Tag: Bengali news

Bengali news

  • Water Demand: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    Water Demand: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গ্রামের নাম হাসনহাটি। গ্রামের বাসিন্দাদের অধিকাংশ আদিবাসী। দালান বাড়ি কারও নেই। এক চিলতে ঘরে পরিবার নিয়ে তাঁরা দিন গুজরান করেন মাত্র। দিন মজুরি করে কোনওরকমে সংসার চালান তাঁরা। বাড়িতে টিউবওয়েল বসানো তাঁদের কাছে বিলাসিতা। অগত্যা সরকারি সাহায্য তাঁদের অন্যতম ভরসা। নিয়ম মেনে ঘটা করে প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রামে পানীয় জলের ট্যাপ, টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। টিউবওয়েল থেকে বহুদিন ধরেই জল (Water demand) পড়ে না। আর পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য যে ট্যাপ বসানো হয়েছিল, গত তিনমাস ধরে সেখান দিয়ে জল পড়ছে না। গরম পড়তেই হাঁসফাঁস অবস্থা। ক্ষোভে ফুঁসছেন কালনা-২ ব্লকের বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের আদিবাসী এই গ্রাম।

    দাবি (Water demand) আদায়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা?

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)  একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করে আদিবাসীদের মন জয়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু, বাস্তব চিত্রটা যে একেবারেই আলাদা তা হাসনহাটি আদিবাসী গ্রামে আসলেই টের পাওয়া যাবে। এই গ্রামের তিন মাস ধরে পানীয় জলের (Water demand) ট্যাপ, টিউবওয়েল থেকে জল বের হচ্ছে না। প্রশাসনের কাছে আদিবাসী মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে দরবার করেছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা সুনীতা মুর্মু, মিতা মুর্মু, শেফালি মান্ডিদের বক্তব্য, এতদিন শীতকাল ছিল। দূর থেকে জল আনতে কষ্ট হত না। জলের (Water demand) চাহিদা কম ছিল। এখন গরম পড়েছে। দিন দিন গরম বাড়বে। এই অবস্থায় গ্রামে পানীয় জলের (Water demand) ব্যবস্থা না থাকলে আমরা কোথায় যাব। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জন্য অনেক কিছু করেন বলে বিভিন্ন মঞ্চে দাবি করেন। অথচ গত তিনমাস ধরে আমরা পানীয় জল (Water demand) খেতে পাচ্ছি না, এটা রাজ্য সরকারের কারও দেখার সময় নেই। অবিলম্বে পানীয় জলের ব্যবস্থা না করে দিলে সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা ভোট বয়কট করব। কারণ, বহুদিন ধরে আমরা আবেদন নিবেদন করেছি। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার আমরা জোটবদ্ধ হয়ে সকলেই কেউ আর ভোট দিতে যাব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    হাসনহাটি গ্রামে আদিবাসী পরিবারেরা পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন তা স্বীকার করে নিয়েছেন  কালনা-২ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অমিত কুমার চৌরাসিয়া। তিনি বলেন, কীভাবে তাদের পানীয় জল দেওয়া যায় সেটা ভাবা হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Anthony Albanese: ভারত সফরে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, অংশ নেবেন রংয়ের উৎসবে?

    Anthony Albanese: ভারত সফরে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, অংশ নেবেন রংয়ের উৎসবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই তিনদিনের ভারত (India) সফরে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার (Australia) প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানেজ (Anthony Albanese)। ভারত-অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য চুক্তি করতেই মূলত নয়াদিল্লি আসছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন আলবানেজ। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক সুদৃঢ় করতেই এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানেই ভারতে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি একা নন, অ্যান্টনি আলবানেজের সঙ্গে ভারতে আসছেন সেনেটর ডন ফ্যারেল, বাণিজ্য ও পর্যটন মন্ত্রী এবং মিনিস্টার ফর রিসোর্স অ্যান্ড নর্দান অস্ট্রেলিয় ম্যাডেলাইন কিং। তাঁদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া প্রশাসনের কয়েকজন প্রবীণ আধিকারিক ও পদস্থ বাণিজ্য প্রতিনিধিও আসবেন।

    অ্যান্টনি আলবানেজ (Anthony Albanese)…

    ২০২২ সালের মে মাসে স্কট মরিসনকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসেছেন অ্যান্টনি আলবানেজ (Anthony Albanese)। ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক যথেষ্টই মধুর। সেই কারণেই গত শনিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ক্যানবেরায় গিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে। জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পরেই ট্যুইট-বার্তায় এ মাসে নয়াদিল্লি সফরে আসার কথা জানান আলবানেজ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটাই আলবানেজের প্রথম ভারত সফর। ৮ মার্চ আমেদাবাদে এসে পৌঁছবেন তিনি। এই দিনেই পড়েছে হোলি। রংয়ের উৎসবেও অংশ নিতে পারেন আলবানেজ। পরের দিন দিল্লি আসার আগে তিনি ঘুরে দেখবেন মুম্বই।

    আরও পড়ুুন: নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা কোয়াড গোষ্ঠীর, কেন জানেন?

    চলতি সফরে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী (Anthony Albanese) সাক্ষাৎ করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে। দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন তাঁরা। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মোদি এবং আলবানেজ বার্ষিক সম্মেলনেও যোগ দেবেন। ভারত অস্ট্রেলিয়া কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ নিয়েও আলোচনা হবে। আলোচনা হবে আঞ্চলিক ও বিশ্বজনীন নানা বিষয়েও। আমেদাবাদে হবে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বসে ওই ম্যাচ দেখবেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ও পর্যটন ভিত্তিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। অস্ট্রেলিয়ায় থাকা ভারতীয় হিন্দুদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও কথা হবে দুই দেশের মধ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

  • QUAD: নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা কোয়াড গোষ্ঠীর, কেন জানেন?

    QUAD: নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা কোয়াড গোষ্ঠীর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-প্রশান্ত (Indo-Pacific) মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমেই পাকাপোক্ত ঘাঁটি গাড়ছে চিন (China)। কৃত্রিম দ্বীপে ইতিমধ্যেই সামরিক ঘাঁটি তৈরি করে ফেলেছে ড্রাগনের দেশ। যার জেরে বিপন্ন মুক্ত বাণিজ্য পথ। এর আগে ওই অঞ্চলে নজরদারি জাহাজ মোতায়েন করেছিল বেজিং। যদিও তাদের দাবি, ওই এলাকায় মোতায়েন করা জাহাজটি লাগানো হচ্ছে গবেষণার কাজে। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে চিন। এমতাবস্থায় নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা দিল কোয়াড (QUAD) গোষ্ঠী।

    কোয়াড (QUAD)…

    ভারত (India), জাপান, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মিলে গঠিত হয়েছে কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ, সংক্ষেপে কোয়াড। চলতি বছর জি-২০ সম্মেলন হচ্ছে ভারতে। সেই উপলক্ষে এসেছেন বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। শুক্রবার সেই বৈঠকের ফাঁকে আলোচনায় বসেন কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাপানের বিদেশমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওং এবং মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। যৌথ এক বিবৃতিতে কোয়াডভুক্ত দেশগুলি সাফ জানিয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বাধীনতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর কোয়াড।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটে একলা চলার সিদ্ধান্ত মমতার, কারণ কি জানেন?

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে আমরা সমর্থন করি। আমরা (কোয়াডভুক্ত দেশগুলি) ইন্ডিয়ান ওসান রিম অ্যাসোসিয়েশনের সম্পর্ককেও মজবুত করব। এই এলাকার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আমরা যৌথভাবে মোকাবিলা করব। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে আমরা ইন্ডিয়ান ওসান রিম অ্যাসোসিয়েশনে ভারতের নেতৃত্বকে স্বাগত জানাই। ওই বিবৃতিতেই বলা হয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকা যাতে মুক্ত থাকে সে ব্যাপারে আমরা (কোয়াডভুক্ত দেশগুলি) প্রতিশ্রতিবদ্ধ। আমরা স্বাধীনতার নীতি, আইনের শাসন, সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের ঐক্য এবং বিতর্কিত বিষয়ের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জোরাল সমর্থক। স্থিতাবস্থা নষ্টের যে কোনও প্রচেষ্টার বিরোধিতাও করি আমরা।

    সন্ত্রাসবাদ যে আধুনিক বিশ্বের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে, এদিন তাও উঠে এসেছে কোয়াড সদস্যভুক্ত দেশগুলির আলোচনায়। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ওয়ার্কিং গ্রুপ গড়তে উদ্যোগী হয়েছে কোয়াডভুক্ত দেশগুলি। মুম্বইয়ের ২৬/১১ হামলায় যাঁদের প্রাণ গিয়েছে তাঁদের মধ্যে কোয়াডভুক্ত দেশেরও বাসিন্দা ছিলেন। এদিন যৌথ বিবৃতিতে কোয়াডভুক্ত দেশগুলি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই জাতীয় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রুখতে ওয়ার্কিং গ্রুপ গড়বে কোয়াড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

  • Mamata Banerjee: লোকসভা ভোটে একলা চলার সিদ্ধান্ত মমতার, কারণ কি জানেন?  

    Mamata Banerjee: লোকসভা ভোটে একলা চলার সিদ্ধান্ত মমতার, কারণ কি জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) বিজয়রথ থামাতে একাধিকবার উদ্যোগী হয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বার কয়েক দিল্লি গিয়ে বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টাও করেছিলেন মা মাটি মানুষের নেত্রী। বৃহস্পতিবার উত্তর পূর্বের তিন রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে এবং মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের রাশ হাতছাড়া হওয়ার পর সেই মমতাই ঘোষণা করলেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে তৃণমূল। এদিন নবান্নে বসে তৃণমূল সুপ্রিমো সাফ জানিয়ে দেন, তৃণমূল আর মানুষের জোট হবে। আমরা ওদের (বাম ও কংগ্রেস) কারও সঙ্গে যাব না। একা লড়ব মানুষের সমর্থন নিয়ে।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন…

    তৃণমূল নেত্রী বলেন, সিপিএম-কংগ্রেস এক সঙ্গে রয়েছে। বিজেপির ভোটও ওদের কাছে গিয়েছে। তিনি বলেন, এমন অনৈতিক জোট হলে কংগ্রেস, সিপিএম কী করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে? ওরা যদি বিজেপির সাহায্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে চায়, তা হলে ওরা কীভাবে নিজেদের বিজেপি বিরোধী বলতে পারে! তিনি বলেন, এটা আমাদের কাছে একটা শিক্ষা। কংগ্রেস এবং সিপিএমের কথা শোনা উচিত নয়।

    অথচ যাঁর এমন বিলম্বিত বোধদয় হয়েছে, সেই তিনিই কি না মোদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছিলেন তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) হয়েই! একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদে বসেই নতুন করে বিজেপি বিরোধী শক্তিকে এক ছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী হন তৃণমূল নেত্রী। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন মমতা। কিন্তু কংগ্রেস যখন নেতৃত্বদানের কথা বলে, তখনই পিছু হটেন তৃণমূল নেত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তিনি চেয়েছিলেন তৃণমূলের নেতৃত্বেই দানা বাঁধুক বিজেপি বিরোধী জোট। তাহলে অন্তত প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিটা পাকা হয়ে যাবে! এর পর থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সময় যত গড়িয়েছে, ততই দু পক্ষের ব্যবধান দাঁড়িয়েছে বেড়েছে বই কমেনি।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল নেতা কুন্তলকে ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা!

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর যে মমতা বিরোধী ঐক্যে শান দিচ্ছিলেন, সেই তিনিই কেন এখন একলা লড়ার কথা বলছেন? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণ হল তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ। একের পর এক কেলেঙ্কারির কাদা লেগেছে তৃণমূলের গায়ে। জড়িয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেত্রীর (Mamata Banerjee) ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতা। কান টানলে মাথা আসার মতো তৃণমূলের আরও অনেকেই জড়িয়ে পড়বেন বলে খবর। যদি তাই হয়, তাহলে তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়ে মুখ পোড়াতে আর কেই বা চাইবে? বস্তুত, আকণ্ঠ দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমতাবস্থায় ঘর না বাহির সামলাই দশা তৃণমূল নেত্রীর। সেটাও তাঁর একলা চলার সিদ্ধান্তের সহায়ক হয়েছে বলেও অভিমত রাজনৈতিক মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • SSC Scam: তৃণমূল নেতা কুন্তলকে ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা!

    SSC Scam: তৃণমূল নেতা কুন্তলকে ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় কেউটে বের করল ইডি (ED)! কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে কুন্তলকে এদিন ফের তোলা হয় আদালতে। ইডি জানায়, ১০ জন এজেন্টের বয়ান নেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে ২০০ প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল কুন্তলকে। মোট ১৬ কোটি টাকা দেওয়া হয় কুন্তলকে। ইডির দাবি, প্রাথমিক থেকে নবম দশম শ্রেণির ওই চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে নিজের এজেন্ট মারফত টাকা নিয়েছিলেন হুগলির ওই যুব তৃণমূল নেতা। কুন্তলের ব্যাঙ্কের নথিপত্র যাচাই করে আরও এক নারীর সঙ্গে বিপুল অর্থ লেনদেনের হদিশও পেয়েছে ইডি।

    নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam)…

    ইডির আইনজীবীর দাবি, এজেন্টদের মাধ্যমে কুন্তল প্রার্থী পিছু ৮ লক্ষ টাকা (SSC Scam) করে নিয়েছিলেন। কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি যাচাই করার পর এক মহিলাকেও তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির এক সূত্রের দাবি, ২০২০ সাল থেকে এই মহিলার সঙ্গে কুন্তলের ৫০ লক্ষ টাকা লেনদেনের হদিশ মিলেছে। ইডির আইনজীবীর আরও দাবি, শুধু প্রাইমারি নয়, আপার প্রাইমারি এবং নবম দশম শ্রেণির চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকেও টাকা তুলেছেন কুন্তল। চাকরি প্রার্থীদের থেকে সংগৃহীত ১৬ কোটির থেকে কিছু টাকা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যেতে পারে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। ওই টাকার পুরোটাই নগদে লেনদেন হয়েছে বলেও দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

    ফের জেল হেফাজত…

    ইডি সূত্রে দাবি, কেবল চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকেই নয়, বিএড কলেজের অনুমোদনের জন্যও টাকা নেওয়া হয়েছে। তা করতে গিয়ে পার্থর পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও এক ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের প্রভাব প্রতিপত্তিকেও কাজে লাগানো হয়েছে। এদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকায় অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের এক যুব নেত্রীকে কুন্তল ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন বলেও সূত্রের খবর। তিনটি লাগোয়া ফ্ল্যাট ভেঙে একটি বানানো হয়েছিল। ওই অভিনেত্রীকে একটি গাড়িও কিনে দিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই রাজ্য যুব সম্পাদকের পদের শিকে ছেঁড়ে কুন্তলের ভাগ্যে। এদিন কুন্তলকে তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। বিচারক তাঁকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুুন: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি? 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Plastic Egg: ডিমের ভিতর এরকম কুসুম আগে দেখেছেন কী?

    Plastic Egg: ডিমের ভিতর এরকম কুসুম আগে দেখেছেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ হাঁসের ডিম বা মুরগির ডিমের (Egg) কুসুম কেমন হয়? সকলেই এক কথায় জবাব দেবেন, লালচে কিংবা হলুদ। প্লাস্টিকের ডিমের (Plastic egg) নামও কারও অজানা নয়। কারণ, কিছুদিন আগেই রাজ্য জুড়ে এই ডিম নিয়ে জোর চর্চা ছিল। কিন্তু, সাদা ডিমের মধ্যেই কালো কুসুম কখনও শুনেছেন কিংবা দেখেছেন? অবিশ্বাস হলেও এটা সত্যি। মালদহের মানিকচকের এনায়েতপুরের এক শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার সেদ্ধ ডিম খেতে গিয়ে তাঁর নজরে আসে বিষয়টি।

    ঠিক কী হয়েছিল? সন্দেহ Plastic Egg

    শুক্রবার সকালে বাড়িতে টিফিন করবেন বলে শিক্ষক সুনন্দবাবু বাজারে গিয়ে একটি মুদির দোকান থেকে বেশ কয়েকটি ডিম নিয়ে আসেন। শিক্ষকের অনুরোধে বাড়িতে ডিম সেদ্ধ করা হয়। ডিম খেতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে শিক্ষকের। কারণ, ডিমের মধ্যে যে কুসুম থাকে তা দেখতে একেবারে পিচের মতো কালো। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এটি নকল ডিম (Plastic egg)। ভালো করে না দেখে, সেদ্ধ ডিমটি আমি যদি ভুলবশত খেয়ে নিতাম, তাহলে কি হতো? ডিমের ভিতরে কালো ওই অংশ দেখেই আর ভয়ে ডিম আমি স্পর্শ করিনি। প্রশাসনের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মিড ডে মিলে ডিম দেওয়া হয়। তাদের এই ডিম দেওয়া হলে কী হত? কারণ, স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই ডিম না দেখে খেয়ে ফেলত। বিষয়টি তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি শিক্ষিকা সুপর্ণা মানিক বলেন, ডিম পুষ্টিকর খাবার। আর তাতেই যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে তা সমস্যার। ডিম ভেঙে দেখা যাচ্ছে তার ভিতরে কালো রঙের কিছু আছে। এমন ডিম বাজারে আর বিক্রি না হয় তা দেখার জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।পাশাপাশি যে মুদি দোকান থেকে ডিম কেনা হয়েছিল, তাঁর সাফাই, আমি তো মিল্কি থেকে ডিম কিনে নিয়ে আসি। কোনো দিন এরকম হয়নি। কি ভাবে এরকম হল হল তা বুঝতে পারছি না। যদিও এই বিষয়ে প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে, পরীক্ষা করে রিপোর্ট আসার পরই এই বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

     

  • Bridge: গ্রামের নাম শুনলেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না, কেন জানেন?

    Bridge: গ্রামের নাম শুনলেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  গ্রামের নাম শুনলেই কেউ সেই গ্রামে ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না। ভালো সম্বন্ধ এলে তা পিছিয়ে যায়। মাথায় হাত দিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটান গ্রামের বাসিন্দারা। এ আবার কেমন গ্রাম? আমাদের রাজ্যেই রয়েছে এমন গ্রাম। জানতে ইচ্ছে করছে কোথায়? দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট দেউড়া গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের দুর্দশা দেখলে আপনারও সেখানে দুবার যেতে ইচ্ছে করবে না। বিয়ের কথা তো অনেক দূরের বিষয়।

    কেন এই গ্রামে ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না?

    ছোট দেউড়া আসতে গেলে কাশিয়া খাড়ি পার হতে হয়। সেই কাশিয়া খাড়িতে সেতু (Bridge) তৈরির দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। এখনও তা তৈরি হয়নি। নেই গ্রামে রাস্তা। ফলে, উন্নয়নের আলোর কোনও ছোঁয়া লাগেনি এই গ্রামে। প্রাথমিক স্কুল যেতেও কচিকাঁচাদের খাড়ি পার হতে হয়। গরমকালে খাড়িতে জল কম থাকায় বাঁশের নড়বড়ে সেতুই গ্রামবাসীদের পারাপারের ভরসা। কিন্তু, বর্ষার সময় খাড়িতের জল টল টল করে। তখন খাড়ি পার হওয়া মস্তবড় ঝুঁকি হয়ে পড়ে। জলঘর পঞ্চায়েত থেকে ছোট দেউড়া কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্বাধীনতার এত বছর পরেও এই গ্রামে এই পরিষেবার হাল দেখেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের এই গ্রামে বিয়ে দিতে চান না বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় সরকার। তিনি বলেন, আমরা কোনও ভাল পরিবারে ছেলে বা মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে আমাদের গ্রামের নাম শুনে কেউ আর সম্পর্ক তৈরিতে এগিয়ে আসেন না। সেতু (Bridge) না থাকার কারণে প্রসূতি কিংবা কোনও রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চরম নাকাল হতে হয়। ফলে, আমরা চরম মনকষ্টে রয়েছি।

    দাবি আদায়ে গ্রামবাসীরা জোটবদ্ধ হয়ে পথে নেমেছেন। তবে, সামনে পঞ্চায়েত ভোট বলে নয়, এর আগে গত বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁরা জোটবদ্ধ হয়ে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। রাজনীতির কারবারিরা এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভোট মিটতেই তাঁদের আর দেখা নেই। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবার তাঁরা ফেস্টুন তৈরি করে ভোট বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিষয়ে জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান গোপাল মুর্মু বলেন, বর্তমানে রাস্তা ও সেতুর জন্য টাকা ঢোকার কথা রয়েছে, টাকা এলেই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বুধন মার্ডিও দাবি আদায়ের গ্রামবাসীদের এই ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তকে নৈতিকভাবে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে ভোট বয়কট সমর্থন করি না। কিন্তু, গ্রামবাসীদের রাস্তা ও সেতুর দাবি ন্যায্য। বিজেপির পক্ষ থেকেও জানাই যে, প্রশাসন যেন গ্রামবাসীদের দাবি মেনে এলাকার রাস্তা ও সেতুর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Group D: গ্রুপ ডি-র ১,৯১১ শূন্যপদের কাউন্সেলিংয়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Group D: গ্রুপ ডি-র ১,৯১১ শূন্যপদের কাউন্সেলিংয়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৯১১ জন গ্রুপ ডি (Group D) কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শূন্যপদে নিয়োগের কথাও বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চেও গিয়েছিলেন আবেদনকারীরা। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্ত। শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, গ্রুপ ডি-র ১৯১১টি শূন্যপদে আপাতত নতুন নিয়োগ করতে পারবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও সঞ্জয় করলের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে যে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, তাতে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

    গ্রুপ ডি (Group D)…

    বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ায় ১৯১১ জন গ্রুপ ডি (Group D) কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের বেতন বন্ধ, কর্মজীবনে প্রাপ্য বেতন ফেরত দেওয়া ও স্কুলে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে তাঁরা কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেয় আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান চাকরি খোয়ানো ১৯১১জন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বেতন বন্ধের ওপর স্থগিতাদেশ দিলেও চাকরি বাতিলের ওপর কোনও নির্দেশ বা স্থগিতাদেশ দেয়নি। শুক্রবারই হাইকোর্টে মামলাটির ফের শুনানি হওয়ার কথা। হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেন চাকরি খোয়ানোদের একাংশ।

    আরও পড়ুুন: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি?

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন (Group D), তাঁদের মধ্যে ২৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছিল। আদালতে এ কথা স্বীকারও করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাঁদের মধ্যে ১৯১১ জন চাকরি করছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেই ১৯১১ জনের ওএমআর শিট কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার নির্দেশ দেন। এদিকে বহু স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি চলে যাওয়ায় তাঁদের কাজ ভাগ করে করতে হচ্ছে শিক্ষকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Anubrata Mondal: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি?

    Anubrata Mondal: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিহাড় জেলের ভাত খেতে চান না তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)! দিল্লির (Delhi) জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা দায়ের করলেন দুই হাইকোর্টে। দিল্লি হাইকোর্টের পাশাপাশি অনুব্রত দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অনুব্রতর আইনজীবী। মামলাটি গৃহীতও হয়েছে। এদিনই বিকেল তিনটে নাগাদ শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডিকে সবুজ সংকেত দেয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। সেই মতো প্রস্তুতি নিতে শুরু করে ইডি। তার মধ্যেই অনুব্রতর তরফে দায়ের হল জোড়া মামলা। এদিন দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বল। মামলা দায়ের হয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। জরুরি ভিত্তিতে এদিনই শুনানির আবেদন করেন সিব্বল।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    মঙ্গলবার দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ে ইডি (ED)। অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লিতে হাজির করানোর পরোয়ানা কেন কার্যকর করা হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলে আদালত। তার পরেই গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে আসানসোল জেল থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তৎপরতা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয় জেল কর্তৃপক্ষকে।

    গত বছরের অগাস্টের ২২ তারিখে সিবিআই গ্রেফতার করে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। বর্তমানে তিনি রয়েছেন আসানসোল জেলে। বীরভূমের এই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির পর উঠে এসেছিল একাধিক তথ্য। গরু পাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হত কিনা, তা জানতেও তদন্ত করে সিবিআই। এদিকে, গ্রেফতার করার পর অনুব্রতর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগও ওঠে। অভিযোগ করেছিলেন জনৈক শিব ঠাকুর মণ্ডল। শিব ঠাকুরের দাবি, এত দিন ভয়ে এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি তিনি। অনুব্রত জেলবন্দি হওয়ার পরেই সাহস সঞ্চয় করেন তিনি। পরে দায়ের করেন অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’, মমতার অস্ত্রেই তৃণমূল বধ সুকান্তর!

    প্রসঙ্গত, অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে কি না, তা নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। ৯ ডিসেম্বর রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট অনুমতি দিয়েছিল দিল্লি নিয়ে যাওয়ার। তার পরেই দেখা গেল, একটি পুরনো মামলায় আসানসোল জেল থেকেই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।

    ফের জেল হেফাজত…

    এদিকে, অনুব্রতর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। শুক্রবার বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এই নির্দেশ দেন। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৭ মার্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • Ned Price: ‘জঙ্গিবাদের নিন্দা করে আমেরিকা’, হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে জানালেন মার্কিন মুখপাত্র

    Ned Price: ‘জঙ্গিবাদের নিন্দা করে আমেরিকা’, হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে জানালেন মার্কিন মুখপাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে তো বটেই, বিদেশেও মাথাচাড়া দিচ্ছে খালিস্তানি (Khalistani) আন্দোলন। নিরন্তর নিশানা করা হচ্ছে হিন্দু মন্দিরগুলিকে (Hindu Temples)। খালিস্তানিদের এই আন্দোলনের তীব্র নিন্দা করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US)। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস (Ned Price) বলেন, যে কোনও ধরনের হিংসা এবং জঙ্গি কার্যকলাপের নিন্দা করে আমেরিকা। তিনি বলেন, আমেরিকার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ হল ধর্মীয় বহুত্ববাদ। নেড প্রাইস বলেন, যারা এর উল্টো কার্যকলাপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদেরও নিন্দা করে।

    নেড প্রাইস (Ned Price) বলেন…

    অস্ট্রেলিয়া, কানাডা সহ বিভিন্ন দেশে হিন্দু মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে খালিস্তানিরা। এদিন সে প্রসঙ্গে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র (Ned Price) বলেন, হিংসার যে কোনও ধরনের রূপেরই আমরা নিন্দা করি। হিংসার হুমকি দেওয়ারও নিন্দা করি। যে কোনও ধরনের হিংসা, জঙ্গি কার্যকলাপেরও নিন্দা করি। তিনি বলেন, আমেরিকা এমন একটি দেশ যাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ রয়েছে। এরই একটি হল, ধর্মীয় বহুত্ববাদ। সব ধর্মের মানুষের প্রতি সহনশীলতাও রয়েছে। যাঁরা কোনও ধর্মপথের অনুসারীও নন, তাঁদেরও আমরা শ্রদ্ধা করি। তিনি বলেন, যাঁরা এর উল্টো পথের যাত্রী, তাঁদের আমরা নিন্দা করি।

    কানাডার ব্রাম্পটনে রয়েছে গৌরী শঙ্করের মন্দির। চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম দিকে ওই মন্দিরে ভাঙচুর চালায় কেউ বা কারা। মন্দিরের দেওয়ালে লেখা হয় ভারত বিরোধী স্লোগান। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিলেন কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। দূতাবাসের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছিল, ব্রাম্পটনের গৌরী শঙ্করের মন্দির ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক। সেই মন্দিরের দেওয়ালে যে ভারত বিরোধী স্লোগান লেখা হয়েছিল, আমরা তার তীব্র নিন্দা করি। মন্দির ভাঙচুরের এই ঘৃণ্য ঘটনা কানাডায় বসবাসকারী হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। কানাডা সরকারের কাছে আমরা এ ব্যাপারে আমাদের উদ্বেগও প্রকাশ করেছি।

    আরও পড়ুুন: ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’, মমতার অস্ত্রেই তৃণমূল বধ সুকান্তর!

    কেবল কানাডা নয়, অস্ট্রেলিয়ায়ও একাধিক হিন্দু মন্দিরে হামলা চালিয়েছে খালিস্তানিপন্থীরা। মেলবোর্নের অ্যালবার্ট পার্কে থাকা হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয় ২৩ জানুয়ারি। মন্দিরের দেওয়ালে লিখে দেওয়া হয় ভারত বিরোধী স্লোগান। অস্ট্রেলিয়ারই ক্যারাম ডাউনে শিব বিষ্ণুর মন্দিরেও ভাঙচুর চালিয়েছে খালিস্তানিরা। সেখানেও মন্দির গাত্রে লেখা হয়েছে ভারত বিরোধী স্লোগান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share