Tag: Bengali news

Bengali news

  • Abhijit Gangopadhyay: ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই!

    Abhijit Gangopadhyay: ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব জল্পনার অবসান। প্রাথমিকের মামলা শুনবেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ই (Abhijit Gangopadhyay)। নয়া রস্টার অনুযায়ী, আগে তাঁর এজলাসে প্রাথমিকের যেসব মামলার শুনানি হচ্ছিল, এখনও তাই হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত যে দুটি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে পাঠানো হয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে, সেখানেই চলবে ওই মামলার শুনানি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি সিনহার এজলাসে আগেও যে মামলাগুলি ছিল, সেগুলির শুনানি হবে তাঁদের এজলাসেই।

    হাইকোর্টের নয়া রস্টার

    একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিচারপতিদের বিচার্য বিষয় পরিবর্তন হয়। কোন বিচারপতির এজলাসে কোন মামলার শুনানি হবে, তা ঠিক করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। বৃহস্পতিবার নয়া রস্টার প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সেখানেই দেখা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত সব মামলারই শুনানি হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) এজলাসে। নিয়োগ কেলেঙ্কারির জেরে যে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, সে সংক্রান্ত মামলারও শুনানি হবে তাঁর এজলাসেই।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Gangopadhyay) নিয়ে জল্পনা 

    এক বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে বিচারাধীন কোনও একটি বিষয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ কেলেঙ্কারির দুটি মামলা সরিয়ে নেওয়া হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। সেই দুটি মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি অমৃতা সিহনার বেঞ্চে। তার পরেই জল্পনা ছড়ায়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে হয়তো প্রাথমিকের বাকি মামলাও সরিয়ে নেওয়া হবে। সেই জল্পনা যে নিছকই জল্পনা, এদিন রস্টার প্রকাশিত হওয়ার পর তা পরিষ্কার হয়ে গেল জলের মতো।

    আরও পড়ুুন: “বিজ্ঞানের মূল কথা নিহিত ছিল বেদেই”! দাবি ইসরো চেয়ারম্যানের

    রস্টার অপরিবর্তিত রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের আর এক বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারও। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলার শুনানি হচ্ছিল তাঁর এজলাসে। নয়া রস্টারে দেখা যাচ্ছে, ওই মামলা শুনানি হবে তাঁরই বেঞ্চে। প্রসঙ্গত, একের পর ‘অপ্রীতিকর’ নির্দেশের জেরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) ও বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের একাংশ। আন্দোলনও করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের বেঞ্চও বয়কট করা হয়েছে। তার পরেও রস্টারে তাঁদের বিচার্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকায়, খানিকটা হলেও হতাশ তৃণমূল।

    এতদিন পুরসভা সংক্রান্ত মামলা শুনতেন বিচারপতি সিনহা। নয়া রস্টার অনুযায়ী, এবার থেকে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলাও শুনবেন তিনি। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও মামলা হলে, তার শুনানি হবে বিচারপতি সিনহার এজলাসেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • ISRO Chairman: “বিজ্ঞানের মূল কথা নিহিত ছিল বেদেই”! দাবি ইসরো চেয়ারম্যানের

    ISRO Chairman: “বিজ্ঞানের মূল কথা নিহিত ছিল বেদেই”! দাবি ইসরো চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজ্ঞানের মূল কথা নিহিত ছিল বেদেই (Veda)। সেখান থেকেই আধুনিক বিজ্ঞানের উৎপত্তি। অন্তত এমনই দাবি করলেন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান (ISRO Chairman) এস সোমনাথ। বুধবার মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনে মহর্ষি পাণিনি সংস্কৃত এবং বেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্ততা দিতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

    মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যানের দাবি (ISRO Chairman)

    তাঁর দাবি, বীজগণিত, বর্গমূল, সময়ের ধারণা, স্থাপত্য, মহাবিশ্বের গঠন, ধাতুবিদ্যা, এমনকি বিমানচালনার উৎসের সন্ধানও প্রথম বেদ থেকেই পাওয়া গিয়েছিল। পরে সেগুলি আরব দেশগুলির মধ্যে দিয়ে ইউরোপে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেগুলিকে পশ্চিমি বিশ্বের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্ব পরে এগুলো খুঁজে পেয়েছে মাত্র। কিন্তু তার আগে থেকেই এগুলোর অস্তিত্ব ছিল। ইসরো প্রধান (ISRO Chairman) হওয়ার পাশাপাশি সোমনাথ কেন্দ্রীয় সরকারের মহাকাশ সংক্রান্ত দফতরের সচিব এবং স্পেস কমিশনের চেয়ারম্যানও।

    সংস্কৃতের গুরুত্ব

    সোমনাথ বলেন, আগে সংস্কৃতের কোনও লিখিত লিপি ছিল না। সবাই তাই এই বিষয়গুলি শুনে শুনে মুখস্ত করতেন। এভাবেই এই ভাষাটা বেঁচে থেকেছে বহু শতাব্দী ধরে। পরে গিয়ে মানুষ সংস্কৃতের জন্য দেবনাগরী লিপি ব্যবহার শুরু করে। ইসরো কর্তা বলেন, ব্যাকরণের জন্যই বৈজ্ঞানিক ভাবনাচিন্তাকে প্রকাশ করার উপযুক্ত ভাষা হল সংস্কৃত। ইঞ্জিনিয়র ও বিজ্ঞানীদের প্রিয় ভাষা হল সংস্কৃত। কম্পিউটারের ভাষার সঙ্গে এর মিল রয়েছে। তাই যাঁরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শিখতে চান, তাঁরা সংস্কৃত শেখেন। সংস্কৃত ভাষাকে কীভাবে কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে বহু গবেষণাও হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদির পাশে ১৭ দল, কারা জানেন?

    সোমনাথ (ISRO Chairman) বলেন, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা, বিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, রাসায়নিক বিজ্ঞান ও বিমান চালানোর বিজ্ঞানের ফল সংস্কৃতে লেখা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলিকে পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি এবং তা নিয়ে তখন গবেষণা করা হয়নি। তিনি বলেন, একজন রকেট বিজ্ঞানী হওয়ার দরুণ আমি সংস্কৃতের একটি বই দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। বইটি সৌরজগত, সময় এবং পৃথিবীর আকার এবং পরিধি সম্পর্কে ছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Disease X: বিশ্বে হানা দিতে পারে ‘ডিজিজ এক্স’, উপসর্গ কি জানেন?

    Disease X: বিশ্বে হানা দিতে পারে ‘ডিজিজ এক্স’, উপসর্গ কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই তামাম বিশ্বকে সতর্কবাণী শুনিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রধান ট্রেডস অ্যাডহানাম গেব্রেইসাস। তিনি বলেছিলেন, করোনার (Covid) চেয়েও ভয়ঙ্কর কোনও মারণ ভাইরাস হানা দিতে পারে পৃথিবীতে। তাই পরিস্থিতির মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে বিশ্বকে। হু-র প্রধানের সতর্কবার্তার পরেই চর্চা শুরু হয়েছে ডিজিজ এক্স (Disease X) নিয়ে। হু জানিয়েছে, ডিজিজ এক্স হল কোনও মারাত্মক মহামারি, যা ফের হামলা করতে পারে তামাম বিশ্বে। তবে ওই রোগের কারণ জানা যাবে না। ২০১৮ সালে প্রথম ব্যবহার হয় ‘ডিজিজ এক্স’ শব্দটি। ডিজিজ এক্সের মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই  চিকিৎসক-গবেষকরা গবেষণা ক্ষেত্রে আরও বেশি করে ফান্ড বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন।

    ডিজিজ এক্স (Disease X)

    হু-র কর্তাদের আশঙ্কা, ডিজিজ এক্সের প্রভাবে করোনার মতো আরও একটি আন্তর্জাতিক মহামারি হতে পারে। এর আগে হু-র ওয়েবসাইটে কোভিড-১৯, ইবোলা, মারবার্গ, সার্স নিপা এবং জিকার মতো ভাইরাসগুলির নাম ছিল। এবার সেই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ডিজিজ এক্স। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিজিজ এক্স করোনার চেয়েও বেশি ছোঁয়াচে হতে পারে। এটা শুধু মানুষের মধ্যে নয়, মানুষ থেকে প্রাণী কিংবা প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যেও ছড়াতে পারে। প্রাণী থেকে প্রাণীতেও ছড়াতে পারে ডিজিজ এক্সের জীবাণু।

    ডিজিজ এক্সের (Disease X) উপসর্গ

    ডিজিজ এক্স (Disease X) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাল্টিমোরের জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেল্থের গবেষক প্রণব চট্টোপাধ্যায়। চলতি বছরের শেষের দিকে হানা দিতে পারে এই ভাইরাস। হু কর্তার মতে, ডিজিজ এক্সের কোনও নির্দিষ্ট উপসর্গ নেই। তাই আগাম কোনও প্রতিষেধক তৈরি কিংবা চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করা সম্ভব নয়। তাই ফের মহামারির মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানান তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেক্ষেত্রে ফের লকডাউনের মতো পথে হাঁটতে হতে পারে বিশ্বকে। করোনায় গোটা বিশ্বে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ডিজিজ এক্সের (Disease X) প্রভাবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অতএব, সাধু সাবধান!

    আরও পড়ুুন: নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদির পাশে ১৭ দল, কারা জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: মৃত মা হনুমানের দেহ আগলে রাখল শাবক হনুমান

    Durgapur: মৃত মা হনুমানের দেহ আগলে রাখল শাবক হনুমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু মা হনুমানের, শোকাহত শাবক, তার দলবলেরা আগলে রাখলো মৃতদেহ। পশু হয়েও তাদের মানুষের মতন আচরণ সাধারণ মানুষের মনকে আবেগ প্রবণ করে তুলেছে। পশু হলেও কতটা হনুমানরা শোকতপ্ত হতে পারে, সেই দৃশ্য চোখে পড়ল এই দুর্ঘটনায়। স্থানীয়রা জানান, উখড়ার (Durgapur) স্থানীয়দের উদ্যোগেই মৃত হনুমানের সমাধির উপর নির্মাণ হবে মন্দির।

    দুর্গাপুরের (Durgapur) কোথায় ঘটল এই ঘটনা

    শিল্পাঞ্চলের (Durgapur) মধ্যে শহরের গাছের ফল খেতে হনুমানদের চালাচল প্রায়ই লক্ষ করা যায়। দুর্গাপুরের কাছে উখড়ার শ্যামসুন্দরপুরে একদল হনুমান দলবদ্ধ হয়ে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাচ্ছিল। তখনই প্রচন্ড গতিসম্পন্ন অবস্থায় একটি চার চাকার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক হনুমানকে সজোরে ধাক্কা মারে। গাড়ির গতি এতটাই তীব্র ছিল যে ধাক্কার আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হনুমানটির। ঠিক তারপরেই হনুমানের দল মৃত হনুমানকে ঘিরে চারিদিকে গোল হয়ে, একে একে সকলে বসে পড়ে ও মৃতদেহ আগলে রাখে। হনুমানের মৃত্যুর পর বেশ কিছুটা সময় সম্মেলিত ভাবে শোক প্রকাশ করতে দেখা যায় তাদের। মৃত পূর্ণবয়স্কা মা হনুমানকে আগলে রাখে হনুমানের শাবক। কিছুতেই  শাবক, মা হনুমানকে ছেড়ে যেতে চাইছিল না।

    এলাকার মানুষের প্রতিক্রিয়া

    উখড়ার (Durgapur) স্থানীয় মিলন বিশ্বাস ঘটনাস্থলে দুর্ঘটনার বিষয়টি সামনে থেকে চাক্ষুষ করেন। মিলন বাবু বলেন, একটা হনুমান তার বাচ্চা নিয়ে লাফালাফি করতে করতে রাস্তা পার হতে গেলে, আচামকা একটা গতি সম্পন্ন গাড়ি এসে তার গায়ে ধাক্কা দেয়। আর মুহূর্তের মধ্যেই হনুমানটা ছিটকে গিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে। শাবকটি কোন ক্রমে বেঁচে গেলেও মা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে আশেপাশের বাকি সকল হনুমান একসঙ্গে জড়ো হয়ে অনেক সময় ধরে রাস্তার ধারে বসে থাকে। অনেক সময় পর্যন্ত হনুমানদের উপস্থিতির জন্য মৃত হনুমানটিকে সরানো যায় নি। পরে খবর দেওয়া হয় উখড়া বনদপ্তরে। অনেক সময় কেটে গেলেও বনদফতর থেকে কেউ এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছান নি বলে জানা য়ায়। আরও কিছু সময়ের পর মৃত হনুমানের দেহটিকে নিয়ে পাশের একটা জায়গায় সমাধিস্থ করা হয়। এলাকার মানুষ এই মৃত হনুমানের সমাধির উপরে একটা হনুমান মন্দির তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। মৃত হনুমানের সমাধিস্থলের উপর হনুমান মন্দির নির্মাণের বিষয়ে প্রবল উৎসাহ লক্ষ করা গেছে।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: “পুলিশ ৪০ কেজি ভুঁড়ি নিয়ে হাঁটতেই পারে না, অপরাধীদের কী ধরবে”! তোপ অর্জুন সিংয়ের

    Barrackpore: “পুলিশ ৪০ কেজি ভুঁড়ি নিয়ে হাঁটতেই পারে না, অপরাধীদের কী ধরবে”! তোপ অর্জুন সিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ভরসন্ধ্যায় বারাকপুরের (Barrackpore) আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে ঢুকে মালিকের ছেলেকে খুন করার ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সাংসদ অর্জুন সিং স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। এই ঘটনার জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তিনি বলেন, “আগে পুলিশের নাম শুনলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যেত। এখন পুলিশ ৪০ কেজি ভুঁড়ি নিয়ে হাঁটতেই পারে না, সে অপরাধীদের ধরবে কী করে? একমাসের মধ্যে টিটাগড় থানা এলাকায় দুটি খুন হয়ে গেল। টিটাগড় থানার ভূমিকা ঠিক নেই। বারাকপুরের সাংসদ হিসাবে আমি খুবই দুঃখিত”।

    কী বললেন পুলিশ কমিশনার?

    সোনার দোকানে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে এসেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীদের মধ্যে একজন স্থানীয়। বাকি সকলেই বহিরাগত। বারাকপুরের (Barrackpore)  পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “ডিসি (সেন্ট্রাল), ডিসি ( ডিডি)-র নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। ফরেন্সিক টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে”। গত বছর ১৭ই মে ডি বাপি বিরিয়ানির দোকানে শ্যুট আউট হয়েছিল। আর এক বছরের মাথায় বাইরের দুষ্কৃতীরা সোনার দোকানে ডাকাতি করতে এসে খুন করল স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলেকে। দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    শনিবার ব্যবসা বনধ ডাকল স্বর্ণ শিল্পীরা

    খুনের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বারাকপুরে (Barrackpore) ব্যবসা বনধ ডাকলেন স্বর্ণ শিল্পীরা। এই খুনের ঘটনার পিছনে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত নীলাদ্রির বাবা নীলরতন সিংহ। গত ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে নীলাদ্রির বিয়ে হয়েছিল ঐন্দ্রিলার সঙ্গে। প্রথম জামাইষষ্ঠীতে বারাকপুরের বড়পুল এলাকায় তাঁর আর শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হল না। গোটা এলাকা থমথমে। বাড়ির মালিকের সঙ্গে সোনার দোকানের মালিকের ভাড়া নিয়ে সমস্যা চলছিল। জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে বাড়ির মালিকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। তাতে মাসে ৩০০ টাকা ভাড়া ছিল দোকানের। ভাড়া বাড়ানোর কথা বললেও তারা রাজি হয়নি। তা নিয়ে নাকি গণ্ডগোল চলছিল। এই ঘটনার সঙ্গে ভাড়াটিয়া-মালিকের গণ্ডগোলের বিষয়টির কোনও সম্পর্ক আছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছা়ড়া ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই ওয়াশিম নামে এক কর্মী দোকানে ঢুকেছিলেন। তিনি হলমার্কের কাজ করেন। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পর দুষ্কৃতীরা দোকানে ঢোকে। ফলে, তাঁর ভূমিকাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New Parliament: নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদির পাশে ১৭ দল, কারা জানেন?

    New Parliament: নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদির পাশে ১৭ দল, কারা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার উদ্বোধন হতে চলেছে নয়া সংসদ ভবনের (New Parliament)। উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। যেহেতু রাষ্ট্রপতির হাতে উদ্বোধন হচ্ছে না নয়া সংসদ ভবনের, তাই বিজেপি বিরোধী বেশ কয়েকটি দল ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে। অনুষ্ঠানে যে দলগুলি যোগ দেবে, তাদের মধ্যে কয়েকটি দল বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএর সদস্য। অন্য দলগুলি বিজেপি বা বিরোধী জোট, কোনও শিবিরের সঙ্গেই যুক্ত নয়।

    নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনে (New Parliament) কারা?

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে ওড়িশার বিজু জনতা দল, অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং পঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দল। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার দল এনপিপি-ও ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবে বলে জানিয়ে দিয়েছে তেলগু দেশম পার্টিও। প্রয়াত রামবিলাস পাশোয়ানের ছেলে সাংসদ চিরাগও উপস্থিত থাকতে পারেন ওই অনুষ্ঠানে। বিজেপির সহযোগী দলগুলির মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পশুপতি পারসের রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টি, রামদার অঠওয়ালের আরপিআইএ, অনুপ্রিয়া পটেলের আপনা দল (এস)।

    উপস্থিত থাকবে এরাও

    হাজির (New Parliament) থাকবে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের শিবসেনা, হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালার জেজেপি, তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পলানীস্বামীর এডিএমকে, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাতর আজসু, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিংহ তামাংয়ের সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা, নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিওর এনডিপিপি এবং মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টও। নাগাল্যান্ড পিপলস পার্টি, তামিল মনিলা কংগ্রেস এবং আইএমকেএমকেকেও দেখা যাবে ওই অনুষ্ঠানে।

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছি, টিকিট কাটব না”! খয়রাতির প্রতিশ্রুতি ব্যুমেরাং হচ্ছে ‘হাত’-এর

    নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বুধবার সেই যুক্তি দেখিয়ে অনুষ্ঠান বয়কটের কথা প্রথম ঘোষণা করে তৃণমূল। পরে অনুষ্ঠান বয়কটের কথা জানায় আরও ১৯টি রাজনৈতিক দল। এদিকে, নয়া সংসদ ভবনের (New Parliament) উদ্বোধন হোক রাষ্ট্রপতির হাতে, এমনই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে আবেদন। ১৮ মে লোকসভার সচিব সংক্রান্ত দফতরের তরফে যে আমন্ত্রণপত্র প্রকাশিত হয়েছে, তা পেশ করা হয়েছে আদালতে। মামলাকারীর দাবি, এই আমন্ত্রণ সম্পূর্ণরূপে সংবিধান বিরোধী। ভারতীয় সংবিধানের বিরোধী ভাবনা রয়েছে এই আমন্ত্রণে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Nadia: বিজেপি কর্মী আত্মঘাতী নয় খুন হয়েছেন পরিবারের দাবি

    Nadia: বিজেপি কর্মী আত্মঘাতী নয় খুন হয়েছেন পরিবারের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল গোটা রাজ্যজুড়ে খুন ও ধর্ষণের রাজনীতি করছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার আগে পুলিশ কীভাবে বলে এটা আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা? আর তাই নিয়েই রীতিমতন প্রশ্ন উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে। গতকাল নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালিতে বিজেপি নেতার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল ও প্রশাসনকে কটাক্ষ করলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। আর এই ঘটনায় এলাকার রাজনৈতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা।

    নদিয়ার (Nadia) বিজেপি কর্মীর পরিবার বলছেন আত্মঘাতী নয় খুন

    গতকাল নদিয়ার হাঁসখালি (Nadia) থানার পিপুলবেড়িয়া এলাকা থেকে বিজেপি বুথ সভাপতির মৃতদেহ আম বাগান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই বুথ সভাপতি নাম নকুল হালদার, বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। পরিবারের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে রেখেছে। বিজেপি কর্মী নকুল হালদারের একটি পা ভাঙ্গা অবস্থায় ঝুলতে দেখা গেছে। তিনি যদি আত্মঘাতী হয়ে থাকবেন, তাহলে পা ভাঙলো কে? এই প্রশ্ন তুলেছে পরিবারের লোকজন।

    রাণাঘাট (Nadia) সাংসদের অভিযোগ

    খুনের ঘটনায় তদন্ত কত দূর এগোলো, সে বিষয়ে জানতে হাঁসখালিতে (Nadia) রওনা হয় বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে উপস্থিত হন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী এবং কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক আশিষ বিশ্বাস। প্রথমে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন, এরপর যেখান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই ঘটনাস্থলকে পরিদর্শন করেন। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, তৃণমূল গোটা রাজ্যজুড়ে খুন এবং ধর্ষণের রাজনীতি করছে। বুথ সভাপতি নকুল হালদারকে তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা সুপরিকল্পিত ভাবে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেন। আর ময়নাতদন্তের আগেই হাঁসখালি থানার কোনও এক পুলিশ এসে বলছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা! পুলিশ ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগে কীভাবে জানতে পারল এটা আত্মহত্যার ঘটনা? সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি প্রশাসন নিরপেক্ষ নন বলে উল্লেখ করেছেন। পুলিশ প্রশাসন শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন প্রতিনিধি দলের বাকি নেতারাও। সেই সঙ্গে তৃণমূল প্রশাসনের উপর আস্থা না রেখে সিবিআই তদন্তের দাবী জানান বিজেপির এই প্রতিনিধি দল। এখন এই মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবার কবে ন্যায় বিচার পাবেন তাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: তারাপীঠে ডান্সবার, বন্ধ করার আশ্বাস জেলা শাসকের

    Tarapith: তারাপীঠে ডান্সবার, বন্ধ করার আশ্বাস জেলা শাসকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ (Tarapith) এখন রাজ্য ছড়িয়ে সমগ্র দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু এই তীর্থক্ষেত্রে আগত যাত্রীদের নেশায় বুঁদ করে অর্থ উপার্জন করতে মন্দিরের ঢিল ছোড়া দূরত্বে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য ডান্সবার। এলাকার মানুষের অভিযোগ, বারে চলে উদ্দাম নেশা এবং লুটপাটের মতন কাজকর্ম। তীর্থক্ষেত্রে এই সমাজ বিরোধীদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে জেলা শাসকের কাছে জানানো হয়েছে বিশেষ অভিযোগ।

    তারাপীঠে (Tarapith) কী ভাবে চলছে বার?

    তীর্থক্ষেত্রে (Tarapith) বাউন্সার দিয়ে রীতিমত রমরমিয়ে চলছে বার। অনুমতি ছাড়াই ছোট ছোট পোশাকে চটুল গানের সঙ্গে চলছে অশ্লীল নাচ। রাত বাড়লে বেলেল্লাপনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ওড়ানো হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। মদ্যপানের সঙ্গে মহিলাদের নৃত্যে বুঁদ হলেই মদ্যপায়ীদের হতে হয় সর্বস্বান্ত। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল, সোনার গয়না। প্রায় দিনেই এনিয়ে অশান্তির সৃষ্টি হয় এলাকায়। অভিযোগ করলে মদ্যপায়ীদের বাউন্সার দিয়ে মারধর করে বাইরে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি টাকা, মোবাইল, সোনার গয়নাও কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

    বারের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযোগ

    তারাপীঠে (Tarapith) সম্প্রতি জয়ন্ত রায় নামে এক মদ্যপায়ীর সঙ্গে বারে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি প্রশাসনের সর্বত্র লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বারের ভিতর রাত বাড়লে মদের সঙ্গে ড্রাগ মেশানো হয়। হুক্কা বারে গাঁজা, চরস মিশিয়ে গ্রাহককে বুঁদ করে চলে লুঠপাট। আমার সঙ্গেও একই ব্যবহার করা হয়েছে। সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার চেন কেড়ে নিয়েছে বারের ম্যানেজার সপ্তম সিংহ এবং বাউন্সার সিলন শেখ। আমি প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’

    মন্দির কমিটি ও প্রশাসনের বক্তব্য

    তারাপীঠে (Tarapith) দিনের পর দিন এমনই অভিযোগ জমা পড়ছিল প্রশাসনের কাছে। মন্দির সংলগ্ন এই বারে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মন্দির কমিটিও। মন্দির কমিটিও এই বার বন্ধের বিশেষ দাবি জানায়। মন্দিরের সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও তীর্থক্ষেত্রে বার কাম্য নয়। ডান্স বার তো নয়ই। প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’ অপর দিকে বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’ এরপরই ওইসব ডান্স বারগুলোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে পুলিশ প্রশাসন। তীর্থক্ষেত্র এখন কবে ডান্সবার মুক্ত হয় তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Congress: “কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছি, টিকিট কাটব না”! খয়রাতির প্রতিশ্রুতি ব্যুমেরাং হচ্ছে ‘হাত’-এর

    Congress: “কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছি, টিকিট কাটব না”! খয়রাতির প্রতিশ্রুতি ব্যুমেরাং হচ্ছে ‘হাত’-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢালাও খয়রাতির (Freebies) প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্নাটকে (karnataka) ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস (Congress)। তবে সোনিয়া গান্ধীর দল জানত না যে সেই ‘গালভরা প্রতিশ্রুতি’ই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরবে। কংগ্রেস সরকার শপথ নেওয়ার পর জনতার একাংশ বিদ্যুতের বিল দিচ্ছেন না। নিখরচায় বাসেও যাতায়াত করছেন অনেক মহিলা। যার জেরে কার্যত মাথায় হাত হওয়ার জোগাড় কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের। বিষয়টা তাহলে খুলেই বলা যাক।

    কংগ্রেসের (Congress) প্রতিশ্রুতি

    ২২৪ আসন বিশিষ্ট কর্নাটক বিধানসভায় ১৩৫টি আসন পেয়ে ক্ষমতা দখল করে কংগ্রেস (Congress)। মুখ্যমন্ত্রী হন সিদ্দারামাইয়া। তার পরে অনেকেই বন্ধ করে দিয়েছেন বিদ্যুতের বিল মেটানো। নির্বাচনী জনসভায় পাঁচটি গ্যারান্টি দিয়েছিল কর্নাটক কংগ্রেস। সেগুলি হল, পরিবারের মহিলাদের মাসে দেওয়া হবে ২ হাজার করে টাকা, শিক্ষিত বেকারদের ডোল দেওয়া হবে, বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে নিখরচায় ১০ কিলো করে চাল দেওয়া হবে, প্রতিটি বাড়ির ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল মকুব এবং সরকারি বাসে মহিলাদের নিখরচায় যাতায়াতের সুবিধা। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, ভোট কিনতে গিয়ে এই খয়রাতির প্রতিশ্রুতি, তাতে রাজ্য দেনায় আরও ডুবে যাবে। কারণ এই প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করতে গেলে সরকারকে খরচ করতে হবে অতিরিক্ত ৫০ হাজার কোটি টাকা। এই পরিমাণ টাকা কর্নাটকের ঘাটতির প্রায় দ্বিগুণ। যার খেসারত দিতে হবে করদাতাদের।

    বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি

    যেহেতু ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস (Congress), তাই কর্নাটকের অনেকেই স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বৈদ্যুতিন মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার দাবি তুলেছেন। বেলাগাভির একটি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তাঁদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যেহেতু কংগ্রেসই সরকার গড়েছে, তাই বিদ্যুতের বিল দেবেন না তাঁরা। এই দাবিতেই সরব হয়েছেন কালাবুর্গী, কপ্পাল এবং চিত্রদুর্গার মতো কয়েকটি জেলার বাসিন্দারাও।

    মহিলাদের নিখরচায় বাসে যাতায়াতের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসের (Congress) ইস্তেহারে। রায়চুরের এক মহিলা সরকারি বাসে উঠে ভাড়া দিতে রাজি হচ্ছেন না। এনিয়ে বাস কন্ডাক্টরের সঙ্গে ওই মহিলাযাত্রীর বচসাও হয়। তিনি বলেন, “আমাদের যদি টাকা দিতেই হয়, তবে কেন কংগ্রেস বলেছিল যে সরকার গঠন করার পর আর মহিলাদের বাসের ভাড়া দিতে হবে না?” ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তাঁকে এও বলতে শোনা যায়, “আমরা কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছি, তাই টিকিট কাটব না।”

    খয়রাতি প্রসঙ্গে বিজেপির অবস্থান

    প্রসঙ্গত, ঢালাও খয়রাতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়েই ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা খয়রাতিতে খরচ হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অথচ বিভিন্ন সময় খয়রাতির রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। ভোট কেনার এই পন্থার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। বিরোধীদের খয়রাতি সংস্কৃতির তীব্র সমালোচনা করে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আজকাল আমাদের দেশে বিনামূল্যে রেওয়ারি বিতরণ করে ভোট কেনার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের বিকাশের জন্য এই সংস্কৃতি ঘাতকের মতো। এই খয়রাতি সংস্কৃতি থেকে দেশের নাগরিকদের ও বিশেষ করে যুবদের সতর্ক থাকার দরকার রয়েছে।’  

    আরও পড়ুুন: জাতীয় সড়কে মিছিল অভিষেকের, হাইকোর্টে মামলা ঠুকলেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: এবার মালদাতেও সভার অনুমতি দিল না পুলিশ! ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: এবার মালদাতেও সভার অনুমতি দিল না পুলিশ! ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিরোধী দলনেতার সভার অনুমতি দিল না পুলিশ। এবার মালদা। চলতি মাসের ২৭ তারিখ শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দেয়নি মালদা জেলা প্রশাসন। নন্দীগ্রামের বিধায়কের সভায় অনুমতি না দেওয়ার নজির অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও চন্দ্রকোণার সিমলাপালে তাঁর সভা বাতিল করে প্রশাসন। প্রতিবারই হাইকোর্ট থেকে অর্ডার নিয়ে সভা করতে হয় শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। মালদার সভা নিয়েও শুভেন্দু অধিকারী দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের। পুলিশ-প্রশাসনের বক্তব্য, কেন ১৫ দিন আগে অনুমতি চাওয়া হয়নি? শুভেন্দু অধিকারী জানাচ্ছেন, অনলাইনে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই আবেদন পরে করা হয়েছে। প্রশাসন শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে, এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা। ওয়াকিবহাল মহল বলছে,  প্রতিবারই দেখা যায়, প্রশাসন সভা বাতিল করার পরে কোর্ট অনুমতি দেয়। এতে কার্যত শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগেই সিলমোহর মেলে।

    এর আগেও বিরোধী দলনেতার একাধিক সভা বাতিল

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ২৪ তারিখ হাওড়ার শ্যামপুরে একই ঘটনা ঘটে। সভার অনুমতি দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। পরে হাইকোর্টে গিয়ে অনুমতি পান উদ্যোক্তারা। পটাশপুরের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। ময়নায় দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে ডাকা বনধকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পটাশপুর এবং সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে নির্বিচারে লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে। তারই প্রতিবাদে সভা করতে আবেদন জানান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে সভা হয়।

    আরও পড়ুুন: “মোদিজির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে নবান্নে”, বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    এনিয়ে কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘‘মালদহে তৃণমূলের নবজোয়ারের থেকে পাঁচগুণ বেশি লোক নিয়ে সভা করব। পারলে পিসির ভাইপো আটকে দেখাক।’’ প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচিতে মালদহে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখার বিষয় হাইকোর্ট এ নিয়ে কী রায়দান করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share