Tag: Bengali news

Bengali news

  • Rabindranath Tagore: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শশীভিলাকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি

    Rabindranath Tagore: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শশীভিলাকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) স্মৃতি বিজড়িত বরানগরের শশীভিলা চরম অবহেলায় অনাদরে পড়ে রয়েছে। প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশ এই বাড়িতে দীর্ঘদিন বসবাস করতেন। এখানেই ঘটা করে বিশ্বকবির দু-দুবার জন্মদিন পালন করা হয়েছিল। একসময়ের প্রচারের আলোয় ছিল এই বাড়ি। কিন্তু, জাতীয় সংগীতের স্রষ্টার স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িটি সংস্কার করার বিষয়ে কোনও হেলদোল নেই। ফলে, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বাড়িটি এখন ভেঙে ভেঙে পড়ছে। ২৫ বৈশাখ কবিগুরুর (Rabindranath Tagore) ১৬৩ তম জন্মদিবস। তার আগেই এই বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে সোমবার হেরিটেজ কমিশনের কাছে লিখিত আবেদন জানাল বরানগর নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চের সদস্যরা।

    বিশ্বকবির (Rabindranath Tagore) দুবার জন্মদিন পালিত হয়েছিল এই শশীভিলাতে

    বরানগরের গোপাললাল ঠাকুর রোডে এই বাড়িটি রয়েছে। বাড়িটির ভিতরে মূক ও বধিরদের একটি স্কুল রয়েছে। বাড়ির সংলগ্ন সুন্দর বাগানও ছিল। এই বাড়িতে ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত এই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে প্রশান্তচন্দ্র মহালানবীশ বসবাস করতেন। মহালানবীশের বিভিন্ন লেখাতেই এই বাড়ির বর্ণনা রয়েছে। বিশ্বকবির (Rabindranath Tagore) এই বাড়িতে থাকার কথাও তিনি তাঁর লেখায় তুলে ধরেছেন। প্রশান্তবাবু এক জায়গায় লিখেছেন, বরানগরের এই বাড়িতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) থাকতেন খুব ছোট একটি কোণের ঘরে। সামনে একটি বড় জানলা দিয়ে পূর্ব-দক্ষিণ কোণে দেখা যেত পুকুর ঘাট, আম, সুপুরির বাগান। ছোট কোণের ওই ঘরটার নাম দিয়েছিলেন নেত্রকোণা। এই ঘরে লেখার টেবিল রাখতেন জানলার কাছে থেকে সরিয়ে এক কোণে। দুপাশে দেওয়াল রয়েছে, সামনে কিছু দেখা যায় না, এমন জায়গায় টেবিলটি রাখা হত। কবি বলতেন, খোলা জানলার কাছে বসলে আমার আর লেখা হবে না। আমার মন ঘুরে বেড়াবে বাইরে দূরে। যখন কাজকর্ম শেষ হয়ে যেত, তখন জানলার সামনে ইজিচেয়ারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরের দিকে তিনি তাকিয়ে থাকতেন। এই বাড়িতেই বিশ্বকবি স্নান সমাপন, নীহারিকা, মাতা, দ্বৈত, শেষ প্রহরে সহ বেশ কিছু কবিতা লিখেছিলেন। কবির ৭০ তম এবং ৭৫ তম জন্মবার্ষিকী উত্সব এই বাড়িতেই পালিত হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের প্রচুর অতিথি এই বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন।

    কী বললেন নাগরিক মঞ্চের সদস্য?

    এখন এই বাড়ির হাল অত্যন্ত বেহাল। বিল্ডিংয়ের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। এই বাড়ির ইতিহাস না জানলে এটা পৌরবাড়ি ছাড়া কিছু মনে হবে না। বরানগর নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চের পক্ষ থেকে এই বাড়িটিকে হেরিটেজ করার বিষয়ে উদ্যোগী হয়। নাগরিক মঞ্চের সদস্য তথা বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন শিক্ষক দীনেশচন্দ্র ভট্টাচার্য বলেন, শশীভিলাকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। কোনও সরকারই এই বাড়িটিতে হেরিটেজ ঘোষণার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। আমরা এর আগে বরানগরের সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে গণস্বাক্ষর করেছিলাম। এবার হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানালাম। শশীভিলাকে হেরিটেজ করার জন্য আমরা সবরকমের আন্দোলন করতে প্রস্তুত।

    কী বললেন হেরিটেজ কমিশনের সেক্রেটারি?

    হেরিটেজ কমিশনের সেক্রেটারি অম্লানজ্যোতি সাহা বলেন, এই প্রথম কেউ ওই বাড়িটি হেরিটেজ করার দাবি জানিয়ে আমাদের কাছে আবেদন করেছে। আমরা তাদের দাবির বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী অবশেষে থানায় গিয়ে হাজিরা দিলেন

    TMC: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী অবশেষে থানায় গিয়ে হাজিরা দিলেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী অবশেষে পুলিশের কাছে হাজিরা দিলেন। ৩ মে পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনেই সোমবার তিনি সাইবার ক্রাইম থানায় গিয়ে হাজিরা দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি সাইবার থানায় আসেন। ডিএসপি পদমর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিক তাঁকে আধ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাবে না।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে তিন আদিবাসী মহিলা দণ্ডি কেটে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগ দেন। দণ্ডি কাটার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রদীপ্তা চক্রবর্তী নামে ওই নেত্রী বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। প্রদীপ্তাকে মহিলার জেলা সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী গত ২ মে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুরে এসে আদিবাসী তিন মহিলার সঙ্গে দেখা করে ঘোষণা করেছিলেন যে দণ্ডিকাণ্ডে যতবড়ই নেতানেত্রী জড়িত থাকুক না কেন তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় ও প্রশাসনিকগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিষেকের হুঁশিয়ারির পরই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করা হয়। তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড এর ঘোষণার পরদিন ৩ মে দণ্ডি মামলায় প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সাত দিনের মধ্যে হাজিরার নোটিশ পাঠায় পুলিশ। সেই নির্দেশ মেনে এদিন তিনি হাজিরা দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার সহ সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। ঘটনার পর পরই তাঁর বিরুদ্ধে দলগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়াও চলছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, দণ্ডিকাণ্ডের মতো অমানবিক ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপি সহ বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন আন্দোলনে নেমেছিল। এদিন অভিযুক্তকে শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এসব লোক দেখানো নাটক না করে দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। তার গ্রেফতারের দাবিতে আগামীতে বিজেপি আবার আন্দোলনে নামবে বলে জানান তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ময়নায় বিজেপি কর্মী খুনে নতুন করে আরও তিনজন গ্রেফতার, মোট কতজন গ্রেফতার জানেন?

    BJP: ময়নায় বিজেপি কর্মী খুনে নতুন করে আরও তিনজন গ্রেফতার, মোট কতজন গ্রেফতার জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নায় বিজেপি (BJP) নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে নতুন করে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রবিবার রাতে শ্যামপদ মণ্ডল, সাগর মণ্ডল এবং মধুসূদন সাহুকে গ্রেফতার করা হয়। আর আগে এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মিলন ভৌমিক, নন্দন মণ্ডল, সুজয় মণ্ডলসহ মোট চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

    ধৃতদের কোথা থেকে গ্রেফতার করা হল?

    কয়েকদিন আগে বিজেপি (BJP) নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে স্ত্রী, সন্তানের সামনে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। ৩৪ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বন্‌ধ, প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত তিনজনের বাড়ি ময়না থানার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোড়ামহল গ্রামে। তারা এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকে তারা কেউ এলাকায় ছিল না। হলদিয়া এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছিল। হলদিয়ার ভবানীচক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বাগচায় একটি ইটভাটাতে দুজন অভিযুক্ত লুকিয়ে ছিল। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করে। এদিকে, পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক উত্তম বারিকের নেতৃত্বে ৩৩ জন বিজেপি কর্মীর নামে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিজেপি কর্মী খুনের পর পরই বেশ কয়েকটি তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, দলীয় কর্মী খুনের পর বিজেপি এই হামলা চালিয়েছিল। সেই ঘটনার সূত্র ধরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

    গ্রেফতারি নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন, দোষীদের গ্রেফতারে টালবাহানা করছে পুলিশ। এই খুনের পিছনে মূল যারা ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে, তাদের ধরার বিষয়ে পুলিশের কোনও হেলদোল নেই। আমাদের দাবি, মূল ষড়যন্ত্রকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। আর বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এই খুনের ঘটনার এনআইএ বা সিবিআই তদন্ত হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: “তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেকের সমস্যা কোথায়?” প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Abhishek Banerjee: “তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেকের সমস্যা কোথায়?” প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha)। তিনি বলেন, তদন্তকারী সংস্থা যে কোনও কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে, এতে অসুবিধা কীসের? তদন্তে সহযোগিতা করতে সমস্যা কোথায়? এর পাশাপাশি বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যুক্ত করতে হবে। তাঁর বক্তব্য, এই মামলায় তাঁর বক্তব্য জানাতে পারবেন অভিষেক। কিন্তু তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ নেই। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১২ মে।

    সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)…

    ১৩ এপ্রিল নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, কুন্তল ঘোষের চিঠিতে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার ভিত্তিতে অভিষেককে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রয়োজনে কুন্তল ও অভিষেককে মুখোমুখি বসাতেও পারে ইডি-সিবিআই। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। পরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে অভিষেকের মামলা সরানোর নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এই মামলা পাঠিয়ে দেন বিচারপতি সিনহার এজলাসে।

    মে মাসের প্রথম দিকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলা সরিয়ে পাঠানো হয়েছে বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। সৌমেন নন্দী, রমেশ মাহাতর মামলা গিয়েছে তাঁর এজলাসে। সেই মামলার শুনানিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উঠতে তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করার বার্তা দিয়ে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। এদিন আদালতের কাছে সময় চান অভিষেকের আইনজীবী। হাইকোর্ট সময় মঞ্জুর করলেও, অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেন বিচারপতি সিনহা।

    আরও পড়ুুন: চণ্ডীপুর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি! কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    সোমবার আদালতে মামলাটি উঠলে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এদিন মামলাটির শুনানি ছিল বলে তাঁর জানা ছিল না। এর পরেই বিরক্তি প্রকাশ করে অভিষেকের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, আজ মামলার শুনানি, অথচ আপনি কেন জানেন না? মামলায় যুক্ত হওয়া পর্যন্ত কি অপেক্ষা করছিলেন? তদন্তের ওপরে কেউ নন। তদন্তে সহযোগিতা করুন। এর পরেই তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তে সহযোগিতা করলে অসুবিধার কী আছে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: হিন্দু শাস্ত্রমতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ অশ্বত্থ ও বটবৃক্ষ, গাছ কাটা ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ

    Asansol: হিন্দু শাস্ত্রমতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ অশ্বত্থ ও বটবৃক্ষ, গাছ কাটা ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবাধে বৃক্ষ নিধন রুখতে বাড়ির অশ্বত্থ ও বট গাছের বিয়ে দিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্তর্গত আসানসোল (Asansol) পৌরনিগমের ৮৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নারায়ণ দাস (বলাই)। গাছের সঙ্গে গাছের বিয়ে! না, কোনও সংস্কার বা কুসংস্কারের বশে নয়। এমন কর্মকাণ্ড অত্যন্ত সাধুবাদযোগ্য হয়েছে বৃক্ষপ্রেমীদের কাছে।

    বিয়ে কেন?

    ঘরবাড়ি তৈরির ফলে অনেক গাছ কাটা হচ্ছে। সেই সঙ্গে অনাবৃষ্টিতে আরও শুকনো, খটখটে হয়ে যাচ্ছে রুখাশুখা পরিবেশ। তারপরেও গাছ কেটে জঙ্গল সাফ করার কাজে বিরাম নেই। তাতে সংকট বাড়ছে ধরিত্রীর, বিপদ ক্রমশ বাড়ছে সাধারণ মানুষজনের। সেই কথা উপলব্ধি করেই গাছকাটা ঠেকাতে দুই গাছের বিয়ে দিলেন গাছপ্রেমী বলাই দাস (Asansol)।

    বিবাহ অনুষ্ঠানের ধরন

    দুই গাছের বিবাহে একটি গাছ পুরুষ বটবৃক্ষ, যা ভগবান নারায়ণের প্রতীক। আরেকটি গাছ হল নারী অশ্বত্থ বটগাছ, যা মা লক্ষ্মীর প্রতীক। গাছের বর-বধূর সাজে পরনে ছিল যথাক্রমে সাদা ধুতি এবং লালপাড়ের শাড়ি। উভয় গাছের মাথায় বরকনের মুকুট এবং গলায় মালা। কলাগাছ দিয়ে বিবাহ মণ্ডপ, ছাদনাতলা সাজানো হয়েছিল। নানা ফুল দিয়ে মণ্ডপ সুসজ্জিত ছিল। গাছে-গাছের বিবাহে জগতের মঙ্গল সাধন হবে, এমনটাই বিবাহের উদ্দেশ্য বলে উদ্যোক্তরা জানান। গাছ আমাদের ছায়াদান করবে। অক্সিজেন আমাদের পৃথিবীকে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে অনেক সাহায্য করবে বলে মনে করেন গাছপ্রেমীরা। দুই গাছের বিবাহেই সনাতনী হিন্দু প্রথা রীতিনীতির মতোই, বিদ্ধি, নান্দীমুখ, অধিবাস এবং লগ্ন ধরে সব নিয়ম মানা হয়। বাজনা বাজিয়ে উলুধ্বনি, মালাবদল, মন্ত্রোচ্চারণ-সহ হিন্দু শাস্ত্রমতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হল অশ্বত্থ ও বটবৃক্ষ। শুধু এটুকুই নয়, দুই বৃক্ষের এমন শুভ পরিণয়ে পাত পড়ল পাড়াতে। চলল বালক ভোজনও। আসানসোলবাসী (Asansol) বলাই দাসের এমন উদ্যোগের তারিফ করেছেন উদ্ভিদপ্রেমী মানুষ ও পরিবেশবিদরা।

    উদ্যোক্তাদের প্রতিক্রিয়া

    নারায়ণ দাস (বলাই) বলেন, গাছের প্রতি আমাদের অত্যন্ত মানবিক আচরণ করা উচিত। গাছ একটি মানুষ, এই সমবেদনা আমার মতো সকলের মধ্যে জাগ্রত হোক। আর তাই গাছে গাছে বিবাহ। পুরোহিত সীতাংশু ভট্টাচার্য বলেন, এই বিবাহ আমাদের সনাতনী হিন্দু মতে বিবাহ। দুটি গাছের মধ্যে বিবাহ দিয়ে জায়গা দেখে মাটিতে গাছ লাগানো হবে। তিনি আরও বলেন গাছ আমাদের রক্ষা করে। পাড়ার সাধারণ মানুষ বলেন, বলাইবাবু বরাবরই পাড়াতে গাছ প্রেমী মানুষ হিসাবে পরিচিত। তাঁর এই অভিনব কর্ম রীতিমতো এলাকায় (Asansol) সাড়া ফেলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Media Censorship: গরিবি ঢাকতে দারিদ্রের করুণ ছবি মুছছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার!

    Media Censorship: গরিবি ঢাকতে দারিদ্রের করুণ ছবি মুছছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরিবি হটানোর কোনও চেষ্টা নেই! যা আছে, তাহল গরিবি ঢাকার চেষ্টা। তামাম বিশ্বের সামনে চিনা (China) অর্থনীতির বেহাল দশার কথা তুলে ধরতে রাজি নয় সে দেশের কমিউনিস্ট সরকার। তাই দেশবাসীর করুণ অবস্থার ছবি তুলে ধরে যেসব ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়, তা মুছতে (Media Censorship) শুরু করেছে ‘গরিব দরদি’ সরকার। সম্প্রতি চিনে বাড়ছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। সেই গরিব মানুষদের দুঃসহ জীবনের ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে স্পষ্ট, কীভাবে বহু চিনা নাগরিক আধ পেটা কিংবা প্রতিদিন ভরপেট খেতে না পেয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করছেন।

    ভাইরাল ভিডিওয় কাঁচি (Media Censorship)…

    ভাইরাল ভিডিও থেকে জানা যাচ্ছে, চিনের অতি সাধারণ মানুষ ফি মাসে মুদিখানার সামগ্রী কেনার জন্য খরচ করতে পারেন মাত্র ১০০ ইয়েন। মার্কিন ডলারে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ভারতীয় ১৪ টাকার মতো। কেবল ওই ভিডিও নয়, চিনের বেহাল অর্থনীতির খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদ সংস্থা দ্য নিউইয়র্ক টাইমসও। সেখানেও উঠে এসেছে অতি সাধারণ চিনা নাগরিকদের দুর্বিষহ জীবনের করুণ ছবি। এক চিনা নাগরিক বলেন, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ধুয়ে ফেলি। দাঁত (Media Censorship) মাজি। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমার পেট মুখের চেয়ে বেশি পরিষ্কার। কারণ সেখানে ময়লা জমার মতো কিছুই যাচ্ছে না।

    আরও পড়ুুন: পুলিশ কর্তা ও এনআইএ-র অফিসে নাশকতার ছক জঙ্গিদের! সতর্ক করলেন গোয়েন্দারা

    মার্কিন সংবাদপত্রের প্রতিবেদন মুছতে পারেনি চিনের শি জিনপিংয়ের সরকার। তবে দেশ থেকে যেসব ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে বেআব্রু হয়ে গিয়েছে চিনের ভুখা অর্থনীতির ছবি, যে ছবি ভাইরাল হওয়ার পর মুখ পুড়েছে কমিউনিস্ট শাসিত এই দেশের। তার পরেই ভাইরাল হওয়া দারিদ্রের করুণ কাহিনি সম্বলিত ছবি ডিলিট করতে উঠেপড়ে লেগেছে সে দেশের সরকার।

    একুশ সালে দারিদ্রতার বিরুদ্ধে যুদ্ধের কথা ঘোষণা করেছিলেন (Media Censorship) চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেছিলেন, এখনও বহু মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করছেন। তবে আমাদের দেশের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির কথা আগে ভাবতে হবে। সেটা যে নিছকই কথার কথা ছিল, তার জ্বলন্ত প্রমাণ দেশের অর্থনীতির করুণ ছবি। যে ছবি মোছার চেষ্টা করছে ড্রাগনের দেশের সরকার।

    ছবি না হয় মোছা গেল, দারিদ্র ঘুঁচবে কি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: প্রকাশ্যে শ্যুটআউট! আমডাঙায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    TMC: প্রকাশ্যে শ্যুটআউট! আমডাঙায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় শ্যুটআউটের ঘঠনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন এক তৃণমূল (TMC) কর্মী। আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কর্মীর নাম আবু তোয়েব। তাঁর বাড়ি ঘুরিগাছি এলাকায়। ঘটনার পর পরই স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাঁকে বারাসতের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। দলীয় কোন্দলের জেরে এই হামলা, না এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও কে বা কারা গুলি করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনায় আমডাঙার বোদাই পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    আবু তোয়েব এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল (TMC) কর্মী হিসেবে পরিচিত। রাত সাড়ে নটা নাগাদ তিনি সন্তোষপুরে একটি কাজে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাইকে করে তিনি ঘুরিগাছি গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। মাঝপথেই মথুরা এলাকায় তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, এক রাউন্ড গুলি চলে। ডান হাতের কব্জিতে গুলি লাগে তাঁর। দুষ্কৃতীরা গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। গুলি চলার আওয়াজ শুনেই ঘটনাস্থলে হাজির হন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বারাসতের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পরেই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান আমডাঙা থানার পুলিশ।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতা?

    স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা এস কে ইনামুল রহমান বলেন, তোয়েব আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। ভালো সংগঠক। দলের কাজে ও সবসময় ঝাঁপিয়ে পড়েন। ওর উপর এভাবে কারা গুলি চালাল তা বুঝতে পারছি না। আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: পুলিশ কর্তা ও এনআইএ-র অফিসে নাশকতার ছক জঙ্গিদের! সতর্ক করলেন গোয়েন্দারা

    Jammu Kashmir: পুলিশ কর্তা ও এনআইএ-র অফিসে নাশকতার ছক জঙ্গিদের! সতর্ক করলেন গোয়েন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় ধরনের নাশকতার ছক লস্কর-ই-তইবা (LeT) এবং জইশ-ই-মহম্মদের (JEM)! কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এ ব্যাপারে এনআইএ এবং জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) পুলিশের পদস্থ কর্তাদের সাবধান করে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যেসব আধিকারিক দিল্লিতে কর্মরত, তাঁদের বাসভবন এবং এনআইএর অফিসে হামলা করার ছক কষছে জঙ্গিরা। এর আগে কেন্দ্রীয় গেয়েন্দা সংস্থার তরফে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর যে হামলা হতে পারে, তা আগাম জানানো হয়েছিল। সেই মতো দিন কয়েক আগে বারমুলায় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। তাই এবারও যে এমন কোনও ঘটনা ঘটতে পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে ওই সংস্থা।

    লস্কর-ই-তইবার (LET) ছক…

    গত মাসেই কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) পুঞ্চ জেলার ভীম্বার এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষীদের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। তার জেরে শহিদ হন পাঁচ জওয়ান। জইশ-ই-মহম্মদ এই ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতিও দেয়। গোয়েন্দারা এও জেনেছেন, পাকিস্তান (LET) ভিত্তিক লস্কর কমান্ডার রফিক নাই এবং তার ভাই শামসের নাই পুঞ্চের বালাকোট এলাকায় ডেরা বেঁধেছে। চলতি মাসের শেষের দিকে শ্রীনগরে হতে চলেছে জি-২০ সম্মেলন। সেই সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। তার আগে ভূস্বর্গকে অশান্ত করে তোলাই পাখির চোখ জঙ্গিদের।

    বিস্ফোরক সহ ধৃত ১

    এদিকে, জঙ্গি দমনে প্রাণপণ করেছে সেনা। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) রাজৌরি এবং বারামুল্লায় গত কয়েকদিন ধরেই চলছে জঙ্গি দমন অভিযান। অভিযান চলাকালীন সন্ত্রাসবাদী এবং সেনার গুলির লড়াইয়ে একাধিক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ দাবি করেছে, জঙ্গিদের এক সহযোগীকে দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। তার কাছ থেকে নিরাপত্তারক্ষীরা ৫ কেজি (LET) ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস উদ্ধার হয়েছে। ধৃতের নাম ইশফাক আহমেদ ওয়ানি।

    আরও পড়ুুন: পটাশপুরে শুভেন্দুর সভা বাতিল প্রশাসনের! রবিবার ফের জনসভার ডাক বিরোধী দলনেতার

    তার বাড়ি বদগামের আরিগাম এলাকায়। ট্যুইট-বার্তায় কাশ্মীর (Jammu Kashmir) জোন পুলিশ জানিয়েছে, পুলওয়ামা পুলিশ সন্ত্রাসবাদে এক সহযোগী ইশফাক আহমেদ ওয়ানিকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে একটি আইইডি উদ্ধার করে একটি বড় দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম হয়েছে। মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে, শনিবারও চলে জঙ্গি দমন অভিযান। সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় এক জঙ্গির। তার পরেই আইইডি সহ গ্রেফতার জঙ্গির সহকারী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: জামাইয়ের কান কাটল শাশুড়ি! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    Malda: জামাইয়ের কান কাটল শাশুড়ি! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদ্যপ স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্ত্রী বার বার মায়ের কাছে নালিশ জানিয়েছিলেন। বহুবার দুই বাড়ির লোকজন বসে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন। শাশুড়ি নিজে জামাইয়ের হাত ধরে মেয়ের ওপর অত্যাচার না করার জন্য বহুবার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ হয়নি। বরং, দিনের পর দিন মেয়ের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই যাচ্ছিল। গুণধর জামাইকে শিক্ষা দিতে এবার অনুরোধ, কাকতি-মিনতির পথে না হেঁটে ধারাল অস্ত্র দিয়ে জামাইয়ের কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল শাশুড়ির বিরুদ্ধে। মালদহের (Malda) ইংরেজবাজার থানার নিমাইসরাই এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    আক্রান্ত জামাইয়ের নাম সুনীল চৌধুরী। আর অভিযুক্ত শাশুড়ির নাম নিতলা চৌধুরী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে সুনীল চৌধুরীর সঙ্গে নিতলাদেবীর মেয়ে দুর্গার বিয়ে হয়। দুর্গা চার সন্তানের মা। দীর্ঘদিন ধরেই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি এসে সন্তানদের সামনে সে স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই পরিবারের মধ্যে গণ্ডগোল লেগেই থাকতো। দুই পরিবারের লোকজন বার বার বৈঠক করেও কোনও কাজ হয়নি। রবিবার সুনীলবাবু মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি এসে ফের স্ত্রীকে গালিগালাজ করতে থাকে। স্ত্রী তাকে চুপ করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উলটে স্ত্রীর উপর চড়াও হওয়ার জন্য সে উদ্যত হয়। এসব যখন চলছে তখন বাড়িতে সুনীলবাবুর শাশুড়ি ছিলেন। গুণধর জামাইকে শিক্ষা দিতে প্রথমে তাকে লাঠিপেটা করেন তিনি। পরে, ধারাল অস্ত্র দিয়ে জামাইয়ের কান কেটে নেন। কান দিয়ে ঝর ঝর করে রক্ত বের হতেই জামাইয়ের নেশা ছুটে যায়। তিনি চিত্কার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আশপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে মালদহ (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

    কী বললেন গুণধর জামাই?

    সুনীলবাবু বলেন, নেশা করে বাড়ি গিয়েছিলাম। সঙ্গে মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিলাম। ভাত খেতে দেয়নি। এনিয়ে একটু বচসা হতেই প্রথমে স্ত্রী মারধর করে। পরে, শাশুড়ি এসে আমার উপর চড়াও হয়। আমার কান কেটে দেয়। এভাবে আমার ওপর হামলা চালাবে ভাবতে পারিনি। এই ঘটনার পর থেকে আমি আতঙ্কে রয়েছি। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পুরসভার চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দলেরই কাউন্সিলরের, চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    TMC: পুরসভার চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দলেরই কাউন্সিলরের, চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়া পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর সত্যেন রায়। রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি দলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বোমা ফাটালেন। পুরসভার চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ করেছেন তিনি। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল (tmc) কাউন্সিলর?

    ভাটপাড়া পুরসভায় ৩৫টি আসনই তৃণমূলের (TMC) দখলে রয়েছে। তারপরও দলের একাংশ পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যেন রায় বলেন, কোনও কাউন্সিলরের সঙ্গে আলোচনা না করেই সব কিছু কাজ করা হচ্ছে। ঠিকাদারদের টেন্ডার ছাড়াই কাজ পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। চেয়ারম্যান রেবা রাহা তাঁর দুই ছেলে তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম ও সঞ্জয় শ্যামকে নিয়ে এসব করছে। আমরা কোনওভাবে তা মেনে নেব না। কাউন্সিলররা সরাসরি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে পারেনা। দলকে জানানো হয়েছে কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত চেয়ারম্যানকে না সারানো হবে ততক্ষণ পুরসভার উন্নতি ভালোভাবে হবে না। এ ব্যাপারে বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    কী বললেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান?

    ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, যে কথাগুলো সত্যেনবাবু বলেছে সেগুলো তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। যদি কিছু ঘটে থাকে তাহলে দলের মধ্যে আলোচনা করা যেত। তিনি দীর্ঘদিনের আমাদের সহকর্মী, তাকে পরামর্শ দেবো যে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা উচিত। যদি কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকে সেটা চেয়ারম্যানের নজরে আনা উচিত ছিল। অভিযোগের কোনও সত্যতা আছে কিনা সেটা ঠিক নেই। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আর আদালতের নির্দেশে কিছু কাজে বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই, পরিষেবা দেওয়ার জন্য টেন্ডার ছাড়া কিছু কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এলাকার মানুষের স্বার্থে এই কাজ করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share