Tag: Bengali news

Bengali news

  • Bogtui: ‘শহিদ দিবস’ পালনের প্রস্তুতি, বিজেপিকে স্বাগত বগটুইবাসীর

    Bogtui: ‘শহিদ দিবস’ পালনের প্রস্তুতি, বিজেপিকে স্বাগত বগটুইবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইয়ে (Bogtui) শহিদ দিসব পালন করবে বিজেপি (BJP)। সেই কারণে জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। স্বজনহারা মিহিলাল শেখের বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে তৈরি হচ্ছে শহিদ বেদি। দিন কয়েক আগে শহিদ বেদির কাজ কতদূর এগোল তা জানতে বগটুই গ্রামে যান বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ বিজেপির নেতৃবৃন্দ। বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন সকালে শহিদ বেদিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা অর্পণ করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা।

    বগটুইয়ে (Bogtui) সভা করার কথা শুভেন্দুর…

    বগটুই গ্রামের পূর্বপাড়ার খেলার মাঠে প্রকাশ্য সভা করার কথাও রয়েছে শুভেন্দুর। গত বছর ডিসেম্বর মাসে নলহাটির জনসভা থেকে ২১ মার্চ বগটুইয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু। দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করার কথাও বলেছিলেন। সেই কারণে বিজেপির তরফে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বলেন, বগটুই (Bogtui) গ্রামে হতদরিদ্র নিরাপরাধ মানুষগুলি প্রায় এক বছর হতে চলল মারা গিয়েছেন। গণতন্ত্র বিরোধী সেই ঘটনাকে স্মরণে রাখতে স্মৃতি স্মারক তৈরি হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা এসে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। ওই কর্মসূচি যাতে ঠিকঠাক হয় তার জন্য জেলা এবং স্থানীয় নেতৃত্ব পরিদর্শনে এসেছিলেন। এলাকার মানুষ যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে যোগ দেন, সেই জন্যও কথা বললাম।   

    ২০২২ সালের ২১ মার্চ রাতে বরশাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। অভিযোগ, ঘটনার পর মিনিট কুড়ি কাটতে না কাটতেই ভাদু শেখের অনুগামীরা বগটুই গ্রামের ভাদু বিরোধীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরের দিন পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা সোনা শেখের বাড়ি থেকে সাতটি অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। পরবর্তীকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও তিনজনের। ঘটনার পরে পরে এলাকায় আসেন ফিরহাদ হাকিম ও স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যে অ্যাডিনো সংক্রমণ নিয়ে বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় বিক্ষোভ

    স্বজনহারা পরিবারগুলির হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারকে দেন চাকরিও। ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর নলহাটিতে বিজেপির জনসভায় শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন বগটুইকাণ্ডে (Bogtui) মৃত নাজিমা বিবির স্বামী ফটিক শেখ। তিনি বলেন, আমাদের যা ক্ষতি হওয়ার তা তৃণমূলের নেতা ভাদু শেখের অনুগামীরা করেছেন। সেই রাতে তৃণমূলের ব্লক নেতা থেকে সর্বোচ্চ নেতাদের জানানো হলেও, তাঁরা আমাদের পাশে দাঁড়াননি।মৃতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বিজেপি যা করছে, তা ঠিকই করছে। স্বজনহারা মিহিলাল শেখ বলেন, মৃতদের স্মরণে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আমরা স্বাগত জানাব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে অ্যাডিনো সংক্রমণ নিয়ে বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় বিক্ষোভ

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে অ্যাডিনো সংক্রমণ নিয়ে বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adeno Virus) শিশু বলির সংখ্যা। তার পরেও তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকার পক্ষের বিবৃতি দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্য সরকারের তরফে উপযুক্ত জবাব না পেয়ে অধিবেশন চলাকালীনই বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ পদ্ম শিবিরের অভিযোগ…

    পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, রাজ্যের স্বাস্থ্য কাঠামো ভেঙে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দেওয়ার পরেও অ্যাডিনো ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে একের পর এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে কীভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গেরুয়া বিধায়করা। অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরেও বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে একের পর এক শিশুমৃত্যু নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। পরে বিষয়টি নিয়ে তোপ দাগেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    বিজেপির (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, অ্যাডিনো ভাইরাসে শিশু মৃত্যুর বিষয়টি কেবল উদ্বেগজনক নয়, এটি সারা রাজ্যের মানুষকে আতঙ্কিত করেছে। তাই এরকম সময় এটি নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তাতে সব কিছুই আড়াল করা হয়েছে। ভাইরাসে শিশু মৃত্যুর বিষয়টিকে তিনি কো-মর্বিডিটি বলে আড়াল করেছেন। এর পরেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে বলেন বিজেপি বিধায়করা। এই সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, বিষয়টি নিয়ে আগেই বিবৃতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আর নতুন করে বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুুন: অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই ফের ৩ শিশুর মৃত্যু, বিসি রায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন বিধানসভায় বিবৃতি দেন, সেদিন বিধানসভায় ছিলেন না বিজেপি বিধায়করা (Suvendu Adhikari)। এ প্রসঙ্গে পদ্ম শিবিরের তরফে বলা হয়, তুঘলকি আচরণ করবেন বিধানসভায়, স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য করা হয়েছে। আর অর্থবিল আর অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিলে কীভাবে শিশুমৃত্যু নিয়ে বিবৃতি দেওয়া সম্ভব, তা একমাত্র মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীই বলতে পারেন। প্রসঙ্গত, বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দু মাসে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জন শিশুর। সকলের শরীরে অবশ্য অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • India Pakistan: ‘সীমান্তে প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে যোগ্য জবাব দেবে মোদির ভারত’, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    India Pakistan: ‘সীমান্তে প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে যোগ্য জবাব দেবে মোদির ভারত’, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক (Pakistan) মদতে জঙ্গি হানা হয়েছিল পুলওয়ামায়। বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে তার যোগ্য জবাব দিয়েছিল ভারত (India)। বর্তমানে ফের সেই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা (India Pakistan) প্রকাশ করা হয়েছে মার্কিন রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সীমান্তে বা কাশ্মীরে প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আগের মতো আর চুপ করে বসে থাকবে না ভারত। পাকিস্তান যদি তাদের ভারত বিরোধী কৌশলের অঙ্গ হিসেবে সীমান্তে সন্ত্রাসমূলক কাজে লিপ্ত হয়, তবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃ্ত্বাধীন ভারত সেনা নামিয়েই তার জবাব দেওয়ার চেষ্টা করবে। ভারতের পূর্ববর্তী রক্ষণাত্মক অবস্থানের তুলনায় নতুন এই অবস্থান একেবারেই পৃথক বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রে শক্তিশালী হওয়ায় সঙ্কট আরও গুরুতর হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

    কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে মোদি সরকার… 

    কেন্দ্রের তখতে নরেন্দ্র মোদির সরকার আসার পর জম্মু-কাশ্মীর (India Pakistan) থেকে তুলে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। তারপর থেকেই প্রায় শান্তি ফিরে এসেছে একদা অশান্তির ভূস্বর্গে। তবে মাঝে মধ্যেই কাশ্মীরে হিংসা ও সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটছে। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তানের মদতেই বারবার হিংসার ঘটনা ঘটছে উপত্যকায়। পাকিস্তানের অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরে ভারত মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এর জবাব দিয়েছে ভারত।

    আমেরিকার ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটির রিপোর্ট অনুসারে, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করে গিয়েছে। নতুন করে সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হলে নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে কঠোর জবাব দিতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দু দেশের মধ্যে উত্তেজনার কারণে সংঘর্ষের ঝুঁকি থেকেই যায়। ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে পাকিস্তানের (India Pakistan) সমর্থন করার এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের উসকানির জবাব দিতে পারেন বলেও রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এর জবাব দিলেই দুদেশের মধ্যে বড় সংঘর্ষের সম্ভাবনা।

    আরও পড়ুুন: ‘অনুব্রত মণ্ডল সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই হামলার জবাব দেয় ভারত। ওই দিন ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১২টি মিরাজ ২০০০ জেট বিমান নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে আঘাত করে। রিপোর্টে অবশ্য এও লেখা হয়েছে, ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশেই বর্তমানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষপাতী। নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রবিরতি মেনে চলার ব্যাপারেও সদিচ্ছা দেখিয়েছে দুই দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: ‘অনুব্রত মণ্ডল সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘অনুব্রত মণ্ডল সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) হল সিপিআইএম (CPM) নেতা সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র। বুধবার নদিয়ার মায়াপুরে ইস্কন মন্দির দর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিস্তর টানাপোড়েনের পর তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছেন ইডি-র আধিকারিকরা। সেই প্রসঙ্গেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির অধ্যাপক নেতা বলেন, অনুব্রত মণ্ডল হচ্ছে সিপিআইএম নেতা সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র। সুশান্ত ঘোষরা এক সময় এরকম ফাঁকা আওয়াজ দিত। যেটা এখন অনুব্রত দেয়। সঙ্গে আছে চড়াম চড়াম গুড় বাতাসা।

    সিপিএমকে কটাক্ষ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)…

    তিনি বলেন, সিপিএম নেতাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েই অনুব্রত বলতো বোম মারব, গুলি মারব। অনুব্রত সিপিআইএমের স্কুল থেকেই পড়া ও পাশ করা। সিপিআইএমের কাছ থেকেই এমন কথার সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছেন। যদি তিনি মুখ খোলেন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসে ভূমিকম্প হবে। ধপাস করে দলটাই পড়ে যাবে। এদিন বামেদেরও নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, অনুব্রতর তিহার যাত্রা নিয়ে সিপিএমের গর্ব হওয়া উচিত যে তারা দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি অথচ তাদের ছাত্র দিল্লি পৌঁছে গেছে। তিহার জেলে তিন ভাই এক সঙ্গে থাকবে। তাদের দেখা হবে। ভারত মেলাও হবে তাদের। বহু দিন তারা আলাদা ছিল, এখন গরু দিয়ে কলা দিয়ে একই সূত্রে বাঁধা হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা শহিদ মিনারের নীচে যে অনশন, অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, সে প্রসঙ্গে এদিন সব চেয়ে বেশি সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা ডিএ দিতে পারব বলছি তো। আমাদের পাঁচ-দশ বছর সময় দিলে আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেব। আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে ডিএ দিতে পারব না বলে উনি অপদার্থতার নজির সৃষ্টি করেছন। সুকান্ত বলেন, সেই অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা, সেদিনই মাধ্যমিকের উত্তরপত্র বিলি?

    DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা, সেদিনই মাধ্যমিকের উত্তরপত্র বিলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিরা। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জেরে ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। প্রস্তাবিত এই ধর্মঘট (Strike) নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনার পারদ।

    ধর্মঘটের দাবিতে অনড়…

    বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারিরা। পৃথা বিশ্বাস নামে এক শিক্ষিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, আমি চাই আগামী ১০ই মার্চ ধর্মঘট করার জন্য সরকার বাহাদুর থুড়ি বাহাদুরানি আমার এক দিনের বেতন কাটুন, চাকরি জীবনের একটি দিন কাটুন। কারণ আমি চাই আমার সার্ভিস বুকে লেখা থাকুক দেশজুড়ে ধর্মীয় বিভাজনকেই রাজনীতির হাতিয়ার বানানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করেছি, যোগ্যতা রাস্তায় ধর্না দিচ্ছে, আর বুক ফুলিয়ে টাকার বিনিময়ে চাকরি কেনাবেচা চলছে। এই বেনিয়মকে আমি ধিক্কার জানিয়েছি…।

    ধর্মঘট বানচাল করার ছক?

    এদিকে, ১০ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘটের দিন থেকেই শুরু হচ্ছে উত্তরপত্র বিলি। সেই পরিস্থিতিতে নির্ঝঞ্জাটভাবে উত্তরপত্র বিলি করার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হল। বুধবার পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করতে ১০, ১১, ১৩, ১৪ ও ১৯ মার্চ উত্তর পত্র বিলি করা হবে। পড়ুয়া ও সমাজের স্বার্থে মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজকর্ম যে জরুরি এবং বাধ্যতামূলক, তা পর্ষদের তরফে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।মূল পরীক্ষকদের উদ্দেশে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে পড়ুয়া ও বৃহত্তর সমাজের স্বার্থে মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোনও কাজ অত্যন্ত জরুরি এবং বাধ্যতামূলক।

    বিধানসভা অভিযানের ডাক…

    এদিকে, এদিনই বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে এসএফআইয়ের পশ্চিমবঙ্গ শাখা। ছাত্র ফেরাও, স্কুল বাঁচাও, ছাত্রভোট ফেরাও, কলেজ বিশ্ববিদ্যায় বাঁচাও এই স্লোগান সামনে রেখে এদিন বিধানসভা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের তরফে সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ১০ মার্চ বেলা ১২টার সময় শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন থেকে দুটি ছাত্র মিছিল রাজ্যের বিধানসভা অভিমুখে যাবে। আমরা রাজ্যের ছাত্র সমাজকে আগামী ১০ মার্চ বিধানসভা অভিযানে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

    আরও পড়ুুন: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেয়ারটা ছেড়ে দিন, আমরা এসে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (DA) মিটিয়ে দেব। বুধবার নদিয়ায় এসে এ কথা বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন হোলি উপলক্ষে মায়াপুরে ইস্কন মন্দিরে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানেই ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিজেপির অধ্যাপক নেতা। সুকান্ত বলেন, মুণ্ড কাটার প্রয়োজন নেই, চেয়ারটা ছেড়ে দিন, আমরা এসে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অপদার্থ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

    অনুব্রত প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গেও তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে একহাত নেন সুকান্ত। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছেন। যদি তিনি মুখ খোলেন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসে ভূমিকম্প হবে। ধপাস করে দলটাই পড়ে যাবে। আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, তাঁকে (নওশাদ সিদ্দিকি) পুলিশ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে সেই ভুল বুঝতে পেরে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল সরকার।

    সম্প্রতি ভাঙড়ের পর নদিয়ার কালীগঞ্জে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। সে প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত বলেন, এখন দুয়ারে বোমা, দুয়ারে গুলি প্রকল্প চলছে রাজ্যের শাসক দলে। যা তৃণমূলেরই সংস্কৃতি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, শাসক দলের হার্মাদ বাহিনী ও নেতানেত্রীরা তৎকালীন রাজ্যের শাসক দল সিপিএম নেতাদের ছাত্র ছিল। তিনি বলেন, সিপিএম নেতাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েই অনুব্রত মণ্ডলদের মতো অন্য তৃণমূল নেতারা বোমা মারব, গুলি মার বলে মানুষকে হুমকি দেয়। সিপিএম স্কুল থেকেই পাশ করে আজকের তৃণমূল নেতা তৈরি হয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: প্রশ্নবাণে চোখ ছলছল! ইডির জেরায় ভেঙে পড়লেন কেষ্ট মণ্ডল

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা শহিদ মিনারের নীচে যে অনশন, অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, সে প্রসঙ্গে এদিন সব চেয়ে বেশি সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা ডিএ দিতে পারব বলছি তো। আমাদের পাঁচ-দশ বছর সময় দিলে আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেব। আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে ডিএ দিতে পারব না বলে উনি অপদার্থতার নজির সৃষ্টি করেছন। সুকান্ত বলেন, সেই অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে শাসকদলকে তোপ সুকান্তর…

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, আপনি লক্ষ্মীর ঝাঁপি খুলে চাকরির ঝাঁপি বন্ধ করে দেবেন, এটা হতে পারে না। আমরা আগেই বলেছি ত্রাণ নয়, পরিত্রাণ চাই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কার্যত ত্রাণ দেওয়ায় পরিণত হয়েছে। এই ত্রাণ দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। একমাত্র চাকরিই স্থায়ী সমাধান হতে পারে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যখন মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন তখন মানুষই যেন সেই তাঁদের জিজ্ঞেস করেন যে, তাঁরা ক’টা চাকরির টাকা খেয়েছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের জানা দরকার, যে নেতা তাঁর বাড়ি গিয়েছেন তিনি কতগুলো চাকরি বিক্রি করতে পেরেছিলেন৷

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Rail line: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    Rail line: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ভাবাদিঘি। গোঘাটের এই এলাকার মানুষের কাছে এটা শুধু দিঘি নয়, একটি সেন্টিমেন্ট। কারণ, এই ভাবাদিঘিতে মাছ চাষ করে বহু পরিবারের মুখে দুবেলা অন্ন ওঠে। এলাকার বহু পরিবার এখনও দিঘির জল ব্যবহার করেন। তাই, এই দিঘি এলাকাবাসীর কাছে অন্নদাতা মায়ের মতো। প্রস্তাবিত রেলের প্রকল্প অনুযায়ী, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল (Railline) যোগাযোগের জন্য ভাবাদিঘি দিয়ে রেলপথ নিয়ে যাওয়ার কথা। বিষয়টি জানতে পেরেই এক জোট বাসিন্দারা। দিঘি বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা পথে নামেন। দিঘি রক্ষা করার বার্তা পৌঁছে দেন রেল কর্তাদের কাছে।

    ভাবাদিঘি রক্ষা করতে কী উদ্যোগ নিলেন এলাকাবাসী? Railline

    পথে নেমে লোক দেখানো আন্দোলন নয়। রীতিমতো ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটি গড়ে গঠনমূলক আন্দোলন গড়ে তোলেন এলাকাবাসী। তাঁদের বক্তব্য, রেল (Railline) প্রকল্প হোক। তবে, ভাবাদিঘিকে বাঁচিয়ে এই প্রকল্প করতে হবে। এটাই গ্রামের একমাত্র দিঘি, এর জল‌ই ভরসা সকলের। সেইসঙ্গে এলাকার পরিবেশ ঠিক রাখতে দিঘির বিন্দুমাত্র ক্ষতি হতে দিতে রাজি নয় আমরা। ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির সভাপতি সুকুমার রায় বলেন,   কমিটি গঠনের আগে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা এই এলাকায় রেল পথ তৈরির জন্য মাপজোক করা শুরু করেন। সেই সময় আমরা গুগল এ একটি ম্যাপ দেখতে পেয়েছিলাম। ভাবাদিঘি থেকে ৫০০ মিটার দূর দিয়ে রেল লাইন নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সেখানে অবস্থাপন্ন পরিবার এবং রাজ্যের শাসকদলের বেশ কিছু নেতার জমি ছিল। আচমকাই রাতারাতি সেই লাইনের এলাইমেন্ট চেঞ্জ হয়ে যায়। সেই প্রস্তাবিত পথ বদলে গিয়ে একেবারে দিঘির মাঝখান দিয়ে নতুন ম্যাপ তৈরি হয়। আমাদের প্রাণ থাকতে এই দিঘির উপর দিয়ে রেললাইন (Railline) যেতে দেব না। সরকার যেখানে আইন তৈরি করেছে, সংবিধান সবাইকেই মানতে হবে। পরিবেশ রক্ষার্থে জলাশয়ের অবশ্যই দরকার। আর এই দিঘির জল আমরা গোটা গ্রামের প্রত্যেকটি পরিবার ব্যবহার করি। আমরা কোনওভাবে দিঘির উপর দিয়ে রেলপথ (Railline) নিয়ে যেতে দেব না। এর শেষ দেখে ছাড়ব। বহু মানুষকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। তবু, আমাদের আন্দোলন থেমে নেই। আমরা রেলের বিরুদ্ধে নয়। রেলপথ হোক। তবে, এই ভাবাদিঘিকে বাঁচিয়ে দূর দিয়ে রেল পথ তৈরি হোক। কারণ, দিঘির পাড়ে অনেক জায়গা আছে।

     ভাবাদিঘি আন্দোলনের এক সদস্য মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, দিদি তো সব জায়গায় হেলিকপ্টার চড়ে যান। ভাবাদিঘিতে সব হয়ে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তিনি অনেক কথা বলেছেন। এখানে কী হয়েছে তিনি নিজে এসে চাক্ষুস করে যান। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার ঠিক  আগে ভাবাদিঘির বাসিন্দারা নিজেদের দাবি বজায় রাখতে আন্দোলনের পারদ চড়াচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় এবিভিপি নেতার বাড়িতে তৃণমূলীদের হামলা, জখম প্রাক্তন সেনাকর্মী সহ ৩

    ABVP: মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় এবিভিপি নেতার বাড়িতে তৃণমূলীদের হামলা, জখম প্রাক্তন সেনাকর্মী সহ ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ হোলির দিনে পাড়ার মধ্যে মদ্যপ যুবকরা অভব্য আচরণ করছিল। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের জেরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন  বারাকপুরে শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কলেজ পল্লির এলাকার মানুষ। কিন্তু, সাহস করে কেউ মদ্যপদের প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেনি। প্রাক্তন সেনা কর্মী জন্মেঞ্জয় মাহাতোর দুই ছেলে জগদীশ ও সমীরণ বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করেন। জগদীশবাবু বারাকপুরের অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক (Abvp)। আর জন্মেঞ্জয়বাবু কার্গিল যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনা অফিসার ছিলেন। তাদের বাধায় দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। পরে, মদ্যপরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, দলবল নিয়ে এসে মদ্যপরা প্রাক্তন সেনা কর্মীর বাড়ির ভিতরে ঢুকে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সকলেই তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচত। বাড়ির ভিতরে দুই ছেলের উপর হামলা হতে দেখে প্রাক্তন সেনা কর্মী বাধা দিয়ে এগিয়ে আসেন। তাঁর উপরও হামলাকারীরা চড়াও হন। হামলার জেরে প্রাক্তন সেনা কর্মীসহ তিনজন জখম হন। স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে তাঁরা চিকিত্সা করেন। পরে, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    এলাকায় তৃণমূলের দাপট দেখাতেই কী দলবল নিয়ে হামলা? Abvp

    শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা তৃণমূলের খাস তালুক। এই এলাকায় প্রাক্তন সেনা কর্মীর ছেলে প্রকাশ্যেই এবিভিপি-র (Abvp) নেতৃত্ব দেন। ফলে, স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের আগে থেকে প্রাক্তন সেনা কর্মীর বাড়ির দিকে নজর ছিল। মদ্যপদের পাড়া থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতারা সুযোগ পেয়ে যায়। দলবল নিয়ে তারা এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রাক্তন সেনা কর্মী জন্মেঞ্জয় মাহাত বলেন, পাড়ার মধ্যে ওরা চরম অভব্য আচরম করছিল। গালিগালাজ দিচ্ছিল। তাই, প্রতিবাদ করা হয়েছিল। সকলেই তৃণমূল কর্মী (Tmc) হিসেবে পরিচিত। নিজেদের দাপট দেখাতেই এভাবে বাড়ির ভিতরে ঢুকে ওরা হামলা চালায়। হামলার জেরে বড় ছেলের কলার বোন ভেঙে যায়। ছোট ছেলের পা ভাঙে। আমার মাথা ফেটে যায়। ওরা হামলা চালানোর সময় তৃণমূলের স্থানীয় প়ঞ্চায়েতের প্রধানের  নাম নিয়েছিল। হামলার বিষয় নিয়ে শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান অরুণ ঘোষ বলেন, এটা নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয়। এরসঙ্গে দলের কোনও বিষয় নেই। আর আমি কাউকে এই ধরনের কাজে মদত দিই না।

    অন্যদিকে, বিজেপির নোয়াপাড়া যুব মোর্চার কনভেনার সুপ্রিয় দে-র উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সুপ্রিয়বাবু বলেন, দোল খেলে বাড়ি ফেরার পথে ওরা আমার পথ আটকায়। এরপর আমার উপর হামলা চালায়। ওরা দুষ্কৃতীকারী। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

     

     

     

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা

    Anubrata Mondal: অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে দিল্লির উড়ান ধরলেন ইডি আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি উড়ান সংস্থার বিমানে দিল্লি নিয়ে গেল ইডি। এর আগে বিমানবন্দরে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি দাবি করেন, তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাঁকে ইনহেলারও নিতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যপারে কোনও মন্তব্য করেনি ইডি (ED)।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    এদিনই অনুব্রতকে আদালতে পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু যেহেতু তাঁকে নিয়ে দিল্লি যেতে রাত হবে, তাই এদিন অনুব্রতকে রাখা হবে ইডি দফতরে। বুধবার পেশ করা হবে আদালতে। তবে এদিন দিল্লি পৌঁছে ফের এক প্রস্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে অনুব্রতর। এ জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে দিল্লির সফদরজং হাসপাতাল কিংবা রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। সেখানে সুস্থতার শংসাপত্র মিললে নিয়ে যাওয়া হবে ইডি দফতরে।

    এদিন সকাল ৭টা নাগাদ গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Scam) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলার কৃশানু গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর একজন সহযোগীকে পাঠানো হয়। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এক ইন্সপেক্টর, তিনজন সাব ইন্সপেক্টর ও ১২ জন সশস্ত্র পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনীকে। সঙ্গে ছিল দুটি পাইলট কার। অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয়েছিল জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও তাঁর একজন সহযোগীকে।

    এদিন সকালে আসানসোল জেলের সামনে কিছু মানুষ জমায়েত করেছিলেন। অনুব্রতকে লক্ষ্য করে কটাক্ষও ছুড়ে দেন কেউ কেউ। কেষ্টদা দিল্লি যাচ্ছেন নাকি? এই ধরনের টিপ্পনিও ভেসে আসতে শোনা গিয়েছে। জেলের সামনে উপস্থিত রাজা মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল যাওয়ার পর আসানসোল পবিত্র হল। আমরা শুদ্ধিকরণ করব।

    আরও পড়ুুন: কাঠফাটা গরম, কীভাবে মোকাবিলা? উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর থেকে আদালতের নির্দেশে আসানসোল জেলেই ছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সম্প্রতি তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কলকাতায় নিয়ে গিয়ে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল। সেই কারণে কলকাতা পর্যন্ত তাঁকে সুরক্ষা কে দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় ইডির হাতে।

    এই মামলায় দিল্লিতে আগে থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁকে এবং সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Pakistan Hindu: পাকিস্তানে হোলি পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হিন্দু ছাত্ররা, জখম অন্তত ১৫

    Pakistan Hindu: পাকিস্তানে হোলি পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হিন্দু ছাত্ররা, জখম অন্তত ১৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্লান হল হোলির উৎসব। পাকিস্তানে হোলি (Holi) উৎসব পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হিন্দু (Pakistan Hindu) ছাত্ররা। লাহোরের পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের (Punjab University) ঘটনা। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হোলি উৎসব পালন করতে যান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন পড়ুয়া। উৎসব পালনে বাধা দেয় কট্টরবাদী ছাত্র সংগঠন। ঘটনায় জখম হন অন্তত ১৫ জন পড়ুয়া। ঘটনায় মর্মাহত সে দেশের হিন্দু সমাজ। ফের একবার বেআব্রু হয়ে পড়ল পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা।

    হিন্দু (Pakistan Hindu) ছাত্ররা…

    জানা গিয়েছে, লাহোরের পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ল’ কলেজে হোলি উৎসব পালন করতে জড়ো হয়েছিলেন ৩০ জন পড়ুয়া (Pakistan Hindu)। কাশিফ ব্রোহি নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী পড়ুয়া সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শিক্ষার্থীরা ল’ কলেজের লনে জড়ো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইসলামি জমিয়ত তুলবা কর্মীরা জোর করে তাঁদের হোলি পালনে বাধা সৃষ্টি করে। যার জেরে সংঘর্ষ বাঁধে। এর জেরেই ১৫ জন হিন্দু ছাত্র জখম হন। তিনি জানান, নিরাপত্তা রক্ষীরা চার-পাঁচজন হিন্দু পড়ুয়াকে জোর করে তাদের ভ্যানে তোলে। তাদের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে দেয়নি। কাশিফের দাবি, হোলি উৎসব পালনের জন্য হিন্দু ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি নিয়ে রেখেছিলেন।

    ঘটনার প্রতিবাদে উপাচার্যের অফিসের সামনে গেলে ফের এক প্রস্ত পড়ুয়াদের (Pakistan Hindu) মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। হামলায় জখম হয়েছেন ক্ষেত কুমার নামে এক হিন্দু ছাত্র। তিনি বলেন, উপাচার্যের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের ওপর লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। তিনি জানান, ঘটনার প্রেক্ষিতে ইসলামি জমিয়ত তুলবা ও নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র পুলিশকে জমা দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, পুলিশ কোনও এফআইআর দায়ের করেনি।

    আরও পড়ুুন: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    ইসলামি জমিয়ত তুলবার মুখপাত্র ইব্রাহিম শাহিদ হিন্দু ছাত্রদের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর সংগঠন জড়িত নয়। পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র খুররম শাহজাদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কলেজের লনে হোলি উদযাপনের অনুমতি দেয়নি। তিনি বলেন, কোনও এক ঘরে হোলি উদযাপন করলে এই ঘটনা ঘটত না। উপাচার্য পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share