Tag: Bengali news

Bengali news

  • Anubrata Mondal: ‘‘রাইস মিলে চুরি হচ্ছে’’! অ্যাকাউন্ট ডি-ফ্রিজের আর্জি কেষ্টর, কী জবাব দিলেন বিচারক? 

    Anubrata Mondal: ‘‘রাইস মিলে চুরি হচ্ছে’’! অ্যাকাউন্ট ডি-ফ্রিজের আর্জি কেষ্টর, কী জবাব দিলেন বিচারক? 

    মাধ্যম নিউড ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় তিহাড় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল হাজিরা দিলেন আসানসোলের সিবিআই আদালতে। শুনানির সময় কেষ্ট (Anubrata Mondal), বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে জানান, তাঁর রাইসমিলের জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে। এমনকী তাঁর অনুপস্থিতিতে জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি। এর পাশাপাশি বিচারকের কাছে ভোলেব্যোম চালকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ারও আবেদন করেন কেষ্ট। প্রায় ২০০ শ্রমিক বেতন পাচ্ছেন না বলে অনুযোগ করেন তিনি। আরও একবার কেষ্ট সিবিআই আদালতে জানান, তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটেও ভাল নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বিষয়টি তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। এদিনের শুনানিতে তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন একদা দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও। প্রসঙ্গত, দুজন একই জেলে রয়েছেন। গত মাসের ২৫ তারিখ ইডির কাছে গ্রেফতার হওয়ার পরে মেয়ে সুকন্যারও ঠাঁই হয়েছে তিহাড়ে। প্রসঙ্গত, আসানসোল জেলে ফিরতে চেয়ে কেষ্টর করা আবেদন ইতিমধ্যে খারিজ করে দিয়েছে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট।

    কেষ্ট-বিচারক কথোপকথন….

    সূত্রের খবর এদিনের শুনানির শুরুতেই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আপনাকে খুব ক্লান্ত লাগছে। অনুব্রতবাবু (Anubrata Mondal), কেমন আছেন?’’ অনুব্রত (Anubrata Mondal) জবাব দেন, ‘‘শরীর ভাল নেই। সব রকম অসুবিধা হচ্ছে।’’ বিচারক বলেন, ‘‘ডাক্তার দেখছে তো?’’ কেষ্ট উত্তর দেন, ‘‘ডাক্তার দেখাচ্ছি। জেলের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে পড়ে আছি।’’ বিচারক বলেন, ‘‘বুঝতে পারছি।’’ এরপর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী, সায়গলের সঙ্গে গয়না সংক্রান্ত কথোপকথন শুরু করেন। সায়গলের শুনানি শেষ হতেই অনুব্রত বলে ওঠেন, ‘‘স্যর চালকলের অ্যাকাউন্টটা খুলে দিন।’’ বিচারক তখন জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘কোন চালকল?’’ অনুব্রত জবাব দেন, ‘‘ভোলেব্যোম চালকল। ওই দু’টি অ্যাকাউন্ট যেন খুলে দেওয়া হয়। শ্রমিকেরা বেতন পাচ্ছেন না। ২০০ শ্রমিক আছে। বহু জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে।’’ উত্তরে বিচারক বলেন, ‘‘আপনার মুখের কথায় আমি কোনও অ্যাকাউন্ট তো খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারি না। আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করুন। আপনার ও সিবিআই দু’পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নবজোয়ারে ভাটার টান, ক্ষুব্ধ অভিষেক কলকাতায় তলব করলেন জেলা সভাপতিকে

    Abhishek Banerjee: নবজোয়ারে ভাটার টান, ক্ষুব্ধ অভিষেক কলকাতায় তলব করলেন জেলা সভাপতিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই বিধানসভা ভোটের পর থেকে শুরু হয়েছে। বিধানসভা ভোটের বিপর্যয়ের পর দলের জেলা সভাপতি হিসাবে প্রকাশ চিক বরাইককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর দুটি পুরসভা নির্বাচনে সাফল্য আসে। ফলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) গুডবুকে উঠে আসেন প্রকাশ। বিজেপি থেকে আসা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা ও বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের সুনজরে রয়েছেন। বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে অপর গোষ্ঠীর নেতাদের একটা দ্বন্দ্ব চলছে। এক গোষ্ঠীর নেতারা দলের কোনও কর্মসূচি করলে অপর গোষ্ঠী পাল্টা ক্ষমতা প্রদর্শনে পিছিয়ে থাকছে না। নেতৃত্বের ওই বিরোধ দলের নিচু তলাতেও প্রভাব ফেলছে। প্রভাব পড়েছে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচিতে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    প্রকাশ্যে বড় নেতারা মুখ না খুললেও আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকে দলীয় কর্মসূচিতে ডাকছেন না আলিপুরদুয়ার এক ব্লকের সভাপতি পীযূষ কান্তি রায়। আবার বিধায়কের কর্মসূচি সম্পর্কে তিনিও নাকি কিছুই জানতে পারছেন না দাবি পীযুষের।  এ ব্যাপারে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কাছে ও রিপোর্ট গিয়েছে। অভিষেকের সভায় লোক জড়ো করার ক্ষেত্রে একাধিক ব্লক সভাপতির গা ছাড়া মনোভাব দেখিয়েছেন। তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে দলের জেলা নেতাদের একাংশের কাছে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক। নবজোয়ার কর্মসূচির আগে এপ্রিলের শুরুতে আলিপুরদুয়ারের বাবুরহাটে গ্রামীণ এলাকায় একটি সভা করেছিলেন অভিষেক। সেই সভায় জমায়েত দেখে খুশি হননি তিনি। ২৭ এপ্রিল নবজোয়ার কর্মসূচিতে জেলায় এসেছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। জেলার তিনটি জায়গায় তিনি সভা করেন। অভিষেকের কর্মসূচি সফল করতে একাধিক ব্লক সভাপতি সঙ্গে জেলা নেতৃত্বের অনেক ক্ষেত্রেই সমন্বয় হয়নি। একাধিক ব্লক সভাপতির কাজ করার ক্ষেত্রে ফাঁকফোকর ছিল। দলের ওই কর্মসূচিকে জেলার কর্মসূচি বলে ব্লক সভাপতিদের কয়েকজন দায় এড়িয়েছেন। ফলে, নবজোয়ারে তার ভাল প্রভাব পড়েছিল। আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া একটি ক্লাবের মাঠে নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সেই সভায় লোকজন ভাল ছিল না। জমায়েত দেখে অভিষেক (Abhishek Banerjee) দলের অন্দরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিষেকের নিজস্ব টিমের সদস্যরা ওই সময় জেলার সব নেতার ওপর নজরদারি চালিয়েছিলেন। তাঁদের নজরেও অসহযোগিতার বিষয়টি ধরা পড়েছে।

    নবজোয়ার কর্মসূচির পরই জেলা সভাপতিকে কলকাতায় তলব

    কয়েকমাস আগেই আলিপুরদুয়ার জেলায় ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই তালিকায় কি আবার রদবদল হতে চলেছে? আপাতত জেলার রাজনৈতিক মহলে এই জল্পনাই ঘোরাফেরা করছে। যদি সত্যিই রদবদল ঘটে তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে হবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। নবজোয়ার কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর পরই আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইককে কলকাতায় তলব করা হয়। তাঁর কলকাতায় যাওয়ায় শাসক দলের অন্দরে জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছে। এসব নিয়ে একেবারেই কিছু বলতে চাইছেন না। তিনি শুধু বলছেন, দলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য কলকাতায় এসেছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shiv Sena: সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মহারাষ্ট্রের শিন্ডে সরকারের, কী বলল আদালত?

    Shiv Sena: সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মহারাষ্ট্রের শিন্ডে সরকারের, কী বলল আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) গোষ্ঠীর। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সহ ১৬ জন বিদ্রোহী শিবসেনা (Shiv Sena) বিধায়কের পদ খারিজ করল না সুপ্রিম কোর্ট। দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানানো হয়েছিল। এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে শিবসেনার রাশ হাতে পাওয়ার পরে শিন্ডে গোষ্ঠীর চিফ হুইপ উদ্ধব ঠাকরের অনুগামী বিধায়কদের পদত্যাগের যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, বুধবার তাকেও অসাংবিধানিক বলল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জুন মাসে শিন্ডে গোষ্ঠীর বিদ্রোহের সময় বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার (ভারপ্রাপ্ত স্পিকার) নরহরি সীতারাম জিরওয়াল দলত্যাগী বিধায়কদের অবস্থান স্পষ্ট করার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত।

    শিবসেনায় (Shiv Sena) ভাঙন…

    প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের (Shiv Sena) মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে। মহা বিকাশ আগাড়ি জোটের নেতা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন তিনি। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানো নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে একনাথ শিন্ডের। তার জেরে ভাঙন ধরে শিবসেনার ঘরে। উদ্ধবকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন একনাথ। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে উদ্ধবকে পুনর্বহালের আর্জিও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, বিধানসভায় আস্থা ভোটের আগে উদ্ধব নিজেই ইস্তফা দিয়েছিলেন। তাই তাঁকে আবার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে ফেরানো সম্ভব নয়। রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি মহারাষ্ট্র বিধানসভার বৃহত্তম দল বিজেপি সমর্থিত শিন্ডেকে সরকার গড়তে ডেকে অযৌক্তিক কিছু করেননি বলেও জানিয়েছে সাংবিধানিক বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকাশ্যে আসে শিবসেনার (Shiv Sena) অভ্যন্তরীণ কোন্দল। বিদ্রোহী ৪০ জন বিধায়ককে নিয়ে উদয়পুরের রিসর্টে আশ্রয় নেন শিবসেনার একনাথ শিন্ডে। পরে সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে চলে যাওয়া হয় বিজেপি শাসিত অসমে। বিদ্রোহী শিবিরে বিধায়কের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। পতন ঘটে মহা বিকাশ আগাড়ি জোট সরকারের। পরের দিনই বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ে শিবসেনার শিন্ডে গোষ্ঠী। মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ শিন্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Indian Railways: একলাখী-বালুরঘাট স্পর্শ করল মাইলফলক, সুকান্তর উপস্থিতিতে বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনের সূচনা

    Indian Railways: একলাখী-বালুরঘাট স্পর্শ করল মাইলফলক, সুকান্তর উপস্থিতিতে বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনের সূচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একলাখী-বালুরঘাট রেলপথ পরিষেবা উন্নয়নের পথে আরও একটি মাইলফলক স্পর্শ করল বৃহস্পতিবার সকালে। বালুরঘাট রেল স্টেশন (Indian Railways) থেকে এখানকার বিজেপি সাংসদ তথা দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতে বালুরঘাট-শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনের সূচনা হল। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনএফ রেলওয়ের ডিআরএম শুভেন্দু চৌধুরী সহ রেলের অন্যান্য আধিকারিকরা।

    সাংসদ সুকান্ত মজুমদার হাতে নিয়েছেন একাধিক প্রকল্প  

    একলাখী-বালুরঘাট রেল প্রকল্প (Indian Railways) চালু হয় ২০০৪ সালে, তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের হাত ধরে। তারপর দীর্ঘ প্রায় কুড়ি বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। একলাখী-বালুরঘাট রেলপথে ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে। উন্নত হয়েছে বেশ কিছু স্টেশন। কিন্তু এখনও এই রেল পরিষেবা সিঙ্গল লাইনে চলে। অবশ্য বুনিয়াদপুর, গঙ্গারামপুর ও রামপুর স্টেশনে সিগন্যালিং ও ক্রসিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। আগামী পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার একলাখী-বালুরঘাট রেল প্রকল্পের সামগ্রিক উন্নতির জন্য একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল বিদ্যুতায়নের কাজ, যা মাত্র ছয়মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ হল।

    বালুরঘাট স্টেশনের উন্নয়নে আরও ২ কোটি 

    রেল সূত্রের খবর, আগামী দিনে বালুরঘাট থেকে সমস্ত ট্রেনই বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনের দ্বারা টানা হবে। বালুরঘাট রেল স্টেশনের (Indian Railways) উন্নয়নের জন্য আরও ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল দফতর। তারও কাজ শুরু হবে। আরও সুন্দর করে গড়ে তোলা হবে বালুরঘাট স্টেশনকে। দূরপাল্লার ট্রেন চালু করতে রেক মেনটেন্যান্স সহ অন্যান্য কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। আগামী দু-একমাসের মধ্যেই সেই কাজ সম্পন্ন হলে বালুরঘাট থেকে গুয়াহাটি এবং দিল্লিগামী ট্রেনের ব্যবস্থা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। রেলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার সাধারণ মানুষ। কিন্তু তাঁদের দাবি, বালুরঘাট থেকে মালদা সারাদিনে কিছু লোকাল ট্রেন চালানো হোক। শিক্ষা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য-সব ক্ষেত্রেই জেলার মানুষকে মালদায় যেতে হয়। বাসে সময় লাগে তিন ঘণ্টা, ট্রেনে গেলে দু’ঘণ্টাতেই পৌঁছে যাওয়া যায়। সেই কারণে লোকাল ট্রেনের দাবি তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Mocha: বৃহস্পতিবার ভোরে জন্ম নিল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’! কবে, কোথায় ল্যান্ডফল?

    Cyclone Mocha: বৃহস্পতিবার ভোরে জন্ম নিল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’! কবে, কোথায় ল্যান্ডফল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভোরে জন্ম নিল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ (Cyclone Mocha)। গতকাল পর্যন্ত ছিল গভীর নিম্নচাপ। আজ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল ‘মোকা’। এমনটাই জানাল আবহাওয়া দফতর। উপগ্রহ চিত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোকার শেষ অবস্থান পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৫১০ কিলোমিটার দূরে। ১২ মে পর্যন্ত তা আরও শক্তি সঞ্চয় করতে চলেছে। ১৪ মে তা স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে ‘মোকা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে। শুক্রবার আরও শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ অত্যন্ত প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে।

    আগেই জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তে সম্ভবত ল্যান্ডফল হবে ‘মোকা’-র। আগামী রবিবার বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মায়ানমার সীমান্তের মধ্যবর্তী স্থানে আছড়ে পড়বে ‘মোকা’। আবহাওয়া দফতর অনুযায়ী, সেই সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। 

    এদিকে, আজ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রের অবস্থা খুবই খারাপ থাকবে। ঢেউয়ের উচ্চতা খুব বেশি হবে, শক্তিশালী হাওয়া ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে এবং মাঝে মাঝে ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বইতে পারে।

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ‘মোকা’র (cyclone mocha) সরাসরি প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়বে না। তবে, পরোক্ষ প্রভাব পড়বে এরাজ্যে। শুক্রবার থেকে সামান্য বদলাতে পারে পরিস্থিতি। শনিবার দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে ‘মোকা’র জেরে রাজ্যে চড়চড়িয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। বৃহস্পতিবার রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৪০ ডিগ্রির আশেপাশেই।

    মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রশাসনের

    ‘মোকা’র (cyclone mocha) কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রায় ইতিমধ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। বাংলাদেশ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উপকূলে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করেছে প্রশাসন।

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া….

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের আকাশ পরিষ্কার থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা বাড়লেও তাপপ্রবাহেরও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে আগামী তিন দিন গরমে অস্বস্তিজনিত পরিবেশ বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া….

    দক্ষিণবঙ্গে আপাতত চলবে গরম। উত্তরবঙ্গের মতো দক্ষিণবঙ্গেও কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    আন্দামানে বৃষ্টি….

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে ‘মোকা’র প্রভাবে আন্দামানে ভারী বৃষ্টি হবে। সঙ্গে চলবে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া। হাওয়া অফিস জানিয়েছে ‘মোকা’র প্রভাবে বাড়বে আন্দামানের সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা। মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে অসম, তামিলনাড়ু, সিকিম, অন্ধ্র উপকূলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    Ram Navami: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা ঘিরে ব্যাপক অশান্তি হয়েছিল হাওড়া এবং হুগলিতে। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে ওই অশান্তির ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় এনআইএ-কে (NIA)। তার পরেই হাওড়ার পুলিশ কমিশনার, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার ও এডিজি সিআইডিকে চিঠি দেয় এনআইএ। অশান্তির মামলার তদন্ত কীভাবে এগোবে, তা নিয়েও বৈঠক করেন এনআইএ-র কলকাতা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিআইজি।

    রামনবমীর (Ram Navami) অশান্তিতে এফআইআর…

    হাওড়া ও হুগলির ওই অশান্তির ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছে এনআইএ। বৃহস্পতিবার তা আদালতে পেশ করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। হাইকোর্টের নির্দেশে হাওড়ার শিবপুরে একটি, হুগলির শ্রীরামপুরে দুটি, রিষড়ায় একটি এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় রামনবমীর মিছিলে গোলমালের ঘটনার প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করেছে এনআইএ। প্রসঙ্গত, রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলে অশান্তির জেরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। এনআইএকে দিয়ে তদন্তের দাবিতে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। ২৭ এপ্রিল তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয়।

    আরও পড়ুুন: ফের সভার অনুমতি দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, আদালতে যাচ্ছে বিজেপি!

    দু সপ্তাহের মধ্যে মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি এনআইএকে হস্তান্তর করার নির্দেশও রাজ্যকে দেয় আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, পুলিশের রিপোর্টে স্পষ্ট যে অশান্তি হয়েছে। কারা এই অশান্তির ঘটনায় জড়িত এবং কারা উসকানি দিয়েছে, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন। তার পরেই এনআইএ তদন্তের নির্দেশ। সচরাচর তদন্ত শুরু করার আগে এনআইএ এফআইআরের একটি খসড়া তৈরি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠায়। তার ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সবুজ সংকেত মিললেই শুরু হয় তদন্ত। ইতিমধ্যেই সেই এফআইআরের খসড়া পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 

    ৩০ মার্চ রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর থানার জিটি রোড এলাকা। পুলিশের গাড়ি, বাস, টোটো, অটো, বাইকে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটপাটকেল। সেদিনই অশান্তি হয় উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায়ও। রামনবমীর দু দিন পরে অশান্ত হয়ে ওঠে হুগলির রিষড়াও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Road: দুর্গাপুরের কাঁকসায় ব্যস্ততম রাস্তার বেহাল দশা, দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী

    West Bengal Road: দুর্গাপুরের কাঁকসায় ব্যস্ততম রাস্তার বেহাল দশা, দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের কাঁকসা থানার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শিবপুর বাইপাস থেকে গৌরবাজার যাওয়ার প্রধান রাস্তা (West Bengal Road) দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় থাকায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ, খানাখন্দে ভরা ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পড়ুয়ারাও। এলাকাবাসীর দাবি, রাস্তাটি অবিলম্বে মেরামত না করলে ভোগান্তি থেকে রেহাই মিলবে না। কিন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে।

    কী বলছেন এলাকার বাসিন্দারা?

    দুর্ভোগের শিকার স্থানীয় বাসিন্দা দয়াময় বাগদি জানান, এটি খুবই ব্যস্ততম রাস্তা (West Bengal Road)। শিবপুরের জয়দেব ঘাট থেকে দুর্গাপুর শহর ও লাউদোহা এলাকায় যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। এই রাস্তা দিয়ে অনবরত বালির গাড়ি যাতায়াত করায় রাস্তা বেহাল হচ্ছে। বালির জল পড়ে পড়ে খানাখন্দে ভরেছে রাস্তা। সামনেই আসছে বর্ষাকাল। এই বেহাল রাস্তা অবিলম্বে মেরামত না করলে বর্ষায় বৃষ্টির জলে তা মরণফাঁদে পরিণত হবে। পথচারীরা সাইকেল, বাইক নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রায়শই ছোটখাট দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। গ্রামের পড়ুয়ারাও এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা হলে বহু মানুষ উপকৃত হবে।

    কী বলছেন পঞ্চায়েত সদস্য?

    বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য গিরিধারী সিনহা বলেন, শিবপুর বাইপাস থেকে গৌরবাজার পর্যন্ত ওই ১০ কিলোমিটার রাস্তা (West Bengal Road) বেহাল, একথা ঠিক। রাস্তাটা মোরামের ছিল। পরে পিচরাস্তা ও কিছুটা ঢালাই রাস্তা হয়েছিল। কিন্তু ভারী পণ্যবাহী যান চলাচলের জন্য কোনও রাস্তাই টেকে না। বর্তমানে ওই রাস্তা ভগ্নদশায় রয়েছে। শুনেছি কোটি কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছিল বা হচ্ছে। কেন এখনও রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে না, সেই সঠিক তথ্য জানা নেই।

    তোপ দাগলো বিজেপি

    বর্ধমান সদরের বিজেপির সহ সভাপতি রমন শর্মা এই বিষয়ে বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে যত সব রাস্তাশ্রী, পথশ্রী প্রকল্পের নাম তো শোনা যাচ্ছে। এত বছর কোথায় ছিল এই সব প্রকল্প। মানুষ যে এত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে, তার উত্তর দেবে কে? 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAR: নেই পুঁথিগত বিদ্যা! মাত্র ৭০ হাজার টাকায় বিনা তেলের চারচাকা গাড়ি বানিয়ে তাক লাগালেন বৃদ্ধ

    CAR: নেই পুঁথিগত বিদ্যা! মাত্র ৭০ হাজার টাকায় বিনা তেলের চারচাকা গাড়ি বানিয়ে তাক লাগালেন বৃদ্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অদম্য জেদ আর ইচ্ছেশক্তি থাকলে সবকিছু করা সম্ভব। বয়স সেখানে কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। সে কথাই প্রমাণ করেছেন মেদিনীপুর শহরের জজকোর্টের ৬৫ বছরের শরাফত আলি। পুঁথিগত বিদ্যা তাঁর নেই। তবে, নিজস্ব বুদ্ধি ও মেধা দিয়ে নিজের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বিভিন্ন যানবাহনের পরিত্যক্ত জিনিসের সাহায্যে বাড়িতেই তৈরি করে ফেললেন ইলেকট্রিকের চার চাকা গাড়ি (CAR)। যে কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বিভিন্ন এলাকায় এখন তিনি চর্চিত। গাড়ির নামকরণ করেছেন মনো-ই-কার।

    কী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই গাড়ি (CAR)?

    জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি (CAR) তৈরি করতে শরাফতসাহেব স্টিয়ারিং সংগ্রহ করেছেন পরিত্যক্ত টাটা ন্যানোর, বিকল হয়ে যাওয়া মহেন্দ্র ভ্যান এর স্টিয়ারিং বক্স, টোটোর চাকা প্রভৃতি। হার্ডওয়্যারের দোকান থেকে সংগ্রহ করেছেন লোহার সামগ্রী। প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সামগ্রী নিজের মতো করে কিনে বাড়িতে ঝালিয়ে পূর্ণরূপে তৈরি করে ফেলেছেন একটি ইলেকট্রিক কার। নিজস্ব মস্তিষ্কপ্রসূত কায়দায় ইলেকট্রিক ওয়ারিং পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তৈরির প্রথমদিকে অনেকেই হাসাহাসি করছিলেন। কাজ সম্পূর্ণ করার পর সেই গাড়ি (CAR) নিয়ে বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হতেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সকলকে। এখন আর হাসাহাসি নয় তাঁকে ঘিরে ধরেন চক বাজারের লোকজন।

    কী বললেন অভিনব গাড়ি (CAR) নির্মাতা?

    বৃদ্ধ শরাফত আলি প্রায় ৪০ বছর ধরে কাঠের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাড়িতে এক ছেলে, সেও বাবার পেশাতেই। তবে তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধ শরাফত আলি অনেকটা সৃজনশীল। নিজের তৈরি গাড়ি (CAR) নিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমানে পেট্রোলের যা দাম, তাতে বাইক চালানো সমস্যার। তাছাড়া আমার মত বয়স্ক লোকজন বাইকের থেকে চার চাকাতে নিরাপদ। সে কথা মাথায় রেখেই নিজস্ব উদ্যোগ শুরু করেছিলাম। পাঁচ মাসের পরিশ্রমের পর অবশেষে সফল। গাড়ি (CAR) তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। এখন নিজে তো বটেই, বাড়ির নাতি-নাতনিদের নিয়ে বাজারে, স্কুলেও যাই। যে পরিমাণ টাকা এটাতে খরচ হয়েছে তাতে হয়তো পুরানো টোটো কিনে নিতে পারতাম, কিন্তু নিজ সৃষ্টির মজা আলাদা। বরাবরই আমি কোনও না কোনও কিছু নতুন জিনিস তৈরি করার চেষ্টা করি, এটা আমার প্যাশন।” তাঁর তৈরি অভিনব গাড়ি (CAR) এখন নজর কেড়েছে সকলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ফের সভার অনুমতি দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, আদালতে যাচ্ছে বিজেপি!

    Suvendu Adhikari: ফের সভার অনুমতি দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, আদালতে যাচ্ছে বিজেপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পটাশপুর, চন্দ্রকোণার পর এবার বাঁকুড়ার (Bankura) সিমলাপাল। ফের রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি দিল না পুলিশ। বিজেপির দাবি, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার জন্যই সরকারের নির্দেশে পুলিশ অনুমতি দিতে চাইছে না। সভার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে পদ্ম শিবির। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিমলাপাল রাজবাড়ি মাঠে সভা করার কথা ছিল শুভেন্দুর। সেই মতো যাবতীয় প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছিলেন বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। একেবারে শেষ মুহূর্তে পুলিশি অনুমতি না মেলায় বাতিল হয়ে যায় সভা।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভা বাতিলে বিজেপির প্রতিক্রিয়া…

    বিজেপির বাঁকুড়ার জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, “পুলিশি অনুমতি না মেলায় সিমলাপালে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পূর্ব নির্ধারিত সভা বাতিল করা হয়েছে”। তিনি বলেন, “সমস্ত নিয়ম মেনে পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হলেও, পুলিশ অনুমতি দিতে টালবাহানা করছিল। সভার আগের রাতেও পুলিশি অনুমতি না মেলায় সভা স্থগিত রাখতে হল”। তিনি বলেন, “রাজ্যের পুলিশ প্রাশসন ও মুখ্যমন্ত্রী যেখানে ঠিকই করে ফেলেছেন তাঁরা বিরোধী দলনেতার কার্যক্রমে বাধা দেবেন, সেখানে আর তাঁদের ওপর ভরসা রাখা যায় না”। সভার অনুমতি চেয়ে এদিনই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি। বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক জানান, শুনানিতে দেরি হলে অন্যদিন সভা হবে।

    বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, “এখন পুলিশের প্রধান কাজ বিজেপিকে আটকানো। বিজেপির কর্মসূচি দেখে এ রাজ্যের শাসক দল আতঙ্কিত। তাই পুলিশের নিজস্ব কাজ না করে বিজেপিকে আটকাতে চাইছে”। তিনি বলেন, “রাজ্যের মানুষ সব দেখছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে”।

    আরও পড়ুুন: ‘‘পাকিস্তানে অশান্তির জন্য দায়ী বিজেপি-আরএসএস’’! আজব দাবি শেহবাজের আপ্ত-সহায়কের

    এই প্রথম নয়, এর আগেও শেষ মুহূর্তে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। আলু চাষিদের আত্মহত্যার প্রতিবাদ সহ কৃষকদের গুচ্ছ সমস্যার কথা তুলে ধরে সভার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সভা হওয়ার কথা ছিল চন্দ্রকোণার ঝাঁকড়া হাইস্কুল মাঠে। শুভেন্দুর সেই সভাও বাতিল হয়ে গিয়েছিল। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ওই দিনই শর্ত সাপেক্ষে শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি দেয় উচ্চ আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: ‘‘পাকিস্তানে অশান্তির জন্য দায়ী বিজেপি-আরএসএস’’! আজব দাবি শেহবাজের আপ্ত-সহায়কের

    Imran Khan: ‘‘পাকিস্তানে অশান্তির জন্য দায়ী বিজেপি-আরএসএস’’! আজব দাবি শেহবাজের আপ্ত-সহায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইমরান খানের (Imran Khan) গ্রেফতারিকে ঘিরে পাকিস্তান জুড়ে জ্বলছে অশান্তির আগুন। পাকিস্তানের এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য দায়ী নরেন্দ্র মোদি, এমন অভিযোগ তুলে বুধবারই ট্যুইট করেছিলেন সেদেশের এক অভিনেত্রী। এবার একই অভিযোগ তুলে সরব হলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক আট্টা তারার। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আধিকারিকের আপ্ত সহায়কের এই বক্তব্যে সেদেশের সরকারের সিলমোহর রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) গ্রেফতার করা হয় ইসলামাবাদ কোর্টের বাইরে থেকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে জমি কেলেঙ্কারির। মঙ্গলবার সারারাত পুলিশ হেফাজতে থাকার পরে, বুধবার ইমরানকে কোর্টে পেশ করা হয়। জানা গেছে, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে আপাতত ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়েছে সেদেশের পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকেই একের পর এক সেনা অফিসে হামলার খবর মিলেছে। হামলা চলেছে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বাড়িতেও। তাঁর বাড়ির সামনের গাড়িগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর। সংবাদ সংস্থাগুলি জানাচ্ছে, পেট্রোল বোমাও ছোড়া হয় প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে। রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, পেশোয়ার প্রভৃতি স্থানের পরিস্থিতি এখনও অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। দেশের বিস্তীর্ণ অংশে টহল দিচ্ছে সেনা। একমাসের জন্য বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ।

    আরও পড়ুন: গ্রেফতার ইমরান! মোদির বিরুদ্ধে মামলা করতে চেয়ে ট্যুইট পাক অভিনেত্রীর, কী বলল দিল্লি পুলিশ?  

    কী বললেন শাহবাজ শরিফের আপ্তসহায়ক?  

    বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর আপ্তসহায়ক বলেন, “পাকিস্তানকে অশান্ত করতে ভারত থেকে গুন্ডা পাঠিয়েছে বিজেপি-আরএসএস। তারাই ভাঙচুর করেছে, আগুন দিয়েছে, গতকালের অশান্তির জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী বিজেপি।” আরও অভিযোগ তোলা হয়েছে, পাকিস্তানে অশান্তির ঘটনায় ভারতে বিজেপি-আরএসএসের সদর দফতরে নাকি মিষ্টি বিতরণও করা হয়েছে।

    লন্ডনে ঘেরাও নওয়াজ শরিফের বাড়ি…

    ইমরানের গ্রেফতারিতে দেশ ছাড়িয়ে অশান্তির আঁচ ছড়িয়েছে বিদেশেও। গতকালই লন্ডনে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বাড়ি ঘেরাও করেন ইমরানের সমর্থকরা। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, কানাডা, আমেরিকায়ও ইমরানকে গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। আমেরিকায় সিএনএনের সদর দফতরের সামনে শেহবাজ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির দাবিতে কানাডাতেও বড় জমায়েত হয়েছে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share