Tag: Bengali news

Bengali news

  • S Jaishankar: ট্যাবলোয় ইন্দিরা হত্যার দৃশ্য, “কানাডার জন্যও ভাল নয়”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ট্যাবলোয় ইন্দিরা হত্যার দৃশ্য, “কানাডার জন্যও ভাল নয়”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) ও কানাডার (Canada) সম্পর্কের জন্য এই দৃশ্য মোটেই ভাল নয়। কানাডার ঘটনায় এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। কানাডায় খালিস্থানপন্থীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়েও মুখ খোলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। ৬ জুন ছিল অপারেশন ব্লু-স্টারের ৩৯তম বার্ষীকি। এই উপলক্ষে কানাডার ব্র্যাম্পটন শহরে শোভাযাত্রা বের করেছিলেন খালিস্থানপন্থীরা। শোভাযাত্রায় একটি ট্যাবলোর মাধ্যমে দেখানো হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যা দৃশ্য। সেই শোভাযাত্রার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সে সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কানাডায় খালিস্থানপন্থীদের বাড়বাড়ন্তের বিষয়ে মুখ খোলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)।

    জয়শঙ্করের প্রতিক্রিয়া

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ভারতীয় সেনার পোশাকে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে দুই শিখ জওয়ান। সাদা শাড়ি পরিহিত এক মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে। সেই ট্যাবলোর পিছনে খালিস্থানি পতাকা হাতে হেঁটে চলেছেন বেশ কয়েকজন। এ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, আমি মনে করি এই বিষয়টির সঙ্গে আরও বড় সমস্যা জড়িত…সত্যি কথা বলতে কী, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি ছাড়া অন্য কোনও কারণে কেউ এমন করতে পারে বলে আমি মনে করি না। আমার মতে, সে দেশে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাড়বাড়ন্ত বৃহত্তর অন্তর্নিহিত সমস্যা। চরমপন্থীরা সহিংসতার পক্ষে। আমি মনে করি, এটি আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ভাল নয়। কানাডার জন্যও এটা ভাল নয়।

    অপারেশন ব্লু-স্টার

    প্রসঙ্গত, খালিস্থানপন্থী জঙ্গি ভিন্দ্রেওয়ালাকে খতম করতে ১৯৮৪ সালে পঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। তার জেরে ওই বছরেরই ৩১ অক্টোবর শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সম্প্রতি ফের মাথাচাড়া দিয়েছে খালিস্থানপন্থীদের আন্দোলন। গ্রেফতার করা হয়েছে আন্দোলনের নেতা অমৃতপালকে। 

    সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে নানা সময় কানাডায় আন্দোলন করেছেন খালিস্থানপন্থীরা। সম্প্রতি যে শোভাযাত্রা হয়েছিল, সেখানেও ছিলেন তাঁরাই। সেই ঘটনার জেরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের (S Jaishankar)।

    আরও পড়ুুন: “শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম”, তৃণমূলের সৌগতর মন্তব্যে স্তম্ভিত রাজ্য

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Kaliaganj: “সিবিআই তদন্ত দিলে ভালো হবে?’’ কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Kaliaganj: “সিবিআই তদন্ত দিলে ভালো হবে?’’ কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে (Kaliaganj) রাজ্যের ভূমিকায় খুশি নন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এদিন হাইকোর্টে বিচারপতির চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা খুনের ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে সিট। ঘটনাক্রমে, এই সিট গঠন করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নিজেই। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সেখানকার পরিস্থিতি। প্রতিবেশীরা অভিযোগ তোলেন, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। সেই মামলাতেই পুলিশকর্তা পঙ্কজ দত্ত, উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং পুলিশ আধিকারিক দময়ন্তী সেনকে সদস্য হিসেবে রেখে সিট গঠন করেছিলেন রাজাশেখর মান্থা।

    তীব্র ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য! তদন্তে (Kaliaganj) অসহযোগিতার অভিযোগ

    বিচারপতি মান্থা এদিন বলেন, ‘‘সিটকে পুলিশ সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ উঠছে। তাহলে বলতেই হচ্ছে, রাজ্য নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে। সিট যাতে কাজ করতে না পারে, সেই চেষ্টা করছে রাজ্য। এবার কি সিবিআইকে তদন্তভার দিলে ভালো হবে?’’ তাঁর আরও সংযোজন, পুলিশ সিটকে সাহায্য করছে না (Kaliaganj)। আর পুলিশ কিছুই জানে না, এটা কি হতে পারে?’’ এরপরেই তিনি নির্দেশ দেন, রাজ্য পুলিশ কেন হাইকোর্টের নির্দেশ মানেনি, তা এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে স্বরাষ্ট্র দফতরকে।

    সিটের সদস্যই সিবিআই-এর পক্ষে সওয়াল করছেন

    বিশেষ তদন্তকারী দলের অন্যতম সদস্য হলেন উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তিনিও রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন ইতিমধ্যেই। সিটের পক্ষ থেকে প্রাথমিক রিপোর্টও (Kaliaganj) আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। উপেন বিশ্বাস প্রাক্তন সিবিআই কর্তা। তিনি বলেন, ‘‘সব তথ্যের স্ক্রুটিনি করা হয়েছে। আমাদের কেউ সাহায্য করেনি। যদি ওই পরিবার ও রাজ্যবাসীর বিশ্বাস ফেরাতে হয়, তাহলে রাজ্য পুলিশের উপর নির্ভর করলে হবে না। সিবিআই-কে ছাড়া এই তদন্ত সম্ভব নয়।’’

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Saugata Roy: “শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম”, তৃণমূলের সৌগতর মন্তব্যে স্তম্ভিত রাজ্য

    Saugata Roy: “শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম”, তৃণমূলের সৌগতর মন্তব্যে স্তম্ভিত রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি প্রবীণ রাজনীতিবিদ। প্রাক্তন অধ্যাপক। বর্তমানে তৃণমূলের (TMC) সাংসদ। তবে সম্প্রতি দলীয় নেতৃত্বকে খুশি করতে গিয়ে কুকথার ছররা ছড়াচ্ছেন তৃণমূলের সৌগত রায় (Saugata Roy)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) চটি পেটা করতেন বলে প্রকাশ্য সভায় জানিয়ে দিলেন তিনি। একজন শিক্ষকের মুখের এহেন ভাষায় স্তম্ভিত রাজ্যের শিক্ষককুল।

    সৌগতর (Saugata Roy) কুবাক্য

    বুধবার বরাহনগরে সভা হচ্ছিল তৃণমূলের। সভার পোশাকি নাম নবজোয়ার যাত্রার প্রস্তুতি সভা। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মতো নেতারা। এমন সময় ভাষণ দিতে উঠলেন সৌগত। তিনি প্রথমেই নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, “শুভেন্দু বলছেন, করমণ্ডল দুর্ঘটনার পিছনে তৃণমূল! ওঁর কি মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে? কোথায় বালেশ্বর, অন্য রাজ্যে গিয়ে তৃণমূল অন্তর্ঘাত করবে?” এর পরেই সৌগত (Saugata Roy) বলেন, “বয়স কম হলে শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম।” প্রবীণ রাজনীতিবিদের মুখে এহেন কুবাক্য শোনার পরেও মঞ্চে উপস্থিত তৃণমূল নেতারা ছিলেন নির্বিকার।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। পদ্ম-নেতা রাহুল সিনহা বলেন, একজন অধ্যাপকের মুখের ভাষা শুনলে লজ্জা লাগে। আসলে তৃণমূলের পচা পুকুরে নামলে এসব কুকথা বলাই অভ্যাসে পরিণত হয়। শুক্রবার বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয়েছে ২৮০ জনেরও বেশি যাত্রীর। জখম হয়েছেন হাজারেরও বেশি। যাঁরা মারা গিয়েছেন কিংবা জখম হয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই বাংলার। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। দুর্ঘটনার কারণ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেছিলেন, “বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূল। তাই সিবিআই তদন্তে ভয় পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল।” এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দুর প্রতি কুবাক্য-বাণ নিক্ষেপ করেন সৌগত।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    এক প্রবীণ রাজনীতিবিদের (Saugata Roy) মুখের ভাষা যে এমন হতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারছেন না রাজনীতির কারবারিরা। প্রত্যাশিতভাবেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছে তৃণমূল। দলের সহ সভাপতি দলবদলু জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “সৌগতবাবু হয়তো উত্তেজনার বশে বলে ফেলেছেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রে তৃণমূল এ ধরনের মন্তব্যকে সমর্থন করে না। হিংসার পথে চলে না তৃণমূল।”

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে বোমা বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে সৌগত (Saugata Roy) বলেছিলেন, “এই গরমে পটাশিয়াম ক্লোরেট ও আর্সেনিক ট্রাইসালফাইড বাইরে রাখলে তা বিস্ফোরণ হতেই পারে। রাজ্যে ৩৮ হাজার গ্রাম রয়েছে। কোথায় বোমা রয়েছে, সেটা পুলিশের পক্ষ জানা সম্ভব নয়।” প্রাক্তন অধ্যাপকের এহেন মন্তব্যেও অস্বস্তিতে পড়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Tribal Movement: আদিবাসীদের ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধের প্রভাব কেমন ছিল?

    Tribal Movement: আদিবাসীদের ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধের প্রভাব কেমন ছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী ইউনাইটেড ফোরামের ৩৬ টি সংগঠন একত্রিত হয়ে ১২ ঘণ্টার জন্য বাংলা বন্‌ধ (Tribal Movement) ডাকে বৃহস্পতিবার। সিআরসি-র রিপোর্ট পরিবর্তনের মাধ্যমে কুড়মিদের তফশিলি উপজাতি (ST) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ। আর তার বিরুদ্ধেই তাদের এই আন্দোলন। কুড়মিদের কোনও ভাবেই তফশিলি উপজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না বলে রাজ্যের আদিবাসী সমাজ মনে করে। পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর সহ নানা জেলায় বন্‌ধ-এর চিত্র এদিন চোখে পড়েছে।

    দুর্গাপুরে বাংলা বন্‌ধ (Tribal Movement)

    আদিবাসীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় দুর্গাপুরের গলফ নগর মোড়ে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের ধর্মঘটে দুর্গাপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুর বাজারে বন্‌ধ-এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে বলে জানা গেছে। বন্‌ধ-এর কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রাখেন। রঘুনাথপুর তেমাথা মোড়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ পথ অবরোধ করেন (Tribal Movement) এবং সেই সঙ্গে ধারালো অস্ত্র ও তীর-ধনুক হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ভোগান্তির মুখে সাধারণ মানুষ। ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স উপস্থিত হয়।

    পশ্চিম মেদিনীপুরে বাংলা বন্‌ধ (Tribal Movement)

    ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ডাকে ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধ ডাকা হয়েছিল। সেই মতো সকাল থেকেই ঘাটাল মহাকুমার ক্ষীরপাই ও দাসপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবরোধ করা হয়। রাজ্য সড়কের ওপর ব্যারিকেড লাগিয়ে চলে অবরোধ (Tribal Movement)। এর জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় রাজ্য সড়কে। পথে বেরিয়ে চরম সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। শুধু ঘাটাল মহকুমাই নয়, আদিবাসী সমাজের তরফে অবরোধ করা হয় মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন কেরানিচটি, ভাদুতলাতেও। এদিন সকাল থেকেই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর রীতিমতো বাঁশ দিয়ে ঘিরে অবরোধে শামিল হয় আদিবাসীরা। অবরোধের কারণে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ড থেকে চলেনি কোনও বাস। ফলে সমস্যায় পড়তে হয়েছে নিত্যযাত্রীদেরও। রাজ্যের শাসকদল নৈতিকভাবে এই বন্‌ধ-এর বিরোধিতা করলেও, রাস্তায় নেমে সেভাবে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি তাদের। ভোটের রাজনীতির জন্যই কি বিরোধিতা নয়? প্রশ্ন বিজেপির জেলা সভাপতি তাপস মিশ্রের। যদিও তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির দাবি, প্রতিটি সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক দলেরই আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ পুলিশের। সব মিলিয়ে আদিবাসী সংগঠনগুলির ডাকা বাংলা বন্‌ধ-এ ভালো প্রভাব পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুর সহ রাঢ় বঙ্গে।

    দক্ষিণ দিনাজপুরে বাংলা বন্‌ধ (Tribal Movement)

    অদিবাসী নয়, এমন ক্ষত্রিয় কুড়মিদের দ্বারা আদিবাসীদের ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে এবং সরকারি মদতে সিআরসি-র রিপোর্টকে পরিবর্তন করে কুড়মিদের এসটি তালিকাভুক্তকরণ করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে সরব হয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন। আর তাই বৃহস্পতিবার সকাল ছটা থেকেই সারা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে পালিত হয় বন্‌ধ। সকাল থেকেই কোনও বেসরকারি বাস চলাচল করেনি (Tribal Movement)৷ শুনসান বালুরঘাট পাবলিক বাস স্ট্যান্ড চত্বর। বেসরকারি বাস চলাচল না করার ফলে সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা। এদিকে কিছু সরকারি বাস সকাল ছটার আগে চলাচল করলেও তারপরে আর চলাচল করতে দেখা যায়নি। সব মিলিয়ে আদিবাসীদের বন্‌ধ সফল বলে দাবি করছেন সংগঠনের নেতারা।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BSNL: বিএসএনএলকে ফের ত্রাণ প্যাকেজ দিচ্ছে কেন্দ্র, আসছে ৫জি পরিষেবাও

    BSNL: বিএসএনএলকে ফের ত্রাণ প্যাকেজ দিচ্ছে কেন্দ্র, আসছে ৫জি পরিষেবাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার বিএসএনএলকে (BSNL) ত্রাণ প্যাকেজ দিতে চলেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই ৮৯,০৪৭ কোটি টাকার প্যাকেজ অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এর আগে দুবার দেওয়া হয়েছে ত্রাণ প্যাকেজ। তৃতীয়বার দেওয়া হল কোম্পানির ৪জি (4G) ও ৫জি (5G) পরিষেবা উন্নত ও চালু করতে। কেন্দ্রের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএসএনএলের অনুমোদিত মূলধন ১.৫ লাখ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২.১ লাখ কোটি টাকা করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ত্রাণ প্যাকেজের ফলে বিএসএনএল একটি শক্তপোক্ত টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার হবে এবং দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় পরিষেবা দেবে।

    বিএসএনএলকে (BSNL) প্রথম ত্রাণ প্যাকেজ

    ঋণে জর্জরিত বিএসএনএলকে (BSNL) চাঙা করতে কেন্দ্র প্রথম ত্রাণ প্যাকেজ দেয় ২০১৯ সালে। সেবার ত্রাণের পরিমাণ ছিল ৬৯ হাজার কোটি টাকা। এর ঠিক তিন বছর পরে ২০২২ সালেও ফের একবার ত্রাণ প্যাকেজ দেয় কেন্দ্র। এবার দেওয়া হয় ১.৬৪ লাখ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, এই দুটি ত্রাণ প্যাকেজ পেয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বিএসএনএল। ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকে অপারেটিং মুনাফা অর্জন করতে শুরু করেছে বিএসএনএল। সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, বিএসএনএলের মোট ঋণ ৩২ হাজার ৯৪৪ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ২২ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা।

    কী জানিয়েছিলেন মন্ত্রী? 

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানান, দেশের অনেক এলাকায় বিএসএনএলের (BSNL) ৪জি কভারেজ রয়েছে। বর্তমানে এটি প্রায় সারা দেশকে কভার করতে চলেছে। কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, বিএসএনএল ২০০টি সাইটে ৪জি নেটওয়ার্ক চালু করেছে। আপাতত তিন মাস ধরে এর পরীক্ষা হবে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতিদিন গড়ে ২০০টি সাইটে এই পরিষেবা চালু করা হবে।

    আরও পড়ুুন: হারানো জমি ফিরে পেতে পুরনো সঙ্গী বিজেপির হাত ধরছে দেবগৌড়ার দল?

    ওই সময় মন্ত্রী বলেছিলেন, এই গতি আমরা দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাব। বিএসএনএল নেটওয়ার্ক প্রাথমিকভাবে ৪জি হবে। এটি সেই মতোই কাজ করবে। নভেম্বর-ডিসেম্বরের কাছাকাছি এটি ছোট সফ্টওয়্যার সমন্বয় সহ ৫জি হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, ১ অক্টোবর দেশে ৫জি পরিষেবা চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জিও, এয়ারটেল ইতিমধ্যেই এই পরিষবা দিচ্ছে। এই দুই সংস্থাই বিএসএনএলের (BSNL) থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections: হারানো জমি ফিরে পেতে পুরনো সঙ্গী বিজেপির হাত ধরছে দেবগৌড়ার দল?

    Lok Sabha Elections: হারানো জমি ফিরে পেতে পুরনো সঙ্গী বিজেপির হাত ধরছে দেবগৌড়ার দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল করতে পারেনি জনতা দল সেকুলার (JDS)। অথচ সে রাজ্যে অন্যতম শক্তিশালী দল এইচডি দেবগৌড়ার এই দল। তার পর থেকে ক্রমেই বিজেপির (BJP) দিকে ঝুঁকছে দেবগৌড়ার দল। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections) বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়তে পারে জনতা দল সেকুলার।

    দেবগৌড়ার উপলব্ধি

    কর্নাটকে লোকসভার আসন রয়েছে ২৮টি। গত লোকসভা নির্বাচনে সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছিল দেবগৌড়ার দল। যদিও জয়ী হয়েছিল মাত্র ১টিতে। মাস কয়েক আগে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনেও মুখ থুবড়ে পড়ে জনতা দল সেকুলার। রাজ্যে বিধানসভার আসন ২২৪টি। তার মধ্যে মাত্র ১৯টিতে জয় পেয়েছে দেবগৌড়ার দল। বিজেপিকে হটিয়ে রাজ্যের ক্ষমতার রশি দখল করেছে কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে দেবগৌড়া দল। বিধানসভা নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার উপলব্ধি, বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধতে পারলে কংগ্রেসকে পরাস্ত করা যেত। উদ্ধার করা যেত হারানো ভোটব্যাঙ্ক।

    বিজেপির সঙ্গে জোট

    বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ে কর্নাটকে সরকার গড়েছিল জনতা দল সেকুলার। সেটা ২০০৬ সাল (Lok Sabha Elections)। জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দেবগৌড়ার ছেলে এইচডি কুমারস্বামী। উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিজেপির বিএস ইয়েদুরাপ্পা। তবে এই জোট দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কারণ নিজেদের টার্ম শেষের পর বিজেপির হাতে দেবগৌড়ার দল তুলে দেয়নি ক্ষমতার রশি। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যে ফের প্রাসঙ্গিক হতে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে পারে জনতা দল সেকুলার।

    আরও পড়ুুন: এসেছেন আরও ২০ অফিসার! রাজ্যে ফের তৎপরতা ইডির, কেন জানেন?

    দেবগৌড়ার দল যে বিজেপির দিকে ক্রমেই ঝুঁকছে, তার ইঙ্গিত মিলেছে নানা সময়। সম্প্রতি ওড়িশায় রেল দুর্ঘটনার পরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ দাবি করেন বিরোধীরা। এই সময় দেবগৌড়া বলেন, “যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছেন রেলমন্ত্রী। উনি ক্লান্তহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তদন্ত শেষ হতে দিন। মন্ত্রী নিজের সেরাটা দিচ্ছেন। এই সময় তাঁর পদত্যাগ চাওয়াটা কোনও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।” এহ বাহ্য। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections) আগে বিজেপি বিরোধী দলগুলির জোটের সম্ভাবনা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিজেপির সঙ্গে দেবগৌড়ার দলের হাত মেলানোটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lionel Messi: ইউরোপ বা আরব নয়! মেসির নতুন ঠিকানা আমেরিকার মায়ামি

    Lionel Messi: ইউরোপ বা আরব নয়! মেসির নতুন ঠিকানা আমেরিকার মায়ামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরোপ বা আরব নয়। গ্রহের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির (Lionel Messi) নতুন ঠিকানা এবার আমেরিকা। জানা গিয়েছে, মেজর লিগ সকারে খেলবেন ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে (Inter Miami) সই করতে চলেছেন মেসি। এলএম টেন এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছেন এই খবর। বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনার মাঝেই তিনি বলেন, ‘আমি মায়ামিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে মেসির পিএসজি ছাড়া নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। গত কয়েক দিন ধরে বার বার শোনা যাচ্ছিল, মেসি তাঁর পুরনো ক্লাব বার্সেলোনা বা সৌদির ক্লাব আল হিলালে যোগ দিতে পারেন।

    কী বললেন মেসি (Lionel Messi)?

    মেসি (Lionel Messi) বলেন, ‘‘আমেরিকার ক্লাব মায়ামির সঙ্গে এখনও ১০০ শতাংশ চুক্তির কাজ শেষ হয়নি। তা শীঘ্রই হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্যারিসে ২ বছর খুব খারাপ সময়ের মধ্যে কাটিয়েছি। পরিবারের উপরও সেই প্রভাব পড়েছে। ইউরোপে অন্য ক্লাবের অফার থাকলেও শুধুমাত্র বার্সেলোনায় খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু লা লিগার অর্থনৈতিক কাঠামো বাধা হয়ে দাঁড়ায়।’’ মেসিকে নেওয়ার জন্য অন্য ফুটবলারদের বেতন কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বার্সা। সেটা চাননি মেসি। তাই বার্সায় ফিরলেন না।

    অর্থের কারণেই কি আমেরিকায় মেসি? 

    মায়ামিতে মেসির যোগ দেওয়ার অন্যতম কারণ কি বিশাল অর্থ?  এনিয়ে কী বলছেন এলএম টেন। এই বিষয়ে মেসি বলেন, ‘‘আসলে অর্থ আমার জন্য কখনও সমস্যা বা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। যদি এটা অর্থের বিষয় হত, তা হলে আমি সৌদি আরব অথবা অন্য কোনও জায়গাকে বেছে নিতাম। এটা ঠিক যে আমার জন্য বিশাল অর্থের প্রস্তাব ছিল। কিন্তু সত্যি হচ্ছে মায়ামিকে বেছে নেওয়ার জন্য অন্য কারণ রয়েছে। অর্থ নয়।’’  তবে কী কারণ রয়েছে তা আগামীদিনেই জানা যাবে।

    আরও পড়ুন: ওভালে দাপট হেড-স্মিথের, প্রথম দিনে চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: এসেছেন আরও ২০ অফিসার! রাজ্যে ফের তৎপরতা ইডির, কেন জানেন?

    ED: এসেছেন আরও ২০ অফিসার! রাজ্যে ফের তৎপরতা ইডির, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের তৎপরতা ইডি (ED) সহ একাধিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। যার জেরে আবারও তুঙ্গে জল্পনা। শুক্রবার রাজ্যে এসেছিলেন ইডির ডিরেক্টর সঞ্জয় মিশ্র। শনিবার কলকাতা ছেড়ে যান তিনি। তার মধ্যেই সেরেছেন বেশ কয়েকটি বৈঠক। মঙ্গলবার রাজ্যে এসেছিলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার শীর্ষ কর্তা দিনকর গুপ্ত। জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে শহরে এসেছেন কয়েকজন ডেপুটি ডিরেক্টর সহ ইডির ২০ জন আধিকারিকের একটি দল। এর পরেই দানা বেঁধেছে জল্পনা। তাহলে কী বড় কোনও অপারেশনের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা?

    ইডির (ED) তৎপরতা

    জল্পনার পারদ চড়েছে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুবাই যাওয়ার পথে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়ায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলবও করেছে ইডি (ED)। ১৯ জুন দিল্লিতে তলব করা হয়েছে তৃণমূল নেতা তথা আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককেও। কয়লা কেলেঙ্কারিকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে।

    কাকে কাকে তলব করা হয়েছে?

    ইডি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রুজিরাকে সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা করতে পারে পাঁচজনের একটি দল। কয়লা পাচার মামলার সূত্রে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। ওই সূত্রেই দিল্লিতে তলব করা হয়েছে মলয়কে। ডেকে পাঠানো হয়েছে মলয়ের আপ্ত সহায়ক হিসেবে পরিচিত শঙ্কর চক্রবর্তীকেও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কেবল তাঁদের আধিকারিক-আইনজীবীদের সঙ্গে নয়, আয়কর দফতর ও শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন সঞ্জয়। রাজ্যে আরও কয়েকজন আধিকারিক আসার পরে ফের রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাতে পারে ইডি।

    আরও পড়ুুন: অশান্ত মণিপুর, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার জেরে অস্ত্র সমর্পণে না রাজ্যবাসীর

    গরু ও কয়লা পাচারের মামলা পরিচালিত হয় দিল্লির সদর দফতর থেকে। কারণ দুটি মামলায়ই দায়ের হয়েছে দিল্লিতে (ED)। ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছেন ওই মামলা দুটির তদন্তকারী আধিকারিক। কলকাতার আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের সমন্বয় বৈঠকও হয়েছে। ইডির দাবি, কয়লা ও গরু পাচারের কালো টাকার একটা বড় অংশ বিনিয়োগ করা হয়েছে বিভিন্ন ব্যবসা ও সম্পত্তিতে। ইডি সূত্রে খবর, বিভিন্ন নথিপত্রের সাহায্যে তদন্ত আরও জোরদার করতে চাইছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ekalavya: একলব্য স্কুলে ৩৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি  

    Ekalavya: একলব্য স্কুলে ৩৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য আদিবাসী জনজাতির শিক্ষার উন্নয়ন। তার জেরে গোটা দেশে কয়েকশো স্কুল চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রক। এই স্কুলের পোশাকি নাম একলব্য (Ekalavya) মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল। এই স্কুলে ৩৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে কেন্দ্র। ১৯৯৭-৯৮ সালে তৈরি হয়েছিল একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল। মূলত প্রান্তিক এলাকায় থাকা আদিবাসী জনজাতির উন্নয়নকল্পেই তৈরি করা হয়েছিল এই স্কুল।

    একলব্য (Ekalavya) স্কুলের উদ্দেশ্য

    কর্মসংস্থানমুখী বিভিন্ন কোর্সের মাধ্যমে কাজের সুযোগ বৃদ্ধির চেষ্টাও করা হয় এই স্কুলের মাধ্যমে। জানা গিয়েছে, ৩৮ হাজার ৪৮০টি টিচিং ও নন-টিচিং স্টাপ নিয়োগ করা হবে। একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল রিক্রুটমেন্ট ২০২৩ নোটিফিকেশন অনুযায়ী নিয়োগ করা হবে। লিংক অ্যাকটিভ হলেই আগ্রহী প্রার্থীরা শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী পদে আবেদন করতে পারবেন।

    নিয়োগ হবে এই সব পদে

    আদিবাসীদের শিক্ষার উন্নয়নে এ রাজ্যেও রয়েছে একাধিক একলব্য (Ekalavya) স্কুল। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকায় রয়েছে বেশ কিছু স্কুল। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়ও রয়েছে এই ধরনের স্কুল। কেন্দ্রের এই ঘোষণায় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করা হবে রাজ্যের ওই স্কুলগুলিতেও। যেসব পদে নিয়োগ করা হবে, সেগুলি হল, প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার কম্পিউটার সায়েন্স, ট্রেনড গ্র্যাজুয়েট টিচার, আর্ট টিচার, মিউজিক টিচার, ফিজিক্যাল এডুকেশন টিচার, লাইব্রেরিয়ান, স্টাফ নার্স, হস্টেল ওয়ার্ডেন, অ্যাকাউন্টটেন্ট, কেটারিং অ্যাসিন্ট্যান্ট, চৌকিদার, রাঁধুনি, কাউন্সেলর, ড্রাইভার, ইলেকট্রিসিয়ান কাম প্লাম্বার, মালি, জুনিয়র সেক্রেটারিয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট, মেস হেল্পার, সিনিয়র সেক্রেটারিয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং সুইপার।

    আরও পড়ুুন: অশান্ত মণিপুর, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার জেরে অস্ত্র সমর্পণে না রাজ্যবাসীর

    প্রিন্সিপাল পদে আবেদন করতে হলে কোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান থেকে মাস্টার ডিগ্রি করতে হবে প্রার্থীকে। সঙ্গে থাকতে হবে বিএড ডিগ্রি। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক পদে আবেদন করতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হতে হবে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার কম্পিউটার সায়েন্স পদে আবেদন করতে হলে প্রার্থীকে কম্পিউটার সায়েন্স কিংবা আইটিতে এমএসসি করতে হবে। স্বীকৃত কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমসিএ করা প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে একলব্য (Ekalavya) মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল রিক্রুটমেন্ট ২০২৩ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: অশান্ত মণিপুর, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার জেরে অস্ত্র সমর্পণে না রাজ্যবাসীর

    Manipur Violence: অশান্ত মণিপুর, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার জেরে অস্ত্র সমর্পণে না রাজ্যবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরকে (Manipur Violence) শান্ত করতে রাজ্যবাসীকে অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্র সমর্পণ করতে শুরুও করেছিলেন মণিপুরবাসী। পরে ফের বন্ধ হয়ে যায় অস্ত্র সমর্পণের প্রক্রিয়া। কারণ গত কয়েকদিনে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে কুকি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। হামলায় এক বিএসএফ জওয়ান সহ কয়েকজন ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে। জখমও হয়েছেন অনেকে। বহু বাড়িতে নতুন করে অগ্নিসংযোগও করা হয়েছে। তার পরেই অস্ত্র সমর্পণ করতে বেঁকে বসেন মণিপুরবাসীর একাংশ। তাঁরা যে আপাতত অস্ত্র সমর্পণ করবেন না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন শাহকে।

    অশান্ত মণিপুর (Manipur Violence)

    এদিকে, ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মণিপুরের সাম্প্রদায়িক হিংসা। রবিবার সন্ধ্যায় ইম্ফলের ইরোইসেম্বা এলাকায় বছর সাতেকের এক শিশু, তার মা এবং তাঁদের প্রতিবেশী এক মহিলাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। অসম রাইফেলস বাহিনীর এক ক্যাম্পে বুলেটের স্প্লিন্টার লেগেছিল বছর সাতেকের টংসিং হ্যাংসিংয়ের মাথায়। টংসিংয়ের মা মীনা হ্যাংসিংয়ের হাতেও লেগেছিল গুলির টুকরো। অ্যাম্বুলেন্সে করে টংসিং ও তাঁর মাকে (Manipur Violence) নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্সে ছিলেন তাঁদের এক প্রতিবেশীও। পথে একদল উন্মত্ত জনতা আগুন লাগিয়ে দেয় অ্যাম্বুলেন্সটিতে। ঘটনাস্থলেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ওই শিশু সহ তিনজনের। পুলিশের তিনটি গাড়িও ধ্বংস করে দেয় জনতা। হিংসার কবলে পড়ে জখম হন পুলিশের দুই কমান্ডো। অন্য একটি গাড়িতে করে কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন এসপি।

    কুকিদের বিক্ষোভ

    এদিন সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সরকারি বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান কুকি জনগোষ্ঠীর লোকজন। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে চারজনকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন শাহ। বাকিদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় যন্তরমন্তরে।

    আরও পড়ুুন: হিসাব না দেওয়াতেই ১০০ দিনের টাকা বন্ধ, রাজ্যে এসে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    এদিকে, মঙ্গলবারও ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মণিপুর। সেই হিংসার (Manipur Violence) বলি হন বাংলার ছেলে রঞ্জিত যাদব। তিনি বিএসএফে কর্মরত ছিলেন। এদিন হিংসার জেরে গুলিবিদ্ধ হন রঞ্জিত। তার পরেই ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। ভাটপাড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুগিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share