Tag: Bengali news

Bengali news

  • Rajasthan: গেহলট পাইলট ঐক্য ‘রাজনৈতিক বিরতি’, কটাক্ষ বিজেপির

    Rajasthan: গেহলট পাইলট ঐক্য ‘রাজনৈতিক বিরতি’, কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত ‘সন্ধি’র পথে রাজস্থান (Rajasthan) কংগ্রেসের (Congress) বিবদমান দুই গোষ্ঠী। মঙ্গলবার রাতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কংগ্রেস হাইকমান্ডের দূত কেসি বেণুগোপালকে মাঝখানে রেখে হাত ধরাধরি করে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) ও প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট (Sachin Pilot)। এদিন দুজনেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, এখন রাহুল গান্ধীর ভারত জোড় যাত্রা সফল করাই আমাদের লক্ষ্য।

    ক্যামেরার সামনে…

    ওই রাতে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হওয়ার আগে বেণুগোপাল অশোক গেহলট ও শচিন পাইলট দুই নেতাকে নিয়ে করেন রুদ্ধদ্বার বৈঠক। তার পরেই আসেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। এবং পরে হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে ‘পোজ’ দেন তিনজনে। অশোক গেহলট এবং শচিন পাইলটের এই ঐক্য রাজনৈতিক বিরতি বলে কটাক্ষ করেছে রাজস্থান বিজেপি। পদ্ম শিবিরের মতে, দিন কয়েক পরেই কংগ্রেসের এই দুই নেতাকেই আবার একে অপরের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিতে দেখা যাবে।

    দিন কয়েক আগে সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে শচিন পাইলটকে গদ্দার বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন অশোক গেহলট। তার পরেই জল্পনা ছড়ায়, অশোককে সরিয়ে শচিনকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করা হচ্ছে। এর পরেই আসরে নামেন কংগ্রেস হাইকমান্ড। ইতি পড়ে বিদ্রোহে।

    আরও পড়ুন: গুজরাতসহ গোটা দেশকে ধ্বংস করেছে কংগ্রেস, প্রচার মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদি

    রাজস্থান (Rajasthan) কংগ্রেসের এই দুই নেতার ‘সন্ধি’ কতদিন স্থায়ী হবে, তা নিয়ে সন্দিহান রাজ্যবাসীও। বিজেপি বিধায়ক তথা মুখপাত্র রামলাল শর্মা বলেন, রাজ্যবাসীকে এটা বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে যে কংগ্রেসে সব কিছু ঠিকঠাক আছে। তবে আমি বিশ্বাস করি এটা একটা কিছু সময়ের জন্য রাজনৈতিক বিরতি মাত্র। তিনি বলেন, দিন কয়েক পরেই রাজ্যবাসী শুনতে পাবেন ‘নাকাড়া’, ‘নিকাম্মা’ এবং ‘গদ্দারে’র মতো শব্দ।   

    প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, শিয়রে গুজরাট নির্বাচন। চলছে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড় যাত্রা কর্মসূচি। দিন কয়েকের মধ্যেই এই যাত্রা গিয়ে পৌঁছবে রাজস্থানে (Rajasthan)। সেখানে থাকবে ১৩ দিন। কংগ্রেসের ওই সূত্রের খবর, এই দুই কারণে আপাতত ধামাচাপা দিয়ে রাখা হচ্ছে বিদ্রোহ। তবে অশোকের বদলে রাজ্যের ব্যাটন যে এবার শচিনের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, তা এক প্রকার ঠিক হয়ে রয়েছে। তবে কবে তা রূপায়িত হবে, তা জানা যায়নি। যেমন জানা যায়নি শচিনকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে নাকি কেবলই প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা হবে, তাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • India China: ভারত-চিন সম্পর্কে নাক গলাবেন না, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ড্রাগনের দেশের

    India China: ভারত-চিন সম্পর্কে নাক গলাবেন না, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ড্রাগনের দেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত চিন (India China) সম্পর্কের মধ্যে যেন নাক না গলান মার্কিন আধিকারিকরা। আমেরিকাকে এই মর্মে সতর্ক করেছে চিন (China)। মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসে (Congress) দেওয়া এক রিপোর্টে একথা জানিয়েছে পেন্টাগন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর ভারতের (India) সঙ্গে অচলাবস্থা কাটানোর চেষ্টা করেছিলেন চিনা আধিকারিকরা। সঙ্কটের তীব্রতাও কমিয়ে আনার চেষ্টাও  করেছিলেন তাঁরা। জোর দিয়েছিলেন সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক অন্যান্য ক্ষেত্র যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেই চেষ্টাও করেছিলেন তাঁরা।

    মার্কিন কংগ্রেসে যে রিপোর্ট…

    অতি সম্প্রতি পেন্টাগন মার্কিন কংগ্রেসে যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে ভারত চিন (India China) সীমান্তে কীভাবে উত্তেজনা কমানো যায়, তার চেষ্টা করছে চিন। কারণ ভারতের সঙ্গে ক্রমেই দৃঢ় হচ্ছে আমেরিকার বন্ধন। ওই রিপোর্টে তার পরেই বলা হয়েছে, চিনা আধিকারিকরা মার্কিন আধিকারিকদের এই মর্মে সতর্ক করে দিয়েছেন যে তাঁরা যেন ভারত চিন সম্পর্কে নাক না গলান।

    ভারত চিন (India China) সীমান্ত নিয়ে পেন্টাগন জানিয়েছে, গোটা ২০২১ সাল ধরে চিনা সৈনিকরা সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর তারা সেখানে পরিকাঠামোও গড়ে তুলেছে। সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে দুই দেশই চেষ্টাও চালিয়ে গিয়েছে বলে বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

    আরও পড়ুন: ডোকলামের কাছে এয়ারস্ট্রিপ গড়ছে চিন, কেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাস থেকেই লাদাখ সীমান্তে চিন তাদের সেনা সমাবেশ বাড়িয়েছে। সেই বছরই জুন মাসে ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। তার পরেও ওই এলাকায় চিনের সেনা ক্রমেই তাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছে। বিরোধী নেতাদের অভিযোগ, ভারতের একাধিক পোস্ট চিনা সেনার নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় ভারতীয় সেনাকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। এ নিয়ে দু দেশের মধ্যে বেশ কয়েকবার বৈঠক হলেও, সুরাহা হয়নি।

    লাদাখের পাশাপাশি অরুণাচল সীমান্তেও চিন সেতু, সড়ক সহ তৈরি করে পরিকাঠামো মজবুত করছে। আমেরিকা এনিয়ে ভারতকে সতর্কও করেছে একাধিকবার। আমেরিকা মনে করে, চিন যেভাবে ভারতের চারপাশে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে, তা নিরাপত্তার পক্ষে উদ্বেগের। পেন্টাগনের ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, ভারত চিন দুই দেশই অন্যের বাহিনী প্রত্যাহার এবং প্রাক-অচলাবস্থায় ফিরে আসার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু কোনও দেশই তাতে রাজি হয়নি। তাই জটও কাটেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TATA Sons: এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে ভিস্তারা, জানিয়ে দিল টাটা সন্স

    TATA Sons: এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে ভিস্তারা, জানিয়ে দিল টাটা সন্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ায় (Air India) মিশে যাচ্ছে ভিস্তারা (Vistara)। অন্তত এমনই ঘোষণা করা হল টাটা সন্সের (TATA Sons) পক্ষ থেকে। এয়ার ইন্ডিয়াকে ঘুরে দাঁড় করাতে নানা পরিকল্পনা করছে টাটা। তারই একটি হল ভিস্তারার সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়াকে মিশিয়ে দেওয়া। এনিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাবনাচিন্তা চলছিল। শেষমেশ তা রূপায়িত হতে চলেছে বলে ঘোষণাও করে দিল টাটা সন্স। এয়ার ইন্ডিয়ার ২১৮টি বিমান ভিস্তারার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর এটিই হবে শীর্ষ স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। শুধু তাই নয়, টাটার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ভিস্তারার সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়া মিশে গেলে এটি হবে ভারতের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ ক্যারিয়ার।

    এয়ার ইন্ডিয়া…

    জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে এয়ার ইন্ডিয়া বিনিয়োগ করবে ২ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। বেশিরভাগ শেয়ার থাকবে এয়ার ইন্ডিয়ার হাতেই। ভিস্তারার শেয়ার থাকবে ২৫.১ শতাংশ। টাটা সন্সের (TATA Sons) চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভিস্তারা এবং এয়ার ইন্ডিয়ার একীকরণ এয়ার ইন্ডিয়াকে বিশ্বমানের উড়ান সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমাদের যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তিনি বলেন, আমরা এয়ার ইন্ডিয়াকে বদলাচ্ছি। আমরা একটি শক্তিশালী এয়ার ইন্ডিয়া তৈরি করার সুযোগ নিয়ে উচ্ছ্বসিত। এটি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটে পূর্ণ এবং কম খরচে পরিষেবা দেবে। তিনি বলেন, টাটা সন্স ভারতের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত এবং সম্মানিত নাম। তিনি জানান, ২০১৩ সালে শুরু হয় ভিস্তারার যাত্রা। অল্প সময়ের মধ্যে অনেক প্রশংসা অর্জন করেছে এই উড়ান সংস্থা।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি নার্সিং নিয়োগেও! অভিযোগের তির মন্ত্রী অখিল গিরির ভাইঝির দিকে

    সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, ভিস্তারার সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার একীকরণের চুক্তি অনুযায়ী এয়ার ইন্ডিয়ার ২৫.১ শতাংশের মালিকানা পাবে সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স। এছাড়া লেনদেনের অংশ হিসেবে এয়ার ইন্ডিয়াতে ভারতীয় মুদ্রায় দু হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। তারা জানায়, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি অনুমোদন পেয়ে গেলে ২০১৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই দুই সংস্থার একীকরণ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই একীকরণের বিষয়টি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সও। তারা এও জানিয়েছে, এদিনই বোর্ডের তরফ থেকে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • TMC: ‘সরকারি মদ খান’, নিদান দিয়ে বিতর্কে তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    TMC: ‘সরকারি মদ খান’, নিদান দিয়ে বিতর্কে তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি যে মদ রয়েছে, সেই মদ তো খেতেই পারে, কিনে খেতেই পারে। এই কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি কোনও সাধারণ মানুষ নন, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। একজন বিধায়ক হয়ে কীভাবে রাজ্যবাসীকে মদ্যপানে উৎসাহিত করছেন, তা ভাবতেও পারছেন না এ রাজ্যের সিংহভাগ বিধায়ক (MLA)। স্থানীয় বাসিন্দারাও বুঝতে পারছেন না হুমায়ুন ঠিক কী বললেন!

    ‘চলো গ্রামে যাই’…

    রবিবার ছুটির দিনে নিজের বিধানসভা এলাকার হৈপথ গ্রামে সাইকেলে চড়ে ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচি পালন করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক হুমায়ুন। পথে এক জায়গায় তাঁকে ঘিরে ধরেন স্থানীয় মহিলারা। বিধায়ককে হাতের নাগালে পেয়ে উগরে দেন ক্ষোভ। এলাকায় মদের রমরমা কারবার বলেও অভিযোগ জানান তাঁরা। মদ কারবারিদের বাড়বাড়ন্তের জেরে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁরা, কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার অর্থনীতি, তাও জানান ওই মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ থেকে আবগারি দফতর কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এর জেরেই মাস কয়েক আগে প্রাণ গিয়েছে বছর চৌত্রিশের এক যুবকের।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    এর পরেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) হুমায়ুন বলেন, প্রতিদিন মদ খাওয়ার ফলে এলাকায় বছর চৌত্রিশের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে খালি পেটে মদ খায় এবং সেই কারণে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আর তার জেরে অসুস্থ হয়ে অনেকেরই মৃত্যু হয়। এখানে বেআইনি মদের ঠেক বন্ধ করার জন্য আমি থানার বড়বাবুকে বলেছি। যাতে বেআইনি মদ বিক্রি এখানে বন্ধ করা হয়। তিনি বলেন, দেশি মদ যেটা বিক্রি হয়, সেটা দোকান থেকে এনে খাচ্ছে কিনা, তা দেখতে হবে। বেআইনি মদ থাকলে ওটা আবগারি দফতরের গাফিলতি। সরকারি মদ যেটা আছে, ওটা কিনে এনে খেতেই পারে। ডেবরার বিধায়ক বলেন, এদের সচেতন হতে হবে। মদ খেলেও একটা পরিমাণ মতো খেতে হবে। তিনি বলেন, কেউ যদি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মদ খায়, তাহলে তো লিভারের সমস্যা হবেই। সপ্তাহখানেক আগেই বিডিও, এসডিওর চেয়ারের গদি কেড়ে নেওয়ার দাবি করেছিলেন হুমায়ুন। এবার রাজ্যবাসীকে করলেন মদ খাওয়ায় উৎসাহিত। রাজ্যের একজন প্রাক্তন মন্ত্রী কীভাবে একথা বললেন, তা ভাবতে পারছেন না এ রাজ্যের শিক্ষিত সমাজও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • New Market: হকারদের দখলে নিউ মার্কেটের তিন ভাগ রাস্তাই?

    New Market: হকারদের দখলে নিউ মার্কেটের তিন ভাগ রাস্তাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ মার্কেট (New Market) এলাকার কয়েকটি রাস্তার চার ভাগের তিন ভাগ অংশ দখল হয়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন দেবাশিস কুমার টাউন ভেন্ডিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার নিউ মার্কেট এলাকা পরিদর্শন করেন হকার (Hawker) পুনর্বাসন বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। এদিন নিউ মার্কেট চত্বর জুড়ে হকারদের জন্য তৈরি সমস্যা নিয়ে সমীক্ষার কাজও করেন তিনি। দেবাশিসের সঙ্গে ছিলেন টাউন ভেন্ডিং কমিটির সদস্য এবং নিউ মার্কেট থানার পুলিশ আধিকারিকরা। কলকাতা পুরসভার সামনে থেকে এস এস হগ মার্কেট পর্যন্ত পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন টাউন ভেন্ডিং কমিটির সদস্যরা। পুর সেক্রেটারি হরিহর প্রসাদ মণ্ডল এবং নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন দেবাশিস।

    পার্কিং লট…

    নিউ মার্কেট (New Market) এলাকায় রয়েছে বার্ট্রাম স্ট্রিট। এখানেই রয়েছে পার্কিং লট। এই রাস্তার পার্কিং লটের প্রায় পুরোটাই দখল করে ফেলেছেন হকাররা। এই সব হাকারের এই ব্যবসা ছাড়াও চার-পাঁচটি সারিতে ব্যবসা রয়েছে। দেবাশিস কার পার্কিং দফতরের চার্জেও রয়েছেন। পার্কিং লটের দুরাবস্থা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। ডেকে পাঠান পার্কিং অ্যাটেনডেন্টকে। কথা বলেন তাঁর সঙ্গেও। নিউ মার্কেট প্রথম সারির হেরিটেজ মার্কেট। এদিন যে সব এলাকায় সমীক্ষার কাজ হয়, সেগুলি হল বার্ট্রাম স্ট্রিট, হুমায়ুন প্লেস, লিন্ডসে স্ট্রিট এবং জওহরলাল নেহরু রোড।

    আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    নিউ মার্কেট (New Market) চত্বর পরিদর্শনের পর দেবাশিস কথা বলেন হকারদের প্রতিনিধির সঙ্গে। হকারদের রাস্তা দখলের বিষয়ে তাঁকে অবহিত করেন। পুরসভার এ সংক্রান্ত নিয়ম কানুনের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তাঁকে। প্রথম সারির হেরিটেজ মার্কেট চত্বর পরিদর্শন শেষে এদিন দেবাশিস বলেন, গাড়ি চলার রাস্তা এবং ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছেন একদল হকার। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, আমি এটাও লক্ষ্য করলাম যে কার পার্কিংয়ের জায়গাটাও ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। আমরা টাউন ভেন্ডিং কমিটিকে এই রিপোর্ট দেব। কমিটির পরবর্তী মিটিংয়ে এটা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনাও করব।

    আরও পড়ুন: জি-২০ শীর্ষ সম্মলেন ভারতের নেতৃত্ব দেওয়াটা একটা সুযোগ, গর্বের মুহূর্ত, বললেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Satyendra Jain: জেল সুপারের সঙ্গে খোশ গল্প করছেন আপের বন্দি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র?

    Satyendra Jain: জেল সুপারের সঙ্গে খোশ গল্প করছেন আপের বন্দি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলের কুঠুরির মধ্যে বসে ম্যাসেজ নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দেখা গিয়েছে বাইরে থেকে আনা খাবার খেতেও। এবার তাঁকে দেখা গেল জেল আধিকারিকদের সঙ্গে বসে খোশগল্প করতে। তিনি সত্যন্দ্র জৈন (Satyendra Jain)। দিল্লির আম আদমি পার্টি (AAP) সরকারের মন্ত্রী। তিহার জেলের এই ভিডিও প্রক্যাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রসঙ্গত, আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আম আদমি পার্টি সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে।

    ভাইরাল ভিডিও…

    সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও ফুটেজটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি ১২ সেপ্টেম্বরের। ঘটনাটি রাত আটটা নাগাদ ঘটেছে। মিনিট দশেকের ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, তিহার জেলের সাত নম্বর কুঠুরিতে বন্দি আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র (Satyendra Jain) তিন ব্যক্তির সঙ্গে খোশ মেজাজে গল্প করছেন। এর কিছুক্ষণ পরে সত্যন্দ্রর কাছে আসতে দেখা যায় তিহার জেলের সুপার অজিত কুমারকে। সুপার সত্যন্দ্রর কুঠুরিতে ঢুকতেই বেরিয়ে যেতে দেখা যায় বাকিদের। এর আগে সত্যেন্দ্রর আরও একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছিল। সেটি ১৯ নভেম্বরের। ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, সত্যেন্দ্রর পা মালিশ করছেন এক ব্যক্তি। ধোপদুরস্ত বিছানায় আয়েশ করে বসে রয়েছেন আপ সরকারের মন্ত্রী। আর তাঁর বিছানায় বসে তাঁর পা মালিশ করে দিচ্ছেন ওই ব্যক্তি।

    আরও পড়ুন: দিল্লি পুরভোটের টিকিট মেলেনি, বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে আত্মহত্যার হুমকি আপ নেতার

    এই দুই ভিডিওর মাঝে আসে আরও একটি ভিডিও ফুটেজ। সেটি ২৩ নভেম্বরের। তাতে দেখা যায়, তিহার জেলের ছোট্ট কুঠুরিতে বসেই ফল, স্যালাড খাচ্ছেন আপ সরকারের বন্দি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র (Satyendra Jain)। প্লাস্টিকের একটি বাক্স থেকে খাবারও খেতে দেখা যায় তাঁকে। সত্যেন্দ্রর ফোনে মেসেজ আসতেও দেখা গিয়েছিল আগেই। কোনও এক সঙ্গীর সঙ্গে চ্যাট করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ সবের কোনওটাই জেলের ভিতরে করা যায় না।

    সত্যেন্দ্রর (Satyendra Jain) পা মালিশের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই সাফাই গাইতে শুরু করে আপ। তারা জানায়, সত্যেন্দ্রর ফিজিওথেরাপি হচ্ছিল। যদিও পরে জানা যায়, যিনি সত্যেন্দ্রর পা মালিশ করছিলেন, তিনি আদতে কোনও ফিজিওথেরাপিস্টই নন। তিনি ধর্ষণে অভিযুক্ত। নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বন্দি রয়েছেন তিহার জেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Doklam: ডোকলামের কাছে এয়ারস্ট্রিপ গড়ছে চিন, কেন জানেন?

    Doklam: ডোকলামের কাছে এয়ারস্ট্রিপ গড়ছে চিন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে ডোকলাম (Doklam)! নেপথ্যে সেই ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিন। ডোকলামের কাছে ভারত-তিব্বত-ভুটানের ট্রাই জংশন এলাকায় প্রচুর পরিমাণ পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে ড্রাগনের দেশ। জানা গিয়েছে, শি জিনপিংয়ের দেশ ওই এলাকায় একটি এয়ারস্ট্রিপও তৈরি করছে। ঘটনার জেরে ফের একবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ভারত (India)-চিন (China) সীমান্তে।

    ডোকলাম…

    যদিও ডোকলাম প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অংশ নয়, তবুও ভুটানের (Bhutan) সঙ্গে এই এলাকার সরাসরি সীমান্ত রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবেই এই এলাকায় ড্রাগনের দেশ পরিকাঠামো গড়ে তোলায় ক্ষুব্ধ ভারত। এক সিনিয়র নিরাপত্তা আধিকারিক বলেন, চিন প্রথমে ওই এলাকায় গ্রাম গড়ল। ওই জায়গায় বসতি গড়ে তুলতে লোকজন আনল। অথচ এক সময় এই এলাকায় কোনও বসতি ছিল না। এখন ভারত-তিব্বত-ভুটানের ট্রাই জংশন এলাকায় প্রচুর মানুষের বসতি গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, আমরা এটাও দেখেছি, ওই এলাকায় একটি এয়ারস্ট্রিপ গড়ে তোলার কাজও চলছে। ডোকলাম (Doklam) থেকে ওই এলাকার দূরত্ব সামান্যই। যদিও তিনি বলেননি ঠিক কতদূরে ওই এয়ারস্ট্রিপ গড়ে তুলছে চিন। ওই নিরাপত্তা আধিকারিক বলেন, এটা আমরা গোয়েন্দা সূত্রে জেনেছি। তিনি বলেন, এক কিলোমিটার হতে পারে কিংবা তারও কিছু কম।

    আরও পড়ুন: “সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে মূল্য চোকাতেই হবে”, নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

    ডোকলামে (Doklam) যে চিন পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে, তা স্বীকারও করেছেন এক চিনা আধিকারিক। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই যে ওই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, একটা অংশ গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের ‘ভূখণ্ডে’। তিনি এও জানান, শি জিনপিংয়ে বিকাশ নীতি রূপায়ণ করতেই এসব করা হচ্ছে। চাইনিজ স্টেট কাউন্সিলের ডেপুটি ডিরেক্টর লি জিয়াওজুনও সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, একই সময়ে আমি মেনে নিচ্ছি, এই সমস্ত পরিকাঠামো ব্যবহার করা হতে পারে মিলিটারি পারপাসে।

    ডোকলামে (Doklam) চিনের এই উদ্যোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। তবে তাতে বিশেষ কাজ হয়নি, তার প্রমাণ চিনের ক্রমাগত পরিকাঠামো তৈরির কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। লি বলেন, গত দশ বছর ধরে ওই এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। তিনি বলেন, এটা আমাদের দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচির অংশ। তবে আমি এও স্বীকার করি, এর উদ্দেশ্য দুটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Ravindra Jadeja Wife: রবীন্দ্র জাদেজা আমার জীবনে বুস্টার ডোজের মতো, কেন বললেন রিভাবা?  

    Ravindra Jadeja Wife: রবীন্দ্র জাদেজা আমার জীবনে বুস্টার ডোজের মতো, কেন বললেন রিভাবা?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্র জাদেজা আমার জীবনে বুস্টার ডোজের মতো। উনি আমাকে রাজনীতিতে আসাতেও সমর্থন করেছেন। সম্প্রতি একথা বললেন রিভাবা জাদেজা। গুজরাটের (Gujarat) জামনগর উত্তর কেন্দ্রে এবার বিজেপির তুরুপের তাস রিভাবা। তিনি রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী (Ravindra Jadeja Wife)। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জাদেজা সম্পর্কে একথা বলেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী।  

    গুজরাট নির্বাচন…

    ডিসেম্বরে দু দফায় হবে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ডিসেম্বরের ১ তারিখে। পরের দফার ভোট হবে ওই মাসেরই ৫ তারিখে। দু দফায় ভোট হবে গুজরাট বিধানসভার ১৮২টি আসনেই। দিন কয়েক আগে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে গেরুয়া শিবির। সেখানেই দেখা যায় জামনগর উত্তর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন জাদেজা ঘরণী। ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন রিভাবা। এবার তাঁকে টিকিট দিয়েছেন পদ্ম নেতৃত্ব।

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রিভাবা (Ravindra Jadeja Wife) বলেন, আমার স্বামী আমার কাছে বুস্টার ডোজের মতো। তিনি আমাকে সব সময় মোটিভেট করেন। তিনি আমাকে সব সময় সামনে এগিয়ে চলতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, বিয়ে মানে হল স্বামী-স্ত্রী সব সময় একে অপরের পাশে থাকবেন। কথায় বলে, প্রতিটি সফল পুরুষের পিছনে থাকেন এক নারী। জাদেজা ঘরণী বলেন, একইভাবে প্রতিটি সফল নারীর পিছনে থাকেন তাঁর স্বামী এবং ভাই।

    আরও পড়ুন:অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে কমিটি, সিদ্ধান্ত নিল গুজরাট সরকার

    রিভাবা (Ravindra Jadeja Wife) বলেন, এটা আমার কাছে একটি আবেগঘন মুহুর্ত, যখন আমি নমিনেশন ফাইল করতে গিয়েছি, আর পাশে রয়েছেন আমার স্বামী। তিনি বলেন, আমি অন্য দম্পতিদের বলতে চাই যে কোনও নারী তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন বিয়ের পরেও, যদি স্বামীরা তাঁদের নিরন্তর সমর্থন জোগান।

    এদিকে, মঙ্গলবার স্ত্রী রিভাবার সমর্থনে গুজরাটের জামনগর শহরে বিজেপি আয়োজিত এক রোড শোয়ে যোগ দেন ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজা। ক্রিকেটার এবং তাঁর রাজনীতিক স্ত্রীকে দেখতে রাস্তার দুপাশে নামে মানুষের ঢল। বিজেপি আয়োজিত এই রোড শোয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জাদেজার বহু সমর্থক এবং ফ্যানরাও। রোড শো চলাকালীন অটোগ্রাফ দিতেও দেখা গিয়েছে জাদেজাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু-সুকান্তরা, কেন?

    Suvendu Adhikari: রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু-সুকান্তরা, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তবে পছন্দ হয়নি সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট। তাই নয়া রাজ্যপালের (Governor) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না শুভেন্দু। ওই অনুষ্ঠানে বসার ব্যবস্থা হয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশে। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)।  

    নেপথ্য কাহিনি…

    প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর অস্থায়ী রাজ্যপালের পদে বসেন লা গণেশন। সেবার আমন্ত্রণই জানানো হয়নি শুভেন্দুকে। মঙ্গলবার বিধানসভায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্য সরকারের তরফে অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দেখা যাক, এবার আমন্ত্রণ পাই কিনা। এরই কিছুক্ষণের মধ্যেই বিরোধী দলনেতার কাছে পৌঁছয় রাজভবনে নয়া রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র। এই অনুষ্ঠানেই যাচ্ছেন না শুভেন্দু। কেন যাচ্ছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা? এর উত্তর শুভেন্দু দিয়েছেন ট্যুইট বার্তায়। নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি শুভেন্দু লিখেছেন সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের নির্দেশে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তথ্য সংস্কৃতি দফতর। এই দফতরের কাজকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)) ‘অসাংস্কৃতিক আচরণ’ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ, শুভেন্দুর বসার ব্যবস্থা হয়েছে দুই দলবদলু কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বিশ্বজিৎ দাসের পাশে। কৃষ্ণ এবং বিশ্বজিৎ দুজনেই বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরতে ভিড়েছেন তৃণমূলে গিয়ে। তাঁদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই দুই দলবদলুর পাশে বসার আসন হওয়ায় ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। রাজ্য সরকারের এই আচরণকে ‘অসৌজন্যের রাজনীতি’ বলে অন্য একটি ট্যুইটে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, ১৯৫৬ ভোটে নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়া এখনও দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করে বেড়াচ্ছে ‘কম্পার্টমেন্টাল’ মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই হিংসা করে তিনি এভাবে সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছেন। শুভেন্দুর মতে, বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কারের বদলে তাঁকে (মুখ্যমন্ত্রীকে) দেওয়া উচিত প্রতিহিংসাপরায়ণ পুরস্কার। মুখ্যমন্ত্রীকে হতভাগ্য রাজনীতিবিদ বলেও উল্লেখ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর পরেই শুভেন্দু লিখেছেন, আমার পক্ষে এই অনুষ্ঠানে যাওয়া সম্ভব নয়। রাজ্যপাল যদি তাঁকে আলাদা করে সময় দেন, এবং সেটা যদি আজই হয়, তাহলে ভাল হয় বলেও জানান শুভেন্দু। কোন প্রটোকল মেনে বিশ্বজিৎ দাস ও কৃষ্ণকল্যাণীকে রাজভবনে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে? প্রশ্ন শুভেন্দুর। এদিকে, শুভেন্দুকে দুই দলবদলুর পাশে ঠাঁই দেওয়া হলেও, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাংসদ হলেও তাঁকে আসন দেওয়া হয়েছে তৃণমূল সাংসদের পিছনে। তাই অনুষ্ঠানে যাননি তিনি।  

     

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CBI: দেড়শো দিন হয়ে গেল এখনও তদন্ত শেষ হয়নি কেন? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারকের

    CBI: দেড়শো দিন হয়ে গেল এখনও তদন্ত শেষ হয়নি কেন? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শ্লথ গতিতে তদন্তের জন্য সিবিআইকে (CBI) ভর্ৎসনা করলেন বিচারক। দেড়শো দিন হয়ে গেলেও, সময়ে কেন তদন্ত শেষ করতে পারছে না সিবিআই, সে প্রশ্নও করেন আলিপুর আদালতের বিচারক (Judge)।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়…

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য সহ সাতজন। বুধবার তাঁদের ফের তোলা হয় আলিপুর আদালতে। ধৃতেরা প্রত্যেকেই এদিন জামিনের আবেদন করেন। এদিন শুনানি পর্বে বিচারক সিবিআইকে (CBI) প্রশ্ন করেন, পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের কথা বলে জামিন না দেওয়ার আবেদন করছেন, এমন আইন কি কোথাও আছে? উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, যাতে কেউ প্রভাব খাটাতে না পারেন, সেটাই চাইছি। আদালত জানতে চায়, কেন আপনারা আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের হেফাজত চাইছেন? এরপর সিবিআইয়ের পাল্টা অভিযোগ, যাঁদের প্রশ্ন করা হচ্ছে, যাঁরা আসছেন, তাঁদের ওপর প্রভাব খাটানো হচ্ছে।

    এদিন এস পি সিনহার আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, সিবিআই (CBI) যে চার্জশিট পেশ করেছে, সেটা তো তদন্ত শেষ করেই পেশ করার কথা, তাহলে আবার তদন্ত চলছে দাবি করে হেফাজতে রাখা হবে কেন? একথা পরস্পর বিরোধী। এভাবে কতদিন হেফাজত চাইবে সিবিআই, সে প্রশ্ন আদালতে করেন এস পি সিনহার আইনজীবী। তিনি বলেন, যতদিন ওঁকে হেফাজতে রাখা হয়েছে, সেটা বিবেচনা করা হোক। তিনি এও বলেন, এস পি সিনহার বয়স ৭০ বছর। এভাবে থাকলে তিনি আর কতদিন বাঁচবেন, সেই প্রশ্নও করেন তিনি। অন্য সব অভিযুক্তের আইনজীবীর মতো জামিনের আবেদন করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীও। প্রয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করুক আদালত, এমন আবেদনও জানান পার্থর আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    এর পর সিবিআইয়ের (CBI) শ্লথ গতিতে তদন্তের প্রসঙ্গ টেনে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বাকি আইনজীবীদের মতো সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবীও। তিনি জানান, যতবার সিবিআই তাঁকে ডেকেছিল, ততবার তিনি গিয়েছেন। কিন্তু কী এমন হল যে, তারা বারবার তাঁকে হেফাজতে চাইছেন। এর পরেই দেড়শো দিন হয়ে গেলেও, সময়ে কেন তদন্ত শেষ করতে পারছে না সিবিআই, সে প্রশ্ন করেন আলিপুর আদালতের বিচারক। অভিযুক্ত সাতজনকেই ফের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share