Tag: Bengali news

Bengali news

  • Suvendu Adhikari:  “জাল এসসি, এসটি সার্টিফিকেট দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari:  “জাল এসসি, এসটি সার্টিফিকেট দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) জমানায় উঠেছে একের পর এক দুর্নীতির আভিযোগ। কখনও টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে শিক্ষকতার চাকরি, কখনও আবার চড়া দরে বিক্রি হয়েছে পুরসভার চাকরি। যার জেরে ফুলে ফেঁপে উঠেছেন তৃণমূলের ছোট-বড় সব স্তরের নেতারাই। নিয়োগের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের এই দীর্ঘ তালিকায় নয়া সংযোজন!

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, সংরক্ষিত আসনে ভুয়ো এসসি, এসটি সার্টিফিকেট দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। শুক্রবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় হুল দিবস উদযাপন মঞ্চে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। সেখানেই নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। জাল এসসি, এসটি সার্টিফিকেট দিয়ে পুলিশে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। উঠেছে ভুয়ো ব্যালট পেপার ছাপার অভিযোগও। 

    নিশানায় মমতার সরকার

    এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ভুয়ো এসসি, এসটি সার্টিফিকেট জমা দিয়ে সম্প্রতি রাজ্য পুলিশে নিয়োগ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডিএম, এসপি এবং পুলিশ আধিকারিকরা অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের আধিকারিকদের চাপ দিয়ে এসসি, এসটি, ওবিসি নন, এমন মানুষদের সার্টিফিকেট দিতে বাধ্য করেছেন। আর সেই ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা দিয়ে তৃণমূল বিভিন্ন সংরক্ষিত আসনে সাধারণ মানুষকে প্রার্থী করেছে। এভাবে আদিবাসী, জনজাতিদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে এ রাজ্যের সরকার।”

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল নেতার পাশে ছত্রধর পুলিশ! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “সম্প্রতি এ ব্যাপারে তথ্য জানার অধিকার আইনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আমি জানতে চেয়েছি সংরক্ষিত আসনে যে তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন করেছে, তাঁদের নাম, বাবার নাম ও সাবকাস্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সনাতনীদের মধ্যে ভাগ করতে চায়। সংখ্যালঘুদের ৩০ শতাংশ ভোট নিজেদের পকেটে রেখে বাকি সনাতনীদের ভাগ করে পিসি-ভাইপো রাজ চালাতে চান।” 

    সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চেয়েছি নির্বাচন কমিশনের কাছে। নির্বাচন কমিশন উত্তর দিতে বাধ্য। উত্তর দিলে আশাকরি, আর একটি বড় দুর্নীতি সামনে আনতে পারব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: কোচবিহারে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিশীথ প্রামাণিকের, কী কথা হল?

    Panchayat Election 2023: কোচবিহারে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিশীথ প্রামাণিকের, কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর এক সপ্তাহ বাকি নেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023)। এই আবহে, শনিবার সকালে কোচবিহার সার্কিট হাউসে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik Meets Governor)। 

    সকাল থেকেই কোচবিহার সার্কিট হাউসে ব্যস্ততা

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) দামামা বাজতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিংসার অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর রাজ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে ঘটে গিয়েছে একাধিক অশান্তির ঘটনা। ঝরেছে রক্ত, গিয়েছে প্রাণ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বর্তমানে তিনি রয়েছেন কোচবিহারে। এই আবহে, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik Meets Governor)। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির ৫ বিধায়ক। এদিন নিশীথের সঙ্গে দেখা যায় বিজেপি জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক সুকুমার রায়, বিধায়ক মালতি রাভা, বিধায়ক সুশীল বর্মন, বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন ও বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে।

    রাজ্যপালকে কী বললেন নিশীথ প্রামাণিক?

    এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সার্কিট হাউসে ঢোকেন নিশীথ প্রামাণিক। তাঁর আগে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘গোটা উত্তরবঙ্গজুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযোগ জানাব। একইসঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হতে পারে, সেই বিষয়েও কথা বলব।’’ পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) ঘোষণার পর থেকে মনোনয়ন–পর্ব ও তার পরও কোচবিহারে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত। অশান্তি ঠেকাতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ এদিন দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী (Nisith Pramanik Meets Governor)। বিধায়ক মালতি রাভা বলেন, ‘‘তৃণমূল কর্মীরা একের পর এক বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে৷ বাড়িঘর ভাঙচুর করছে৷ সেসব নিয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানাব।’’

    আরও পড়ুন: দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল! কেন জানেন?

    নিশীথের পাশাপাশি এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলও। তাঁদেরও অভিযোগ, শাসক দল তৃণমূল ভোটের প্রচারে করতে বাধা দিচ্ছে। ভয় দেখাচ্ছে। এআইসিসি সদস্য পিয়া রায় চৌধুরী বলেন, ‘‘কোচবিহার জেলা জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে৷ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে রাজ্যপালের কাছে এসেছি।’’

    আজ দিনহাটায় যাবেন রাজ্যপাল

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহার। দিনহাটা, গিতালদহ, শীতলকুচির মত এলাকায় লাগাতার অশান্তি লেগেছে। একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। কিছুদিন আগে দিনহাটার শিমূলতলা এলাকায় বিজেপির মন্ডল সম্পাদক খুন হয়েছেন। এরপর দিনহাটা-২ ব্লকের টিয়াদহ গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে পাটখেত থেকে। এর পর দিনহাটা-১ ব্লকের গিতালদহ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জারিধরলা গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুলিও চলেছে। শীতলকুচিতেও তৃনমূল-বিজেপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে আজ, শনিবার সেই সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে যাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি, কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালেও যাবেন রাজ্যপাল। আক্রান্ত এবং মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন দিনহাটায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: কুড়মি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: কুড়মি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের ধমকেছিলেন। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ২৮ জন কুড়মি প্রার্থী। মামলার শুনানি চলে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। শুক্রবার আদালতের নির্দেশ, ওই প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। ১৫ জুলাই পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না।

    কুড়মিদের বিক্ষোভ

    গত ২৬ মে ঝাড়গ্রামে নবজোয়ার কর্মসূচি সেরে লোধাশুলি হয়ে শালবনি যাওয়ার পথে অভিষেকের কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান কুড়মিরা। এই হামলার ঘটনায় কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি রাজেশ মাহাত ও আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজি মাহাত সহ মোট ১৫ জন বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। এদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। যদিও রাজেশের দাবি ছিল, সিবিআই তদন্তের।

    অভিষেকের হুঁঁশিয়ারি

    বিক্ষোভকারীদের (Panchayat Election 2023) হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, “যারা করেছে, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করেছি। প্রশাসনও চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে। ভদ্রতার খাতিরে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেছি। খেলা তুমি শুরু করেছ, আমি শেষ করব।” ওই মামলায় অভিযুক্তরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুড়মি প্রার্থীদের প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে যাতে কড়া পদক্ষেপ করা না হয়, সেই আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কুড়মিরা। সেই মামলায় আদালতের নির্দেশ, মামলাকারীদের বিরুদ্ধে ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। তাঁরা তাঁদের বাড়ির ঠিকানা, এই কয়েকদিন যেখানে তাঁরা থাকবেন, সেখানকার ঠিকানা ও তাঁদের মোবাইল নম্বর স্থানীয় থানায় জমা দেবেন।

    আরও পড়ুুন: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    এক সময় জঙ্গলমহলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের আধিপত্য থাকলেও, ক্রমেই সরছে পায়ের নীচের মাটি। সম্প্রতি পঞ্চায়েতে ‘নো ভোট টু টিএমসি’র ডাক দিয়েছিল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। ধৃত নেতাদের মুক্তি না দিলে এবং কুড়মি সমাজের দাবি (Panchayat Election 2023) না মানলে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া হবে না বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছিল কুড়মি সমাজের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। জঙ্গলমহলে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন কুড়মি সমাজের প্রার্থীরাও। প্রার্থী যে দেওয়া হবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অশোক মাহাত। তিনি বলেছিলেন, “আমরা এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে জঙ্গলমহলে প্রার্থী দেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর, পদত্যাগ করা হল না বীরেনের

    Manipur: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর, পদত্যাগ করা হল না বীরেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মানতে হল মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহকে। আপাতত মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিচ্ছেন না তিনি। যদিও প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার বেলা আড়াইটে নাগাদ ২০ জন দলীয় বিধায়ককে নিয়ে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ততক্ষণে ইম্ফলে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে বীরেনকে।

    ছেঁড়া হল ইস্তফাপত্র

    একপ্রকার বাধ্য হয়েই নিজের বাসভবনে ফিরে যান তিনি। এর পর বেরিয়ে আসেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফাপত্রটি নিয়ে পড়তে শুরু করেন তিনি। সেই সময়ই কিছু মহিলা সমর্থক মন্ত্রীর হাত থেকে ইস্তফাপত্রটি ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। সংবাদ মাধ্যমকে ওই মহিলারা বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর (Manipur) পদত্যাগের ঘোরতর বিরোধী। তিনি পদত্যাগ করলে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির বিশেষ হেরফের হবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর ছেঁড়া সেই ইস্তফাপত্রের ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও ছবির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন বীরেনই

    মণিপুর সরকারের অন্যতম মুখপাত্র সাপাম রঞ্জন সিংহ জানান, সমর্থকদের চাপের মুখে কিছু মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান। পরে ওই মন্ত্রীরা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে বেরিয়ে জানান, মুখ্যমন্ত্রী আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছেন। রবিবারই আলোচনার জন্য বীরেনকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন (Manipur) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে ট্যুইট-বার্তায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন, রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে আমরা যেন আমাদের কাজকে আরও শক্তিশালী করি।”

    আরও পড়ুুন: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    প্রসঙ্গত, মাস দেড়েকেরও বেশি সময় ধরে আক্ষরিক অর্থেই জ্বলছে মণিপুর। লাগাতার হিংসার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দেড়শোর কাছাকাছি। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজার পঞ্চাশেক মানুষ। পরিস্থিতির মোকাবিলায় গত শনিবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরেও বিক্ষিপ্ত (Manipur) অশান্তি চলছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। ঘটনার সূত্রপাত ৩ মে। মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায় তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়া যায় কিনা, সেই বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশের বিরোধিতায় পথে নামে রাজ্যের জনজাতি বিভিন্ন সংগঠন। বিক্ষোভ মিছিল বের করে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপর। তার পর থেকে রাজ্যে বিরাম নেই হিংসার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    Yogi Adityanath: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন গ্যাংস্টার। পরে হয়ে যান রাজনীতিক। তারও পরে বিধায়ক, সাংসদ। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) এহেন গ্যাংস্টার কাম রাজনীতিক আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় মামলা ছিল ১০০-রও বেশি। ফুলপুরের সাংসদ এবং প্রয়াগরাজের বিধায়ক থাকার সময় তিনি প্রয়াগরাজের লুকারগঞ্জ এলকায় বেশ কিছু জমি দখল করেছিলেন বলে অভিযোগ।

    আতিকের বেআইনি জমি

    আতিকের সেই জমি ও একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল বিজেপির যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। আতিকের দখল করা সেই জমিতেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গড়ে তোলা হয় বহুতল। লটারির মাধ্যমে সেই ফ্ল্যাট বিলিয়ে দেওয়া হল আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে পরিবারগুলিকে। শুক্রবার সুবিধাভোগীদের হাতে চাবি তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ স্বয়ং।

    ফ্ল্যাট পেতে লটারি

    আতিকের দখল করা যে জমিতে বহুতল গড়ে তুলেছে যোগী সরকার, তার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৭৩১ স্কোয়ার মিটার। ২০২১ সালে ওই জমিতে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath)। দুই ব্লকের আবাসনে রয়েছে ৪১ বর্গমিটারের দু কামরার ওই ফ্ল্যাটগুলি। রয়েছে একটি রান্নাঘর এবং একটি টয়লেটও। ফ্ল্যাট পেতে প্রয়াগরাজ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কাছে আবেদন করেছিল হাজার ছয়েক পরিবার। তার মধ্যে থেকে ফ্ল্যাট পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হন ১ হাজার ৫৯০ জন আবেদনকারী। লটারির মাধ্যমে এঁদের মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হয় ৭৬টি পরিবারকে।

    আরও পড়ুুন: কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গলের আরও কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল সিবিআই

    সুবিধাভোগীদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই রাজ্যেই ২০১৭ সালের আগে মাফিয়ারা গরিব, ব্যবসায়ীদের এমনকি সরকারি জমিও দখল করে নিত। অসহায়েরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতেন। আর এখন আমরা গরিবদের জন্য বাড়ি বানাচ্ছি। মাফিয়াদের দখল করে নেওয়া জমি আমরা গরিবদের বিলি করছি। এটা একটা বড় কৃতিত্ব।”

    প্রসঙ্গত, জনৈক রাজু পাল ও উমেশ পাল খুনে নাম জড়ায় আতিক ও তাঁর ভাই আশরফের। এপ্রিল মাসে গুজরাটের জেল থেকে উত্তর প্রদেশে নিয়ে আসা (Yogi Adityanath) হয়েছিল দুই ভাইকে। ১৫ এপ্রিল রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল প্রয়াগরাজ হাসপাতালে। পথে তিন বন্দুকবাজের হামলায় নিহত হন আতিক ও তাঁর ভাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Anubrata Mondal: ফের খারিজ অনুব্রতর জামিনের আবেদন! পরবর্তী শুনানি ১৪ জুলাই

    Anubrata Mondal: ফের খারিজ অনুব্রতর জামিনের আবেদন! পরবর্তী শুনানি ১৪ জুলাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার জামিন খারিজ হল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। প্রভাবশালী তত্ত্বেই ফের খারিজ হল জামিন। শুক্রবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তার হয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। যে কোনও শর্তে জামিন চেয়েছিলেন অনুব্রত। কিন্তু তা ফিরিয়ে দেয় আসানসোল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। আগামী ১৪ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির নির্দেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট বোলপুরে অনুব্রতর বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। আগামী ৮ এপ্রিল রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। এবার প্রথম অনুব্রত মণ্ডল পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনুপস্থিত থাকবেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকার কথা বলেছিলেন কেষ্ট। যা নিয়ে কবিতাও লিখেছিলেন শঙ্খ ঘোষ।

    কী বললেন অনুব্রতের আইনজীবী?

    অনুব্রতের (Anubrata Mondal) আইনজীবী এদিন বলেন, “আমার মক্কেল ২০২২ সালের ১১ অগস্ট থেকে জেল বন্দি হয়ে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি চার্জশিট জমা পড়েছে। কবে নাগাদ ট্রায়াল শুরু হবে তা জানা যাচ্ছে না। তাঁকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক।” তা শুনে পাল্টা প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    কী বললেন বিচারক?

    এদিনও সিবিআই প্রভাবশালী তত্ত্বকে সামনে আনেন। সিবিআইয়ের আইনজীবী রবি কিষাণ বলেন, ‘‘উনি ভীষণই প্রভাবশালী ব্যক্তি। তদন্ত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই সময় তাঁকে জামিন দেওয়া হলে স্বাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।’’  আর এতেই সিলমোহর দেন বিচারক। বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যকে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘২৮৩ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। আর কত সময় লাগবে?’’ প্রত্যুত্তরে সুশান্ত বলেন, ‘‘নতুন নতুন তথ্য উঠে এসেছে। তার জন্য কয়েক জন সাক্ষীর বয়ান প্রয়োজন।’’ তদন্ত কতদিন চলবে? আদালতের এই প্রশ্নের জবাবে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত চার্জশিট দেওয়া হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cow Smuggling Case: কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গলের আরও কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল সিবিআই

    Cow Smuggling Case: কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গলের আরও কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ছিলেন নিছকই এক তৃণমূল (TMC) নেতার দেহরক্ষী। কতই বা আর মাইনে! তবে তৃণমূল জমানায় ঘাসফুল শিবিরের ওই নেতার সঙ্গে সঙ্গে ফুলে ফেঁপে উঠেছেন ওই দেহরক্ষীও (Cow Smuggling Case)। ফের একবার প্রমাণ মিলল তার। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের আরও প্রায় ১ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। শুক্রবার এই মর্মে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে নথিও পেশ করা হয়েছে আসানসোলের সিবিআই আদালতে। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, জমা দেওয়া চার্জশিটে সায়গলের নামে যে সম্পত্তি দেখানো হয়েছিল, এখন যে কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, সেটা তার বাইরে। 

    তিহাড়ে সায়গল

    গরু পাচার কেলেঙ্কারি (Cow Smuggling Case) মামলায় ফেঁসে গিয়ে প্রথমে সিবিআই ও পরে ইডির মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন সায়গল। ওই জেলের গরাদেই বিষণ্ণ দিন গুজরান করছেন সায়গল যাঁর দেহরক্ষী ছিলেন, সেই অনুব্রতও। অনুব্রত ও সায়গলের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ আগেই পেয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। আদালতে তা পেশও করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে থাকা প্রায় ৪৫টি জমির দলিলের পাশাপাশি সায়গলের নামেও ডিড রয়েছে সাতটি জমির লিজের।

    আরও সম্পত্তির হদিশ

    সেই খতিয়ানও জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। সায়গলের বাড়ি ও বিভিন্ন ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নগদ টাকা, গয়না সহ বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির দলিলও উদ্ধার করা হয়েছে। সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে সিবিআই দাবি করেছিল, অনুব্রত ও সায়গলের সম্পত্তির পরিমাণ গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তিকে ছাপিয়ে যেতে পারে। এদিন আদালতে সিবিআই (Cow Smuggling Case) জানায়, সায়গলের কাছ থেকে তারা আরও ৮টি জমির হদিশ পেয়েছে। এর বাজারদর অন্তত ৬০ লক্ষ টাকা। জমিগুলি রয়েছে বীরভূমের সিউড়ি ও মুর্শিদাবাদের ডোমকল এলাকায়।

    আরও পড়ুুন: বাদল অধিবেশনেই সংসদে পেশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল! ভাবনা মোদি সরকারের

    জমিগুলি রয়েছে সায়গলের মা ও স্ত্রীর নামে। তাঁদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা। অ্যাকাউন্টগুলিতে রয়েছে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গরু পাচারের কালো টাকা প্রথমে একটি শেল কোম্পানিতে জমা করে সাদা করা হয়েছে। পরে গচ্ছিত রাখা হয়েছে ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: ১০ ঘণ্টায় কলকাতা থেকে আগরতলা! বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্বে পৌঁছবে ভারতীয় রেল?

    Indian Railway: ১০ ঘণ্টায় কলকাতা থেকে আগরতলা! বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্বে পৌঁছবে ভারতীয় রেল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাতৃভাষা বাংলা এমন দুটি অঙ্গরাজ্য রয়েছে আমাদের দেশে। একটি পশ্চিমবঙ্গ, অপরটি ত্রিপুরা। অথচ কলকাতা থেকে আগরতলা ট্রেনপথে যেতে সময় লাগে ৩১ ঘণ্টা অর্থাৎ ১ দিনেরও বেশি। কারণ, বর্তমান ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বগামী সব ট্রেনকে উত্তরবঙ্গ হয়ে, অসম হয়ে যেতে হয়। তবে, অদূর ভবিষ্যতে এই চিত্র পাল্টাতে চলেছে। ভারতীয় রেলের উদ্যোগে, শীঘ্রই কলকাতা ও আগরতলার রেলযাত্রার সময় ১০ ঘণ্টায় নেমে আসতে চলেছে। হ্যাঁ, মাত্র ১০-ঘণ্টায় কলকাতা থেকে সরাসরি আগরতলা যাওয়া সম্ভব। কারণ, এবার নতুন উদ্যোগ অনুযায়ী, ভারতীয় রেলপথ সোজা বাংলাদেশ হয়ে সোজা পৌঁছে যাবে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। 

    কোন রুটে চলবে এই ট্রেন?

    কোন রুটে এই ট্রেন চলাচল করবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে, রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বর্তমান কলকাতা-ঢাকা রুটকেই বাড়িয়ে আখাউড়া করিডর হয়ে ত্রিপুরায় ট্রেন প্রবেশ করবে। বর্তমানে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস রয়েছে। সূত্রের খবর, কলকাতা-আগরতলা রুটও ভায়া ঢাকা হবে। অর্থাৎ, কলকাতা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা। সেখান থেকে সীমান্তের আখাউড়া হয়ে আগরতলা। জানা গিয়েছে, চলতি বছরেই বা আগামী বছরের শুরুতে ত্রিপুরার নিশ্চিন্তপুরের ইন্টারন্যাশনাল ইমিগ্রেশন স্টেশন থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া জংশন পর্যন্ত ট্রেন চালাতে চাইছে রেল। এই কারণে ত্রিপুরা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ দ্রুত শেষ করতে আরও টাকা বরাদ্দ করল রেল (Indian Railway)। রেলসূত্রে খবর, এই প্রকল্পে ১৫৩.৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। 

    এই প্রকল্প অনুমোদন পায় ২০০৩ সালে

    জানা গিয়েছে, দুই দেশের মধ্য রেলপথ নির্মাণের এই প্রকল্প অনুমোদন পায় ২০০৩ সালে। ১৫ কিমি এই রেল প্রকল্পে দুই দেশ স্বাক্ষর করে ২০১৩ সালে। প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয় ২০১৬ সালে। এই বিশেষ প্রকল্পের ১৫ কিমি সংযোগের মধ্যে ৫.০৫ কিমি ভারতে ও বাকি ১০.০১৪ কিমি বাংলাদেশে রয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, প্রকল্পটি ২০২০ সালের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু করোনার কারণে কাজ পিছিয়ে যায়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে যে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ভারতীয় অংশের ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। অপরদিকে, বাংলাদেশের দিকে প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি ভারতের “অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি” এর অংশ বলে জানা গিয়েছে। এই অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা। উত্তর-পূর্ব ভারত এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    কী বলছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা?

    ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ‘‘এই কাজ শেষ হলে এবং ওই রুটে ট্রেন (Indian Railway) চলাচল শুরু হলে বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন হবে। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও দৃঢ় হবে। একই সঙ্গে উত্তরপূর্ব ভারতের পর্যটন ক্ষেত্রে আরও গতি আসবে।’’ এই আন্তর্জাতিক স্টেশনটি যাত্রী ও পণ্য বিনিময় উভয়ের জন্য একটি ডুয়েল গেজ স্টেশন হিসাবে কাজ করবে।

    কী বলছেন রেলের আধিকারিকরা?

    রেলের আধিকারিকরা বলেন, ‘‘এই রেলপথের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে জিনিসপত্র আমদানি এবং রফতানি আরও সহজ হবে। ফলে সেখানের এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবেন। রেল মন্ত্রক জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী উত্তর পূর্ব ভারতের উন্নয়নের দিকে জোর দিয়েছেন।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uniform Civil Code: বাদল অধিবেশনেই সংসদে পেশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল! ভাবনা মোদি সরকারের

    Uniform Civil Code: বাদল অধিবেশনেই সংসদে পেশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল! ভাবনা মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশনেই পেশ হতে পারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) বিল। গত বেশ কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে চলছে এমনই জল্পনা। সম্প্রতি সেই জল্পনা গতি পেয়েছে। কারণ সংসদের স্থায়ী কমিটির (Parliamentary Panel) তরফে এ বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় আইন কমিশন ও আইন মন্ত্রকের। ৩ জুলাই, সোমবার বিজেপির সাংসদ সুশীল মোদির নেতৃত্বে সংসদীয় কমিটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়ে আইন বিভাগ, সংসদীয় বিভাগ এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়ে গঠিত আইন কমিশনের কর্তাদের মতামত শুনবে। ব্যক্তিগত আইনগুলির পর্যালোচনাও করবে সংসদীয় কমিটি।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    বর্তমানে দেশে বিবাহ, বিচ্ছেদ এবং দত্তক গ্রহণের মতো ব্যক্তিগত বিষয়গুলির জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিজস্ব ব্যক্তিগত আইন রয়েছে। যেমন মুসলিম ল’, হিন্দু পার্সোনাল ল’। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) লাগু হয়ে গেলে অবসান ঘটবে এই সব ব্যক্তিগত আইনের। গত ১৪ জুন কেন্দ্র নিযুক্ত আইন কমিশনের তরফে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও সাধারণ মানুষের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সাড়ে ৮ লক্ষ ব্যক্তি ও সংগঠন।

    উদাহরণ গোয়া

    সংবিধানের ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, দেশে অভিন্ন দেওয়ানি (Uniform Civil Code) বিধি চালু করতে উদ্যোগী হতে হবে রাষ্ট্রকে। সুপ্রিম কোর্টও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রণয়নে চাপ দেয় বলে দাবি কেন্দ্রের। সম্প্রতি গোয়ার এক সম্পত্তির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত মামলায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রসঙ্গ টেনেছিল শীর্ষ আদালত। গোয়াকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আদর্শ উদাহরণ বলে অভিহিত করেছিল আদালতও। এহেন আবহে আসন্ন অধিবেশনেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল আনা হতে পারে সংসদে। এমন ইঙ্গিত মিলেছিল মঙ্গলবারও।

    আরও পড়ুুন: ‘শ্রীলঙ্কার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতকে হুমকি দেওয়া যাবে না’, চিনকে সাফ জানালেন বিক্রমসিংহে

    সেদিন মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “কোনও পরিবারে যদি প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা আইন থাকে, তাহলে কি সেই সংসার চালানো যায়?” তিনি বলেন, “দেশের এক একটি সম্প্রদায়ের জন্য যদি এক এক রকম আইন থাকে, তাহলে দেশ এগোতে পারে না। সংবিধানেও সকলের জন্য সমান আইনের (Uniform Civil Code) কথা বলা আছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Manipur Violence: ফের উত্তপ্ত মণিপুর! এক পুলিশ কনস্টেবল সহ তিনজনের মৃত্যু

    Manipur Violence: ফের উত্তপ্ত মণিপুর! এক পুলিশ কনস্টেবল সহ তিনজনের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। শুক্রবার সকাল অবধিও অশান্তির খবর মেলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতার উপর কাঁদানে গ্যাস (Tear Gas) প্রয়োগ করেছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবারের অশান্তিতে এক পুলিশ কন্সটেবল সহ তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আজ কাংপোকপি ও ইম্ফলে অশান্তি-উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা

    বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনার ট্যুইটার হ্যান্ডল ‘স্পিয়ার কোর’-এর তরফে জানানো হয়, মণিপুরের হারাওথেল গ্রামে টহল দেওয়ার সময়ে হঠাৎই ভোরের দিকে সেনা আধিকারিকদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘পারিপার্শ্বিক ক্ষয়ক্ষতি’ এড়াতে পাল্টা গুলি চালায় তারাও। সেনার তরফে এ-ও জানানো হয়, বিপুল সংখ্যক উন্মত্ত জনতা ওই এলাকায় জড়ো হয়েছিল। প্রায় রাত আটটা অবধি গুলি চলে। পরে সন্ধ্যার দিকে উন্মত্ত জনতার ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনে সেনা।

    অন্যদিকে, রাতে ইম্ফলের খাওয়াইকানবন্দ বাজারে বিক্ষোভকারীরা জমায়েত করে এবং কফিন নিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখায়। জানা গিয়েছে, গতকাল এক নৌসেনা কর্তার মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাতে ইম্ফলে জড়ো হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি অবধিও মিছিল করার হুমকি দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ও র‌্যাফ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। ক্ষিপ্ত জনতার কাছ থেকে দেহ উদ্ধার করে জওহরলাল নেহেরু ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। বিজেপির একটি কার্যালয়েও হামলা চলেছে বলে জানা গিয়েছে।

    মণিপুরে রাহুল

    এদিকে গতকালই দুদিনের সফরে মণিপুরে (Manipur) গিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শান্তির (Peace) বার্তা নিয়ে তাঁর এই মণিপুর যাত্রা। রাহুলের সফর মণিপুরে শান্তি ফেরানোর পথে সহায়তা করবে না বলে মন্তব্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার। তিনি বলেন, ‘‘কোনও রাজনৈতিক নেতারই হিংসা থেকে ফয়দা তোলার চেষ্টা করা উচিত নয়। সাধারণত প্রচারে থাকার জন্যই এমন সফর হয়।’’

    আরও পড়ুন: ২০ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী-র

    রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা মুখ্যমন্ত্রীর!

    আজ, শুক্রবারই রাজ্যপাল অনসূয়া উইকির সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। মণিপুরের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলের খবর, জাতি দাঙ্গা থামাতে ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবশেষে সরতে হতে পারে বীরেনকে। তবে একটি মহলের বক্তব্য, পদত্যাগ নয়, মুখ্যমন্ত্রী আসলে রাজ্যপালের নেতৃত্বে গঠিত শান্তি কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে রাজভবন যাবেন। সেখানে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলাদা করে কথা বলবেন রাজ্যপালের সঙ্গে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share