Tag: Bengali news

Bengali news

  • Panchayat Election 2023: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Panchayat Election 2023: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের পর এবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও ধাক্কা খেতে হল রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) রাজ্যের সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে যে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তাতে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করতে রাজি হল না শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিভি নাগরত্না এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘ভোটে কোনও ধরনের অশান্তি কাম্য নয়। অতীতে বাংলায় ভোটের সময় হিংসা দেখা গিয়েছে। এই অবস্থায় হাইকোর্ট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েছিল। সেই রায়তে কোনও সমস্যা নেই।’’

    শুনানি-পর্বে কী হল?

    পঞ্চায়েতের মনোনয়ন-পর্বকে (Panchayat Election 2023) ঘিরে রাজ্যে যে সীমাহীন হিংসা ও রক্তক্ষয় হয়েছে, তা বিচার করে গত সপ্তাহেই সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে অবাধ ও স্বচ্ছ ভোটের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিভি নাগরত্না এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দেয়, হাইকোর্টের রায়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত।

    আরও পড়ুন: “দুষ্কৃতীরা ওয়াররুম খুলেছে, তাই রাজভবনে পিস রুম”, কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে কমিশন

    বাহিনী মোতায়েন নিয়ে মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন বিচারপতি নাগরত্না রাজ্যের আইনজীবীকে বলেন, ‘‘এমনিতে আপনারা পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) জন্য পাঁচ রাজ্যের থেকে পুলিশ চেয়েছেন। এদিকে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হলে তার খরচ কেন্দ্রই বহন করবে। তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়?’’ 

    আবার, রাজ্য কমিশনের (Panchayat Election 2023) আইনজীবী দাবি করেন, ‘‘রাজ্যের পুলিশ যথেষ্ট দক্ষ। তবে সংখ্যায় পুলিশকর্মী কম থাকায় অন্য রাজ্য থেকে বাহিনী চাওয়া হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মনোনয়ন পর্বে কমিশন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। মনোনয়ন কেন্দ্রের ১ কিমি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল।’’ কমিশনের যুক্তি, ‘‘আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এই আবহে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হলে পরিকল্পনা বদল করতে হবে। তাছাড়া, নিরাপত্তার বিষয়টি রাজ্য দেখে। এখানে কমিশনকে সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।’’

    একথা শোনার পর বিচারপতি বলেন, ‘‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা আপনাদের উপর নয় যখন, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চিন্তিত কেন? আপনারা আপনাদের কাজ করুন। যেখান থেকেই বাহিনী আসুক, আপনাদের অসুবিধা কোথায়?’’ এই প্রেক্ষিতে এদিন সুপ্রিম কোর্টের কড়া মন্তব্যের মুখে পড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘নির্বাচন করানো মানে হিংসার লাইসেন্স দেওয়া নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Election: টিকিট না পেয়ে নির্দল, মান ভাঙাতে প্রার্থীদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে তৃণমূল নেতৃত্ব!

    Panchayat Election: টিকিট না পেয়ে নির্দল, মান ভাঙাতে প্রার্থীদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে তৃণমূল নেতৃত্ব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে যাঁদের টিকিট দেওয়া হয়নি, তাঁরাই এখন ডাবগ্রাম ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। টিকিট না পাওয়া দলের বিক্ষুব্ধ যে আটজন নেতা-কর্মী নির্দল প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) প্রত্যাহার করানোর জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। হুমকিতে কাজ না হওয়ায় এখন তাঁদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে অনুনয় বিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন দলের নেতারা।  

    ‘অযোগ্যদের’ নিয়ে কেন এত চিন্তা তৃণমূলের (Panchayat Election)? 

    এ নিয়ে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান তৃণমূলের এবারেরও প্রার্থী সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাকযুদ্ধ চরমে উঠেছে বিদায়ী উপ প্রধান নির্মল বর্মনের। নির্মলবাবু এই অঞ্চলে তৃণমূলের দীর্ঘদিনের কর্মী। বাম আমলে তিনিই এই অঞ্চলে তৃণমূলের প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি এখানকার পঞ্চায়েত সদস্য। দল এবার তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় তিনি নির্দল প্রার্থী হয়ে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। নির্মলবাবু বলেন, আমরা তো অযোগ্য, গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাহলে আমাদের নির্দল প্রার্থী থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য কেন দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে তৃণমূল নেতৃত্ব? একটু থেমে হুঙ্কার দিয়ে তিনি বলেন, কোনও চাপ আমাদের মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) প্রত্যাহার করাতে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধায় এলেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবো না। এতদিন দেদার টাকা চুরি করেছে। এলাকার মানুষের জন্য কোনও কাজ করেনি। ভোটের প্রচারে গিয়ে তৃণমূল নেতা ও প্রার্থীরা বুঝতে পারছেন, মানুষ তাঁদের গ্রহণ করছেন না। টাকার বিনিময়ে যাঁদের প্রার্থী করা হয়েছে, মানুষের কাছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। তাই এখন তৃণমূল নেতৃত্ব পাগল হয়ে গিয়েছে। 

    চাপে পড়ে কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (Panchayat Election)?

    বিদায়ী প্রধান তথা তৃণমূলের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নির্মল বর্মন এখন দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছেন, তা তিনি তৃণমূলের টিকিটে জিতে ক্ষমতায় থাকতে করেননি কেন? নির্মল বর্মন কেমন, সেটা এলাকার মানুষ ভালোমতোই জানেন। তবু দলের থেকে যাঁরা নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে গিয়ে বোঝাচ্ছি মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) প্রত্যাহার করার জন্য। যাতে পরে কেউ না বলতে পারে, দলের থেকে তাঁদের ভুল ধরিয়ে দেওয়া হয়নি, অভিমান ভাঙার সুযোগ পাননি তাঁরা। তারপরেও কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে দল ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু গোষ্ঠী কোন্দলের পাশাপাশি এই গ্রাম পঞ্চায়েতে পানীয় জলের অসহনীয় সঙ্কট ও বেহাল রাস্তা তৃণমূলকে এবার এখানে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Tarapith: মা তারাও রথে চড়ে নগর ভ্রমণ করেন! জানেন এর প্রচলন কবে হয়েছিল?

    Tarapith: মা তারাও রথে চড়ে নগর ভ্রমণ করেন! জানেন এর প্রচলন কবে হয়েছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারাপীঠের (Tarapith) মা তারা দশ মহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। সাধক বামাখ্যাপার সাধনভূমি সারা বছরই গমগম করে ভক্তদের ভিড়ে। ভক্তদের বিশ্বাস, মা তারা তাঁদের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। সারা বছরে বিশেষ কিছু পবিত্র তিথিতে তারাপীঠে ধুমধাম করে অনুষ্ঠান হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রথযাত্রা। কথিত আছে, বামাখ্যাপার সময় থেকেই রথযাত্রার দিন মা তারা রথে চড়ে পথে পা বাড়ান। আবার অনেকে মনে করেন, তারাপীঠের দ্বিতীয় সাধক আনন্দনাথের সময় থেকে মায়ের এই নগর ভ্রমণ শুরু। সেই সময়ে মায়ের রথ তৈরি হয়েছিল পিতলে। এখনও সেই রথেই ওঠেন মা তারা। ভক্তরা টানেন মায়ের রথের দড়ি।

    রথের দিন কী কী হয় তারাপীঠে (Tarapith)?

    ফি বছর পিতলের রথকে পালিশ করে সাজানো হয়। রথের দিন দুপুরে অন্নভোগ দেওয়ার পরে মায়ের রথ বের হয় বিকাল ৩ টে নাগাদ। রথের সঙ্গে চলতে থাকে নামগান। ভক্তরা আনন্দে মেতে ওঠেন। ফলমূল সহযোগে নৈবেদ্য সাজান গৃহস্থরা। শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে চারদিক। রীতি অনুযায়ী, উত্তরমুখে যাত্রা শুরু করে দ্বারকা সেতু পেরিয়ে রামপুরহাট-সাঁইথিয়া রোড ধরে তিনমাথা মোড়ে পৌঁছয় মায়ের রথ। ওখান থেকে একই পথ ধরে মন্দিরে ফেরেন মা। রথ থেকে সেবায়েতরা মায়ের প্রসাদ বাতাসা ও পেঁড়া লুট দিতে থাকেন। এ এক অসামান্য দৃশ্য। ভক্তের ঢল নামে পথেঘাটে। রথের রশি স্পর্শ করলেই কেটে যাবে সব বিপদ, এমনই বিশ্বাস ভক্তদের। ‘জয় মা তারা’ ধ্বনি তুলে ভক্তরা প্রার্থনা করেন।

    কীভাবে প্রচলন তারা মায়ের রথযাত্রার?

    তারা মায়ের রথের কবে থেকে প্রচলন, তা নিয়ে অবশ্য ভিন্ন মত রয়েছে। একটি মহল বলে, বামাখ্যাপার আমল থেকেই রথযাত্রার শুরু। তাঁদের মতে, সাধক বামাখ্যাপার আমলেই তারা মাকে রথে বসিয়ে, জগন্নাথ রূপে বিশেষ পুজো-অর্চনার আয়োজন করা হয়। আবার অন্য একটি মহলের মতে, প্রখ্যাত সাধক দ্বিতীয় আনন্দনাথ এই রথযাত্রার প্রচলন করেছিলেন। এক্ষেত্রে তাঁরা তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েত প্রবোধ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখ করেন। সেখানেই রথযাত্রার সঙ্গে দ্বিতীয় আনন্দনাথের নাম জড়িয়ে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: “দুষ্কৃতীরা ওয়াররুম খুলেছে, তাই রাজভবনে পিস রুম”, কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    Panchayat Election 2023: “দুষ্কৃতীরা ওয়াররুম খুলেছে, তাই রাজভবনে পিস রুম”, কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দুষ্কৃতীরা ওয়াররুম খুলেছে, তাই রাজভবনে পিস রুম”, সোমবার এই বার্তাই দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে অশান্তি। কখনও মনোনয়নপত্রকে পেশকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মারধরের অভিযোগ, কখনও আবার প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য বিরোধীদের চাপ দেওয়ার অভিযোগে উত্তপ্ত রাজ্য।

    অশান্ত ভাঙড়

    মনোনয়ন পেশ-পর্বে হিংসার জেরে কেবল ভাঙড়েই খুন হয়েছেন ৩ জন। নিরাপত্তার আশঙ্কায় কাঁটা খোদ বিধায়ক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি। কেন্দ্রের কাছে সুরক্ষার আর্জি জানানোয় তাঁকে দেওয়া হচ্ছে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা। অশান্তির এই আবহে রাজভবনে খোলা হয়েছে পিস রুম। এখানে যে কোনও বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন রাজ্যবাসী। সেজন্য ফোন নম্বর এবং ই-মেইলও দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকেই কার্যত অভিযোগের পাহাড় জমতে শুরু করেছে রাজভবনের পিস রুমে (Panchayat Election 2023)।

    অভিযোগের পাহাড়

    রাজভবন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে বিরোধীরাও যেমন রয়েছেন, তেমনি অভিযোগ জানানো হয়েছে শাসক দলের তরফেও। মঙ্গলবার পিস রুম পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল স্বয়ং। তিনি বলেন, “যে সংখ্যায় অভিযোগ আসছে, সেটা দিয়ে এটা বোঝানো যায় না যে রাজ্যে হিংসা বাড়ছে। কিন্তু এটা বলা যায় যে পিস রুমের ওপর মানুষের আস্থা বাড়ছে।” অভিযোগগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “রাজভবন অভিযোগগুলো আলাদা করে যেগুলোকে রাজ্যকে দেওয়া প্রয়োজন সেগুলো রাজ্যকে দিচ্ছে, যেগুলো নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া প্রয়োজন, সেগুলো তাদের দেওয়া হচ্ছে। দুই তরফেই সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থীর ‘বাড়ি ঘেরাও’ তৃণমূলের

    রাজ্যপাল (Panchayat Election 2023) বলেন, “সরকারকে যা করতে হবে, সেটা আমি মুখ্যমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি। সংবিধান অনুযায়ী যেটা করতে হবে সেটা আমি বুঝে নেব। আমাকে রাজনৈতিকভাবে কিছু বলবেন না। শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। কোনওরকম দখলদারি চলবে না।” তিনি বলেন, “এ রাজ্যে হিংসা কোনও কল্পনা নয়, এটা বাস্তব। এটা আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে। এটার ওপরই আমি আলোকপাত করছি।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     
     
  • BJP: পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থীর ‘বাড়ি ঘেরাও’ তৃণমূলের

    BJP: পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থীর ‘বাড়ি ঘেরাও’ তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল আছে সন্ত্রাসেই! মনোনয়নপত্র না তুলে নিলে বিজেপি (BJP) প্রার্থী এবং তাঁর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। ওই প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ক দেখা করতে এলে পুলিশের সামনেই পুরো বাড়িটি ঘেরাও করে রাখার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ঘর ছাড়া ওই বিজেপি প্রার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া এলাকায়। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এর আগেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। বর্তমানে চাইলে মনোনয়নপত্র তুলে নিতে পারে বিভিন্ন প্রার্থীরা। মনোনয়ন তোলার শেষদিন মঙ্গলবার। 

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ…

    রাজ্যজুড়ে অভিযোগ উঠে আসছে রাজ্যের শাসক দল, বিরোধীদের বিভিন্নভাবে জোরপূর্বক মনোনয়নপত্র বাতিলের চেষ্টা চালাচ্ছে। ঠিক সেই রকম শান্তিপুর থানার কুলিয়া টাউনশিপ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭২ নম্বর বুথের এ বছর বিজেপি পার্টির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পরিমল রায়। অভিযোগ ওঠে রবিবার গভীর রাতে ওই এলাকার তৃণমূল নেতা শুভঙ্কর মুখার্জি ওরফে পিটার তার দলবল নিয়ে বিজেপি প্রার্থী পরিমল রায়ের বাড়িতে হানা দেয়। এবং ওই প্রার্থী সহ তাঁর পরিবারকে মনোনয়নপত্র না তুলে নিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপরেই চরম আতঙ্কে ভুগছে ওই পরিবার। গতকাল রাতে ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং নদীয়া দক্ষিণের বিজেপি সভাপতি তথা রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী সহ একাধিক কর্মীরা। 

    পুলিশের সামনেই বাড়ি ঘেরাও এর অভিযোগ

    বিজেপির (BJP) নেতারা যখন ওই প্রার্থীর বাড়ির ভেতর কথা বলছেন ঠিক তখনই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পিটার এবং তার দলবল নিয়ে পুলিশের সামনেই পুরো বাড়িটি মিছিল করে ঘেরাও করে ফেলে। অবশেষে দীর্ঘক্ষণ পর বাধ্য হয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন সাংসদ ও বিধায়করা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা কর্মীদের তত্ত্বাবধানে কোনওরকমে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে আসেন তাঁরা। তবে প্রায় তিন কিলোমিটার তাদের পিছন পিছন আসতে থাকে তৃণমূলকর্মীরা এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিতে থাকে। এরপর বিজেপি নেতা ও কর্মীরা ফুলিয়া ফাঁড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন নিরাপত্তার দাবিতে। বর্তমানে প্রাণভয়ে ঘর ছাড়া ওই বিজেপি প্রার্থী।

    কী বলছেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী?

    এ বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী পরিমল রায় বলেন, ‘‘গত পরশুদিন রাত বারোটা নাগাদ পিটার এবং তার দলবল তার বাড়িতে যায় এবং মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বলে। আমি রাজি না হওয়ায় তাঁরা বলেন, এরপর কিছু ঘটনা ঘটে গেলে সেটা সহ্য করতে পারবো কিনা!’’

    কী বলছেন বিজেপি (BJP) সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘গোটা রাজ্য জুড়ে আমাদের একাধিক বিধায়ক এবং সাংসদ রয়েছেন। শাসকদল কার্যত পায়ের তলার মাটি হারিয়েছে। গোটা রাজ্য জুড়ে চেষ্টা করছে জোরপূর্বক যাতে পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নেওয়া যায়। আমাদের বিজেপি প্রার্থী পরিমল রায়ের ওপর যদি কোনও আক্রমণ হয় তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে জনগণ পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • TMC: তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর পা ধুইয়ে দিচ্ছেন এক মতুয়া! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্ক

    TMC: তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর পা ধুইয়ে দিচ্ছেন এক মতুয়া! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কে রায়গঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। মতুয়া সমাজকে দিয়ে পা ধোয়ানোর অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। সোমবার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, জনৈক এক মতুয়া কৃষ্ণ কল্যাণীর পা ধুয়ে দিচ্ছেন। বিধায়ক বসে রয়েছেন চেয়ারে। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলা জুড়ে। তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ…

    জানা গিয়েছে, সোমবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে রায়গঞ্জের বাহীন পঞ্চায়েতের মহারাজপুর গ্রামে তৃণমুল (TMC) প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে মতুয়াদের মন্দিরে যান রায়গঞ্জে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। সেখানে গুরুচাঁদ, হরিচাঁদ ঠাকুরের পুজো দেন তিনি। তবে তার আগে মন্দির চত্বরে ঢুকতেই বিধায়কের পা ধুইয়ে গামছা দিয়ে মুছে দেন এক মতুয়া। পরে মন্দিরে পুজো দিয়ে এলাকায় মিছিল করে, তৃণমুল প্রার্থীদের সমর্থনে গ্রামে প্রচারও করেন। আর এ নিয়েই বিতর্কের ঝড় উঠেছে জেলা জুড়ে।

    কী বলছে বিজেপি?

    জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কৃষ্ণকে ‘খানদানি জালি’ বলে কটাক্ষ করেছে। এই ঘটনায় কৃষ্ণ কল্যাণীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। তাঁর মতে, ‘‘মতুয়াদের বরাবরই বঞ্চনা করে এসেছে শাসক দল। দিন কয়েক আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠাকুর নগর সফরে এই ধরনের ঘটনা দেখা যায়। মতুয়াদের মধ্যে গুরুদের পা ধুইয়ে দেওয়ার রীতি আছে। কিন্তু বিধায়ক মতুয়াদের গুরু নন। তিনি মতুয়াদের দিয়ে পা ধুইয়ে মতুয়া সমাজকে অপমানিত করলেন। তাঁকে বিধায়ক বানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। আর তিনি ভোটারকে দিয়ে পা ধোয়াচ্ছেন। এটা তৃণমুলের (TMC) সংস্কৃতিতেই হয়।’’

    কী বলছেন কৃষ্ণ কল্যাণী?

    এই ঘটনায় রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী পাল্টা বলেন, ‘‘ওনারা আমাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন। সেটা ওখানে গেলেই বুঝতে পারবেন। আর বিজেপি মতুয়া ও আদিবাসী কোনও সংস্কৃতিই জানে না। ওরা শুধু ষড়যন্ত্রের সংস্কৃতি বোঝে। আর মতুয়ারা ওইভাবে আমাকে ওয়েলকাম করেছেন।’’ ওয়াকিবহাল মহল অবশ্য বলছে, সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই আদিবাসী ও মতুয়া বিরোধী তকমা জুটেছে। এদিন মতুয়া মন ফিরে পেতে কৃষ্ণর কাজ আরও বিতর্ক বাড়িয়ে দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Vote: পঞ্চায়েত ভোটের আগে পদত্যাগের হুমকি ব্লক সভাপতির! চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    Panchayat Vote: পঞ্চায়েত ভোটের আগে পদত্যাগের হুমকি ব্লক সভাপতির! চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে জেলায় জেলায় শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল তুঙ্গে। পুরনো কর্মীরা বেশ বড় সংখ্যায় দল ছেড়েছেন। টাকার বিনিময়ে প্রার্থী পদ বিক্রির অভিযোগে কোথাও আবার রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। এবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় পদত্যাগের হুমকি দিলেন শাসকদলের নেতারা। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে রায়না তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এই ঘোষণা করেছেন। যা নিয়ে অস্বস্তিতে শাসক দল। পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে এহেন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়না জুড়ে। এদিন রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়ার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রায়না-২ এর তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অসীম পাল এবং সাধারণ সম্পাদক মুন্সি হাসিবুর রহমান।

    কী বলছেন বিদ্রোহী নেতারা (Panchayat Vote)?

    তাঁদের অভিযোগ, প্রার্থী পদ বিলি (Panchayat Vote) নিয়ে দুর্নীতি করেছেন এলাকার বিধায়ক। রায়না-২ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অসীম পাল বলেন, ‘‘আমরা দলের নির্দেশ মতো বিভিন্ন আসনে প্রার্থী দিয়েছিলাম। কিন্তু বিধায়ক কিছু দুর্নীতিবাজ নির্দলদের দলীয় প্রতীক দিতে চাইছেন। আর এক ধাপ এগিয়ে ব্লকের সাধারণ সম্পাদক মুন্সি হাসিবুর রহমান বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দোপাধ্যায় তাঁর নবজোয়ার কর্মসূচির মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী বেছে নিয়েছিলেন। তার বদলে তোলাবাজ, দুর্নীতিবাজদের ভোটে মনোনয়ন দেবার চেষ্টা চলছে।’’ তাঁদের আরও সংযোজন, ‘‘দলের জেলা সভাপতি বলেছিলেন অফিসিয়াল তালিকার প্রার্থীরাই থেকে যাবেন। তা যদি না হয়, দলের সব পদ ছেড়ে দিয়ে বসে যাব।’’

    কী প্রতিক্রিয়া শাসক দলের নেতৃত্বের (Panchayat Vote)?

    দুই বিদ্রোহী নেতার মূল অভিযোগ জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক শম্পা ধারার বিরুদ্ধে। তাঁকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ধরেননি। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘দল ভেবেচিন্তেই প্রার্থী (Panchayat Vote) করেছে। যাঁরা টিকিট পাবেন তাঁরাই প্রার্থী হবেন। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সব মিটে যাবে। এ নিয়ে অহেতুক হইচই করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • RAW Chief: ‘র’-এর প্রধান পদে অভিজ্ঞ আইপিএস অফিসার রবি সিনহা, জানেন কে তিনি?

    RAW Chief: ‘র’-এর প্রধান পদে অভিজ্ঞ আইপিএস অফিসার রবি সিনহা, জানেন কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘র’-এর প্রধান (RAW Chief) পদে নিয়োগ করা হল অভিজ্ঞ আইপিএস (IPS) অফিসার রবি সিনহাকে। ছত্তিসগড় ক্যাডারের ১৯৮৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার তিনি। ‘র’-এর দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ের বিশেষ সচিবের দায়িত্বে। সাত বছর ‘র’-এর অপারেশনাল বিভাগের প্রধানের দায়িত্বও পালন করেছে রবি। এবার তাঁকে নিয়োগ করা হল ‘র’-এর প্রধানের পদে। মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি তাঁর নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। আগামী দু বছর ওই পদে থাকবেন তিনি। সামন্ত কুমার গোয়েলের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন রবি। ৩০ জুন মেয়াদ শেষ হবে গোয়েলের।

    নয়া পদে রবি সিনহা

    সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রি পরিষদের নিয়োগ কমিটি ক্যাবিনেট সেক্রেটারিয়েটের সচিবালয়ের বিশেষ সচিব আইপিএস অফিসার শ্রী রবি সিনহাকে, ৩০ জুন সামন্ত গোয়েলের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর গবেষণা ও বিশ্লেষণ উইংয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। পদের দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পরের দু বছর বা পরবর্তী আদেশ পর্যন্ত তিনি এই পদে থাকবেন।

    ‘র’-এর জন্ম

    ১৯৬৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় ‘র’-এর (RAW Chief)। এই সংস্থার প্রাথমিক কাজ হল বিদেশে গোয়েন্দাগিরি করে তথ্য সংগ্রহ করা। সন্ত্রাসবাদ বিস্তার প্রতিরোধে ভারত সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়াও এর কাজ। ‘র’-এর প্রথম প্রধান ছিলেন রামেশ্বর নাথ কাও। টানা ন’ বছর ওই পদে ছিলেন তিনি। রবি এই সংস্থার ২৩তম প্রধান।

    আরও পড়ুুন: কানাডায় গুলিতে খতম মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জার

    দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে পড়াশোনা রবির। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে তাঁকে লো প্রোফাইল অফিসার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রবীণ আইপিএস অফিসার রবি তাঁর পেশাদারি দক্ষতার জন্য গোয়েন্দাদের মধ্যে বিশেষ সম্মানিত ব্যক্তি। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির বিষয়ে বিষেশজ্ঞ হিসেবেই তাঁকে চেনে নয়াদিল্লি। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘র’-কে (RAW Chief) উন্নত করতে বড় ভূমিকা রয়েছে রবির। বিভিন্ন সময়ে জম্মু-কাশ্মীর, উত্তর-পূর্ব ভারতের উপদ্রুত এলাকাগুলিতে এবং বামপন্থী উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে ছত্তিসগড় ক্যাডারের ১৯৮৮ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসারের ঝুলিতে। নয়াদিল্লির আশা, রবি প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাত্রাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সেই কারণেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৫৯ বছর বয়সী এই আইপিএস অফিসারকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistan: কানাডায় গুলিতে খতম মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জার

    Khalistan: কানাডায় গুলিতে খতম মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুলি করে খুন করা হল খালিস্তানি (Khalistan) জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জারকে (Hardeep Singh Nijjar)। ভারত সরকারের তরফে তাকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা হয়েছিল। মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১০ লক্ষ টাকা। পাঞ্জাবের জলন্ধরের বাসিন্দা হরদীপ বর্তমানে কানাডায় (Canada) ছিল। কানাডিয়ান শিখ সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের সঙ্গে যুক্ত ছিল হরদীপ। সম্প্রতি ভারত সরকার ৪১ জন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে হরদীপেরও।

    খালিস্তানপন্থীদের ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ

    বছর কয়েক ধরে কানাডায় বসবাস করছিল হরদীপ। সেখান থেকে খালিস্তানপন্থীদের ইন্ধন জোগাচ্ছিল সে। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের অপারেটরদের রসদ এবং অর্থ সরবরাহও করতে শুরু করেছিল হরদীপ। সম্প্রতি তাকে জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করে ভারত সরকার। সম্প্রতি ফিলিপিন্স ও মালয়েশিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় হরদীপের দুই সাগরেদকে।

    পুরোহিত হত্যার অভিযোগ

    হরদীপের (Hardeep Singh Nijjar) বিরুদ্ধে ২০২২ সালে জলন্ধরে পুরোহিত হত্যার অভিযোগও ওঠে। এনআইএর দাবি, ওই পুরোহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল খালিস্তান টাইগার ফোর্স। এই ফোর্সের প্রধান ছিল হরদীপ। এনআইএর তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে সন্ত্রাসবাদকে ছড়িয়ে দিতে খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তৈরি করেছিল হরদীপ। এ জন্য সদস্য সংগ্রহ, তাদের প্রশিক্ষণ, অর্থের জোগান সব কিছুর সঙ্গেই সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল সে। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করে উসকানিমূলক এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গেও জড়িত ছিল হরদীপ। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল ১০ লক্ষ টাকা।

    হরদীপের (Khalistan) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কানাডা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ভারত। পঞ্জাব পুলিশ হরদীপকে ভারতে ফেরানোর জন্য দাবি জানিয়েছিল কানাডার কাছে। রাজ্যে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়ায় তাকে ওয়ান্টেড ঘোষণা করেছিল পঞ্জাব পুলিশ। ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার জারি করেছিল পুলিশ।পরের বছর জারি করা হয় রেড কর্নার নোটিশ। ২০২০ সালে হরদীপকে ইন্ডিভিজুয়াল টেরোরিস্ট ঘোষণা করে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুুন: আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন মোদি

    জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের সারে শহরের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারের পার্কিং লটে হরদীপ যখন তার বাইকে বসছিল, সেই সময় অজ্ঞাতপরিচয় দুই বন্দুকধারী এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে তাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মোস্ট ওয়ান্টেড (Khalistan) এই জঙ্গির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন মোদি

    PM Modi: আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে সে দেশে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ২২ জুন হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন বাইডেন (Joe Biden) এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। ওই রাতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে হোয়াইট হাউসে আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেবেন মোদি। এদিনই মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণও দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভাষণ দেবেন মোদি

    পরের দিন প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন প্রবাসী ভারতীয়দের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে। ওয়াশিংটন ডিসির রোনাল্ড রেগন বিল্ডিং ও ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারে হবে ওই অনুষ্ঠান। সেখানে ভারতের উন্নতির গল্প শোনাবেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় সময় সন্ধে ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত হবে ওই অনুষ্ঠান। আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা মেরি মিলবেন গাইবেন মোদির সৌজন্যে। ২১ তারিখে পালিত হবে ইন্টারন্যাশনাল যোগা ডে। রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে মোদির নেতৃত্বে মর্যাদা সহকারে পালিত হবে দিনটি। ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে সেখানেও উপস্থিত থাকবেন মিলবেন।

    মোদির জনপ্রিয়তা

    মোদির রোনাল্ড রেগন সেন্টারের অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম ভারত বড়াই বলেন, “মোদি (PM Modi) এ দেশে ভীষণ জনপ্রিয়। তিনি কেবল ভারতের নেতা নন, তিনি বিশ্বেরও অন্যতম নেতা।” বর্তমানে আমেরিকায় ৪.৫ মিলিয়ন প্রবাসী ভারতীয় রয়েছেন। এঁদের সদস্যরা আশা করেন একমাত্র মোদিই সে দেশের বিভিন্ন শহরে বক্তৃতা দিয়ে তাঁদের মধ্যে সংযোগ সাধন করবেন। ইন্ডিয়ান আমেরিকান কমিউনিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বড়াই বলেন, “প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে সব চেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁরা চেয়েছিলেন ২০১৪ সালে ম্যাসিডন স্কোয়ার গার্ডেনে এবং ২০১৯ সালে হিউস্টনে যেমন মেগা কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছিল, এবারও তেমনটাই হবে।

    আরও পড়ুুন: খুনের আশঙ্কায় আবেদন করেছিলেন নিরাপত্তার, জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাচ্ছেন নওশাদ

    প্রাথমিক সেই পরিকল্পনা অবশ্য বাতিল করা হয়েছে। তার বদলে অনুষ্ঠান হবে রোনাল্ড রেগন বিল্ডিং ও ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারে।” বড়াই জানান, ওয়াশিংটন ডিসি সফর শেষে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কয়েক ঘণ্টা সময় ব্যয় করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে প্রবাসী সব ভারতীয়কে ওই অনুষ্ঠানে জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, সব মিলিয়ে হাজারখানেক প্রবাসী ভারতীয় উপস্থিত থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে। প্রবাসী ভারতীয়দের আশা, ২২ জুন বাইডেনের তরফে যে মোদিকে স্বাগত জানানো হবে, তা চাক্ষুষ করতে উপস্থিত থাকবেন বহু প্রবাসী। মোদির (PM Modi) সম্মানে প্রবাসীদের তরফে নিউইয়র্ক সহ সে দেশের ২০টি শহরে পদযাত্রা করা হবে। স্লোগান দেওয়া হবে, ‘মোদি মোদি’, ‘বন্দে মাতরম’, ‘বন্দে আমেরিকা’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share