Tag: Bengali news

Bengali news

  • Weather Update: স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল কলকাতা, গরমের গেরো কাটবে কবে?

    Weather Update: স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল কলকাতা, গরমের গেরো কাটবে কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস (Weather Update) মতোই স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল কলকাতার (Kolkata) একাংশ। শুক্রবার বিকেলে যে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে, সে খবর আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। এদিন দুপুর সোয়া ৩টে নাগাদ বৃষ্টি শুরু হয় কলকাতার একাংশে। মেঘলা হয়ে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের আকাশ। বীরভূমের আকাশেও হালকা মেঘ। বইতে শুরু করেছে জোরালো হাওয়া।

    ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এদিন বিকেলে ৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বীরভূম, নদিয়া এবং দুই মেদিনীপুরে। হাঁসফাঁস গরমে শহরে স্বস্তির বৃষ্টিতে খুশি শহরবাসী। তবে দাবদাহ (Weather Update) থেকে এখনই রেহাই পাচ্ছেন না দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। আগামী কয়েকদিনও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। তবে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজবে উত্তরবঙ্গ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর, আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হতে পারে ভারী বৃষ্টি। শুক্রবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে উত্তর বিভিন্ন জেলায়।

    হতে পারে অতিভারী বৃষ্টিও

    শুক্রবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের দু একটি এলাকায়। শনিবার ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের দু একটি এলাকা। রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের দু একটি এলাকায়। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের দু একটি এলাকায়ও।

    আরও পড়ুুন: ‘মনোনয়নের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পুনর্বিবেচনা করা হোক’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    উত্তরে ভারী (Weather Update) থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও, অস্বস্তি ভোগ করতে হবে দক্ষিণবঙ্গবাসীকে। মঙ্গলবার পর্যন্ত জারি থাকবে অস্তস্তিকর গরম। শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দুই বর্ধমানের দু একটি এলাকায় জারি করা হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। শনিবার তাপপ্রবাহ হতে পারে উত্তরের মালদহ ও দুই দিনাজপুরে। মঙ্গলবার বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের দু একটি এলাকায়।

    ইতিমধ্যেই বর্ষা ঢুকে পড়েছে কেরলে। শুরু হয়েছে বৃষ্টিও। ফি বছর উত্তরবঙ্গ হয়ে দক্ষিণে ঢোকে বর্ষা। উত্তরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বর্ষার অনুকূল পরিস্থিতি। এখন দেখার, কবে টাপুর টুপুর বৃষ্টিতে ভেজে দক্ষিণ? কবেই বা নদ-নদীতে আসে বান?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ভাটপাড়ার রঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছে ‘স্নাইপার’-এর হামলায়? আশঙ্কা বিএসএফ-এর

    Manipur Violence: ভাটপাড়ার রঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছে ‘স্নাইপার’-এর হামলায়? আশঙ্কা বিএসএফ-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের হিংসায় (Manipur Violence) গত মঙ্গলবার শহিদ হন বিএসএফ জওয়ান রঞ্জিত যাদব। ভাটপাড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুকিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিত পেশার তাগিদে মণিপুরে শান্তি রক্ষায় গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার হিংসায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। কাকচিং জেলার সুগনুতে মোতায়েন ছিলেন রঞ্জিত। সেখানে বিএসএফ ও অসম রাইফেলসের যোথ বাহিনী একটি চিরুনি-তল্লাশি অভিযানে অংশ নিয়েছিল। সেরু প্র্যাকটিকাল হাইস্কুলের কাছে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয় বাহিনীর। সেখানেই জঙ্গিদের ছোড়া একটি গুলি আচমকা এসে লাগে রঞ্জিতের ঘাড়ে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। 

    হামলায় ব্যবহার হয়েছে ‘স্নাইপার’?

    রঞ্জিত একা নন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের ঠিক আগে মোরে জেলায় গত ২৮ মে গুলিতে আরেক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল (Manipur Violence) । বিএসএফ জানিয়েছে, এই দুই মৃত্যুর ধরন ও ভঙ্গি অনেকটাই এক। যা দেখে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর সন্দেহ, উভয় ক্ষেত্রেই দূর থেকে গুলি চালানো হয়েছে। বিএসএফ-এর অনুমান, দুই জওয়ানকে গুলি করে হত্যা করায় সম্ভবত কোনও ‘স্নাইপার’-কে ব্যবহার করা হয়েছে। 

    গুলি লাগে রঞ্জিতের ঘাড়ে

    যে অভিযানে (Manipur Violence) গিয়ে রঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছিল, সেই একই অভিযানে গিয়ে গুলিতে জখম হন অসম রাইফেলসের ২ জওয়ানও। তাঁরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে ডিউটি করছিলেন রঞ্জিত। তাঁর শরীরে বুলেটপ্রুফ ভেস্ট ছিল। মাথায় ছিল হেলমেট। কিন্তু, গুলি এসে লাগে তাঁর ঘাড়ে। বিএসএফ সূত্রে খবর, গুলি করা হয় সম্ভবত কাছের পাহাড় থেকে। এটা কোনও অপ্রশিক্ষিত হাতের কাজ হতে পারে না বলে নিশ্চিত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

    উঁকি মারছে একাধিক প্রশ্ন

    আর এই বিষয়টি রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। বিএসএফ সূত্রের খবর, অতীতে কুকি জঙ্গিদের (Manipur Violence) স্নাইপার ব্যবহারের কোনও ইতিহাস নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্নাইপার-রাইফেলের ধরন আর পাঁচটা সাধারণ রাইফেলের মতো নয়। এর গোত্র আলাদা। একে চালানোর জন্য বিশেষ দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এখন প্রশ্ন উঠছে, কী করে জঙ্গিরা স্নাইপার-অস্ত্র জোগাড় করল? কে তাদের এধরনের অস্ত্র সরবরাহ করল? এবং কোথা থেকেই বা তারা এই অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিল?

    আরও পড়ুন: মণিপুরে অশান্তির নেপথ্যে বিদেশিদের হাত! কেন্দ্রীয় তদন্ত চাইছে আদিবাসী সংগঠন

    নেপথ্যে বিদেশি হাত?

    মণিপুরবাসীদের একাংশের দাবি, রাজ্যের বহমান হিংসাত্মক ঘটনায় ‘বিদেশি হাত’ রয়েছে। তাঁদের মতে, কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে মায়ানমারের জঙ্গিদের একটা যোগসূত্র রয়েছে। বহু জঙ্গি মায়ানমার থেকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে আসছে। তার ওপর, এই হিংসার আবহে, বহু বিদেশি জঙ্গি ভারতে অনুপ্রবেশ করে এখানে স্থানীয় জঙ্গিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত দিচ্ছে। লক্ষ্য, শান্তি বিঘ্নিত করে অস্থিরতার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

    বিএসএফ-এর সঙ্গে দ্বিমত সেনার

    যদিও, বিএসএফ-এর এই স্নাইপার তত্ত্বে সিলমোহর দিতে নারাজ সেনা। এক সেনা অফিসার জানিয়েছেন, যে হামলাগুলি হয়েছে, সেগুলি মূলত ৩০০ থেকে ৪০০ গজের মধ্যে। ফলত, এক্ষেত্রে এসএলআর বা অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়েই এধরনের হামলা করা সম্ভব। স্নাইপার সাধারণত ব্যবহার হয় দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে, যা মূলত ১০০০ গজ দূরত্বের আশপাশে থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: সুজয়কৃষ্ণের ফোনের তথ্য মুছে দিয়েছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার! ফের তলব তাঁকে

    Kalighater Kaku: সুজয়কৃষ্ণের ফোনের তথ্য মুছে দিয়েছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার! ফের তলব তাঁকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ফোন তদন্তকারীদের কাছে যেন তথ্যের খনি! ইডির অভিযোগ, সুজয়কৃষ্ণের ফোনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে দিয়েছিলেন পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরা! তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগেই কলকাতার ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেই মতো শুক্রবার সকালে ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন বিষ্ণুপুরের ওই সিভিক ভলান্টিয়ার।

    কী জানা গেল ইডি সূত্রে?

    এই নিয়ে তৃতীয়বার ইডি দফতরে হাজিরা দেন রাহুল। এর আগে তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাহুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। আদালতে ইডি জানিয়েছে, এই সিভিক ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক নথি লোপাটের চেষ্টা করেছেন।

    কেন এত গুরুত্বপূর্ণ কালীঘাটের কাকুর (Kalighater kaku) মোবাইল ফোন?

    প্রসঙ্গত, সুজয়কৃষ্ণ দাবি করেছিলেন, তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ২০২১ সালের আগে পর্যন্ত চিনতেন না। কিন্তু ইডির অভিযোগ, মানিকের হোয়াটস্‌অ্যাপ কথোপকথন ঘেঁটে ২০১৮ সাল থেকে সুজয়ের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। মানিক গ্রেফতার হন ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর। অর্থাৎ, অন্তত ৭ মাস আগে থেকেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের প্রাক্তন কর্মী এই ‘কালীঘাটের কাকু’।

    ৩০ মে গ্রেফতার হন কালীঘাটের কাকু

    গত ৩০ মে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ১১টার দিকে সুজয়কে গ্রেফতার করে ইডি। পরের দিনই তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে ইডি জানিয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সুজয়ের কথায় ফোন থেকে মুছে দিয়েছিলেন রাহুল। ইডি সূত্রে খবর, এই বিষয়ে সুজয়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু তাদের কাছে এই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ আছে, এমনটাই বলছেন ইডি আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, গত মাসের ৪ মে সুজয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল আর এক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই সময় তল্লাশি চালানো হয় ‘সুজয়-ঘনিষ্ঠ’ রাহুলের বাড়িতেও।

    আরও পড়ুন: ‘মনোনয়নের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পুনর্বিবেচনা করা হোক’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Calcutta High Court: ‘মনোনয়নের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পুনর্বিবেচনা করা হোক’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘মনোনয়নের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পুনর্বিবেচনা করা হোক’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়াতে হবে। এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন জমার সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে। পঞ্চায়েতে মনোনয়নপত্র পেশের সময়সীমা বাড়ানো সহ একাধিক দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি ও কংগ্রেস। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে শুনানি হয় ওই মামলার।

    আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ

    প্রধান বিচারপতি বলেন, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোনয়নের গোটা প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। প্রয়োজনে রাজ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে একত্রে কাজ করতে পারে। এই বিষয়ে আগামী সোমবার রাজ্য তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, নির্বাচন বন্ধ করার জন্য এই মামলাগুলি দায়ের হয়নি, শান্তিপূর্ণভাবে যাতে ভোট হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কমিশনকে। নির্বাচনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানোর বিষয়ে সম্ভবত আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেটাও কমিশনকে মাথায় রাখতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court)।

    অনলাইনে মনোনয়নপত্র পেশ!

    মনোনয়নপত্র পেশ করার প্রক্রিয়া যাতে অনলাইনে করা যায়, সেজন্য আইন পরিবর্তন করা উচিত ছিল বলেও মন্তব্য করেন টিএস শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন, এই প্রযুক্তির যুগে রাজ্যের উচিত পরিবর্তন এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। অনলাইনে মনোনয়নপত্র পেশ করা হলে গোটা বিষয়টি অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে রাজ্যের অ্যালার্জি থাকলে চলবে না।

    আরও পড়ুুন: আদালত নির্দেশ দিলে অভিষেককে কান ধরে নিয়ে যাবে ইডি, বললেন সুকান্ত

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে ৮ জুলাই। শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে নমিনেশনপত্র জমা নেওয়ার কাজ। নমিনেশন জমা নেওয়া হবে ১৫ জুন পর্যন্ত। এতেই আপত্তি জানিয়েছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে ৭০ হাজারেরও (Calcutta High Court) বেশি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র পেশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ২৪ ঘণ্টা। হিসেব কষে তা দেখিয়েও দিয়েছেন তাঁরা। ৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র পেশ পর্ব। চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। এর মধ্যে একদিন রবিবার, সেদিন মনোনয়নপত্র পেশ করা যাবে না। হাতে রইল ৬ দিন। মনোনয়নপত্র পেশের সময় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত। দিনে ৪ ঘণ্টা। তাহলে ৬ দিনে দাঁড়াল ২৪ ঘণ্টা। এত কম সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র পেশ করা সম্ভব কীভাবে, সেই প্রশ্নই তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই নির্ঘণ্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

      

  • BJP: ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিলে লাশ পড়ে যাবে’’! বিজেপিকে সরাসরি হুমকি দিয়ে পোস্টার

    BJP: ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিলে লাশ পড়ে যাবে’’! বিজেপিকে সরাসরি হুমকি দিয়ে পোস্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই বিজেপির নেতা-কর্মীদের শাসানি দিতে শুরু করেছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল সন্ত্রাস করবে, বিজেপির (BJP) স্থানীয় নেতারা বার বার এমনই অভিযোগ করে আসছিলেন। এবার বিজেপির মণ্ডল সভাপতির মুণ্ডু কেটে ফুটবল খেলার হুমকি-পোস্টার ঘিরে সেই দাবি আরও জোরালো হয়ে উঠল। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের নেতাজি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংলার মোড়, জুমাই নস্কর, শিবনগর মোড় সহ বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে একাধিক হুমকি-পোস্টার দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকেই এই হুমকি-পোস্টার দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ।

    কী লেখা রয়েছে পোস্টারে?

    বিজেপি (BJP) নেতাকে দেওয়া হুমকি-পোস্টারে লেখা রয়েছে, “টিএমসির বিরুদ্ধে যদি কোনও বিজেপি প্রার্থী দেয় নেতাজি অঞ্চলে তাঁর লাশ পড়ে যাবে, যদি কোনও বুথে বিজেপি প্রার্থীর নাম শুনেছি তাঁকে যেখানে পাবো, সেখানে গুলি করে মারব। তাঁর বাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দেব। নেতাজি অঞ্চলে কোনও সাম্প্রদায়িক দল চলবে না। বিজেপি এবং আরএসএস-এর কোনও কথা চলবে না। দাদা ছাড়া কোনও কথা হবে না। দাদার কথা শেষ কথা। যদি কোনও গ্রামে শুনছি, মেঘনাদ (বিজেপির মণ্ডল সভাপতি) গিয়েছে, মেঘনাদের মাথা কেটে ফুটবল খেলবো। দাদার কথা শেষ কথা। নেতাজি অঞ্চলে বিজেপির কোনও প্রার্থী চলবে না। শুধু টিএমসি। যে যে বিজেপিকে সমর্থন করবে, তাকে সরিয়ে দেব। তার পরিবারকে গাঁজা কেসে ভরে দেব।”

    কী বললেন বিজেপি(BJP) নেতৃত্ব?

    আর এ নিয়েই শুক্রবার ভোলাহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভাপতি মেঘনাদ দেব শর্মা। তিনি বলেন, “দাদার কথা শেষ কথা নয়। গণতন্ত্রই শেষ কথা। বিধানসভার আগে এবং পরে প্রায় সাড়ে তিনশো কর্মী বলিদান দিয়েছে। আমি বলিদান দিতে প্রস্তুত। বাংলায় যতদিন না বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়াই চালিয়ে যাব। এই ধরনের হুমকি পোস্টারে আমরা ভয় পাই না।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা বলেন, “এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। আসলে বিজেপি (BJP)  প্রার্থী দিতে পারছে না। তাই, এই ধরনের পোস্টার তৈরি করে নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকার চেষ্টা করছে। গতবার ওই পঞ্চায়েতে বিজেপির দুজন সদস্য ছিল। এবারও প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে অশান্তির নেপথ্যে বিদেশিদের হাত! কেন্দ্রীয় তদন্ত চাইছে আদিবাসী সংগঠন

    Manipur: মণিপুরে অশান্তির নেপথ্যে বিদেশিদের হাত! কেন্দ্রীয় তদন্ত চাইছে আদিবাসী সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসাধিককাল ধরে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে বিদেশিদের হাত। অন্তত এমনই আশঙ্কা মণিপুরের আদিবাসীদের সংগঠনের। অশান্তির ফোকর গলে অনুপ্রবেশও চলছে উত্তর-পূর্ব ভারতের (India) এই রাজ্যে। যার জেরে বদলে যাচ্ছে এ রাজ্যের জনসংখ্যার গ্রাফ। আদিবাসীদের দাবি, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

    মণিপুরে (Manipur) অশান্তির নেপথ্যে

    মণিপুরে আদিবাসীদের সংগঠনের নাম নর্থ-ইস্ট ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরাম। সম্প্রতি অসমের গুয়াহাটির ভগবতী প্রসাদ বরুয়া ভবনে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন এই সংগঠনের জনা তিরিশেক সদস্য। সেখানেই অশান্তির নেপথ্যে থাকা বিদেশি শক্তির অদৃশ্য হাতের (যদি থাকে) ব্যাপারে কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি তোলেন তাঁরা। সংগঠনের দাবি, অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পাচ্ছে মণিপুরে। তাই নিত্য বাড়ছে সমস্যা। বদলে যাচ্ছে জনসংখ্যার গ্রাফ। তাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিক। অশান্তির (Manipur) নেপথ্যে কোন শক্তি, তাও তদন্ত করে দেখুক কেন্দ্র।

    আদিবাসী সংগঠনের আবেদন

    রাজ্যে বাইরে থেকে কেউ আসছে কি না, সে ব্যাপারে নজরদারি চালানোর জন্যও সংগঠন আবেদন করেছে মণিপুরবাসীর কাছে। নর্থ-ইস্ট ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরামের চেয়ারম্যান অনুট চেটিয়া বলেন, “মণিপুরের এই সঙ্কটের পিছনে বিদেশিদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদত রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখার জন্য আমরা কেন্দ্রের কাছে আবেদন করছি। যদি বিদেশিদের কোনও ইন্ধন থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হোক।”

    আরও পড়ুুন: ‘সর্বদল বৈঠক না ডেকেই ভোট ঘোষণা’! রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    সংগঠনের দাবি, মণিপুরে বসবাসকারী সব কুকি মায়ানমার থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী নয়। গত কয়েক বছরে এ রাজ্যে এসেছে কুকি-চিন জাতির লোকজন। দখল করেছে মণিপুরের সংরক্ষিত বনাঞ্চল। তাই মণিপুরে (Manipur) এখন কুকি-চিন উপজাতির জনসংখ্যা ৩০ শতাংশের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়েছে। অনুপ্রবেশকারীরা চূড়াচাঁদপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় পোস্তচাষ করছে। এই পোস্তচাষ বন্ধেই উদ্যোগী হয়েছে সরকার। দখলিকৃত বনাঞ্চল ফেরত পেতেও চলছে অভিযান। সংগঠনের অনুমান, সেই কারণেই মেইতেইদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে অনুপ্রবেশকারীরা।

    এদিকে, ফের অশান্তির আশঙ্কায় এখনই অস্ত্র সমর্পণ করতে চাইছেন না মণিপুরবাসীর একাংশ। দিন কয়েক আগে অস্ত্র সমর্পণ করতে তাঁদের অনুরোধ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পর শুরু হয়েছিল অস্ত্র সমর্পণের কাজ। যদিও ফের অশান্তি শুরু হওয়ায় এখনই অস্ত্র সমর্পণে রাজি নন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: স্ত্রীর পর এবার স্বামী, মঙ্গলে অভিষেককে তলব ইডির

    Abhishek Banerjee: স্ত্রীর পর এবার স্বামী, মঙ্গলে অভিষেককে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই ইডি (ED) তলব করেছিল তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানে ঘণ্টা চারেক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। এর পরে পরেই ইডি সমন পাঠিয়েছে খোদ অভিষেককে। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তলব করা হয়েছে তাঁকে। মঙ্গলবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে অভিষেককে। ওই দিন সকাল সাড়ে ১১টায় হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে নবজোয়ার যাত্রা কর্মসূচি উপলক্ষে নদিয়ায় রয়েছেন তৃণমূল নেত্রীর ভাইপো। মঙ্গলবারও তাঁর সেখানেই থাকার কথা। তবে ইডির সমনে সাড়া দিতে হলে কর্মসূচি স্থগিত করেই কলকাতায় ফিরতে হবে তৃণমূলের যুবনেতাকে।

    অভিষেককে (Abhishek Banerjee) জেরা

    স্কুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় ইডি এবং সিবিআই অভিষেককে জেরা করতে পারবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ইডি সূত্রে খবর, কুন্তলের চিঠি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূ্র্ণ তথ্য নিয়ে অভিষেককে (Abhishek Banerjee) জেরা করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    এদিকে, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি গ্রেফতার করেছে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকেও। এক সময় অভিষেকের একটি অফিসে কাজ করতেন তিনি। অভিষেককে সাহেব বলে সম্বোধন করেন। এহেন সুজয় রয়েছেন ইডি হেফাজতে। ১৪ জুন তাঁর ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তার ঠিক আগের দিনই সিজিওতে তলব করা হয়েছে অভিষেককে।

    হাজিরা রুজিরার

    প্রসঙ্গত, কয়লা কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এদিনই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছিলেন রুজিরা। বেলা ১২টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন অভিষেক-পত্নী। রুজিরা আসার ঢের আগে থেকেই প্রায় তিন পাতার প্রশ্নমালা নিয়ে হাজির ছিলেন ইডির আধিকারিকরা। তিনি উপস্থিত হওয়া মাত্রই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। ঘণ্টা চারেক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। প্রশ্ন করা হয় তাঁর দুবাই যাত্রা নিয়েও। এদিন রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছিলেন ইডির পদস্থ আধিকারিক পঙ্কজ কুমার। দুবাই যাওয়ার পথে সোমবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয় রুজিরাকে। তার পরেই তাঁকে তলব করা হয় ইডি দফতরে। পত্নীর পর এবার ইডির তলব পেলেন অভিষেকও (Abhishek Banerjee)।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ৮ জুলাই, জারি আদর্শ আচরণ বিধি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Calcutta High Court: পুর-নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে এখনই হস্তক্ষেপ নয়, সাফ জানাল আদালত

    Calcutta High Court: পুর-নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে এখনই হস্তক্ষেপ নয়, সাফ জানাল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল রাজ্যের। পুর-নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে সিবিআই (CBI) তদন্ত নিয়ে এখনই কোনও হস্তক্ষেপ নয়। সাফ জানিয়ে দিল আদালত। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে মামলার তথ্য লুকিয়েছে রাজ্য। এমন আচরণ রাজ্যের কাছে বরদাস্ত নয়।”

    সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি দাখিল

    পুর-নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর ডিভিশন বেঞ্চের (অবসরকালীন) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি দাখিল করেছে রাজ্য। জুলাই মাসে শুনানি রয়েছে ওই মামলার। জানা গিয়েছে, দেশের শীর্ষ আদালতে এসএলপিতে তথ্য লুকিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের এমন আচরণ বরদাস্ত নয় বলেই মন্তব্য করেন হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী।

    কী বললেন বিচারপতি চক্রবর্তী?

    বৃহস্পতিবার রাজ্যের আবেদনের শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)। বিচারপতি চক্রবর্তী বলেন, “এখন অয়ন শীলের ঘটনায় পুর-নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক নিয়োগের ওএমআর এবং পুরসভায় নিয়োগের ওএমআর অয়ন শীলের সংস্থা থেকেই গিয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। তাহলে, এই দুর্নীতি কি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়? এই দুই দুর্নীতির তদন্ত কি একত্রে হওয়া উচিত নয়? এই পরিস্থিতিতে এই দুই দুর্নীতিকে কি আদৌ আলাদা করা সম্ভব? এই দুই দুর্নীতিকে যদি আলাদা আলাদা জায়গায় দাঁড় করাতে হয় তাহলে সেটা কীভাবে সম্ভব হবে? যদি আলাদা করা সম্ভব হয় তখনই এই প্রশ্ন উঠতে পারে যে তাহলে পুর-নিয়োগে দুর্নীতির তদন্ত কে করবে? রাজ্য না সিবিআই?”

    আরও পড়ুুন: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ৮ জুলাই, জারি আদর্শ আচরণ বিধি

    ১৯ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল। তার পর দু দিন ধরে অয়নের চূঁচুড়ার বাড়ি ও সল্টলেকের অফিস, ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। উদ্ধার হয় পুর-নিয়োগের ওএমআর শিট। সেই তথ্য আদালতে পেশ করে ইডি। ওই মামলার শুনানি চলছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। পরে মামলা যায় হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি সিনহাও। এর পর ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Panchayat Election 2023: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ৮ জুলাই, জারি আদর্শ আচরণ বিধি

    Panchayat Election 2023: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ৮ জুলাই, জারি আদর্শ আচরণ বিধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) হবে ৮ জুলাই। ভোট হবে এক দফায়। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করলেন রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তিনি বলেন, “দার্জিলিং ও কালিম্পঙে দ্বিস্তর ও বাকি রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ৮ জুলাই, শনিবার। মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া শুরু হবে শুক্রবার, ৯ জুন থেকেই।” তিনি জানান, বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যে চালু হয়ে যাচ্ছে নির্বাচনী আচরণবিধি। তাই রাত ১০টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত মিটিং-মিছিল করা যাবে না।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট (Panchayat Election 2023)

    জানা গিয়েছে, ১৫ জুন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন (Panchayat Election 2023)। ১৭ তারিখ শেষ দিন স্ক্রুটিনির। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য প্রার্থীরা সময় পাবেন ২০ জুন পর্যন্ত। তবে ভোট গণনা বা ফল ঘোষণা কবে হবে, সে ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। গত বারের মতো এবারও এক দফায় হবে রাজ্যের ২২টি জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচন।

    নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়

    রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে ৩ হাজার ৩১৭টি। নির্বাচন কেন্দ্র রয়েছে ৫৮ হাজার ৫৯৪টি। পঞ্চায়েতের মোট আসন ৬৩ হাজার ২৮৩টি। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়া প্রসঙ্গে নয়া কমিশনার বলেন, “রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা রাখা উচিত। সরকারি কর্মচারীরা আমাদের সহকর্মী। আমাদের ওপর আস্থা রাখতে বলব।” তিনি বলেন, “গতকাল (বুধবার) থেকে এই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) নিয়ে ঘনঘন আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে। কেউ যেন মনে না করেন, হঠাৎ করে কাগজ হাতে নিয়ে এখানে এসে তারিখ ঘোষণা করছি। প্রয়োজন হলে আগামিদিনে সর্বদলীয় বৈঠক করা হবে।”

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থোড়াই কেয়ার! বালি পাচারে অভিযুক্ত খোদ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    শেষমেশ পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ায় খুশ বিরোধীরা। বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা চাইছিলাম ভোট ঠিক সময়ে হোক। তার জন্য বিজেপি প্রস্তুত আছে। ভোট না হলে কেন্দ্রের টাকা আসবে না, উন্নয়ন হবে না, মানুষ বঞ্চিত হবে।” জুলাই মাস মানে ভরা বর্ষা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বর্ষায় ভোট হলে ভোটকর্মীদের পাশাপাশি সমস্যা হতে পারে ভোটারদেরও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: তৃণমূল নেতার রহস্যজনক মৃত্যু, চার তৃণমূল নেতার নামে পুলিশে অভিযোগ

    Malda: তৃণমূল নেতার রহস্যজনক মৃত্যু, চার তৃণমূল নেতার নামে পুলিশে অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হবিবপুর (Malda) ব্লকের তৃণমূলের অঞ্চল চেয়ারম্যানের রহস্যজনক মৃত্যুতে চার তৃণমূল নেতার নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানায় পরিবার। মৃতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে মৃতদেহ নিয়ে এলাকায় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটে। মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা মালদার  ঋষিপুর কালীতলা এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    মালদায় (Malda) কী হয়েছিল?

    ১১ দিনের লড়াই শেষ। কলকাতার একটি হাসপাতালে মৃত্যু হল মালদার হবিবপুর ব্লকের ঋষিপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শিবানন্দ শর্মার। আজ বৃহস্পতিবার নিথর মৃতদেহ গ্রামে ফিরতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রথমিক ভাবে বলা হয়, পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন শিবানন্দ। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পনা করে তাঁকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই ঘটনার পর আহত ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে প্রথমে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তারপরে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং এরপর কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।

    পরিবারের বিক্ষোভ

    জানা যায়, বুধবার ময়না তদন্তের পর বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতার দেহ গ্রামে (Malda) ফিরতেই পরিবারের লোকজন এবং গ্রামবাসী বাড়িতে মৃতদেহ রেখে এলাকায় বিক্ষোভ করতে থাকে। এরপর বিক্ষোভের ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হবিবপুর থানার পুলিশ। খবর পেয়ে পৌছায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রহিম বক্সি। জেলা সভাপতিকে পেয়ে, তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এলাবাসী। জেলা সভাপতি সেই পরিবারের পাশে  থাকার বার্তা দেন এবং সঠিক ভাবে তদন্ত করা হবে বলে আশ্বাস দিলে, তবেই মৃতদেহ বাড়ি থেকে বের করা হয় বলে জানা যায়।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের মধ্যে শিবানন্দের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে বাড়ি (Malda) থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের লোকেরাই খুন করেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই। আরও বলেন, প্রশাসনকে সঠিক ভাবে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। স্বামীর অবর্তমানে আমার এই ছোট ছোট ছেলে মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাবো কী কিরে? এই প্রশ্নও রাখেন প্রশাসনের সামনে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share