Tag: Bengali news

Bengali news

  • Snake in Flight: বিমানের ব্যাগেজে মিলল ২২টি সাপ, চেন্নাইয়ে আটক মহিলা যাত্রী

    Snake in Flight: বিমানের ব্যাগেজে মিলল ২২টি সাপ, চেন্নাইয়ে আটক মহিলা যাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন প্রজাতির ২২টি সাপ নিয়ে উঠেছিলেন বিমানে (Snake in Flight)। কুয়ালামপুর থেকে ওঠা ওই মহিলা যাত্রীকে আটকানো হল চেন্নাই বিমানবন্দরে। সেখানেই ব্যাগেজ পরীক্ষা করতে গিয়ে চক্ষু চড়ক গাছ হওয়ার জোগাড় বিমানবন্দরে থাকা শুল্ক দফতরের কর্তাদের। ব্যাগেজে মিলল বিভিন্ন প্রজাতির ২২টি সাপ। ট্যুইট-বার্তায় চেন্নাই শুল্ক বিভাগ জানিয়েছে, ২৮ তারিখে এক মহিলা যাত্রী যিনি একে ১৩ নম্বর ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর থেকে উঠেছিলেন, তাঁকে শুল্ক দফতরের কর্তারা আটকেছেন। তাঁর ব্যাগেজ পরীক্ষা করে বিভিন্ন প্রজাতির ২২টি সাপের সন্ধান মেলে। একটি চ্যামেলিয়নও উদ্ধার হয়েছে। শুল্ক আইনে এবং বন্যপ্রাণ আইনে আটক করা হয়েছে সেগুলি।

    বিমানে সাপ (Snake in Flight)…

    জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেও প্রায় এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেবারও চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৪৫টি বল পাইথন, তিনটি মার্মোসেট, তিনটি স্টার কচ্ছপ এবং আটটা কর্ন সাপ। শুল্ক দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, পরিত্যক্ত দুটি ব্যাগেজ থেকে সেবার উদ্ধার হয়েছিল ওই সাপ, মার্মোসেট, স্টার কচ্ছপ এবং কর্ন সাপ। ব্যঙ্কক থেকে উঠেছিলেন ওই যাত্রী। উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলিকে পরের দিনই ফের ব্যাঙ্কক পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজয়া দশমীর মতো উৎসবে পরিণত হয়েছে মন কি বাত’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    জানুয়ারি মাসেই এক মহিলা যাত্রীর হাতব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় একটি সাপ (Snake in Flight)। ব্যাগের মধ্যে জুতো, ল্যাপটরের পাশে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে ছিল সাপটি। বোয়া কনস্ট্রিক্টর গোত্রের ফুট চারেকের ওই সাপটি বিষধর না হলেও, শিকারকে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলতে পারে। আমেরিকার ফ্লরিডা প্রদেশের ট্যাম্পা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।

    বিমানের ককপিটে গোখরো সাপের দেখা পেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পাইলট রুডল্ফ ইরাসমাস। মাস কয়েক আগে আচমকাই তাঁর আসনের তলা থেকে একটি সাপকে (Snake in Flight) মুখ বাড়াতে দেখেন ওই পাইলট। বিমান তখন মাঝ আকাশে। দ্রুত অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন ওই পাইলট। শেষমেশ চার যাত্রী সহ নিরাপদেই অবতরণ করে বিমানটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: মিলল না স্বস্তি, ‘মোদি’ পদবি-মামলায় মঙ্গলে ফের শুনানি রাহুলের

    Rahul Gandhi: মিলল না স্বস্তি, ‘মোদি’ পদবি-মামলায় মঙ্গলে ফের শুনানি রাহুলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মোদি’ (Modi) পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) দু বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে গুজরাটের সুরাটের নিম্ন আদালত। দু বছর কারাদণ্ড হওয়ায় সাংসদ পদ খারিজ হয় রাহুলের। তার জেরে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাহুল। শনিবার হল এই মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানি হবে ২ মে।

    রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)…

    রাহুলের এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি গীতা গোপী। তাই মামলা চলে যায় বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের এজলাসে। রাহুলের হয়ে এদিন সেখানে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, যে শুনানিতে দোষ প্রমাণিত হয়েছে, সেই শুনানির প্রক্রিয়া নিয়ে যথেষ্ঠ প্রশ্ন রয়েছে। কোনও জনপ্রতিনিধি বা সাংসদের ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত করার আনুষঙ্গিক বেশ কিছু প্রভাব রয়েছে। এর প্রভাব যেমন একদিকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওপর পড়ে, তেমনই পড়ে তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র এবং পুনর্নির্বাচনের ওপরও।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজয়া দশমীর মতো উৎসবে পরিণত হয়েছে মন কি বাত’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রাহুলের (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজের ব্যাপারে লোকসভা সচিবালয়ের অতি সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাহুলের আইনজীবী বলেন, আপনার ক্ষমতা রয়েছে বলেই আপনি যা খুশি করতে পারেন না। টেলিভিশনে অযাচিত বিভিন্ন পরামর্শ দেখে আমি অবাক। কেউ বলছেন, আমি থাকলে আট ঘণ্টার মধ্যে সাজা পুনর্বিবেচনার আর্জি দাখিল করতাম, কেউ বলছেন চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আপিল করা উচিত ছিল। তিনি বলেন, সুপারসনিক আইনজীবী থাকতেই পারেন, কিন্তু আমরা তো এখানে সুপারসনিক ফাইলিং করতে আসিনি। তিনি বলেন, আমি তো মহামান্য আদালতে লাফিয়ে এসে বলতে পারি না, রায়ের অর্ধেকাংশের তর্জমা করতে পেরেছি মাত্র, তবে কালই তো সাংসদ পদ খারিজ হতে চলেছে, তাই তড়িঘড়ি আবেদন করতে এলাম।

    প্রসঙ্গত, ২৩ মার্চ সুরাটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে লোকসভার সচিবালয় রাহুলের (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজ করে দেয়। কংগ্রেসের এতজন আইনজীবী নেতা-সাংসদ থাকা সত্ত্বেও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন রাহুলের হয়ে কেউ সাজাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করলেন না, সে প্রশ্ন তোলে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • PM Modi: ‘বিজয়া দশমীর মতো  উৎসবে পরিণত হয়েছে মন কি বাত’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘বিজয়া দশমীর মতো  উৎসবে পরিণত হয়েছে মন কি বাত’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয়া দশমীর মতো ‘মন কি বাত’ও একটা উৎসবে পরিণত হয়েছে। রবিবার মন কি বাতের শততম পর্বের শুরুতে এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর মতে, ভারতের (India) ভাল দিক, আশা-আকাঙ্খা, সদর্থক আলোচনা এবং আমজনতার অংশ গ্রহণে পূর্ণ হয়েছে এই উৎসবের বৃত্ত। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে বিজেপি সরকার। তার পর থেকে আমজনতার সঙ্গে কথোপকথন করতে তিনি সূচনা করেন মন কি বাতের অনুষ্ঠান। অতি অল্প সময়েই দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানেরই শততম পর্ব সম্প্রচারিত হল আজ, রবিবার।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন…

    এদিন অনুষ্ঠানের আগে ট্যুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, এটা সত্যিই একটা স্পেশাল জার্নি। এখানে আমরা ভারতের জনগণের সম্মিলিত চেতনা উদযাপন করেছি এবং অনুপ্রেরণামূলক জীবনযাত্রা তুলে ধরেছি। সকলকে মন কি বাতের শততম পর্ব শোনার অনুরোধও করেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। মন কি বাতের এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কখনও যোগাভ্যাসের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বলেছেন, কখনও আবার মহিলাদের ক্ষমতায়নের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ভারতীয় সেনাদের আত্মবলিদানের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে এই অনুষ্ঠানে।

    মন কি বাতের অনুষ্ঠানে সমাজের অতি সাধারণ মানুষও যাঁরা দেশের কল্যাণে কাজ করেছেন, তাঁদের কথাও দরাজ গলায় বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আলোচনা হয়েছে কখনও বিজ্ঞানে ভারতের অগ্রগতি নিয়ে, কখনও আবার ভারতের ঋদ্ধ সংস্কৃতি নিয়ে। পরিবেশ, খাদি কিংবা দেশের উন্নয়ন এ সব বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কোভিড অতিমারি কিংবা ভারতের ভ্যাকসিন আবিষ্কার, বিদেশিদের বাঁচাতে সেই ভ্যাকসিন বিতরণ এসবও উঠে এসেছে মন কি বাতের অনুষ্ঠানে।

    আরও পড়ুুন: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, মন কি বাতের যে অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিলাম, সেটা দেশে একটা নতুন ধারা তৈরি করবে। তিনি বলেন, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যে কোনও বড় ধরনের পরিবর্তনও সম্ভব। মন কি বাতের অনুষ্ঠানে যে তিনি ওড়িশার ডি প্রকাশ রাও এবং ঝাড়খণ্ডের সঞ্জয় কাশ্যপের কথা বলেছিলেন এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। একটি ছোট চায়ের দোকানের মালিক রাও সমাজের পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলেমেয়েদর শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আর সঞ্জয়? শিক্ষাকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি নিয়ে ঘুরছেন। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারেও দেখানো হবে মোদির মন কি বাতের শততম পর্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rezoana Mallick Heena: এশীয়-মঞ্চে সোনা জয় নদিয়ার ষোড়শী রেজওয়ানা মল্লিক হিনার

    Rezoana Mallick Heena: এশীয়-মঞ্চে সোনা জয় নদিয়ার ষোড়শী রেজওয়ানা মল্লিক হিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাসে নাম তুলল নদিয়ার ষোড়শী। শুক্রবার উজবেকিস্তানের তাসখন্দে এশিয়ার যুব অ্যাথলেটিক্সে ৪০০ মিটার বিভাগে সোনা জিতেছে রেজওয়ানা মল্লিক হিনা (Rezoana Mallick Heena)। ইতিহাস গড়ার পাশাপাশি বছর ষোলোর এই কন্যে ভেঙে দিয়েছে আট বছরের পুরানো মিট রেকর্ড। এই রেকর্ড গড়েছিলেন প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান সালওয়া ইদ নাসের। ৪০০ মিটার দৌড়তে হিনা সময় নিয়েছে ৫২.৯৮ সেকেন্ড। নাসের নিয়েছিলেন ৫৩.২ সেকেন্ড। এই মুহূর্তে হিনা দ্রুততম ভারতীয়। অনূর্ধ্ব-১৮ মহিলা বিভাগে দ্রুততম দৌড়বিদও সে। নদিয়ার হিনা কোচিং নেয় বেঙ্গালুরুর অর্জুন অজয়ের কাছে। ভারতীয়দের মধ্যে এশিয়াডে প্রাক্তন রুপোজয়ী জিসনা ম্যাথুর রেকর্ডও ভেঙেছে নদিয়ার এই কিশোরী।

    সোনার মেয়ে (Rezoana Mallick Heena)… 

    ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে নদিয়ার একটি ছোট্ট শহরে থাকা এই সোনার মেয়ের (Rezoana Mallick Heena) খোঁজ পান অর্জুন অজয়। তিনি বলেন, ইনস্টাগ্রামের পোস্টের মাধ্যমে ওকে আমি চিহ্নিত করি। পরে ওকে ট্রেনিং দিই। তিনি জানান, ২০২১ সাল থেকে ওকে ট্রেনিং দিচ্ছেন তিনি। বেঙ্গালুরুর টপ গান ট্র্যাক ও ফিল্ড অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে তাকে। অজয় বলেন, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। ওর পরিবারকে বলতে সহজেই রাজি হয়ে যান। আমিই ওর ট্রেনিং এবং থাকার ব্যবস্থা করি। অর্জুন বলেন, আমার মনে হয় আট বছর বয়স থেকে ও ট্রেনিং নিচ্ছিল। ও বোধহয় আমাকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করছিল। ইনস্টাগ্রামে হিনার দৌড় দেখে আমার মনে হয়েছিল ও বোধহয় নদীর কাছ থেকে ছোটাটা শিখেছে।

    আরও পড়ুুন: প্রতিবাদ পরিণত হিংসায়, মণিপুরে বন দফতরের অফিসে আগুন, নৈশ কারফিউ

    আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। তখনই ভেবেছিলাম, ও  (Rezoana Mallick Heena)একদিন ভাল দৌড়বিদ হবে। তিনি বলেন, হিনার স্টেপ জাম্প ও ঘাসের ওপর দিয়ে দৌড়ানোটা খুবই ভাল। আমি ভেবেছিলাম, এই মেয়েকেই তৈরি করা যাবে। তখনই আমি হিনা ও তার পরিবারকে এ ব্যাপারে রাজি করাই। হিনা জানত আমি প্রিয়ারও কোচ। তাই আমার কাছে ট্রেনিং নিতে সহজেই রাজি হয়ে যায় হিনা। বাংলার এক প্রত্যন্ত শহরের মেয়ের চোখ ধাঁধানো সাফল্যে যারপরনাই খুশি অর্জুন। তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছিল হিনা প্রিয়ার থেকেও ভাল। প্রিয়াকে ট্রেনিং দিতে গিয়ে আমি অনেক কিছু শিখেছি। কোচ হিসেবে সেগুলোই আমাকে ঋদ্ধ করেছে। সেগুলোই আমি হিনার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছি।

    ফাইট হিনা, ফাইট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BBC: বিবিসির চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা ঘোষণা রিচার্ড শার্পের

    BBC: বিবিসির চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা ঘোষণা রিচার্ড শার্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করলেন বিবিসির (BBC) চেয়ারম্যান রিচার্ড শার্প। প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ৮০ হাজার পাউন্ডের একটি ব্যাঙ্ক ঋণ পাইয়ে দিতে তিনি সাহায্য করেছিলেন। এজন্য তিনি অনিয়ম করেছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে শুক্রবার পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন রিচার্ড শার্প।

    বিবিসির (BBC) চেয়ারম্যানের দাবি…

    পদত্যাগপত্রে অবশ্য ‘স্বীকারোক্তি’ দেননি তিনি। তাতে তিনি দাবি করেছেন, এটি ছিল একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিসের সঙ্গে কোম্পানির চেয়ারম্যানের এই গোপন বোঝাপড়া প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিবিসির ব্রিটেন শাখার কর্মীদের একটা বড় অংশ। তার পরেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন রিচার্ড শার্প। তবে এখনই পদ থেকে সরে যাচ্ছেন না তিনি। নয়া চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার আগে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাবেন শার্প। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় বিবিসির চেয়ারম্যান জানান, বিবিসির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

    তাঁর (BBC) দাবি, সচেতনভাবে কোনও অনিয়ম তিনি করেননি। এটি ছিল অনিচ্ছাকৃত ভুল। রিচার্ড শার্প মনে করেন, তাঁর মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিবিসির এই পদে থাকলে তা বিভ্রান্তিকর হতে পারে। প্রসঙ্গত, বিবিসি যখন কোনও চেয়ারম্যান নিয়োগ করে, তখন তাঁর মনোনয়ন আসে সরকারের কাছ থেকে। কিন্তু একটি বোর্ডের কাছে ওই ব্যক্তিকে সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথাটি স্পষ্ট করে জানাতে হয়। কিন্তু রিচার্ড শার্প যখন চেয়ারম্যান হন, তখন তিনি ঋণের বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিবিসির (BBC) চেয়ারম্যান পদে বসেন শার্প। মেয়াদ ছিল চার বছর। তার আগেই পদত্যাগ করতে হল তাঁকে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সরকারকে তাঁর উত্তরসূরি খোঁজার জন্য সময় দিয়েছেন শার্প। কিছুদিন আগেই একবার ব্যাপক চর্চার কেন্দ্রে চলে এসেছিল বিবিসি। ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চন’ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিল বিবিসি। সেখানে গুজরাট হিংসা নিয়ে মোদির ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছিল। যার জেরে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিবিসির ওই তথ্যচিত্র প্রদর্শন নিয়ে অশান্তিও হয়েছে দেশের বিভিন্ন অংশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: শেষমেশ দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেন ‘নিঃস্ব’ মুকুল

    Mukul Roy: শেষমেশ দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেন ‘নিঃস্ব’ মুকুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় ১১ দিন দিল্লিতে ছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় (Mukul Roy)। শেষমেশ রাজধানী থেকে ফিরলেন শূন্য হাতেই। সূত্রের খবর, বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মুকুল দেখা করার চেষ্টা করলেও, তাঁর সঙ্গে কেউই দেখা করেননি। যদিও কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে মুকুল দাবি করেন, সবার সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁর। প্রয়োজন পড়লে ফের দিল্লি (Delhi) যাবেন বলেও জানান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। তবে তাঁর এবারের দিল্লি সফরে কার কার সঙ্গে দেখা হয়েছে জানতে চাইলে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি মুকুল।

    মুকুল রায়ের (Mukul Roy) ঘরওয়াপসি…

    তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে মত বিরোধের জেরে বছর কয়েক আগে ঘাসফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর উত্তরে পদ্ম চিহ্নে প্রার্থী হন তিনি। বিজেপির প্রার্থী হওয়ায় বিপুল ভোটে জয়ীও হন মুকুল। বিধানসভা নির্বাচনের পরে পরেই পদ্ম শিবির ছেড়ে ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তৃণমূল ভবনে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘরওয়াপসি হয় মুকুলের। পুরস্কার স্বরূপ জুটে যায় পিএসির চেয়ারম্যানের পদ। প্রথা অনুযায়ী যে পদ পাওয়ার কথা বিরোধীদের। এর পরেই মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানায় বিজেপি।

    গত ১৭ এপ্রিল আচমকাই দিল্লি উড়ে যান মুকুল (Mukul Roy)। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন শুভ্রাংশু। তাঁর দাবি, মুকুলকে ভুল বুঝিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর মানসিক অবস্থা যে ভাল নয়, সেই ইঙ্গিতও দেন মুকুল-পুত্র। দিল্লিতে গিয়ে মুকুল দাবি করেন, কেউ তাঁকে জোর করে দিল্লিতে আনেননি। তিনি স্বেচ্ছায় এসেছেন। তাঁর দাবি, তিনি বিজেপিতেই ছিলেন, তৃণমূলে ছিলেন না। দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতেই যে তিনি দিল্লি এসেছেন, জানান তাও।

    আরও পড়ুুন: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    এদিন বিমানবন্দরে নেমে মুকুল (Mukul Roy) ফের বলেন, আমি তো বিজেপিতেই আছি। নিজের ইচ্ছেতেই দিল্লি গিয়েছিলাম। আমার কিছু কাজ ছিল। সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে ঠিক কার কার সঙ্গে মুকুলের কথা হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। এদিন আবারও মুকুল বলেন, আমাকে কেউ জোর করে দিল্লিতে নিয়ে যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • BJP: টুইটারে বিজেপি বিধায়ককে খুনের হুমকি! কেন জানেন?

    BJP: টুইটারে বিজেপি বিধায়ককে খুনের হুমকি! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় শিলিগুড়ির বিজেপি (BJP) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের পর গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়। মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে সমালোচিত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সম্প্রতি শিলিগুড়ির বিজেপি (BJP) বিধায়ক তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে প্রতিবাদ জানান। তাঁর সেই প্রতিবাদের জন্য বিপ্লব নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক। এনিয়ে শনিবার তিনি শিলিগুড়ি থানায় এফআইআরও করেছেন।

    টুইটারে কী লিখেছিলেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    শঙ্করবাবু তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, হীরক রানির রাজ্যে এভাবেই ধর্ষিতা কন্যাদের মৃতদেহ সম্মান পায়। সঙ্গে একটি কার্টুন ছবিও তিনি তুলে ধরেন, যেখানে একজন নির্যাতিতাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা দেখানো হয়েছে। তাঁর এই টুইটারের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বিপ্লব নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে শঙ্কর ঘোষকে গ্রেফতার করে মারার হুমকি দেওয়া হয়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, এই ঘটনার পিছনে আমি তৃণমূলের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। কেননা আমাকে গ্রেফতার করে মারার কথা বলা হয়েছে। গ্রেফতার কে করবে? পুলিশ, আর পুলিশ তৃণমূল সরকারের। এছাড়াও যে অ্যাকাউন্ট থেকে আমাকে গ্রেফতার করে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেই টুইটার অ্যাকাউন্টে নিয়মিত ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়। শুধু তাই নয়, ওই টুইটার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তৃণমূলের নব জোয়ারের ট্যাগ করা রয়েছে। কাজেই আমাকে মারার ক্ষেত্রে তৃণমূলের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। সে কারণে আমি পুলিশে এফআইআর করেছি।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের দার্জিলিং(সমতল) জেলা কমিটির মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, তৃণমূল নয়, এ রাজ্যে যাবতীয় অশান্তি পাকাচ্ছেন শঙ্কর বাবু ও তাঁর দল। অপরাধীরা অপরাধ করে এরাজ্যে পার পায় না। শঙ্করবাবু পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে পুলিশ যদি কাউকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Road Accident: পথ দুর্ঘটনায় মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ এলাকা, টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ

    Road Accident: পথ দুর্ঘটনায় মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ এলাকা, টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার হুগলির শ্রীরামপুর পিয়ারাপুর মোড়ে দিল্লি রোডে পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। দোষীদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে রাস্তার ওপর টায়ার জ্বালিয়ে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে দিল্লি রোড অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উত্তেজিত জনতা পুলিশ কিয়স্কে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম পুষ্পা সাঁতরা(৫৬)। তাঁর বাড়ি বড়বেলু মনসাতলা এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বালিভর্তি ডাম্পার সিঙ্গুর থেকে বাঁক নিয়ে দিল্লি রোডে উঠে চুঁচুড়ার দিকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি (Road Accident) ঘটে। ওই মহিলা সাইকেল করে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। ডাম্পারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই মহিলাকে পিষে দেয়। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়েই বড়বেলু গ্রাম থেকে হাজার খানেক বাসিন্দা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। আসেন দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু হওয়া ওই মহিলার বাড়ির লোকজনও। এসেই তাঁরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। জ্বালানো হয় টায়ার। স্তব্ধ হয়ে যায় দিল্লি রোড। অবরোধের জেরে দিল্লি রোডে তীব্র যানজট তৈরি হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় শ্রীরামপুর থানার পাশাপাশি চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের  এসিপি-২ শুভঙ্কর বিশ্বাস নিজে ঘটনাস্থলে যান।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    ঘাতক ডাম্পারের চালককে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করতে থাকেন অবরোধকারীরা। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে বাবলু সর্দার নামে এক যুবক বলেন, পিয়ারাপুর মোড়ের কাছেই পুলিশ ফাঁড়ি। সামনেই ট্রাফিক গার্ডের কিয়স্ক। অসংখ্য সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তারমধ্যে সাতসকালে কি করে একটা ওভারলোড গাড়ি বাঁক নিতে গিয়ে পথচারীকে চাপা দিল? আসলে সিভিক ভলান্টিয়াররা রাস্তায় কোনও ডিউটি করে না। লরি থেকে পয়সা তুলতে এবং মোবাইল দেখতে তারা ব্যস্ত থাকে। তাই ওদের বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    কি জানালো প্রশাসন

    এদিন অবরোধ তুলতে এসে পুলিশ কর্তাদের হিমশিম খেতে হয়। আসলে দিল্লি রোডে এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। সেদিক দিয়ে দেখলে বলা যেতে পারে, এদিনের এই বিক্ষোভ আসলে জনরোষের প্রতিফলন। ইতিমধ্যেই বালি ভর্তি ডাম্পার সহ চালককে আটক করেছে পুলিশ। এসিপি শুভঙ্কর বিশ্বাসের আশ্বাসে প্রায় সাড়ে তিনঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে। এসিপি শুভঙ্করবাবু বলেন, আমরা ডাম্পারের চালককে আটক করেছি। পরিবারের লোক যাতে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পান সেটা দেখা হচ্ছে। এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া এই পিয়ারাপুর এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থার আরও উন্নত করা হবে। দুর্ঘটনার (Road Accident) সময় যারা ডিউটি করছিল, তাদের কোনও গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • FEMA Act: এবার বাইজুর অফিসে হানা ইডির, বাজেয়াপ্ত নথি, ডিজিটাল তথ্যও

    FEMA Act: এবার বাইজুর অফিসে হানা ইডির, বাজেয়াপ্ত নথি, ডিজিটাল তথ্যও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অনলাইন শিক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট বাইজুর (Byju) বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) অফিসে হানা দিল ইডি (ED)। শনিবার দুপুরে বাইজুর ওই অফিসে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে দ্য ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে (FEMA Act)।

    দ্য ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে (FEMA Act) অভিযোগ দায়ের…

    এদিন বেঙ্গালুরুর একটি বাসস্থান ও দুটি অফিসে অভিযান চালিয়েছে ইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু কাগজপত্র ও নথি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু ডিজিটাল তথ্যও। ইডির দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফেমার অধীনে ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই সংস্থা প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ নিয়েছে। এর পাশাপাশি ওই সংস্থা ৯ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছে। বিদেশে বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেই এই বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে। ইডি আরও জানিয়েছে, বাইজুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে অর্থনৈতিক বিবৃতি তৈরি করেনি বাইজু। অ্যাকাউন্টের অডিটও করানো হয়নি। অথচ এটা বাধ্যতামূলক।

    আরও পড়ুুন: চাকরি খোয়ানো ১০ ‘অযোগ্য’ প্রাক্তন সরকারি কর্মীকে নথি সহ তলব সিবিআইয়ের

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, প্রতিবারই বাইজুর (FEMA Act) প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও বাইজু রবীন্দ্রন সমন এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি ইডির সামনে হাজিরাও দেননি। বাইজুর আইনি মুখপাত্র জানান, ইডির এই অভিযান ফেমার অধীনে নিয়মিত তদন্তের অংশ। এদিন বাইজুর তরফেও জারি করা হয়েছে বিবৃতি। তাতে বলা হয়েছে, আমরা পুরোপুরি স্বচ্ছ। কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে যা তথ্য চেয়েছেন, আমরা সেগুলি দিয়ে দিয়েছি। আমরা নৈতিকতা ও নিয়মানুবর্তিতার ব্যাপারে সর্বোচ্চ মান তুলে ধরতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    প্রসঙ্গত, হুরুন গ্লোবাল রিট লিস্ট ২০২৩ অনুযায়ী রবীন্দ্রন বিশ্বের শিক্ষা খাতে দ্বিতীয় ধনী উদ্যোক্তা। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৩.৩ বিলিয়ন ডলার। ২০১১ সালে গড়ে ওঠে সংস্থাটি (FEMA Act)। লার্নিং অ্যাপ চালু করে ২০১৫ সালে। করোনা অতিমারির সময় এদের ব্যবসা তুঙ্গে ওঠে। পরে স্কুল খুলতে শুরু করলে অ্যাপের জনপ্রিয়তা ক্রমশ কমতে থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: সরেছে ২টি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে কোন কোন মামলা রয়েছে জানেন?

    Justice Abhijit Ganguly: সরেছে ২টি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে কোন কোন মামলা রয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দুটি মামলা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বেঞ্চ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একটি সৌমেন নন্দী ও অন্যটি রমেশ মালির করা। প্রশ্ন হল, তাহলে এবার কোন কোন মামলা থাকল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে? জানা গিয়েছে, সন্দীপ প্রসাদের করা এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা। টাকার বিনিময়ে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলে মামলা হয়। ২০২১ সালে সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে চলছে এই মামলা…

    প্রাথমিকের ওএমআর শিট মামলাও চলছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলা করেছিলেন রাহুল চক্রবর্তী ও শান্তনু সিট। ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই মামলায়। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এসএসসির নবম দশম মামলা। মামলাকারী সেতাবউদ্দিন। এসএসসির নবম দশম নিয়োগ সংক্রান্ত আরও একটি মামলা। মামলাকারী আবদুল গনি আনসারি। এসএসসি গ্রুপ সি মামলাও রয়েছে তাঁর এজলাসে। মামলাকারী সাবিনা ইয়াসমিন। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।

    এসএসসি গ্রুপ ডি সংক্রান্ত আরও একটি মামলা। মামলাকারীর নাম লক্ষ্মী তুঙ্গা। বেআইনিভাবে নিয়োগ (Justice Abhijit Ganguly) হয়েছে এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের লক্ষ্মী। নবম দশমের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাও রয়েছে তাঁর এজলাসে। মামলাকারী অনিন্দিতা বেরা। এই মামলাও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। মেধাতালিকার বাইরে থেকে নিয়োগ হয়েছে এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। ববিতা সরকারের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার রায় দেবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। প্রাথমিক টেট সংক্রান্ত একটি মামলাও রয়েছে তাঁর এজলাসে। প্রায় ৪৪ হাজার চাকরি প্রাপকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক নয়, এই প্রশ্ন তুলে মামলা হয়েছিল। মামলাকারী প্রিয়াঙ্কা নস্কর।

    আরও পড়ুুন: চাকরি খোয়ানো ১০ ‘অযোগ্য’ প্রাক্তন সরকারি কর্মীকে নথি সহ তলব সিবিআইয়ের

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, আমি তো নিজে সরাচ্ছি না। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারে হচ্ছে। একটা ডিসিপ্লিন আছে। সেই অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট সর্বোচ্চ আদালত। সেটা মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, আরও যেসব দুর্নীতির মামলা রয়েছে, সেগুলোও হয়তো আমার হাত থেকে সরে যাবে। আজ যে গ্রাউন্ডে গিয়েছে, সেগুলো সরে যাবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই মামলা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে শুরু করিনি। তাই আমার কাছে রইল কী কার কাছে গেল, তা নিয়ে আমার বিশেষ মাথাব্যথা নেই। তিনি যে সর্বদা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হবেন, এদিন তাও জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share