Tag: Bengali news

Bengali news

  • PM Modi: ‘ভবিষ্যতের শহরের কথা ভেবে পরিকাঠামো গড়া জরুরি’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘ভবিষ্যতের শহরের কথা ভেবে পরিকাঠামো গড়া জরুরি’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের উন্নয়নে ভারত (India) সার্কুলার অর্থনীতিকে প্রধান ভিত্তি করছে। বুধবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, যদি এই পন্থা আগে অবলম্বন করা হত, তাহলে দেশের বিভিন্ন শহরে পাহাড় প্রমাণ জঞ্জাল জমত না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে শহরের আবর্জনার ৭৫ শতাংশই প্রসেস করা হচ্ছে। ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ১৪-১৫ শতাংশ। তিনি বলেন, সুপরিকল্পিত শহরগুলি দেশের ভাগ্য নির্ধারণ করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে যদি দেশের ৭৫টি শহরেও সুপরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করা হত, তাহলে বিশ্বের দরবারে ভারতের ভাবমূর্তি অন্যরকম হত। তিনি বলেন, ভারতে দ্রুত নগরায়ন হচ্ছে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে পরিকাঠামো গড়ে তোলা খুবই জরুরি।

    মোদি (PM Modi) বলেন…

    এদিন বাজেট-উত্তর ওয়েবমিনারে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। আলোচনার বিষয় ছিল ‘আরবান ডেভেলপমেন্ট উইথ ফোকাস অন প্ল্যানিং’। তিনি জানান, আবর্জনা প্রসেস করা হলে অনেক সুযোগেরই দ্বার খুলে যায়। কারখানাগুলো এগুলোকে কাজে লাগাতে পারে। দেশবাসীর কাছে তাঁর আবেদন, এই জাতীয় স্টার্টআপগুলিকে সমর্থন করুন। বলুন, বড় কাজ করছেন। তিনি বলেন, কোনও কোনও শহরে ব্যবহৃত জলও কারখানার কাজে লাগানো হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরবান প্ল্যানিং আমাদের শহরগুলির ভাগ্য নির্ধারন করে। এবং এই সমস্ত সুপরিকল্পিত শহর ভারতের ভাগ্য নির্ধারণ করে। তিনি বলেন, আমাদের নয়া শহরগুলি অবশ্যই জঞ্জালমুক্ত হবে। নিশ্চিত জল মিলবে। জলবায়ু সহনশীল হবে।

    আরও পড়ুুন: কড়া নিরাপত্তায় শুরু ভোটগণনা! সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয় কোন শিবিরের?

    শহুরে পরিকাঠামোর ওপর বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোর ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। দোতলা, তিনতলা শহর গড়ার পরিকল্পনা করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ভারতের ভবিষ্যতের শহরগুলির পরিকল্পনা হওয়া উচিত অন্যভাবে। সেগুলি যেমন গঠনশৈলির দিক থেকে অনন্য হবে, তেমনি হবে জিরো লিক্যুইড ডিসচার্জ মডেল, নেট পজিটিভিটি অফ এনার্জি, এফিসিয়েন্সি অফ ল্যান্ড ইউজ, ট্রানজিট করিডরস। জনগণের সেবায় নিয়োজিত হবে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স। শহরে খেলার মাঠ এবং সাইকেল চলাচলের জন্য আলাদা রাস্তা গড়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পর থেকে গ্রামের উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি জোর দিয়েছেন শহরের উন্নয়নের দিকেও। যার জেরে আধুনিক বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     

     

     

  • Recruitment Scam: শান্তিপ্রসাদের ‘ডেরা’য় মিলল দেড় কেজি সোনা, নগদ ৫০ লক্ষ, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা

    Recruitment Scam: শান্তিপ্রসাদের ‘ডেরা’য় মিলল দেড় কেজি সোনা, নগদ ৫০ লক্ষ, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন তিনি। বুধবার কলকাতার সার্ভে এলাকায় সেই শান্তিপ্রসাদ সিনহার বেনামি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে দেড় কেজি সোনা, নগদ ৫০ লক্ষ টাকা এবং সম্পত্তির নথি। ১ হাজার ৫০০ জন চাকরিপ্রার্থীর একটি তালিকাও উদ্ধার হয়েছে ওই ফ্ল্যাট থেকে। এই শান্তিপ্রসাদ এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক। এদিন তাঁর বেনামী ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তার পরেই খোঁজ মেলে বিপুল সম্পদের।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam)…

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) অন্যতম মাথা ছিলেন এই শান্তিপ্রসাদ। কোন কোন অযোগ্য প্রার্থী চাকরি পাবেন, তা চূড়ান্ত করতেন তিনিই। চাকরি বিক্রির দালালরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের কথা স্বীকারও করেছেন। গত বছর অগাস্টে তাঁকে গ্রেফতার করার পর দফায় দফায় জেরা করেন গোয়েন্দারা। তার পরেই ঝুলি থেকে বের হতে থাকে একের পর এক বেড়াল।

    বিবৃতি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলার তদন্ত চলছিল। সেই সূত্র ধরেই এদিন তল্লাশি চালানো হয়। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে অগাস্ট মাসে শান্তিপ্রসাদ ও অশোক সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এঁরা দুজনেই এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা। এই মামলায় সিবিআই যে এফআইআর দায়ের করেছিল, তাতে শান্তিপ্রসাদের নাম ছিল এক নম্বরে, চার নম্বরে ছিলেন অশোক। হাইকোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটির রিপোর্টেও নাম ছিল শান্তিপ্রসাদ ও অশোকের।

    আরও পড়ুুন: “বিনিদ্র রাত্রি কাটাতেই হবে…”, নবম-দশমের দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর, কিন্তু কেন?

    রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন এসএসসির একটি উপদেষ্টা কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওই কমিটির মাথায় ছিলেন শান্তিপ্রসাদ। সিবিআই সূত্রে দাবি, এই উপদেষ্টা কমিটির মাধ্যমেই ভুয়ো নিয়োগের সুপারিশ করা হত।

    এদিন শান্তিপ্রসাদের বেনামী ফ্ল্যাট থেকে যে সোনা উদ্ধার হয়েছে, তার বাজার মূল্য ৭০ লক্ষ টাকা। নগদ টাকার পরিমাণ ৫০ লক্ষ। বেশ কিছু সম্পত্তির নথিও উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে দেড় হাজার অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর তালিকাও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এ সবের উৎস জানতে জেলে গিয়ে জেরা করা হবে শান্তিপ্রসাদকে। তাঁর আর কত বেনামী সম্পত্তি রয়েছে, জানতে চাওয়া হবে তাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cattle Smuggling: তৃণমূলের পতাকাই কি গরু পাচারের পাসপোর্ট?

    Cattle Smuggling: তৃণমূলের পতাকাই কি গরু পাচারের পাসপোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে শাসক দলের প্রতীক থাকলে যেন সাত খুন মাফ। রাস্তায় পুলিশও গায়ে হাত দেওয়ার সাহস দেখাবে না। রাজ্যে ঘাসফুল পতাকার মাহাত্ম্যই আলাদা। আর এই পতাকা ব্যবহার করেই দেদার অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে অনেকেই। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। তবে, বিরোধীদের আনা সেই অভিযোগ এবার সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। এই যেমন সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে চারচাকা গাড়িতে করে গরু নিয়ে যাওয়ার (Cattle Smuggling) জন্যই তৃণমূলের প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িতে করে একটি মাত্র গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পাচার না অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা খতিয়ে দেখছেন। কিন্তু, বিরোধীদের প্রশ্ন, মাত্র একটি গরু চারচাকা গাড়ি করে নিয়ে যেতেও কী শাসক দলের প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। পাচারকারীরা কী ধরেই নিয়েছে এই পতাকা থাকলে সাত খুন মাফ। এসব পাচার করতে রাস্তায় কোনও ঝক্কি পোহাতে হবে না। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Cattle Smuggling)

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে একটি দুধ সাদা গাড়ি সোদপুর ট্রাফিক মোড় ধরে যাচ্ছিল। গাড়ির পিছনের দিকে কালো কাচ তোলা ছিল। সামনের দিকে তৃণমূলের পতাকা গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনের নিচে রাখা ছিল। ফলে, বাইরে থেকে দেখলে মনে হতেই পারে একজন শাসক দলের কোনও হোমড়াচোমরা গাড়ির মধ্যে রয়েছেন। ফলে, গাড়ি আটকানোর ক্ষমতা কারও নেই। এই ভেবেই চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু, গাড়ির চালচলন দেখেই সোদপুর ট্রাফিক গার্ডের কর্মীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করেন। তৃণমূলের পতাকা ব্যবহার করে রক্ষা হচ্ছে না দেখে অগত্যা চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন। কিন্তু, জনবহুল বিটি রোডে বেশি দূর গাড়ি যেতে পারেনি। পুলিশের তাড়া খেয়ে রাস্তার ডিভাইডারে গিয়ে ধাক্কা মারে। পুলিশ গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে ধরে ফেলে। যদিও ততক্ষণে গাড়ির মধ্যে থাকা চালক এবং খালাসি বা পাচারকারি গাড়ি ফেলে রেখে পগার পার। আর গাড়ি খুলতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। চারচাকা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গরু (Cattle Smuggling)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, গরুটিকে পাচার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে, গাড়ি করে গরুটিকে কোথায় থেকে নিয়ে এসে কোথায় পাচার করা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    এই নিয়ে কী বলছেন তৃণমূল নেতা। খড়দহ যুব তৃণমূলের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী বলেন, একটি গরু চার চাকা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের দলের পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে। এটা পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে। আসলে আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এসব করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা চাই, ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটন হোক।

    আর বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, গরু পাচার (Cattle Smuggling), বালি পাচার সব কিছুই তৃণমূলের মদতেই ঘটছে। পাচারকারীরাও নিজেদের শাসক দলের কর্মী ভাবছেন। আমরা বার বার অভিযোগ করে এসেছি। এবার সেটাই প্রমাণিত হল। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আর এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ফের বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ, পঞ্চায়েত ভোট কবে?

    Panchayat Election: ফের বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ, পঞ্চায়েত ভোট কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) নিয়ে আবারও বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ। বুধবার এই মেয়াদ বাড়িয়ে করা হল ৯ মার্চ পর্যন্ত। যার অর্থ হল, ৯ মার্চ পর্যন্ত ভোট ঘোষণা করা যাবে না। আদালতের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)…

    কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর দাবির পাশাপাশি আসন পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণে অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি ছিল, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। তাই ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হোক। অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর আর্জিও জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাছাড়া তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের গণনার যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তাতে ত্রুটি রয়েছে। তাই নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে প্রত্যেক বাড়ি গিয়ে সংরক্ষণের তালিকা খতিয়ে দেখা হোক। তার পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর সুইসাইড নোটে নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র! তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে

    এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠলে শুভেন্দুর আনা প্রস্তাবের বিরোধিতা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Panchayat Election)। তারা আদালতকে বলে, এখনই যেন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া না হয়। এদিন শুভেন্দুর তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন না কোনও আইনজীবী। তার জেরে পিছিয়ে যায় শুনানি। পরে স্থগিতাদেশের কথা জানায় আদালত।

    প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল ৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) নিয়ে কোনও ঘোষণা করতে পারবে না। ৯ জানুয়ারি মামলার শুনানি হয়নি। ১৫ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে ফের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচন নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করতে পারবে না কমিশন। তার পর এদিনও বাড়ানো হল অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Visva Bharati: ‘বসন্ত উৎসবের নামে হত তাণ্ডব, বন্ধ করেছি’, বললেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য  

    Visva Bharati: ‘বসন্ত উৎসবের নামে হত তাণ্ডব, বন্ধ করেছি’, বললেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati) বসন্ত উৎসবের (Basanta Utsav) নামে ২০১৯ সালে তাণ্ডব দেখেছিলাম। সেই তাণ্ডবই আমরা বন্ধ করেছি। বুধবার বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহে বসে কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakrabarty)। বসন্ত উৎসবের পরিবর্তে এবার হবে বসন্ত বন্দনা। ৩ মার্চ হবে এই ঋতু বন্দনা।

    বিশ্বভারতী (Visva Bharati) আর বসন্ত উৎসব…

    বিশ্বভারতী আর বসন্ত উৎসব প্রায় সমার্থক হয়ে গিয়েছিল। ফি বছর এই উৎসবে শামিল হতে ভিড় করতেন হাজার হাজার পর্যটক। করোনা অতিমারির নিষেধাজ্ঞার জেরে দু বছর বন্ধ ছিল এই উৎসব। ২০২২ সালেও উৎসব বন্ধ রাখেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেবার উৎসব বন্ধ রাখার কারণ হিসেবে ছাত্র আন্দোলনের কথা বলেছিলেন উপাচার্য। এবার তিনি বললেন বসন্ত উৎসবের নামে তাণ্ডবের কথা।

    বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati) বসন্ত উৎসবের নামে ২০১৯ সালে তাণ্ডব দেখেছিলাম। সেই তাণ্ডবই আমরা বন্ধ করেছি। তার বদলে করা হচ্ছে বসন্ত বন্দনা। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বসন্ত উৎসব বসন্ত তাণ্ডবে পরিণত হয়েছিল। তাই বন্ধ করেছি। এখন বসন্ত বন্দনা হচ্ছে। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ উৎসব চাননি, চেয়েছিলেন বন্দনা। উৎসবের নামে এই তাণ্ডব হবে, ভাবতে পারেননি রবীন্দ্রনাথ। তাই বিশ্বভারতী এই তাণ্ডব বন্ধ করতে চেয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘সব ক্রিয়ারই বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে’, উদয়নকে মনে করালেন সুকান্ত

    উপাচার্যের অভিযোগ, বসন্ত উৎসবের নামে তাণ্ডবের পিছনে কিছু বুড়ো খোকার ভূমিকা থাকে। তিনি জানান, ৩ মার্চ হবে বসন্ত বন্দনা। এখানে বাইরের কারও প্রবেশাধিকার থাকবে না। উপস্থিত থাকবেন কেবল বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। উপাচার্য বলেন, বিশ্বভারতীতে অশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিতের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। যাঁরা বিশ্বভারতীর অনেক ক্ষতি করছেন।

    এর আগেও একবার আশ্রমিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) উপাচার্য। তখনও তিনি বলেছিলেন, শান্তিনিকেতনের রাবীন্দ্রিক, আশ্রমিক এবং প্রাক্তনীরা অশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিত। তাঁর কটাক্ষ, বিশ্বভারতীকে কলুষিত করেছেন এঁরা।

    প্রসঙ্গত, অনেকের মতে, ১৯০৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীতে শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে যে ঋতু উৎসবের সূচনা হয়, তারই পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত রূপ শান্তিনিকেতনের আজকের এই বসন্ত উৎসব। সরস্বতী পুজোর দিন শুরু হলেও, পরবর্তীকালে সে অনুষ্ঠান বিভিন্ন বছর ভিন্ন ভিন্ন তারিখ ও তিথিতে হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cut Money: ‘আর কত খাবেন?’, দলীয় প্রধানকে প্রশ্ন তৃণমূল বিধায়কের

    Cut Money: ‘আর কত খাবেন?’, দলীয় প্রধানকে প্রশ্ন তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন তৃণমূলের (TMC) বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা! যে ঘাসফুল প্রতীকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন তিনি, সেই দলেরই এক পঞ্চায়েত (Panchayet) প্রধানকে তাঁর প্রশ্ন, আর কত খাবেন (পড়ুন কাটমানি) (Cut Money)? হাতে আর মাত্র ৩ মাস। রাজ্যের শাসক দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ বিরোধীদের। কোনও কোনও জায়গায় আবার কাটমানি ফেরতের দাবিতেও হয়েছে বিক্ষোভ। তার পরেও বন্ধ হয়নি কাটমানি খাওয়া। বিরোধী ও জনতার সেই অভিযোগকেই কার্যত মান্যতা দিলেন তৃণমূলের বিধায়ক। করলেন বাপবাপান্তও।

    প্রসঙ্গ কাটমানি (Cut Money)…

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন। সম্প্রতি দিদির দূত কর্মসূচি পালন করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই কাটমানি খাওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দেন দলেরই পঞ্চায়েত প্রধানকে। বিধায়কের হুঁশিয়ারি-ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    গিয়াসউদ্দিন বলেন, দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে পঞ্চায়েতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পঞ্চায়েত অফিসে তালা মেরে রাখা হয়েছিল। প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য-কেউই আসেননি। সব সদস্যকেই সুবিধা-অসুবিধার কথা বলি। কিন্তু কেউ আসেননি। এর পরেই বিধায়ক বলেন, পঞ্চায়েত কি বাপের সম্পত্তি (Cut Money)? আর তিনটে মাস বাকি আছে। কত বাপের বেটা আমরা দেখে নেব। তিনি বলেন, বাপ সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াত। বাপ জন্ম দিয়েছে, কর্ম করেছে? কর্ম করেছে গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। গিয়াসউদ্দিন মোল্লা কর্ম করতেই সে খারাপ। আপনারা উত্তর কুসুমের লোক। আপনারা যদি ঠিক থাকেন ৩ মাস পরে পঞ্চায়েত হবে। পঞ্চায়েতের (Cut Money) বুথে বুথে আমরা ভাল এবং শিক্ষিত লোকদের টিকিট দেব।

    আরও পড়ুুন: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    উত্তর কুসুমের পঞ্চায়েত প্রধান কুতুব লস্কর বলেন, ভদ্রলোক যা বলেছেন, তা মিথ্যে কথা। আমি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সততার সঙ্গে কাজ করছি। আগামিদিনে কী হবে, তার উত্তর জনগণই দেবেন। তিনি বলেন, কে কী বলল তা নিয়ে আমার কিছু যায় আসে না। বিজেপির (BJP) জেলা নেতা সুফল ঘাটু বলেন, রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলি যে দুর্নীতির আখড়া হয়ে গিয়েছে, বিধায়কের কথায়ই তা স্পষ্ট। উত্তর কুসুম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে উপপ্রধান সকলেই দুর্নীতিগ্রস্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাধারণ মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    Partha Chatterjee: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে থেকেও কার্যত জামাই আদর পাচ্ছিলেন শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এক সময় তিনি ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। ছিলেন তৃণমূলের (TMC) মহাসচিবও। তাই তাঁকে খাতির করা হচ্ছিল জেলেও। গারদে যেখানে অন্য বন্দিরা মেঝেয় ঘুমোন, সেখানে পার্থর জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল বিছানার। তার ওপর পাতা হয়েছিল নরম গদি। সেলের ভিতরে গা এলিয়ে বসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল ইজি চেয়ারেরও। সেলে থেকে মোবাইল ফোনের সুবিধাও ভোগ করেছেন এই ‘হেভিওয়েট’ বন্দি। সে খবর কানে যায় ইডির কর্তাদের।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)…

    চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করতে আচমকাই প্রেসিডেন্সি জেলে ঢুঁ মারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দল। তখনই দেখেন, জেলের সেলে পার্থ রয়েছেন রাজার হালে। সেলের মধ্যেই পাচ্ছেন ভিভিআইপির মর্যাদা। এর পরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দল পার্থর সেল থেকে খাট-বিছানা, ইজি চেয়ার সরিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ দেন জেল কর্তৃপক্ষকে। পার্থ যাতে মোবাইল ফোনের সুবিধা ভোগ করতে না পারেন, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দলের নির্দেশ পেয়ে তড়িঘড়ি পার্থর সেল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় বিলাস-ব্যসনের যাবতীয় উপকরণ। যার জেরে আর পাঁচটা সাধারণ বন্দির মতোই পার্থকে রাত কাটাতে হবে সেলের মেঝেতেই।

    আরও পড়ুুন: পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত? রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গত বছর জুলাই মাসে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বার কয়েক সিবিআই-ইডি হেফাজত ঘুরে বর্তমানে পার্থ রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। এই জেলে আসার পর থেকে আদৌ ভাল নেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কখনও তিনি শিকার হচ্ছেন সহবন্দিদের কটূক্তির, কখনওবা হচ্ছেন নিগৃহীত। গত সপ্তাহেই পার্থর পাশের সেলে থাকা দুই ছিঁচকে চোর তাঁকে টিটকিরি দিয়ে মোটা টুকি বলেছিল। জঙ্গি মুশা পার্থকে নিশানা করে মল ভর্তি মগ ছুড়ে মেরেছিল। যা এড়াতে গিয়ে পড়ে গিয়ে চোটও পেয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব।

    এদিকে, শরীর ঠিক রাখতে ব্যায়াম করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন পার্থ (Partha Chatterjee)। শারীরিক সুস্থতার জন্য চিকিৎসকরা তাঁর ইচ্ছায় সম্মতিও জানিয়েছেন বলে কারা দফতর সূত্রে খবর। এক সময় ব্যায়াম বিশারদ তুষার শীলের তত্ত্বাবধানে ব্যায়াম করতেন পার্থ। জেলেও সেই সুযোগ তিনি পেতে পারেন। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই জেল কর্তৃপক্ষের কাছে যোগ ব্যায়াম করতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন পার্থ। মঞ্জুর হয়েছে তাঁর সেই আবেদনই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Migrant Labour: পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত? রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    Migrant Labour: পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত? রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কাজ নেই। তাই ভিন রাজ্য তো বটেই, অন্য দেশেও চলে যাচ্ছেন এ রাজ্যের অনেক বাসিন্দা (Migrant Labour)। তবে তাঁদের সংখ্যাটি ঠিক কত, সেই খতিয়ান নেই রাজ্যের কাছে। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এ ব্যাপারে তথ্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।

    পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Labour)…

    রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত তা জানতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন জনৈক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ২০১১ সালে নয়া সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর তাঁরা রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কতজন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। কিন্তু রাজ্য এতদিনেও সেই তথ্য জানিয়ে উঠতে পারেনি বলে অভিযোগ তাঁর। পরবর্তীকালে কোভিডের সময় যখন বহু পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরেছিলেন, সেই সময়ও রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চাইলেও কোনও তথ্য মেলেনি বলে অভিযোগ। ২০২২ সালে আরটিআইয়ের মাধ্যমে মামলাকারী জানতে পারেন, রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত, সে বিষয়ে কোনও তথ্য নেই রাজ্যের কাছে।

    এদিন এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানির সময় রাজ্যকে এ সংক্রান্ত তথ্য হলফনামা দিয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। করোনা অতিমারি পর্বে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Labour) ঢল দেখা গিয়েছিল। দীর্ঘদিন লকডাউনে আটকে থাকার পর অনেকেই লোটাকম্বল নিয়ে পায়ে হেঁটে রাজ্যে ফিরেছিলেন। কারণ সেই সময় ট্রেন, বাস সবই বন্ধ ছিল। অনেকেই পায়ে হেঁটে ভিটেয় ফিরলেও, অনেকেই পারেননি। তবে যাঁরা ফিরতে পেরেছিলেন এবং যাঁরা পারেননি, তাঁদের সংখ্যাটি ঠিক কত, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য রাজ্যের কাছে নেই বলেই অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    অথচ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর জেরে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে বাংলা। এই তো মাস কয়েক আগে অরুণাচল প্রদেশে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল কোলাঘাটের বাসিন্দা ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের। সে রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে, প্রবল ঠান্ডার হাত থেকে রেহাই পেতে ঘরের মধ্যে আগুন জ্বালিয়েছিলেন তাঁরা। তার জেরে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। এর আগে হরিয়ানার পানিপথে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের এক পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Labour) পরিবারের ৬ সদস্যের। তারও আগে মৃত্যু হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ukraine Russia War: ভারতের বাধায় পরমাণু হামলা করেননি পুতিন, মানল আমেরিকা

    Ukraine Russia War: ভারতের বাধায় পরমাণু হামলা করেননি পুতিন, মানল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং চিন বাধা না দিলে হয়ত এতদিনে ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War) শেষ করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতেন। এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বর্ষপূর্তি হয়েছে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের। এখনও যুদ্ধের বিরাম নেই। এমতাবস্থায় ইউক্রেনে ফের পরমাণু অস্ত্র হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন জো বাইডেন সরকারের বিদেশ সচিব। জি ২০- সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে ভারতে আসছেন মার্কিন বিদেশ সচিব। তার আগে তাঁর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, বিশ্বে শান্তি ফেরাতে ভারতের গুরুত্ব কতটা।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)…

    ব্লিঙ্কেন বলেন, রাশিয়ার মতো দেশের ওপর চিনের মতো দেশের প্রভাব সামান্যই। কিন্তু ভারতের মতো দেশ তাঁকে (পুতিনকে) শান্তি ফেরাতে অনুরোধ করেছে। সে বার্তা সে দেশের রাষ্ট্র প্রধানের কানে পৌঁছেও দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এর কিছু প্রভাব পড়েছে।

    মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন, দশকের পর দশক ধরে ভারত রাশিয়ার (Ukraine Russia War) ওপর নির্ভর করত। রাশিয়া ভারতকে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করত। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে ভারত আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা করছে। রাশিয়া ছাড়াও তারা আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তপোক্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, এদের মধ্যে ফ্রান্সও রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: কৃষকদের জন্য সুখবর! কিষাণ যোজনার টাকা দিল মোদি সরকার

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের এই আবহে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ার কারণ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বক্তব্য। চলতি সপ্তাহেই তিনি বলেছিলেন, রোসাতম ও তাঁর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে আমাদের দেশ প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করবে।

    গত বছর কাজাখাস্তানের সমরখণ্দে মুখোমুখি হয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই মোদি পুতিনকে পইপই করে বুঝিয়েছিলেন, এটা যুদ্ধের (Ukraine Russia War) যুগ নয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বার্তার পরেও হয়ত রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধে ইতি পড়েনি, তবে মোদির ওই বার্তায় যে বিশ্বশান্তির বার্তা স্পষ্ট, তা মেনে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। জো বাইডেন প্রশাসনও আগে একবার স্বীকার করেছে একথা। ফের একবার ভারতের ‘প্রভাব’ মনে করিয়ে দিলেন বাইডেন প্রশাসনেরই বিদেশমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

  • Manish Sisodia:  আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী

    Manish Sisodia: আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ আশঙ্কাই সত্যি হল। গ্রেফতার হলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির নেতা মনীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। রবিবার বেশ কয়েক ঘণ্টা টানা জেরার পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এদিন তলব করা হয়েছিল সিসোদিয়াকে। সকাল ১০টা নাগাদ সিবিআই দফতরে হাজিরও হয়ে যান দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। শুরু হয় জেরা। শেষমেশ এদিন সন্ধের দিকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

    আবগারি নীতি মামলা…

    আবগারি নীতি মামলায় (Liquor Policy Case) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি তলব করা হয়েছিল সিসোদিয়াকে (Manish Sisodia)। সেই মতো এদিন সকালে সিবিআই দফতরে হাজির হন তিনি। তখনই বুঝে যান এদিনই গ্রেফতার হতে পারেন তিনি। সেই কারণে সিবিআই দফতরে ঢোকার আগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৭-৮ মাসের জন্য জেলে যাচ্ছি।

    এদিন সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন সিসোদিয়া। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রোড শো করেন। পরে যান সিবিআই দফতরে। সিবিআই দফতরে ঢোকার আগে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী (Manish Sisodia) বলেন, আমি ৭-৮ মাস জেলে থাকব। আমার জন্য দুঃখ করবেন না, গর্বিত হবেন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই তিনি আমাকে একটি ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়ে দিতে চান। তিনি বলেন, আমাদের লড়াই করা উচিত। আমার স্ত্রী প্রথম দিন থেকে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে তিনি এখন অসুস্থ এবং বাড়িতে একা। তাঁর যত্ন নেবেন। আর আমি দিল্লির ছেলেমেয়েদের বলতে চাই, কষ্ট করে পড়াশোনা কর। বাবা-মায়ের কথা শোনো।

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানের প্রসঙ্গ! কী বললেন মোদি

    শনিবার একটি সংবাদ চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছিলেন, মনীশ সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে সিবিআই। আমাদের সূত্র বলছে, রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। এটা খুবই দুঃখজনক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই দুর্নীতির প্রমাণ নষ্ট করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। সিসোদিয়া ও অন্যান্য সন্দেহজনকরা বারবার তাঁদের ফোন বদলেছেন। প্রায় ১.৩৮ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণাকে ধামাচাপা দিতেই এসব করা হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তাদের এও দাবি, অন্তত ৩৬ জন অভিযুক্ত গত বছরের মে থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত ১৭০টি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন বা নষ্ট করে ফেলেছেন। এর মধ্যে থেকে ১৭টি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হলেও, সেখানে তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ তদন্তকারীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share