Tag: Bengali news

Bengali news

  • Odisha: ওড়িশার টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে ৪৩৮২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ইন্ডিয়ান অয়েল

    Odisha: ওড়িশার টেক্সটাইল ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে ৪৩৮২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ইন্ডিয়ান অয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেক্সটাইল সেক্টরে এবার বড়সড় বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করল ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড (IOC)। ওড়িশার  (Odisha) ভদ্রকে একটি অত্যাধুনিক সুতা উৎপাদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য ৪, ৩৮২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে। চলতি মাসের ২০ ডিসেম্বর বোর্ড মিটিংয়ে এই উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়। এই উদ্যোগ কার্যকরী হলে ভারতের টেক্সটাইল সেক্টরকে আরও শক্তিশালী করবে।

     বিনিয়োগ এবং সহযোগিতা (Odisha)

    জানা গিয়েছে, MCPI প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ফিফটি-ফিফটি অংশীদারিত্বে যৌথ উদ্যোগে আইওসি এই প্রকল্প কার্যকরী করতে চলেছে। প্রতিদিন ৯০০ টন (TPD) উৎপাদন (Odisha) হবে বলে জানা গিয়েছে। এটি পোশাক, বাড়ির আসবাব এবং শিল্প টেক্সটাইলের জন্য প্রয়োজনীয়। এই সুবিধাটি পোশাক, বাড়ির আসবাব এবং শিল্প টেক্সটাইলের জন্য প্রয়োজনীয় হবে। আগামীদিনে আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে। সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় চাহিদাও পূরণ করবে।

    প্রকল্পের লক্ষ্য কী?

    ইন্ডিয়ান অয়েলের বিনিয়োগ সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের সঙ্গে সম্পূর্ণরুপে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য, পলিয়েস্টার সুতোর অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি। আগে উন্নতমানের সুতোর জন্য বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হত। সেখান থেকে সুতো আনা হত।  এই প্রকল্প আগামীদিনে কার্যকরী হলে আমদানি (Odisha) নির্ভরতা কমবে। আর সেটাই এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। একইসঙ্গে কোথাও কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ হলে, কর্মসংস্থান একটি মস্তবড় ফ্যাক্টর। এই প্রকল্পের ফলে হাজার হাজার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পটি ওড়িশায় আর্থ-সামাজিক অবস্থানকে উন্নত করবে। বিশ্বব্যাপী টেক্সটাইল শিল্পে ভারতের অবস্থানও অনেকটাই উন্নত হবে। 

    বিশ্বমানের পণ্য সরবরাহ করবে!

    জানা গিয়েছে, MCPI এর টেক্সটাইল জ্ঞান এবং IOC এর পেট্রোকেমিক্যাল দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এই উদ্যোগকে কার্যকরী করা হবে। আশা করা হচ্ছে, এই যৌথ উদ্যোগটি (Odisha) বিশ্বমানের পণ্য সরবরাহ করবে। একইসঙ্গে টেক্সটাইল শিল্পের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে পূরণ করবে। স্বাভাবিকভাবে এটি একটি দূরদর্শী পদক্ষেপ। আর টেক্সটাইল উৎপাদনে IOC এর প্রবেশ তার দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের অংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Deep State: ক্লাব অফ রোমের মাধ্যমে উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করেছিলেন মনমোহন সিং?

    Deep State: ক্লাব অফ রোমের মাধ্যমে উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করেছিলেন মনমোহন সিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্লোবাল গভর্ন্যান্সের মেকানিজমের আড়ালে রয়েছে একটি গোপন ক্ষমতার নেটওয়ার্ক, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং প্রভাবশালী কার্যকলাপ (Bharats Shadowed Role)। ডিপ স্টেট (Deep State) নামে পরিচিত এই শব্দটি, অতি বৃহৎ সংস্থা, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং নীতিনির্ধারকদের লুকোনো যোগসূত্রকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এরাই দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ব ঘটনাপ্রবাহের গতিপথ পরিচালনা করেছে।

    ভারতের শ্যাডোড রোল (Bharat’s Shadow Role)

    ক্লাব অব রোম (CoR), ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (WEF) এবং তাদের সমর্থকরা কীভাবে নির্ধারিত অ্যাজেন্ডার মাধ্যমে মানবতাকে পুনর্গঠন করতে কাজ করছে, তা জানা যায় তাদের ভূমিকা দেখলে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নীরব কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনিই এই গ্লোবালিস্ট ভিশনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন।ভারতের এই শ্যাডো রোলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় ১৯৬৮ সালের ২৬ এপ্রিল কানাডায়, ১৭তম বিল্ডারবার্গ বৈঠকের সময়। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে “ডিপ স্টেট”-এর নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার অ্যাজেন্ডাকে ত্বরান্বিত করা হবে। এটি একটি একক বিশ্ব সরকারের কল্পনা করেছিল। ডেভিড রকফেলারের নির্দেশে ইতালীতে প্রতিষ্ঠিত হয় ক্লাব অব রোম (CoR)। এটি একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, যা এই লক্ষ্যে নীতিমালা প্রস্তুতের জন্য দায়ী। রকফেলার ফাউন্ডেশন উদারভাবে এই প্রচেষ্টাকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: গুরদাসপুর গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে খলিস্তানপন্থী নেতা জগজিৎ সিং! আইএস যোগ সন্দেহ

    ক্লাব অব রোম

    ১৯৭২ সালে ক্লাব অব রোম (CoR) তাদের যুগান্তকারী প্রতিবেদন, দ্য লিমিটস টু গ্রোথ প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদন বিশ্ব জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের একটি ভীতিকর ধারণা প্রবর্তন করে, যেখানে কঠোর গ্লোবাল গভর্ন্যান্সের অধীনে ১-২ বিলিয়ন জনসংখ্যার একটি লক্ষ্য প্রস্তাব করা হয়। এই নথি জনসংখ্যা হ্রাস, বন্ধ্যত্ব প্রচার এবং ভীতিপ্রদর্শনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ নীতির ভিত্তি হয়ে ওঠে। ক্লাব অব রোমের সুপারিশ দ্রুত গ্লোবাল গভর্ন্যান্সের মধ্যে প্রবেশ করে। পৃথিবী একের পর এক এমন ঘটনাবলীর সাক্ষী হয়, যা এই লক্ষ্যগুলির সঙ্গে অদ্ভুতভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই ঘটনাগুলি হল, ১৯৭৩ সালে আরব-ইজরায়েল যুদ্ধ, ১৯৭৫-৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধীর অধীনে ভারতে কুখ্যাত নির্বীজকরণ অভিযান, ১৯৭৯ সালে এইডস মহামারীর আবির্ভাব, ক্যান্সার ও জীবাণুমুক্তকরণের ওষুধ আবিষ্কার ইত্যাদি (Bharats Shadowed Role)।

    মনমোহন সিং

    এই সময়ে ভারতের অর্থনৈতিক নীতিগুলি প্রধানত মনমোহন সিংয়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। তিনি তখন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। ক্লাব অফ রোম কৌশল নির্ধারণ করেছিল। আর হেনরি কিসিঞ্জারের পরামর্শে ক্লাউস শোয়াব এটি বাস্তবায়িত করেছিলেন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (WEF) মাধ্যমে। শোয়াব ১৯৭১ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরে এমন একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত হয় যা ডিপ স্টেটের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নেতাদের এক সারিতে ফেলে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বৈশ্বিক বাস্তবায়নের মুখ হয়ে ওঠে, আর ক্লাব অফ রোম পর্দার আড়াল থেকে পরিচালনা করতে থাকে। তারা একসঙ্গে যে কাজগুলি করেছিল সেগুলি হল, দুর্বল অর্থনীতিগুলিতে উদারীকরণ, বেসরকারিকরণ এবং বিশ্বায়ন কার্যকর করা, রাষ্ট্রসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মাধ্যমে জননীতিগুলিকে আকার দেওয়া, যার সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

    উদারীকরণের স্থপতি!

    মনমোহন সিং ভারতের অর্থনৈতিক উদারীকরণের স্থপতি হিসেবে পরিচিত। ক্লাব অফ রোমের (CoR) সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এই বৈশ্বিক অ্যাজেন্ডার প্রতি একটি লুকানো আনুগত্য প্রকাশ করে। ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরে ছিলেন মনমোহন সিং। তিনি ছিলেন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, অর্থমন্ত্রকের সেক্রেটারি, ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর, প্ল্যানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান। পরবর্তীকালে তিনিই হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (Bharats Shadowed Role)। ১৯৯১ সালে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয় ভারতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাপক সংস্কার হয়। এই সংস্কারগুলি বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়, বরং এটি ডিপ স্টেট দ্বারা পরিচালিত একটি বৈশ্বিক পরিকল্পনার অংশ। একই সময়ে বিভিন্ন দেশে উদারীকরণ নীতিগুলির গ্রহণযোগ্যতা এই ঘটনাগুলির পেছনের সুপরিকল্পিত নকশাকে (Deep State) প্রমাণ করে।

    অর্থনৈতিক ত্রাতা!

    মনমোহন সিংকে অর্থনৈতিক ত্রাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু আসলে কি তাই? তিনি বহিরাগত শক্তির দ্বারা নির্ধারিত একটি অ্যাজেন্ডা কার্যকর করছিলেন মাত্র। ২০০৪ সালে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উত্থান ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের প্রভাবকে আরও স্পষ্ট করে তোলে। ঘটনাগুলি যে সময়সীমা নির্ধারণ করেছে, তা আমাদের ২০৩০ এর অ্যাজেন্ডার দিকে নিয়ে যায়, যেখানে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চাইছে ডিপ স্টেট (Deep State)। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আখ্যান থেকে ডিজিটাল আইডি পর্যন্ত, CoR এবং WEF এমন একটি ভবিষ্যৎ তৈরি করছে, যেখানে ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে বৃহৎ পুঁজির শাসনের অধীন করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Russia: চার স্ত্রী রাখার ফতোয়া নাকচ করেছে রাশিয়ারই প্রগতিশীল মুসলিম গোষ্ঠী

    Russia: চার স্ত্রী রাখার ফতোয়া নাকচ করেছে রাশিয়ারই প্রগতিশীল মুসলিম গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম বিশ্বে একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়ার (Russia) একটি প্রগতিশীল মুসলিম গোষ্ঠী। রাশিয়ার শীর্ষ ইসলামিক (Muslim) সংস্থা মুসলিম পুরুষদের দুই বা ততোধিক বিয়ে বা স্ত্রী (Four Wives) রাখার সিদ্ধান্তকে নাকচ করার কথা ঘোষণা করেছে। তবে এই সিদ্ধান্ত শুধু রাশিয়ার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয় গোটা বিশ্বে ইসলামিক রাষ্ট্রের সামনে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক ধর্ম বিশেষজ্ঞরা।

    সাধারণত মুসসিম পার্সোনাল ল’বোর্ড বা শরিয়া শাসন চারটি করে বিয়ের অনুমতি দিয়ে থাকে। গোটা বিশ্বে পশ্চিম থেকে পূর্বে সর্বত্র এই নিয়ম অক্ষরে অক্ষের পালন করা হয়। যদিও গবেষকরা মনে করেছেন, গোটা বিশ্বে বাকি ধর্মের তুলানায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের একটি বড় কারণ হল একাধিক বিবাহ এবং বহু সন্তান উৎপাদন নীতি। তাই প্রগতিশীল মুসলিম সংগঠনের ভাবনা ইতিবাচক।

    ১৭ ডিসেম্বর ফতোয়া জারি হয়েছিল (Russia)!

    রাশিয়ার (Russia) ইসলামিক সংস্থার পক্ষ থেকে আগে ১৭ ডিসেম্বর একটি ফতোয়া বা ধর্মীয় বিধি জারি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, সমস্ত পরিস্থিতিতে মুসলিম পুরুষরা একাধিক স্ত্রী (Four Wives) রাখাতে পারবেন। সেই সঙ্গে আরও বলা হয় একজন মুসলমানের চারটি স্ত্রী থাকতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে সকলের জন্য আলাদা আলাদা থাকার জায়গা সহ সমান ভাবে বস্তুগত উপলব্ধতাকে প্রাধ্যান্য দিতে হবে। এরপর রাশিয়ার মুসলিমদের ধর্মীয় সংগঠনের কাউন্সিল অফ স্কলারের নতুন ঘোষণা হয় যে এই চার স্ত্রী রাখার নির্দেশ রাশিয়ার আইনের সঙ্গে কোনও রকম ভাবে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। শারিয়া নিয়ম দেশের আইনের পরিপন্থী। ইসলামিক এই ফতোয়াকে অবিলম্বে প্রত্যহার করতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে এই বার্তা ছড়িয়ে পড়লে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চাঞ্চাল্য তৈরি হয়।

    চার বিয়ে ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে

    রাশিয়ার (Russia) ইসলামিক কাউন্সিল অফ স্কলারের নতুন ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক প্রগতিশীল মানুষ। আবার রাশিয়ার পার্লামেন্টারি ফ্যামিলি অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান নিনা ওস্তানিনা বলেন, “রাশিয়ায় বহুবিবাহ নিষিদ্ধ। এটি আমাদের মূল নৈতিকতা এবং ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে।”

    উল্লেখ্য, ভারতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার পাশাপাশি ‘মুসলিম (Muslim) পার্সোনাল ল’বোর্ড নামে একটি আলাদা ক্ষেত্র রয়েছে। কংগ্রেসের আমল থেকে দেশের সংবিধানকে আড়ালে রেখে এই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। একইভাবে ওয়াকফ বোর্ডও সক্রিয় রয়েছে দেশে। বিশেষজ্ঞরা ইসলামের শরিয়া শাসনকে আগ্রাসী ও হিংসাত্মক বলেছেন। তবে ভারতের কোনও প্রগতিশীল মুসলিম সংগঠন দুই বা ততোধিক স্ত্রী রাখা কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Naga sadhu: মুঘল-ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সনাতনধর্ম রক্ষার জন্য লড়াই করেছিলেন নাগা সন্ন্যাসীরা!

    Naga sadhu: মুঘল-ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সনাতনধর্ম রক্ষার জন্য লড়াই করেছিলেন নাগা সন্ন্যাসীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে বহিরাগত বর্বর আক্রমণকারী পাঠান, মুঘল এবং ব্রিটিশদের বিরদ্ধে প্রত্যক্ষ লড়াই করেছিলেন নাগা সাধুরা (Naga sadhu)। জুনাগড়ের অত্যাচারী নিজাম শাসক সাধুদের বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করেছিলেন। বহু সাধু সন্ন্যাসীদের হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু যাঁরা বেঁচে ছিলেন তাঁরাই তৈরি করেছিলেন জুনা আখড়া। যুগে যুগে যখনই সনাতন ধর্ম (Sanatan Dharma) গভীর সঙ্কটে পড়েছে নাগারা রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। মুসলমান আক্রমণ এবং লুটের হাত থেকে অনেক মন্দির ও মঠ রক্ষা করেছিলেন তাঁরা। আফগান পাঠান শাসক আহমেদ শাহ আবদালি মথুরা-বৃন্দাবন লুণ্ঠন করতে এলে নাগা সাধুরা বিরাট প্রতিবাদ গড়ে তোলেন। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রও ধারণ করেন নাগা সন্ন্যাসীরা। 

    সনাতন ধর্মের রক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে (Naga sadhu)

    ১৪৪ বছর পর এবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হবে মহাকুম্ভ। ইতিমধ্যেই বিশ্বের এই বৃহৎ ধর্মীয় (Sanatan Dharma) সমাবেশে অনেক আখড়ার মুনি, ঋষি, সাধু-সন্ন্যাসীরা আসতে শুরু করেছেন। ভারতীয় মার্শাল আর্টিস্ট এবং ধর্মীয় সন্ন্যাসীদের জন্য সম্প্রদায়িক ঐতিহ্য ও আধ্যাত্মিক পরম্পরা মেনে মঠ কেন্দ্রীক একটি আখড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে ভক্তদের থাকা-খাওয়া এবং প্রশিক্ষণের সুবিধার ব্যবস্থা থাকবে। এখানে কুম্ভমেলার অনুষ্ঠানের সঙ্গে মার্শাল আর্ট অনুশীলনের একটি বিরাট জায়গা ঠিক করা হয়েছে। অনেকেই প্রশিক্ষণ নেবেন আবার দিয়েও থাকবেন প্রশিক্ষণ। মূল লক্ষ্য হল হিন্দু সমাজের আত্মরক্ষা। সাধারণত নাগারা (Naga sadhu) তাঁদের গলায়, শরীরের চারপাশে রুদ্রাক্ষ এবং অন্যান্য অলঙ্কার পরিধান করেন। তাঁদের হাতে থাকে তলোয়ার, শঙ্খ এবং ত্রিশূলও। 

    সব রকম অপশক্তির সঙ্গে লড়াই করতে প্রস্তুত

    এই আখড়ার মধ্যে ভৈরব আখড়া অন্যতম। এটিকে পঞ্চ দশনম জুনা আখড়াও বলা হয় এবং এটি ১৩টি আখড়ার মধ্যে সবচেয়ে বড়। এটি নাগা সন্ন্যাসীদের (Naga sadhu) একটি প্রধান আখড়া। এখানকার সাধুরা যোদ্ধা সন্ন্যাসী। ভগবান শিবের উপাসক তাঁরা। সন্ন্যাসীদের দেহে ছাই-মাখার জন্য বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। হিন্দু ধর্মের আধ্যাত্মিকতা এবং পরাক্রমের গৌরবময় ইতিহাস ধারণ করেন তাঁরা। নাগা সাধুরা সর্বদা তলোয়ার, ত্রিশূল, বর্শা বহন করে থাকেন। তাঁরা মুঘল থেকে ব্রিটিশ পর্যন্ত সমস্ত বহিঃশত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। সনাতন হিন্দু (Sanatan Dharma) ধর্ম রক্ষার জন্য সব রকম অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত থাকেন এই সাধুরা। এই জুনা আখড়ায় একটি অস্ত্রাগারও রয়েছে, যেখানে ৪০০ বছরের পুরনো অস্ত্রও সংরক্ষিত রয়েছে। নাগা সাধুরা মহাকুম্ভ উদযাপনের সময় এই অস্ত্রগুলি নিয়ে আসেন এবং প্রদর্শনী করেন। 

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    ১১৪৫ সালে জুনা আখড়া প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়

    জুনা আখড়া হল শৈব সম্প্রদায়ের সাতটি আখড়ার একটি। ১১৪৫ সালে উত্তরাখণ্ডের কর্ণ প্রয়াগে প্রথম এই মঠ নির্মাণ হয়েছিল। আবার কেউ কেউ মনে করেন এই মঠ ১২৫৯ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। পরবর্তীকালে ১৮৬০ সালে সরকারি নথিভুক্ত হয় আখড়া। ভগবান শিব বা তাঁর রুদ্র অবতার, ভগবান দত্তাত্রেয়, জুনা আখড়ার মূর্তি। এর সদর দফতর এবং প্রধান কেন্দ্র বারাণসীতে অবস্থিত। আরও একটি মন্দিরের আশ্রম হরিদ্বারের মহামায়া মন্দিরের কাছে নির্মিত হয়েছিল। এখন এই নাগাদের (Naga sadhu) আখড়াগুলোতে প্রায় ৫ লাখ নাগা সাধু রয়েছেন। নাগা সাধুরা হিন্দু ধর্মের উত্থানকে সাহায্য করার জন্য ধর্মগ্রন্থগুলিতে যেমন পারদর্শী, ঠিক তেমনি যুদ্ধ-অস্ত্রশস্ত্রেও প্রশিক্ষিত তাঁরা। তখন থেকেই আখড়া চলছে তাঁদের। বলা হয়ে থাকে আদি শঙ্করাচার্যের নির্দেশনায় গঠিত হয়েছিল এবং পরে মুসলিম আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধেও অনেক যুদ্ধ করেছিল এই আখড়ার সন্ন্যাসীরা।

    জুনা আখড়ার ইতিহাস

    জানা গিয়েছে, নাগা সাধুরা (Naga sadhu) গুজরাটের জুনাগড়ের নিজামের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন। নিজাম ও তাঁর বাহিনী নাগাদের দ্বারা পরাজিত হয়েছিল। তিনি সাধুদের সামরিক দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বলেও জানা গেছে। এই শাসককে সন্ন্যাসীদের সামনে মাথা নত হতে হয়েছিল এবং একটি চুক্তিতে আমন্ত্রণ জানাতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। জুনা আখড়ার মহারাজ মহন্ত হরি গিরি বলেন, “আখড়ার সন্ন্যাসীরা (Sanatan Dharma) একটি চুক্তির জন্য নিজামের কাছে গিয়েছিলেন। জুনাগড় সন্ন্যাসীদের হাতে তুলে দেওয়ার অজুহাতে একটি নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে সেই খাবারে বিষ মিশিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছিল শয়তান শাসক। এর ফলে শত শত সন্ন্যাসী প্রাণ হারিয়েছিলেন। যাঁরা বেঁচে ছিলেন তাঁরাই জুনা আখড়া তৈরি করেছিলেন।”

    জাহাঙ্গীরের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন নাগারা

    একবার মুঘল শাসক জাহাঙ্গীর প্রয়াগরাজ কুম্ভমেলায় যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে গুজব উঠেছিল। তখন শৈব ও বৈষ্ণব তপস্বীরা একসঙ্গে একটি দেওয়াল নির্মাণ করেন এবং তা থেকে গোপন যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন সন্ন্যাসীরা (Naga sadhu)। একজন সন্ন্যাসী জাহাঙ্গীরকে মারতে ছুরিও ব্যবহার করেছিলেন। মুঘলদের প্রতি নাগাদের ক্রোধ ছিল অদম্য। পঞ্চ দশনম জুনা আখড়ার অষ্ট কৌশল মহন্ত যোগানন্দ গিরি বলেন, “যে নাগা সন্ন্যাসীরা (Sanatan Dharma) অস্ত্র বহন করেন, তাঁরা মুঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। একই ভাবে ব্রিটিশ শাসন কালেও লড়াই করেছিলেন তাঁরা। অস্ত্রগুলিকে আমরা বিরাট সম্মানের সঙ্গে রাখি।”

    প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। আর মাত্র হাতে কয়েকটা দিন বাকি। মকর সংক্রান্তি থেকে শুরু হবে পুণ্যস্নান। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ সরকার কড়া নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয় আয়োজনে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং এলাকা পরিদর্শন করে সব রকম প্রস্তুতি নিরীক্ষণ করেছেন। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি ভক্ত সমাগম হবে এই রাজ্যে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haryana: হরিয়ানায় মিলল ৫০০০ বছরের পুরানো জল ব্যবস্থার কৌশল, আর কী মিলল?

    Haryana: হরিয়ানায় মিলল ৫০০০ বছরের পুরানো জল ব্যবস্থার কৌশল, আর কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানার (Haryana) হিসারের রাখিগড়িতে খননকার্য চালিয়ে হরপ্পা যুগের জলাশয়ের হদিশ মিলেছে। ৫ হাজার বছর আগে সেখানকার বাসিন্দারা কীভাবে জলের সংস্থান করতেন, তার প্রমাণ মিলেছে। সাংস্কৃতিক অনুশীলনের উল্লেখযোগ্য প্রমাণও মিলেছে।

    এএসআইয়ের কর্তা কী বললেন?(Haryana)

    রাখিগড়ি (Haryana) এলাকাটি হরপ্পা-যুগের বৃহত্তম পরিচিত স্থান। ৮৬৫ একর বিস্তৃত এলাকা জুড়ে রয়েছে রাখিগড়ি। গভীর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে এই জায়গার। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) এর জয়েন্ট ডিরেক্টর সঞ্জয় মঞ্জুল বলেন, “এটি ৩.৫ থেকে ৪ ফুট গভীর জলাশয় বলে মনে হচ্ছে।” এই এলাকার ঢিবি এক, দুই এবং তিনটিকে “অভিজাত অঞ্চল” হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এই এলাকাটি হরপ্পা সভ্যতায় উচ্চ শ্রেণির আবাসস্থল ছিল। খননস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে একটি শুকনো নদীরও হদিশ মিলেছে। নদীটির নাম চৌতাং (দ্রিশাবতী নদী নামেও পরিচিত)। এই নদীটি এখন বিলুপ্ত। প্রাচীনকালে এই অঞ্চলে ঘন জনবসতি ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ থেকে জানা যায় যে, হরপ্পাবাসীরা দ্রিশাবতী নদী থেকে জল নিয়ে এসে সঞ্চয় করতেন ওই জলাশয়ে”।

    ৪৬০০ বছর বয়সী একজন মহিলার দেহাবশেষ উদ্ধার

    এএসআই (Haryana) সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০০০ বছর আগে দ্রিশাবতী এবং সরস্বতী নদী শুকিয়ে যাওয়ায় এলাকায় জলসঙ্কট তৈরি হয়েছিল। যার জন্য সম্ভবত রাখিগড়ির মতো সমৃদ্ধশালী শহরের পতন ঘটে। খননের ফলে সবচেয়ে আকর্ষণীয় আবিষ্কারগুলির মধ্যে একটি হল ৫৬টি কঙ্কাল উদ্ধার। এর মধ্যে ৪৬০০ বছর বয়সী একজন মহিলার দেহাবশেষও রয়েছে। মহিলার দেহাবশেষের ডিএনএ বিশ্লেষণ থেকে জানা গিয়েছে, প্রাচীন ইরানি এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় শিকারি-সংগ্রাহকদের সঙ্গে জেনেটিক লিঙ্ক রয়েছে।

    রাখিগড়ি আইকনিক সাইট

    খননের (Haryana) ফলে অগ্নি বেদি ও বলিদানের গর্ত উদ্ধার হয়েছে। এই সবই সেই সময়কার সাংস্কৃতিক অনুশীলনের প্রমাণ বলে এএসআইয়ের কর্তারা মনে করেন। ২০২১ সালে প্রত্নতাত্ত্বিকরা রাখিগড়িতে মোট এগারোটি ঢিবি আবিষ্কার করেছিলেন। এই এলাকাগুলি আরজিআর-১ থেকে আরজিআর ১১ নামকরণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাঁর বাজেট বক্তৃতার সময় যে “পাঁচটি আইকনিক সাইট” এর উল্লেখ করেন, তাঁর মধ্যে রাখিগড়িও একটি। অন্যান্য সাইটগুলি হল উত্তর প্রদেশের হস্তিনাপুর, অসমের শিবসাগর, গুজরাটের ধোলাভিরা এবং তামিলনাড়ুর আদিচানাল্লুর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Panama Canal: মাথাব্যাথা বাড়াচ্ছে চিন! পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প

    Panama Canal: মাথাব্যাথা বাড়াচ্ছে চিন! পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথ পানামা ক্যানেল এখন আমেরিকার মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এই ক্যানেলের (Panama Canal) ওপর বাড়ছে চিনা আধিপত্য! এই খাল ব্যবহারকারী মার্কিন জাহাজগুলি থেকে অন্যায়ভাবে বাড়তি কর আদায় করা হচ্ছে। প্রশান্ত এবং আটলান্টিক মহাসাগরকে যুক্ত করা এই খাল পরিচালনায় চিনের খবরদারি বরদাস্ত করা হবে না বলে বার্তা দিলেন আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। জানিয়ে দিলেন, যদি পানামা প্রশাসন সঠিকভাবে এই খাল পরিচালনা করতে না পারে সেক্ষেত্রে আমেরিকা সেটি ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাবে।

    পানামা নিয়ে চিনকে বার্তা দিলেন ট্রাম্প?(Panama Canal)

    সমুদ্রপথে সারা বিশ্বের মোট পণ্য-পরিবহণের প্রায় ৫ শতাংশের ক্ষেত্রে পানামা খাল (Panama Canal) ব্যবহৃত হয়। এতে দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ উপকূল ঘুরে যেতে হয় না বলে অনেকটা সময় ও জ্বালানি বাঁচে। খালটি তৈরি করেছিল আমেরিকা। ১৯১৪ সালে নির্মাণকাজ শেষের পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা এবং পানামা প্রশাসন যৌথভাবে খালটি পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছিল। ১৯৭৭ সালে আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের আমলে সই হওয়া চুক্তির ফলে ১৯৯৯ থেকে এই খালটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পায় পানামা। কিন্তু, সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প অভিযোগ তুলেছেন, “পানামা খালটি ১১০ বছর আগে ব্যবসার জন্য চালু করা হয়েছিল। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জীবন ও সম্পদের জন্য বিশাল ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল। মূলত, খালটি তৈরির সময় জঙ্গলে মশার কামড়ে ৩৮ হাজার আমেরিকান পুরুষ মারা গিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার এক ডলারের বিনিময়ে খালটি তাঁর কার্যকালের সময় এটি শুধুমাত্র পানামার জন্য দিয়েছিলেন। চিন বা অন্য কারও জন্য নয়।” তাঁর কথায়, “আমাদের নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যের প্রতি অত্যন্ত অন্যায় এবং অবিবেচক আচরণ করা হচ্ছে। এই খালপথ ব্যবহার করতে দেওয়ার বিনিময়ে পানামা আমেরিকার কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে।” তিনি আরও বলেন, “পানামা যে ফি নিচ্ছে, তা হাস্যকর। আমাদের দেশকে নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।”  আমেরিকা ছাড়াও পানামা খাল মূলত ব্যবহার করে চিন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। ট্রাম্পের কথায় ইঙ্গিত, সেখানে চিনের প্রভাব বাড়ছে। ভাবী প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “এই চ্যানেলটি চালাবে শুধুমাত্র পানামা, চিন বা অন্য কেউ নয়। পানামা যদি কাজটা সুরক্ষিত, দক্ষ এবং নির্ভরযোগ্য ভাবে করতে না পারে, তা হলে আমরা দাবি করব, বিনা প্রশ্নে পানামা খাল সম্পূর্ণ ভাবে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক।”

    আরও পড়ুন: ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে ভিয়েতনাম

    পানামার প্রেসিডেন্ট নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন

    পানামার (Panama Canal) প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো ট্রাম্পের বক্তব্যকে তার দেশের সার্বভৌমত্বের অপমান বলে দ্রুত প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, “পানামা খালের প্রতিটি বর্গমিটার এবং আশেপাশের এলাকা পানামার অন্তর্গত। আর তা পানামার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “পানামাবাসীদের অনেক বিষয়ে ভিন্ন মত থাকতে পারে। কিন্তু যখন আমাদের খালের কথা আসে, তখন আমরা সবাই আমাদের পানামানিয়ার পতাকার নীচে একত্রিত হব।” তিনি বিশেষভাবে ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করেই খালের দাম বৃদ্ধির সমালোচনার জবাব দেন। তিনি দাবি করেন যে সরবরাহ-ও-চাহিদার খরচের ওপর ভিত্তি করে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়। “শুল্কগুলি একটি ইচ্ছার ওপর সেট করা হয় না,” তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন এবং তারপরে আরও বেশি জাহাজ ট্রাফিক পরিচালনার জন্য খালটি প্রসারিত করার জন্য পানামার স্বায়ত্ত্বশাসিত উদ্যোগের ওপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “খরার কারণে এই খালের কার্যকলাপে প্রভাব পড়েছিল। এমন একটি কঠিন বছরের পরে খরচ মেটাতে এবং খালের পরিকাঠামো বজায় রাখার জন্য ফি বাড়ানো হয়েছিল।” উল্লেখযোগ্যভাবে, খালটি পানামার অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি এবং এটি সরকারের বার্ষিক রাজস্বের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ উৎপন্ন করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pass-Fail System: পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণিতে ফিরছে পাশ-ফেল, বিজ্ঞপ্তি জারি মোদি সরকারের

    Pass-Fail System: পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণিতে ফিরছে পাশ-ফেল, বিজ্ঞপ্তি জারি মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাশ-ফেল (Pass Fail System) নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে মোদি সরকার (Narendra Modi)। আগের মতো আবারও পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে ফের পাশ-ফেল ফেরাতে চলেছে কেন্দ্র। ২০১৯ সালে শিক্ষার অধিকার আইন (RTE) সংশোধনের পরে কমপক্ষে ১৬টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ইতিমধ্যে দুটি গ্রেডের জন্য ‘নো-ডিটেনশন নীতি’ বাতিল করেছে।

    শিক্ষা মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে কী রয়েছে?(Pass Fail System)

    শিক্ষা মন্ত্রকের (Pass Fail System) তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণির কোনও পড়ুয়া পরীক্ষায় সফল না হলে তাকে ফের সুযোগ দেওয়া হবে। ফল বেরোনোর পর দু’মাসের মধ্যে ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবে অকৃতকার্য হওয়া পড়ুয়া। এই সময়ের মধ্যে তাদের অতিরিক্ত কোচিং দেওয়া হবে। এরপর দ্বিতীয় পরীক্ষায়ও কোনও পড়ুয়া সফল না-হলে তাকে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে না বলে শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “পড়ুয়াকে আটকে রাখার সময়, স্কুলের শিক্ষক প্রয়োজনে পড়ুয়ার পাশাপাশি তার অভিভাবককেও গাইড করবেন এবং মূল্যায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে শেখার ফাঁকগুলি চিহ্নিত করার পরে বিশেষ ইনপুট প্রদান করবেন। তবে শিক্ষা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনও পড়ুয়াকে কোনও স্কুল থেকে বহিষ্কার করা যাবে না, সরকার স্পষ্ট করেছে।

    আরও পড়ুন: ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে ভিয়েতনাম

    কোথায় কোথায় প্রযোজ্য?

    শিক্ষামন্ত্রকের (Pass Fail System) ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের মতে, বিজ্ঞপ্তিটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, নবোদয় বিদ্যালয় এবং সৈনিক স্কুল সহ কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত ৩,০০০-এরও বেশি স্কুলে প্রযোজ্য হবে।” রাজ্যগুলি এই বিষয়ে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ইতিমধ্যেই দিল্লি সহ ১৬টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এই দুটি শ্রেণিতে নো-ডিটেনশন নীতি বাতিল করেছে। এক আধিকারিক বলেন,”হরিয়ানা এবং পুদুচেরি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। বাকি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি নীতিটি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • LIC: এলআইসির কাছে ৮৮০ কোটি টাকা দাবিহীন, কীভাবে গ্রাহকেরা আবেদন করবেন জানেন?

    LIC: এলআইসির কাছে ৮৮০ কোটি টাকা দাবিহীন, কীভাবে গ্রাহকেরা আবেদন করবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলআইসির (LIC) হাতে রয়েছে দাবিহীন ৮৮০ কোটি টাকা। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে জীবন বিমার পলিসির। কিন্তু টাকার কোনও দাবিদার নেই। সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ হয়েছে সংসদে। তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। এখন দাবি না করা বিমার টাকা কীভাবে (How to Apply) গ্রাহক পেতে পারেন সেই বিষয়েও জানিয়েছেন তিনি। আসুন জেনে নিই কীভাবে আবেদন করবেন। 

    গ্রাহকের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়া বিমা সংস্থার দায়িত্ব (LIC)

    কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা সংস্থা ‘লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া’ (LIC)–র মেয়াদ উত্তীর্ণ পলিসির দাবিহীন অর্থের তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “মোট ৩.৭২ লক্ষ গ্রাহক পলিসির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে টাকার দাবি করেননি। ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৮০.৯৩ কোটি টাকা। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ টাকার অঙ্ক কমানোর চেষ্টা করছে এলআইসি। তবে এই টাকা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া বিমা সংস্থার প্রধান কর্তব্য।”

    এলআইসির দাবিহীন টাকাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়

    জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ আর্থিক বছরে মেয়াদ উত্তীর্ণ এলআইসি পলিসির দাবিহীন অর্থের পরিমাণ ছিল ৬৫২ কোটি টাকা। ঠিক তার পরের অর্থবর্ষে ২০২২-২৩ সালে সেই অঙ্ক বেড়ে ৮৯৭ কোটি হয়েছে। সেই সঙ্গে গত আর্থিক বছরেই নিম্নমুখী হয়েছে সূচক। ফলে তা ৮৮০.৯৩ কোটিতে নেমেছে। সাধারণত এলআইসি, পলিসির দাবিহীন টাকাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমত, যাঁরা পলিসির (LIC) মেয়াদ শেষে টাকার দাবি করছেন না। দ্বিতীয় শ্রেণিতে রয়েছে মৃত্যু পরবর্তী দাবি বা ডেথ ক্লেম। এর আবেদন প্রয়াত গ্রাহকের আপনজন বা পরিবারের সদস্যদের করতে হয়। তবে পলেসিতে নাম নমিনি হিসাবে থাকতে হবে। আর তিন হল, পেআউট সংগ্রহে ব্যর্থ হওয়া গ্রাহক। তিন বা তার বেশি বছর সময় ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণ পলিসির টাকার জন্য আবেদন না করলে, ওই টাকাকে দাবিহীন হিসাবে উল্লেখ করে এলআইসি।

    কীভাবে (How to Apply) আবেদন করবেন?

    টানা ১০ বছর টাকার দাবি না করলে সিনিয়র সিটিজ়েন ওয়েলফেয়ার তহবিলে তা স্থানান্তরিত করে রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা সংস্থা (LIC)। প্রসঙ্গত, এই দাবিহীন টাকার জন্য আবেদন করা যায়।

    ১> প্রথমেই এলআইসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে।

    ২> ওয়েবসাইটটির হোমপেজেই মিলবে ‘কাস্টমার সার্ভিস’ নামের অপশন।

    ৩> এর পর তার ভিতরে গেলে ‘অনক্লেইম্ড অ্যাকাউন্ট অফ পলিসিহোল্ডার’ বলে একটি অপশন দেখতে পাবেন গ্রাহক।

    ৪> এবার সেখানে ক্লিক করতে হবে তাঁকে। ওই অপশনে ঢুকে পলিসি নম্বর, নাম, জন্ম তারিখ এবং প্যান কার্ড নম্বর দিয়ে লগ ইন করবেন গ্রাহক। এরপর ডাউনলোড। নিকটবর্তী এলআইসি সেন্টারে জমা দিলে টাকা পাবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 24 december 2024: হঠাৎ করে কোনও চাকরির যোগ আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 24 december 2024: হঠাৎ করে কোনও চাকরির যোগ আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ইচ্ছাপূরণ হওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) অভিনেতারা খুব ভালো সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে অশান্তির জন্য পাড়ার লোকের কাছে হাসির পাত্র হবেন।

    ২) চাকরির স্থানে সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে চিন্তার খবর আসতে পারে।

    ২) বাইরে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কর্কট

    ১) কোনও কারণে উদ্বেগ বাড়তে পারে।

    ২) সংসারের দায়িত্ব দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পিতার সঙ্গে মতান্তর হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) অতিরিক্ত উদারতা দেখালে কাজের ক্ষতি হতে পারে।

    ২) হঠাৎ করে কোনও চাকরির যোগ আসতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    তুলা

    ১) শত্রুর কারণে সকালে মাথাগরম হতে পারে।

    ২) অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটি ভালো।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালবেলাতেই কিছু দান করার জন্য ইচ্ছা হতে পারে।

    ২) অভিভাবকদের পরামর্শ আপনার জন্য কার্যকর হবে।

    ৩) দিনটি ভালো কাটবে।

    ধনু

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য কাজে অনীহা দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষায় সাফল্য পাবেন।

    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান।

    মকর

    ১) সকালে অহেতুক কোনও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    ২) প্রতিবেশীদের হিংসার কারণে কাজে বাধা আসতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে চাপ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) কিছু কেনার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

    ২) শত্রুর সঙ্গে আপস করতে হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mini Pakistan: হিন্দুরা চলে যাচ্ছেন, মিনি পাকিস্তানে পরিণত হচ্ছে আলিগড়ের বানিয়াপাড়া!

    Mini Pakistan: হিন্দুরা চলে যাচ্ছেন, মিনি পাকিস্তানে পরিণত হচ্ছে আলিগড়ের বানিয়াপাড়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিগড়ের (Aligarh) বানিয়াপাড়া থেকে একে একে করে সরে যাচ্ছে হিন্দু পরিবার। এক সময় এই এলাকাকে বলা হত শহরের বৃন্দাবন। ১২টি প্রাচীন মন্দিরের জন্য এই (Mini Pakistan) এলাকা বিখ্যাত। এখানেই রয়েছে বাঁকে বিহারীর মন্দির। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তাহীনতা ও সাম্প্রদায়িক অশান্তির কারণে এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন হিন্দুরা।   

    মন্দির নগরী বানিয়াপাড়া (Mini Pakistan)

    দিল্লি গেট থানার অন্তর্গত বানিয়াপাড়া ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় দিক থেকে বিশাল গুরুত্ব বহন করে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন মন্দির। এর মধ্যে রয়েছে গোবিন্দজির মন্দির, লক্ষ্মণজির মন্দির, সত্যনারায়ণজির মন্দির, শনিদেবের মন্দির এবং তিনটি দেবী মন্দির। বাঁকে বিহারীর মন্দিরও রয়েছে এই এলাকায়। বৃন্দাবনের শ্রদ্ধেয় সন্ন্যাসী হরিদাসজির সঙ্গে সম্পৃক্ত এই মন্দির। এই এলাকাটি হরিদাস নগর নামে পরিচিত। এখানে পাঁচটি প্রাচীন কুয়া রয়েছে, যা এখনও ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হয়।

    মুসলমানের বাড়বাড়ন্ত

    একসময় এই এলাকায় বাস (Mini Pakistan) ছিল বৈশ্য ও ব্রাহ্মণ পরিবারের। গত কয়েক বছরে এর জনসংখ্যার গঠনে বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। বাড়তে থাকা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও ইসলামিক বসতি বৃদ্ধির কারণে হিন্দু পরিবারগুলির মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে অনেকেই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রায় ২৫০টি হিন্দু পরিবারের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রায় এক ডজন পরিবার তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। সেগুলো এখন তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ডেমোগ্রাফিক ডেটা তৈরির আহ্বান অমিত শাহের

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাঁকে বিহারী মন্দির দেখতে এক সময় দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা আসতেন এখানে। সাম্প্রদায়িক হিংসার জেরে ইদানিং কমে গিয়েছে ভক্তদের আনাগোনা। বনিয়াপাড়ার পরিস্থিতি আরও জটিল।  কারণ এলাকার শ্যাম চৌক ও চিরাগ চিয়ানের মতো এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। স্থানীয় হিন্দু পরিবারগুলি নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।বনিয়াপাড়ার জনসংখ্যা হ্রাস শুধু এক স্থানান্তরের গল্প নয়, এটি তার ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য রক্ষার চ্যালেঞ্জগুলির একটি স্মারকও। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে টিকে থাকা প্রাচীন মন্দির ও সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলি এখন অবহেলা ও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে (Aligarh)। ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রক্ষা করতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা (Mini Pakistan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share