Tag: Bengali news

Bengali news

  • ADB: মোদি জমানায় ঊর্ধ্বমুখী ভারতের অর্থনীতি, প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৭.২ শতাংশ করল এডিবি

    ADB: মোদি জমানায় ঊর্ধ্বমুখী ভারতের অর্থনীতি, প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৭.২ শতাংশ করল এডিবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায় যে ভারতের অর্থনীতির লেখচিত্র ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী, তার ইঙ্গিত মিলেছে দেশ-বিদেশের নানা রিপোর্টে। এবার নয়া আশার বাণী শোনাল এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক বা এডিবি (ADB)। সংস্থাটি ২০২৬ সালের জন্য ভারতের প্রবৃদ্ধির (India’s Growth) পূর্বাভাস ৬.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করেছে ৭.২ শতাংশ। সাম্প্রতিক কর ছাড়ের ফলে ঘরোয়া চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়ই এই উন্নীত পূর্বাভাসের মূল কারণ হিসেবে দেখেছে এই ব্যাঙ্ক। এই সংশোধন এশিয়া অঞ্চলের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসেও ইতিবাচক অবদান রাখছে। ২০২৫ সালের আঞ্চলিক পূর্বাভাস ৪.৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫.১ শতাংশ। ব্যাঙ্কটি জানিয়েছে, সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎপাদন ও সেবা খাতে শক্তিশালী সম্প্রসারণ এবং চাহিদার ক্ষেত্রে ভোগ ও বিনিয়োগের সুস্থ সমন্বয় দেশের প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে, তাদের ২০২৭ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৫ শতাংশেই রয়ে গিয়েছে।

    এডিবির রিপোর্ট (ADB)

    এডিবির সদ্য প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (ডিসেম্বর ২০২৫) অনুযায়ী, “ভারতের ২০২৫ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৭.২ শতাংশ করা হয়েছে। কারণ কর কমানোর ফলে ভোক্তা ব্যয় বাড়ায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে প্রবৃদ্ধি আরও শক্তিশালী হয়েছে।” জুলাই–সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে অর্থনীতি ৮.২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত ছয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে দ্রুততম এবং আগের ত্রৈমাসিকের ৭.৮ শতাংশের তুলনায় বেশি। দু’টি ত্রৈমাসিক মিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষের প্রথমার্ধেই ভারত ইতিমধ্যেই ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করে ফেলেছে।

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া

    চলতি মাসের শুরুর দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও তাদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৩ শতাংশ করেছে। এটি দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের আশাতীত শক্তিশালী প্রবৃদ্ধিকে প্রতিফলিত করে। তবুও তারা বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সামান্য মন্থরের আশঙ্কা করছে। কারণ সরকারি মূলধনি ব্যয় কমবে এবং আমেরিকার চড়া শুল্ক নির্দিষ্ট রফতানি খাতে চাপ সৃষ্টি করবে। তাদের আশা, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৬.৫ শতাংশ হবে।

    প্রত্যাশার চেয়েও বেশি প্রবৃদ্ধি

    এডিবি আরও উল্লেখ করেছে যে, “তৃতীয় ত্রৈমাসিকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধির পর ভারতের ২০২৫ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস (ADB) ০.৭ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭.২ শতাংশ করা হয়েছে, যা মূলত সাম্প্রতিক কর কমানোর ফলে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ ভোগ বৃদ্ধির দ্বারা চালিত।” প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ঝুঁকি মোটের ওপর সামঞ্জস্যপূর্ণ রয়ে গিয়েছে। বলা হয়েছে, “ঝুঁকি সামঞ্জস্যপূর্ণ রয়েছে, যেখানে বাণিজ্য উত্তেজনা তীব্র হলে এবং আবহাওয়া-সংক্রান্ত ধাক্কা এলে নিম্নমুখী ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে, আর যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় ভারতের জন্য শুল্ক হার কমে, তবে প্রবৃদ্ধি আরও বাড়ার সুযোগ তৈরি হতে পারে (India’s Growth)।”

    মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাসও কমানো হয়েছে। ২০২৬ সালের অনুমান ৩.১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২.৬ শতাংশ করা হয়েছে। কারণ এতে অবদান রয়েছে অনুকূল বর্ষা, শক্তিশালী কৃষি উৎপাদন এবং জিএসটি হার সমন্বয়ের প্রভাবের। যদিও শাক-সবজি ও ডালের দাম কমায় সাম্প্রতিক সময়ে হেডলাইন-ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি নেমে এসেছে। এডিবি এই বলে সতর্ক করেছে যে, ২০২৭ সালের শুরুর দিকে বেস এফেক্ট ক্ষীণ হয়ে এলে এই প্রবণতা ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারে (ADB)।

  • Bangladesh Election: বাংলাদেশে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষিত, “অবৈধ সরকারের অবৈধ নির্বাচন”, ইউনূসকে আক্রমণ হাসিনার দলের

    Bangladesh Election: বাংলাদেশে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষিত, “অবৈধ সরকারের অবৈধ নির্বাচন”, ইউনূসকে আক্রমণ হাসিনার দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনেই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের (Bangladesh Election) ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হবে। তাই ইউনূসের ইচ্ছানুসারেই ঘোষণা হল নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। তবে এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বাংলাদেশ আওয়ামি লিগ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসিরুদ্দিন ঘোষণা করেছেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একসঙ্গে জাতীয় সংসদের নির্বাচন এবং জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট হবে। একই ভাবে নিষিদ্ধ করা আওয়ামি লিগ অংশ নিতে পারেব না বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দল এক বিবৃতি দিয়ে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রত্যাখান করার কথা ঘোষণা করেছে।

    জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট (Bangladesh Election)

    বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশন এএমএম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বলেছেন, “আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে হবে গণভোট। এক দফাতেই আয়োজন হবে নির্বাচনের। এদিন নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন, ১২ ফেব্রুয়ারি নেওয়া হবে ভোট। সকাল সাতটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। নির্বাচনকে ঘিরে মনোনয়নের তারিখও জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন দাখিল পর্ব চলবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। কোনও প্রার্থীর মনোনয়ন গৃহীত হলে, কোনও প্রার্থীর প্রত্যহার হলে সেই তালিকা দেওয়া হবে ২০ জানুয়ারি। এরপর ২১ তারিখ দেওয়া হবে প্রতীক দেওয়ার কাজ। ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ভোট প্রচারের কাজ। তবে এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের দিনেই ঘোষণা হবে গণভোট। এটাও একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। একদিকে নির্বাচনের (Bangladesh) জন্য থাকবে সাদা ব্যালট ওপর দিকে গণভোটের জন্য থাকবে গোলাপি ব্যালট।

    ‘‘খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গ্যাংয়ের অবৈধ নির্বাচন’’

    ইউনূস সরকারের আমলে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামি লিগ একটি লিখিত বিবৃতি আকারে জানিয়েছে, “বাংলাদেশ (Bangladesh) আওয়ামি লিগ গভীর ভাবে অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গ্যাংয়ের অবৈধ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল পর্যবেক্ষণ করেছে। এটা সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত যে, বর্তমান দখলদার বাহিনী শতভাগ পক্ষপাতদুষ্ট এবং তাদের অধীনে সুষ্ঠ-স্বাভাবিক পরিবেশ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে জনগণের মতমতের প্রতিফলন অসম্ভব। হাসিনার দলের অবশ্য দাবি, নির্বাচনে রাজনৈতিক ভাবেই লড়াই আর জনপ্রিয়তাই দলের মাপকাঠি। আওয়ামি লিগ দল নির্বাচনমুখী দল, জনগণের সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর মতো শক্তি কোনও দলেরই নেই। আওয়ামি লিগের শক্তি, সাহস এবং সামর্থ রক্ষায় বিশেষভাবে সক্ষম। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে আমরা এখনও পর্যন্ত ১৩টি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছি তাঁর মধ্যে ৯টিতে ব্যাপক ভাবে জয়ী হয়েছে।

    রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি চাই

    অন্তর্বর্তী সরকারে গভীর চক্রান্তে বাংলাদেশের (Bangladesh) নির্বাচন এখন একটি প্রহসনে পরিণত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সহমর্মতা রয়েছে এমন রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর একটা বড় অংশকে ষড়যন্ত্র করে বাইরে রাখা হয়েছে। সমগ্র দেশ এবং জাতিকে একটা সঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তাই হাসিনার দলের দাবি, বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের উপর আরোপিত সকল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা-সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি চাই। বর্তমান বর্ণচোরা দখলদার সরকার বাদ দিয়ে নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

    ইউনূসের প্রতিক্রিয়া

    অপর দিকে নির্বাচন এবং গণভোট ঘোষণার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “এই নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করল। ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ এখন যে নতুন পথে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশের (Bangladesh) গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। এই তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করবে। আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে স্বাধীনভাবে, নিরপেক্ষভাবে এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে।”

  • India’s Desi GPS: দেশীয় জিপিএস ‘নাবিক’ তৈরি করেছে ভারত, কোথায় ব্যবহার হচ্ছে জানেন?

    India’s Desi GPS: দেশীয় জিপিএস ‘নাবিক’ তৈরি করেছে ভারত, কোথায় ব্যবহার হচ্ছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে এখন দেশীয় উৎপাদনে বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে। তারই একটি উদাহরণ হল স্বদেশীয় জিপিএস সিস্টেম— নেভিগেশন থ্রু ইন্ডিয়ান কনস্টিলেশন বা ‘নাবিক’ (India’s Desi GPS), যা তৈরি করেছে ভারতের তুখোড় প্রযুক্তিবিদরা। এই অত্যাধুনিক জিপিএস সিস্টেম এখন ১৫ লক্ষ গাড়ি থেকে শুরু করে ১০ হাজার ট্রেনে, ৩০ হাজারের বেশি মাছ ধরার ট্রলারে, ৬০টির বেশি স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হচ্ছে। গবেষকরা মনে করছেন, এই প্রযুক্তি বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে আরও একধাপ।

    মহাকাশ বিভাগ সম্প্রসারিত করেছে (India’s Desi GPS)

    লোকসভায় এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, “মহাকাশ বিভাগ দেশব্যাপী নাবিক (India’s Desi GPS) প্রযুক্তির ব্যবহারকে সম্প্রসারিত করছে। নাবিকক ব্যবহারে করা হচ্ছে একাধিক কর্মকাণ্ড। এই সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে পাইলট প্রকল্প, ভারতীয় শিল্পে প্রযুক্তি স্থানান্তর, প্রযুক্তির ব্যবহারিক প্রয়োগ এবং পরীক্ষামূলক সহায়তা। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এখন ডিওএস বা মহাকাশ বিভাগ কাজ করে চলেছে। ধারাবাহিক, নিরবচ্ছিন্ন এবং পণ্য পরিবহণকে সরল এবং সহজ করতে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। এই জন্য নাবিককে অত্যাধুনিক ভাবে তৈরি করা হয়েছে। গ্লোবাল পজিশন সেট করতে বিরাট ভূমিকা পালন করবে দেশীয় উৎপাদন নাবিক।”

    পিএনটি অ্যাপ্লিকেশন নাবিকের

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, “জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নাবিককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার নির্মিত ৬০টির বেশি অতিরিক্ত স্মার্ট মোবাইলে নাবিককে যুক্ত করা হয়েছে। এই নাবিককে ব্যবহার করে যে যে ক্ষেত্রে কাজ করা যাবে তাঁর মধ্যে হল ১> রিয়েল টাইম ট্রেন ট্র্যাকিং (India’s Desi GPS)। এখানে ১০ হাজারের বেশি ট্রেনে নাবিক ট্র্যাকিং ডিভাইস রয়েছে। ২> মাছ ধরার ট্রলার ট্র্যাকিং, যেখানে ৩০ হাজারের বেশি জাহাজে নাবিক ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। পাবলিক এবং বাণিজ্যিক যানবাহন পরিচালনায় ট্র্যাকিং যেখানে ১৫ লক্ষের বেশি গাড়িতে স্থাপন করা হয়েছে নাবিক।” তবে সরকার ভারতীয় স্মার্টফোন বা ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিগুলির তৈরি ডিভাইসগুলিতে নাবিকের ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত করেছে। তবে নাবিককে এখনও বাধ্যতামূলক করা হয়নি। পজিশন, নেভিগেশন এবং টাইমিং অর্থাৎ পিএনটি অ্যাপ্লিকেশনের জন্য নাবিকের অসামরিক সিগন্যালগুলি অবাধে ব্যবহার করতে সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

  • Ramakrishna 531: “পঙ্কে বদ্ধ কর করী, পঙ্গুরে লঙ্ঘাও গিরি..কারে দাও মা! ব্রহ্মপদ, কারে কর অধোগামী”

    Ramakrishna 531: “পঙ্কে বদ্ধ কর করী, পঙ্গুরে লঙ্ঘাও গিরি..কারে দাও মা! ব্রহ্মপদ, কারে কর অধোগামী”

    ৫০ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতা নগরে ভক্তমন্দিরে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ২৮শে জুলাই
    শ্রীযুক্ত নন্দ বসুর বাটীতে শুভাগমন

    চৈতন্যলাভ ভোগান্তে—না তাঁর কৃপায় 

    “তবে ওকথা বলতে পার তুমি। তোমার নাকি ভোগ করবার ইচ্ছা আছে, তাই তুমি অমন কথা বলছ। ও এক মত আছে বটে, ভোগ শান্তি না হলে চৈতন্য (Ramakrishna) হয় না! তবে ভোগেই বা কি করবে? কামিনী-কাঞ্চনের (Kathamrita) সুখ—এই আছে, এই নাই, ক্ষণিক! কামিনী-কাঞ্চনের ভিতর আছে কি? আমড়া, আঁটি আর চামড়া; খেলে অমলশূল হয়। সন্দেশ, যাই গিলে ফেললে আর নাই!”

    ঈশ্বর কি পক্ষপাতী—অবিদ্যা কেন—তাঁর খুশি

    নন্দ বসু একটু চুপ করিয়া আছেন, তারপর বলিতেছেন,—ও-সব তো বলে বটে! ঈশ্বর কি পক্ষপাতী? তাঁর কৃপাতে যদি হয়, তাহলে বলতে হবে ঈশ্বর পক্ষপাতী?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তিনি নিজেই সব, ঈশ্বর নিজেই জীব, জগৎ সব হয়েছেন। যখন পূর্ণ জ্ঞান হবে, তখন ওই বোধ। তিনি মন, দেহ বুদ্ধি, দেহ—চতুর্বিংশতি তত্ত্ব সব হয়েছেন। তিনি আর পক্ষপাত কার উপর করবেন?

    নন্দ বসু—তিনি নানারূপ কেন হয়েছেন? কোনখানে জ্ঞান, কোনখানে অজ্ঞান?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তাঁর খুশি।

    অতুল—কেদারবাবু (চাটুজ্যে) বেশ বলেছেন। একজন জিজ্ঞাসা করেছিল, ঈশ্বর সৃষ্টি কেন করলেন, তাতে বলেছিলেন যে, যে মিটিং-এ তিনি সৃষ্টির মতলব করেছিলেন, সে মিটিং-এ আমি ছিলাম না। (সকলের হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তাঁর খুশি।

    এই বলিয়া ঠাকুর গান গাইতেছেন (Kathamrita):

    সকলি তোমার ইচ্ছা, ইচ্ছাময়ী তারা তুমি।
    তোমার কর্ম তুমি কর মা, লোকে বলে করি আমি।
    পঙ্কে বদ্ধ কর করী, পঙ্গুরে লঙ্ঘাও গিরি,
    কারে দাও মা! ব্রহ্মপদ, কারে কর অধোগামী ॥
    আমি যন্ত্র তুমি যন্ত্রী, আমি ঘর তুমি ঘরণী।
    আমি রথ তুমি রথী, যেমন চালাও তেমনি চলি ॥

    “তিনি আনন্দময়ী! এই সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়ের লীলা করছেন। অসংখ্য জীব, তার মধ্যে দু-একটি মুক্ত হয়ে যাচ্ছে, — তাতেও আনন্দ। ‘ঘুড়ির লক্ষের দুটো-একটা কাটে, হেসে দাও মা হাত চাপড়ি’। কেউ সংসারে বদ্ধ হচ্ছে, কেউ মুক্ত হচ্ছে।

    “ভবসিন্ধু মাঝে মন উঠছে ডুবছে কত তরী!”

    নন্দ বসু— তাঁর খুশি! আমরা যে মরি!

  • Suvendu Adhikari: “বদলও হবে বদলাও হবে”, ২০২৬ সালের নির্বাচনে বদলের ডাক শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বদলও হবে বদলাও হবে”, ২০২৬ সালের নির্বাচনে বদলের ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলও হবে, বদলাও হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জনসভা থেকে তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপিকে সরকারে বসানোর ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ২০১১ সালে ৩৪ বছরের বাম শাসনকে সরাতে বদলা নয় বদল চাই বলে ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু একটানা প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা, খুন এবং সম্পত্তি লুট সহ একাধিক দুর্নীতির ইস্যুতে তৃণমূলের অপশাসন এখন চরম শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। তাই বিজেপির সভায় বদলা এবং বদলের স্লোগান উঠেছে।

    বাংলাকে এখন বাঁচানো দরকার (Suvendu Adhikari)

    মমতার (Mamata Banerjee) শাসন রাজ্যবাসীর কাছে এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এক দিকে লাগাম ছাড়া দুর্নীতি এবং অপর দিকে বিরোধীদের প্রতি হিংসাত্মক আচরণের কারণে শাসক দলের প্রতি জনবিদ্বেষ চরমে পৌঁছে গিয়েছে। মমতাকে আক্রমণ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গের অধঃপতন হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে জাতীয়তাবাদ এখন সর্বাত্মক ভাবে বিপন্ন। বিকাশবাদকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য বাংলায় পরিবর্তন আনতে হবে। এখানে বদল হবে আবার বদলাও হবে। পশ্চিমবঙ্গ জামাতদের হাতে চলে গিয়েছে। সেই জন্য বাংলাকে এখন বাঁচানো দরকার। ওপারের বাংলাদেশের কালচারকে এইপারেও চালু করতে চাইছেন মমতা। বাংলার রেল প্রকল্প জমি জটে আটকে গিয়েছে। কিন্তু মমতা জমি দেবেন না। ৯১ হাজার কোটি টাকা দিতে চান প্রধানমন্ত্রী। আরও একাধিক বিমান বন্দর গড়তে চেয়েছেন। কিন্তু রাজ্য সরকার জমি দিচ্ছেন না।”

    উন্নয়নকে ধ্বংস করে দিয়েছেন

    রাজ্যে গত ১৫ বছরে কোনও কর্মসংস্থান হয়নি। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২৬০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। তাই এই তৃণমূল সরকারকে সরানো একান্ত আবশ্যক। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমতা, উদয়নারায়ণপুরে কাজ নেই। বাড়ি ছেড়ে অন্য রাজ্যে চলে গেছেন লোকজন। এর জন্য দায়ী মমতাই। রাজ্যে শিল্পের বেহাল দশা। পরপর জুটমিল বন্ধ। বাংলায় আয়ুষ্মান ভারতকে লাগু করতে দেননি, উন্নয়নকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। রাজ্যের অধঃপতন হয়েছে। তাই পরিবর্তন দরকার। বিজেপি এলে মাফিয়া, সিন্ডিকেট রাজ থাকবে না।”

  • PM Modi: মোদি-পুতিনের কারপুলিংয়ের ছবি নিয়ে জোর চর্চা মার্কিন কংগ্রেসে, ট্রাম্পের নীতিকে তুলোধনা

    PM Modi: মোদি-পুতিনের কারপুলিংয়ের ছবি নিয়ে জোর চর্চা মার্কিন কংগ্রেসে, ট্রাম্পের নীতিকে তুলোধনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন কংগ্রেসের আলোচনায় জায়গা পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাম্প্রতিক কারপুলিংয়ের ছবি। মার্কিন সংসদের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি সিডনি ক্যামলাগার-ডোভ (US Congress) বলেন, “এই পোস্টারটি হাজার শব্দের সমান।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশনীতির সমালোচনা (PM Modi)

    সিডনি ক্যামলাগার-ডোভ ভারতের প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশনীতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “ভারতের প্রতি ট্রাম্পের নীতিকে শুধু নিজের ক্ষতি করে অন্যকে শায়েস্তা করা বলেই বর্ণনা করা যায়। জবরদস্তিমূলক অংশীদার হওয়ার একটি মূল্য রয়েছে। আর এই পোস্টারটি হাজার শব্দের সমান মূল্য রাখে।” ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিকে কটাক্ষ করে ডাভ বলেন, “আপনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পান বা না পান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদারদের আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।” প্রসঙ্গত, ট্রাম্প বহুবার দাবি করেছেন যে তিনি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছেন, যার মধ্যে ভারত-পাক যুদ্ধও রয়েছে। ডাভ বলেন, “আমাদের অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে অগ্রসর হতে হবে, যাতে এই প্রশাসন যে ক্ষতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত অংশীদারিত্বে করেছে, তা কমানো যায় এবং সেই সহযোগিতায় ফিরে আসা যায় যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক নেতৃত্বের জন্য অপরিহার্য (PM Modi)।”

    রফতানির ওপর ৫০ শতাংশ

    প্রসঙ্গত, এই মন্তব্যগুলি করা হয়েছিল হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স সাবকমিটি অন সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ার একটি শুনানিতে, যার বিষয় ছিল ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কৌশলগত অংশীদারিত্ব: একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক নিশ্চিত করা।’ ২০২৫ সালের অগাস্টে ট্রাম্প ভারতের বেশিরভাগ রফতানির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, বিস্তৃত বাণিজ্য উত্তেজনা এবং ভারতের রাশিয়ান তেল আমদানিকে ঘিরে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে (PM Modi)। ১০–১১ ডিসেম্বর একটি মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল আলোচনার জন্য ভারতে ছিল। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোনও অগ্রগতি দেখা যায়নি। বাজারে প্রবেশাধিকার এবং শুল্ক নীতি নিয়ে মতবিরোধের (US Congress) কারণে আলোচনা স্থগিত হয়ে গিয়েছে। এটাই দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলেছে।

  • Anurag Thakur: সংসদে বসেই ই-সিগারেটে সুখটান তৃণমূল সাংসদের! স্পিকারকে নালিশ অনুরাগের

    Anurag Thakur: সংসদে বসেই ই-সিগারেটে সুখটান তৃণমূল সাংসদের! স্পিকারকে নালিশ অনুরাগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার তৃণমূল সাংসদদের (Parliament) কুকর্মের সীমা নেই। কেউ প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির বিকৃতি করেন, কেউ আবার ‘ছু কিত কিত’ খেলেন। এবারে খোদ লোকসভায় বসে নিষিদ্ধ ই-সিগারেট খাওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি হলেন তৃণমূলেরই এক বিতর্কিত সাংসদ। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ করে কড়া শাস্তির কথা ঘোষণা করেছেন সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর। ইতিমধ্যে লোকসভার স্পিকার তৃণমূল সাংসদকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “ভবিষ্যতে আরও কোনও অভিযোগ পেলে রেহাই পাবেন না।”

    সিগারেটে অনুমতি নেই (Anurag Thakur)

    লোকসভায় বসে ই-সিগারেট কেন খাচ্ছেন? কার্যত তৃণমূল সাংসদ নাম উল্লেখ না করেই প্রশ্ন তোলেন হিমাচলের সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। ধূমপানের মতো বিধিনিষেধের মতো বিষয় অপরাধ কিনা, তা জানতে চেয়ে নিজের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে অনুরাগ প্রশ্ন তোলেন। স্পিকারকে বলেন, “দেশজুড়ে তো ই-সিগারেট নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। আপনি কি সাংসদকে অনুমতি দিয়েছেন?” উত্তরে স্পিকার বলেন, “কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি।” আবার অনুরাগ বলেন, “তৃণমূলের সাংসদ (Parliament) তো রোজই খাচ্ছেন। অনেক দিন ধরে খাচ্ছেন। আপনি বিষয়টি ভালো করে যাচাই করুন।”

    সামাজিক মাধ্যমে ই-সেগারেট ভাইরাল

    স্পিকার এরপর লোকসভার অধিবেশনে উপস্থিত সকল সাংসদদের (Parliament) উদ্দেশে বলেন, “সংসদের সকল সদস্যের প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা সংসদীয় পরম্পরা, নিয়ম মেনে কাজ করুন। পরবর্তী সময়ে যদি অভিযোগ আসে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হব।” তবে অনুরাগ (Anurag Thakur) জোর দিয়ে বলেন “আপনি এখনই পরীক্ষা করুন। যাচাই করুন।” শেষে বিজেপি এবং তৃণমূল পক্ষের সাংসদের মধ্যে বিরাট তর্ক বাধে। যদিও গোটা ঘটনায় লোকসভায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সংসদে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই ওই সাংসদকে কয়েকদিন ধরে সিগারেট খেতে দেখেছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার নিষেধও করেন। কিন্তু ওই সাংসদ কান দেননি। তৃণমূলের এক প্রবীণ সাংসদ বলেছেন, “কিছু দিন আগে দলের এক মহিলা সাংসদও সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু তিনি শোনেননি।”

    তবে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ সামাজিক মাধ্যমে বিরাট শোরগোল ফেলে দিয়েছে। বিজেপি সংসদের একটি ভাষণের ভিডিওটিকে তুলে ধরে দিয়ে লেখা হয়, “সংসদে কোন তৃণমূল সাংসদ সিগারেট খাচ্ছিলেন? দয়া করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি তাঁর নাম প্রকাশ করবেন?”

  • Hindu Freedom Fighters: ইউনূসের বাংলাদেশে নৃশংস খুন সস্ত্রীক হিন্দু মুক্তিযোদ্ধা, প্রৌঢ় দম্পতির গলাকাটা দেহ উদ্ধার

    Hindu Freedom Fighters: ইউনূসের বাংলাদেশে নৃশংস খুন সস্ত্রীক হিন্দু মুক্তিযোদ্ধা, প্রৌঢ় দম্পতির গলাকাটা দেহ উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের কবল থেকে বাংলাদেশকে (Bangladesh) ছিনিয়ে নিতে যাঁরা লড়েছিলেন, তিনিও ছিলেন তাঁদের একজন (Hindu Freedom Fighters)। ১৯৭১ সালের সেই মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম মুক্তিযোদ্ধা তিনিও। এহেন এক দেশপ্রেমিক এবং তাঁর স্ত্রীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হল বাংলাদেশের রংপুরে। নিহতরা হলেন বছর পঁচাত্তরের যোগেশচন্দ্র রায় এবং তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা। এই মুক্তিযোদ্ধার দুই ছেলেই বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত। রবিবার বেশ বেলা পর্যন্তও রায় বাড়ির দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় পড়শিদের। তাঁরা একাধিকবার দরজায় কড়া নেড়েও সাড়া পাননি। পরে বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় জোড়া মৃতদেহ।

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচার (Hindu Freedom Fighters)

    বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জমানায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলেও, তা ছিল হাতে গোণা। ব্যাপক আন্দোলনের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশান্তরিত হন হাসিনা। দেশের ক্ষমতার রাশ যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের হাতে। কার্যত, তার পর থেকেই বাংলাদেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই যজ্ঞেরই বলি হলেন ওই মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রী। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতেই টার্গেট করা হয় হিন্দুদের। বিভিন্ন পদে থাকা হিন্দুদের ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়। অগাস্টের সেই আন্দোলনের আবহে (Hindu Freedom Fighters) পিটিয়ে হত্যা করা হয় ডজনখানেক পুলিশ কর্মীকে। সূত্রের খবর, গত বছরের সেই তাণ্ডবের এক বছর পরেও বাংলাদেশ চলছে পুলিশ ছাড়াই। বস্তুত, ঠুঁটো করে রাখা হয়েছে পুলিশ কর্মীদের। তার জেরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে হিন্দু হত্যার লেখচিত্র। সংখ্যালঘু অধিকার সংগঠনগুলির দাবি, শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশে হাজার হাজার সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। যদিও ইউনূসের দাবি, হিন্দুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত।

    দেহ উদ্ধারের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া

    মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীর গলা কাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগ (Bangladesh)। এই দলের নির্বাসিত নেতা মহম্মদ আলি আরাফত বলেন, এই ঘটনা মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের ওপর ক্রমবর্ধমান হুমকির দিকটি স্পষ্ট করে। যুদ্ধাপরাধী সমর্থিত ইসলামপন্থী জামায়াতে ইসলামিকে মদত দিয়ে মহম্মদ ইউনূসের রাজত্বে এই ধরনের হামলা ও হত্যাকাণ্ড আরও ঘন ঘন ঘটছে (Hindu Freedom Fighters)। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধারা শুধু অপমান ও হামলারই শিকার হচ্ছেন না, বরং ইউনূসের শাসন কালে তাঁদের হত্যা পর্যন্ত করা হচ্ছে। এই শাসন আবার মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ইসলামপন্থী গোষ্ঠী জামায়াতে ইসলামির দ্বারা সমর্থিত।”

    গলাকাটা দেহ উদ্ধার

    বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রংপুর জেলার কুর্শার উত্তর রহিমপুর এলাকায় থাকতেন ওই দম্পতি। রবিবার সকালে অনেক ডেকেও সাড়া না পেয়ে উদ্বিগ্ন হন প্রতিবেশীরা। তাঁদেরই কয়েকজন মই বেয়ে উঠে ঢোকেন বাড়ির ভেতরে। তাঁরা দেখেন, সুবর্ণার গলা কাটা দেহ পড়ে রয়েছে রান্নাঘরে, আর ডাইনিং রুমে পড়ে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশের গলাকাটা দেহ। তবে রায় দম্পতিকে কে বা কারা খুন করল তা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই বাংলাদেশের কোনও সংবাদ মাধ্যমে। যদিও আওয়ামি লিগের মতে, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে ইউনূস সরকার ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ইসলামপন্থী গোষ্ঠী জামায়াতে ইসলামি (Bangladesh)।

    প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

    বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন যোগেশ। অবসর নেন ২০১৭ সালে। রংপুরের ওই বাড়িতে থাকতেন ওই দম্পতি। তাঁদের দুই ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় এবং রাজেশ খন্না চন্দ্র রায় বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত। একজনের পোস্টিং জয়পুরহাটে, অন্যজন থাকেন ঢাকায়। যে এলাকায় ওই জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটে, সেখানে সোমবার সকালে গিয়েছিলেন তারাগঞ্জ থানার কয়েকজন আধিকারিক। গিয়েছে ফরেনসিক দল। শুরু হয়েছে তদন্তও। প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের। পুলিশ জানিয়েছে, এই হিন্দু পরিবারকে কেন্দ্র করে আগের কোনও বিরোধের তথ্য তাদের কাছে নেই (Hindu Freedom Fighters)।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য

    মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীর খুনের জেরে বেজায় খেপে গিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অপরাধীরা দ্রুত ধরা না পড়লে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের হুমকিও দিয়েছেন স্থানীয়রা। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে সংখ্যালঘুদের ওপর প্রায় ২ হাজারটি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। সেখানে ৯ জন হিন্দুর মৃত্যু এবং উপাসনালয়ের ওপর ৬৯টি হামলার ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত ছিল (Bangladesh)। এর দু’মাস আগেই অক্টোবর মাসে ইসলামপন্থীরা বাংলাদেশজুড়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। ইসকনকে উগ্রপন্থী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষেধাজ্ঞার দাবিও জানায় (Hindu Freedom Fighters)।

  • PM Modi: মোদিকে ফোন নেতানিয়াহুর, দীর্ঘক্ষণ কথা দুই রাষ্ট্রনেতার, কী আলোচনা হল?

    PM Modi: মোদিকে ফোন নেতানিয়াহুর, দীর্ঘক্ষণ কথা দুই রাষ্ট্রনেতার, কী আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ফোনালাপ হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Netanyahu)। অক্টোবর মাসের পর এই প্রথম দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথা হল। সেই সময় নেতানিয়াহু ব্যস্ত ছিলেন মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে। ওই বৈঠক চলাকালীনই তিনি ফোনে কথা বলেছিলেন মোদির সঙ্গে। এবারের ফোনালাপ হল এমন একটা সময়ে, যখন ইজরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    মোদিকে ফোন (PM Modi)

    বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন নেতানিয়াহু। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী মোদি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকে ফের একবার সমর্থন জানিয়েছেন, যার মধ্যে গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়নও রয়েছে।” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় রাষ্ট্রনেতাই ভারত-ইজরায়েল কৌশলগত অংশীদারত্বের ধারাবাহিক অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং পারস্পরিক স্বার্থে এই সম্পর্ক আরও মজবুত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “দুই নেতা সন্ত্রাসবাদের কঠোর নিন্দা করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদের সব ধরনের রূপ ও প্রকাশের বিরুদ্ধে তাঁদের জিরো টলারেন্স নীতির অবস্থান ফের নিশ্চিত করেছেন।” এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দুই নেতা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে রাজিও হয়েছেন।

    খুব শীঘ্রই সাক্ষাৎ!

    এদিকে, নেতানিয়াহুর দফতর ফের জানিয়েছে, দুই রাষ্ট্রপ্রধান খুব শীঘ্রই সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং নেতানিয়াহুর মধ্যে টেলিফোনিক আলোচনার সময়টি কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায়ের আগে অনুষ্ঠিত হয়েছে (PM Modi)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রসংঘের দূত মাইক ওয়াল্ট্জ আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি গাজায় শান্তি পরিকল্পনার অগ্রগতির বিষয়ে দ্রুত ঘোষণার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, এই কাঠামোর আওতায় ওয়াশিংটন হামাসকে পুনর্গঠিত হতে দেবে না।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রসংঘের দূতের বক্তব্য

    ওয়াল্টজ বলেন, “আমরা এখন সেই অনুমোদন পেয়েছি। আমার মনে হয় আমরা শীঘ্রই সেই ঘোষণার কথা শুনতে পাব প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন পিস বোর্ডের মাধ্যমে। এর মূল উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে একটি প্রযুক্তিনির্ভর প্যালেস্তাইন কর্তৃপক্ষ, যাঁরা গাজায় জল, গ্যাস, নিকাশি এবং অন্যান্য মৌলিক সেবাগুলি ফের চালু করবে। এর মধ্যে অবশ্যই রয়েছে মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য একটি অর্থায়ন ব্যবস্থা এবং তার পরে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীও (Netanyahu)।” তিনি এও বলেন, “আমি যা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, হামাসকে সরতেই হবে (PM Modi)।”

    নেতানিয়াহুর বক্তব্য

    ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানান, তিনি চলতি মাসের শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং দাবি করেন যে গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায় ঘনিয়ে এসেছে। পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপ নিয়েও আলোচনা চলছে।চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ইজরায়েল এবং হামাস গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে রাজি হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি, ইজরায়েলি বন্দিদের মুক্তি এবং প্যালেস্তাইনি বন্দিদের মুক্তিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। সোমবার ইজরায়েলি পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে নেতানিয়াহু দেশের ব্যাপারে নিজের অবস্থান দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে বলেন, ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা ইহুদি-বিরোধী মনোভাব সত্ত্বেও বহু দেশ এবং নেতার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির, নজিরবিহীন সমর্থন ইজরায়েল পেয়ে  যাচ্ছে (PM Modi)।

    ‘৪০-স্বাক্ষর বিতর্ক’

    ‘৪০-স্বাক্ষর বিতর্ক’ নামে পরিচিত (Netanyahu) এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেতানিয়াহু তাঁর সরকারের নীতির কথা তুলে ধরেন, বিশেষ করে ইজরায়েলের বৈদেশিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন দিক থেকে তাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার কথা। উল্লেখ্য যে, ‘৪০-স্বাক্ষর বিতর্ক’ এমন একটি সংসদীয় প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীকে মাসে একবার কনেসেটের (ইজরায়েলের পার্লামেন্ট) সামনে হাজির হতে বাধ্য করতে পারে। তিনি বলেন, “আরও কিছু বিশ্বশক্তি আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। আমি প্রায়ই আমার বহুদিনের বন্ধু, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলি। আমাদের শীঘ্রই সাক্ষাৎ করার কথা হয়েছে, এবং আমি আপনাদের বলতে চাই, ভারত, দেড়শো কোটি মানুষের বিশাল দেশ। তারাও আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী।”

    ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক বহু পুরানো। প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কও রয়েছে। বিদেশনীতি থেকে শুরু করে আঞ্চলিক শান্তির ক্ষেত্রেও দুই দেশ একে অন্যকে সমর্থন ও সাহায্য করেছে। ২০১৭ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন নেতানিয়াহু। সেই সময় (Netanyahu) দুই রাষ্ট্রনেতা দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ওপর বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদি-নেতানিয়াহুর ফোনালাপ আরও একবার প্রমাণ করল যে ভারত ও ইজরায়েলের সম্পর্ক শুধুই আনুষ্ঠানিক নয়, কৌশলগতভাবেও গুরুত্বপূর্ণ (PM Modi)।

  • Suvendu Adhikari: “শাহজাহানের নির্দেশেই এই হামলার ষড়যন্ত্র”! মামলা অন্যত্র সারানোর দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “শাহজাহানের নির্দেশেই এই হামলার ষড়যন্ত্র”! মামলা অন্যত্র সারানোর দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সন্দেশখালির ভোলানাথ ঘোষ। বুধবার আদালতে সাক্ষী গ্রহণের জন্য ছোট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গাড়ি করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ন্যাজাটের কাছে দশ চাকার একটি ট্রাক ভোলানাথের গাড়িতে ধাক্কা মারে, এরপর তাঁর ছেলে এবং গাড়ির চালকের মৃত্যু হয়। কপালজোরে প্রাণে বেঁচে যান ভোলানাথ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তীব্র তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “এটা শাহজাহান করিয়েছেন। জেলে বসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। তাঁর নির্দেশেই এই হামলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।”

    জেলে বসে সব পায় (Suvendu Adhikari)

    তৃণমূলের কুখ্যাত দুষ্কৃতী শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) রেশন দুর্নীতি, অবৈধ জমি দখল এবং নারী নির্যাতনের মতো অজস্র মামলায় জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে গোটা সন্দেশখালির হিন্দু মহিলারা, বাড়ির বৌ-রা অভিযোগ জানিয়ে বারংবার আন্দোলন করেছেন। আপতত জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। তবে যেহেতু রাজ্য সরকার তৃণমূলের আর নিজেও ওই দলের নেতা ছিলেন, তাই শাসক দল জেলের ভিতরে বাড়তি অক্সিজেনের জোগান দেয় বলে বিজপির অভিযোগ। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর উপরে হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “এই মামলা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নিয়ে যাওয়া উচিত। বসিরহাটের জেলে বসে থাকলে মামলার সাক্ষীরা একে একে খুন হবেন। আজ ভোলা ঘোষের উপর হামলা হয়েছে, এক, ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আগামিকাল বড় ছেলের উপরেও হামলা হবে। এই তৃণমূল নেতা ফোন ব্যবহার করে। জেলেই ওর সব প্রয়োজন মেটানো হয়। তৃণমূলের ছোট বড় সকল নেতাদের জেলের ভিতরে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। জীবনকৃষ্ণ সাহা জেল থেকে ফোন করে কথা বলেন। যা খেতে ইচ্ছা হয়, তাই খায়। অনেক রাতে ডিনার দেওয়া হয়। যত রকমের ছবি আসে সব দেখে। কখনও পিজির উডবার্ন ওয়ার্ডে আবার কখনও মন খারাপ হলে নিয়ে যাওয়া হয় বেসরকারি হাসপাতালে। সব জেলার সুপাররা খারাপ নয়, বেরিয়ে এসে আমাকে জানান যে, নেতারা ফোন ব্যবহার করছে।”

    অল্পের জন্য বেঁচে যান

    শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) যে লোককে ট্রাক চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল সেই ব্যক্তি ধাক্কা মেরে একটি বাইকে করে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। এই ট্রাক চালকের বাবা শাহজাহানের খুব ঘনিষ্ঠ। ন্যাজাটের কাছে বয়ারমারি পেট্রোল পাম্পের সামনে ভোলার গাড়িতে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয় ভোলার ছোট ছেলে সত্যজিতের। অল্পের জন্য বেঁচে যান ভোলা। মামলার সাক্ষী দিতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “ভোলানাথকে দেখার জন্য বিশেষ টিম পাঠানো হয়েছে। এসএসকেএমে চিকিৎসা করানোর টা ভোলার জন্য খুব বিপদজনক হতে পারে। তবে সিবিআইকে ধন্যবাদ যে ভোট পরবর্তী মামলার নিরপেক্ষতা, গুরুত্ব এবং প্রভাব বুঝে অন্য রাজ্যে পাঠানোর জন্য সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।”

LinkedIn
Share