Tag: Bengali news

Bengali news

  • Balasore Train Accident: শনাক্ত হয়নি ৪১টি লাশ, বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণও জানালেন রেলমন্ত্রী

    Balasore Train Accident: শনাক্ত হয়নি ৪১টি লাশ, বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণও জানালেন রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার (Balasore Train Accident) পর কেটে গিয়েছে দেড় মাসেরও বেশি সময়। মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন তিনশোরও বেশি যাত্রী। এঁদের মধ্যে লাশ হয়ে স্বজনের কোলে ঠাঁই পেয়েছেন সিংহভাগ। তবে এখনও ৪১ জন যাত্রীর দেহ শনাক্ত করা যায়নি। তাই তাঁদের দেহের ঠাঁই হয়েছে ভুবনেশ্বর এইমসের ঠান্ডা ঘরে।

    এইমসের ঠান্ডা ঘরে…

    ভুবনেশ্বর এইমসের ডিরেক্টর আশুতোষ বিশ্বাস বলেন, “এখনও ৪১টি দেহের কোনও দাবিদার মেলেনি। লোকজন আসছেন আমাদের কাছে। আমরা ডিএনএর নমুনা মিলিয়ে দেহ হস্তান্তর করছি।” তিনি বলেন, “এখনও দেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। যাঁরা তাঁদের পরিজনদের দেহ নিতে আসছেন, ডিএনএর নমুনা মিললে তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। যতদিন না দাবিদার খুঁজে পাওয়া যায়, ততদিন দেহগুলি সংরক্ষণ করে রাখা হবে।”

    দুর্ঘটনার কারণ 

    এদিকে, শুক্রবার রাজ্যসভায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, সিগন্যালিং সার্কিট অল্টারেশনের ভুলেই ২ জুনের ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (Balasore Train Accident) ঘটেছিল। তিনি বলেন, “গত পাঁচ বছরে ২০১টি দুর্ঘটনার তদন্ত করা হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি দ্বারা। রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশন দ্বারা ১৮টি মামলার তদন্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী রেলওয়ে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে ভিন রাজ্যে বিজেপির বহু জয়ী সদস্য,’ বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী

    রেলমন্ত্রী বলেন, “সিগন্যাল গুমটিতে সিগন্যালিং-সার্কিট পরিবর্তনের ত্রুটির কারণে এবং লেভেল ক্রসিং গেট নম্বরের জন্য বৈদ্যুতিক উত্তোলন বাধা প্রতিস্থাপন সম্পর্কিত সিগন্যালিংয়ের কাজ ব্যাহত হওয়ায় সংঘর্ষটি হয়েছিল। স্টেশনে ৯৪ নম্বর গেটের এই ত্রুটিগুলির ফলে ১২৮৪১ নম্বর ট্রেন ভুল সংকেত পায়। যেখানে আপ সিগন্যাল স্টেশনের আপ লাইনে রান-থ্রু চলাচলের জন্য গ্রিন সিগন্যাল নির্দেশ করে, কিন্তু আপ মেইন লাইনকে আপ লুপ লাইনের সঙ্গে সংযোগকারী ক্রসওভারটি আপ লুপ লাইনে সেট করা হয়েছিল। ভুল সিগন্যালিংয়ের ফলে ট্রেন নম্বর ১২৮৪১ আপ লুপ লাইনের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা গুডস ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ (Balasore Train Accident) হয়। প্রসঙ্গত, ২ জুন বালেশ্বরের অদূরে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হাওড়াগামী শালিমার এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ির সংঘর্ষ হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ranil Wickremesinghe: মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে ভারত সফরে এলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট

    Ranil Wickremesinghe: মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে ভারত সফরে এলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু দিনের ভারত সফরে এলেন শ্রীলঙ্কার (Sri lanka) প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। বৃহস্পতিবার দিল্লি বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরণ। তাঁকে স্বাগত জানাতে শিল্পীরা বিমানবন্দরেই গরবা নৃত্য পরিবেশন করেন। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানেই ভারত সফরে এসেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট।

    ভারত-শ্রীলঙ্কার সম্পর্ক

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “বিক্রমসিংহের ভারত সফর ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। ক্ষমতায় আসার পর বিক্রমসিংহের এটাই প্রথম ভারত সফর।” ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহকে ভারতে স্বাগত। তাঁর সফরে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সম্পর্ক হবে আরও মজবুত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি সফরে প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe) সাক্ষাৎ করবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে।

    নেইবারহুড ফার্স্ট পলিসি

    সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। দু পক্ষে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের নেইবারহুড ফার্স্ট পলিসি ও ভিশন সাগরে শ্রীলঙ্কা ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের এই সফর দুই দেশের মধ্যের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। অরিন্দম জানান, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের এই সফর দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বহুমুখী সম্পর্ককে সুদৃঢ় করবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের (Ranil Wickremesinghe) এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের এমন একটি প্রতিবেশী দেশ, যাঁদের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের সম্পর্ক বহুমুখী।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের জেলা সভাপতির অপসারণ চাই, ফের বিস্ফোরক হুমায়ুন কবীর

    প্রসঙ্গত, চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে আক্ষরিক অর্থেই সর্বস্বান্ত হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। শেষমেশ দেশকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে হয়। তার জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দ্বীপরাষ্ট্র। প্রতিবেশী দেশের এমনতর বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ায় নরেন্দ্র মোদির ভারত। শ্রীলঙ্কাকে নানাভাবে সাহায্য করে নয়াদিল্লি। তার জেরে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। এর পরেই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই দু দিনের ভারত সফরে এসেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anurag Thakur: “বাংলায়ও অত্যাচার হচ্ছে, সবাই মূক হয়ে গিয়েছেন”, মণিপুরকাণ্ডে মমতাকে নিশানা অনুরাগের

    Anurag Thakur: “বাংলায়ও অত্যাচার হচ্ছে, সবাই মূক হয়ে গিয়েছেন”, মণিপুরকাণ্ডে মমতাকে নিশানা অনুরাগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় মেদিনীপুর, ডেবরায় আদিবাসী মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। মহিলাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই বাংলা। মোমবাতি মিছিলকারীরা কোথায়? সবাই মূক হয়ে গিয়েছেন।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর একটি ভিডিও (যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তার পরেও দেশের বিরোধী দলগুলির একমাত্র ইস্যু হয়ে উঠেছে মণিপুরের ওই ঘটনা।

    নিশানায় তৃণমূল

    সেই প্রসঙ্গেই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন অনুরাগ। তিনি বলেন, “মমতা সরকারের মমতা কোথায়? কী করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বাংলায় মমতা নির্মমতার প্রতীক। ভয়ের বাতাবরণে বাঁচছেন বাংলার মহিলারা।” কংগ্রেসের প্রতি তাঁর প্রশ্ন, “বাংলায় আদিবাসী মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ক্ষেত্রে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী চুপ কেন?” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Anurag Thakur) বলেন, “মণিপুরে কংগ্রেসের আমলে আরও অনেক বেশি নির্যাতিত হতেন মহিলারা। সংসদে কেন্দ্র মণিপুর ইস্যুতে প্রশ্ন নিতে রাজি। তাহলে বিরোধীদের ভয় কীসের?”  

    চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন অনুরাগও

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মতো অনুরাগও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতেও কীভাবে দিনের পর দিন ঘটছে মহিলা নির্যাতনের ঘটনা। অনুরাগ বলেন, “বিহারের বেগুসরাইয়ে নির্যাতনের শিকার মহিলা। অথচ মুখ্যমন্ত্রী নীরব। নারী নির্যাতনে শীর্ষে রাজস্থান। একের পর এক লজ্জাজনক ঘটনা ঘটছে সেখানে। নারী নির্যাতন দেখেও চুপ কেন মুখ্যমন্ত্রী?  তিনি দায় এড়াতে পারেন না।”


    এদিন বাংলাকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধানও। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েছেন এবং আশ্বস্ত করেছেন যে মহিলাদের ওপর অত্যাচার বরদাস্ত করা যাবে না এবং দোষীদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। যেটা (Anurag Thakur) মণিপুরে ঘটেছে, সেটা দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু যেটা পশ্চিমবঙ্গে ঘটছে, সেটা আরও দুর্ভাগ্যজনক।

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ এএসআইকে, কোন শর্তে জানেন?

    যাঁরা মণিপুরের হিংসার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন, তাঁরা একই রকম ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে ঘটা সত্ত্বেও চুপ কেন? এক্ষেত্রেও উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে। এটিও লজ্জাজনক।” এদিকে, মণিপুরের ভিডিওকাণ্ডে এদিন আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফাতার করা হয়েছে। এনিয়ে ওই ঘটনায় গ্রেফতার হল মোট পাঁচজন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: টানা বর্ষণ, মেঘভাঙা বৃষ্টি, জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দেবভূমি  

    Uttarakhand: টানা বর্ষণ, মেঘভাঙা বৃষ্টি, জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দেবভূমি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বর্ষণ, তার ওপর আবার  মেঘভাঙা বৃষ্টি। জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দেবভূমি (Uttarakhand)। ভাঙন দেখা দিয়েছে উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন নদীতে। ধসের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বেশ কিছু এলাকা। দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। প্রবল জলের তোড়ে একটি সড়কের ১৫০ মিটার এলাকা ভেসে গিয়েছে। এই সড়ক ধরেই বঙ্গপানি থকে জরাজিবালি যাওয়া যায়। এদিকে, শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের সাতটি জেলায় ২৪ ঘণ্টার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। শনিবার বিকেল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে হরিদ্বার, উত্তরকাশী, তেহরি, পাউরি, দেরাদুন, পিথোরগড়, বাগেশ্বর এবং চম্পাওয়ায়। প্রবল বর্ষণের জেরে উত্তরকাশীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বারকোটের কাছে রাজতার গাংনানী এলাকায় বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকাটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কত, তা জানা যায়নি।

    বন্ধ বদ্রীনাথ ধাম যাত্রা

    প্রবল ধারাপাতের (Uttarakhand) জেরে ধস নেমেছে বদ্রীনাথ ধামে যাওয়ার রাস্তায়। তার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বদ্রীনাথ ধাম যাত্রা। চামোলি জেলার কাছে ধস নামায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে জাতীয় সড়ক। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শুক্রবার দিনভর ভারী বৃষ্টির জেরে চামোলি জেলার কালিমতির কাছে ১০৯ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রায় ১৫ মিটার অংশ ভেঙে গিয়েছে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কর্ণপ্রয়াগ ও নৈনিতাল।

    বিপর্যয়-প্রবণ

    এদিকে, এদিন রাজ্যের (Uttarakhand) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। হরিদ্বারে উদ্ধার ও ত্রাণকাজ খতিয়ে দেখেন তিনি। জলমগ্ন এলাকাগুলিকে বিপর্যয়-প্রবণ বলে ঘোষণা করা হয়। সরকারের তরফে আগামী তিন মাসের জন্য বিদ্যুতের বিল, জলের বিল সহ অন্য সরকারি পরিষেবার জন্য প্রদত্ত বকেয়া বিল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে বন্যা রুখতে নদীগুলির গতিপথ পরিষ্কার ও অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করা হবে। স্থায়ী ত্রাণ শিবিরও তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ এএসআইকে, কোন শর্তে জানেন?

    ভারী বর্ষণের জেরে উত্তরকাশী জেলার কস্তুরবা ইন্টার কলেজ স্কুল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। রেসিডেন্সিয়াল এই স্কুল থেকে পড়ুয়াদের উদ্ধারের কাজ করছে স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের লোকজন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই স্কুলটির সব পড়ুয়াকেই উদ্ধার করা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, স্কুলটিতে আটকে পড়েছিলেন ১৫০ পড়ুয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ এএসআইকে, কোন শর্তে জানেন?

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ এএসআইকে, কোন শর্তে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Mosque) ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিল বারাণসী জেলা আদালত। শুক্রবার আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। তবে আদালতের তরফে এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, ওজুখানায় পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ এবং সন্নিহিত এলাকায় এখনই কোনও সমীক্ষা করা হবে না। প্রসঙ্গত, পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে দিয়ে সমীক্ষা করানোর আবেদন আদালতে জানিয়েছিলেন চার হিন্দু মহিলা। আর মসজিদ কমিটির তরফে বিরোধিতা করা হয়েছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ এলাকায় কোনওরকম সমীক্ষার। দু পক্ষের মতামত শোনার পর ১৪ জুলাই রায় সংরক্ষিত রেখেছিলেন সিনিয়র বিচারক অজয় কুমার বিশ্বেস। ৪ অগাস্টের মধ্যে সমীক্ষা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    মা শৃঙ্গার গৌরী

    একুশের অগাস্ট মাসে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর (Gyanvapi Mosque) মা শৃঙ্গার গৌরী (বর্তমানে যা ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের ভিতরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্ব দাবি করে প্রার্থনার অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের করেন। এর পরেই মসজিদের ভিতরের ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দেন বারাণসীর নিম্ন আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর। পরে প্রাপ্ত নমুনাগুলির কার্বন ডেটিংয়ের পরীক্ষার আবেদন জানায় হিন্দু সংগঠনগুলি।

    ওজুখানায় শিবলিঙ্গ!

    হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, মসজিদ চত্বরের ওজুখানায় শিবলিঙ্গ রয়েছে। তার বয়স জানার জন্য কার্বন ডেটিং পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়। বিশ্বেশ সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলেছিলেন, শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব খোঁজার জন্য জ্ঞানবাপী চত্বরে কোনওরকম বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের কাজ করা যাবে না। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জানানো হয়েছে ইলাহাবাদ হাইকোর্টে। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন।

    গত মে মাসে হিন্দু মহিলা ভক্তদের তরফে সিল করা ওজুখানা (Gyanvapi Mosque) এলাকার বাইরে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়েছিল। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সেই দাবি মেনে নিয়েছেন বিচারক বিশ্বেস। এই মামলায় নিযুক্ত উত্তর প্রদেশ সরকারের বিশেষ কৌঁসুলি রাজেশ মিশ্র এদিন বলেন, কোনও হিন্দু মন্দিরের জায়গায় মসজিদ গড়া হয়েছে কিনা, তা সমীক্ষা করে দেখবেন পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ।

    আরও পড়ুুন: অভিষেকের হুঁশিয়ারির পর খড়গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ১৯৯১ সালে জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে মামলা দায়ের হয় বারাণসী আদালতে। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একটি অংশ ভেঙে এই মসজিদ তৈরি করা হয়। এর পরেই মসজিদ চত্বরে পুজোর অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের হয়। দাবি জানানো হয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের সমীক্ষারও। প্রসঙ্গত, মন্দিরের ওজুখানায় শিবলিঙ্গ রয়েছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, ওজুখানায় শিবলিঙ্গ রয়েছে বলে যা বলা হচ্ছে, তা আদতে একটি ফোয়ারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Monsoon Session: মণিপুর নিয়ে ব্যাপক হট্টগোল, বিরোধীদের বাধায় মুলতুবি সংসদ

    Parliament Monsoon Session: মণিপুর নিয়ে ব্যাপক হট্টগোল, বিরোধীদের বাধায় মুলতুবি সংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথা মেনে বৃহস্পতিবার সকালে সংসদের বাদল অধিবেশনের (Parliament Monsoon Session) শুরুতে শোকপ্রস্তাব পাঠের পর মুলতুবি করে দেওয়া হয় সভা। ২৬৭ নম্বর ধারা নিয়ে বিতর্কের জেরে দুপুর ২টো ১৭ মিনিট নাগাদ ফের মুলতুবি করে দেওয়া হয় রাজ্যসভা। দুপুর ২টো নাগাদ লোকসভার অধিবেশন শুরু হতেই মণিপুর (Manipur) নিয়ে হইচই জুড়ে দেন বিরোধীরা। উত্তর পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্য নিয়ে ব্যাপক হট্টগোলের জেরে এদিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষই।

    বৈঠকে ইন্ডিয়া জোট

    সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা মণিপুর নিয়ে সংসদের দুই কক্ষেই আলোচনা করতে চায়।” তিনি এও জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবেন। তবে কোন সময় এই রিপোর্ট পেশ করা হবে, তা ঠিক করবেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, জানান তিনি। এদিন অধিবেশন শুরুর আগেই সংসদ চত্বরে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের চেম্বারে বৈঠক করেন ইন্ডিয়া জোটের সংসদের নেতারা। সেই মতো অধিবেশন (Parliament Monsoon Session) শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই হট্টগোল (Manipur) জুড়ে দেন তাঁরা। তার জেরে মুলতুবি হয়ে যায় সভা।

    তিনটি নোটিশ

    রাজ্যসভার কার্যক্রম মুলতুবি (Parliament Monsoon Session) থাকার সময়ই কক্ষে জমা পড়ে তিনটি নোটিশ। উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড় জানান, ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনা এবং রেল নিরাপত্তা, বেকারত্ব এবং মণিপুরের হিংসার বিষয়ে আলোচনা চেয়েছেন বিরোধীরা। বেলা ২টোয় উভয় কক্ষেরই কার্যক্রম ফের শুরু হয়। সংসদীয় কার্যক্রম যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায়, তা নিয়ে বিরোধী নেতাদের অনুরোধ করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। যদিও কার্যক্রম শুরু হতেই শুরু হয় হট্টগোল। মণিপুরে (Manipur) হিংসা নিয়ে অবিলম্বে আলোচনার দাবিতে সংসদের উভয় কক্ষেই স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধীরা। তার পরেই এদিনের মতো মুলতুবি করে দেওয়া হয় উভয় কক্ষের কার্যক্রম।  

    আরও পড়ুুন: গড়াগড়ি খাচ্ছে হাজার হাজার সিদ্ধ ডিম, তৃণমূলের শহিদ দিবস নাকি মোচ্ছব!

    প্রসঙ্গত, হিন্দু মেইতেই এবং খিস্টান কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ৩ মে থেকে অশান্তি শুরু হয়েছে উত্তর পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুরে (Manipur)। মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। পোড়ানো হয়েছে ঘর-বাড়ি-গাড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। গড়া হয়েছে শান্তি কমিটিও। তার পরেও প্রকাশ্যে আসছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের মদতেই কুলটিতে মন্দিরের জমি হাতানোর চেষ্টা জমি মাফিয়াদের

    TMC: তৃণমূলের মদতেই কুলটিতে মন্দিরের জমি হাতানোর চেষ্টা জমি মাফিয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দিরের জমিও দখল করে নিচ্ছে জমি মাফিয়ারা। আর এসব বেআইনি কারবারে মদত রয়েছে তৃণমূলের (TMC)। শাসকদলের দৌলতে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি বিধানসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডুবুর্ডিহি নিচুবস্তির মহাকাল শিবমন্দির এলাকায়। আর এই শিবমন্দিরের পাশে থাকা জমি অবৈধভাবে দখল করছে জমি মাফিয়ারা বলে অভিযোগ মন্দির কমিটির মানুষদের। মন্দিরের পাশে বন দফতরের পক্ষ থেকে লাগানো হয়েছিল গাছ, সেইসব গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। মন্দিরের কিছুটা দূরে জমি প্লট করে বিক্রি করার কাজ চলছে। এবার জমি মাফিয়াদের নজর পড়েছে শিবমন্দির লাগোয়া জমির উপর।

    জমি মাফিয়াদের হয়ে কেন কথা বলতে গেলেন তৃণমূল (TMC) নেতা?

    মন্দিরের জমি দখল করার চেষ্টা হওয়ায় ক্ষুব্ধ মন্দির কমিটির কর্মকর্তারা। জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা মোহিত মণ্ডল মন্দির কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে যান। মন্দিরের জমি ছেড়ে জমি প্লট করার কথা বলা হয়। কিন্তু, প্রশ্ন উঠেছে, জমি মাফিয়াদের হয়ে তৃণমূল নেতা কেন কথা বলতে যায়? তৃণমূলের মদতেই কি মন্দিরের জমি দখল করার চেষ্টা চলছিল। কারণ, জমি মাফিয়াদের এত ক্ষমতা হল কী করে। শাসক দলের একাংশের মদতেই জমি মাফিয়ারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের (TMC) কুলটি ব্লক যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিমান দত্ত বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রশাসনকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করব। যদি কেউ জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করব। এই বিষয়ে আসানসোল পৌরনিগমের ১৬নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মুনমুন মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি আসানসোল পৌরনিগম ও প্রশাসনকে জানানো হবে। কারণ আসানসোল পৌরনিগমের নির্দেশ রয়েছে কোনও অনৈতিক বা আইন বিরুদ্ধে কাজ মানা হবে না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপি নেতা টিঙ্কু বর্মা বলেন, তৃণমূলের (TMC) মদত ছাড়া এই ধরনের বেআইনি কারবার কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়। শাসক দলের পিছনে হাত রয়েছে বলেই জমি মাফিয়াদের এত সাহস। শিব মন্দিরের জমিও দখল করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি প্রশাসনকে খতিয়ে দেখার আবেদন করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: “সরকার পদক্ষেপ না করলে আদালত বাধ্য হবে”, মণিপুরকাণ্ডে বললেন চন্দ্রচূড়

    Manipur: “সরকার পদক্ষেপ না করলে আদালত বাধ্য হবে”, মণিপুরকাণ্ডে বললেন চন্দ্রচূড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই ঘটনায় (Manipur) আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যদি সরকার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে আদালত স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে।” বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আগামিকাল, শুক্রবারের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। শুনানিও হবে এদিন। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “সরকারের অবিলম্বে পদক্ষেপ করা উচিত। গণতন্ত্রে এই ধরনের ঘটনা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।”

    প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা

    মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। “মণিপুরের (Manipur) ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার। ওই ঘটনায় দেশের ১৪০ কোটি মানুষের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে।” বৃহস্পতিবার সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে এই ভাষায়ই মণিপুরের ঘটনার নিন্দা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় তিনি যে ব্যথিত ও ক্রুদ্ধ, তাও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইট-বার্তায় ঘটনার নিন্দা করেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি লেখেন, মণিপুরে ২ মহিলার যৌন নির্যাতনের ভয়াবহ যে ভিডিও সামনে এসেছে, তা নিন্দনীয় ও সম্পূর্ণ অমানবিক।

    চিন্তিত চন্দ্রচূড় 

    সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, “গতকাল ভিডিও দেখার পর আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, চিন্তিত। আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সময় হয়েছে সরকারের পদক্ষেপ করার। এই ঘটনা অনস্বীকার্য, এটা মানা যায় না।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “কেন্দ্রকে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছি। যদি সরকার পদক্ষেপ না করে, তবে আদালত পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে। এই ধরনের অপরাধের ঘটনা ঘটানোর জন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরকার কী পদক্ষেপ করছে, তার দিকে নজর রাখছে আদালত। সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও দেখা গিয়েছে, তা সংবিধান উল্ঘনের প্রমাণ।”

    আরও পড়ুুন: ফের রাজভবন-নবান্ন সংঘাত! বিধানসভার বাদল অধিবেশন নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    প্রসঙ্গত, ৩ মে থেকে অশান্তি শুরু হয়েছে উত্তর পূর্বের পাহাড়ি এই রাজ্যে (Manipur)। হিন্দু মেইতেই এবং খিস্টান কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। পোড়ানো হয়েছে ঘর-বাড়ি-গাড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। তার পরেও ঘটে চলেছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: অভিষেকের হুঁশিয়ারির পর খড়গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: অভিষেকের হুঁশিয়ারির পর খড়গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম। বিজেপি (BJP) প্রার্থী সঞ্জয় দাসের বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে। বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের হামলা পাল্টা বিজেপির প্রতিরোধে দুপক্ষের মোট ৭ জন জখম হন। তাদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    ২১ জুলাই সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি (BJP) নেতাদের ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। অভিষেকের সভার পর পরই খড়গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর সঞ্জয় দাসের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক এসে সঞ্জয় দাসের বাড়ি ঘেরাও করে। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুরানো গণ্ডগোল তুলে সঞ্জয়বাবুদের বচসা শুরু হয়। এরপরই তৃণমূলের নেতৃত্বে ব্যাপক হামলা চালানো হয়। প্রতিবাদ করলে বিজেপি প্রার্থীর বাবাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটায়। চোখের সামনে বাবাকে মারতে দেখে বিজেপি নেতা সঞ্জয়বাবু বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়।

    কী বললেন আক্রান্ত প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    বিজেপি (BJP) প্রার্থী সঞ্জয় দাসের পরিবারের লোকজন বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি হারতেই ওরা দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। শুক্রবার রাতে পুরানো একটি গণ্ডগোলের বিষয় নিয়ে কথা তুলে বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। আমাদের মারধর করে। পুলিশ আমাদের কোনও মামলা নেয়নি। উল্টে আমাদের কর্মীদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) মুর্শিদাবাদের উত্তরের সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, অভিষেকের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের জন্যই এই হামলার ঘটনা ঘটল। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুলিশের ভুমিকা ঠিক নয়। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের খড়গ্রাম ব্লকের সভাপতি শামসের আলি মমিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: সাইফার গেট কেলেঙ্কারি মামলায় মৃত্যুদণ্ড হতে পারে ইমরানের?

    Imran Khan: সাইফার গেট কেলেঙ্কারি মামলায় মৃত্যুদণ্ড হতে পারে ইমরানের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইফার গেট কেলেঙ্কারি মামলায় ফেঁসে যেতে পারেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি সুপ্রিমো ইমরান খান (Imran Khan)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আশিফ শুক্রবার জানান, তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধান ইমরান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকারি নথি উন্মোচন করে জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করেছেন বলে অভিযোগ।

    সাইফার কী

    দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে কারাদণ্ড হতে পারে। প্রসঙ্গত, সাইফার হল একটি সরকারি শ্রেণিবদ্ধ নথি, যেটি কখনও প্রকাশ যায় না বা কারও সঙ্গে শেয়ার করা যায় না। পাক সংবিধানের ৬ নম্বর ধারার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধানের ওপর ৬ নম্বর ধারা প্রয়োগ হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।” প্রসঙ্গত, ইমরানের এক পদস্থ প্রাক্তন সহযোগী সম্প্রতি স্বীকার করেছেন যে, পাকিস্তানের দূত ওয়াশিংটনকে যে সাইফার পাঠিয়েছিলেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে, ইমরান তাকে হাতিয়ার করেছেন রাজনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যে।

    সাইফারকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ

    পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যের ঠিক আগের দিনই সে দেশের আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারারও প্রায় একই কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকারি নথি প্রাকাশ্যে এনে জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার অভিযোগ রয়েছে ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর জেল হবে। ইসলামাবাদে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী বলেন, ইমরান সাইফারকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন।

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভ উগরে দিলেন হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা, কেন?

    এ বিষয়ে পাকিস্তান ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি তাঁকে তলবও করেছিল। তিনি বলেন, “সাইফারকে নির্বিচারে ব্যবহার করে জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছিলেন ইমরান খান। এটা তৎকালীন মুখ্যসচিব আজম খানের স্বীকারোক্তি থেকেই স্পষ্ট।” তাঁর দাবি, তিনি যখন সরকারি এই নথি নিয়ে ইমরানের (Imran Khan) সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন, তখন ইমরান উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তিনি একে আমেরিকার ভুল বলে উল্লেখ করেছিলেন। তবে যদি গোপন নথিটি প্রকাশ করা হয় এবং নিজের স্বার্থে তার বিষয়বস্তু ফাঁস করা হয়, তবে ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে ইমরানের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share