকে ধরলে, তাঁর ভাই আচমকা আমাকে আমার কানের ভিতরে ঘুষি মারে। এরপর পুলিশ আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করে দেয়।  মিস্ত্রী আরও বলেন, এই বিষয়ে আমি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে, কাউন্সিলার এবং তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় আদি তৃণমূল কংগ্রেসের আরও কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ফিদা হোসেন, আদি তৃণমূল কর্মীদের উপরে মিথ্যে মামলা করার বারবার হুমকি দেন। অভিষেকের কর্মসূচির আগে ফের খড়গপুর শহরে আদি-নব্য তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে বলে মনে করছেন জেলার রাজনীতির একাংশ।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মৃত ১

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূল কর্মীর খুনে চরম চাঞ্চল্য। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম মনিরুল মুন্সী (৪২)। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের নওদা ব্লকের রাজপুর গ্রাম এলাকায়।

    কী ভাবে ঘটল খুন (Murshidabad)

    সূত্রের খবর গ্রামের কাঁচা রাস্তা তৈরী নিয়ে গন্ডগোল বাঁধে নওদার তৃণমূল (TMC) বিধায়িকার গোষ্ঠী এবং তৃণমূল ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর মধ্যে। দুইপক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি আর তারপর রড, লাঠি, ইঁট নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক মারামারি। ঘটনায় আহত হয় দুই পক্ষেরই প্রায় ৭ থেকে ৮ জন ব্যক্তি। আহতদের উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় মনিরুল মুন্সী নামে এক তৃণমূল কর্মীর। মৃত মনিরুল মুন্সী নওদার তৃণমূল বিধায়িকা শাহীনা মমতাজের গোষ্ঠীর লোক বলেই পরিচিত। অপর দিকে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, যারা খুন করেছে তারা নওদার ব্লক সভাপতি সফিউর জামান শেখ তথা হাবিব মাষ্টারের কাছের লোক। আবার জানা গেছে, এই হাবিব মাষ্টার মুর্শিদাবাদ সাংসদ আবু তাহের খানের ভাগ্নে গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত। শাসকের অন্দরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফলেই এই খুন বলে বিশেষ অভিযোগ বিরোধীদের। 

    মৃত তৃণমূল (TMC) কর্মীর ছেলের বক্তব্য

    মৃত তৃণমূল (TMC) কর্মীর ছেলে সুমন মুন্সী বলেন, এলাকায় রাস্তার কাজ চলছিল। কিন্তু রাস্তার কাজ হতে দেবে না বলে তৃণমূলের লোকেরাই এসে বাধা দেয়। সেই মুহূর্তে ইট ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। পেছেন থেকে এসে তিন জন বাঁশ দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করে এবং তারপরেই বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা করার সময় মারা যান। সুমনের বিশেষ বক্তব্য ছিল, যারা মেরেছে বাবাকে, তারা তৃণমূলেরই কর্মী।

    বিধায়িকা (Murshidabad) শাহীনা মমতাজ বেগমের বক্তব্য

    খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল (TMC) বিধায়িকা শাহীনা মমতাজ বলেন, রাস্তা করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বহুদিন ধরেই লড়াই চলছিল। এই ঘটনা রাজনৈতিক রং নিচ্ছে বটে, কিন্তু এই খুন  স্থানীয় কোন্দলের ফল, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এলাকায় একপক্ষ বলে রাস্তা হবে, অপর আরেক পক্ষ বলে রাস্তা হবে না, এই নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক দিন ধরেই সংঘর্ষ চলছিল। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, একটু ঝামেলা হলেই এখন সবাই অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়ে, এটা ঠিক নয়। মমতাজ বেগম আরও বলেন যে মনিরুল আমাদের তৃণমূল কর্মী, তাঁর মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। ব্লক সভাপতির সঙ্গে বিধায়িকার কোন্দলের কথা জিজ্ঞেস করলে উনি জানান, আমাদের মধ্যে এখন আর কোন মতভেদ নেই, আমরা মিটিয়ে নিয়েছি। কিন্তু গতকালকের খুনের ঘটনা অপর পক্ষের বহুদিনের জেদের কারণেই ঘটেছে বলে জানান বিধায়িকা। বর্তমানে খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নওদা থানার পুলিশ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chinsurah: জামাইষষ্ঠীর দিনে বাজি কাণ্ডে আটক জামাইবাবু

    Chinsurah: জামাইষষ্ঠীর দিনে বাজি কাণ্ডে আটক জামাইবাবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চুঁচুড়ায় (Chinsurah) জামাইষষ্ঠীর দিনে ফেঁসে গেলেন জামাই। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানার কাপাসডাঙ্গা এলাকায়, একজনের বাড়ি থেকে প্রায় ২০০০ কেজি বাজি আটক করলো চুঁচুড়া থানার পুলিশ। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য।

    চুঁচুড়াতে (Chinsurah) কী ঘটেছিল?

    রাজ্যের একাধিক জায়গায় পর পর বাজি বিস্ফোরণের ঘটনার পর, রাজ্যজুড়ে অবৈধ বাজি কারখানায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জায়গায় জায়গায় চলছে বাজি, বাজির মশলা উদ্ধার এবং ধরপাকড়। ঘটনা ঘটেছে চুঁচুড়ার কাপাসডাঙ্গা (Chinsurah) এলাকায়। শ্যালক বাপ্পাদিত্য নাথের বাজি কারখানায় তৈরি বাজি, তাঁর জামাইবাবু প্রণব দত্তের বাড়িতে রাখার জন্য গ্রেফতার হয়ে মহাবিপদে এখন জামাইবাবু ।

    পুলিশের ভূমিকায় কীভাবে উদ্ধার?

    বেশ কিছুদিন ধরে চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায় বিভিন্ন থানার পুলিশ অবৈধ বাজি কারখানা খুঁজে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে দিন দুই আগেই চুঁচুড়া কামারপাড়ার একজনের বাড়ি থেকে ২৫ কিলো বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারও হয় একজন। এরপরেই জামাইষষ্ঠীর দিন দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাপাসডাঙায় অভিযান চালায় চুঁচুড়া (Chinsurah) থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শব্দবাজি গুলো বেআইনি বাজি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক প্রণব দত্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের কাছে প্রণবের দাবী, ওই বাজি তাঁর নয়। তাঁর শ্যালক বাপ্পাদিত্য নাথ গাড়ি ভর্তি করে ওই বাজি পাঠিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে রাখার জন্য। হুগলি গ্রামীন পুলিশ জেলার চণ্ডীতলা থানার বেগমপুর এলাকায় বাপ্পার বাজি কারখানা রয়েছে বলে জানিয়েছে। চন্ডিতলা থানা যেভাবে চেকিং শুরু করেছে, তাতে নিরাপদ নয় ভেবে বাপ্পাদিত্য নাথ সেখান থেকে সরিয়ে, বৃহস্পতিবার সকালেই গাড়ি করে বাজি নিয়ে আসেন চুঁচুড়ার কাপাসডাঙায়। আর সরল মনের প্রণব ওই ট্রাক ভর্তি বাজি বাড়িতে রেখে দেন। খবর মিলতেই এদিন এলাকা ঘিরে ফেলে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। ঘন্টাখানেক ধরে তন্ন তন্ন করে খুঁজে সমস্ত বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই বাড়ির মালিক প্রণব দত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে, জানিয়েছেন চুঁচুড়া থানার ওসি অনুপম চক্রবর্তী। আরও কে কে এই বাজির পেছনে জড়িত, তা বর্তমানে জানার চেষ্টা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSNL: এবার ৫জি পরিষেবা চালু করতে চলেছে বিএসএনএল, কবে থেকে জানেন?

    BSNL: এবার ৫জি পরিষেবা চালু করতে চলেছে বিএসএনএল, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর ১ অক্টোবর ভারতে (India) চালু হয়েছিল ৫জি (5G) পরিষেবা। পরিষেবার সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্বয়ং। এই পরিষেবা চালু হওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে প্রথম ১ লক্ষ ৫জি সাইট চালু হয়েছিল। ভারতী এয়ারটেল, রিলায়েন্স জিওর মতো বেসরকারি সংস্থা ইতিমধ্যেই এই পরিষেবা দিতে শুরু করেছে। এই দুই সংস্থাই দেশের প্রায় প্রতিটি অংশে এই পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে। বেসরকারি সংস্থা ৫জি পরিষেবা দিতে পারলেও, পারেনি সরকারি সংস্থা বিএসএনএল (BSNL)। ৫জি তো দূর অস্ত, এখনও ৪জি পরিষেবাই চালু হয়নি।

    পিছিয়ে পড়েছিল বিএসএনএল (BSNL)

    প্রত্যাশিতভাবেই বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারছে না রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল। তবে সরকারি সংস্থার দুর্দশার এই দিন ঘুঁচতে চলেছে বলে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান, বিএসএনএলের ২০০টি সাইটে ৪জি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে। আপাতত তিন মাস ধরে চলবে পরীক্ষা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতিদিন গড়ে ২০০টি সাইটে চালু করা হবে এই পরিষেবা।

    কী জানালেন মন্ত্রী?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “বিএসএনএল যে গতিতে মোতায়েন করবে, তাতে আপনি অবাক হবেন। তিন মাস পরীক্ষার পর আমরা প্রতিদিন ২০০টি সাইটে কাজ করব। এই গতি আমরা দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাব। বিএসএনএল নেটওয়ার্ক প্রাথমিকভাবে ৪জি হবে। এটি সেই মতোই কাজ করবে। কিন্তু খুব শীঘ্রই নভেম্বর-ডিসেম্বরের কাছাকাছি এটি ছোট সফ্টওয়্যার সমন্বয় সহ ৫জি হয়ে যাবে।” তিনি বলেন, “বিএসএনএলের (BSNL) ৪জি আপগ্রেডেবল। অল্প কিছু সফ্টওয়্যারের পরিবর্তন ঘটালেই নেটওয়ার্ক ৫জিতে পরিণত হয়ে যাবে। আমি বিশ্বাস করি, নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যেই গোটা দেশে বিএসএনএল নেটওয়ার্ক চালু হয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুুন: সাবধান! চিনে ফের করোনার হানা, লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ

    প্রসঙ্গত, বিএসএনএলের (BSNL) প্রতিদ্বন্দ্বী রিলায়েন্স জিও ও ভারতী এয়ারটেল ৫জি পরিষেবা দিচ্ছে গ্রাহকদের। সেই জায়গায় বিএসএনএল এখনও তাদের গ্রাহকদের দিচ্ছে ২জি কিংবা ৩জি পরিষেবা। সেই কারণে ক্রমেই গ্রাহক সংখ্যা নিত্যদিন কমছে। তাই আরও লোকসানে চলছে রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থা। সেই কারণেই দ্রুত ৫জি চালু করে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাত দিয়ে চাইছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • China Covid: প্রতি সপ্তাহে সংক্রমিত সাড়ে ৬ কোটি! চিনে হু হু করে বাড়ছে করোনা

    China Covid: প্রতি সপ্তাহে সংক্রমিত সাড়ে ৬ কোটি! চিনে হু হু করে বাড়ছে করোনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের করোনার থাবা আঁতুড় ঘরে! চিনে আবারও হানা দিয়েছে করোনা (China Covid)। প্রতি সপ্তাহে চিনের প্রায় সাড়ে ৬ কোটি মানুষ করোনা সংক্রমিত হতে পারেন। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসে সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, চিনে নতুন করে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট এক্সবিবি। জুন মাসে সংক্রমণের মাত্রা আরও বাড়তে পারে।

    করোনার (Covid) আঁতুড় ঘর

    গোটা বিশ্বে করোনার মারণ ভাইরাস প্রথম ছড়িয়েছিল চিনের উহান প্রদেশ থেকেই (China Covid)। তার জেরে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রোগের বাড়বাড়ন্ত রুখতে প্রতিষেধক তৈরির তোড়জোড় চলতে থাকে। লকডাউন করেও পরিস্থিতির মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হয়। গোটা বিশ্বের মধ্যে চিনেই সব চেয়ে বেশি মানুষ সংক্রমিত হয় করোনায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে চিন। মাস কয়েক এর বিরুদ্ধেই তীব্র প্রতিবাদে শামিল হন হাজার হাজার চিনা নাগরিক। জনগণের দাবির কাছে পিছু হটে সরকার। বেরিয়ে আসে জিরো টলারেন্স (Covid) নীতি থেকে।

    হুহু করে বাড়ছে সংক্রমণ

    প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, তারপর থেকেই হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ(China Covid)। প্রতিদিনই হাসপাতাল-নার্সিংহোমে লম্বা লাইন পড়ছে করোনা সংক্রমিত রোগীর। চিনের মহামারি বিশেষজ্ঞ ঝং নানশান জানান, এক্সবিবি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে লড়াইয়ে পরীক্ষামূলকভাবে দুটি নতুন টিকা চালু করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই করোনার আরও তিন-চারটি টিকা সরকারি অনুদান পারে। তিনি জানান, গত বছরের শীতে কঠোর জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছিল চিন। সেই বিধিনিষেধ তুলে নিতেই বাড়ছে প্রাদুর্ভাব। হংকংয়ের স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মহামারি বিশেষজ্ঞের কথায়, নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সংক্রমণের সংখ্যা কম হবে। মৃত্যুর (Covid) সংখ্যাও কম হবে। তবে নিয়ন্ত্রণ না করলে সংক্রমণ আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে।

    আরও পড়ুুন: “৩০০-র বেশি আসনে জিতে ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদি”, আত্মবিশ্বাসী শাহ

    ২০১৯ সালে প্রথম বিশ্ব চেনে করোনা ভাইরাসকে (China Covid)। বহু গবেষণার পর নির্ণয় করা যায় ভাইরাস। বের হয় প্রতিষেধকও। ততক্ষণে অবশ্য বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৭০ লক্ষ মানুষের। বছর তিনেক পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে বিশ্ব। তবে ফের হানার আশঙ্কা যায়নি। দু দিন আগেই এ ব্যাপারে বিশ্বকে সতর্ক করেছেন হু কর্তা। তাঁর আশঙ্কা, এবার হানা দিতে পারে ডিজিজ এক্স। যা করোনার চেয়েও আরও বেশি মারাত্মক হতে পারে। এমতাবস্থায় চিনে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share