Tag: Bengali news

Bengali news

  • Weather Report: আজ দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা! বুধবার থেকে ফের চড়বে পারদ

    Weather Report: আজ দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা! বুধবার থেকে ফের চড়বে পারদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি (Weather Report)। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামিকাল দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায়। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে আগামিকাল বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিরও সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর সঙ্গে, ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বুধবার থেকে ফের বাড়বে তাপমাত্রা (Weather Report)। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সোমবার দমকা ঝোড়ো হাওয়া ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে এবং মঙ্গলবারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে বইতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। দক্ষিণবঙ্গে আজ অর্থাৎ আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঝড়, বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। দু’ এক জায়গায় কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি হতে পারে। সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকবে বলে অনুমান আবহবিদদের। বুধবারও হালকা বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলাতে। গত কয়েকদিনে তাপপ্রবাহের জেরে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছিল রাজ্যবাসীর। বেলা দশটার পরে রাস্তায় বেরোনো দায় হয়ে পড়েছিল। রাজ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বেশ কয়েকজন। তীব্র দাবদাহে রাজ্য সরকার স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করে সাতদিন। এরপর পরই নামে স্বস্তির বৃষ্টি। তাপমাত্রা একধাক্কায় অনেকটাই কমে যায়।

    রাজ্য জুড়ে তাপমাত্রা কেমন থাকবে (Weather Report) !

    এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। শনিবার যা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী তিন দিনে দিনের তাপমাত্রা সেরকম কোনও পরিবর্তন না হলেও, পরের দুদিন তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির সম্ভাবনা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ রাজ্য জুড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূলের যুব কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ার! প্রশ্ন তুলতেই বিজেপি নেতাকে হুমকি থানার আইসি-র

    BJP: তৃণমূলের যুব কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ার! প্রশ্ন তুলতেই বিজেপি নেতাকে হুমকি থানার আইসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ আসলে শাসকের দলদাস! বিরোধীদের এই অভিযোগকেই কার্যত মান্যতা দিল খোদ তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব! এগরায় যুব তৃণমূলের ব্লক কমিটিতে উঠে এল সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে যুব তৃণমূলের ওই তালিকা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলায়। এগরা-২ এর বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভাপতি দেবকুমার পণ্ডাকে এগরা থানার পুলিশ আধিকারিক ফোনে ধমক ও গ্রেফতার করার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। আর সেই ফোনালাপের অডিও ( ফোনালাপের অডিও যাচাই করেনি মাধ্যম) ভাইরাল হতেই বিতর্ক আরও জোরালো হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা-২ ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যুব তৃণমূলের সভাপতি স্বপন পাত্র ১৭ জনের কমিটির নাম প্রকাশ করেন। তাতেই ১৬ নম্বরে রয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সনাতন গিরির নাম। তারপরেই নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। যদিও বিষয়টি জানতে বিজেপি-র (BJP) মণ্ডল সভাপতি দেবকুমার পণ্ডা এগরা থানার আইসি মৌসম চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলেন। ফোনে আইসি বলেন,আপনি কি আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন? ভবিষ্যতে আপনি সতর্ক থাকবেন। বক্তব্য থাকলে থানায় এসে বলবেন। আপনি আপনার মতো রাজনীতি করুন, এইভাবে প্রশ্ন করতে পারেন না। পরবর্তী দিনে কোনও ফল্ট পেলে আপনাকে গ্রেফতার করে নেব তিনি হুমকি দেন।

    যুব তৃণমূল কমিটিতে নাম নিয়ে কী বললেন সিভিক ভলান্টিয়ার?

    যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক কমিটিতে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ার সনাতন গিরির দাবি, ‘‘বিষয়টি আমারও জানা ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই দেখলাম, আমার নাম ও মোবাইল নম্বর রয়েছে। আমার নাম দলীয় কমিটিতে রাখার কোনও প্রশ্নই নেই। সেই নাম বাতিল করা হয়েছে বলে শুনেছি।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে এগরা-২ ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি স্বপন পাত্রের সাফাই, ‘‘যুব তৃণমূল কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম থাকার বিষয়টি জানা ছিল না। আসলে বুথ কমিটি থেকে নাম এসেছিল, সেটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। পরে ভুল বুঝতে পেরে আমরা শুধরে নিচ্ছি৷ ’’পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, প্রশাসনের কাজ নিরপেক্ষভাবে হওয়া দরকার। পুলিশকে নিরপেক্ষ হতে হবে। কর্মরত অবস্থায় সক্রিয় রাজনীতি করা উচিত নয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এমন পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের বড় প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বিজেপি-র (BJP) কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক তন্ময় হাজরা বলেন, “রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হচ্ছে। সিভিক ভলান্টিয়ার আসলে যে তৃণমূলেরই ক্যাডার, সেটা এঘটনা থেকে স্পষ্ট। এদেরকে দিয়েই পঞ্চায়েতে ভোটের নামে প্রহসনের পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। বিজেপির রাজ্য এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “নিন্দনীয় কাজ। আমরা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এগরা থানার আইসি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বাংলায় নতুন গদ্দাফি তৈরি হচ্ছে, নাম না করে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বাংলায় নতুন গদ্দাফি তৈরি হচ্ছে, নাম না করে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের পর তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা গ্রেফতার হয়েছে। তাপস সাহাকে সিবিআই জেরা করেছে। যদিও সিবিআই ফিরে যাওয়ার পর তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগে ভুরি ভোজের আয়োজন করা হয়। এই প্রসঙ্গে রবিবার শ্রীরামপুর দলীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কাজে যোগ দিতে এসে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, দুর্নীতিতে শুধু তাপস সাহাই নয় তৃণমূলের এমন কোনও বিধায়ক নেই যে নিজের প্যাডে লিখে চাকরির জন্য সুপারিশ করেননি। আজ না হয় কাল সেই চিঠি সিবিআইয়ের হাতে পৌঁছাবে। সমস্ত চিঠি নিয়ে ১৪ তলায় একটি কম্পিউটারে কমপাইলেশন করা হয়েছিল। আমরা সেই নামটাও জানি। রাজনীতির যারা খবর রাখেন, তাঁরাও সেই নামটা জানেন। এই মাথারাও ধরা পড়বে। আর সিবিআই চলে যাওয়ার পর তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার মাংস ভাত খাওয়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাগল বলি হওয়ার আগে প্রচুর শাকপাতা খায়। এ যাত্রায় বেঁচে গেলেও পরের যাত্রায় বাঁচবেন কিনা গ্যারান্টি নেই। সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হবে, এই বুঝি সিবিআই খপাৎ করে ধরল। এই ভয়ে ভয়ে থাকুন কিছুদিন।

     অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রাকে কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রবিবার শ্রীরামপুর দলীয় কার্যালয়ে আসেন। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পরে, উত্তরপাড়া পার্টি অফিসেও তিনি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। অভিষেকের আগামী জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, নজর ঘোরানো তো বটেই, তার সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হয়, বাংলার জনগণকে তিনি চেনেনও না, জানেনও না। প্যারাসুট নিয়ে নেমেছেন। বাংলার মাটি কি, কোনওদিন দেখেননি। গ্রামেও যাননি, এখন যাচ্ছেন। এই জনসংযোগ যাত্রায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাস ভাড়া হবে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্যান্ডেল হবে, তাঁবু হবে। ফাইভ স্টার তাঁবু হবে। তাঁর এইসব কর্মকান্ড দেখে লিবিয়ার বেদুইন নেতা মহম্মদ গদ্দাফির কথা মনে পড়ছে। গদ্দাফি একসময় এরকম তাঁবু করে গ্রামে গঞ্জে থাকতেন। কারণ, তিনি হোটেলে থাকতে পারতেন না, যেহেতু বেদুইন ছিলেন। যাক নতুন গদ্দাফি তৈরি হচ্ছে বাংলায়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Child Abduction: নিঃসন্তান মেয়ের সংসার বাঁচাতেই হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি! কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?

    Child Abduction: নিঃসন্তান মেয়ের সংসার বাঁচাতেই হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি! কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপত্য স্নেহের মর্মান্তিক পরিণতি! ঘটনার গভীরে ঢুকলে মনে হবে, সত্যি, এও সম্ভব? গত বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক সদ্যোজাত শিশু চুরি (Child Abduction) হয়ে যায়। শনিবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার বিহার লাগোয়া বলরামপুর গ্রাম থেকে সেই শিশুকে উদ্ধার করে আনে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। শিশুচুরিতে মূল অভিযুক্ত সীতা দাস ও তার মেয়ে অঞ্জু দাসকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ধরার পরই বেরিয়ে আসে সেই ঘটনা, যা একাধারে মর্মন্তুদও।

    কেন এবং কীভাবে এই চুরি? 

    পুলিশ জানতে পেরেছে, অঞ্জু দাসের প্রায় ১০ বছর বিয়ে হলেও কোনও সন্তান হয়নি। ফলে সংসার ভেঙে গেছে। সন্তান হলেই সংসার জোড়া লাগবে, এই ভাবনায় সীতাদেবী মেয়ের কোলে একটি সন্তান দেওয়ার জন্য অনেকদিন ধরে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। ডাক্তার, ওঝা, মন্দির, মাজার কোনও কিছুই বাকি রাখেননি। একে একে সব চেষ্টা ব্যর্থ হতেই তিনি ঠিক করেন, এবার কোনও হাসপাতাল থেকে শিশু তুলে (Child Abduction) আনা ছাড়া কোনও পথ নেই। সেইমতো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে তিনি কয়েকদিন ঘোরাঘুরি করে সবকিছু খতিয়ে দেখেন। কোথায় নিরাপত্তার গাফিলতি রয়েছে, কোন সময় কিভাবে শিশু তুলে নিয়ে পালিয়ে গেলে ধরা পড়তে হবে না, সবকিছু যাচাই করে তিনি গত বৃহস্পতিবার অপারেশনে নামেন। গ্রামে বলে এসেছিলেন, ইঞ্জেকশন (পড়ুন আইভিএফ) দিয়ে তার মেয়ের বাচ্চা হবে।  

    বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মেয়েকে নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে যান। বেলা বারোটা নাগাদ প্রসূতি ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন। শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ি ব্লকের বাতাসির গৃহবধূ রঞ্জিতা সিংহের বেডের কাছে গিয়ে গল্প জমান। সেই সময় রঞ্জিতাকে তার মা খাইয়ে দিচ্ছিলেন। হঠাৎই কেঁদে ওঠে রঞ্জিতার সদ্যোজাত পুত্রসন্তান। এটাই সুযোগ। সীতাদেবী রঞ্জিতাকে বলেন, বাচ্চাকে দাও, বাইরে থেকে ঘুরিয়ে শান্ত করে আনি। এই বলেই শিশু নিয়ে বাইরে বেরিয়ে যান সীতাদেবী। তারপর তার কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। 

    কীভাবে উদ্ধার হল শিশু?

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডের সিসিটিভিগুলি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে না। ফলে ফুটেজ দেখে অপরাধীকে শনাক্ত করার সুযোগ ছিল না। অন্ধকারে হাতড়ে ২৪ ঘণ্টা কেটে যায়। হঠাৎই শুক্রবার হাসপাতালের সিক নিওন্যাটাল কেয়ার ইউনিটের (এসএনসিইউ) এক নার্স তাঁদের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ঘাঁটতে গিয়ে দেখেন, এক মহিলা শিশু কোলে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে (Child Abduction)। তার সামনে সামনে নাইটি পরা কমবয়সী এক মহিলা যাচ্ছে। সীতাদেবী তাঁর মেয়েকে সদ্যোজাত সন্তানের মা সাজানোর জন্য নাইটি পরিয়ে হাতে ব্যাগ ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। ব্যাগটি ছোট ও হালকা হওয়ায় নার্সের সন্দেহ হয়। সন্তান জন্মের পর হাসপাতাল থেকে যাওয়ার সময় সাধারণত এত ছোট এবং হালকা ব্যাগ থাকে না। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানান। 
     
    সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শুরু তদন্ত

    শুক্রবার রাত তিনটে নাগাদ মেডিক্যাল কলেজ ফাঁড়ির ওসি সুদীপ দত্ত এবং মাটিগাড়া থানার আইসি সমীর দেওসা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সেই অংশটি (Child Abduction) রেকর্ড করেন। শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসিপি শুভেন্দ্র কুমার রবিবার বলেন, দুই মহিলাকে খুঁজতে এরপর শহরের বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়, একাধিকবার গাড়ি পালটে ওই দুই মহিলা চোপড়ার বাসে উঠেছে। সেইমতো শিলিগুড়ি থেকে পুলিসের একটি তদন্তকারী দল চোপড়া পৌঁছে যায়।  

    আশার আলো জ্বাললেন আশাকর্মীরা

    কিন্তু চোপড়ার কোথায় রয়েছে সেই শিশু, কীভাবে তা জানা যাবে? চোপড়া থানায় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর সেখানকার আশাকর্মীদের সাহায্য নেওয়া হয়। কেননা তাঁরাই প্রতিটি এলাকার খোঁজ রাখেন, কোন বাড়িতে বাচ্চা হয়েছে। সেইমতো আশাকর্মীদের কাছ থেকে খবর আসে, বলরামপুর গ্রামের একটি বাড়িতে দু’দিন হল সদ্যোজাত শিশু এসেছে। সেই বাড়িতে দুই মহিলা থাকেন। শনিবার দুপুরের আগেই পুলিশ পৌঁছে যায় চোপড়ার বলরামপুর গ্রামে। শিশুসহ ধরা পড়েন অঞ্জু দাস। তাঁর মা বাড়িতে ছিলেন না। অঞ্জু দাস ও তাঁর দুই ভাই সহ চুরি (Child Abduction) যাওয়া শিশু নিয়ে শিলিগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁরা পৌঁছন। স্বস্তি ফেরে সব মহলে। মূল অভিযুক্ত সীতাদেবীকে শনিবার শেষ রাতে ওই গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে রবিবার সকালে শিলিগুড়িতে আনা হয়।

    সন্তান ফিরে পেয়ে খুশি রঞ্জিতা ও তাঁর পরিবার

    শনিবার রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এসএনসিইউ-তে  নিজের পূত্রসন্তানকে কোলে তুলে নিয়ে আনন্দের কান্নায় ভাসেন রঞ্জিতা ও তাঁর স্বামী নিত্যানন্দ সিংহ। কিন্তু এই শিশুই যে রঞ্জিতার চুরি (Child Abduction) যাওয়া সেই শিশু, তার প্রমাণ কী?  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক এবং পুলিশ বলেন, যে কাপড় দিয়ে শিশুকে জড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই কাপড় সহ আমরা শিশুকে উদ্ধার করে এনেছি। যাদের ধরা হয়েছে, তারাও স্বীকার করেছে এই শিশুকে তারা এখান থেকে চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল। উপযুক্ত প্রমাণ থাকার কারণেই ডিএনএ পরীক্ষা করার কোনও প্রয়োজন নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: তন্ত্রসাধনায় নিজের ভাইঝিকে নরবলি দেওয়ার চেষ্টা! তারাপীঠে গ্রেফতার মহিলা সন্ন্যাসী

    Tarapith: তন্ত্রসাধনায় নিজের ভাইঝিকে নরবলি দেওয়ার চেষ্টা! তারাপীঠে গ্রেফতার মহিলা সন্ন্যাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোমহর্ষক ঘটনা। এ যেন সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। তন্ত্রসাধনার জন্য কাউকে ধরে নিয়ে এসে বলিকাঠে চড়ানো হচ্ছে, এমন হাড়হিম করা দৃশ্য বহু সিনেমাতেই দেখা যায়। কিন্তু তা বলে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নিজেরই ভাইঝিকে কেউ ধরে নিয়ে যেতে পারে, এ যেন কল্পনার অতীত। কিন্তু বাস্তবে তেমনটাই ঘটেছে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। তন্ত্রসাধনায় নরবলি দেওয়ার আগেই তারাপীঠ (Tarapith) থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্ন্যাসী মহিলাকে। আর তারপরই পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ওই চাঞ্চল্যকর তথ্য। বোলপুর থানা এবং বীরভূম জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের জালে সন্ন্যাসী মহিলা রেখা সরকার। ঘটনার গভীরে ঢুকতে বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত। 

    কীভাবে পুলিশ পৌঁছে গেল মহিলা সন্ন্যাসীর ডেরায়?

    দিন চারেক আগে বীরভূমের বোলপুর থানার অন্তর্গত তাতারপুর কলোনি থেকে এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়। তার পরিবারের তরফ থেকে বোলপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়। বিশেষ টিমে ছিলেন বীরভূম জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের আধিকারিক সহ বোলপুর থানার পুলিশ অফিসাররা। নিখোঁজ নাবালিকার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনে নেওয়া হয়, তাদের কোথায় কোথায় আত্মীয়স্বজন রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে তারই দিদি রেখা সরকার তারাপীঠে থাকে বলে খোঁজ মেলে। শনিবার বীরভূম জেলা পুলিশের এই স্পেশাল টিম হানা দেয় তারাপীঠে (Tarapith)। প্রথমে রেখা সরকার নামে ওই মহিলা জানিয়ে দেয়, তার ভাইঝি তার কাছে আসেনি। সমগ্র ঘটনা এড়িয়ে যায়। পরে পুলিশ চাপ দিলে ওই নাবালিকাকে বের করে দেয়। 

    বলি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, বলছেন পুলিসের আধিকারিকই

    এই পুরো ঘটনায় বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার সুরজিৎকুমার দে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, রেখা সরকার দীর্ঘদিন ধরে তন্ত্র সাধনার সঙ্গে যুক্ত। প্রথমে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সম্পূর্ণ বিষয় অস্বীকার করে। পরবর্তী সময়ে তাকে চাপ দেওয়া হলে ওই নাবালিকাকে বের করে দেয়। তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে, তন্ত্রসাধনার কাজে তারাপীঠে (Tarapith) ওই নাবালিকাকে বলি দেওয়ার প্রয়াস চালিয়েছিল ধৃত রেখা। এই ঘটনার আরও গভীরে ঢুকতে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে বোলপুর থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Joe Biden: প্রথমবার ভারতে আসছেন জো বাইডেন, কেন জানেন?

    Joe Biden: প্রথমবার ভারতে আসছেন জো বাইডেন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেপ্টেম্বরে প্রথমবার ভারত (India) সফরে আসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। বাইডেনের এই সফর ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নয়া মাত্রা যোগ করবে বলে আশাবাদী দুই দেশই। চলতি বছর জি-২০ (G-20) সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছে ভারত। এই সম্মেলন সফলভাবে আয়োজন করায় ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাইডেনের দেশ।

    আসছেন জো বাইডেন (Joe Biden)…

    সেপ্টেম্বরেই হতে চলেছে জি-২০ লিডার্স সামিট। সেই সামিটেই যোগ দিতে ভারত সফরে আসছেন বাইডেন। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু এ খবর জানান। লুয়ের মতে, চলতি বছর ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নয়া যুগের সূচনা হতে চলেছে। তারই প্রথম প্রকাশ সেপ্টেম্বরে জি-২০ লিডার্স সামিটে হতে চলেছে। সেই মঞ্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্টও।

    লু বলেন, আমি জানি, আমাদের প্রেসিডেন্ট (Joe Biden) সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন। জি-২০ লিডার্স সামিটে অংশ নিতে গিয়ে এটাই তাঁর প্রথম ভারত সফর হতে চলেছে। তিনি বলেন, আগামিদিনে যা যা হবে, তার কথা ভেবে আমরা এখনই রোমাঞ্চ অনুভব করছি।

    আরও পড়ুুন: রবীন্দ্রজয়ন্তীতে সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন অমিত শাহ?

    ইতিমধ্যেই ভারত ঘুরে গিয়েছেন সেক্রেটারি অফ স্টেট টোনি ব্লিঙ্কেন, ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইল্লেন এবং কমার্স সেক্রেটারি জিনা রাইমোন্ডোরা। দিল্লির ইন্ডিয়া-ইউএস ফোরামেও উপস্থিত ছিলেন তাঁরা। তার জেরে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক হয়েছে দৃঢ়। এমতাবস্থায় ভারতে আসতে চলেছেন বাইডেন।

    লু বলেন, মার্চে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কোয়াড সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়। চারটি দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে হয়েছিল ওই বৈঠক। কোয়াড বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের এটাই ছিল প্রথম পাবলিক ডিসকাশন। ওই বৈঠকে ইন্দো-প্যাশিফিক অঞ্চলের বাসিন্দাদের সমর্থনে একজোট হয়েছিলেন চার দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। তিনি বলেন, গত মাসে জি-২০ সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। চলতি বছর জি-২০র আরও যেসব সম্মেলন হবে, তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য আমরা মুখিয়ে রয়েছি। এর মধ্যেই রয়েছে সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লি লিডার্স সামিট (Joe Biden)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দেশে প্রথম ওয়াটার মেট্রোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, জানুন কবে, কোথায়

    PM Modi: দেশে প্রথম ওয়াটার মেট্রোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, জানুন কবে, কোথায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে চালু হতে চলেছে প্রথম ওয়াটার মেট্রো (Water Metro)। ২৫ এপ্রিল, মঙ্গলবার এই পরিষেবার সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। উৎসর্গ করবেন জাতির উদ্দেশ্যে। রবিবার কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ট্যুইট-বার্তায় লেখেন, কেরালার (Kerala) স্বপ্নের এই প্রকল্প কোচি ও তার আশেপাশের ১০টি দ্বীপকে সংযুক্ত করবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নৌকাগুলি সড়ক পরিবহণের যানজটের ভোগান্তি দূর করবে।

    ওয়াটার মেট্রোর উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    শুধু তাই নয়, এই পরিবহণ ব্যবস্থা অত্যন্ত সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ। জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে পরিষেবা শুরু হবে হাইকোর্ট-ভাইপিন টার্মিনাল থেকে ভিটিলা-কাক্কানাড় টার্মিনাল পর্যন্ত। মুখ্যমন্ত্রী জানান, যাত্রীরা কোচি ১ কার্ড ব্যবহার করেই কোচি মেট্রো এবং ওয়াটার মেট্রো দুই পরিষেবাই নিতে পারবেন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেই বুক করা যাবে ওয়াটার মেট্রোর টিকিট। জানা গিয়েছে, ব্যাটারি চালিত বৈদ্যুতিক হাইব্রিড নৌকার মাধ্যমে কোচি ও তার আশেপাশের ১০টি দ্বীপকে সংযুক্ত করবে এই ওয়াটার মেট্রো।

    প্রথম পর্যায়ে থাকবে ৭৮টি বৈদ্যুতিক নৌকা (PM Modi)। টার্মিনাল থাকবে ৩৮টি। প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১,১৩৬.৮৩ কোটি টাকা। কেরল সরকার ও জার্মান সংস্থা কেএফডব্লু যৌথভাবে বহন করেছে এই খরচ। পরিবেশ বান্ধব এই যান চালু হলে শহরে কমবে যানজট।

    আরও পড়ুুন: রবীন্দ্রজয়ন্তীতে সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন অমিত শাহ?

    এদিন ওয়াটার মেট্রো ছাড়াও, তিরুবনন্তপুরম সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে কেরলের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনাও করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই ট্রেনটি তিরুবনন্তপুরম, কোল্লাম, কোট্টায়াম, এর্নাকুলাম, ত্রিশুর, পালাক্কাড়, পাঠানমথিট্টা, মলপ্পুরম, কোঝিকোড়, কান্নুর এবং কাসারগড় এই ১১টি জেলার ওপর দিয়ে যাবে। ডিন্ডিগুল-পালানি-পালক্কাড় বিভাগে ইলেকট্রিক ট্রেন চলাচলের সূচনাও করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর (PM Modi) স্থাপনও করবেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে তিরুবনন্তপুরম, কোঝিকোড় এবং ভারকালা শিবগিরি রেলওয়ে স্টেশনগুলির পুনর্নির্মাণের কাজ। এদিনই তিরুবনন্তপুরমে ডিজিটাল সায়েন্স পার্কের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Amritpal Singh: পুলিশের জালে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল সিংহ

    Amritpal Singh: পুলিশের জালে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল সিংহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে গ্রেফতার খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল সিংহ (Amritpal Singh)। পঞ্জাবের (Punjab) মোগা শহর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ফেরার থাকার পর শেষমেশ গ্রেফতার করা হল স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুকে। কয়েকটি সূত্রের দাবি, অমৃতপাল পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। যদিও পুলিশের দাবি, রবিবার ভোরে মোগা শহর থেকে গ্রেফতার করা হয় বিচ্ছিন্নতাবাদী এই নেতাকে।

    অমৃতপাল সিংহের (Amritpal Singh) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    দীর্ঘদিন দুবাইয়ে থাকার পর ভারতে (India) ফিরে ওয়ারিস পঞ্জাব দে সংগঠন গড়েন অমৃতপাল। দাবি জানান খালিস্তানের। কিছুদিন আগে তাঁর সংগঠনের একজনকে গ্রেফতার করার পর ব্যাপক আন্দোলন করেন এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার অনুগামীরা। হামলা চালান থানায়। তার পরেই অমৃতপালকে (Amritpal Singh) গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত হয়। তাঁর খোঁজে পঞ্জাবের বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। তবে তাঁর টিকি ছোঁওয়া যাচ্ছিল না। ১০ এপ্রিল পুলিশ গ্রেফতার করে অমৃতপালের সঙ্গী পপ্পলপ্রীতকে। রবিবার ভোরে গ্রেফতার হন অমৃতপাল। যদিও মোগা পুলিশ এই গ্রেফতারির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, অমৃতপালকে অসমে ডিব্রুগড়ের জেলে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: হিন্দু ছাত্রদের উত্যক্ত করা হচ্ছে ব্রিটেনের স্কুলগুলিতে, প্রকাশ রিপোর্টে

    সেখানে তাঁর অন্য অনুগামীদেরও রাখা হয়েছে। অমৃতপালের দলের আরও আট সদস্যকে অসমের জেলে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অমৃতপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে। সূত্রের খবর, পঞ্জাব পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের যৌথ প্রচেষ্টায় অমৃতপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতির মধ্যে বৈষম্য ছড়ানো, খুনের চেষ্টা, পুলিশকে আক্রমণ  পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

    দিন তিনেক আগে অমৃতসর বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয় অমৃতপালের (Amritpal Singh) স্ত্রী কিরণদীপকে। লন্ডনে যাওয়ার পথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় তাঁকে। তার মধ্যেই পুলিশের জালে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল। ১৮ মার্চ থেকে পঞ্জাবের জলন্ধর, হোশিয়ারপুর ও অমৃতসরের একাধিক গ্রামে ছদ্মবেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর খোঁজে হন্যে হচ্ছিল পুলিশ। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পঞ্জাব ঘেঁষা রাজস্থানে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছিলেন গোয়েন্দারা। তার জেরে রাজস্থানের হনুমানগড় ও গঙ্গানগর জেলায় চিরুনি তল্লাশি চালায় পুলিশ। এদিন ভোরে হন গ্রেফতার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: মেলেনি রফাসূত্র, রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক ‘ব্যর্থ’, দাবি ডিএ আন্দোলনকারীদের

    DA: মেলেনি রফাসূত্র, রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক ‘ব্যর্থ’, দাবি ডিএ আন্দোলনকারীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনে শুক্রবার ডিএর (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল রাজ্য সরকার। যদিও বৈঠকে কোনও রফাসূত্র বের হয়নি। বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীদের দাবি, বৈঠক পুরোপুরি ব্যর্থ। এদিন বৈঠকে হাজির ছিলেন যৌথ মঞ্চের ছয় প্রতিনিধি। রাজ্য সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা এবং অর্থসচিব মনোজ পন্থ। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অর্থের সংস্থান হলে বকেয়া ডিএ (DA) দিয়ে দেওয়া হবে।

    ডিএ (DA) নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ…

    আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকারের কাছে যথেষ্ঠ তহবিল থাকলেও, ডিএ নিয়ে গড়িমসি করছে তারা। বৈঠক নিষ্ফলা হওয়ায় ধর্না মঞ্চে ফিরে গিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ফের শুরু হয়েছে বিক্ষোভ প্রদর্শন। মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। আগামী দিনে আরও জোরদার আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, রাজ্যের তরফে সব বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা তথ্য দিয়ে দেখিয়েছি, রাজ্যে তহবিলের অভাব নেই। তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সবটা দেখানোর পরেও কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি মুখ্যসচিব। আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, ৬ মে কলকাতার হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট থেকে মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: নিয়োগকাণ্ডে এবার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের

    এদিন বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত নবান্নে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক হয় রাজ্যের। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা ৩৬ শতাংশ হারে যে ডিএ (DA) চেয়েছিলেন, সরকার তা দিতে রাজি নয়। এর পরেই ফের আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনকারীরা। ৬ মে মহামিছিলে কাজ না হলে ফের একবার ধর্মঘটে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। এতদিন কেবল বকেয়া ডিএর দাবিতেই আন্দোলন হচ্ছিল। এবার তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগের দাবিও।

    প্রসঙ্গত, ১৭ এপ্রিল ডিএ নিয়ে রাজ্য কর্মচারি সংগঠন ও রাজ্যকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ১০ দিনের মধ্যে রাজ্যকে বৈঠক ডাকতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই এদিন হয়েছে বৈঠক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Terrorist Attack: হামলা চালিয়েছিল সাত জঙ্গি! পুঞ্চে সেনার ট্রাকে হামলার নেপথ্যে লস্কর-ই-তৈবা?

    Terrorist Attack: হামলা চালিয়েছিল সাত জঙ্গি! পুঞ্চে সেনার ট্রাকে হামলার নেপথ্যে লস্কর-ই-তৈবা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) পুঞ্চে সেনাবাহিনীর যে ট্রাকে হামলা (Terrorist Attack) হয়েছিল, তার নেপথ্যে রয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন  লস্কর-ই-তৈবা (LeT)। সেনা সূত্রে খবর, এই হামলার পিছনে অন্তত সাতজন জঙ্গি রয়েছে। দুর্ঘটনার পরে পরেই মাধ্যম জানিয়েছিল, জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেডের জেরেই আগুন লাগে সেনাবাহিনীর ওই গাড়িতে। ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এনআইএকে (NIA)।

    জেহাদিরাই হামলা (Terrorist Attack) চালিয়েছিল…

    এদিন বিকেলে পুঞ্চের যে জায়গায় হামলা চালানো হয়েছিল, তা অবস্থিত নিয়ন্ত্রণরেখার ভিম্বার গলি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে। ওই এলাকায় ঘন জঙ্গল রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই এলাকায় পাকিস্তানি জঙ্গিদের গতিবিধি ধরা পড়েছে। ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে ওই জেহাদিরাই হামলা (Terrorist Attack) চালিয়েছিল সেনাবাহিনীর কনভয়ে। লস্কর-ই-তইবার ওই জঙ্গিদের খোঁজে ইতিমধ্যেই চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে নাগরোটার ১৬ কোর। আধিকারিকদের মতে, মে মাসে শ্রীনগরে রয়েছে জি-২০ গোষ্ঠীর সম্মেলন। পাকিস্তান তা বানচাল করার চেষ্টা করছে।

    তাঁদের মতে, তার সঙ্গে এই হামলার যোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, শ্রীনগরের ওই অনুষ্ঠান বয়কট করার জন্য জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির কাছে আর্জি জানিয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার যে পাঁচ সেনা শহিদ হয়েছেন, তাঁরা হলেন হাবিলদার মনদীপ সিংহ, সিপাই হরকিষণ সিংহ, ল্যান্সনায়েক কুলবন্ত সিংহ এবং সিপাই সেবক সিংহ। এঁরা চারজনই পঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন। শহিদ হওয়া আরও এক জওয়ান হলেন পুরীর বাসিন্দা ল্যান্সনায়েক দেবাশিস। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক আধিকারিক জানান, জি-২০ সম্মেলনে যেসব দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন, তাঁদের মনে ভয় ধরাতেই হামলা চালানো হয়েছে সেনার গাড়িতে।

    আরও পড়ুুন: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য মিললে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    এদিকে, তদন্তের দায়িত্ব পেয়েই কাজ শুরু করে দিয়েছে এনআইএ। তদন্তকারীদের অনুমান, দু পক্ষের মধ্যে কয়েক (Terrorist Attack) রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছিল। কারণ ট্রাকটির দু পাশে অসংখ্য বুলেট গেঁথে ছিল। অনুমান, গুলি চালাতে চালাতেই আচমকা গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। গ্রেনেড গিয়ে লাগে সেনাবাহিনীর ট্রাকের গায়ে। সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায় তাতে। জীবন্ত দগ্ধ হন পাঁচ জওয়ান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। প্রসঙ্গত, গত বছর মোহালির পুলিশ ফাঁড়িতেও ঠিক একই কায়দায় হামলা চালিয়েছিল লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিরা। পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা সদর দফতরে রকেট চালিত গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল তারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share