Tag: Bengali news

Bengali news

  • Guwahati-NJP Vande Bharat: বাংলার তৃতীয়! গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    Guwahati-NJP Vande Bharat: বাংলার তৃতীয়! গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্ব ভারত পেল প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সোমবার দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Guwahati-NJP Vande Bharat) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এর ফলে, পশ্চিমবঙ্গ পেল তার তৃতীয় বন্দে ভারত। এর আগে প্রথমে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি ও পরে পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেয়েছে বাংলা।

    এদিন দুপুর ১২টা মিনিটে দিল্লি থেকে পতাকা নাড়িয়ে গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi)। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নতুন করে ১৮২ কিমি বৈদ্যুতিকীকরণ সেকশনের পাশাপাশি অসমের লামডিঙে নব নির্মিত ডেমু/মেমু শেডেরও উদ্বোধন করেন। এই উপলক্ষে মোদি ট্যুইটারে লেখেন, অসম সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে আজকের দিন গুরুত্বপূর্ণ। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ফলে মানুষের জীবন আরও সহজ হবে। একইসঙ্গে এই রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রও উপকৃত হবে।

     

    কখন ছাড়বে? গন্তব্যে পৌঁছবে কখন?

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ট্রেনটি দুটি স্টেশনের মধ্যে মোট ৪১১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে। ট্রেনের সূচিও ঘোষণা করেছে রেল। ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে যাত্রা করবে। গুয়াহাটি পৌঁছবে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে। এর পরে এই ট্রেনটি গুয়াহাটি থেকে বিকাল ৪টে ৩০ মিনিটে ছাড়বে এবং প্রায় রাত ১০টা ২০ মিনিটে যাত্রীদের নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছবে। অর্থাৎ সাড়ে ৫ ঘণ্টায় ৪১১ কিমি অতিক্রম করবে আপ ও ডাউন এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আগামী বুধবার, ৩১ মে থেকে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করবে গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Guwahati-NJP Vande Bharat)।

    আরও পড়ুন: কোভিড ভ্যাকসিন থেকে বন্দে ভারত! ৯ বছরে মোদি সরকারের সাফল্যের নানা ছবি

    কোন কোন স্টেশনে স্টপেজ?

    জানা গিয়েছে, গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি (Guwahati-NJP Vande Bharat) অসমের কামরূপ মেট্রোপলিটান, কামরূপ রুরাল, নলবাড়ি, বরপেটা, চিরাং, কোকরাঝাড় জেলা ও উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, নিউ কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলা হয়ে অতিক্রম করবে। ৫টি স্টেশনে থামবে ট্রেনটি। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে রওনা দিয়ে ট্রেনটি প্রথম স্টপেজ দেবে নিউ কোচবিহারে। তারপর নিউ আলিপুরদুয়ার, কোকড়াঝাড়, নিউ বঙ্গাইগাঁও এবং কামাখ্যায় থামবে। তারপর সোজা পৌঁছে যাবে গুয়াহাটি। মঙ্গলবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিন চলবে বন্দে ভারত ট্রেন।

    কত ভাড়া হতে পারে?

    এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Guwahati-NJP Vande Bharat) মোট ৮ টি কামরা থাকছে। যার মধ্যে ১টি এক্সিকিউটিভ ক্লাস এবং ৫টি চেয়ার কার থাকবে। চেয়ার কারে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটির ভাড়া ৭৮৮ টাকা। এগ্‌জ়িকিউটিভ ক্লাসে ১৬১২ টাকা। তবে, এর সঙ্গে কেটারিং চার্জ ধার্য করা হবে। জানা গিয়েছে, গুয়াহাটি গামী সকালের ট্রেনে চা-জলখাবারের চার্জ ধরা হবে। অন্যদিকে, নিউ জলপাইগুড়িগামী ফিরতি ট্রেনে নৈশভোজের চার্জ ধার্য করা হবে। ফলে, এই টিকিটের দাম বেশি হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: খড়্গপুরে অভিষেককে দেখতে তুমুল বিশৃঙ্খলা, পা ভাঙল তৃণমূল যুব নেতার

    Abhishek Banerjee: খড়্গপুরে অভিষেককে দেখতে তুমুল বিশৃঙ্খলা, পা ভাঙল তৃণমূল যুব নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ের হামলার পর শনিবার সকাল থেকেই অতি সক্রিয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। শালবনিতে অভিষেকের সভা ছিল। শুক্রবার রাতে চক শালবনির ঘটনার পর শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা যেভাবে কুড়মি সমাজের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তারই প্রতিবাদ জানাতে আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) যাত্রা পথে খেমাসুলিতে প্রতিবাদ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল আদিবাসী কুড়মি সমাজের মানুষেরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে কমলেশ মাহাত সহ তিন কুড়মি নেতাকে আটক করল খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ। রাস্তার ধারে কোনওভাবেই দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো যাবে না, স্পষ্টবার্তা পুলিশ আধিকারিকদের। খেমাশুলিতে মোতায়ন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। গণতান্ত্রিক দেশে কণ্ঠরোধ করা যাবে না, পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন কুড়মি নেতারা।

    অভিষেককে (Abhishek Banerjee) দেখতে গিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা, পা ভাঙল তৃণমূল যুব নেতার

    তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচি সূচনা লগ্নে চরম বিশৃঙ্খলা। ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে দুটি পা ভাঙল খোদ রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষের। এদিন দুপুরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে খেমাশুলি হয়ে খড়্গপুরের চৌরঙ্গীতে এসে পৌঁছান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই সময় ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান তন্ময় ঘোষ সহ দলের একাধিক নেতা নেত্রী। এমনকি ধাক্কাধাক্কির মুখে পড়েন খোদ বিধায়করা। সেই সময়ই পা ভেঙে যায় তন্ময় ঘোষের। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দলীয় কর্মীদের কেন নিয়ন্ত্রণ করা গেল না প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে শাসক দলেরই একাংশ। পরে, তন্ময়বাবুকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিত্সা করা হয়। পরে, হুইলচেয়ারে করে তিনি সভাস্থলে যান। তন্ময়বাবু বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসতেই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। তখনই কোনওভাবে পড়ে এই বিপত্তি ঘটে।

    ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    শালবনিতে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোটগ্রহণে এড়ানো গেল না তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। ভোটাভুটি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। এদিন শালবনির মাকলি অঞ্চলের ভোট গ্রহণ চলছিল। সেই সময় কে আগে ভোট দেবে তা নিয়ে শুরু হয় বচসা। হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় উত্তেজনা। যদিও সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ভানু বাগের শ্রাদ্ধ খেতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, মৃত পরিবারে চাকরি দিতে নয়, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ভানু বাগের শ্রাদ্ধ খেতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, মৃত পরিবারে চাকরি দিতে নয়, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে সুশাসন নেই। সম্প্রতি এই রাজ্যে তিনটি বড়ো বড়ো বিস্ফোরণ হয়েছে। মমতা ব্যানার্জী আজকে এগারাতে গিয়েছেন। ভানু বাগের বাড়িতে শ্রাদ্ধ খেতে উনি গিয়েছেন, কোনও মৃতদের পরিবারকে চাকরি দিতে যান নি। উত্তর দিনাজপুরে পুলিশ এক বিজেপি কর্মীর বুকে গুলি করে খুন করেছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। আর এই ভাবেই রাজ্যের শাসক তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) কোথায় সভা করলেন!

    শনিবার বিকালে মালদার মালিকচকে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাসক দল তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এইদিনের এই জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এইদিন বিকালে জনসভা শেষ করে ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি বিধায়ক (Suvendu Adhikari) শুভেন্দু অধিকারী।

    কী বললেন বিরোধী (Suvendu Adhikari) দলনেতা

    মালদায় বিশেষ জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, বর্তমানে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক ৪৫ লক্ষ। বামফ্রন্টের সময় এই সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ। বেশীরভাগ এই পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সংখ্যালঘুরা আছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে পশ্চমবঙ্গকে ৫০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তৃণমূলের নেতারা সেই সব বাড়ি নিয়ে নিয়েছে। ১০০ দিনের কাজে সব থেকে বেশী দুর্নীতি হয়েছে এই মালদা জেলাতে। আরও বলেন তিনি, এই চোরদের তাড়াতে হবে। কেন এই চোরদের ভোট দেবেন? যারা কাঁটা তারের বেড়া টপকে ঢুকেছে, তাদেরকে কাঁটাতারের ওপাশে আবার যেতে হবে। কেন্দ্র সরকারের গ্রহণযোগ্যতা সারা বিশ্বে আর তাই বিদেশের মাটিতে প্রধানমন্ত্রীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছে। কৃষক পরিবারের টাকা আটকে দিয়েছে এই রাজ্যের সরকার। মাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা কমছে আর মদের দোকানের সংখ্যা বাড়ছে বলে বিশেষ অভিযোগ করেন। ডিয়ার লটারি কাটতে কাটতে এই রাজ্যের মানুষকে ভিখারি করে দিয়েছে। এই রকম নানা বাক্য দিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে তোপ

    তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মহম্মদ বিনতুঘলকের সঙ্গে তুলনা করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, জনজোয়ারের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। মুসলিমদের মধ্যে এনআরসির ভয় দেখাচ্ছে। কুড়মিদের মধ্যে লড়াই লাগাচ্ছে মমতা ব্যানার্জী নিজে। রামনবমীর দিনে গোলমাল হয়েছে মমতা ব্যানার্জীর জন্যেই। এই রাজ্যে কোনো চাকরি নেই। সেই সঙ্গে বলেন পশ্চমবঙ্গকে আমাদেরই বাঁচাতে হবে। ডবল ইঞ্জিনের সরকার এই রাজ্যে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সিপিএমের ফাঁদে পা দেবেন না। সিপিএমের আমলে ওরা চাকরি বিক্রি করেছিল। মমতা ব্যানার্জীকে আমি প্রাক্তন করব। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগের কথা তুলে ধরে রাজ্যের সংখ্যালঘু সামজের মানুষের মনে বিশেষ জায়গা তৈরির কৌশল করলেন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে জাতীয় তপশিলি কমিশন, দাবি সিবিআই তদন্তের

    Nadia: মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে জাতীয় তপশিলি কমিশন, দাবি সিবিআই তদন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর পাঁচ দিন কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি একজনও। আর আজ নিহত বিজেপি কর্মী নকুল হালদারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন জাতীয় তপশিলি কমিশনের সহ-সভাপতি অরুণ হালদার। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। সিবিআই তদন্তের দাবী করলেন অরুণ হালদার। খুন হয়েছিলেন বিজেপির বুথ সভাপতি আর তাই ছেলে সিবিআই তদন্ত চাইলেন। বিজেপির বুথ সভাপতি খুন হওয়ার পরে অভিযুক্তরা এখনও অধরা, দাবি পরিবারের।

    নদিয়ায় (Nadia) কীভাবে ঘটেছিল ঘটনা?

    চলতি মাসের ২৩ তারিখ নদীয়ার (Nadia) হাঁসখালীর পেপুল বেড়িয়ার বিজেপির বুথ সভাপতি নকুল হালদারকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলে তাঁর পরিবার। নকুল বাবুর বাড়ি হাঁসখালিতে হলেও, তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের আম বাগানে। পরিবারের পক্ষ থেকে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তরা কেউ গ্রেফতার হয়নি। পরিবারে সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছেন। আজ দিল্লি থেকে জাতীয় তপশিলি কমিশনের সহ-সভাপতি অরুণ হালদারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন। ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বললেন। স্থানীয় বাসিন্দারা কৃষ্ণগঞ্জ থানার আইসি ও অ্যাডিশনাল এসপির সামনেই প্রতিনিধি দলের কমিশনের সহ-সভাপতিকে জানান নকুল বাবুকে খুন করা হয়েছে কীভাবে। কমিশনের সদস্যরা পুলিশের কাছে জানতে চান এই মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণ বিবরণ। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ণ বিবরণ দিলেও, সেই বিবরণের মোটেই সন্তুষ্ট নয় কমিশন। ঘটনাস্থল থেকে এরপর প্রতিনিধি দলটি যায় পরিবারের সাথে দেখা করতে।

    কমিশনের বক্তব্য

    মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের (Nadia) সদস্যরা কমিশনের সহ-সভাপতি অরুণ হালদারের সঙ্গে ঘরে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। আলোচনা সেরে বাইরে বেরিয়ে অরুণ বাবু সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, পরিবারের সাথে প্রশাসনের বক্তব্যের বিস্তর ফারাক রয়েছে। এছাড়াও তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এসপি পদমর্যাদার আধিকারিকদের থাকার কথা থাকলেও ঘটনাস্থলে তাঁরা কেউ ছিলেন না। এছাড়াও তিনি বলেন, ঘটনার ব্যাপারটা প্রশাসন ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে তিনি মনে করেন। এরপর অরুণ হালদার এসপির সাথে বৈঠক করবেন বলে জানান। পরিবারের সদস্যদের আশ্বাস দেন পুলিশের বিচার সঠিকভাবে না হলে এবং দোষীদের গ্রেফতার না হলে, সিবিআই তদন্তের ব্যবস্থা করা হবে।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের (Nadia) সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন নিজের বাড়িতে। এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভে প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তাঁরা দাবি করেন, পুলিশের প্রতি তাঁদের আস্থা নেই, তাঁরা সিবিআই তদন্ত চান। মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবার কবে ন্যায় বিচার পান, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Dilip Ghosh: ‘‘ওনার লোকেরা বোম ফাটিয়ে মানুষ মারবে আর উনি ক্ষতিপূরণ দেবেন’’! মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘ওনার লোকেরা বোম ফাটিয়ে মানুষ মারবে আর উনি ক্ষতিপূরণ দেবেন’’! মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ বাজি কারখানার বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে শনিবার এগরার খাদিকুলে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘ওনার লোকেরা বোমা ফাটিয়ে মানুষ মারবে। আর উনি গিয়ে প্যাকেজ দেবেন।’’ বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির কটাক্ষ, ‘‘বোমা সরবরাহের হাব হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রতিটি ব্লকে ব্লকে বোমার কারখানা তৈরি হচ্ছে। সেই বোমা সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ছে। পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে বোমা সাপ্লাই হচ্ছে। এ রাজ্য আফগানিস্তান-সিরিয়ায় পরিণত হয়েছে।’’

    খাদিকুলে ক্ষমাপ্রার্থী মমতা

    এদিন মেদিনীপুরের এগরায় খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথা নত করে এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই ঘটনায় আমরা খুবই দুঃখিত। এগরার ঘটনায় আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। অবৈধ বাজি কারখানার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে প্রশাসন।’’ যদিও, এই ঘটনার গোটা দায় পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগেরর ওপরই চাপিয়ে হাত ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেন খোদ পুলিশমন্ত্রী। মমতা দাবি করেন, ‘‘গোয়েন্দা বিভাগের ব্যর্থতায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ইন্টেলিজেন্স যদি সঠিক সময় কাজ করত, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না।’’

    অভিষেককেও একহাত দিলীপের (Dilip Ghosh)

    শুক্রবার, তৃণমূলের নব জোয়ার যাত্রায় গিয়ে জঙ্গলমহলের প্রাণ কেন্দ্র ঝাড়গ্রামের গড় শালবনিতে ইট বৃষ্টির মুখোমুখি হতে হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ এই নিয়ে মমতা-অভিষেককে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা একবার সাঁওতাল ক্ষেপাচ্ছেন, একবার কুড়মি ক্ষেপাচ্ছেন। আপনাদের ওপর গোর্খারা ক্ষেপে আছে। রাজবংশীরা ও মতুয়ারা ক্ষেপে আছে। আপনাদের চালাকির রাজনীতির ফল এবার ভুগতে হচ্ছে।’’ কয়েক দিন আগে, অভিষেক যেতেই তাঁকে ঘিরে ‘চোর চোর’ স্লোগান দেন স্থানীয়রা। এর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আক্রমণ করে দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘লোকে কেন আপনাদের আক্রমণ করছে? কেন চোর বলছে?’’ জবাব দেওয়ার ঢঙে নিজেই বলেন, ‘‘মানুষ আজ অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে গেছে। তাই এমন হচ্ছে৷’’

    আরও পড়ুন: ‘‘কুড়মিদের বিষয়ে শহরের রাজপুত্ররা কী জানবে’’! অভিষেককে তুলোধনা দিলীপের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: পূর্ব বর্ধমানের গ্রামে ধসের ইঙ্গিত? আতঙ্কিত গ্রামবাসী

    Purba Bardhaman: পূর্ব বর্ধমানের গ্রামে ধসের ইঙ্গিত? আতঙ্কিত গ্রামবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত চার পাঁচ দিন ধরে পূর্বস্থলী (Purba Bardhaman) দু’নম্বর ব্লকের মুকসিম পাড়া গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এক একটি গর্ত প্রায় ৮ থেকে ৯ ফুট গভীর। হঠাৎ করে এই রকম গর্তের সৃষ্টি হওয়াতে আতঙ্কে এলাকাবাসী। এলাকায় ধস নামার ইঙ্গিত নয় তো?

    কী হয়েছে পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman) ?

    ঘটনা চোখে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের মুকসিম পাড়া গ্রামে। এই গ্রামে প্রায় ৩০০ টি পরিবারের বাস। জনসংখ্যার নিরিখে প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ বসবাস করে এই গ্রামে। গত চার পাঁচ দিন যাবত হঠাৎ করে বিভিন্ন জমিতে বড় বড় গর্ত লক্ষ করা গেছে। এলাকার আম বাগানের জমি হোক, আর চাষের জমি, সমস্ত জায়গায় হঠাৎ হঠাৎ করে গর্ত তৈরি হচ্ছে। সেই কারণে আতঙ্কে রয়েছে এলাকার গ্রামবাসীরা। আমের মরশুমে আম বাগানে হঠাৎ করে এরকম বড় গর্ত হওয়ায় সকলেই চিন্তিত। বাচ্চা ছেলেরা আম কুড়াতে গিয়ে এই গর্তের মধ্যে পড়ে গেলে বিপদ ঘটতে পারে। অপরদিকে বৃষ্টির জল জমে যাওয়াতে বোঝা যাচ্ছে না, জমিতে গর্ত আছে কী নেই? আর যদি কোনও বাচ্চা সেখানে যায়, তাহলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনই পড়লে বাচ্চাদের খুঁজে না পাওয়ার ভয়ও রয়েছে। কারণ এই গর্তগুলি বেশ গভীর। গ্রামবসীরা সকলেই খুব উদ্বেগে রয়েছে।

    এলাকায় (Purba Bardhaman) ধসের ইঙ্গিত নয় তো?

    এই গর্তের ঘটনায় আতঙ্কে গ্রামবাসীরা। গ্রামে আগে গর্ত দেখা যেত ইঁদুরের কিম্বা শিয়ালের! কিন্তু এই ধরনের গর্ত শিয়াল বা ইঁদুরের যে নয় সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এই গর্তগুলো কোন ধসের ইঙ্গিত নয় তো? সেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে মুকসিম পাড়া (Purba Bardhaman) গ্রামবাসীদের।

    স্থানীয় মানুষের প্রতিক্রিয়া

    এলাকার স্থানীয় (Purba Bardhaman) হাসান মণ্ডলের বক্তব্য, বেশ কিছু দিন ধরে এই এলাকায় কিছু বড় বড় গর্ত দেখা যাচ্ছে। গর্তগুলি কিছু জমি এবং বাড়ির পাশে যেমন হয়েছে তেমনি চাষের মাঠে, জমিতেও দেখা যাচ্ছে। ধস বা সুড়ঙ্গের মতন দেখা যাচ্ছে বলে আমরা খুব চিন্তিত। বিশেষ করে পাকাবাড়ি যাদের রয়েছে তারাও খুব চিন্তিত রয়েছে। যদি ধস নামে, তাহলে এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা খেলতে গিয়ে গর্তে পড়ে যেতে পারে। আমরা পঞ্চায়েত এবং ব্লক অফিসে বিষয়টি জানিয়েছি। প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে আশাকরি পদক্ষেপ নেবে। ধস বা সুড়ঙ্গের কারণ ঠিক কী, তা এলাকাবাসীর সামনে অবশ্যই আসা উচিত বলে দাবি করেন হাসন মণ্ডল।

    পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    এলাকার পঞ্চায়েত (Purba Bardhaman) প্রধান আলিবদ্দিনের বক্তব্য, আমি বিষয়টি শুনেছি। আমিও ব্লক অফিসে যাবো এবং বিডিও সাহবের কাছে বিষয়টি তুলে ধরব। এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কিছু একটা ব্যবস্থা অবশ্যই করবো। এখন ঠিক কবে এই গর্ত রহস্যের সমাধান হয়, সেটাই এখন দেখার।       

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: রেল লাইনের সম্প্রসারণে গায়েব হচ্ছে গ্রামের আস্ত একটি পাড়া

    Balurghat: রেল লাইনের সম্প্রসারণে গায়েব হচ্ছে গ্রামের আস্ত একটি পাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট-হিলি (Balurghat) রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য গায়েব হতে যেতে চলেছে গ্রামের আস্ত একটি পাড়া। এর ফলে ওই গ্রামের প্রায় ২৫টি পরিবার গৃহহীন হয়ে যেতে বসেছে। জমির দলিল বা পাট্টা না থাকায়, তাঁরা কেউ ক্ষতিপূরণও পাবেন না বলে জানা গেছে। ফলে আচমকা এই পরিবারগুলির ওপরে নেমে এসেছে আশঙ্কার কালো ছায়া। স্থানীয়রা ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি তুলেছে। সরব হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিও। এই পাড়াকে ঘিরে আন্দোলন তৈরী হচ্ছে বালুরঘাটে।

    কোথায় চলছে রেলের জন্য জমি (Balurghat) অধিগ্রহণ

    বালুরঘাটের (Balurghat) চকভৃগু থেকে ভাটপাড়া, অমৃতখণ্ড হয়ে হিলির দিকে চলে গিয়েছে রেললাইন। দীর্ঘ টালবাহানার পর সম্প্রতি রেলের কাজের জন্য রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ শুরু করেছে। জমি চিহ্নিতকরণ করে খুঁটি বসানো হয়েছে। ঠিক সেই সময় অমৃতখণ্ড পঞ্চায়েতের ডুমইর গ্রামের চক আমোদ পাড়াটি পুরোটাই পড়েছে রেলের চিহ্নিত করা জমির মধ্যে। দীর্ঘ সময় ধরে এই জমিতে বসবাস করছিল ওই কয়েকটি পরিবার। ওই পরিবারগুলিকে কেন্দ্র করেই এলাকায় গড়ে উঠেছিল পাড়াটি। এবার জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হতেই প্রায় ২৫টি বাড়ি ও দৌল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তাবিত রেললাইনের মধ্যে পড়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু এলাকার বাসিন্দাদের জমির কোনও দলিল বা পাট্টা না থাকায়, তাঁরা কোনও ক্ষতিপূরণ পাবেন না বলে জানা গেছে। ফলে গ্রামবাসীদের বক্তব্য, গরিব মানুষের বাড়িঘর চলে গেলে তাঁরা কোথায় থাকবেন?

    গ্রামের (Balurghat) মানুষের প্রতিক্রিয়া

    গ্রামের (Balurghat) বাসিন্দা বৃদ্ধা মুক্তিরানি সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করছি। আমাদের বাড়ি, স্কুল সবই রেলের জমির মধ্যে পড়ে গিয়েছে। তাই সরকারের কাছে আবেদন, আমাদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করে দিন। আবার স্থানীয় গৃহবধূ গৌরী বর্মন বলেন, আমাদের পাড়ার প্রায় সবাই গরিব। সকলেরই প্রায় দিন এনে দিন খাওয়া পরিবার। রেল তার জমি চিহ্নিত করে গিয়েছে। সরে যেতে বলেছে আমাদের। কিন্তু আমাদের অন্যত্র জমি কেনার ক্ষমতা নেই! কী করব বুঝতে পারছি না !

    রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া

    একইভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি গ্রামবাসীদের (Balurghat) পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন। বিজেপির তরফে জেলা শাসকের কাছে ওই এলাকার মানুষদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন দলের জেলা সম্পাদক বাপি সরকার। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বসবাস করেও জমির দলিল বা পাট্টা না থাকায় এতদিন সরকারি কোনও সুযোগসুবিধা পাননি ওই পাড়ার বাসিন্দারা। রেলের তরফেও কোনও ক্ষতিপূরণ পাবেন না তাঁরা। তাই তাঁদের পুনর্বাসনের দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের আন্দোলন চলবে। দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে বসবাস করা মানুষের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ নিয়ে, সরকার কিছু ভাবেন কি না, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sengol: রবিবার নয়া সংসদের উদ্বোধন! মোদির হাতে ‘সেঙ্গল’ তুলে দেবেন মাদুরাই মঠের প্রধান পুরোহিত

    Sengol: রবিবার নয়া সংসদের উদ্বোধন! মোদির হাতে ‘সেঙ্গল’ তুলে দেবেন মাদুরাই মঠের প্রধান পুরোহিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ভারতের দেশ বিখ্যাত মন্দির মাদুরাই আধিনম। প্রধান পুরোহিতের নাম শ্রী হরিহর দেশিকা। তাঁকে নিয়েই জোর আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। কারণ এই প্রধান পুরোহিত নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে সেঙ্গল (Sengol) তুলে দেবেন। এদিন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘২০২৪ সালে ফের ক্ষমতায় ফেরা উচিত নরেন্দ্র মোদির।’’ প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ২৮ তারিখে এই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন হবে। সেদিনই প্রধানমন্ত্রীর হাতে সেঙ্গল তুলে দেবেন মাদুরাই আধিনমের ২৯৩ তম প্রধান পুরোহিত। প্রসঙ্গত, রবিবার সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে হবে ভবনের প্রাণ প্রতিষ্ঠা। পুজো শেষে সংসদে স্থাপন করা হবে ‘সেঙ্গল’। এজন্য উপস্থিত থাকবেন তামিলনাড়ুর ২০ জন স্বামী। এর পর আধ ঘণ্টা ধরে হবে প্রার্থনা সভা। উপস্থিত থাকবেন শঙ্করাচার্য সহ দেশের পণ্ডিত বর্গ ও সাধুসন্তরা। দুপুর ১২টায় জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান।

    আরও পড়ুন: রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন, জেনে নিন মেগা অনুষ্ঠানের সূচি

    কী বললেন প্রধান পুরোহিত?

    এদিন প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বনেতা উল্লেখ করে প্রধান পুরোহিত শ্রী হরিহর দেশিকা বলেন, ‘‘আমরা সকলেই তাঁর (নরেন্দ্র মোদি) জন্য গর্বিত। তিনি জনগণের জন্য অনেক ভাল কাজ করছেন এবং ২০২৪ সালে তাঁর ফেরা উচিত দেশকে দিশা দেখানোর জন্য।’’

    সেঙ্গেল বসানো হবে লোকসভার অধ্যক্ষের চেয়ারের কাছেই

    ১৯৪৭ সালে দেশের স্বাধীনতার সময়ে এই সেঙ্গল ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুকে দিয়েছিল ব্রিটেন। ন্যায় বিচারের প্রতীক এই সেঙ্গলকে (Sengol) স্থাপন করা হবে ঠিক অধ্যক্ষের চেয়ারের কাছেই, এমনটাই জানা গেছে। লোকসভায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে রবিবার দুপুর থেকেই। হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান প্রমুখ। জানা গেছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কাছেও। লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ শিবরাজ পাতিল, কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে সহ একাধিক বিরোধী নেতার কাছে আমন্ত্রণ গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barasat: আগুনে ভস্মীভূত উচ্চ মাধ্যমিকে সফল রাজেশ দাসের রেল বস্তির ঠিকানা

    Barasat: আগুনে ভস্মীভূত উচ্চ মাধ্যমিকে সফল রাজেশ দাসের রেল বস্তির ঠিকানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের (Barasat) বয়েজ হাইস্কুল থেকে এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল রাজেশ দাস। অদম্য জেদ এবং দারিদ্রতাকে দূরে সরিয়ে আজ উচ্চমাধ্যমিকে সফল হয়েছে রেল বস্তির যুবক রাজেশ। বাণিজ্য বিভাগে ৮৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৩৮। নিজের স্কুলে বাণিজ্য বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে রাজেশ। কিন্তু পরীক্ষায় সাফল্য এলেও তার কাছে পরিবারের দারিদ্র এখন প্রধান বাধা।

    বারাসাতে (Barasat) কীভাবে পড়াশুনা করত রাজেশ

    ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছে রাজেশ। সেই থেকে সংগ্রাম শুরু। বাবার ছায়াতেই বড় হয়ে ওঠা তার। বাবা সহদেব দাস রাজেশের একমাত্র প্রেরণা। পাড়ায় পাড়ায় কসমেটিক্সের জিনিস ফেরি করে তার পিতা। সামান্য আয়ে, কোনও রকমে সংসার চলে দু’জনের পরিবার। তাই, নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করা যথেষ্টই কষ্টসাধ্য। তবে কষ্ট হলেও নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করে চলেছে (Barasat) পিতা।

    পড়াশুনার (Barasat) লড়াই কতটা কঠিন

    ভালো ফলাফল করেও মন ভালো নেই রাজেশের। কারণ, চারদিন আগেই শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার হৃদয়পুর (Barasat) স্টেশনের পাশে রেল ঝুপড়িতে ভয়াবহ আগুনে সর্বস্বান্ত রাজেশের পরিবার। চোখের সামনে নিমেষে পুড়ে ছাই হতে দেখেছে ছোট্ট সংসার। কোনক্রমে ঘর থেকে বেরিয়ে বাবা-ছেলে জীবন বাঁচাতে পারলেও, আগুনের গ্রাস থেকে রক্ষা করতে পারেনি জিনিসপত্র। নষ্ট হয়ে গিয়েছে রাজেশের যাবতীয় বই এবং উচ্চমাধ্যমিকের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও। উচ্চ মাধ্যমিকের এডমিট কার্ড, এমনকি পরনের জামা কাপড় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। একেই সামনে কলেজের ভর্তি আর সেক্ষেত্রে লাগবে এডমিট কার্ড। তাই কীভাবে সে কলেজে ভর্তি হবে, এখন সেই দুশ্চিন্তা তাকে ভাবাচ্ছে। আপাতত রেল লাইনের পাশেই এক অস্থায়ী ঠিকানায় ঠাঁই হয়েছে দু’জনের।

    বাবার আবেদন

    এই প্রসঙ্গেই পিতা সহদেব দাস বলেন, “আগুনে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। এই কষ্টের মধ্যেও ছেলে উচ্চমাধ্যমিকে (Barasat) ভালো ফলাফল করেছে, এটাই সবচেয়ে আনন্দের। আমার সামর্থ্য নেই যে ওকে আর্থিক সহযোগিতা করব। তাই প্রশাসনের কাছে আবেদন, আমার ছেলের ভবিষ্যৎ গড়তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে খুব উপকার হবে।”

    রাজেশের স্বপ্ন

    এদিকে, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোই যে তার একমাত্র লক্ষ্য, তা স্পষ্ট জানিয়েছে রাজেশ দাস। সে বলেছে, অনেক পরিশ্রম করে সমস্ত কিছু তৈরি করেছিলাম। কিন্তু, সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে আগুনে। শিক্ষিত হয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই। প্রশাসন (Barasat) এই আবেদনে কতটা সাড়া দেয়, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Diary of West Bengal: ‘ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর পরিচালককে তলব মমতা পুলিশের, প্রতিবাদ বিজেপির

    Diary of West Bengal: ‘ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর পরিচালককে তলব মমতা পুলিশের, প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সন্ত্রাস নতুন কোনও ঘটনা নয়। হত্যা ও লুটের এই রাজনীতির বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। এবার বড় পর্দায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসকে তুলে ধরার জন্য ‘ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ (Diary of West Bengal) নামের ছবির ট্রেলার প্রকাশ পেল। ছবিটির ট্রেলার সামনে আসতেই পরিচালক সনোজ মিশ্রকে থানায় তলব করেছে কলকাতা পুলিশ। জানা গেছে গত ১১ মে আমর্হাস্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ব্যক্তি। শুধু সনোজ মিশ্রই নয় অভিযোগে নাম রয়েছে প্রযোজক জিতেন্দ্র নারায়ণ সিংয়েরও। প্রযোজকই এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন বলে জানা যাচ্ছে।

    কী বলছেন ছবির পরিচালক?

    আগামী ৩০ মে তদন্তকারী অফিসারের সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে পরিচালককে। ছবির মালিককেও ডাকা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। পরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে আবার প্রদর্শনীর ছাড়পত্র পায় সিনেমাটি। এবার ‘ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ ছবির ক্ষেত্রেও একই পথে হাঁটছে মমতা সরকার। পরিচালক সনোজ মিশ্র বলেন, ‘‘কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে, বেকারত্ব বাড়ছে এসব নিয়েই বাংলার বাস্তব পরিস্থিতিকে তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে।’’

    কী বলছে বিজেপি?

    ছবির পরিচালককে (Diary of West Bengal) পুলিশি তলবের ঘটনাকে স্বৈরতান্ত্রিক বলছে বিজেপি। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের মতে, ‘‘বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। বাংলা থেকে জঙ্গি ধরা পড়ছে। এই বাস্তবতাকে কেউ যদি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরতে চান সেটা তো সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য। সেটা কতটা সত্য, কতটা আংশিক সত্য তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু সিনেমাকে নিষিদ্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চরম অগণতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণু।

    ট্যুইট করেছেন অমিত মালব্য

    বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন, ‘‘৩০ মে পরিচালককে ডাকা হয়েছে কলকাতার থানায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে এটাই হল বাক স্বাধীনতা, শিল্প ও শিল্পীর মুক্তচিন্তার পরিবেশ।’’

    ছবির খুঁটিনাটি

    এই ছবির যে ট্রেলার প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখানো হয়েছে বাংলায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের পরিবেশ। এবং তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে বাংলা নব্বইয়ের দশকের কাশ্মীর হওয়ার পথে এগোচ্ছে। মহারাষ্ট্রের সনোজ মিশ্র এই ছবিটির পরিচালক। এবং এটি ওয়াসিম রিজভি ফিল্মসের তরফ থেকে প্রযোজনা করা হচ্ছে। চিত্রনাট্য লিখেছেন জিতেন্দ্র নারায়ণ সিং। ফিল্ম নির্মাতাদের দাবি, সত্য ঘটনার উপরেই এই সিনেমা বানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়ে নবান্নের সঙ্গে সংঘাত, ফাইল ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share