Tag: Bengali news

Bengali news

  • Drinking Water: নলকূপ চাপতে গিয়ে হাতল ছিটকে কারও দাঁত উড়ে যাচ্ছে, কারও ফাটছে কপাল!

    Drinking Water: নলকূপ চাপতে গিয়ে হাতল ছিটকে কারও দাঁত উড়ে যাচ্ছে, কারও ফাটছে কপাল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলের জন্য কারও উড়ে গেছে দাঁত, আবার কারও ফেটে গেছে কপাল, নাক ও ঠোঁট। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কেন এই অবস্থা? চলুন জেনে নেওয়া যাক আসল ঘটনা কী। ভরা গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহের মধ্যে জলকষ্টে ভুগছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের কিসমত বড়োল গ্ৰামের মানুষজন। প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে গ্রামের নলকূপগুলিতে জল উঠছে না। তীব্র পানীয় জলের (Drinking Water) সংকট দেখা দিয়েছে ওই গ্রামে। বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে মাঠের মিনি পাম্প থেকে পানীয় জল বয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে গ্রামের বধূদের। পুকুরের ঘোলাটে জলে স্নান, কাপড় কাচা ও বাসন ধোয়ার কাজ করে থাকেন তাঁরা। বাড়ির নলকূপ চাপতে গিয়ে হাতল ছিটকে ঘটছে দুর্ঘটনা। নলকূপের হাতলের আঘাতে গ্ৰামের অনেক মহিলার দাঁত ভেঙে গেছে, আবার কেউ কপাল, নাক ও ঠোঁট ফেটে জখম হয়েছেন।

    কী বলছেন গ্রামবাসীরা?

    এই গ্রামেরই বাসিন্দা বন্দনা প্রামাণিক বললেন, তিনমাস হল কল থেকে জল মিলছে না। আধ মাইল দূর থেকে জল (Drinking Water) আনতে হচ্ছে। সবাইকেই জানানো হয়েছে। নলকূপ থেকে জল নিতে গিয়ে দাঁত ভেঙে গেছে, খেতে পারছি না। খুবই সমস্যার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে। আরেক মহিলা পুতুল দাস বললেন, নলকূপ থেকে জল নিতে গেলেই হাতল ছিটকে আসছে। অনেক দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে। বাসিন্দা কল্যাণ দাস বললেন, আমাদের আটটা পাড়ার কোথাও জল ওঠে না। প্রতি গ্রামে পাইপলাইন বসছে, এখানে কেন হবে না? সবাইকে জানিয়েছি। তা সত্ত্বেও জল পাচ্ছি না। আমাদের দাবি, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হোক। 

    বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য থেকে শুরু করে প্রশাসনিক দফতরের কাছে বারবার লিখিত আবেদন জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রামবাসী। মূলত নলকূপের উপরেই ভরসা এখানকার মানুষের। কিন্তু এই গ্রীষ্মে জলস্তর মাটির অনেকটা নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপ থেকে জল (Drinking Water) বেরোচ্ছে না। তাই গ্রামবাসীরা এলাকায় সাবমার্সিবল বসানোর দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু এই সমস্যা কবে দূর হবে, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। শীঘ্রই সমস্যা দূর না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI Enquiry: সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কালিয়াগঞ্জে নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবার

    CBI Enquiry: সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কালিয়াগঞ্জে নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে রাজবংশী যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মণকে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ। ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের (CBI Enquiry) দাবি জানিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবার। মঙ্গলবার ওই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়ের ভাই মৃণালকান্তি। সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা দায়েরের আর্জি জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। হাইকোর্টের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়েছে মামলা দায়েরের। বুধবার মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা।

    সিবিআই তদন্তের (CBI Enquiry) দাবি…

    ২১ এপ্রিল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়েছিল কালিয়াগঞ্জ। ওই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ২৬ এপ্রিল রাতে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের একবার তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ সংলগ্ন রাধিকাপুর পঞ্চায়েতের চাঁদগ্রাম। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাত দুটো নাগাদ পুলিশের পোশাকে (CBI Enquiry) বেশ কয়েকজন একটি গাড়িতে চেপে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মণের বাড়িতে হাজির হন। তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাড়ির বয়স্ক একজনকে মারধর করতে করতে গাড়িতে তোলা হয়। গুলিও চালান পুলিশের পোশাকধারীরা।

    আরও পড়ুুন: স্ত্রী, ছেলের সামনে ময়নার বিজেপি নেতাকে অপহরণ করে খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই গুলির আঘাতেই মৃত্যু হয় বিষ্ণুর ভাই মৃত্যুঞ্জয়ের। মৃত্যুঞ্জয়কে খুনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। সোমবার অকুস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছেন সিআইডির আধিকারিকরা। সেদিন পুলিশের ওই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন কালিয়াগঞ্জ থানার এএসআই মোয়াজ্জেম হোসেন। তাঁর বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করেন মৃণালকান্তি। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবার। তাঁদের দাবি, সিবিআই (CBI Enquiry) তদন্ত হলেই মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর ভাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Maa Kali: মা কালী পোস্টার বিতর্কে এবার ক্ষমা চাইল ইউক্রেন, ট্যুইটে দুঃখ প্রকাশ

    Maa Kali: মা কালী পোস্টার বিতর্কে এবার ক্ষমা চাইল ইউক্রেন, ট্যুইটে দুঃখ প্রকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা কালী (Maa Kali) পোস্টার বিতর্কে এবার ক্ষমা চাইল ইউক্রেন (Ukraine)। ইউক্রেনের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এমিন ঝোপার একটি ট্যুইট করে দুঃখ প্রকাশ করেন। বিতর্কিত ট্যুইটটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ঝোপার। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, ইউক্রেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক ট্যুইটে হিন্দু দেবী কালীকে বিকৃতভাবে দেখানো হয়েছিল। সেই ট্যুইটের জন্য আমরা দুঃখিত। ইউক্রেন এবং এ দেশের জনগণ অনন্য ভারতীয় সংস্কৃতিকে সম্মান করে এবং আমাদের প্রতি ভারতের (India) সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। সেই বিতর্কিত ছবিটি ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    মা কালীর (Maa Kali) বিকৃত ছবি… 

    সম্প্রতি ট্যুইটারে একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, দুটি ছবির কোলাজ। কোলাজের একদিকে ধোঁয়ার মতো পাক খাওয়া মেঘ। অন্য দিকে মেঘের মধ্যে থেকে মা কালীর (Maa Kali) বিকৃত ছবি। ওই ছবিতে মা কালীর বেশ মেরিলিন মনরোর মতো। গলায় মুণ্ডমালা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল হতেই ভারতে শুরু হয় বিতর্ক। মা কালীর ওই ছবি পোস্ট করা হয়েছিল ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে। এহেন আবহে ভারতীয় নেটিজেনরা, বিশেষকরে সনাতনী হিন্দুরা দাবি তুলেছিলেন, ইউক্রেনকে যাতে ভবিষ্যতে আর কোনও সাহায্য না করে ভারত। এর পরে পরেই পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয়।

    এ প্রসঙ্গে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সিনিয়র উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্তা বলেন, ভারতের থেকে সাহায্য চাইতে সম্প্রতি দিল্লিতে এসেছিলেন ইউক্রেনের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। সেই মুখোশের পিছন থেকে ইউক্রেন সরকারের বাস্তব রূপটা বেরিয়ে এসেছে। একটি প্ররোচনামূলক পোস্টারে মা কালীর (Maa Kali) ক্যারিকেচার পোস্ট করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে সমস্ত হিন্দুর ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। এর পরে পরেই ক্ষমা চেয়ে নিল ইউক্রেন (Ukraine)।

    আরও পড়ুুন: অভিষেকের সভার আগেই তৃণমূলে ভাঙন, বিজেপিতে যোগ দিলেন বহু কর্মী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: স্ত্রী, ছেলের সামনে ময়নার বিজেপি নেতাকে অপহরণ করে খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: স্ত্রী, ছেলের সামনে ময়নার বিজেপি নেতাকে অপহরণ করে খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিনই এক বিজেপি (BJP) নেতাকে স্ত্রী, ছেলের সামনেই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দৃষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পরে, ওই নেতাকে অপহরণ করে খুন করা হয়। সোমবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচা এলাকা। পুলিশ ও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। তিনি বিজেপির বুথ সভাপতি ছিলেন। এই ঘটনায় সঞ্জয় তাঁতি নামে আরও এক বিজেপি কর্মীর খোঁজ মিলছিল না। পরে, গভীর রাতে তাঁকে পুলিশ উদ্ধার করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    সোমবার রাতে বিজেপি-র (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়বাবু ও তাঁর স্ত্রী ও ছেলের উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্ত্রী, ছেলের সামনেই বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বিজেপি নেতার চিত্কার শুনে পাড়ার লোকজন ছুটে এলে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিজয়বাবুকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এলাকায় বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। পরে, রাতেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

    দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ বিজেপি-র (BJP)

    সোমবার ঘটনার পরই বিজেপি (BJP) কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাতেই বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা মঙ্গলবার ময়নার তিনমাথা মোড়ে পথ অবরোধের ডাক দিয়েছিলেন। বিধায়কের নির্দেশ মতো এদিন সকালেই বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় হাজির হন। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক। এদিন অবরোধ তুলতে এলে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। অবিলম্বে দলীয় কর্মী খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিজেপি কর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভ করেন।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক অশোক দিন্দা বলেন, বিজেপির বুথ সভাপতির পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করা হয়। দলীয় নেতার ছোট ছেলে পাড়ার লোকজনকে ডাকতে গেলে দুষ্কৃতীরা বাইকে করে বিজয়বাবুকে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে, তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কোথায় দেহ উদ্ধার হয়েছে পুলিশ কিছু জানায়নি। তমলুক হাসপাতালে দেহ রয়েছে। রাজ্যের হাসপাতালে ময়না তদন্তে আমাদের বিশ্বাস নেই। তাই, হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত হাসপাতালে বিজেপি নেতার দেহ ময়না তদন্ত করা হবে। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    ময়নার প্রাক্তন বিধায়ক সংগ্রাম দলুই বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে শাসক দল কোনওভাবে জড়িত নয়। দোকান বা পারিবারিক বিবাদের কারণেই ওই বিজেপি (BJP) নেতাকে খুন করা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন হাজরা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তবে, ঘটনা ঘটার পর দেখা গেল বিজেপি কর্মীরা আমাদের কর্মীদের বাড়ি, ঘর ভাঙচুর করে লুঠপাট চালায়। সমস্ত বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: অভিষেকের সভার আগেই তৃণমূলে ভাঙন, বিজেপিতে যোগ দিলেন বহু  কর্মী

    BJP: অভিষেকের সভার আগেই তৃণমূলে ভাঙন, বিজেপিতে যোগ দিলেন বহু কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে জেলায় তৃণমূলে ভাঙন ধরাল গেরুয়া শিবির। তৃণমূল ও বামফ্রন্ট ছেড়ে বহু কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন বিজেপিতে (BJP)। সোমবার বিকেলে একটি অনুষ্ঠানে সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী ও তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু।

    তৃণমূল ছেড়ে কতজন বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন?

    পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই দলবদলের রাজনীতি চলছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। সোমবার বিকেলে কুশমণ্ডি ব্লকের মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের শিকারপুরে বিজেপির (BJP) যোগদান কর্মসূচি ছিল। সেখানেই শতাধিক তৃণমূল ও সিপিএমের কর্মী-সমর্থক গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন। যোগদানকারীদের মধ্যে অন্যতম সিপিআইএমের প্রাক্তন উপপ্রধান বৈজন্তী রায় রয়েছেন। পাশাপাশি বহু আদিবাসী পরিবারের সদস্য রয়েছেন। মঙ্গলবার জেলায় আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দণ্ডিকাণ্ডের সেই আদিবাসী গ্রামের পাশেই যুবরাজের সভা হওয়ার কথা। তার ঠিক আগের দিন বিজেপির (BJP) যোগদান কর্মসূচি রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।

    দলত্যাগী কর্মীরা কী বললেন?

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে দলত্যাগী কর্মীরা বলেন, তৃণমূলে থেকে কোনওরকম সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি না। এলাকায় উন্নয়নের বিষয়ে তৃণমূলের কোনও নজর নেই।  তাই নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নের যজ্ঞে সামিল হতে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপি-র (BJP) জেলা সভাপতি?

    এবিষয়ে বিজেপি-র (BJP) জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, তৃণমূল থেকে সাধারণ মানুষ মুখ ফেরাচ্ছে। ঘর গোছাতে অভিষেক জেলায় আসছে, তার আগেই তৃণমূলের বহু কর্মী আমাদের দলে যোগ দিলেন। আসলে এই পরিবারগুলি মঙ্গলবার অভিষেকের সভায় থাকতে চান না। এর কিছুদিন আগে জেলার তপন থানা এলাকায় প্রায় ২০০ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ছেড়ে আমাদের দলে যোগ দেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এদিকে যোগদান নিয়ে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় আসছেন। এতেই ভয় পেয়েছে বিজেপি (BJP)। তাই ওরা এসব ভুলভাল বলছে। তৃণমূল থেকে কেউ বিজেপিতে যায়নি। উলটে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসছে মানুষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Martial Art: মার্শাল আর্টের উৎপত্তি কি ভারতেই? জেনে নিন কোথায় এবং কীভাবে?

    Martial Art: মার্শাল আর্টের উৎপত্তি কি ভারতেই? জেনে নিন কোথায় এবং কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্শাল আর্ট। শব্দটি শুনলে প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে, ক্যারাটে এবং কুংফু। কিন্তু অনেকেরই হয়তো জানা নেই, এই বৈদেশিক যুদ্ধকলা তথা মার্শাল আর্টের (Martial Art) উৎপত্তি বলতে গেলে আমাদের ভারতেই। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ভারতীয় মার্শাল আর্ট কালারিপায়াত্তু নামে পরিচিত, যা সবথেকে প্রাচীন মার্শাল আর্টের মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। আসলে ইতিহাস তাই-ই বলছে। 

    কী এই কালারিপায়াত্তু?

    কালারিপায়াত্তু হল এক প্রাচীন ভারতীয় যুদ্ধকলা, যা মনে করা হয় আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছরের প্রাচীন একটি মার্শাল আর্ট (Martial Art)। এই কালারিপায়াত্তুর উৎপত্তি ভারতের কেরল থেকে। জানা যায়, আজ থেকে প্রায় কয়েক হাজার বছর আগে বৌদ্ধ ধর্মগুরু বোধিধর্মন ধর্মপ্রচারের লক্ষ্যে দক্ষিণ ভারতে এসে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু সেখানে ঘটে বিপত্তি। সেই স্থানের মানুষজন সন্দেহের বশে বোধিধর্মনকে আক্রমণ করে। সেই সময় নিজেকে রক্ষা করার জন্যই তিনি যুদ্ধ কৌশলের মাধ্যমে একাই লড়াই করেন অত মানুষের বিরুদ্ধে। এই অভিনব যুদ্ধকৌশল ও আত্মরক্ষার পদ্ধতি দেখে মানুষ অবাক হয়ে যান এবং তাঁর কাছে থেকে এই যুদ্ধকলা শিখতে চান। রাজি হয়ে বোধিধর্মন তাঁদের এই যুদ্ধকলা শেখানও। এর পর থেকেই এই যুদ্ধকলা কালারিপায়াত্তু নামে আজও বিখ্যাত হয়ে আছে।  

    ভারতীয় পুরাণ ও মার্শাল আর্ট

    শুধুমাত্র বোধিধর্মনকেই যে এই মার্শাল আর্টের (Martial Art) প্রবক্তা বলা যেতে পারে, এমনটা নয়। ভারতীয় নানা পুরাণে এইরকম যুদ্ধকলার নিদর্শন পাওয়া গেছে। হিন্দু পুরাণ অনুসারে ভগবান শিব হলেন যুদ্ধের দেবতা। আর এই সমস্ত যুদ্ধকলা তাঁরই সৃষ্ট, এমনটাই মানা হয়। বিপদকালে যুদ্ধের জন্য শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং মন ও শরীরকে সুস্থ রাখতে এগুলি চর্চা করা হত। ঋষি জামদগ্নের পুত্র পরশুরাম কঠিন তপস্যার মাধ্যমে ভগবান শিবকে প্রসন্ন করেন এবং  ভগবান শিব তাঁকে এই সমস্ত যুদ্ধকলা শেখান। পরশুরাম ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার। তিনিই ভারতীয় ঋষিদের এই যুদ্ধবিদ্যা শিখিয়েছিলেন। আত্মরক্ষার এই কৌশলের বর্তমান নিদর্শন কালারিপায়াত্তু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Artificial Intelligence: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জের, ৫ বছরে বিশ্বে কাজ হারাতে পারেন ১.৪ কোটি!

    Artificial Intelligence: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জের, ৫ বছরে বিশ্বে কাজ হারাতে পারেন ১.৪ কোটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটারের মালিকানা ইলন মাস্কের হাতে যাওয়ার পর থেকেই সেখানে শুরু হয় একের পর এক ছাঁটাই। কাজ হারান বহু কর্মী। গুগল, মেটা, আমাজন প্রত্যেক সংস্থাই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে এগিয়েছে বিগত এক বছর ধরে। করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দাকেই দায়ী করছেন এক্ষেত্রে অর্থনীতিবিদরা। তবে আবারও নাকি বিশ্বজুড়ে চাকরি হারাতে চলেছেন অসংখ্য মানুষ। এবারে সংখ্যাটা দাঁড়াবে ১ কোটির ওপর। এমনই আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বা ডব্লিউইএফের রিপোর্টে। সেখানে বলা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) বা এআই-এর প্রয়োগ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরফলে কর্মী সংকোচনের দিকে এগোতে পারে সংস্থাগুলি। আর শুধু এ কারণেই আগামী ৫ বছরে বিশ্ব জুড়ে কাজ হারাতে পারেন প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ।

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) আশীর্বাদ না অভিশাপ…

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) বহুল ব্যবহারের ভাল দিক যেমন আছে, তেমনই রয়েছে নেতিবাচক কিছু বিষয়। তার মধ্যে অন্যতম হল কর্মীসঙ্কোচন। কারণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের জন্য সংস্থাগুলি যেমন কিছু কর্মী নিয়োগ করবে, তেমনই এর ব্যবহারের ফলে পুরনো অনেক কর্মীর আর প্রয়োজন বোধ করবে না সংস্থাগুলো। বিশেষত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) প্রয়োগের ফলে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর অথবা ক্যাশিয়ার পোস্টের কাজগুলোর জন্য দরকার পড়বেনা কোনও কর্মীর, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে কাজের পরিধি বাড়বে ডেটা বিশ্লেষক বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞদের। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ২০২৭ ডেটা বিশ্লেষকদের চাহিদা বাড়বে ৩০ শতাংশ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন টুল ব্যবহারের জন্য একদিকে যেমন বহু প্রশিক্ষিত কর্মীর দরকার পড়বে তেমনি কাজও হারাবেন বহু মানুষ। তাই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) আশীর্বাদ না অভিশাপ।

    সমীক্ষা….

    রবিবার প্রকাশিত হয়েছে ডব্লিউইএফের একটি সমীক্ষা। সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে বিশ্বের প্রায় ৮০০ সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে রিপোর্ট। সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে এই সংস্থা প্রতি বছরই বিশ্বনেতাদের নিয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করে। চলতি বছরের আলোচনায় উঠে এসেছিল, ২০২৭ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ৬ কোটি ৯ লক্ষ নতুন চাকরি হবে। কিন্তু একই সঙ্গে ৮ কোটি ৩ লক্ষ মানুষ কর্মহীনও হয়ে পড়বেন। সমীক্ষা বলছে, আগামী ৬ বছর শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বহুল ব্যবহারে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষের কাজ চলে যাবে। যা বর্তমান কর্মসংস্থানের প্রায় ২ শতাংশ প্রায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Afzal Ansari: রাহুলের পর এবার সাংসদ পদ খারিজ হল বিএসপির আফজল আনসারির

    Afzal Ansari: রাহুলের পর এবার সাংসদ পদ খারিজ হল বিএসপির আফজল আনসারির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় সাংসদ পদ খুইয়েছেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul)। এবার সাংসদ পদ খোয়ালেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির (BSP) আফজল আনসারি (Afzal Ansari)। শনিবার উত্তর প্রদেশের একটি আদালত আফজলকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়। তার পরেই লোকসভার সচিবালয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেয়, আফজল আনসারির সাংসদ পদ বাতিল করা হল। প্রসঙ্গত, সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সাংসদের কারাদণ্ড হলে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়।

    আফজল আনসারির (Afzal Ansari) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    আফজলের (Afzal Ansari) বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৫ সালে উত্তর প্রদেশের গাজিপুরে বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাইকে অপহরণ করে খুন করেছিলেন। উত্তর প্রদেশের ওই আদালত শনিবার গ্যাংস্টার রাজনীতিক মুখতার আনসারিকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। এই মুখতারেরই ভাই আফজল। জরিমানার পাশাপাশি আফজলকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত। তার পরেই খারিজ হয়ে যায় তাঁর সাংসদ পদ। প্রসঙ্গত, গুজরাটের সুরাটের একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২৩ মার্চ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে দু বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়।

    আরও পড়ুুন: দাড়িভিটে ছাত্র মৃত্যু, হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কর্নাটকের কোল্লারের এক জনসভায় রাহুল বলেছিলেন, সব চোরের পদবি মোদি হয় কী করে? নীরব মোদি, ললিত মোদি, নরেন্দ্র মোদি…। এর পরেই গুজরাটের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি সুরাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মামলাও হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে দু বছরের কারাদণ্ড দেয়। এর পরের দিনই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে লোকসভার সচিবালয়। নগর দায়রা আদালতেও আবেদন করে সাজা মকুব হয়নি রাহুলের। ফের তিনি আবেদন করেন গুজরাট হাইকোর্টে। শনিবার শুনানি হয়। পরবর্তী শুনানি ৮ মে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • GST Collection: এপ্রিলে রেকর্ড গড়ল জিএসটি আদায়ের পরিমাণ, কত জানেন?

    GST Collection: এপ্রিলে রেকর্ড গড়ল জিএসটি আদায়ের পরিমাণ, কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে জিএসটি আদায়ের (GST Collection) পরিমাণ ১.৮৭ লাখ কোটি টাকা। সোমবার ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের জিএসটি সংগ্রহের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে অর্থমন্ত্রক। সেখানেই জানা গিয়েছে আদায়ের পরিমাণ ১.৮৭ লাখ কোটি টাকা। এটি এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এপ্রিল ২০২৩ সালে মোট জিএসটি সংগ্রহ সর্বকালের সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। যা এপ্রিল ২০২২ এ ১, ৬৭, ৫৪০ লাখ কোটি টাকার সংগ্রহের চেয়ে ১৯,৪৯৫ কোটি টাকা বেশি। বৃদ্ধির পরিমাণ ১২ শতাংশ।

    জিএসটি আদায়ের (GST Collection) পরিমাণ…

    অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছরের মোট জিএসটি আয় (GST Collection) ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে সিজিএসটি রয়েছে ৩৮ হাজার ৪৪০ কোটি, এসজিএসটি রয়েছে ৪৭ হাজার ৪১২ কোটি, আইজিএসটি রয়েছে ৮৯ হাজার ১৫৮ কোটি এবং সেস ১২ হাজার ২৫ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রক সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চে মোট ৯ কোটি ই-বিল পাশ হয়েছে। যেখানে এক মাস আগে, ফেব্রুয়ারিতে ৮.১ কোটি ই-বিল পাশ হয়েছিল। অর্থাৎ অনলাইন মোডে ই-বিল দেওয়ার হার ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে দৈনিক সর্বাধিক কর সংগ্রহ হয়েছে ২০ তারিখ। সেদিন মোট ৯.৮ লক্ষ লেনদেনের মাধ্যমে ৬৮ হাজার ২২৮ কোটি টাকা কর সংগ্রহ হয়েছে। গত বছরও ২০ এপ্রিল সর্বাধিক কর সংগ্রহ হয়েছিল। তবে তার পরিমাণ ছিল তুলনামূলকভাবে কম। ৯.৬ লক্ষ লেনদেনের মাধ্যমে কর সংগ্রহ হয়েছিল ৫৭ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুুন: অভিষেক সভা ছাড়তেই ব্যালট লুঠের চেষ্টা, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি

    প্রসঙ্গত, জিএসটি (GST Collection) হল ভারতে পণ্য ও পরিষেবার ওপর লাগু করা কর ব্যবস্থা। এর আগে এ ক্ষেত্রে ভ্যাট করের প্রচলন ছিল। জিএসটি হল ভ্যাটের ডিজিটালাইজড ফর্ম, যেখানে পণ্য ও পরিষেবাগুলি ট্র্যাক করা যায়। ভ্যাট ও জিএসটি উভয়েরই একই ট্যাক্সেশন স্ল্যাব রয়েছে। অর্থমন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এপ্রিল ২০২৩ সালের রাজস্ব গত বছরের একই মাসে জিএসটি রাজস্বের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি হয়েছে। এ বছর এপ্রিল মাসে পরিষেবা আমদানি সহ অভ্যন্তরীণ লেনদেন থেকে আয় গত বছরের একই মাসের আয়ের তুলনায় ১৬ শতাংশ হারে বেশি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajasekhar Mantha: দাড়িভিটে ছাত্র মৃত্যু, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Rajasekhar Mantha: দাড়িভিটে ছাত্র মৃত্যু, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাড়িভিট (Darivit) স্কুলে গুলিতে ছাত্রের মৃত্যুর জেরে প্রশ্নের মুখে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন (State Human Rights Commission)। গোটা ঘটনায় নিজেদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রেখেছে কমিশন। দূর থেকে গোটা ঘটনা দেখছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajasekhar Mantha)। ডিএম-এসপির ওপর এতটাই ভরসা যে রিপোর্ট চেয়েই দায়িত্ব শেষ। ২০২০ সাল থেকে কমিশনের সদস্য ছিল না বলে দাবি করা হচ্ছে। আদালতের প্রশ্ন, ২০১৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ছিল, সেই সময় কী করেছে রাজ্য কমিশন?  জাতীয় মানবাধিকার কমিশন লোক পাঠিয়ে একাধিক রিপোর্ট তৈরি করেছে। সে রিপোর্ট নিয়ে যতই বিতর্ক হোক, তবুও তারা করেছে, আপনারা কী করছেন?

    বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajasekhar Mantha) প্রশ্ন…

    স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়েই প্রাণ হারিয়েছিলেন ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলের দুই প্রাক্তন ছাত্র। ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মাসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাপস বর্মণ ও রাজেশ সরকার নামে দুই ছাত্রের। সেই ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। তদন্ত করেছিল সিআইডি। যদিও সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন দুই ছাত্রের পরিবারই। এ নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। সোমবার হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে কি না, এদিন সে প্রশ্নও করেন বিচারপতি মান্থা (Rajasekhar Mantha)।

    আরও পড়ুুন: কর্নাটকে বিজেপির ইস্তাহারে জোর কর্মসংস্থান, এনআরসি ও মহিলা ক্ষমতায়নে

    এর আগে আদালতে প্রায় একই রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হয় সিআইডি। রাজ্যের এই তদন্তকারী সংস্থাকে বিচারপতি বলেন, সাংসদ, বিধায়ক, উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কী তথ্য পাওয়া গিয়েছে? যে পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের কি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? করা হয়ে থাকলে তাঁরা কী জানিয়েছেন? ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুলির খোল উদ্ধার করলেও, সেগুলি সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়নি বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ কেন উঠছে?  সিআইডির উদ্দেশে বিচারপতি মান্থা (Rajasekhar Mantha) বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অনুসন্ধান করে সিবিআই তদন্তের পক্ষে সুপারিশ করেছে। কিন্তু রাজ্য মানবাধিকার কমিশন প্রথমে অনুসন্ধান করলেও, পরে তারা সরে আসে কেন? এ নিয়ে সিআইডির বক্তব্য কী? সিআইডির পরে এবার হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য মানবাধিকার কমিশনও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share