Tag: Bengali news

Bengali news

  • TMC: ভার্চুয়াল মিটিংয়ে নেতাদের সামনেই  ‘চোর চোর’ স্লোগান! ভাইরাল ভিডিও, চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    TMC: ভার্চুয়াল মিটিংয়ে নেতাদের সামনেই ‘চোর চোর’ স্লোগান! ভাইরাল ভিডিও, চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচিতে ব্যালট লুঠ হওয়ার ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন রাজ্যবাসী। দুদিন আগে মালদহের ইংরেজবাজারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা চুরি করার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এই সব ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সেই নবজোয়ার কর্মসূচির ভার্চুয়াল মিটিংয়ের ভিডিও ভাইরাল হতেই চরম অস্বস্তিতে নেতৃত্ব। তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের ভার্চুয়াল মিটিং চলাকালীন জেলা ও রাজ্যের নেতাদের সামনেই ‘চোর চোর’ স্লোগান!

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পশ্চিম মেদিনীপুরে শুরু হতে চলেছে তৃণমূলের (TMC) নবজোয়ার কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিকে সামনে রেখে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে বৃহস্পতিবার একটি ভার্চুয়াল মিটিং এর আয়োজন করা হয়। গুগল মিটের মাধ্যমে এই মিটিং হয়। মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি ও প্রাক্তন ছাত্র সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী, মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৈয়দ মিলু, রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী এবং অন্যান্য ব্লক ও জেলা স্তরের নেতৃত্বরা। রাজ্যস্তরের নেতারা মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই মিটিং ছিল তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের কোর কমিটির মিটিং। তবে সেই মিটিং এর শুরুতেই হোঁচট। হঠাৎই স্লোগান ওঠে “চোর চোর চোরটা, অভিষেকের পিসিটা। “এমনকী মিটিং চলাকালীন একাধিক মেসেজে ভেসে আসতে থাকে ত্রিপল ও কয়লা চুরির ঘটনা। এছাড়াও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও আক্রমণ করা হয় রাজ্য তৃণমূলের আইটি সেল এর সভাপতি দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তীব্র আক্রমণ করা হয় মেসেজ ও স্লোগানের মাধ্যমে। প্রশ্ন উঠছে, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, আর তার আগে তৃণমূলের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে এধরনের দলবিরোধী স্লোগান ভাবাচ্ছে বুথ থেকে রাজ্যস্তরের নেতৃত্বদের।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    ভার্চুয়াল মিটিং এর এই ভিডিওই রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়ায়। চরম অস্বস্তিতে শাসক শিবিরের ছাত্র সংগঠন। প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের নেতৃত্ব জানাচ্ছে, মিটিংয়ে যারা বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেছে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অরূপ দাস বলেন, এটা ওদের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল। কর্মীদের ওপর নেতৃত্বের কোনও লাগাম নেই। তাই, মিটিংয়ের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, এই ধরনের ঘটনা তত বাড়বে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কালজানি নদীর বোরোলি! দাম শুনলে চমকে উঠবেন

    Alipurduar: বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কালজানি নদীর বোরোলি! দাম শুনলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। আর যদি উত্তরবঙ্গের কথা ওঠে, তাহলে বোরোলিকে বাদ দিয়ে মাছ নিয়ে তো আলোচনা করা যায় না। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন, আগে কালজানি নদীতেও প্রতিনিয়ত মিলত এই মাছ। এখন তা কার্যত দুষ্প্রাপ্য। গত দু-একদিন ধরে আবার কালজানি নদীতে সে মাছের সন্ধান মিলেছে। দাম যতই হাতে ছ্যাঁকা লাগানোর মতো হোক না কেন, বাজারে আনামাত্রই তা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আসলে দীর্ঘদিন পর কালজানির সুস্বাদু বোরোলির দেখা পেয়ে ক্রেতারা আর দামের তোয়াক্কা করছেন না।

    কালজানি নদীতে জেলেদের জালে উঠছে বোরোলি মাছ

    টানা খরা কাটিয়ে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালজানি নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে উত্তরের সুস্বাদু মিষ্টি জলের নদীয়ালি বোরোলি মাছ। গত কয়েক দিনে সামান্য পরিমাণ বৃষ্টি হতেই কালজানি নদীতে ধরা পড়ছে এখানকার রুপোলি ফসল বোরোলি মাছ। মৎস্য প্রেমিকদের কাছে ইলিশের সঙ্গে টক্কর দিতে পারে এই  বোরোলি মাছ। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাইরে থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছেও বোরোলি মাছ খুবই আকর্ষণীয়।

    বাজারে কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে বোরোলি মাছ?

    কালজানি নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন বাচ্চু বর্মন, প্রদীপ দাসরা। তাঁরা বলেন, বছরের বেশিরভাগ সময়ই বোরোলি জালে ধরা পড়ে না। বর্ষাকালে বেশি জলে যেমন ওই মাছকে ধরা যায় না, তেমনি শীতকালে নদীতে জল কমে গেলেও এই মাছের দেখা পাওয়া যায় না। তবে নদীতে জল বেড়ে যাওয়ার ঠিক আগে ওই মাছ কিছু দিনের জন্য ধরা যায়। বাজারে বোরোলি মাছের প্রচুর চাহিদা থাকায় প্রতি কেজি ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কালজানি নদীর ওই রুপোলি ফসল বিক্রি করে বেশ লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন মৎস্যজীবীরাও। মে মাসে কিছুদিনের জন্য বোরোলি আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিভিন্ন বাজারে পাওয়া গেলেও বছরের অন্যান্য সময় গঙ্গার পিয়ালি মাছকে এখানে বোরোলি মাছ বলে বিক্রি করা হয়। যদিও একই রকম দেখতে হলেও স্বাদের দিক থেকে বোরোলির ধারে কাছে আসতে পারবে না পিয়ালি মাছ। ফলে কিছুদিনের জন্য কালজানি নদীর ওই রুপোলি ফসল বাজার থেকে কিনতে দরদামের তোয়াক্কা করছেন না আমবাঙালি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • WHO: করোনা অতিমারী শেষ! বড় ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    WHO: করোনা অতিমারী শেষ! বড় ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণা, করোনার সংকট শেষ হয়েছে। হু (WHO)-এর এই ঘোষণার ফলে তিনবছর পরে করোনার দাপট ও উদ্বেগ থেকে রেহাই মিলল বিশ্ববাসীর। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের শেষ থেকে করোনার দাপট শুরু হয়েছিল চিনে, পরে সংক্রমণ ছড়িয়ে ছিল বিশ্বের প্রায় সব দেশেই। ১৪০ কোটির দেশ ভারতে করোনা মোকাবিলা করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। ২০২০ সালের মার্চ মাস নাগাদ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই ভারতেও শুরু হয় লকডাউন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিমারির কারণে বিশ্বব্যাপী সেই পরিস্থিতি শুরু হয়েছিল যেমনটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন দেখা যেত। চিন, আমেরিকা সমেত কয়েকটি দেশে শুরু হয় মৃত্যু মিছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতো ভ্যাকসিন তৈরি করে।

    হু (WHO)-এর পরিসংখ্যান…

    হু (WHO)-এর পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে করোনার কারণে সারা বিশ্বব্যাপী যেখানে, মৃত্যুর হার ছিল প্রতি সপ্তাহে ১,০০,০০০ সেখানে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে তা নেমে এসেছে ৩,৫০০। হু-এর মতে, কমপক্ষে ৭০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন অতিমারির কারণে। তবে এবার সেসব থেকে মুক্তি। হু (WHO)- এর মতে, বিশ্বজুড়ে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এমন মানুষের সংখ্যা ৭৬ কোটি ৫০ লক্ষ।

    ৪ মে বৈঠকে বসেছিল হু (WHO)

    চলতি সপ্তাহের ৪ মে হু-এর করোনা সংকট মোকাবিলা কমিটি তাদের ১৫ তম বৈঠকে বসেছিল। সেখানেই ঘোষণা করা হয় অতিমারি শেষ হয়েছে। হু- এর এই ঘোষণা বিগত তিন বছরে, বিশ্বজুড়ে অতিমারির ডেটা বিশ্লেষণ করে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি হু (WHO) জানিয়েছে এই ঘোষণার ফলে একেবারেই যে আমরা বিপদমুক্ত এটা ভাবার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রতিটা দেশ এবার নিজেদের মতো করে করোনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিক বলেও জানিয়েছে হু।

    ভ্যাকসিনই কি করোনার দাপট রুখে দিল?

    বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, দেশে দেশে ভ্যাকসিনের প্রয়োগের ফলেই মিটল করোনার দাপট। হু (WHO)-এর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা বিশ্বব্যাপী ১৩০০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে, যা বহু মানুষের মৃত্যু অথবা কঠিন স্বাস্থ্য সমস্যাকে ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে। হু-এর আক্ষেপ এখনও এমন দেশ রয়ে গেছে যেখানে সব মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: ভাবাদিঘি রেল প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রেল আধিকারিকরা

    Agitation: ভাবাদিঘি রেল প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রেল আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাবাদিঘি জটে দীর্ঘ দিন ধরেই থমকে রয়েছে তারকেশ্বর – বিষ্ণুপুর রেল লাইনের কাজ। দিঘি বাঁচাও কমিটির আন্দোলনের (Agitation) জেরে রেললাইনের প্রকল্পের কাজ গোঘাটের ভাবাদিঘি এলাকায় থমকে রয়েছে। বারবার রেল কর্তারা ভাবাদিঘি পরিদর্শন করলেও কাজের অগ্রগতি কিছুই হয়নি। এদিকে দিঘির জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। তার মাঝে ফের শুক্রবার ভাবাদিঘি পরিদর্শন করেন পূর্ব রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। কিন্তু, কোনও কথাই হল না আন্দোলনকারীদের (Agitation) সঙ্গে। উল্টে আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদের মুখে পড়লেন তাঁরা। হাতে পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ দেখান এলাকাবাসী।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    রেললাইনের কাজ কবে শুরু হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে এলাকার মানুষ। এদিন ভাবাদিঘির রেললাইনের কাজ পরিদর্শন করতে আসেন পূর্ব রেলের আধিকারিকরা। তাঁরা তারকেশ্বর থেকে ট্রেনে করে গোঘাট স্টেশনে এসে নামেন। তারপর সড়কপথে ভাবাদিঘির রেল লাইনের কাজ পরিদর্শনে যান। বিষয়টি জানার পরই এলাকাবাসী সেখানে যান। রেল আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁরা প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলতে চান। কিন্তু, তাঁরা কথা বলেননি। এরপরই এলাকাবাসী পোস্টার হাতে নিয়ে রেল আধিকারিকদের সামনে ক্ষোভে (Agitation) ফেটে পড়েন।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    রেল আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমরা রেল প্রকল্পের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু, ভাবাদিঘির উপর দিয়ে এই প্রকল্প হোক আমরা চাই না। কারণ, এই দিঘির জলের ওপর শতাধিক পরিবার নির্ভরশীল। আমরা রেল আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেই আমাদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরতাম। কিন্তু, তাঁরা কেউ আমাদের সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজনবোধ করলেন না। তাই পোস্টার লিখে আমরা দাবিদাওয়ার বিষয়টি তাঁদের কাছে তুলে ধরতাম। গ্রামের মানুষ রেলকর্তাদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান।

    এদিন রেল কর্তারা এলেও ভাবাদিঘির জট ক্রমশ খোলার জায়গায়, আরও বেশি করে জট পাকিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও রেল আধিকারিকরা এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। ভাবাদিঘির পর তাঁরা বাঁকুড়ার- বিষ্ণুপুর এলাকায় রেল লাইনের কাজ খতিয়ে দেখতে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবকের পরিবার

    CBI: সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবকের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডি নয়, সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানালেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে খুন হওয়া মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার মালদহের ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীপুর পাওয়ার গ্রিড এলাকায় জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা এই দাবি জানান। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, সিআইডি তদন্তে আমাদের আস্থা নেই। তাই, পুলিশের গুলিতে খুনের ঘটনায় আমরা সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল এলাকা। পরে, দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে কালিয়াগঞ্জ থানায় আদিবাসী ও রাজবংশী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় থানা। ঘটনার পর পরই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে ধরতে গিয়ে নিরীহ যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে পুলিশ গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব সরব হয়েছেন। অভিযুক্ত পুলিশের শাস্তির দাবি জানানো হয়।

    মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের সদস্যরা কেন ঘরছাড়া?

    ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন মৃতের পরিবার। বিভিন্নভাবে চাপ আসছে পরিবারের ওপর। এমনই অভিযোগ পরিবারের লোকজনের। মৃত্যুঞ্জয়ের দাদা বলেন, ঘটনার পর থেকে রাতে গ্রামে পুলিশ আসছে। ভয় দেখাচ্ছে। আতঙ্কে আমরা ভিটে ছেড়ে চলে এসেছি। কখনও সপরিবারে শিলিগুড়িতে রয়েছি। কখনও আবার মালদহে। রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ এসে আমার ভাইকে গুলি করে খুন করল। আমাদের সঙ্গেও এই ধরনের ঘটনা ফের ঘটতে পারে। আতঙ্কে আমরা আর বাড়িতে থাকার সাহস পাইনি। এদিন কমিশনের আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানিয়েছি।

    কী বললেন জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান?

    জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণবাবু বলেন, এদিন আমাদের কালিয়াগঞ্জে গিয়ে মৃত্যুঞ্জয়বাবুর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু, জানতে পারলাম, তাঁরা কেউ বাড়িতে নেই। পুলিশের আতঙ্কে তাঁরা ভিটে ছাড়া। মালদহে রয়েছে জেনে আমরা তাঁদের ডেকে কথা বললাম। পরিবারের সকলের সঙ্গে বিস্তারিত আমরা কথা বলেছি। সমস্ত বিষয় আমরা লিপিবদ্ধ করেছি। পরে, আমরা পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে কালিয়াগঞ্জের ঘটনাস্থলে যাব। সেখানে পরিবারের লোকজনকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা এবং তাঁদের নিরাপত্তা আমরা সুনিশ্চিত করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barasat Pond Filling: ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর? পৌরসভার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

    Barasat Pond Filling: ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর? পৌরসভার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ কয়েকদিন ধরে ময়লা ও আবর্জনা ফেলার ফলে পুকুরের বেশিরভাগটাই বুজে গিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতের (Barasat) একটি পুকুর এইভাবে দিনের পর দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। অথচ পুকুর পুনরুদ্ধারের কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি পৌরসভা কিংবা প্রশাসনের তরফ থেকে, এমনটাই অভিযোগ। জমির মালিক ও পৌরসভা একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে রেহাই পেতে চাইছে।

    কীভাবে পুকুর ভরাট?

    বারাসত পৌরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের হৃদয়পুর স্টেশন রোড দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ রোজ যাতায়াত করেন। সেই রাস্তার পাশেই ৮৪ শতক জমি জুড়ে বিশাল একটি (Barasat) পুকুর ছিল কয়েক বছর ধরে। সেই পুকুরেই এলাকার লোকজন একসময় স্নান করতেন। বৃষ্টি হলেই এলাকার জমা জল গিয়ে পড়ত পুকুরে। সেই ৮৪ শতক অংশের মধ্যে ২৮ শতক কয়েক বছর আগে কিনেছিলেন এলাকার ব্যবসায়ী সঞ্জীব দত্ত। সেই পুকুরটির ২৮ শতক জমি (প্রায় ১৮ কাঠা) দীর্ঘদিন ধরে পড়ে ছিল অবহেলিত অবস্থায়। সেখানেই নোংরা ও আবর্জনা ফেলতে ফেলতে পুকুরের অনেক অংশ ভরাট হয়ে যায়, এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। বর্তমানে পুকুরটিকে দেখলে আর বোঝার উপায় নেই, সেটি এককালে পুকুর ছিল। বুজিয়ে ফেলা পুকুরের জমির অংশে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। জমি দখলের চেষ্টাও চলছে। আর এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী।

    এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া

    স্থানীয় এক বাসিন্দা ভাস্কর চক্রবর্তী জানান, এককালে গোটাটাই পুকুর ছিল এখানে। সেই পুকুরে (Barasat) আমরাও একসময় স্নান করতাম। সাঁতার কাটতাম৷ সেই পুকুর ভরাট হতে দেখে এখন খারাপ লাগছে। এটা অবিলম্বে প্রশাসনের দেখা উচিত। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিশেষ ভয়ের কারণে সেভাবে এতদিন মুখ খুলতে পারিনি আমরা। বর্তমানে অনাচার দেখে এখন মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছি। পরিবেশের বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসন আর পৌরসভা কী ভূমিকা পালন করে, তাই এখন দেখার।

    জমির মালিকের বক্তব্য

    যার বিরুদ্ধে পুকুর (Barasat) বুজিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সেই জমির মালিক সঞ্জীব দত্ত বলেন, এটা পুকুর নয়। গোটাটাই বাস্তু জমি। তার রেকর্ড এবং তথ্য সবকিছুই রয়েছে আমাদের কাছে। প্রশাসন দেখতে চাইলে তা দেখিয়ে দেব। পুকুর ভরাট করার চেষ্টা কখনও করিনি আমি।

    পৌরসভার বক্তব্য

    জমির মালিকের অভিযোগ উড়িয়ে পৌরসভার (Barasat) পৌরপারিষদ সৌমেন আচার্য বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। পৌরসভা কখনও অন্যের জায়গায় গিয়ে নোংরা, আবর্জনা ফেলে না। পৌরসভার নিজস্ব ডাম্পিং গ্রাউন্ড রয়েছে। এই বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন স্থানীয় কাউন্সিলর।

    কাউন্সিলরের বক্তব্য

    অপরদিকে, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাম কাউন্সিলর শুক্লা ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনিও জমির মালিকের উপর দোষ চাপিয়েছেন। তাঁর কথায়, পৌরসভা কেন ওখানে নোংরা, আবর্জনা ফেলতে যাবে! বিষয়টি নজরে আসার পরই চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। তবে, এখনও সদুত্তর মেলেনি। পুকুর (Barasat) ভরাট রুখতে বদ্ধপরিকর আমরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নাপিতের কাজ করে দিন কাটত, এখন কোটি কোটি টাকার মালিক এই তৃণমূল নেতা, কে জানেন?

    TMC: নাপিতের কাজ করে দিন কাটত, এখন কোটি কোটি টাকার মালিক এই তৃণমূল নেতা, কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম উঠে এল হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার। সামনে এল তৃণমূল (TMC) পরিচালিত আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুণধর খাঁড়ার নাম। বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় জেলা রাজনীতি। নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই হুগলির শান্তনু এবং কুন্তলের নাম শিরোনামে উঠে এসেছে। এবার দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়াল আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। সূত্রের খবর, শান্তনু, কুন্তল এবং সাহিদ ইমাম নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে। তাদের ছায়া সঙ্গী ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি সালেপুর ১নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা।

    কে এই গুণধর খাঁড়া?

    গুণধর খাঁড়া শাসক দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পাওয়া থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠার ঘটনা অনেকটা রূপকথার গল্পের মতো। দিন আনা দিন খাওয়া ঘরে অভাবি নাপিত পরিবারে জন্ম তাঁর। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর পৈতৃক বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। পড়াশুনা তিনি খুব বেশিদূর জানেন না। তবে, মাজা-ঘষা করে নাম সই করা ভালো করে শিখে নিয়েছেন তিনি। একসময় তিনি ক্ষুর, কাঁচি নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মানুষের চুল-দাড়ি কাটতেন। শুরুর দিকে এটাই ছিল রোজগারের মাধ্যম তাঁর। তারপর হুগলি জেলার সালেপুর এলাকায় একটি সেলুনের দোকান শুরু করেন তিনি। বেশ কয়েক বছর পর তিনি অন্য আর একটি পেশায় যুক্ত হন। চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে চাল তৈরি করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে তিনি চাল বিক্রি করতেন। জানা যায়, ১৯৮৩ সালে কংগ্রেসের হয়ে আরামবাগের সালেপুর পঞ্চায়েতের সদস্য হন। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর দল বদল করে তিনি তৃণমূলে (TMC) যোগদান করেন। এরপর ভোটে জিতে জন প্রতিনিধি হয়ে নিজের প্রভাব বাড়াতে শুরু করেন। ২০১৩ সালে সালেপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তিনি প্রধান নির্বাচিত হন। পরে, ২০১৮ সালে তিনি পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হন। সেখানে জয়ী হয়ে তিনি আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন।

    কত সম্পত্তির মালিক এই তৃণমূল (TMC) নেতা?

    গুণধরবাবু তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর আস্তে আস্তে তাঁর সম্পত্তি ফুলে-ফেঁপে উঠতে শুরু করে। প্রথমে তিনি ধানের বীজ ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমদিকে অবশ্য পার্টনারশিপেই ব্যবসা চললেও পরবর্তীতে ক্ষমতার জোরে ব্যবসা নিজের হাতে হাতিয়ে নেন। এলাকা সূত্রে জানা যায়, তাঁর একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি রয়েছে, যার নাম কালীমাতা সিড ফার্ম। এই কোম্পানিটি সালেপুরের পাঁচ মাইল এলাকায় রয়েছে। তাঁর রাজকীয় বহুতলবাড়ি আছে। এমনকী তাঁর নামে বাঁকুড়ার তালডাঙরা এলাকাতেও একাধিক জমি এবং বহু বাড়ি রয়েছে। সবমিলিয়ে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক। গুণধরবাবু নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের দুই মেয়ে, মেয়ের জামাই ও তাদের বন্ধুবান্ধবদের চাকরি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকদিন আগে চাকরি করে দেওয়ার নামে বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে নাম উঠে এসেছে তাঁর। তাই এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে তলব করা হয় তাঁকে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। ২৬ জনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু, কারও চাকরি হয়নি। ইডি-র কাছে তিনি সব তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ফের অশান্তি ময়নায়! শুভেন্দুর সভা সেরে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত দুই বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: ফের অশান্তি ময়নায়! শুভেন্দুর সভা সেরে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত দুই বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত ময়না। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা শেষ হতেই নতুন করে অশান্তি তৈরি হয়। সভা থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে আক্রান্ত হন দুই বিজেপি (BJP) কর্মী। তাঁদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনিতেই বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুন হওয়ার পর পরই প্রায় পাঁচ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন। ময়নায় এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৪মে দলীয় কর্মী খুনের সিবিআই তদন্ত এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করেছিলেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বৃহস্পতিবার ধিক্কার ও পদযাত্রায় পা মেলান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন গোবরাদন গ্রামের বিজেপি কর্মী তরুন দাস ও ঝন্টু মণ্ডল। সভা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে ওই দু’জন বিজেপি কর্মীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে গেলে দুই বিজেপি (BJP) কর্মীকে রাস্তায় ফেলে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। রক্তাক্ত অবস্থায় জখম দুই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তমলুক হাসপাতালে পাঠান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার খবর পেয়ে হাজির হয় এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় বিজেপি (BJP) বিধায়ক অশোক দিন্দা হাসপাতালে গিয়ে জখম কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    ময়নার বিজেপি (BJP) বিধায়ক অশোক দিন্দা বলেন, সভা থেকে ফেরার পথে আমাদের দু’জন কর্মীর ওপর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তাদেরকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে ও পা ভেঙে দেয়। তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। তাই, এভাবে আমাদের কর্মীদের খুন, হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে। নাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের রাজ্য মুখ্যপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, তৃণমূলের কেউ বিজেপি (BJP) কর্মীদের মারধর করেনি। আসলে ওদের দলের কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এখন বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আসলে বিজেপি এসব নাটক করে মানুষের সমর্থন আদায়ের মরিয়া চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: এলাকায় পোস্টার “নো ব্রিজ নো ভোট”, পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুরু রাজনৈতিক তরজা

    Panchayat Vote: এলাকায় পোস্টার “নো ব্রিজ নো ভোট”, পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুরু রাজনৈতিক তরজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ব্রিজের দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে পড়ল পোস্টার। আর তাকে ঘিরে শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের কেশেডাল এলাকায়। এই গ্রামের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চৈতন্যপুরে শিলাবতী নদীর উপর স্থায়ী ব্রিজ তৈরির দাবিতেই এই পোস্টার বলে জানা যায়। পোস্টারে ‘গ্রামবাসীবৃন্দ’-এর নাম উল্লেখ করা হলেও তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। পোস্টারে উল্লেখ রয়েছে, ‘নো ব্রিজ নো ভোট’, ‘আর প্রতিশ্রুতি চাই না। এবার ব্রিজ চাই, নইলে ভোট বয়কট’ (Panchayat Vote)। আবার কোনও পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘অনেক হল বোকা বানানো আর নয়, ব্রিজ দাও ভোট নাও’।

    নদী পারাপারে ভরসা কাঠের পোল

    জানা যায়, ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চৈতন্যপুরে শিলাবতী নদী ও চাষিবাড় এলাকায় কেঠিয়া নদীর উপর স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজ তৈরির দাবি জানিয়ে আসছেন চৈতন্যপুর, কেশেডাল সহ একাধিক গ্রামের মানুষ। দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছর ধরে সরকারের কাছে দাবি জানানো হলেও বাস্তবে কিছুই হয়নি। এমনকী বর্তমান তৃণমূল সরকারের জমানাতেও স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি থেকে জেলা এবং রাজ্যস্তরে তদ্বির করেও ব্রিজের দাবি পূরণ হয়নি। ভগবন্তপুর-১ ও ভগবন্তপুর-২, এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে শিলাবতী ও কেঠিয়া নদী। ভগবন্তপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশেডাল, কমরপুর, দেউলবেড়িয়া, গদাধরপুর, ভগবন্তপুর, খিরেটি সহ একাধিক গ্রামের সংযোগকারী শিলাবতী নদী পারাপারে ভরসা কাঠের পোল। বর্তমানে এই পোলের উপর দিয়ে যাতায়াত করেন দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Vote) ২০-২৫ টি গ্রামের বাসিন্দারা। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী হুগলি জেলার সঙ্গেও সংযোগ রয়েছে চৈতন্যপুরের এই কাঠের পোলের। 

    কাঠের সেতু ভেঙে গেলেও সারানো হয়নি

    জানা যায়, শিলাবতী ও কেঠিয়া নদী পারাপারের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে কয়েক বছর আগে লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে চারটি কাঠের সেতু তৈরি করা হয়। কিন্তু বিগত বছর দুই আগে বন্যায় জলের তোড়ে তিনটি সেতু ভেঙে যায়। এখনও তা মেরামত বা নতুন করে তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে প্রতিদিন স্কুল, কলেজ থেকে জরুরি পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন পেশার হাজারো মানুষকে এইসব এলাকায় নদী পারাপারে চরম হয়রানির শিকার হতে হয়। বন্যার সময় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠে। গ্রামের মানুষ নিজ উদ্যোগে অস্থায়ী সাঁকো বানিয়ে নদী পারাপারের বন্দোবস্ত করে। ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চৈতন্যপুর ও চাষিবাড় এলাকায় দুটি স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজ তৈরির জন্য বিগত ৪৫ বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসীরা। লিখিত আকারে বিভিন্ন দফতরে সেই দাবিপত্র পেশ করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই চৈতন্যপুর ও চাষিবাড় এলাকায় কংক্রিটের ব্রিজের দাবিতেই ভোট (Panchayat Vote) বয়কটের ডাক দিয়ে এই পোস্টারিং বলে জানাচ্ছেন একাধিক গ্রামের মানুষ।

    শাসক-বিরোধী তরজা শুরু

    ভোটের আগে এই পোস্টারিংকে ঘিরে শাসক-বিরোধী তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির দাবি, গ্রামবাসীদের দাবি ন্যায্য। তারা তাদের পাশে থেকে আন্দোলন করবে এবং পঞ্চায়েত ভোটে এই ব্রিজের দাবিকে হাতিয়ার করে প্রচারে নামবে। অপরদিকে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এই পোস্টারিংয়ের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন। তাঁদের দাবি, গ্রামবাসীদের নাম করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে বিজেপিই এই পোস্টারিং করেছে। মানুষ সরকারের উন্নয়নের সঙ্গেই রয়েছে বলে দাবি তাঁদের। সামনে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। তার আগে ব্রিজের দাবিকে ঘিরে ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে এলাকায় পোস্টারিং অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসকদলকে, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Buddha Purnima: বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনই হয় মা উলাইচণ্ডী পুজো! বীরনগরে এই পুজোর ইতিহাস জানেন?

    Buddha Purnima: বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনই হয় মা উলাইচণ্ডী পুজো! বীরনগরে এই পুজোর ইতিহাস জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চণ্ডী মঙ্গলের বণিক খণ্ডের কাহিনী মনে আছে? সওদাগরের বাণিজ্যতরী ডুবে যাওয়া আর শেষপর্যন্ত দেবী চণ্ডীর পুজো করে চরম বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার গল্পটা? বুদ্ধ পূর্ণিমার (Buddha Purnima) সকালে নদিয়ার ‘উলা’-র মাটিতে এসে দাঁড়ালে সে কাহিনীতে একদম ডুবে যেতে পারেন আপনিও। লোকসংস্কৃতির এক প্রাচীন ধারাকে ছুঁতে তো পারবেনই, ব্যক্তিগত ধর্ম বিশ্বাস থাকলে পেয়ে যেতে পারেন দেবী চণ্ডীর আশীর্বাদও। 

    কীভাবে শুরু হল মা উলাই চণ্ডীপুজো?

    চণ্ডী মঙ্গলের এই কাহিনীর রেশ ধরেই জনশ্রুতি রয়েছে, উজানী নগর থেকে ত্রিবেণী যাওয়ার পথে এই উলা গ্রামে এসে বড় দুর্যোগের মধ্যে পড়েছিলেন ধনপতি সওদাগরের পুত্র শ্রীমন্ত সওদাগর। তখন এ গাঁয়ের পাশ দিয়েই নাকি গঙ্গা বইত। কুলীন বণিক ধনপতি ছিলেন শিবের উপাসক। কোন মতেই দেবী চণ্ডীর পুজো করতে চাইতেন না। এদিকে দেবী তার হাত দিয়ে পুজো পেতে নানা ছলনার আশ্রয় নিয়েছিলেন। উলা গাঁ অবশ্য জড়িয়ে আছে ধনপতিপুত্র শ্রীমন্তর গল্প ঘিরে। বড় রকমের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়েও শ্রীমন্তের বাণিজ্য তরী শেষপর্যন্ত রক্ষা পেয়েছিল দেবী চণ্ডীর পুজো করেই। কী করে তিনি এ দেবীর ভক্ত হয়ে উঠেছিলেন সে গল্প শোনা যায় কান পাতলেই। গাছ তলায় বসে তিনি এক খন্ড শিলাকে দেবী চণ্ডী রূপে পুজো করেছিলেন।

    পুজোকে কেন্দ্র করে বসে মেলা

    অনেক পরে নদিয়া রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সেই শিলা খন্ডে নিয়মিত পুজোর ব্যবস্থা হয়। আর এখন চন্ডী মাতা পুজো কমিটির হাতে এই প্রাচীন পুজোর ভার। প্রাচীন বট অশ্বত্থের সারির মাঝেই বর্তমানে বাঁধানো অবস্থায় আছে দেবীর বেদি তল। বুদ্ধ পূর্ণিমার (Buddha Purnima) দিন  কাক ভোর থেকে পুজো শুরু হয়। আর পুজো ঘিরে বেশ বড় এলাকা জুড়ে মেলা। তবে একবেলার মেলা। বলি প্রথা কবে থেকে যুক্ত হল তা অবশ্য সঠিক ভাবে জানা যায় না। সে প্রথা আজও টিকে। একবেলাতেও মেলা শেষ হয়ে যাওয়ায় মনোকষ্টও ছিল স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষের। তাই চন্ডী পুজোর শেষে কোথাও বিন্ধ্যবাসিনি , কোথাও মহিষমর্দিনি ইত্যাদি দেবীর চারদিনের পুজো শুরু হয়। সেখানেও বসে যায় মেলা। এই মৃন্ময়ী দুর্গা পুজোগুলোও শতাধিক বছরের পুরনো।

    কীভাবে যাবেন?

    গল্প কাহিনী থেকে মেলার কথা সবই তো শোনা হল। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন ‘উলো’ জায়গাটা নদিয়ার ঠিক কোথায়? কিভাবেই বা যাবো? ‘উলা’ বা ‘উলো’ গ্রাম নামটা অনেক পুরোনো। পুরানো উলা গ্রামই এখন বীরনগর। নদিয়ার এই পুর শহরের নামটা বললে চিনতে অসুবিধে হয় না। শিয়ালদহ কৃষ্ণনগর ট্রেন লাইনে রানাঘাট ও কৃষ্ণনগরের মাঝের একটি স্টেশন বীরনগর। বীরনগর স্টেশন থেকে উলাই চণ্ডীতলা এক কিমি তো বটেই। তবে বুদ্ধ পূর্ণিমার (Buddha Purnima) দিন সকালে স্টেশন সংলগ্ন বাস রাস্তা থেকে সোজা পথে চন্ডীতলায় যেতে হলে প্রায় আধ ঘন্টা হেঁটে জনস্রোত ঠেলে ঠেলে সেখানে পৌঁছাতে পারা যাবে। ঘুর পথে অবশ্য টোটো পাওয়া যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share