Tag: Bengali news

Bengali news

  • Abhishek Banerjee: অভিষেক সভা ছাড়তেই ব্যালট লুঠের চেষ্টা, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি

    Abhishek Banerjee: অভিষেক সভা ছাড়তেই ব্যালট লুঠের চেষ্টা, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের পর এবার করণদিঘিতে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, রবিবার করণদিঘিতে প্রার্থী বাছাইয়ে ভোটদান চলাকালীন দুটি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে তুমুল ঝামেলা বাঁধে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। চাকুলিয়া ব্লকের হপতিয়াগজ গ্রাম পঞ্চায়েত ও গোয়াগাঁও- ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট দান কক্ষে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। করণদিঘির আগে ইসলামপুর কোর্ট ময়দানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভা ছিল। সেই সভা শেষে ব্যালট বাক্সে প্রার্থীর নামের কুপন দিতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। যদিও পরে দলীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

    করণদিঘিতে ঠিক কী হয়েছিল?

    রবিবার চোপড়ায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভা ছিল। পরে, সেখান থেকে তিনি ইসলামপুরে সভা করেন। সভা শেষে সেখানেও ব্যালটে ভোট দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোল হয়। পরে, বিষয়টি মিটে যায়। সেখান থেকে যুবরাজ চাকুলিয়াতে সভা করেন। পরে, করণদিঘিতে তিনি রাতে থাকেন। করণদিঘিতে অভিষেক (Abhishek Banerjee) পৌঁছানোর পরই ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তিনি দাঁড়িয়ে থেকে ভোটদান শুরু করে সভাস্থল ছেড়ে চলে যান। এরপরই পুরানো এবং নব্য তৃণমূলের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। যে ব্যালট বাক্সে ভোটদান চলছিল তৃণমূল কর্মীদের একাংশ তা ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এমনিতেই অভিষেক (Abhishek Banerjee) সভা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর পরই তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে চলে যান। ভোটদান কেন্দ্রে গণ্ডগোল হচ্ছে শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মন্ত্রী গোলাম রব্বানী, জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ও করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার জেরে ভোটদান পর্ব বন্ধ করে দেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

    ভোটদান নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের কী বক্তব্য?

    এক তৃণমূল কর্মী বলেন, পুরানো কর্মীদের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের কোনও নাম নেই। নতুন যারা এসেছে তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। আসলে তালিকা জমা পড়ার পর তালিকায় কাটছাঁট করা হয়েছে। চোখের সামনেই এসব হচ্ছে। অন্য এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ব্যালটে ভোট দেওয়া চলছে। সেটা প্রকাশ্যে হচ্ছে। কোনও গোপনীয়তা নেই। আর তাতেই তৃণমূল কর্মীদের বড় অংশ আপত্তি জানান। ফলে, ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই করতে অভিনব পদক্ষেপ করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। জেলায় জেলায় ঘুরছেন তিনি। সব সভা থেকেই অভিষেক একটাই বার্তা দিচ্ছেন, তৃণমূল পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই করবে না। পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছবে মানুষ। অভিষেকের এই উদ্যোগ কার্যকরী করতে গিয়েই বাঁধছে বিপত্তি। জায়গায় জায়গায় ব্যালট বাক্স ভাঙা থেকে লুঠপাটের ঘটনা সামনে আসছে। কোচবিহার ছাড়াও জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি, পাহাড়পুর, রাজগঞ্জ থেকে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি সব জায়গাতেই ব্যালট পেপার নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এবার উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতেও একই ঘটনা ঘটল। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lalan Sheikh: রক্ষাকবচ সিবিআই-কে, লালনকাণ্ডের তদন্তে আদালতের নির্দেশে গঠিত হল সিট

    Lalan Sheikh: রক্ষাকবচ সিবিআই-কে, লালনকাণ্ডের তদন্তে আদালতের নির্দেশে গঠিত হল সিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুইকাণ্ডে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল সিবিআই (CBI) হেফাজতে। ওই ঘটনায় সোমবার সিট (SIT) গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। লালনের মৃত্যুর তদন্ত করবে আদালতের তৈরি এই সিট। এদিন আদালত লালন মামলায় সিবিআইয়ের ৭ আধিকারিককে রক্ষাকবচ দিয়েছে। তবে এও জানিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে রাজ্যই। এদিন আদালতের নির্দেশে যে সিট গঠিত হবে, তার নেতৃত্ব দেবেন আইপিএস প্রণব কুমার। সঙ্গে থাকবেন হোমিসাইডের বীরেশ্বর চট্টোপাধ্যায়। এই দুই আধিকারিকই ঠিক করবেন, এই সিটে আর কারা থাকবেন।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশনামা…

    এক সপ্তাহের মধ্যে টিম গঠন করতে হবে। তবে সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না সিট। আদালতের তৈরি করা সিট (Lalan Sheikh) আদালতকে না জানিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে পারবে না। হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সিট কোন পথে তদন্ত করবে, সে সংক্রান্ত একটি নির্দেশনামাও জারি করেছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। সিবিআই হেফাজতে লালনের মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সাত আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। তার পরে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এদিন হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত রাজ্য করলেও, তদন্তভার সিআইডির হাতে থাকবে না। তদন্ত করবে সিট।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চোখা-চোখা মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, দেখুন এক ঝলকে

    নিম্ন আদালত ছাড়া আর কোথাও কোনও রিপোর্ট পেশ করতে হবে না সিটকে। রাজ্যের কাছেও কোনও রিপোর্ট পেশ করতে হবে না সিটকে (Lalan Sheikh)। সিট গঠন না হওয়া পর্যন্ত সিআইডি কোনও তদন্ত করতে পারবে না। সিবিআই রক্ষাকবচ পেলেও, তারা তদন্তে সিটকে সব রকম সহযোগিতা করবে। তদন্ত হবে আদালতের নজরদারিতে। প্রসঙ্গত, ১২ ডিসেম্বর বীরভূমের রামপুরহাটে সিবিআই ক্যাম্পের শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয় লালন শেখের (Lalan Sheikh) ঝুলন্ত দেহ। সিবিআইয়ের সাত তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে রাজ্য পুলিশ। গরুপাচার মামলার দুই তদন্তকারী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য ও স্বরূপ দে-র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। রাজ্য পুলিশের তদন্ত এবং এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Karnataka Assembly Election: কর্নাটকে বিজেপির ইস্তাহারে জোর কর্মসংস্থান, এনআরসি ও মহিলা ক্ষমতায়নে

    Karnataka Assembly Election: কর্নাটকে বিজেপির ইস্তাহারে জোর কর্মসংস্থান, এনআরসি ও মহিলা ক্ষমতায়নে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ মে কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচন (Karnataka Assembly Election)। সেই উপলক্ষে সোমবার বেঙ্গালুরুতে ইস্তাহার প্রকাশ করল বিজেপি (BJP)। ইস্তাহারের (Manifesto) পোশাকি নাম ‘প্রজা প্রণালিকা’। পদ্ম শিবিরের ওই ইস্তেহারে যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানে জোর দেওয়ার পাশাপাশি জোর দেওয়া হয়েছে মহিলাদের ক্ষমতায়নেও। ইস্তেহার প্রকাশ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা সহ কর্নাটক বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

    কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচনের (Karnataka Assembly Election) ইস্তাহার…

    নাড্ডা বলেন, রাজ্যের জন্য বিজেপির এই দৃষ্টিভঙ্গি হল সকলের প্রতি ন্যায়বিচার এবং কারও তুষ্টিকরণ নয়। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এবং এনআরসি-রও (NRC) উল্লেখ রয়েছে এই ইস্তাহারে। গেরুয়া শিবির জানিয়েছে, উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রস্তাব অনুসারে কর্নাটকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করা হবে। ইস্তেহারে জানানো হয়েছে, রাজ্য থেকে অবৈধ নাগরিকদের দ্রুত দূর করতে কর্নাটকে এনআরসি নিয়ে আসা হবে। ইস্তেহারে বহু বিতর্কিত নন্দিনী মিল্ক ইস্যুও রয়েছে।

    প্রজা প্রণালিকায় বিপিএল তালিকাভুক্ত (Karnataka Assembly Election) পরিবারগুলির মন পেতে বছরে তিনটি গ্যাস সিলিন্ডার বিনামূল্যে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। গণেশ চতুর্থী, দীপাবলির মতো অনুষ্ঠানগুলিতে বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবারগুলিকে আধ লিটার করে নন্দিনী সরবরাহের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রজা প্রণালিকা তৈরির আগে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা এলাকার বাসিন্দাদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ৬ লক্ষেরও বেশি মানুষের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। বিজেপির দাবি, কেবল সাধারণ মানুষ নন, কর্নাটকের উন্নয়নে বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। ইস্তাহার প্রকাশের পর বিজেপির দাবি, কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবে বিজেপি।

    আরও পড়ুুন: ‘মন কি বাত’-এর অনুষ্ঠানে মোদির মুখে ৪ অ-সাধারণের নাম, জানেন এঁরা কারা?

    ১০ মে ২২৪ আসন বিশিষ্ট কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের (Karnataka Assembly Election) ফল বেরবে ১৩ মে। গৃহহীনদের জন্য ১০ লক্ষ বাড়ি। বিশ্বেশ্বরায়া বিদ্যা যোজনার আওতায় সরকারি স্কুলগুলির সামগ্রিক উন্নয়নে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্ব করবে সরকার। আইএএস, কেএএস, ব্যাংকিং, সরকারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য যুবদের আর্থিক সহায়তা করা হবে। কর্নাটকের সিনিয়র সিটিজেনদের বিনামূল্যে বার্ষিক হেল্থ চেক-আপ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dev: সরকারি বাড়ি পেতে দেবের ভাইকে দিতে হল কাটমানি! পোস্টার দিয়ে প্রতিবাদ জানাল বিজেপি

    Dev: সরকারি বাড়ি পেতে দেবের ভাইকে দিতে হল কাটমানি! পোস্টার দিয়ে প্রতিবাদ জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল শহরের পাঁশকুড়া বাস স্ট্যান্ড, ঘাটাল কলেজ, এসডিও অফিস চত্বর সহ সমস্ত জায়গায় পড়েছে পোস্টার। আর এই পোস্টারকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল অভিনেতা দেবের (Dev) সাংসদ এলাকায়। শুধু পোস্টারই নয় দেবের (Dev) পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। এমনকী দেওয়াল লিখনে হাত লাগিয়েছেন খোদ বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট।

    কী লেখা রয়েছে পোস্টারে?

    পোস্টারে লেখা রয়েছে, নিজের দাদা সাংসদ (Dev) থাকা সত্ত্বেও কাটমানি দিতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে। ঘরের ছেলে সাংসদ থাকার সত্ত্বেও কেন টাকা নেওয়া হল? দীপক অধিকারী (Dev) জবাব দাও। বিক্রম অধিকারীর আবাস যোজনার টাকা নেওয়া  হল কেন? তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা জবাব দাও। আর ঘাটাল শহরের একাধিক জায়গায় পোস্টারে ছয়লাপ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন এই পোস্টার?

    সাংসদ দেবের (Dev) জেঠতুতো ভাই বিক্রম অধিকারী। তিনি থাকেন কেশপুরের মহিষদায়। সরকারি আবাস যোজনায় কাটমানি দিতে হয়েছে তাঁকে। বিক্রম বলেন, আমি নিজে তৃণমূল করি। আমার দাদা সাংসদ বলে কোনও বাড়িতে সুবিধা পাইনি। এখানে তৃণমূল নেতাদের কাটমানি না দিলে বাড়ি মিলবে না। তাই, ওদের চাহিদা মতো আমি কাটমানি দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, পারিবারিক সমস্যা সমাধানে তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দিতে হয়। সাংসদের (Dev) ভাই বলে আমাকে অনেক জায়গায় তৃণমূল নেতারা নিয়ে গিয়ে কাটমানি নিয়েছে। আমার বাড়ি বেহাল হয়ে রয়েছে। আমফানে বাড়ির প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু, আমি ক্ষতিপূরণের টাকা পাইনি। আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়ার জন্য দেবের (Dev) ভাইকে টাকা দেওয়ার খবর জানাজানি হতেই রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এবার এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই মাঠে নামে বিজেপি। ঘাটাল শহর জুড়ে তারা পোস্টার দিয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    এই বিষয়ে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “দেবের ভাই বলে খবরটা হয়েছে। এরকম হাজার হাজার মানুষের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। কে অধিকার দিয়েছে ওদের? গরিবের কথা কেউ শোনেনি। আমরা নামগুলো খুঁজে খুঁজে দিল্লি পাঠিয়েছি।”

    পোস্টার নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও বিজেপিকে পাল্টা নিশানা করেছে শাসক দল তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, খেই হারিয়েছে বিজেপি। দেব (Dev) কুৎসার জবাব না দিয়ে নিশ্চুপ থাকাতেই পোস্টার রাজনীতি করছে বিজেপি। পোস্টার নিয়ে রাজনীতি না করে বিজেপি মাঠে নেমে রাজনীতি করুক। মানুষ কাদের সঙ্গে রয়েছে তা প্রমাণ হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mid Day Meal: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে বিছে! না জেনে সেই খিচুড়িই খেয়ে নিল শিশুরা!

    Mid Day Meal: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে বিছে! না জেনে সেই খিচুড়িই খেয়ে নিল শিশুরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শিশুদের খাবারে বিছে! এবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের গ্ৰামে। এর আগেও দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় শিশুদের খাবারে ও স্কুলের মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) কোথাও সাপ, কোথাও ইদুর, কোথাও আবার পোকামাকড় উদ্ধার হয়েছিল। সেইসব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও খাবের বিছে উদ্ধার হল। স্বাভাবিকভাবেই অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। উঠেছে নজরদারির অভিযোগও। বীরভূমের কীর্ণাহারের পরোটা গ্ৰামে ২২ নং কেন্দ্রের পরোটা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আরও অভিযোগ, সেই বিছে পড়া খাবারই তুলে দেওয়া হয়েছে শিশুদের হাতে। যদিও খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে কীর্ণাহার থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কীর্ণাহার থানার পুলিশ আসতেই বাকি খাবার যেগুলি বেঁচে ছিল, সেগুলি ফেলে দেওয়া হয় প্রশাসনের নির্দেশমতো, যাতে আর এই খাবার (Mid Day Meal) কেউ না নিয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে গ্ৰামবাসীদের সচেতন করা হয়েছে, যাতে ওই খাবার কেউ যেন না খায়।

    কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের?

    কোলে দুধের শিশুকে নিয়ে এক মা বললেন, আমরা খিচুড়ি নিতে এসেছি। এখানে এসে শুনছি, খাবারে (Mid Day Meal) বিছে ছিল। সৈকত নামে একটা ছেলে দেখেছে, সে দিদিমণিকেও বলেছে। কিন্তু দিদিমণি বলেছে, ওটা বরবটি কড়াই। বিছেটা পাশে রেখে দিয়ে আমাদের সেই খিচুড়ি দিয়েছে। আমরা সেই খাবারই ছেলেদের খাইয়েছি। যখন শুনলাম, তখন খাওয়ানো বন্ধ করেছি। দিদিমণি বিশ্বাসই করছে না। বারবার একই কথা বলছে, এটা বরবটি কড়াই। এরপর দিদিমণি ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে। প্রশাসন এসেছিল। যারা খেয়েছে, তারা কান্নাকাটি করছে। ওদের যে কী হবে, জানি না। আমাদের একটাই দাবি, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার মধ্যে রান্না হোক। 

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের চাল চুরি করতেই গরমের ছুটি ঘোষণা রাজ্যের! দাবি শুভেন্দুর

    অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন না

    গ্ৰামবাসীদের অভিযোগ, যেখানে রান্না (Mid Day Meal) করা হয়, সেই ঘরটি অপরিষ্কার। মাকড়সার ঝুলে ভর্তি ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এমনকী বাইরে রয়েছে আবর্জনায় ভর্তি একটি জলাশয়। এমনকী ওই গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, এই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী জেনেশুনেও এই খাবার দিয়েছেন। এই খাবার খেয়ে যদি কোনও শিশু অসুস্থ হয়, তাহলে তার ব্যবস্থা নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। যদিও ওই কেন্দ্রের কর্মী কোনও মন্তব্যই করতে চাননি। বারবার তাঁকে ওই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চোখা-চোখা মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, দেখুন এক ঝলকে

    Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চোখা-চোখা মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, দেখুন এক ঝলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় নানা সময় বিস্ফোরক একাধিক মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। তাঁর এই সব মন্তব্য হইচই ফেলে দিয়েছে রাজ্যে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁর মন্তব্যগুলি।

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) বিস্ফোরক মন্তব্য…

    দুর্নীতি দেখলে আমি রুখে দাঁড়াবই। মাথায় বন্দুক ঠেকালেও আমি থামব না। তিনি বলেন, সব আমলেই দুর্নীতি হয়। আমি কোনও রাজনীতি করছি না। আইনজীবীরা রাজনীতি করতে পারেন। অন্য একদিন বলেন (Abhijit Ganguly), ঢাকি সব বিসর্জন কীভাবে দিতে হয়, আমিও জানি। আসল অপরাধী কে বা কারা, তা সবাই জানে। আমার জীবদ্দশায় তারা ধরা পড়বে বলে মনে হয় না। আমি তো নিজে ধরতে যেতে পারব না। যা করার, পুলিশ, ইডি, সিবিআইকে করতে হবে। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা রাজ্য হয়েছে, যেখানে টাকা না দিলে চাকরি মেলে না। মুড়ি-মুড়কির মতো দুর্নীতি হয়েছে বলেই মুড়ি-মুড়কির মতো সিবিআই দিতে হয়েছে। আমি তো এটা জীবনে কল্পনাই করতে পারি না।

    আরও পড়ুুন: কর্নাটকে মোদির কনভয়ে উড়ে এল মোবাইল ফোন! প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে

    সিবিআইকে ভর্ৎসনা করে তিনি বলেন, আপনাদের থেকে তো ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করতে আমি জানি। দুর্নীতি মামলায় তাঁর মন্তব্য, অনেক ধেড়ে ইঁদুর বেরবে। অন্য একটি মামলায় তিনি (Abhijit Ganguly) বলেছিলেন, দিদি একা সামলাতে পারছেন না। এত দুর্বৃত্ত চারপাশে থাকলে সামলাবেন কী করে? তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক ও অনুমোদন বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংবিধান বিরোধী কাজের জন্য এই সরকারি দলের লোগো ও মান্যতা প্রত্যাহার করতে তিনি নির্বাচন কমিশনকে বলতে পারেন। অন্য একটি মামলায় তিনি বলেন, দুর্নীতির মহাসমুদ্রে আমি হাবুডুবু খাচ্ছি। আপনারা সাহায্য করছেন। তারপরও হাবুডুবু খাচ্ছি। ঠগ বাছতে তো গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। এক জ্যাঠামশাই বলে বেড়াচ্ছেন আমি আইনের এবিসিডি জানি না। তিনি নিজে কি এবিসিডি জানেন?

    কিছু দালাল, যারা মুখপাত্র বলে পরিচিত এবং কিছু মন্ত্রীর নাম বলতে পারি আমি, যাঁরা প্রকাশ্যে বলেছেন কারও চাকরি যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী ভাল কাজ করছেন। আমি কেন খারাপ কথা বলব? কবিতার প্রথম লাইন হল এপাং ওপাং ঝপাং। আমরা সবাই ড্যাং ড্যাং। এই যদি কবিতার বই হয়, তাহলে কেউ পড়বে? আমার (Abhijit Ganguly) মনে হয় কেউ পড়বে না। এই অখাদ্য জিনিসগুলো গ্রন্থাগারে রাখবেন না, এটা আজ বলার সময় এসেছে। অখাদ্য বই সরবরাহ হয় সরকারি গ্রন্থাগারে, তা পড়তে কোনও মনুষ্য সন্তান সেখানে যাবে না। বোমা বাঁধতে পারলে কি বাড়তি নম্বর পাওয়া যায়? বীরভূমে পেটো বাঁধলে কত নম্বর পাওয়া যায়?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • School: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম স্কুল পরিচালন কমিটিতে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    School: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম স্কুল পরিচালন কমিটিতে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটের কবিতীর্থ স্কুলের (School) পরিচালন কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্যের তালিকায় দণ্ডিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতার নাম। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলায়। জানা গিয়েছে, ৪ এপ্রিল বালুরঘাট শহরের ১০টি স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতিদের নামের তালিকা এসেছে। ওই তালিকাতে তৃণমূল নেতা ও বেশিরভাগ ব্যবসায়ীদের নাম মনোনীত করা হয়েছিল। যা নিয়েও ক্ষোভ ছিল শিক্ষামহলে। এবারে বালুরঘাট ও হিলির ১৫টি স্কুলের পরিচালন কমিটির শিক্ষানুরাগীদের নাম এসেছে। ওই কমিটিতে একটি স্কুলে সভাপতি, দুইজন করে শিক্ষানুরাগী ও অভিভাবক, মেডিক্যাল অফিসার, এসআই সহ অনেকেই থাকবে। জেলার ১৫টি স্কুলের পরিচালন সমিতির শিক্ষানুরাগী সদস্যের বেশিরভাগই তৃণমূল নেতা বলেই পরিচিত। তার মধ্যে একটি স্কুলের শিক্ষানুরাগী সদস্য হিসেবে আনন্দ রায়ের নাম প্রকাশিত হয়েছে। আনন্দ রায় তৃণমূলের যুব নেতা বলেই পরিচিত। সম্প্রতি আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটানোর অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। যদিও সে এখন জামিনে মুক্ত। তাই ওই যুব নেতার নাম ঘিরেই শোরগোল শুরু হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

    এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটানোর মত একটা বড় অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ওই তৃণমূল নেতা। তাকে তৃণমূল শিক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় দায়িত্ব দিয়েছে। আদিবাসীদের প্রতি এমন নির্যাতনের পরেও তৃণমূলের মধ্যে কোন অনুশোচনা নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, আনন্দ রায় তৃণমূলের, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। তবে স্কুলের (School) পরিচালন কমিটির এই তালিকায় তার নাম মাস চারেক আগেই শিক্ষা দফতরে গেছিল। যা সম্প্রতি ঘোষণা হয়েছে। দণ্ডিকাণ্ডে তার নাম আসার পর আমরা এবিষয়ে চিন্তাভাবনা করেছি। এই নাম পরিবর্তনের জন্য রাজ্য শিক্ষা দফতরের কাছে আর্জি জানাব। এবিষয়ে তৃণমূল নেতা আনন্দ রায়কে বহুবার ফোন ও মেসেজ করলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি।

    কী বললেন স্কুলের (School) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক?

    ওই কবিতীর্থ স্কুলের (School) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সন্তু রায় বলেন, কারা এই তালিকায় থাকবে, তা আমাদের জানা ছিল না। তবে এই তালিকায় নাম যুক্ত বা বাতিলের বিষয় আমাদের হাতে নেই। সম্পূর্ণ বিষয় রাজ্য শিক্ষা দফতরের হাতে রয়েছে।

    এনিয়ে স্কুল (School) পরিদর্শকের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা দফতর স্কুল (School) পরিদর্শক মৃন্ময় ঘোষ বলেন, রাজ্য থেকে ওই তালিকা এসেছে, সেই তালিকা আমরা স্কুলগুলিকে পাঠিয়েছি। যা করার রাজ্য থেকেই করে। বাকি বিষয়ে জানা নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mann Ki Baat: ‘মন কি বাত’-এর অনুষ্ঠানে মোদির মুখে ৪ অ-সাধারণের নাম, জানেন এঁরা কারা?

    Mann Ki Baat: ‘মন কি বাত’-এর অনুষ্ঠানে মোদির মুখে ৪ অ-সাধারণের নাম, জানেন এঁরা কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সম্প্রচারিত হল মন কি বাতের (Mann Ki Baat) শততম পর্ব। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) দেশের চারজন অ-সাধারণ মানুষের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। স্মরণ করিয়ে দেন দেশ গড়তে এঁদের ভূমিকার কথা। 

    মন কি বাতে (Mann Ki Baat) চারজনের নাম…

    প্রধানমন্ত্রী এদিন প্রথমেই নাম করেন মণিপুরের বিজয়শান্তি দেবীর কথা। পদ্মফুলের ডাঁটার তন্তু থেকে পোশাক তৈরি করেন তিনি। পরিবেশে-বান্ধব পোশাক বানিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন অ-সাধারণ। বিজয়শান্তি দেবীর কথা মন কি বাতের অন্য এক পর্বেও বলেছিলেন প্রধামমন্ত্রী (Mann Ki Baat)। বিজয়শান্তি দেবীর অধীনে কাজ করেন প্রায় ৩০ জন মহিলা। তাঁর লক্ষ্য অন্তত ৭০জন মহিলাকে এই কাজে নিযুক্ত করা। তিনি চান, গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়ুক তাঁর এই পোশাক।

    সুনীল জাগলানের কথাও এদিন বিশেষভাবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে ‘সেলফি উইথ ডটার’ প্রচার শুরু করেন তিনি। ২০১৫ সালের জুন মাসে তাঁর নিজের গ্রাম থেকে এই প্রচার শুরু করেন। তিনি একটি ওয়েবসাইটও খুলেছেন। এই ওয়েবসাইটে কন্যসন্তানের সঙ্গে সেলফি শেয়ার করতে পারেন মানুষ। কন্যাসন্তান বাঁচাতেই তাঁর এই উদ্যোগ।

    আরও পড়ুুন: সস্তা রান্নার গ্যাস! আজ থেকে কমল সিলিন্ডারের মূল্য, কলকাতায় দাম কত?

    প্রদীপ সাঙ্গওয়ানের কথাও এদিন উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর কথায় (Mann Ki Baat)। তিনি শুরু করেছেন ‘হিলিং হিমালয়’ প্রচার। নিজের দলবল নিয়ে হিমালয় থেকে তিনি সংগ্রহ করেছেন ৫ টন আবর্জনা। হিমালয় যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, তাই এই প্রচার। মঞ্জুর আহমেদের নামও এদিন নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জম্মু-কাশ্মীরের একটি গ্রামে তাঁর পেন্সিল তৈরির কারখানা রয়েছে। পুলওয়ামা জেলায় তিনি চাকরি দিয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে। মঞ্জুরের গ্রাম আউখু বর্তমানে ভারতের পেন্সিল গ্রাম হিসেবেই পরিচিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Education: ‘উন্নয়নের শপথ’ কি নামেই? খুদে পড়ুয়াদের ক্লাসরুমেও ঢুকে পড়ছে বিষধর সাপ!

    Education: ‘উন্নয়নের শপথ’ কি নামেই? খুদে পড়ুয়াদের ক্লাসরুমেও ঢুকে পড়ছে বিষধর সাপ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে ঢুকে পড়ছে বিষধর সাপ। বৃষ্টি হলেই ফুটো হওয়া টিনের চাল দিয়ে জল পড়ছে ক্লাসরুমে। এমনকী বৃষ্টির জল স্কুল চত্বরেও ঢুকে পড়ছে। এছাড়া টিনের গরমে নাজেহাল অবস্থা খুদে পড়ুয়াদের (Education)। এমনই বেহাল দশা বালুরঘাট শহর লাগোয়া খিদিরপুরের শান্তিময় ঘোষ স্মৃতি কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

    স্কুলের বেহাল দশা, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা

    অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ওই স্কুল সংস্কার করা হয়নি। জেলার প্রায় অধিকাংশ স্কুলের ছাদ পাকা হলেও এখনও ওই স্কুলের ছাদ হয়নি। তাই বৃষ্টি ও ঝড়বাদলে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়। শুধু ওই স্কুল (Education) নয়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়েই বহু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার হয়নি। অনেক স্কুলের বিল্ডিং পুরনো ও জীর্ণ দশায় পরিণত হয়েছে। কোথাও বা ছাদের একাংশ খসে পড়ছে। যা নিয়ে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, বালুরঘাট শহরের সীমানা বরাবর ওই স্কুলটি (Education) অবস্থিত। ১৯৮৯ সালের হলেও ওই স্কুল এখনও টিনের। চারদিকে দেওয়াল থাকলেও একেবারে জীর্ণ। একটিমাত্র ঘর ও একটি রান্নাঘর নিয়েই চলছে স্কুল। ছাত্র সংখ্যা ২৫ জন। শিক্ষিকা ২ জন। কিন্তু ওই স্কুলের বেহাল দশায় দিন দিন পড়ুয়ার সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। স্কুলের চারদিকই ঢোবা-জঙ্গলে পরিপূর্ণ। তাই এই গরমে সাপের উৎপাত বাড়ছে। যা নিয়ে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্কও বাড়ছে। 

    কী বলছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ও জেলা সংসদ চেয়ারম্যান?

    এবিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নীতা ঘোষ দাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের স্কুল (Education) খারাপ হয়ে আছে। স্কুল সংস্কারের জন্য দফতরে জানিয়েছি। ওই স্কুলের এক ছাত্রের অভিভাবক মিলন মোহন্ত বলেন, স্কুলে সাপ ঘুড়ে বেড়ায়। টিন ফুটো হয়ে জল পড়ে। এমনকী বৃষ্টির জল ঢুকে যায়। যার ফলে আমরা খুব উদ্বিগ্ন। এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা বলেন, কিছু স্কুল (Education) খারাপ আছে। সেই রিপোর্ট আমার কাছে এসেছে। তবে স্কুলগুলি কেন সংস্কার হচ্ছে না, তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohini Ekadashi 2023: আজ মোহিনী একাদশী! জানুন এর পৌরাণিক কাহিনী

    Mohini Ekadashi 2023: আজ মোহিনী একাদশী! জানুন এর পৌরাণিক কাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মোহিনী একাদশী (Mohini Ekadashi 2023)। বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশী তিথিটিকে বলা হয় মোহিনী একাদশী (Mohini Ekadashi 2023)। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি অত্যন্ত শুভ। এই বিশেষ একাদশী তিথির আলাদা মাহাত্ম্যও রয়েছে। পরিবারের মঙ্গলকামনায় এইদিনে নানা রকমের শুভকাজের অনুষ্ঠান করা হয়। পুরাণ অনুসারে, মোহিনী একাদশীতে (Mohini Ekadashi 2023) মোহিনী রূপ অর্থাত্‍ নারী রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভগবান শ্রীবিষ্ণু। পণ্ডিতরা বলছেন, বিষ্ণুর অসংখ্য রূপের মধ্যে এই মোহিনী রূপই একমাত্র নারী রূপ। এই তিথিতে শ্রীবিষ্ণুর নারী-রূপের আরাধনা করা হয়। মনে করা হয়, মোহিনী একাদশীতে বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর পুজো করলে অর্থ লাভ হয়।

    মোহিনী একাদশী তিথি ও শুভক্ষণ 

    ২০২৩ সালে, মে মাসের প্রথম দিনেই পড়েছে মোহিনী একাদশী। একাদশী তিথি শুরু হয়েছে ৩০ এপ্রিল রাত ৮টা ২৮ মিনিটে এবং পয়লা মে রাত ১০টা ০৯ মিনিটে শেষ হবে। উদয় তিথি অনুসারে একাদশী উদযাপিত হবে পয়লা তারিখ। 
    একাদশী তিথির দিন দু’টি শুভ যোগ তৈরি হচ্ছে – রবি যোগ সকাল ৫টা ৪১ থেকে সন্ধ্যা ৫টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। আর, ব্রহ্ম মুহূর্ত থেকে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত থাকবে ধ্রুব যোগ।

    পুজো বিধি 

    একাদশীর দিন (Mohini Ekadashi 2023) ব্রহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে নিন। এর পরে কলশ স্থাপন করুন। শ্রী বিষ্ণুর মূর্তি স্নান করিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে দিন। নতুন জামাকাপড় পরান। ফুল, ফল, অক্ষত, মালা, চন্দন, হলুদ বস্ত্র, হলুদ মিষ্টি নিবেদন করুন। ধূপ ও প্রদীপ জ্বালান। সঠিক বিধি মেনে পূজার্চনা করুন। পুজোর সময় বিষ্ণু মন্ত্র জপ করুন। পুজো শেষে আরতি করুন।

    পৌরাণিক আখ্যান…

    পুরাণ অনুসারে, সমুদ্র মন্থনে অমৃতের ভাণ্ড উঠেছিল এবং তা নিয়ে দেবতা ও অসুরদের মধ্যে কাড়াকাড়ি শুরু হয়। অসুররা দেবতাদের কাছ থেকে অমৃত ভাণ্ড ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। এতে দেবতারা ভয় পেয়ে যান। এমতাবস্থায় দেবতারা নারায়ণের শরণাপন্ন হন, তখন বিষ্ণু এক অপরূপ সুন্দরী নারীর রূপ ধারণ করেন। বিষ্ণুর সেই মনোমোহিনী রূপে অসুররা মোহিত হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে রূপে দ্বারা অসুরদের ভুলিয়ে তাদের থেকে অমৃত নেন বিষ্ণু। মোহিনী অবতার সত্ত্বেও বিষ্ণুকে চিনতে পেরে যান দুই অসুর, রাহু ও কেতু। অমৃত পান করার অভিলাসে, তারা দেবতার ছদ্মবেশে দেবতাদের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তাদের চিনে ফেলে সূর্য ও চন্দ্র এবং বিষ্ণুকে তা জানান। বিষ্ণু সুদর্শন চক্র দিয়ে রাহু ও কেতুর মাথা শরীর থেকে কেটে আলাদা করে দেন। কিন্তু ততক্ষণে অমৃত রাহু ও কেতুর গলা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। অমৃতের দৌলতে তাদের মাথা থেকে গলা অবধি অমর হয়ে যায়। সূর্য ও চন্দ্রর প্রতি রাগে রাহু, কেতু সুযোগ পেলেই সূর্য ও চন্দ্রকে গিলে ফেলে। কিন্তু রাহু, কেতুর ধড় না থাকায়, সূর্য ও চন্দ্র বেরিয়ে আসেন। এই পৌরাণিক কাহিনীর উপর ভিত্তি করেই, পুরাণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share