Tag: Bengali news

Bengali news

  • ECL: ইসিএলের রাস্তা দখল করে পাঁচিল তুলল তৃণমূল কাউন্সিলার! ভাঙলেন এলাকাবাসী, কেন?

    ECL: ইসিএলের রাস্তা দখল করে পাঁচিল তুলল তৃণমূল কাউন্সিলার! ভাঙলেন এলাকাবাসী, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাজারে যাওয়ার রাস্তা। সকলেই ইসিএলের (ECL) জমি হিসেবেই জানেন। বাজারে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা এলাকার মানুষ ব্যবহার করেন। এবার সেই রাস্তা দখল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি ডিসেরগড়ের সাঁকতোড়িয়া বাজার এলাকায়। আর রাস্তা দখল করে আসানসোল পুরসভার ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অঞ্জন মণ্ডল রাতারাতি পাঁচিল দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে এলাকায় শোড়গোল পড়ে গিয়েছে।

    রাস্তা ঘিরে পাঁচিল তৈরি করায় কী করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    সাঁকতোড়িয়া বাজারের ছোট-বড় প্রায় শ’খানেক দোকান রয়েছে। এই বাজারে আসতে এলাকার বাসিন্দারা ইসিএলের (ECL) রাস্তা ব্যবহার করেন। সেই রাস্তা দখল করে পাঁচিল দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সকলেই জোটবদ্ধ হয়ে পাঁচিল ভেঙে দেন। কাউন্সিলারের লোকজন এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সাঁকতোড়িয়া বাজার প্রায় একশো বছরের পুরানো। এই বাজারের জমির মালিক ইসিএল (ECL)। সকলেই এই জমি রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করেন। সেই জমি কী করে কাউন্সিলার দখল করে নেয়। কারণ, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। নিজের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ওরা এসব করেছে। ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে বলছে, ইসিএলের (ECL) জমির মালিক এখন কাউন্সিলর। আমরা তা মেনে নিইনি। এদিন আমরা সকলেই এসে রাস্তার উপর তৈরি হওয়া পাঁচিল ভেঙে দিয়েছি। পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। ঘটনার পর পরই স্থানীয় তৃণমূল নেতা চন্দন আচার্য ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, এটা তো রাস্তা। সেই রাস্তা দখল করে পাঁচিল তোলা চলবে না। আমরা মেনে নেব না। তাই, এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে রয়েছি।

    কী বললেন অভিযুক্ত কাউন্সিলার?

    দলের নেতাই কাউন্সিলারের এই অপকর্ম নিয়ে সরব হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। পাঁচিল ভাঙা প্রসঙ্গে কাউন্সিলার অঞ্জন মণ্ডল বলেন, কাউন্সিলর হয়ে আমি কোনও বেআইনি কাজ করিনি। আমি আমার জমিতে পাঁচিল দিয়েছি। সেটা ওরা ভেঙে দিয়েছে। সকলের নামে আদালতে মামলা করব।

    রাস্তা দখল করা নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতা?

    এই বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা অভিজিৎ আচার্য বলেন, এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার জমি দখল করছে, দলেরই আরেক নেতা এই অভিযোগ করছেন। এতে বোঝাই যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের পরিস্থিতি। সব জায়গাতেই তারা দুর্নীতিতে লিপ্ত। ইসিএলের (ECL) জমিও ওরা নিজের বলছে। এর আগে ইসিএলের বহু জমি ওই তৃণমূল নেতা বিক্রি করে দিয়েছে। এবারও সেই চেষ্টা করেছিল। এলাকার মানুষের বাধাতে আর সেটা করতে পারেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে পারবে ইডি, ‘সুপ্রিম’ রায়ে বিপাকে অভিষেক ঘনিষ্ঠ আইনজীবী

    Supreme Court: সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে পারবে ইডি, ‘সুপ্রিম’ রায়ে বিপাকে অভিষেক ঘনিষ্ঠ আইনজীবী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ড মামলায় নাম জড়িয়েছিল রাজ্য সরকারের আইনজীবী সঞ্জয় বসুর। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) রক্ষাকবচ দিয়েছিল তাঁকে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের দেওয়া সেই রক্ষাকবচ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। হাইকোর্ট এও জানিয়েছিল, সঞ্জয়কে জেরা করা যাবে না। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি (ED)। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য সরকারের আইনজীবী সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবেন ইডির আধিকারিকরা। প্রয়োজনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা যাবে। তবে বারংবার ডেকে পাঠিয়ে জেরা করা যাবে না তাঁকে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ভি রামসুব্রহ্মণ্যম ও বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তলের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ইডির তদন্তে সঞ্জয়কে কোনওরকম হেনস্থা করা যাবে না। তাঁর ঠিকানায় তল্লাশিও চালানো যাবে না। করা যাবে না বাজেয়াপ্তও।

    সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ইডি…

    পিনকন ও টাওয়ার গোষ্ঠী নামের ভুয়ো দুই অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ইডি তল্লাশি চালিয়েছিল সঞ্জয়ের বাড়িতে। সঞ্জয় তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তদন্তকারীরা দীর্ঘক্ষণ জেরাও করেছিলেন তাঁকে। ইডির তল্লাশির পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সঞ্জয় তাঁর ও রাজ্যের আইনজীবী বলেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। গ্রেফতারির আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সঞ্জয়। হাইকোর্ট সঞ্জয়কে রক্ষাকবচ দেয়। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যায় ইডি।

    আরও পড়ুুন: আজ লাভপুরে সভা! ‘কাক কখনও ময়ূর হতে পারে না…’ তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্তর

    ইডির তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু বলেন, গ্রেফতারের প্রয়োজন নেই। ইডি হেনস্থা করবে না। ইডির প্রধান অভিযোগ ছিল, ওই দুই ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা থেকে টাকা নিয়েছিলেন সঞ্জয়। এদিন সঞ্জয়ের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, এই অর্থ পেশাদার ফি হিসেবে নেওয়া হয়েছিল। পরিষেবা না দেওয়ায় তা ফেরতও দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ওই দুই ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার একাধিক মামলায় আইনজীবী ছিলেন সঞ্জয়। সেই সূত্র ধরেই ইডির স্ক্যানারে চলে আসেন অভিষেক ঘনিষ্ঠ এই আইনজীবী। ১ মার্চ তাঁর বাড়ি গিয়ে দিনভর বসিয়ে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। প্রায় ২৩ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয় তাঁর বাড়িতে। তারপর ফের ১০ মার্চ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে (Supreme Court) তলব করা হয়েছিল সঞ্জয়কে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব সুকান্ত! মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন?

    Sukanta Majumdar: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব সুকান্ত! মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পুরসভায় নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুর শহরে মিছিল করে বিজেপি। পরে, পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “ছয়মাস পার হয়ে গেলেও দুর্গাপুর পুরসভায় নির্বাচন হয়নি। এক কাউন্সিলরের পদ চলে যাওয়ার পর সে নিজে গিয়ে পুরসভায় চাকরি নিয়েছেন।” দুর্গাপুর পুরসভায় চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। পুরসভা থেকে ভ্যাকসিন চুরি নিয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কুকুরের ভ্যাকসিন চুরি করে খাচ্ছে চোরেরা। রাস্তায় তৃণমূল নেতারা ঘুরলে আর কুকুরে কামড়ে দিলে কুকুরের কোনও দোষ থাকবে না। তৃণমূল নেতাদের দোষ থাকবে। আসলে এরা জানে আজ না হয় কাল কুকুর কামড়াবে, তাই আগে থেকেই ভ্যাকসিন লুকিয়ে রাখছে।”

    মন্ত্রী মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    দলীয় সভা থেকে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের খাতায় ইতিমধ্যেই মলয় ঘটকের নাম উঠে গিয়েছে। “কয়লা ঘটক নামে এই জেলাকে এখন চেনা হয়। সিবিআইয়ের ডাক পেয়েছে, ঘটক বলছে যাব না। দিল্লিতে আজ না হয় কাল কয়লা ঘটককে যেতেই হবে।”

    রাজু ঝা-কে নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    ইতিমধ্যেই রাজু ঝা-কে খুন করার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। কীভাবে তাঁকে দুষ্কৃতীরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে খুন করেছে তা ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে। সেই ভিডিও পুলিশের হাতে এসেছে, তারপরও দুষ্কৃতীরা অধরা। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “বড় মাথার হাত আছে। রাজু ঝায়ের হাতে থাকা তথ্য সিবিআইয়ের কাছে গেলে অনেক রাঘব বোয়াল ধরা পড়ত। আন্দাজ করছি, ঘটনায় বড়সড় চক্রান্ত আছে।”

    তৃণমূলের জাতীয় দল হারানো প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এদিন তিনি তৃণমূলের জাতীয়দলের তকমা হারানো প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “কাক পেখম লাগালেই ময়ূর হয় না। তৃণমূল জাতীয় দল হলে, কাঁঠালের আমসত্ত্ব হবে। সোনার পাথরবাটি হবে। তৃণমূল কখনই জাতীয় দল ছিল না, জাতীয় দল সেজে ছিল। কাঁঠালের আমসত্ব হবে না। সোনার পাথর বাটি সম্ভব নয়। তৃণমূল জাতীয় দল হবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Police Officer: সরিয়ে দেওয়া হল ইসলামপুরের পুলিশ সুপারকে! হাওড়ার দুটি থানার আইসি-কে বদল, কেন?

    Police Officer: সরিয়ে দেওয়া হল ইসলামপুরের পুলিশ সুপারকে! হাওড়ার দুটি থানার আইসি-কে বদল, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বার বার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমা। আইন শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের কালঘাম ছুটছে। তারই জেরে কি ইসলামপুর জেলার পুলিশ সুপার (Police Officer) বিশপ সরকারকে বদল করে বিধাননগর কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার যশপ্রীত সিং- কে আনা হয়েছে, নাকি এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক কোনও কারণ? তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। পাশাপাশি রামনবমীর মিছিল এবং হামলার ঘটনা নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য–রাজনীতি। আর তা নিয়ে হাওড়ার একাধিক এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছিল। তার পরই এবার হাওড়া ও শিবপুর থানার আইসি-কে সরিয়ে দেওয়া হল। সোমবার রাতে হাওড়ার এই দুই থানা এলাকাতেই পুলিশে রদবদল করল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, হাওড়া থানার আইসি (Police Officer) দীপঙ্কর দাসকে পাঠানো হয়েছে ঝাড়গ্রামের কোর্ট ইনসপেক্টর করে। আর চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আইবি থেকে সন্দীপ পাখিরাকে এনে হাওড়া থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম থেকে শিবপুর থানার দায়িত্বে আনা হয়েছে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। শিবপুরের দায়িত্বে ছিলেন অনুপ কুমার রায়। তাঁকে রাজ্য পুলিশের আইবিতে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

    আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্যই কী ইসলামপুরের এসপি (Police Officer) বদল?

    সোমবার বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম হন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামপুর থানার আগডিমটি খুন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের বানিয়াভিটা গ্রামে। ঘটনাস্থল থেকে ১২ টি তাজা বোমা ও বোমা বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। গত ৩০শে মার্চ দলের প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুইজনের। ঘটনাটি ঘটে চোপড়া থানার চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের দীঘাবানা এলাকায়। ১০ ই মার্চ চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হন চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের যুগ্ম অঞ্চল সভাপতি। ৮ই মার্চ বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমার আঘাতে সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ইসলামপুরের দক্ষিন মাটিকুন্ডা গ্রামে। মৃতের নাম সাকিব আখতার। অভিযোগ ওঠে ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনায় প্রধান সহ ১২ জন গ্রেফতার হয়। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী প্রকাশ্যে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এমনকী তাঁর দল বদল নিয়ে জেলা জুড়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ফোন করে কথাও বলেছিলেন। আর তারপরই পুলিশ সুপার (Police Officer) বদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    হাওড়া–শিবপুরে আইসি (Police Officer) বদলের কারণ কী?‌

    এই দুই জায়গায় রামনবমীর মিছিলে যে অশান্তি হয়েছিল তার জন্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‌যখন প্রচুর লোক ঢুকে গিয়েছে, তখন পুলিশ গুলি চালালে যে কারও মাথায় লাগতে পারত। ফলে কিল খেয়ে কিল হজম করতে হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আমরা আটকাতে পেরেছি। এখানে হল না। এই জায়গায় অবশ্যই পুলিশের ব্যর্থতা আছে, স্বীকার করছি। যা পদক্ষেপ করার করব।’‌ এবার পদক্ষেপ করা হল হাওড়া–শিবপুরের ক্ষেত্রে। তবে রিষড়ার ক্ষেত্রে পৃথক সার্কেল তৈরি করা হয়েছে। রিষড়া থানাকে কেন্দ্র করে ওই সার্কেলের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রবীর দত্তকে। আগে তিনি রিষড়া থানার ওসি ছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal Movement: দণ্ডি-কাটা ইস্যুতে আদিবাসীদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিক্ষোভ-মিছিল

    Tribal Movement: দণ্ডি-কাটা ইস্যুতে আদিবাসীদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিক্ষোভ-মিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কেটে তৃণমূলে যোগদানের ঘটনায় মঙ্গলবার আদিবাসীদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ-মিছিল (Tribal Movement) করা হল। আদিবাসী যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে এদিন বিকেলে বালুরঘাট হাইস্কুল ময়দান থেকে ওই মিছিল বের করা হয়। এই মিছিল পরিক্রমা করে সারা শহর। পরে জেলাশাসকের দফতরের সামনে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। 

    ন্যক্কারজনক ঘটনা আদিবাসী সমাজ মেনে নেবে না, ঘোষণা সংগঠনের

    সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা আদিবাসী সমাজ মেনে নেবে না। তারই প্রতিবাদে এদিন জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ (Tribal Movement) দেখানো হচ্ছে। তাদের দাবি, পুলিশের খাতায় যেভাবে অজ্ঞাত দুষ্কৃতী লেখা হয়েছে, তা অন্যায়। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে প্রধান সংবাদমাধ্যম, সব জায়গাতেই এটা পরিষ্কার দেখানো হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কে। এমনকী তৃণমূল দল মেনে নিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে প্রদীপ্তা চক্রবর্তী যুক্ত আছেন এবং সেই কারণেই তাকে দলের সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেও পুলিশ কেন বিষয়টি বুঝতে পারছে না, তা অজানা।

    বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

    আগামী দিনে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের (Tribal Movement) হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বলে জানান জেলার পুলিশ সুপার রাহুল দে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীরা বালুরঘাট থানার সামনে এসে প্রায় এক ঘন্টা পথ অবরোধ করেন। এরপর আদিবাসী যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে। অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। এদিন পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাতশংকর এলাকার পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে।

    উল্লেখ্য, দণ্ডি কাটিয়ে সংগঠনে যোগদানের ঘটনাকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল সমর্থন করেনি। এমনকী সংগঠনের সমস্ত পদ থেকে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরানো হয়েছে। রাজ্য পার্টির নির্দেশে জেলা মহিলা তৃণমূলের নতুন সভাপতি হিসাবে একজন আদিবাসী মহিলাকে তুলে এনেছে দল। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার আদিবাসী সমাজের কাছে ভুল বার্তা যাতে না যায়, সেজন্যই এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Police: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বারের জাল লাইসেন্স দিয়েছিলেন ধৃত কলকাতা পুলিশের এসিপি!

    Kolkata Police: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বারের জাল লাইসেন্স দিয়েছিলেন ধৃত কলকাতা পুলিশের এসিপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হওয়ায় ধৃত সোমনাথ ভট্টাচার্যের কথা অনেকেই বিশ্বাস করতেন। নিজের পদকে ব্যবহার করেই বারের লাইসেন্স বা চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন। জানা গিয়েছে, সঞ্জয় বসু নামে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বারের লাইসেন্সের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। অন্য একজনের কাছে ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। সঞ্জয়বাবুকে বারের লাইসেন্সও পাইয়ে দিয়েছিলেন সোমনাথবাবু। আবগারি দফতরের স্ট্যাম্পসহ সব কিছুই ওই লাইসেন্সে ছিল। সঞ্জয়বাবু দোকান খোলার জন্য উদ্যোগও নিয়েছিলেন। পরে, আবগারি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেই জানতে পারে, সমস্ত কাগজপত্র জাল। এরপরই তিনি বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অন্য একজনও প্রতারিত হয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু লোকজনের কাছে তিনি চার-পাঁচ লক্ষ টাকা করে তুলেছেন। সব মিলিয়ে তিনি প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি তুলেছিলেন বলেই পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে, জাল নথি তিনি কী করে তৈরি করলেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে।

    পুলিশ অফিসারের (kolkata Policeলক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ারও নিয়ম ছিল, কী সেটা জানেন?

    পুলিশের চোখে ধূলো দিতেই কারও কাছ থেকে চেক বা অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নিতেন না। সমস্ত টাকা নগদে নিতেন কলকাতার (Kolkata Police) এসিপি সোমনাথ ভট্টাচার্য। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা এই তথ্য জানতে পেরেছেন। মূলত বরাহনগরে বনহুগলির বাড়িতে বসেই সে এই কারবার চালাত। অফিসে কারও সামনে এসব বিষয়ে কথা পর্যন্ত বলত না। বাড়িতে বসেই এই সব বিষয়ে কথাবার্তা এবং লেনদেনও হত সেখানে। ইতিমধ্যেই তার বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা এবং বেশ কিছু কাগজপত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে, বাকি টাকার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। আর ওই পুলিশ অফিসারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একসঙ্গে নগদ এত টাকা নিয়ে তিনি কোথায় রাখতেন তা পুলিশ আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: চাকরি দুর্নীতিতে নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিতের! ঠিক কী অভিযোগ?

    Scam: চাকরি দুর্নীতিতে নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিতের! ঠিক কী অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : এবার চাকরি দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল তৃণমূলের তারকা বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে বাঁকা পথে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়েকে। অভিযোগ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি বিক্রির নামে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীর পরিবারকে। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীর এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতে। যদিও সমস্ত অভিযোগ তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী অস্বীকার করেছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০১৪-১৫ সালে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের জন্য বারাসত পুরসভায় বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। নিয়ম মেনে তাতে আবেদন করেছিলেন বারাসতের উত্তর কাজিপাড়ার বাসিন্দা কাজী আজিজ হোসেন হায়দার। পুরসভা সূত্রে খবর, এই চাকরির জন্য সাতশো-র বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার দিনক্ষণও ধার্য করা হয়েছিল। লিখিত পরীক্ষার পর ইন্টারভিউও হয়। ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন কাজী আজিজ হোসেন হায়দার। তাঁর দাবি, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ওই প্রার্থীর কপালে জোটেনি পুরসভার স্থায়ী কর্মী পদের চাকরি। অভিযোগ, তাঁর পরিবর্তে চাকরি পেয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর নিরপত্তারক্ষীর মেয়ে পায়েল ইন্দু (মণ্ডল)। আর এই নিয়োগে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে বলে বঞ্চিত প্রার্থীর দাবি। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কীভাবে একজন যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে সেই চাকরি পাইয়ে দেওয়া হল তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়েকে! তাহলে কি কোথাও বিধায়কের প্রভাব কাজ করেছে এক্ষেত্রে? যোগ‍্যতার মাপকাঠি বিচার না করেই পুরসভার চেয়ারম্যান ঘুরপথে চাকরি দিয়েছেন।

    কী বললেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী?

    বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী কাজী আজিজ হোসেন হায়দার বলেন, “ওই নিয়োগ পরীক্ষায় মেরিট লিস্টে আমার নাম ছিল তিন নম্বরে। এরপর ইন্টারভিউয়ে সবকিছু ঠিকঠাক ভাবেই উত্তর দিয়েছিলাম। কিন্তু, পরে শুনলাম সেই চাকরি পেয়েছেন বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়ে। আমার বিষয়টি দেখার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে বার বার অনুরোধ করেছিলাম। যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও আমাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি ।”

    কী বললেন পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান কাউন্সিলর?

    বিতর্কিত এই নিয়োগের সময় বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন সুনীল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই অভিযোগ ঠিক নয়। সমস্ত নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছিল। আসলে যে অভিযোগ করছে তিনি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।

    নিয়োগ নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, আমি কোনও দুর্নীতি (Scam) করিনি। আর কারও জন্য সুপারিশ করেছি বলে মনে নেই। আর এই ধরনের অভিযোগ করা হলে প্রমাণ দিতে হবে। আমার বিরুদ্ধে আঙুল তুললে হবে না। কারণ, আমি জানি এই ধরনের কোনও কাজ আমি করিনি। এই বিষয়ে আমি স্বচ্ছ রয়েছি।

    নিয়োগ নিয়ে কী বললেন পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান?

    পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, আমার কাছে এই ধরনের কোনও অভিযোগ হয়নি। এটুকু বলতে পারি, আগে বোর্ডে যা নিয়োগ হয়েছে কোথাও কোনও দুর্নীতি (Scam) হয়নি। স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে। আর নিয়োগ নিয়ে কোনও দুর্নীতির (Scam) অভিযোগ আসলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Complain: অয়ন শীলের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ! প্রতারিত চাকরি প্রার্থীর পাশে বিজেপি

    Complain: অয়ন শীলের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ! প্রতারিত চাকরি প্রার্থীর পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের বিরুদ্ধে এবার চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ (Complain) দায়ের করলেন প্রতারিত এক চাকরি প্রার্থী। তাঁর নাম চয়নিকা আঢ্য। বাড়ি চুঁচুড়ার ষন্ডেশ্বর তলায়। দুর্নীতির অভিযোগে ইডি-র (ED) হাতে অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর চয়নিকা তাঁর প্রতারণার কথা সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছিলেন। যোগ্যতা থাকার পরও টাকা না দেওয়ায় অয়ন চাকরি দেয়নি বলে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে, পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই প্রথম অয়নের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ (Complain) দায়ের করেন। পাশাপাশি টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ (Complain) দায়ের করা হয়েছে।

    অয়ন শীলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ (Complain)?

    চয়নিকা আঢ্য নামে ওই চাকরি প্রার্থী ২০১৯ সালে টিটাগড় পুরসভার গ্রুপ ডি পদে চাকরি পেয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই চাকরিতে যোগ দিতে গেলে অয়ন শীল ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিতে পারায় নিজের যোগ্যতায় পাওয়া চাকরি করতে পারেননি চয়নিকা। টিটাগড় পুরসভায় প্রায় এক সপ্তাহ তিনি কাজও করেছিলেন। জিরো ব্যালেন্সে ব্যাংকের স্যালারি অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। এটিএম কার্ডও দেওয়া হয়। তারপরও চাকরি হয়নি তাঁর। পুরসভায় জানতে গেলে টাকা না দিলে চাকরি হবে না বলে জানানো হয়।

    এতদিন পর অয়নের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ (Complain) নিয়ে কী বললেন চয়নিকা?

    ১ লা এপ্রিল বিজেপি আইনজীবী সেলের এক প্রতিনিধি দল চয়নিকার বাড়িতে গিয়ে আইনি সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এরপরই সোমবার চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ (Complain) দায়ের করেন চয়নিকা। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি আইনজীবী সেলের সদস্যরা। অয়ন শীল ছাড়া আরও তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Complain) করা হয়। জানা গিয়েছে, যে পুলিশ কর্মী অয়ন শীলের বার্তা নিয়ে চয়নিকার বাড়িতে গিয়েছিলেন সেই মানস সেন, টিটাগড় পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী এবং টিটাগড় পুরসভার বড়বাবু শঙ্কর কুমার সিং-এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ (Complain) করা হয়েছে। চয়নিকা বলেন, পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলাম। অয়ন শীলের এই চক্রের জন্য সেই চাকরি করতে পারিনি। আমার হকের চাকরি ফেরত চাই। অভিযুক্তের শাস্তি চাই। আর অয়ন শীলের লোকজন হুমকি দিত বলে এতদিন থানায় অভিযোগ (Complain) করতে পারিনি। এখন পাশে অনেকে রয়েছে, তাই সাহস করে থানায় অভিযোগ (Complain) জানালাম।

    কী বললেন বিজেপি-র আইনজীবী সেলের সদস্য?

    চয়নিকার আইনজীবী তথা বিজেপি-র আইনজীবী সেলের সদস্য শিবাজি দাস বলেন, চয়নিকার কাছে যে তথ্য প্রমাণ রয়েছে, তার ভিত্তিতে চাকরি ফিরে পেতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা না। তাই, এদিন এফ আই আর করা হয়েছে। পুলিশ কি ব্যবস্থা নেয় তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি! তৃণমূল নেতার ভাগ্নের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

    Scam: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি! তৃণমূল নেতার ভাগ্নের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দুর্নীতি (Scam) নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। দুর্নীতিতে (Scam) জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের একের পর এক রাঘববোয়ালরা জেলে যাচ্ছে। এবার চাকরি দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল আরামবাগের এক তৃণমূল নেতার ভাগ্নের। মামা তৃণমূলের আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান। আর তাঁকে ভাঙিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম অভিজিৎ হাজরা। তার বাড়ি হুগলি জেলার আরামবাগ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে। সে আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারির ভাগ্নে। লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়ার পর চাকরি না হওয়ায় প্রতারিতরা সোমবার রাতে তৃণমূল নেতার ভাগ্নের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর সময় ঘর ছেড়ে চম্পট দেয় সে।

    ঠিক কী অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের?

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালসহ স্বাস্ব্য দফতরের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি দেওয়ার নাম করে তৃণমূল নেতার ভাগ্নে অভিজিৎ হাজরা টাকা তোলে। স্বাস্থ্য দফতরের পদ অনুযায়ী টাকা নেওয়া হত। ২০ হাজার থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত একজন চাকরিপিছু প্রার্থীর কাছে টাকা নেওয়া হত। প্রায় ১৫০ – ২০০ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে সবমিলিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে চেয়ারম্যানের গুনধর ভাগ্নে। তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো সোমবার হাওড়া থেকে কালিকাপুরে বেশ কয়েকজন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যান। সেখানে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন চাকরি প্রার্থীরা। কারণ, সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সবই ভুয়ো। কেউ কোথাও নেই। প্রতারিত হয়ে তাঁরা সকলে তৃণমূল নেতার ভাগ্নেকে ফোন করেন। কিন্তু, সে ফোন তোলেননি। এরপরই সকলে জোটবদ্ধ হয়ে আরামবাগে তার বাড়িতে এসে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এই বিষয়ে আশিস মাঝি নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা চেয়েছিল। পুরসভার চেয়ারম্যানের ভাগ্নে বলে টাকা দিয়েছি। আট নয় মাস হয়ে গেল কোনও চাকরি পাইনি। আর টাকাও ফেরত দেয়নি। আমার মতো এই এলাকায় বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছেন।

    ভাগ্নেকে বাঁচাতে পুরসভার চেয়ারম্যান কী করলেন?

    দুর্নীতিগ্রস্ত (Scam)  ভাগ্নে বিপদে পড়েছে বুঝতে পেরে আসরে নামে তৃণমূলের আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারি। রাতেই ভাগ্নের বাড়িতে এসে তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে বরফ গলানোর চেষ্টা করেন। আর, সংবাদ মাধ্যম প্রতিক্রিয়া নিতে গেলে তিনি রীতিমতো রেগে যান। সংবাদ মাধ্যমের সামনে গুণধর ভাগ্নের অপকীর্তি বলার মতো তিনি সাহস দেখাননি। তবে বিক্ষোভকারীদের দাবি, দুর্নীতিতে (Scam) জড়িত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NJP: আসন নিয়ে বচসা! এক্সপ্রেস ট্রেনের কামরার মধ্যেই চলল গুলি, মৃত্যু প্রাক্তন সেনাকর্মীর

    NJP: আসন নিয়ে বচসা! এক্সপ্রেস ট্রেনের কামরার মধ্যেই চলল গুলি, মৃত্যু প্রাক্তন সেনাকর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতে এনজেপি (NJP) স্টেশন ঢোকার আগেই কামাখ্যা-আনন্দবিহার এক্সপ্রেসের এক যাত্রীর ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই ব্যক্তির কোমর থেকে পা পর্যন্ত গুলিতে রক্তাক্ত হয়ে যায়। সহযাত্রীরা জানিয়েছেন, হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে তাঁরা তাকিয়ে দেখেন, ওই ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েছেন। এনজেপি (NJP) স্টেশনে ট্রেনটি ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে রেল পুলিশ ও আরপিএফ তদন্তে নামে।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    আটক যাত্রীদের জেরা করে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে, ওই ব্যক্তি প্রাক্তন সেনা কর্মী রাজস্থানের বাসিন্দা। গুয়াহাটি থেকে তিনি সোমবার ট্রেনে চেপেছিলেন। জেনারেল কামরায় বসার জায়গা নিয়ে তার সঙ্গে সহযাত্রীদের বচসা বাধে। নিজেকে সেনাকর্মী পরিচয় দিয়ে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি কোমর থেকে সে তার রিভলবার বের করে দেখায় এবং শূন্যে একটি গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে সহযাত্রীরা তাঁর ওপর  ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রাক্তন সেনাকর্মী তখন তার  রিভলবারটি ধরে রাখতে গিয়ে কোনওভাবে তিন রাউন্ড গুলি ছিটকে তাঁর শরীরে ঢোকে। এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে। এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এনজেপি (NJP) স্টেশন লাগোয়া সেনা ক্যাম্পের থেকে জওয়ানদের একটি দল স্টেশনে (NJP) এসে খোঁজখবর নিতে শুরু করে। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ রেল পুলিশের তরফে সেনা বিভাগের প্রতিনিধিদের ডাকা হয় মৃতদেহ দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য জানানোর ব্যাপারে। তবে, সেনা বিভাগের পক্ষ থেকে কেউ কোনও মন্তব্য করেনি।

    কী বললেন রেল পুলিশের আধিকারিক?

    রেল পুলিশ সুপার এস সালভা মুরুগান বলেন, কী করে ওই প্রাক্তন সেনা কর্মীর কোমর থেকে শরীরের নিচের দিকে তিন রাউন্ড গুলি চললো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটি আত্মহত্যা, খুন না নিছক দুর্ঘটনা এ নিয়ে এখনও পরিষ্কার করে বলার মতো তথ্য আমাদের হাতে আসেনি। সব সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে সাতজন সহযাত্রী আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।

    সহযাত্রীরা কী বললেন?

    কামরার মধ্যে যাত্রীদের ভিড়ে থিক থিক করছে। অধিকাংশ যাত্রী ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকাই কামরার মধ্যে গুলির আওয়াজ শুনে সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সহযাত্রীরা বলেন, হঠাৎ গুলির শব্দে তাদের সকলের ঘুম ভাঙে। কেউ ভয়ে কামরার মধ্যেই ছোটাছুটি শুরু করেন, কেউবা চুপ করে নিজের জায়গাতে বসেছিলেন। কে গুলি চালিয়েছে এ নিয়ে তাঁরা জানেন না এমনটাই দাবি করেছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, আনন্দবিহার এক্সপ্রেস ট্রেনটি অনেকক্ষণ এনজেপি (NJP) স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। যে কোচে এই ঘটনা ঘটেছে সেই কোচটি কেটে আলাদা করে এনজেপি স্টেশনে রেখে দেওয়া হয়েছে তদন্তের জন্য। তারপর রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে এনজেপি (NJP) স্টেশন থেকে আনন্দবিহার এক্সপ্রেসকে রওনা করানো হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share