Tag: Bengali news

Bengali news

  • N Biren Singh: “জ্বলেছে ১৭০০ ঘর, হিংসার বলি ৬০”, বললেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী

    N Biren Singh: “জ্বলেছে ১৭০০ ঘর, হিংসার বলি ৬০”, বললেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “৩ মে-র দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় অন্ততপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২৩১ জন। সেই সঙ্গে ১৭০০-র কাছাকাছি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আমি রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন করছি। আটকে পড়া মানুষদের তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কাজও শুরু করা হয়েছে।” সোমবার কথাগুলি বললেন মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ (N Biren Singh)। তিনি বলেন, “মণিপুরের বিভিন্ন প্রান্তে যাঁরা ঘরছাড়া হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন, তাঁদের সব রকম সাহায্য করছে সরকার। এখনও পর্যন্ত ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে। আরও ১০ হাজার মানুষ আশ্রয়হীন”।

    এন বীরেন সিংহের (N Biren Singh) হুঁশিয়ারি…

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ (সোমবার) পর্যন্ত আমরা ২১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৪২৭৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছি। যাঁরা এখনও নিজেদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রেখেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের তা সমর্পণ করতে বলেছি”। মণিপুরের এই পরিস্থিতির জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের চিহ্নিত করতে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (N Biren Singh)। যেসব সরকার ও প্রশাসনিক কর্তা পরিস্থিতি সামলাতে এবং নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদেরও কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান এন বীরেন।

    আরও পড়ুুন: “মমতা কি আইএসআইএসের প্রতি সহানুভূতিশীল?”, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    রাজ্যের হিংসা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী (N Biren Singh) বলেন, “হিংসার প্রথম দিন থেকে শাহ এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন। রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়েছেন। এজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ”। এদিকে, মণিপুরে প্রাণহানি এবং সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগের গতি বাড়াতে কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধর্মীয় উপাসনাস্থলগুলিকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    গত বুধবার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুরে প্রথম হিংসার ঘটনা ঘটে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে। মণিপুরের সিংহভাগ বাসিন্দা মেইতেই সম্প্রদায়ভুক্ত। তফশিলি উপজাতি ঘোষণার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে তারা। এই দাবির বিরোধিতা করে বুধবার মিছিল বের করে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’। তার পরেই অশান্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “মমতা কি আইএস-এর প্রতি সহানুভূতিশীল?”, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতা কি আইএস-এর প্রতি সহানুভূতিশীল?”, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ দেখানো নিষিদ্ধ করেছে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। রাজ্য সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে মমতাকে কার্যত ধুয়ে দিল বিজেপি (BJP)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক পদ্ম-নেতা নিশানা করেছেন রাজ্য সরকারকে। ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, “আমি যতটুকু জানি, কেরলে কীভাবে মহিলাদের মগজ ধোলাই করেন কট্টরপন্থী ধর্মগুরুরা, তা-ই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। ছবিতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে কেরলে মহিলাদের ধর্মান্তরিত করে আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সিরিয়ায় আইএসআইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে পাঠানো হয়ে থাকে। আইএসআই এবং তাদের কার্য পদ্ধতির বিরুদ্ধাচরণ করে তৈরি হয়েছে ছবিটি। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি আইএসআইএসের প্রতি সহানুভূতিশীল?”

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ট্যুইট-বাণ…

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তাঁর ট্যুইটের সঙ্গে শাবানা আজমির একটি ট্যুইটের স্ক্রিন শট দিয়েছেন। যেখানে অভিনেত্রী এই ছবি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন। শুভেন্দু লেখেন, “এই ছবি দেখানো হলে কেন আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে? ছবি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত।

    আর যদি মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে না পারেন, তাহলে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত”। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এই সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল আসলে কাদের দল। আগেই মুখ্যমন্ত্রী তোষণের নির্লজ্জ নজির দেখিয়েছেন। এবার জেহাদিদের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন। শিল্পের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা নিয়ে তৃণমূলের কোনও কথা বলার অধিকার নেই”।

    বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানাচ্ছি। এই সিদ্ধান্ত ধর্মীয় মৌলবাদের কাছে আত্মসমর্পণের একটি নিদর্শন”। তিনি বলেন, “লাভ জিহাদ বিজেপির (Suvendu Adhikari) তৈরি করা নয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সমগ্র সংখ্যালঘু সমাজকে আজ অপমান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”।

    শমীক বলেন, “ভারতবর্ষে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন নিজের দেশকে দেশ বলে মনে করেন না, এটা আমরা কখনও মনে করি না। কেবলমাত্র ভোটব্যাঙ্ক তৈরির স্বার্থে সমস্ত সংখ্যালঘুকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে তাদের সর্বনাশ করার চেষ্টা করা হচ্ছে”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: সই সংগ্রহ কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক-প্রাক্তন বিধায়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Alipurduar: সই সংগ্রহ কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক-প্রাক্তন বিধায়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুমন কাঞ্জিলাল ও সৌরভ চক্রবর্তী। প্রথমজন তৃণমূল বিধায়ক, দ্বিতীয়জন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বিধানসভার সাংগঠনিক রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে শাসকদলের অন্দরেই দুই গোষ্ঠীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, দুই গোষ্ঠীর বিরোধ ততই বাড়ছে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ঠিক কী নিয়ে তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এল?

    আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল কিছুদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপি দলের কোনও কর্মী-সমর্থক শাসক দলে যোগ দেননি। অপরদিকে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বিধানসভা এলাকায় গত বিধানসভা নির্বাচনে সুমনবাবুর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সৌরভ চক্রবর্তী। সুমন তৃণমূলে নাম লেখালেও তাঁকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ সৌরভ অনুগামীরা। অপরদিকে সুমন কাঞ্জিলাল নিজের জমি শক্ত করতে সৌরভ বিরোধী তৃণমূল নেতাদের সঙ্গী করে ময়দানে নেমে পড়েছেন। ফলে বর্তমান এবং প্রাক্তন বিধায়কের জমি দখলের লড়াই কার্যত প্রকাশ্যেই চলে এসেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নিচু তলার নেতাকর্মীরা। তাঁরা বর্তমান, নাকি প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে থাকবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত কয়েকদিন আগেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ১০০ দিনের কাজ করে টাকা না পাওয়া বঞ্চিত শ্রমিকদের সই সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের বিবেকানন্দ ১, বিবেকানন্দ ২, বঞ্চুকামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথে সই সংগ্রহের জন্য দলের জেলা নেতাদের নিয়ে গিয়েছিলেন সুমনবাবু। তবে, সেখানে দেখা যায়নি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি রায়কে। পীযুষবাবু সৌরভ ঘনিষ্ঠ নেতা বলেই পরিচিত। অন্যদিকে, সোমবার পরোরপার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পীযূষ বাবুর ডাকে সৌরভ চক্রবর্তী সই সংগ্রহ কর্মসূচিতে অংশ নেন। সেখানে সুমন অনুগামী কোনও নেতাকেই দেখা যায়নি। সোমবারই বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল নিজে উদ্যোগী হয়ে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রতন মহন্ত সহ জেলার কয়েকজন নেতাকে নিয়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সই সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। একই অঞ্চলে কেন আলাদা আলাদাভাবে হবে দলের একই কর্মসূচি? এর ফলে বিভ্রান্তে রয়েছেন নিচু তলার নেতা কর্মীরা।

    সই সংগ্রহ নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা

    তৃণমূল বিধায়ক সুমনবাবু বলেন, সবার আগেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ওই কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। তবে ওই কাজে অনেকেই এখন যুক্ত হয়েছেন। সেটা দলের পক্ষে ভালই হবে। অপরদিকে সৌরভ চক্রবর্তী তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে বিরোধের কথা স্বীকার করেননি। তিনি বলেন, দলের ওই কর্মসূচিতে নেতৃত্বের ডাকেই অঞ্চলে যাবেন। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্তেও ওই কর্মসূচিতে আমার অংশ নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: স্টেশন চত্বরে গাড়ি-দোকান ভাঙচুর, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

    TMC: স্টেশন চত্বরে গাড়ি-দোকান ভাঙচুর, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল হয়ে উঠল বর্ধমান স্টেশন চত্বর। রাতের অন্ধকারে বর্ধমান স্টেশন চত্বর জুড়ে তাণ্ডব চলে। ১০ থেকে ১২ টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পাশাপাশি  ১০টি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। প্রকাশ্যে এই তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের (TMC) সাধারণ সম্পাদক ইফতিকার আহমেদ ও তৃণমূল নেতা গোলাব সোনকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এবার সেই কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ৭ মে রাতে গোলাব সোনকারের অনুগামীরা এসে স্টেশন চত্বরে একাধিক দোকানে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। স্টেশনের গ্যারাজে রাখা ১০টি প্রাইভেট গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বর্ধমান স্টেশন চত্বরে ঢুকে স্থানীয় বিধায়কের নামে ও প্রাক্তন আই এন টি টি ইউসির সভাপতির নামে গালিগালাজও করে। হামলাকারীদের হাতে রড, লাঠি এবং তরোয়াল ছিল। এমনকী ইফতিকারসহ তাঁর কয়েকজন অনুগামীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার এই ঘটনার প্রতিবাদে ইফতিকারের নেতৃত্বে এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। এই ঘটনায় রাতে বর্ধমান স্টেশনে ব্যবসায়ী থেকে  গাড়িচালক সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে বর্ধমান থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    কী বললেন ব্যবসায়ীরা?

    স্থানীয় এক ব্যবসায়ী সেখ আলিউদ্দিন বলেন, আমরা অন্যদিনের মতো দোকানে বসেছিলাম। আচমকা কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে হামলা চালায়। বিধায়কের নামে তারা গালিগালাজ করে। আমার দোকানে তাণ্ডব চালায়। লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    স্টেশনে তাণ্ডব নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা

    তৃণমূল নেতা ইফতিকার আহমেদ বলেন, গোলাব আগে সিপিএম করত। মধ্যে বিজেপিতে গিয়েছিল। এখন তৃণমূলে (TMC) রয়েছে। অকারণে এসে ওরা হামলা চালায়। স্টেশন চত্বরে তাণ্ডব চালায়। আমাদের ওপর চড়াও হয়। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। অন্যদিকে, তৃণমূল (TMC) নেতা গোলাব সোনকার বলেন, আমার ছেলে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে চারচাকা গাড়ি করে ঘুরতে গিয়েছিল। উড়ালপুলের পাশে ছবি তোলার সময় তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে কয়েকজন এসে হামলা চালায়। ইফতিকার আমার ছেলেকে গালিগালাজ করে। সেটার প্রতিরোধ করা হয়েছে। স্টেশনে কোনও তাণ্ডব চালানো হয়নি। ওরা ভাঙচুর করে আমাদের নামে দায় চাপাচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ক খোকন দাস বলেন, কে বা কারা তাণ্ডব চালিয়েছে তা জানতে পারিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন। যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতায় অমিত শাহ, জেনে নিন চূড়ান্ত কর্মসূচি

    Amit Shah: রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতায় অমিত শাহ, জেনে নিন চূড়ান্ত কর্মসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ তিনি কাটিয়েছিলেন বাংলায়। বাঙালির আরও একটি উৎসব ২৫ বৈশাখ। এদিনও বাংলায় কাটাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। যোগ দেবেন রবীন্দ্রজয়ন্তীর (Rabindra Jayanti) অনুষ্ঠানে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে সোজা নিউটাউনের হোটেলে। এই হোটেলেই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে শাহের। মঙ্গলবার রবীন্দ্রজয়ন্তী। এদিন সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে শাহ যাবেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। কবিগুরুর মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানাবেন বিশ্বকবিকে।

    অমিত শাহের (Amit Shah) সূচি…

    সেখান থেকে তিনি যাবেন ভারত-বাংলাদেশের পেট্রাপোল সীমান্তে। সেখানে একটি থানা উদ্বোধন সহ বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। কলকাতায় ফিরে বিকেল ৫টা নাগাদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যোগ দেবেন সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক আয়োজিত অনুষ্ঠানে। ওই অনুষ্ঠান শেষে এখানেই হবে আরও একটি অনুষ্ঠান। রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানাতেই আয়োজন করা হচ্ছে এই অনুষ্ঠানের। তাতেও যোগ দেবেন শাহ। রাত পৌনে ৮টার বিমানে দিল্লি রওনা দেবেন তিনি।

    এদিকে, বিজেপি-বিরোধী যে জোট গড়তে উদ্যোগী হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এদিন তাকেও কটাক্ষ করেছেন শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “কাল যদি মমতাজি ইউপিতে সভা করতে যান, কটা লোক তাঁর কথা শুনতে যাবেন বলতে পারেন”। শাহ বলেন, “মমতাজির সেই সভা থেকে অখিলেশ যাদবের কী লাভ হবে? তিনি বলেন, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর কী লাভ হবে যদি তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কেজিআরজি তাঁর রাজ্যে প্রচারে যান”। তাঁর প্রশ্ন, “কর্নাটকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করলেই কি লোকে হাত চিহ্নে ভোট দেবে”?

    আরও পড়ুুন: ‘দৌড়’ থেমে গেল ‘কালবেলা’র স্রষ্টার, প্রয়াত সমরেশ মজুমদার

    হিংসাদীর্ণ মণিপুর প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “মণিপুরের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। যদিও এখনও মণিপুরে কারফিউ জারি রয়েছে”। একটি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে শাহ বলেন, “কোর্ট একটি নির্দেশ পাশ করে দিয়েছে। তবে এই নির্দেশনামার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আলাপ-আলোচনার পরেই মণিপুর সরকার যথোপযু্ক্ত সিদ্ধান্ত নেবে”। তিনি বলেন, “কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ভয় পাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Samaresh Majumdar: ‘দৌড়’ থেমে গেল ‘কালবেলা’র স্রষ্টার, প্রয়াত সমরেশ মজুমদার

    Samaresh Majumdar: ‘দৌড়’ থেমে গেল ‘কালবেলা’র স্রষ্টার, প্রয়াত সমরেশ মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স হয়েছিল ৭৯। অসুস্থও ছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। সোমবার বিকেলে সেই জীবনেই দাঁড়ি টেনে দিলেন কালজয়ী ‘কালবেলা’র (Kalbela) স্রষ্টা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার (Samaresh Majumdar)। পৌনে ৬টা নাগাদ বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ২৫ এপ্রিল এই হাসপাতালেই সমরেশ ভর্তি হন ফুসফুল ও শ্বাসনালীর সংক্রমণ নিয়ে। রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল। রবিবার সাহিত্যিকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল, কিছুটা ভাল আছেন সমরেশ। সোমবার বিকেলে কালজয়ী এই সাহিত্যিক চলে গেলেন চিরঘুমের দেশে।

    সমরেশ মজুমদারের (Samaresh Majumdar) কালজয়ী উপন্যাস…

    ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত হয় সমরেশের প্রথম উপন্যাস ‘দৌড়’। প্রকাশিত হয় দেশ পত্রিকায়। তার পর তাঁর কলম প্রসব করে একের পর এক কালজয়ী উপন্যাস। ১৯৮২ সালে পান আনন্দ পুরস্কার। অ্যাকাডেমি পুরস্কার সহ পেয়েছেন আরও বহু সম্মান। গোয়েন্দা চরিত্র অর্জুনের স্রষ্টা তিনি-ই। সমরেশের (Samaresh Majumdar) শৈশব কেটেছে উত্তরবঙ্গের গয়েরকাটা চা বাগানে। ১৯৬০ সালে আসেন কলকাতায়। এখানেই পড়াশোনা। পড়াশোনার পাশাপাশি চলতে থাকে লেখালেখির কাজও। অনিমেষকে কেন্দ্র করে সমরেশের ট্রিলজি ‘উত্তরাধিকার’, ‘কালবেলা’, ‘কালপুরুষ’ তাঁকে বাংলা সাহিত্যে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে যায়। তাঁর ‘মৌষলকাল’ উপন্যাসটিও আদৃত হয় পাঠক মহলে।

    সমরেশের ‘কালবেলা’ নিয়ে ছবি করেছেন গৌতম ঘোষ। সমরেশের বিখ্যাত উপন্যাসগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সাতকাহন’, ‘তেরো পার্বণ’, ‘উজান’, ‘গঙ্গা’, ‘ভিক্টোরিয়ার বাগান’, ‘আট কুঠুরি নয় দরজা’ এবং ‘গর্ভধারিণী’। তাঁর গল্পে ঘুরে ফিরে আসে উত্তরবঙ্গের ছবি, বিপ্লব এবং সংগ্রাম। গোয়েন্দা গল্পেও দক্ষতার ছাপ রেখেছিলেন সমরেশ। ব্যোমকেশ, ফেলুদা, কাকাবাবু, কর্নেলের পাশেও স্বমহিমায় উজ্জ্বল সমরেশের অর্জুন। ‘খুঁটিমারি রেঞ্জ’, ‘খুনখারাপি’, ‘কালিম্পং-এ সীতাহরণ’ ইত্যাদি গল্পে দুর্দান্ত সব রহস্যের কিনারা করেছে অর্জুন। জলপাইগুড়ির অর্জুন বাংলা তো বটেই, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক সিটিতেও গিয়েছিল। সমাধান করেছিল রহস্যের।  

    আরও পড়ুুন: “পার্থ তুই কত খেলি? কালীঘাটে কত পাঠালি?”, আদালত চত্বরে প্রশ্ন বিক্ষোভকারীদের

    সমরেশের (Samaresh Majumdar) কলমে প্রাণ পেয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা। তিস্তা, তোর্সা, করলা এই তিন নদীই ঠাঁই পেয়েছে তাঁর উপন্যাসে। জলদাপাড়া, মাদারিহাট, বীরপাড়া, মালবাজার, রাজাভাতখাওয়া, হলং, গরুমারা এবং ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকা জীবন্ত হয়ে উঠেছে তাঁর লেখনির গুনে। কলকাতা তথা দক্ষিণবঙ্গের পাঠকের মানসপটে ভেসে উঠেছে জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা, রূপমায়া সিনেমা, হাকিমপাড়া, শিল্পসমিতি পাড়া, রায়কতপাড়ার প্রাণময় ছবি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ATM: এটিএমে না ভরে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও, জেলাজুড়ে শোরগোল

    ATM: এটিএমে না ভরে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনব কায়দায় এটিএমে (ATM) প্রতারণা করে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের শ্রীরামপুর থানা এলাকায়। বিপুল পরিমাণ টাকা প্রতারিত হয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন সূত্র ধরে পুলিশ ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে, এই প্রতারণার যে মাস্টারমাইন্ড সে এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কীভাবে এটিএম (ATM) থেকে টাকা হাতিয়েছিল অভিযুক্তরা?

    একদিনে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার শ্রীরামপুর, রিষড়া, উত্তরপাড়াসহ একাধিক জায়গায় ২২টি এটিএমে কয়েক কোটি টাকা ভরার কথা ছিল। একটি সংস্থাকে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। এই সংস্থার কর্মী হিসেবে দীপঙ্কর মোদক, সঞ্জীব পাত্ররা এটিএমে (ATM) টাকা ভরার কাজ করছিল। নিয়ম মেনে তারা ১১টি এটিএমে টাকা ভরেছিল। বাকি ১১টি এটিএমে তারা আর টাকা ভরেনি বলে অভিযোগ। এমনকী এটিএমের টাকা ভরার জন্য যে টাকা বরাদ্দ ছিল সবটাই তারা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ হিসেব মেলাতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকার তারা হদিশ পাচ্ছিল না। ২ মে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নজরে আসে। দীপঙ্করের মাধ্যমেই এটিএমগুলিতে টাকা ভরার কথা ছিল। ফলে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দীপঙ্করের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানা যায়, ৩ মে থেকে দীপঙ্কর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ। পরিবারের লোকজনও তাঁর খোঁজ দিতে পারেনি। পরিবারের পক্ষ থেকেও থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। তবে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দীপঙ্করের রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সন্দেহ হয়। দীপঙ্করসহ কয়েকজনের নামে ৫ মে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সন্তু দত্ত, সঞ্জিত সরকার এবং সঞ্জিত পাত্র। এদের মধ্যে সঞ্জিত পাত্র এটিএম (ATM) এ টাকা ভরার সংস্থায় কাজ করত। বাকিরা তার বন্ধু। মূল অভিযুক্ত দীপঙ্কর এখনো অধরা। প্রত্যেকের বাড়ি মাহেশে। বন্ধুরা অপরাধ সংগঠিত করতে সাহায্য করেছিল।

    কী বললেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার?

    চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, এটিএমে (ATM) টাকা ভরার পরিবর্তে অভিযুক্তরা বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছিল। ৫ মে শ্রীরামপুর থানায় আমরা অভিযোগ পাই। এরপরই তল্লাশি চালিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করি। তাদের কাছে থেকে ৬০ লক্ষ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকার খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই ঘটনায় আরও একজন জড়িত রয়েছে। তাঁর খোঁজেও তল্লাশি চলছে। প্রত্যেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Paschim Medinipur: “বামাদাকে বলো”! ঘাটালে খড়ার পৌরসভায় পোস্টার ঘিরে ব্যাপক শোরগোল

    Paschim Medinipur: “বামাদাকে বলো”! ঘাটালে খড়ার পৌরসভায় পোস্টার ঘিরে ব্যাপক শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বামাদাকে বলো”। খড়ার পৌরসভার (Paschim Medinipur) এবার নতুন প্রকল্প। পৌর নাগরিকদের পরিষেবা পেতে দিতে হবে কাটমানি। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালে খড়ার পৌরসভায় এরকমই পোস্টার ঘিরে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে। পোস্টারে আরও লেখা হয়েছে, শাসকদলের কোনও নেতা বা কাউন্সিলারকে জানিয়ে কিছু লাভ হবে না। কাটমানি এবং সন্ধ্যার পর বোতল সঙ্গে নিয়ে গেলেই একমাত্র সমস্যার সমাধান হবে। শাসকদল-ঘনিষ্ঠ বামাপদ মাইতির বিরুদ্ধেই এলাকার মানুষ এই অভিযোগ তুলে পোস্টার লাগিয়েছেন। তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও এই ঘটনাকে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল হিসেবেই দেখছেন এলাকার মানুষ। কারণ, বিতর্কিত বামাদা এলাকায় তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত এবং পৌরসভার চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ। চেয়ারম্যানই নাকি তাঁকে দিয়ে যাবতীয় কাজকর্ম করাচ্ছেন। মধুভাণ্ডের ভাগ না পেয়ে তৃণমূলের বিরোধীগোষ্ঠী পোস্টার লাগিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও সেখানে নাম দেওয়া হয়েছে নাগরিকবৃন্দের।

    পৌর প্রশাসনের বক্তব্য

    খড়ার পৌরসভার (Paschim Medinipur) চেয়ারম্যান সন্ন্যাসী দোলই জানান, এই ধরনের নতুন কোনও প্রকল্প চালু হয়েছে বলে তাঁর জানা নেই। এলাকার তৃণমূলের মহিলা নেত্রী পুতুল বর্ধন অবশ্য স্বীকার করে নিচ্ছেন, এই পোস্টারের সত্যতা রয়েছে। তিনি সেই সঙ্গে আরও বলেন, পৌরসভার চেয়ারম্যান কোনও কাজ জানে না। তাই সমস্ত কাজের জন্য পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার বামাপদ মাইতির ওপর নির্ভর করতে হয়। কাটমানির বিষয়টি জানেন না বলেও দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, কাটমানির বিষয় নিয়ে জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি শাসকদল। পৌর পরিষেবা নিয়ে শাসকদলের কাটমানি নেওয়ার ঘটনায় খড়ার পৌর নাগরিকদের মধ্যে তৈরি হওয়া ক্ষোভ যে অমূলক নয়, তা তাঁর কথা থেকেই স্পষ্ট। 

    বিরোধীদের অভিযোগ

    সিপিআইএম নেতা ফাল্গুনী বীর দাবি করছেন, পোস্টারে লেখা সমস্ত ঘটনাই সত্য। কারণ খড়ার পৌরসভায় (Paschim Medinipur) গেলে বামাপদ মাইতি নামে ওই ইঞ্জিনিয়ারকে না জানিয়ে কোনও কাজ হয় না। এলাকার মানুষের অভিযোগ, টাকার ভাগ নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ এবং তারই ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। খড়ার পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার বামাপদ মাইতি ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও তিনি জানিয়েছেন যে বদনাম করার জন্য এই পোস্টারিং করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: “পার্থ তুই কত খেলি? কালীঘাটে কত পাঠালি?”, আদালত চত্বরে প্রশ্ন বিক্ষোভকারীদের

    Partha Chatterjee: “পার্থ তুই কত খেলি? কালীঘাটে কত পাঠালি?”, আদালত চত্বরে প্রশ্ন বিক্ষোভকারীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) লক্ষ্য করে ফের ধেয়ে এল ‘চোর, চোর’ স্লোগান। সোমবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত চত্বরে এর সঙ্গে যুক্ত হল, “এই পার্থ কত খেলি”? জাতীয় বাক্যও। এদিন নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে পার্থকে হাজির করানো হয় আদালতে। আদালতে ঢোকার সময় বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন পার্থ। সাংবাদিকদের রবীন্দ্রনাথের কবিতার লাইন শুনিয়ে চলে যান আদালতে। কটাক্ষ-বাণ আছড়ে পড়ে আদালত থেকে বেরোনোর সময়। আগে থেকেই কোর্ট লক-আপের বাইরে হাজির ছিলেন দুই ব্যক্তি।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) উদ্দেশে কটাক্ষ বাণ…

    পার্থকে বেরোতে দেখেই ‘চোর, চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। এঁদেরই একজন ছড়ার সুরে প্রশ্ন করেন, “পার্থ তুই কত খেলি? কালীঘাটে কত পাঠালি”? এসব বাক্য-বাণের মধ্যেই পার্থকে গাড়িতে তুলে দেন পুলিশ কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এদিন ছিলেন এক প্রবীণও। কসবা বিধানসভা এলাকায় থাকেন। তিনি বলেন, “দেশের কী করে উন্নতি হবে। চোর কোনও দিন বলবে না, আমি সাধু নই। বলবে আমি ভাল”। তিনি বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের অত কোটি টাকা কোথায় গেল”? এক বিক্ষোভকারী বলেন, “পার্থকে এখানে নিয়ে আসুন। ওকে চুলের মুঠি ধরে বেঁধে রেখে দেব”।

    এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার পার্থকে (Partha Chatterjee) লক্ষ্য করে ভেসে এসেছে কটূক্তি। ২৩ মার্চ আদালতে হাজির করানোর সময়ও পার্থকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। সেদিনও বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন বলেছিলেন, “ওঁকে জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত, ওঁর ফাঁসি হওয়া উচিত”।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হলে রাজ্যপাল বসে থাকবেন না”, বললেন আনন্দ বোস

    অথচ, রবীন্দ্রজয়ন্তীর ঠিক আগের দিন বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন পার্থ। এদিন আদালতে ঢোকার আগে একগাল হেসে তিনি আওড়ান সোনার তরী কাব্যগ্রন্থের দুটি লাইন। বলেন, “আমি শুধু একটা কবিতার লাইন বলব। মসী লেপি দিল তবু ছবি ঢাকিল না। অগ্নি দিল তবুও তো গলিল না সোনা”। এদিন পার্থের মুখে শোনা গিয়েছে অভিষেকের ভূয়সী প্রশংসা। অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি (Partha Chatterjee) বলেন, “১০০ শতাংশ সফল এই কর্মসূচি। নবজোয়ারে জনজোয়ার এসেছে”। এর আগেও একবার তিনি বলেছিলেন, “আমি চাই অভিষেক সফল হোক”। এহেন মেজাজে মসী লেপে দিলেন বিক্ষোভকারীরা। পার্থকে এদিনও একবার শুনতে হল ‘চোর, চোর’ স্লোগান।

    পার্থর রবীন্দ্রজয়ন্তীর আনন্দ কি ফিকে হয়ে গেল না?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story: রাজ্যে নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, ‘‘অগণতান্ত্রিক’’, তোপ কেন্দ্রের

    The Kerala Story: রাজ্যে নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, ‘‘অগণতান্ত্রিক’’, তোপ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) সিনেমাকে। নবান্ন সূত্রে খবর, এই ছবি রাজ্যে কোথাও প্রদর্শন করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় এই ছবির প্রদর্শন হচ্ছে কিনা তা খোঁজ নেওয়ার জন্য মুখ্যসচিবকে ইতিমধ্যে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্নাটকের বল্লেরির জনসভায় দ্য কেরালা স্টোরির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছিলেন, এই ছবি সন্ত্রাসবাদের মুখোশ টেনে খুলবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কেরালার মতোই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এরাজ্যে। জেলায় জেলায় খোঁজ মিলছে আল কায়দার এজেন্টদের। লাভ জেহাদের অভিযোগও আসছে শ’য়ে শ’য়ে। এমনই আবহে তাই কিছু আড়াল করতেই কি মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত? এই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। প্রসঙ্গত, প্রথম তিন দিনেই ৩৫ কোটির ব্যবসা করেছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story)। বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের এই ছবি দেখতে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা গিয়েছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন, কোনও ভাবে সত্যকে আড়াল করতে চেষ্টা করছেন। যখনই দেশে কোনও রকমের দেশবিরোধী শক্তির বিরোধিতা করা হয়, মুখ্যমন্ত্রী দেশবিরোধী শক্তির পক্ষ নেন। তবে এভাবে সত্যকে আড়াল করা যাবেনা। বেঙ্গল স্টোরিও খুব শীঘ্র আসবে। ’’

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি সংখ্যালঘু তোষণের কারণেই ছবির প্রদর্শন বন্ধ করলেন?

    সিনেমাতে সন্ত্রাসবাদের মুখোশ খোলা হয়ে থাকলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এতে আপত্তি কিসের? এমনটাও বলছেন অনেকে। মুখ্যমন্ত্রী কি কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে বার্তা দিতেই এই ছবির প্রদর্শন বন্ধ করলেন? তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক তোষণের অভিযোগ প্রথম থেকেই। ক্ষমতায় আসার পরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল রাজ্যসভার সদস্য করেছিল আহমেদ হাসান ইমরানকে, যিনি ছিলেন নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন সিমির প্রতিষ্ঠাতা রাজ্য সভাপতি। বিরোধী মহলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর কি তবে তাঁর দলের এই লবিকে খুশি করতেই এবং ভোট ব্যাংকের কারণেই এই ছবির প্রদর্শন বন্ধ করলেন। 

    আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন প্রযোজক

    মুখ্যমন্ত্রীর এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন প্রযোজক বিপুল শাহ এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বললেন।

    প্রতিবাদ জানালেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক বলেন অনুরাগ ঠাকুর। এ প্রসঙ্গে কালিয়াগঞ্জের উদাহরণ টেনে এনে তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধায়ের রাজ্যে দিনকয়েক আগেই এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়, তারপরেও তাঁর দেহকে পুলিশ যেভাবে টেনে নিয়ে যায়, এটা দেখে সত্যিই কষ্ট হয়।’’

     
     

LinkedIn
Share