Tag: Bengali news

Bengali news

  • Tawang: তাওয়াংয়ে লাল ফৌজকে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করেছে ভারত, জানালেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান

    Tawang: তাওয়াংয়ে লাল ফৌজকে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করেছে ভারত, জানালেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে (Tawang) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল চিনা (China) সেনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)। তাদের দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করেছে ভারতীয় সেনা। শুক্রবার এ কথা জানালেন সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাণাপ্রতাপ কলিতা। তিনি এও জানান, বুমলায় দুই দেশের প্রতিনিধিরা ফ্ল্যাগ মিটিংও করেছে। তার পরেই সমস্যার সমাধান হয়েছে।

    নেপথ্য কাহিনি…

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে ভারতীয় সেনা রুটিনমাফিক টহল দিচ্ছিল। টহলদারির সময়ে চিনা সেনার অন্তত ৩০০ জনের একটি দল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করার চেষ্টা করে। ভারতীয় ভূখণ্ডে পা রাখারও চেষ্টা করে চিনা সেনারা। তারা ভারতীয় সেনার টহলদারির কাজে বাধা দেয়। এলাকা দখল নিয়ে বাদানুবাদ শুরু করে লাল ফৌজ। যদিও পাল্টা প্রস্তুত ছিল ভারতীয় সেনাও। চিনের সমস্ত ছক ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আর তা করতেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও চিনের বাহিনী। শুধু তাই নয়, ধাক্কা দিয়ে সীমান্ত থেকে লাল ফৌজকে ভারতীয় সেনার জওয়ানরা বার করে দেয়। তার আগে বেশ কিছুক্ষণ ধরে ভারত এবং চিনের বাহিনীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। জানা গিয়েছে, ভারতীয় জওয়ানদের আঘাত খুব একটা গুরুতর নয়। তাঁদের হাতে, পায়ে এবং পিঠে আঘাত লেগেছে। ঘুষির কারণেও মুখে আঘাত লেগেছে। সেনা সূত্রে খবর, ভারতীয় সেনার চেয়ে ঢের বেশি আঘাত পেয়েছে চিনের জওয়ানরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘আপনার মন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?’’, পাক সাংবাদিককে জবাব জয়শঙ্করের

    এদিন ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের ফাঁকে পূর্বাঞ্চলীয় জিওসি-ইন-সি কলিতা বলেন, আপনারা জানেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর আটটি অমীমাংসিত এলাকা রয়েছে। টহলদারির সময় এরকম একটি জায়গা দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে চিনা সেনা। তাদের দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং (Tawang) সেক্টরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল পিপলস লিবারেশন আর্মি। তারা স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছিল। রাজনাথ সিং জানান, ভারতীয় সেনাদের তৎপরতায় দ্রুত তাদের ফেরত পাঠানো গিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের ভূখণ্ড অটুট রাখতে আমাদের সেনারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরকম কোনও চেষ্টা হলে, যে কোনও মূল্যে তা প্রতিরোধ করার চেষ্টাও করবে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Chatterjee: নতুন বছরের শুরুটাও জেলের আঁধারেই কাটাতে হবে পার্থ অর্পিতাকে, কেন জানেন?

    Partha Chatterjee: নতুন বছরের শুরুটাও জেলের আঁধারেই কাটাতে হবে পার্থ অর্পিতাকে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষ বিদায় কিংবা বর্ষবরণ, কোনও অনুষ্ঠানটাই এবার আর ঘটা করে পালন করতে পারবেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)! তার আগে রয়েছে ২৫ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠান। এই তিন অনুষ্ঠানই মাটি হতে চলেছে পার্থ অর্পিতার। কারণ আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক। প্রাইমারি টেট (Primary TET) দুর্নীতি মামলায় ইডি ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করেছিল পার্থ-অর্পিতাকে। তখনই জানানো হয় তাঁদের জেল হেফাজতের মেয়াদ। এদিন অবশ্য জামিনের আবেদন জানাননি পার্থ-অর্পিতার আইনজীবীরা। বরং পার্থকে মামলার শুনানি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই আর্জির শুনানি হবে ৩১ জানুয়ারি।

    আরও পড়ুন: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    ইডির মামলা…

    এদিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে শুনানি ছিল এসএসসি সংক্রান্ত ইডির মামলার। এই মামলায় মূল অভিযুক্তদের একজন হলেন পার্থ (Partha Chatterjee)। জুলাই মাসে ইডি গ্রেফতার করেছিল তাঁকে। কিন্তু পার্থর তরফে এই মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে সেই ইডির তদন্তকারী আধিকারিকের এক্তিয়ার নিয়ে। জানতে চাওয়া হয়েছে, যে তদন্তকারী অফিসার এই মামলায় তদন্ত করছেন, তিনি কি আদৌ এই তদন্ত করতে পারেন? এই প্রশ্নের জবার দেওয়ার জন্য চার সপ্তাহের সময় চেয়েছে ইডি।

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। গত জুলাই মাসে গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। ওই সময়ই গ্রেফতার করা হয় পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। বাজেয়াপ্ত করা হয় সোনার গয়নাও। এর পর একে একে গ্রেফতার করা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এসপি সিনহা সহ একাধিক ব্যক্তিকে। ধৃতেরা প্রত্যেকেই আপাতত রয়েছেন জেলে।

     

  • Tawang: ভারতীয় জওয়ানদের তাড়া খেয়ে স্লিপিং ব্যাগ ফেলেই পালিয়েছিল চিনা সেনারা!

    Tawang: ভারতীয় জওয়ানদের তাড়া খেয়ে স্লিপিং ব্যাগ ফেলেই পালিয়েছিল চিনা সেনারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের ৯ তারিখে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে (Tawang) সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত (India) ও চিনা (China) সেনা। চিনা সেনাদের (Chinese Soldiers) তাদের পোস্টে ফেরত পাঠান ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। তার পরেই তাওয়াং সেক্টেরের ওই এলাকায় যান ভারতীয় সেনারা। উদ্ধার হয় স্লিপিং ব্যাগ (Sleeping Bags) এবং অন্যান্য সরঞ্জাম। জানা গিয়েছে, চিনা সেনারাই ওই স্লিপিং ব্যাগগুলি ব্যবহার করত। ভারতীয় জওয়ানদের কাছে তাড়া খেয়ে পালানোর সময় স্লিপিং ব্যাগগুলি সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেনি তারা। সেই স্লিপিং ব্যাগগুলিই উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনা।

    তাওয়াং…

    অবস্থানগত কারণের জন্য তাওয়াংয়ের ওপর শ্যেন দৃষ্টি চিনের। সেই কারণেই বারে বারে তারা হামলা চালায় ওই এলাকায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২-এ শ’ তিনেক পিএলএ সৈন্য সীমান্তে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে তার মোকাবিলা করে। দু পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। ভারতের জওয়ানরা চিনা সেনাদের বাধা দেয় এবং তাদের পোস্টে ফেরত পাঠায়। এই ঘটনায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোনও জওয়ান নিহত বা আহত হননি। এই ঘটনার পর স্থানীয় কমান্ডার ১১ ডিসেম্বর চিনের সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ঘটনাটি নিয়ে আলোচনাও করেন। চিনকে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে বলা হয়েছে ভারতের তরফে।

    আরও পড়ুন: “এটা ১৯৬২ সাল নয়…যোগ্য জবাব দেবে বীর জওয়ানরা”, চিনকে কড়া বার্তা অরুণাচল মুখ্যমন্ত্রীর

    চিন ও ভারতীয় সেনার এই সংঘর্ষে দু পক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষে ভারতের ছ জন সৈন্য জখম হয়েছেন। যদিও সংসদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, ভারতের দিকে কোনও সৈন্যের জখম হওয়ার খবর নেই। সংঘর্ষের পর এলাকা ছেড়ে পালায় চিনা সেনা। তার পরেই উদ্ধার হয় স্লিপিং ব্যাগ এবং অন্যান্য সরঞ্জাম। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ানেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল চিনা সেনা ও ভারতীয় বাহিনী। ওই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসেও ওই একই এলাকায় ঢুকে পড়েছিল প্রচুর চিনা সেনা। সেই সময়ও দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Abhijit Ganguly: নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার ইডিও, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Ganguly: নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার ইডিও, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম দশমের ওএমআর শিট (OMR Sheet) বিকৃত করার মামলায় এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে (ED) পার্টি করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বুধবার ওই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। এদিনই ইডিকে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এতদিন তদন্ত করছিল সিবিআই। এবার তার সঙ্গে তদন্ত করবে আরও এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আদালতের সন্দেহ, এই মামলায়ও আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। সেই কারণেই এমন নির্দেশ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। আদালতের এই নির্দেশের জেরে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তবে এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

    নবম দশম…

    এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) জানান, ইডিকে তদন্তের দৈনিক রিপোর্ট দিতে হবে। অভিযোগ ছিল, নবম দশম শ্রেণিতে ওএমআর শিট বিকৃত করে ১৮৩ জনকে চাকরির সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। আদালত স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চেয়েছিল, এদের মধ্যে কতজন চাকরি করছে? এসএসসি জানায়, ৮১ জন চাকরি করছেন। মধ্য শিক্ষা পর্ষদ জানায়, সুপারিশপত্র পেলেও সবাই চাকরি করছেন না। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ২১ তারিখের মধ্যে কাউন্সেলিং করাতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে ২৯ তারিখের মধ্যে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ, বিকৃত ওএমআর শিট অবিলম্বে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েব সাইটে আপলোড করতে হবে।

    আরও পড়ুন: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, আমরা হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। কারণ এটার প্রয়োজন ছিল। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। সেই আর্থিক লেনদেনের পরিমাণটা বিশাল। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতা এর ফলে লাভবান হয়েছেন। টাকা কার কাছ থেকে কোথায় গিয়েছে, এটা খুঁজে বের করা খুবই প্রয়োজন। তার জন্য ইডি-ই সব থেকে উপযুক্ত সংস্থা ভারতবর্ষে। বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যও বলেন, আদালত সঙ্গত কারণেই বলেছে। কারণ এখানেও প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে।

     

  • 100 Days Work: একশো দিনের কাজে বকেয়া পাওনা নিয়ে ‘মিথ্যা’ দাবি রাজ্যের, তথ্য দিয়ে জানাল গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক

    100 Days Work: একশো দিনের কাজে বকেয়া পাওনা নিয়ে ‘মিথ্যা’ দাবি রাজ্যের, তথ্য দিয়ে জানাল গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো দিনের কাজে (100 Days Work) বকেয়া পাওনা নিয়ে রাজ্যের দাবি খারিজ করে দিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক (Central Rural Development Ministry)। অগাস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছিলেন একশো দিনের কাজে রাজ্যের বকেয়া পাওনার পরিমাণ ৬ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। সোমবার লোকসভা সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায় দাবি করেছিলেন, একশো দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া পাওনার পরিমাণ ৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। রাজ্যের এসব দাবিই যে অসার, তা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। লোকসভায় মন্ত্রক জানিয়েছে, একশো দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া পাওনার পরিমাণ ৩ হাজার ২০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে মজুরি বাবদ রাজ্যের পাওনার পরিমাণ ২ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। বাকি টাকা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের জন্য।

    অনিয়মের অভিযোগ…

    একশো দিনের কাজে (100 Days Work) পশ্চিমবঙ্গে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একশো দিনের কাজের জন্য বরাদ্দ টাকা খয়রাতিতে খরচ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। রাজ্যের কুর্সি দখল করতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নানা প্রতিশ্রুতি দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরই একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। অভিযোগ, এই ভাণ্ডারে টাকা দিতে নানা প্রকল্পে দেওয়া কেন্দ্রের টাকা খরচ করা হচ্ছে। তার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একশো দিনের কাজের মতো বিভিন্ন প্রকল্প। তার পরেও প্রতিটি জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী নিয়ম করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে চলেছেন। একশো দিনের কাজের টাকায় যে খয়রাতি হচ্ছে, কেন্দ্রকে তা চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও। একশো দিনের কাজে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিস্তর চাপের মুখে পড়ে যায় রাজ্য সরকার। শুরু হয়ে যায় দিল্লি দরবারে যাতায়াত।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের টাকায় খয়রাতি, ‘দোষ’ ঢাকতে একশো দিনের প্রকল্প নিয়ে কী বললেন মমতা?

    এদিন লোকসভায় সাংসদ তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, মোদি সরকারের রাজত্বকালে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্কের কাঠামো কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বকেয়া পাওনা (100 Days Work) বিষয়ক চিঠিও তুলে ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। এর পরেই গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়ে দেয়, এই খাতে রাজ্যগুলির বকেয়া পাওনার পরিমাণ ৭ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পাওনার পরিমাণ ৩ হাজার ২০২ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Lalan Sheikh: মৃত লালনের দেহ নিয়ে সিবিআইয়ের ক্যাম্পে বিক্ষোভ, ফাঁসে মৃত্যু, বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

    Lalan Sheikh: মৃত লালনের দেহ নিয়ে সিবিআইয়ের ক্যাম্পে বিক্ষোভ, ফাঁসে মৃত্যু, বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হয়েছে এফআইআর। তাতে নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার ডিআইজিরও। লালনের মৃত্যুর পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে বগটুই। মাঝে মধ্যেই আওয়াজ উঠছে সিবিআইয়ের শাস্তি চাই। বুধবার রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    বিক্ষোভ…

    রামপুরহাটের বগটুইয়ে ১০জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখের দেহ নিয়ে বিক্ষোভ মৃতের পরিবারের। এদিন সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে দেহ নিয়ে গেলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। লালনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত সিবিআই আধিকারিকদের গ্রেফতারির দাবি জানান তাঁরা। তাঁরা ক্যাম্প অফিসে ঢোকারও চেষ্টা করেন। বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন রামপুরহাটের এসডিপিও। পরে পুলিশের আশ্বাসে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসের সামনে থেকে বিক্ষোভ তুলে নেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।     

    প্রসঙ্গত, লালনের স্ত্রী রেশমার অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআইয়ের সাত আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। এর মধ্যে ডিআইজি সিবিআই, এসপি সিবিআই, গরু পাচার মামলার প্রধান তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য সহ আরও চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি, কটূক্তি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তের জন্য এদিনই ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা সিআইডি টিমের। যাওয়ার কথা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদেরও।

    আরও পড়ুন: লালন শেখের মৃত্যুতে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর, হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় সংস্থা

    এদিকে, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, লালনের মৃত্যু হয়েছে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকার কারণে। তাঁর দেহে আঘাতের তেমন কোনও চিহ্ন নেই। কোনও খুনের ঘটনার ক্ষেত্রে দেহে যেমন আঘাতের চিহ্ন মেলে, এক্ষেত্রে তা ছিল না। ফলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকায় মৃত্যু হয়েছে লালনের। মঙ্গলবার দুপুরে ময়নাতদন্ত হয় লালনের। পুরো পর্বটি চলে ঘণ্টা দুয়েক ধরে। করা হয় ভিডিওগ্রাফিও। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে।

    প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের এক গ্রামে ধরা পড়ার পর রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল লালনকে। সোমবার সিবিআইয়ের সেই অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে পাওয়া যায় বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালনের (Lalan Skeikh) ঝুলন্ত দেহ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সিবিআই আধিকারিকরা তাঁদের বলেছিলেন, শেষ দেখা দেখে নিন। আর দেখতে পাবেন না! তাঁদের দাবি, লালনের শারীরিক অবস্থা ভাল ছিল না। তাঁকে ঠিক মতো জল ও খাবারও দেওয়া হচ্ছিল না। তাঁদের অভিযোগ, লালনকে খুন করা হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিবিআই।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Income Tax Free Slab: আয়করে ফ্রি স্ল্যাবের হার বেড়ে হতে পারে ৫ লক্ষ টাকা!

    Income Tax Free Slab: আয়করে ফ্রি স্ল্যাবের হার বেড়ে হতে পারে ৫ লক্ষ টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় নতুন বছরের বাজেট (Budget)। ফি বছরের মতো এবারও ১ ফেব্রুয়ারি পেশ হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। এবারও বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সদর দফতর নর্থব্লকে চলছে জোরকদমে প্রস্তুতিপর্ব। সূত্রের খবর, আসন্ন বাজেট অধিবেশনে ব্যক্তিগত আয়ে কর কাঠামোয় বড়সড় ছাড়ের (Income Tax Free Slab) কথা ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র। গত দু বছর আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমায় কোনও বদল করা হয়নি। ট্যাক্স স্ল্যাব বা করের হারে বদল করা হলেও, সেভাবে স্বস্তি পায়নি মধ্যবিত্ত। তবে এবার কেন্দ্র সেটাই করতে চলেছে।

    মুদ্রাস্ফীতি…

    বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনযাত্রার মান গিয়েছে বেড়ে। মুদ্রাস্ফীতির জন্যই এমনটা হয়েছে। অথচ করের বোঝা রয়ে গিয়েছে অপরিবর্তিত। সেই কারণেই কমানো হতে পারে ব্যক্তিগত আয়করের হার। ২০২০-২১ সালের বাজেটে কেন্দ্র যে কর ব্যবস্থা চালু করেছিল, সেই ব্যবস্থা অনুযায়ী, আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় পুরোপুরি করমুক্ত। আড়াই থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে কর দিতে হয় পাঁচ শতাংশ হারে। পাঁচ লক্ষ থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হয় ১০ শতাংশ হারে। সাড়ে সাত লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে কর দিতে হয় ১৫ শতাংশ হারে। ১০ থেকে সাড়ে ১২ লক্ষের ক্ষেত্রে কর দিতে হয় ২০ শতাংশ হারে। সাড়ে ১২ থেকে ১৫ লক্ষের ক্ষেত্রে কর দিতে হয় ২৫ শতাংশ হারে। আর ১৫ লক্ষের ওপরে দিতে হয় ৩০ শতাংশ হারে কর।

    আরও পড়ুন: ‘১ লাখ ২৫ হাজার কোটি কালো টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্র’, দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    সূত্রের খবর, কেন্দ্র এবার পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগারে পুরোপুরি করছাড় (Income Tax Free Slab) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর ফলে যাঁরা বার্ষিক পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেন তাঁরা কোনওরকম বিনিয়োগ না করলেও, করছাড় পাবেন। আর যাঁরা পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি রোজগার করেন, তাঁদেরও করযোগ্য আয় ধরে হবে মোট আয় থেকে ৫ লক্ষ টাকা বাদ দিয়ে। প্রসঙ্গত, আয়কর আইনের ৮০সি ও ৮০বি ধারায় বিনিয়োগ করলে আয়করে ভাল ছাড় মেলে। তবে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত হলে, এসব আর করতে হবে না। প্রসঙ্গত, গত মাসে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি প্রস্তাব দিয়েছিল আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোনও কর যাতে দিতে না হয়। আর আড়াই লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশের বদলে আড়াই শতাংশ হারে কর দেওয়ার প্রস্তাব দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • DA Case: সুপ্রিম কোর্টে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ডিএ মামলার, জয়ের আশায় সরকারি কর্মীরা

    DA Case: সুপ্রিম কোর্টে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ডিএ মামলার, জয়ের আশায় সরকারি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঞ্চ বদল হল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ডিএ মামলায় (DA Case)। এই মামলা গেল দুই বাঙালি বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এঁরা হলেন বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। বুধবার এঁদের বেঞ্চেই হবে ডিএ মামলার শুনানি। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চে চলছিল ডিএ মামলার শুনানি।

    বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত…  

    এক সময় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ছিলেন। পরে বদলি হয়ে যান বম্বে হাইকোর্টে। সোমবার তিনি শপথ নেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় গুয়াহাটি হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করতেন। পরে সেখানেই বিচারপতি নিযুক্ত হন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন একাধিক মামলায় দীপঙ্কর দত্ত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন। তাই, তাঁর এজলাসে ডিএ মামলার শুনানি হলে এই মামলায় তাঁরাই জয়ী হবেন বলে আশা সরকারি কর্মীদের।

    প্রসঙ্গত, গত সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি হওয়ার কথা ছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এর মধ্যে এই মামলায় সব পক্ষকে নিজেদের সংক্ষিপ্ত যুক্তি লিখিত আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী আদালতে থাকছেন না। তাই সুপ্রিম কোর্টের সাত নম্বর কোর্টে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ বসবে না। এই বেঞ্চে যে মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা ছিল, তা হবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: ‘দাতব্য স্বাগত, তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেদিন রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি বলেছিলেন, কলকাতা হাইকোর্ট যে হারে ডিএ দেওয়ার কথা বলছে, তা দেওয়ার সঙ্গতি নেই রাজ্যের।

    বুধবার যে বড় কিছু ঘটতে চলেছে, সে ব্যাপারে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার হাজরার সমাবেশেও তিনি বলেন, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল যখন রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার কথা বলছে, তখন সুপ্রিম কোর্টেও আশা করা যায় কর্মীদের জয় হবে। তিনি বলেন, বর্ধিত হারে ডিএ দিতেই হবে রাজ্যকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Indo China Clash: চিনা ড্রোনের আনাগোনা রুখতে ভারত আগেই উড়িয়েছিল যুদ্ধবিমান!

    Indo China Clash: চিনা ড্রোনের আনাগোনা রুখতে ভারত আগেই উড়িয়েছিল যুদ্ধবিমান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের ৯ তারিখে অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) তাওয়াং (Twang) সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাত বাঁধে চিন ও ভারতীয় সেনার (Indo China Clash) মধ্যে। সূত্রের খবর, চিন যাতে ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে না পারে, তাই নজরদারি চালাতে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে অরুণাচল প্রদেশে টহল দিচ্ছে বিমান। অবশ্য সংঘাত শুরুর আগে থেকেই আকাশে ওড়ানো হয়েছিল যুদ্ধবিমান। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এক সূত্র বলছে, গত কয়েক সপ্তাহে দু তিনবার আমাদের যুদ্ধবিমান ওড়ানো হয়েছিল। কারণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আমাদের ছাউনির দিকে এগিয়ে আসছিল চিনা ড্রোন। চিনা ড্রোন যাতে আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে না পারে, সেজন্য ওড়ানো হয়েছিল সুখোই ৩০ এমকেআই। প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগে পিএলএল-র তিনশো সেনা জওয়ান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে। তার পরেই সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের সেনা।

    চিনের ড্রোনের গতিবিধি…

    জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের ড্রোনের গতিবিধির ওপর লাগাতার নজর রেখে যাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, যদি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার সমান্তরালে কোনও ড্রোন ওড়ে, তাহলে ভারতের কোনও আপত্তি নেই। কোনও ড্রোন ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে এগিয়ে আসছে বলে র‌্যাডারে ধরা পড়লেই বায়ুসেনা পদক্ষেপ করে।

    আরও পড়ুন: চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, বললেন রাজনাথ

    সূত্রের খবর, অরুণাচল প্রদেশে চিন যাতে কোনওভাবে আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে না পারে, তাই সাম্প্রতিককালে এক সপ্তাহে দু থেকে তিনবার টহল দিতে হবে ফাইটার জেটগুলিকে। ভারতীয় বায়ুসেনা অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সম্প্রতি চিনা বিমানের কার্যকলাপ শনাক্ত করেছে। তাই বাড়তি সতর্কতা নিয়ে অরুণাচল প্রদেশের আকাশসীমায় টহল দিচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার জেটগুলি।

    আরও পড়ুন: তাওয়াং সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করল চিন! জবাব ভারতীয় সেনার

    এদিকে, চিন সীমান্তের বিষয়টি মাথায় রেখে উত্তরপূর্ব ভারতে বায়ুসেনার যথেষ্ট শক্তি বাড়িয়েছে। অসমের তেজপুর, ছাবুয়া-সহ একাধিক জায়গায় সুখোই ৩০ যুদ্ধবিমানের একাধিক স্কোয়াড্রন মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায় একাধিক রাফাল যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। যা ভারত-চিন সীমান্তের কাছেই অবস্থিত। ফলে প্রয়োজন হলে হাসিমারা থেকে রাফাল ওড়ানো হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rajnath Singh: চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যতদিন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, ততদিন দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও কেউ দখল করতে পারবে না। তাওয়াঙে (Tawang) ভারত-চিন সংঘর্ষ (Indo China Clash) নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন ভারতীয় সেনার অবদানকে কুর্নিশও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ৮-৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সেনাবাহিনী যে বীরত্ব দেখিয়েছে, তাকে স্যালুট জানাই। চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

    চিনা আগ্রাসন…

    এদিকে, অরুণাচল প্রদেশে চিনা আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে যে নিশানা করেছেন বিরোধীরা, এদিন তার জবাব দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তাঁর দাবি, ভারতীয় জওয়ানরা চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে। তাদের নিজেদের পোস্টেও ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সংসদে বলেন, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ের ঘটনা সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চাই। ৯ ডিসেম্বর, ২০২২-এ পিএলএ সৈন্যরা সীমান্তে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করে। আমাদের সেনাবাহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে তার মোকাবিলা করে। দু পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। আমাদের জওয়ানরা চিনা সেনাদের বাধা দেয় এবং তাদের পোস্টে ফেরত পাঠায়। তিনি বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীর কোনও জওয়ান নিহত বা আহত হয়নি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, এই ঘটনার পর স্থানীয় কমান্ডার ১১ ডিসেম্বর চিনের সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ঘটনাটি নিয়ে আলোচনাও করেন। চিনকে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: তাওয়াং সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করল চিন! জবাব ভারতীয় সেনার

    এদিকে, তাওয়াঙে ভারত-চিন সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানরাও। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, উভয় পক্ষের সংঘর্ষ নিয়ে খবর নেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সূত্রের খবর, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙ সেক্টরে গত ৯ ডিসেম্বর উভয় পক্ষের সংঘর্ষে চিনা বাহিনীকে কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। সংঘর্ষে ভারতীয় জওয়ানদের থেকে চিনা জওয়ানদের জখম হওয়ার সংখ্যা বেশি।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ানেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল চিনা সেনা ও ভারতীয় বাহিনী। ওই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসেও ওই একই এলাকায় ঢুকে পড়েছিল প্রচুর চিনা সেনা। সেই সময়ও দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share