Tag: Bengali news

Bengali news

  • Panchayet Road: বর্ষাকালে কর্দমাক্ত আলপথে পড়ুয়াদের হাতে ওঠে জুতো, চলে না সবুজসাথীর সাইকেলও

    Panchayet Road: বর্ষাকালে কর্দমাক্ত আলপথে পড়ুয়াদের হাতে ওঠে জুতো, চলে না সবুজসাথীর সাইকেলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি পালিত হয়ে গেল দেশজুড়ে। দুর্গাপুরের বুদবুদ থানার আউশগ্রাম ব্লকের আমানিডাঙার বাসিন্দারা পেলেন না সামান্য রাস্তাটুকুও। একাধিকবার ভোট বয়কট করেও মেলেনি সুরাহা। পথশ্রী, রাস্তাশ্রী ইত্যাদি নিয়ে গোটা বাংলা যখন মাতোয়ারা, তখনও চরম বঞ্চনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন পূর্ব-বর্ধমান জেলার অন্তর্গত আউশগ্রামের আমানিডাঙা, বাবলাবনি, ধডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা। রাস্তার (Panchayet Road) দাবিতে বিগত ৮ বছর ধরে ভোট বয়কট করছেন গ্রামবাসীরা। তাতে রাস্তা আংশিক কংক্রিট হলেও, জমিজটে উধাও প্রায় ৩ হাজার ফুট রাস্তা। ফলে দুর্ভোগ মেটেনি। সমস্যা সেই তিমিরেই রয়েছে। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষায় কাদামাখা আলপথই ভরসা। এমনই পরিস্থিতিতে আবার আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন!

    সদর বাজারে যেতে হলে কর্দমাক্ত আলপথই ভরসা

    কুনুর নদীর পাড়ে বহু পুরনো গ্রাম আমানিডাঙা, বাবলাবনি, ধডাঙা। আউশগ্রামের দেবশালা পঞ্চায়েতের ওই গ্রাম তিনটিতে ৬৫টি পরিবারের বসবাস। বেশিরভাগই আদিবাসী সম্প্রদায়ের দিনমজুর। গ্রামের ভিতর রাস্তার অবস্থা বেহাল। মোরামের দানাটুকুও পড়েনি। গ্রাম থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে কাঁকসার পিয়ারিগঞ্জ। সদর বাজারে যেতে হলে কর্দমাক্ত আলপথই ভরসা। বছর কয়েক আগে বীরভুম থেকে ফেরার পথে পিয়ারিগঞ্জ স্কুলের সামনে ক্ষুদে পড়ুয়াদের দেখে দাঁড়িয়ে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। সেখান থেকেই রাজ্যে ক্ষুদে পড়ুয়াদের জুতো দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো জুতো পেলেও বর্ষাকালে মেঠো আলপথে হাতে জুতো নিয়ে স্কুলে যেতে হয় পড়ুয়াদের। পায়ে পরার উপায় নেই। পড়ুয়াদের সবুজসাথীর সাইকেলও জুটেছে। তবে বর্ষাকালে সেটা চালিয়ে স্কুলে যাওয়ার উপায় নেই। কাদামাখা মেঠো আলপথে সাইকেল চালানোও দায়। গ্রামের মধ্যে মোটরগাড়ি তো দূর অস্ত, সাইকেল বা রিকশ যাতায়াতের রাস্তাটুকু (Panchayet Road) নেই।

    ভোট বয়কটেও সমস্যা মেটেনি

    গত ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে রাস্তার (Panchayet Road) দাবিতে ভোট বয়কট করেছিলেন গ্রামবাসীরা। ২০১৯ ও ২০২১ সালেও ভোট বয়কট করেন গ্রামবাসীরা। তারপর কুনুর নদী দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। যদিও খবর চাউর হতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সাংসদ তহবিলের টাকায় প্রায় ১৪০০ ফুট রাস্তা কংক্রিট করা হয়। তবে গ্রামের রাস্তা আগের মতোই বেহাল রয়েছে। তারপরও প্রায় ৪ হাজার ফুট মেটো আলপথ রয়েছে। ফলে সমস্যা সেই তিমিরেই রয়েছে। 

    উন্নয়নের ফিরিস্তি শুনে ক্লান্ত, বলছেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা

    উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তার নতুন করে নির্মাণ ও পুনরায় সংস্কারের সূচনা করেন। তাছাড়াও গ্রামীণ সড়ক তৈরিতে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় সরকারই তৎপর। আদিবাসী গ্রামে ঢালাও উন্নয়নের ফিরিস্তি শোনা যায়। কিন্তু তারপরও কেন দুর্দশায় আমানিডাঙা, বাবলাবনি, ধডাঙার গ্রামবাসীরা? প্রশ্ন থেকেই যায়। স্থানীয় বাসিন্দা তাপস সোরেন, সনাতন সোরেন প্রমুখ তরুণরা জানান, “উন্নয়নের ফিরিস্তি শুনে ক্লান্ত। ২০১৬ সালে ভোট বয়কটের পর বছর খানেক হল বিদ্যুৎ পেয়েছি। রাস্তার (Panchayet Road) দাবিতে বহুবার আবেদন করেছি। এক-চতুর্থাংশ রাস্তা ঢালাই হয়েছে। এখনও অনেকটাই রাস্তা নেই। মেঠো পথ। বর্ষায় চরম সমস্যায় পড়তে হয়। গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে খাটিয়াতে করে নিয়ে যেতে হয়। ছেলে মেয়েদের স্কুলে যেতে অসুবিধা হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজবংশী যুবকের মৃত্যু, অভিযোগের তিরে পুলিশ

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজবংশী যুবকের মৃত্যু, অভিযোগের তিরে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বাদশ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj)। আর এই ঘটনার জেরে দুদিন আগেই থানায় রাজবংশী ও আদিবাসী সংগঠনের ডেপুটেশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। থানায় আগুন লাগানো থেকে শুরু করে পুলিশের গাড়ি জ্বালানোর ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে বুধবার রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক রাজবংশী যুবকের মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদগাঁ গ্রামে। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মৃত্যুঞ্জয় বর্মন (৩৩)। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই ঘটনা নিয়ে টুইটও করেছেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বিষ্ণু বর্মন কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) বিজেপি-র পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় তাণ্ডব চালানোর ঘটনার সূত্র ধরে বুধবার রাতে তাঁর বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। কিন্তু, তাঁকে না পেয়ে তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে টেনে হিঁচড়ে মারতে মারতে পুলিশ গাড়িতে তোলে বলে অভিযোগ। চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে বিষ্ণুর ভাইপো মৃত্যুঞ্জয় এর প্রতিবাদ করেন। এরপরই পুলিশ গুলি চালায়। তাতে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হয়।

    কী বললেন মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন?

    মৃত্যুঞ্জয়ের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ছেলে শিলিগুড়িতে একটি কোম্পানিতে চাকরি করত। সেখানেই পরিবার নিয়ে সে থাকত। খুড়তুতো ভাইয়ের বিয়ের জন্য সে সপরিবারে এসেছিল। বৃহস্পতিবারই ট্রেনে করে তাদের শিলিগুড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই বুধবার রাতে পুলিশ পাশের বাড়িতে একজনকে ধরতে আসে। আমার দুই ছেলে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল। পুলিশের গুলিতে আমার ছোট ছেলের মৃত্যু হয়।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের বক্তব্য, এলাকার কেউ কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় গণ্ডগোলের ঘটনায় যায়নি। তাহলে পুলিশ কেন এই এলাকায় অভিযান চালাল? একজনকে ধরে নিয়ে গেল? একজন নিরীহ যুবককে পুলিশ গুলি করে খুন করল। মৃত যুবকের পরিবারের লোকজনকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আমরা আবেদন জানাচ্ছি। একইসঙ্গে দোষী পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান?

    স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বলেন, কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় গণ্ডগোলের দিন গ্রামে বিয়ে ছিল। সেদিন গ্রাম থেকে কেউ সেখানে যায়নি। পুলিশ কেন এই গ্রামে অভিযান চালাতে এসেছিল তা জানি না। আর পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনাকে আমরা সমর্থন করি না।

    পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে সরব হলেন বিজেপি সাংসদ

    বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ হাসপাতালে যান বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। সেখানে তিনি মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে, এই ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ বিজেপি কার্যকর্তাদের ওপর অত্যাচার ও গ্রেফতার করছে। কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) থানা জ্বালানো কিংবা পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনার সঙ্গে কোথাও বিজেপি যুক্ত নেই। বিজেপি-র এস পি অফিস ঘেরাওয়ের আলাদা কর্মসূচি ছিল। সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে গ্রেফতার, অত্যাচার, গুলি করে, খুন করে বিজেপিকে শেষ করতে চাইছে। যদি তিনি মনে করেন এভাবে বিজেপিকে শেষ করা যাবে তা কোনওদিনই সম্ভব না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘এই চোরদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হবে’, জামালপুরের সভায় বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘এই চোরদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হবে’, জামালপুরের সভায় বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী এক বছরের মধ্যে রাজ্যে দুটো নির্বাচন। মোকাবিলা করতে হবে। এই চোরদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হবে। জামালপুরের জনসভায় এ কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, এক বছরের মধ্যেই পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচন। আর ২০১৮ সালের মতো লুঠ নয়। এবার গণতান্ত্রিক পরিবেশে, মানুষের পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষ্যে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, এ রাজ্যে বিজেপিই একমাত্র বিরোধী দল। সেই বিরোধী দল হিসাবেই আমরা বাংলাজুড়ে কাজ করছি। দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মী জেলায় জেলায় নির্বাচনের আগে লাগাতার আন্দোলন চালাবেন। বিজেপির মিটিং-মিছিল টানা চলবে।

    পিসি-ভাইপো সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)…

    শুভেন্দু বলেন, পিসি-ভাইপোর দুর্নীতির আঁতুড়ঘর ভেঙে দিতে হবে। সিপিএমের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, জামালপুরে ২০১৬ সালে সিপিএমের প্রার্থীকে আপনারা জিতিয়েছিলেন। তৃণমূলকে হারিয়েছিলেন। সূর্যকান্ত মিশ্র হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই সময় বিরোধী দল সিপিএমের ভূমিকা ও বর্তমানে ৭৭টি সিট জেতা রাজ্যের আসল বিরোধী দল বিজেপির ভূমিকা আপনারা বলুন। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ওটা ছিল সেটিং অপজিশন। শুভেন্দু বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে একেবারে ঘরে ঢুকে গিয়েছিল। এখন মাঝেমধ্যে ঝান্ডা হাতে বেরিয়ে পড়ে। দুনিয়ার মজদুর এক হও বলে গলা ছাড়ে। শুভেন্দু বলেন, ওদের ফাঁদে পা দেবেন না। রাষ্ট্রবাদী ডবল ইঞ্জিন সরকার ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের পরিত্রাণ নেই। কারণ ৩৪ বছরের সিপিএম নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের চাকরি দিয়েছে। আর প্রতি মাসে আড়াই শতাংশ করে লেভি নিয়েছে। তৃণমূল চাকরি নিয়ে বেচে দিচ্ছে। এখন শুধু পচা দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ‘তিহাড় জেলে তৈরি হবে তৃণমূলের নয়া ইউনিট টিটিএমসি’, ফের বললেন সুকান্ত

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল যে ভয় পেয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ২০০-র বেশি আসন নিয়েও ভীত তৃণমূল। তাই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রাসাদের মতো বাস নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। সেখানে আবার ব্যালটবাক্স উল্টে দিয়েছে এক দল। তিনি বলেন, ভাইপো ব্যালটবাক্স নিয়ে গিয়েছিল। সিতাই ও সাহেবগঞ্জে ব্যালটবাক্স ভেঙে দিয়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, মোদিজি বাংলায় ৫০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছে। যতক্ষণ না হিসেব দেবে রাজ্য, ততক্ষণ পর্যন্ত ভারত সরকার টাকা দেবে না। তিনি বলেন, ধেড়ে ইঁদুর, জনজোয়ার যাত্রা হবে না, হবে তিহাড় যাত্রা। কয়লা ঝেড়ে শেষ তৃণমূল। তাই তো তৃণমূল ভয় পেয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanya Mondal: ‘‘কে জানে?’’ উত্তর জানতে কেষ্ট-সুকন্যা-মণীশকে মুখোমুখি জেরা করবে ইডি?

    Sukanya Mondal: ‘‘কে জানে?’’ উত্তর জানতে কেষ্ট-সুকন্যা-মণীশকে মুখোমুখি জেরা করবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলার তদন্তে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারি। গতকাল সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে কেষ্ট-কন্যা সুকন্যাকেও (Sukanya Mondal)। সূত্রের খবর, বাবা-মেয়ে এবং তাঁদের হিসাবরক্ষককে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইডি। কারণ এর আগে সুকন্যা মণ্ডল তদন্তের সব প্রশ্নই এড়িয়ে গেছেন একটা উত্তরে, ‘বাবা সব জানে’। তাই এবার কে জানে তা জানতে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা-পর্ব শুরু করতে চায় তদন্তকারী সংস্থা।

    আজ আদালতে পেশ সুকন্যাকে (Sukanya Mondal)

    বুধবার দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে তলব করা হয়েছিল সুকন্যাকে (Sukanya Mondal)। বেশ কিছু বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা তাঁর থেকে কোনও সদুত্তর পাননি। শেষ পর্যন্ত সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। রাত্রে তাঁকে খেতে দেওয়া হয়েছে রুটি, সবজি ও স্যুপ। এক বান্ধবী তাঁর জামাকাপড় পৌঁছে দেন প্রবর্তন ভবনে। জানা যাচ্ছে, আজ রাউজ এভিনিউ কোর্টে তাঁকে পেশ করা হবে। অন্দরের খবর, তাঁকে পাঁচদিনের হেফাজতে চাইতে পারে ইডি।

    কেষ্ট-কন্যাকে (Sukanya Mondal) জেরায় তিন মহিলা অফিসার

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, কেষ্ট কন্যাকে (Sukanya Mondal) এদিন জেরা করেন তিনজন মহিলা অফিসার। মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি জানিয়েছিলেন, অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর কন্যা যে সমস্ত তথ্য পাঠাতেন তাঁর কাছে, সেই সমস্ত তথ্য অনুযায়ী সমস্ত অ্যাকাউন্ট দেখে দিতেন তিনি। এক্ষেত্রে বুধবার যখন অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে নানা হিসেবের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, সেই প্রসঙ্গে সুকন্যা বলেন, ”এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যা বলার আমার বাবা এবং মণীশ কোঠারি বলতে পারবেন।”

    কেন গ্রেফতার সুকন্যাকে (Sukanya Mondal)?

    জানা যাচ্ছে, সুকন্যাকে গ্রেফতার করার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, গরু পাচার মামলার তদন্তে অসহযোগিতা করা, তদন্তের কাজে বিভ্রান্তি তৈরি করা এবং তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করেছেন সুকন্যা (Sukanya Mondal)। সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এর আগেও একাধিকবার কেষ্টকন্যাকে দিল্লিতে ইডির অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, সেই সময় গরহাজিরার যে কারণ তদন্তকারীদের কাছে উল্লেখ করা হয়েছে, সেই কারণও সঠিক বা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    কেষ্ট-কন্যার (Sukanya Mondal) নামে বিপুল জমির হদিশ

    ইডি সূত্রে খবর, দুটি কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। একটি সংস্থা, নীর ডেভলপার এবং অন্য একটি সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেম। এই এএনএম অ্যাগ্রোকেমের অধীনে রয়েছে ভোলে ব্যোম রাইস মিল। এর পাশাপাশি বোলপুরের মকরমপুরে দুটি প্লট রয়েছে সুকন্যার নামে। বল্লভপুরেও রয়েছে চারটি প্লট। কালিকাপুর ও গয়েশপুর মিলিয়ে সুকন্যার নামে ২৮টি জমির নথির সন্ধান পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। নিউটাউনেও দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে সুকন্যার নামে।

    প্রাথমিক স্কুল-শিক্ষিকার (Sukanya Mondal) ব্যাঙ্কে এত টাকা?

    গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে যে ৩৫ পৃষ্ঠার চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই, তাতে দেখা গিয়েছিল সুকন্যার সম্পত্তিও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। প্রাথমিক শিক্ষিকা সুকন্যার (Sukanya Mondal) ২০১২-১৩ আর্থিক বছরে বার্ষিক আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। পরের বছর তা বেড়ে হয়েছিল সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা। তার পরের বছর ১০ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। কিন্তু ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে সুকন্যার আয় বাড়ে রকেট গতিতে। বেড়ে হয় ৪৯ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। তার পরের বছর আয় আরও ২ লক্ষ টাকা বাড়ে। ২০১৮-১৯ সালের আয় বৃদ্ধি তাঁর আগের রেকর্ড সব ভেঙে দেয়। ওই বছর আয়কর রিটার্নে সুকন্যা (Sukanya Mondal) তাঁর আয় দেখিয়েছিলেন ১ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা। ১৯-২০ সালে তাঁর আয় ছিল প্রায় ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। আর ২০-২১-এ তাঁর আয় হয়েছে ৯২ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। তবে এই হিসেবের সবই ছিল তাঁর ব্যক্তিগত আয়। তাঁর নামে থাকা চালকল বা সংস্থাগুলির আয়ের হিসাব আলাদা। এছাড়া তাঁর নামে ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটও রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: এবার গরু পাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল

    Anubrata Mondal: এবার গরু পাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা গ্রেফতার হয়েছিলেন আগেই। এবার গ্রেফতার হলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা (Sukanya Mondal)। বুধবার সন্ধ্যায় ইডি (ED) গ্রেফতার করে তাঁকে। এই মামলায় আট মাস আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার পর থেকেই সুকন্যাকে তলব করা হচ্ছিল। প্রথমবার হাজিরা দিলেও, পরে নানা অছিলায় হাজিরা এড়িয়ে যান সুকন্যা। বুধবার সকালেই ডেকে পাঠানো হয় অনুব্রত-কন্যাকে। চলে টানা জেরা। তার পর সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করছিলেন সুকন্যা।

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়েকে জেরা…

    কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে সুকন্যাকে প্রশ্ন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও তিনি কোনও সদুত্তর দেননি। সুকন্যা জানিয়ে দেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর বাবা ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিই দিতে পারবেন। ইডি সূত্রে খবর, সেই কারণেই অনুব্রত (Anubrata Mondal) ও সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার কথা ভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    সুকন্যা পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। আয়ের সঙ্গে মিল নেই তাঁর বিপুল সম্পত্তির। এর পরেই প্রশ্ন ওঠে, তবে কি সুকৌশলে গরু পাচারের টাকা রাখা হচ্ছিল সুকন্যার ভাণ্ডারে? কেবল অনুব্রত নন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই মামলায় একে একে গ্রেফতার করে অনুব্রতর সঙ্গীদের। অনুব্রতর (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশকে। এবার গ্রেফতার করা হয় কেষ্ট-কন্যাকে।

    আরও পড়ুুন: অভিষেকের ‘এক রাতের তাঁবু তৈরির খরচ ৯২ লক্ষ টাকা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    এদিকে, বাবা-মেয়ে দুজনেই গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় খাঁ খাঁ করছে বীরভূমে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) বাড়ি। বাড়ির প্রহরায় রয়েছেন রাজ্য পুলিশের কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী। কিছুদিন আগেই দলীয় কর্মীদের সুকন্যার খোঁজ-খবর নিতে বলেছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পার্টির কেউ পাশে না থাকায় ঘনিষ্ঠ মহলে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন সুকন্যা। এবার তিনিও চলে গেলেন গারদের অন্তরালে। পার্টির লোকজন কি তবে বিপদ আঁচ করে আগেই কেটে পড়ে ছিলেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের ‘এক রাতের তাঁবু তৈরির খরচ ৯২ লক্ষ টাকা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের ‘এক রাতের তাঁবু তৈরির খরচ ৯২ লক্ষ টাকা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক এক রাতের তাঁবু তৈরির খরচ ৯২ লক্ষ টাকা। বুধবার তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি সম্পর্কে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব যে বাস ব্যবহার করছেন, সে প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, বিলাসবহুল সেই বাস পাঁচতারা হোটেলকেও হার মানাবে। ওই বাসে যা যা ব্যবস্থা আছে, তা অনেক পাঁচতারা হোটেলেও থাকে না।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের আগুনে ধামাচাপা দিতে জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়েছেন অভিষেক। জনসংযোগ এই যাত্রার পোশাকি নাম নবজোয়ার। মঙ্গলবার কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। সেই কর্মসূচি পালন করতে গিয়েই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, এই টাকার সিংহভাগ অংশ খরচ করছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর। ফান্ডের অভাবে যেখানে সরকারি কর্মচারিদের বকেয়া ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না, সেখানে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে জনসংযোগ যাত্রা কর্মসূচি পালনের মানে কি? প্রশ্ন তাঁদের।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ…

    অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ও (অভিষেক) যত ঘুরবে, ততই লাভ হবে বিজেপির। ভোট বাড়বে বিজেপির। অতীতেও হয়েছে, আগামী দিনেও হবে। তিনি বলেন, তাই এ ব্যাপারে বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, খুব খেলা হবে, খেলা হবে বলছিলেন। এখন উল্টো খেলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। তিনি বলেন, কালিয়াগঞ্জ যাবেন নাকি? আপনি তো পুলিশমন্ত্রী, যান না একবার ঘুরে আসুন।

    আরও পড়ুুন: মমতার ঘাড়ে দিল্লির ‘ভূত’! মালদহকাণ্ডে বিজেপির চক্রান্ত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    এদিকে, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) গড়ে নবজোয়ার কর্মসূচি পালন করতে আসছেন অভিষেক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তিনি থাকবেন চারদিন। তার ঠিক আগে আগেই কার্যত ধস নামল ঘাসফুল শিবিরে। মঙ্গলবার সকালে পটাশপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে পদত্যাগ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান, অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতি সহ ৩০ জন পদাধিকারী। পটাশপুর ২ ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অমিত মণ্ডল বলেন, প্রধান হিসেবে আমি একা পদত্যাগ করিনি। অধিকাংশ পঞ্চায়েত সদস্যই পদত্যাগ করেছেন। ব্লকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও দ্বিচারিতার জন্যই পদত্যাগ করলাম। কোনও সিদ্ধান্ত আলোচনা না করেই আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্লক নেতৃত্বের নির্দেশে পুলিশকে দিয়ে আমাদের পদাধিকারীরাই দলের কর্মীদের গ্রেফতার করাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতার ঘাড়ে দিল্লির ‘ভূত’! মালদহকাণ্ডে বিজেপির চক্রান্ত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Mamata Banerjee: মমতার ঘাড়ে দিল্লির ‘ভূত’! মালদহকাণ্ডে বিজেপির চক্রান্ত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) এখনও তাড়া করে চলেছে দিল্লির ভূত! রাজ্যে যে কোনও ঘটনা ঘটলেই বিরোধীদের চক্রান্ত, দিল্লির চক্রান্ত খুঁজে পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার দায়ভার অন্যের ঘাড়ে তুলে দিয়েই হাত ধুয়ে ফেলায় সিদ্ধহস্ত তিনি! এবারও অন্যথা হল তার। মালদহের (Malda) স্কুলে ঢুকে বন্দুকবাজের তাণ্ডবের ঘটনায়ও দিল্লির হাত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, এর পিছনে দিল্লির চক্রান্ত রয়েছে। এদিন স্কুলগুলিকে দারোয়ান নিয়োগের পরামর্শও দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাজুড়ে যে চক্রান্ত করছে তার মধ্যে দিল্লি আছে আমি এখনও বিশ্বাস করি। কে বা কারা আছে, আমি জানি না। কিন্তু দিল্লির (Delhi) চক্রান্ত এ টু জেড আছে। যেখানেই বিরোধী দল ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানেই ডিস্টার্ব করে। আমাকে তো প্রথম থেকেই করে। প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে পুরাতন মালদার একটি স্কুলে বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়ে এক ব্যক্তি। ক্লাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের পণবন্দি করে সে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে ওই বন্দুকবাজকে।

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) দাবি…

    এদিন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ওদের হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথন দেখেছি। হয়তো প্রণয়ঘটিত কোনও ব্যাপার। কিন্তু আমার এসব বলা উচিত নয়। কারণ পুলিশ তদন্ত করছে। আমি পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করতে বলেছি। আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। তিনি বলেন, কিন্তু এটা আত্মহত্যার ঘটনা। চিকিৎসক জানিয়েছেন সে বিষপান করেছিল। ভিডিও, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট সব রয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

    আরও পড়ুুন: হাতে অ্যাসিড বোমা নিয়ে ক্লাসের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াল বন্দুকবাজ, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বেফাঁস মন্তব্যের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একথা বলার পর কোন পুলিশ আধিকারিকের ঘাড়ে কটা মাথা আছে যে তিনি এর বাইরে অন্য কিছু প্রমাণ করবেন? বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী হয়েই পুলিশি তদন্তকে প্রভাবিত করা শুরু করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভবানীপুর থানায় গিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিলেন দুষ্কৃতীদের। পার্কস্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডে তাঁর মন্তব্যেও সৃষ্টি হয়েছিল বিতর্কের। এর আগে হাঁসখালির ঘটনার সময়ও একই রকম মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের প্রশ্ন, এর পরেও কি নিরপেক্ষ তদন্ত আশা করা যায়?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary TET: ২০১৪ সালে চাকরি পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের নথি তলব সিবিআইয়ের

    Primary TET: ২০১৪ সালে চাকরি পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের নথি তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে টেট (Primary TET) পাশ করে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য চেয়ে পাঠাল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে মঙ্গলবার এই মর্মে নোটিশ পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। নোটিশ পাঠিয়েছেন দুর্নীতি দমন শাখার ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ সঞ্জয় কুমার সামল। ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ হয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সিরিয়াল নম্বর সহ নাম, জন্মের শংসাপত্র, বাবার নাম, ঠিকানা, কোন স্কুলে তাঁরা চাকরি করছেন এবং তাঁদের মোবাইল নম্বর দ্রুত জানাতে হবে সিবিআইকে (CBI)।

    টেট (Primary TET) পাশ শিক্ষকদের তথ্য তলব…

    ২০২২ সালের ৮ জুন কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া একটি নির্দেশের ভিত্তিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তের স্বার্থে এই তথ্য তলব করেছে সিবিআই। কেবল তাই নয়, ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, সেই বিজ্ঞপ্তির প্রতিলিপিও জমা দিতে বলেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চিঠি পাওয়ার পরে পরেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary TET)। মঙ্গলবারই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার।

    সেই বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পর্ষদ। ওই শিক্ষকদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জোগাড় করে সিবিআইয়ের কলকাতার নিজাম প্যালেসের অফিসের ১৪ তলায় জমা দিতে বলা হয়েছে। ওই শিক্ষকদের তথ্য দিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ যাতে কোনও বিলম্ব না করে, তাও বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

    আরও পড়ুুন: এবার অধ্যক্ষ নিয়োগেও অনিয়মের অভিযোগ! হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি রাজ্যপালকে

    বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, সিবিআইয়ের এমন পদক্ষেপ করা দেখে বোঝা যাচ্ছে, টেট বা স্কুল সার্ভিস কমিশন মারফত যে সব শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল, তার সবেতেই দুর্নীতি রয়েছে। শুধু ২০১৪ সালের টেট (Primary TET) নয়, ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। এই সরকার ক্ষমতায় আসর পর ২০১২ সালে যে টেট হয়েছিল, তাতেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তাই আমরা চাই এই সমস্ত নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করে দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হোক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WhatsApp New Feature: এবার থেকে এক সঙ্গে ৪টি ডিভাইসে চলবে এক নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ!

    WhatsApp New Feature: এবার থেকে এক সঙ্গে ৪টি ডিভাইসে চলবে এক নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্ক জুকেরবার্গের হোয়াটসঅ্যাপ টিম একের পর এক নতুন ফিচার (WhatsApp New Feature) এনেই চলেছে। ব্যবহারকারীরাও খুশি এতে। কারণ, নতুন ফিচারগুলির (WhatsApp New Feature) ফলে তাঁদের কাজ আরও সহজ হয়ে উঠছে। হোয়াটসঅ্যাপ এখন আর ব্যক্তিগত চ্যাটিং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। প্রায় সবরকমের অফিসিয়াল কাজেই এখন হোয়াটসঅ্যাপ দরকার পড়ে। এবার হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এল এমন একটি নতুন ফিচার যেখানে একসঙ্গে ৪টি ডিভাইসে খোলা যাবে একই নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ। অর্থাৎ একটি ডিভাইসে একটি হোয়াটসঅ্যাপ! এটা এখন পুরনো তত্ত্ব হয়ে গেল। অর্থাৎ এখন থেকে এই মাল্টি ডিভাইস ফিচারের মাধ্যমে আপনি চাইলে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি আপনার প্রধান ফোন বাদ দিয়ে অতিরিক্ত কোনও ফোন থাকলে তাতে খুলে রাখতে পারেন। আবার চাইলে কোনও ট্যাব,  কম্পিউটারেও সেই একই নম্বরের অ্যাকাউন্ট খুলে রাখতে পারবেন।

    কী বললেন মেটার কর্ণধার

    মঙ্গলবার এমনটাই ঘোষণা করলেন মেটার কর্ণধার মার্ক জুকেরবার্গ। তিনি তাঁর সমাজমাধ্যমে এই ঘোষণা করেন। জুকেরবার্গ লিখেছেন, “এখন থেকে চারটি ফোনে একই সঙ্গে একটি হোয়াটস্‌অ্যাপ অ্যাকাউন্টে লগ ইন করা যাবে।”

    আগামী সপ্তাহের মধ্যেই চালু হবে পরিষেবা (WhatsApp New Feature)

    হোয়াটসঅ্যাপ সূত্রে খবর, এই পরিষেবাটি আগামী সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত ব্যবহারকারীদের জন্য চালু হবে। এখনও পর্যন্ত, ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র একটি ফোন এবং একাধিক ডেস্কটপ ডিভাইসে তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট লগ ইন করতে পারেন। নতুন এই পরিষেবার মাধ্যমে, ব্যবহারকারী তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের তথ্য মূল ফোন ছাড়াও অন্য ফোনগুলিতেও একই সঙ্গে দেখেতে পারবেন। তাই একটি ডিভাইস বন্ধ থাকলেও তাঁরা অন্য ডিভাইসে হোয়াট্‌সঅ্যাপ (WhatsApp New Feature) ব্যবহার করতে পারবেন। জানা গিয়েছে, নতুন ফোনে অ্যাকাউন্ট সেটআপের সময় ফোন নম্বর দেওয়া এবং  সাধারণভাবে লগ ইন করার বদলে, ‘link to existing account’ অপশনে যেতে  হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Maoist Attack: ছত্তিসগড়ের দান্তেওয়াড়ায় আইইডি বিস্ফোরণ মাওবাদীদের, শহিদ ১১ জওয়ান

    Maoist Attack: ছত্তিসগড়ের দান্তেওয়াড়ায় আইইডি বিস্ফোরণ মাওবাদীদের, শহিদ ১১ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী (Maoist Attack) হামলায় রক্তাক্ত ছত্তিসগড়ের (Chhattisgarh) দান্তেওয়াড়া (Dantewada)। আইইডি (IED) বিস্ফোরণের জেরে শহিদ হয়েছেন ১১ জন জওয়ান। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। গত সপ্তাহেই চিঠি পাঠিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে আক্রমণের হুমকি দিয়েছিল মাওবাদীরা। তার পর বুধবার ঘটে গেল এই ঘটনা।

    মাওবাদী (Maoist Attack) হামলায় ঝরল রক্ত…

    সূত্রের খবর, এদিন মাও দমন অভিযান সেরে ফিরছিলেন জওয়ানরা। তাঁরা যখন আরানপুর এলাকায়, তখনই আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা (Maoist Attack)। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে যায় জওয়ানদের গাড়িটি। ছিটকে পড়েন জওয়ানরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে গাড়িটির চালকেরও। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, দান্তেওয়াড়ার আরানপুরে মাওবাদী দমন অভিযানে যোগ দিতে আসা ডিআরজি বাহিনীর বিরুদ্ধে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে মাওবাদীরা (Maoist Attack)। ১০ ডিআরজি জওয়ান ও একজন চালক মারা গিয়েছেন। এই ঘটনা দুঃখজনক। আমরা, রাজ্যের বাসিন্দারা তাঁদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানাই। তাঁদের পরিবারের প্রতি রইল সমবেদনা।

    ওঁদের আত্মার শান্তি কামনা করি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাওবাদীদের রেহাই দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই শেষ পর্যায়ে। তিনি বলেন, মাওবাদকে পরিকল্পিতভাবে নির্মূল করা হবে। সূত্রের খবর, মাওবাদীদের হামলার (Maoist Attack) পরে পরেই এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। দু পক্ষের গুলির লড়াই এখনও চলছে। মাওবাদীদের ধরতে আরও ফোর্স তলব করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, মাওবাদী হামলায় সেনাবাহিনীকে সবরকমভাবে সাহায্য করা হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘মোদি’ পদবী মামলায় গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাহুল, শুনানি শীঘ্রই

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত ছত্তিসগড়ে ৩ হাজার ৭২২টি মাওবাদী হামলার (Maoist Attack) ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় শহিদ হয়েছেন ৪৮৯ জওয়ান। সরকারি সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই রাজ্যের ৮টি জেলা মাওবাদী প্রভাবিত। এর মধ্যে রয়েছে বিজাপুর, সুকমা, দান্তেওয়াড়া, বস্তার, কাঙ্কের, নারায়ণপুর, রাজনন্দগাঁও এবং কোন্ডাগাঁও। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে, ততদিন এই সমস্যা মিটবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share