Tag: Bengali news

Bengali news

  • Ramakrishna 212: “রক্তের আস্বাদ পেয়ে খেতে আরম্ভ করলে, নূতন বাঘটা বললে, বুঝিছিস, আমিও যা তুইও তা..বনে চলে আয়”

    Ramakrishna 212: “রক্তের আস্বাদ পেয়ে খেতে আরম্ভ করলে, নূতন বাঘটা বললে, বুঝিছিস, আমিও যা তুইও তা..বনে চলে আয়”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৪ঠা জুন

    মণিলাল প্রভৃতি সঙ্গে — ঠাকুর “অহেতুক কৃপাসিন্ধু”

    আহারের পর ঠাকুর একটু বিশ্রাম করিতেছেন। গাঢ় নিদ্রা নয়, তন্দ্রার ন্যায়। শ্রীযুক্ত মণিলাল মল্লিক (পুরাতন ব্রহ্মজ্ঞানী) আসিয়া ঠাকুরকে (Ramakrishna) প্রণাম করিলেন ও আসন গ্রহণ করিলেন। ঠাকুর তখনও শুইয়া আছেন। মণিলাল এক-একটি কথা কহিতেছেন। ঠাকুরের অর্ধনিদ্রা অর্ধজাগরণ অবস্থা। এক-একবার উত্তর দিতেছেন (Kathamrita)।

    মণিলাল—শিবনাথ নিত্যগোপালকে সুখ্যাতি করেন। বলেন, বেশ অবস্থা।

    ঠাকুর তখনও শুইয়া—চক্ষে যেন নিদ্রা আছে। জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “হাজরাকে ওরা কি বলে?” ঠাকুর উঠিয়া বসিলেন। মণিলালকে ভবনাথের ভক্তির কথা বলিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—আহা, তার কি ভাব! গান না করতে করতে চক্ষে জল আসে। হরিশকে দেখে একেবারে ভাব। বলে, এরা বেশ আছে। হরিশ বাড়ি ছেড়ে এখানে মাঝে মাঝে থাকে কিনা।

    মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “আচ্ছা ভক্তির কারণ কি? ভবনাথ এ-সব ছোকরার কেন উদ্দীপন হয়?”

    মাস্টার চুপ করিয়া আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কি জানো? মানুষ সব দেখতে একরকম, কিন্তু কারুর ভিতর ক্ষীরের পোর! যেমন পুলির ভিতর কলাইয়ের ডালের পোরও থাকতে পারে, ক্ষীরের পোরও থাকতে পারে, কিন্তু দেখতে একরকম। ঈশ্বর জানবার ইচ্ছা, তাঁর উপর প্রেমভক্তি — এরই নাম ক্ষীরের পোর।

    গুরুকৃপায় মুক্তি ও স্বরূপদর্শন—ঠাকুরের অভয়দান 

    এইবার ঠাকুর ভক্তদের অভয় দিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মাস্টারের প্রতি)—কেউ কেউ মনে করে, আমার বুঝি জ্ঞানভক্তি হবে না, আমি বুঝি বদ্ধজীব। গুরুর কৃপা হলে কিছুই ভয় নাই। একটা ছাগলের পালে বাঘ পড়েছিল। লাফ দিতে গিয়ে, বাঘের প্রসব হয়ে ছানা হয়ে গেল। বাঘটা মরে গেল, ছানাটি ছাগলের সঙ্গে মানুষ হতে লাগল। তারাও ঘাস খায়, বাঘের ছানাও ঘাস খায়। তারাও “ভ্যা ভ্যা” করে, সেও “ভ্যা ভ্যা” করে (Kathamrita)। ক্রমে ছানাটা খুব বড় হল। একদিন ওই ছাগলের পালে আর-একটা বাঘ এসে পড়ল। সে ঘাসখেকো বাঘটাকে দেখে অবাক্‌! তখন দৌড়ে এসে তাকে ধরলে। সেটাও “ভ্যা ভ্যা” করতে লাগলে। তাকে টেনে হিঁচড়ে জলের কাছে নিয়ে গেল। বললে, “দেখ, জলের ভিতর তোর মুখ দেখ—ঠিক আমার মতো দেখ। আর এই নে খানিকটা মাংস—এইটে খা।” এই বলে তাকে জোর করে খাওয়াতে লাগল। সে কোন মতে খাবে না—“ভ্যা ভ্যা” করছিল। রক্তের আস্বাদ পেয়ে খেতে আরম্ভ করলে। নূতন বাঘটা বললে, “এখন বুঝিছিস, আমিও যা তুইও তা; এখন আয় আমার সঙ্গে বনে চলে আয়।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি করবে যোগী প্রশাসন

    Mahakumbh 2025: প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি করবে যোগী প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) মেলায় হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি করা হবে। গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর মিলন সঙ্গমে ত্রিবেণীতে পুষ্প বর্ষণ করে আধ্যাত্মিক পরিবেশকে আরও চমকপ্রদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পুরাণে উল্লেখ রয়েছে দেবতা এবং অসুরের মিলিত চেষ্টায় সমুদ্র মন্থনের ফলে যে অমৃত উৎপন্ন হয়েছিল, সেই অমৃতের একটি ফোঁটা এই সঙ্গমস্থলে পড়েছিল। তাই এই প্রয়াগরাজের (Prayagraj) পুণ্যভূমিতে স্নান করলে হিন্দু শাস্ত্র মতে সকল পাপের বিনাশ হয় এবং মোক্ষ প্রাপ্তি হয়।

    যোগী উদ্যোগ নিয়েছেন (Mahakumbh 2025)

    এই বছর প্রয়াগরাজে (Prayagraj) মহাকুম্ভকে (Mahakumbh 2025) পূর্ণ কুম্ভ যোগও বলা হয়। ১২ বছর পরপর যে কুম্ভ হয় তাই এবার অনুষ্ঠিত হবে উত্তরপ্রদেশে। মেলার প্রস্তুতি এখন জোর কদমে চলছে। উদ্বোধনে মেলার আধ্যাত্মিক পরিবেশকে আরও চিত্তাকর্ষণীয় করতে এইবারে আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি করা হবে। এই কর্মকাণ্ডকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়ে করার নির্দেশ দিয়েছেন। ভারতীয় হিন্দুদের মহামিলন ক্ষেত্র হল এই কুম্ভমেলা। এই মেলার আভা এবং মহিমাকে বৃদ্ধি করতে এই বিশেষ ভাবনা বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশকে ভাগ করে পৃথক হিন্দুদেশ গড়ার দাবি ভারতের প্রাক্তন সেনা প্রধানের

    প্রশাসনের বক্তব্য

    প্রয়াগরাজের (Prayagraj) বিভাগীয় কমিশনার বিজয়কান্তি বিশ্বাস পন্ত জানিয়েছেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে অতীতেও কুম্ভ মেলা, মাঘ মেলা এবং কানওয়ার যাত্রায় অসংখ্য ধর্মীয় তীর্থযাত্রীদের উপর পুষ্পবৃষ্টি করে শোভা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এবার এই ঐতিহ্যের প্রথাকে আসন্ন মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) মেলায়ও পালন করা হবে। তবে এই পুষ্প বর্ষণ কেবল মাত্র সঙ্গমের ঘাটেই করা হবে না, মেলা প্রাঙ্গণে গঙ্গার সমস্ত ঘাটে এই পুষ্পবৃষ্টি করা হবে।”

    মেলার প্রস্তুতি জোর কদমে চলছে

    উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে যোগীর সরকার গঠনের পর থেকেই ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক নানা ক্ষেত্রে একাধিক বড় বড় পদক্ষেপ দেখা গিয়েছে। ধর্ম জাগরণ, সংস্কৃতির পুনঃস্মরণ, মঠ মন্দিরকে সংরক্ষণ করা সহ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে যোগী সরকারকে। তবে প্রশাসনিক ভাবে বলা হয়েছে, আসন্ন মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) মেলায় দেশে-বিদেশ থেকে আনুমানিক ৪০ কোটি মানুষের জনসমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মেলার প্রস্তুতিকে ঘিরে নিরাপত্তা, সুরক্ষা-সহ একাধিক পরিষেবার কাজ চূড়ান্ত বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘হিন্দুদের কসাই’ ইউনূসের নোবেল সন্মান প্রত্যাহারের দাবিতে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ

    BJP: ‘হিন্দুদের কসাই’ ইউনূসের নোবেল সন্মান প্রত্যাহারের দাবিতে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার বাংলাদেশে আসার পর থেকে হিন্দুদের ওপর লাগাম ছাড়া অত্যাচার চলছে। পাশাপাশি চিন্ময়কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি এবং ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা, এই সবকিছু বিষয়ে চুপ সে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Md Yunus)। এই আবহের মধ্যে ইউনূসের নোবেল সম্মান প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে নোবেল কমিটিতে চিঠি দিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি (BJP) সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। শুধু জ্যোতির্ময় সিং নন, বিভিন্ন মহল থেকে ইউনূসের নোবেল সম্মান ফেরত নেওয়ার দাবি উঠেছে।

    চিঠিতে তিনি কী লিখেছেন?(BJP)

    ইউনূসকে নিয়ে নোবেল কমিটিকে পাঠানো চিঠিটিও বিজেপি (BJP) সাংসদ সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ওখানকার হিন্দুদের ওপর অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে এবং তাঁদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। গণহত্যা থেকে শুরু করে খুঁজে খুঁজে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হানার পাশাপাশি দুর্গাপুজোয় ব্যাঘাত ঘটানো এবং হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’’ চিঠিতে ইউনূসকে ‘হিন্দুদের কসাই’ বলে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘‘এক সময় সমাজ সংস্কারক হিসেবে সম্মনিত ইউনূসকে এখন অনেকে হিন্দুদের কসাই বলে উল্লেখ করছেন। শুধু তাই নয় নিজের ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য ভারত বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন তিনি। তাই, মহম্মদ ইউনূসকে শান্তির জন্য যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল, বর্তমান পরিস্থিতে তা কতটা যথাযথ সেই বিষয়টির পুনর্মূল্যায়ন করা হোক।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘নোবেল সম্মান প্রত্যাহার করা যায় না। কিন্তু আপনাদের নৈতিক দায় সেখানে শেষ হয়ে যায় না। আমার আবেদন তাঁর কৃতকর্মের প্রকাশ্যে নিন্দা করা হোক।’’

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে গ্রামীণ ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন। মহম্মদ ইউনূসের এই অবদানের জন্য তাঁকে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ইউনূসের যা অবদান, তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে শান্তি পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি নোবেল কমিটিকে পর্যালোচনা করে দেখার আবেদন জানান বিজেপি (BJP) সাংসদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kerosene: দেশের কেরোসিন খরচের ৬৭ শতাংশ লাগে বাংলায়! ব্যবহার না পাচার? তৃণমূলকে তোপ বিজেপির

    Kerosene: দেশের কেরোসিন খরচের ৬৭ শতাংশ লাগে বাংলায়! ব্যবহার না পাচার? তৃণমূলকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে ক্ষমতা আসার পর পরই মোদি সরকার শুরু করে উজ্জ্বলা যোজনা। এর ফলে দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে রান্নার গ্যাসের সুবিধা। তবে এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, দেশের মোট কেরোসিন তেলের (Kerosene) চাহিদার মধ্যে বাংলাতেই রয়েছে প্রায় ৬৭ শতাংশ। এ নিয়ে শাসক দল তৃণমূলকে একহাত নিল বিজেপি। এত বিপুল পরিমাণ কেরোসিন তেলের চাহিদা বাংলায় কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতার বক্তব্য, এর কারণ কি দারিদ্রতা, নাকি কালোবাজারি, নাকি অনুপ্রবেশ! তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গকে ৭ লাখ ৪ হাজার ১৬ কিলোলিটার কেরোসিন তেল দেওয়া হয়েছে, বলে সে সময় জানিয়েছিলেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী। সারাদেশের কেরোসিন তেলের চাহিদা ছিল ১০ লক্ষ ৬০ হাজার ৫২৪ কিলোলিটার অর্থাৎ কেরোসিন তেলের ৬৭ শতাংশই এসেছে শুধু পশ্চিমবঙ্গে। অন্যদিকে, বিহার রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে, সেখানে কেরোসিন তেল পৌঁছেছে ৬ শতাংশ।

    অমিত মালব্যর ট্যুইট  

    এক্স হ্যান্ডলে অমিত মালব্য লেখেন, ‘‘ যদি লজ্জার কোনও তালিকা থাকে, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাক শীর্ষে থাকবে। দেশে ব্যবহৃত কেরোসিনের ৬৭ শতাংশ লাগে বাংলায়। এত এলপিজি-র মধ্যেও! কী কারণে এত গ্রাহক (Kerosene)? দারিদ্র্য? কালোবাজারি? নাকি প্রচুর অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, যারা শাসক তৃণমূলের কাছে ভোটব্যাঙ্ক?’’

    কী বলেছিলেন শমীক ভট্টাচার্য? 

    প্রসঙ্গত, বাংলায় (West Bengal) কেরোসিন তেলের (Kerosene) চাহিদা নিয়ে রাজ্যসভায় প্রশ্ন করেন সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। জবাবে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রান্নার কাজ এবং আলোর জন্য এখনও রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কেরোসিন তেল পাঠায় কেন্দ্র। রেশন দোকানের মাধ্যমে তা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যায়। কেন্দ্রের অভিযোগ, বাংলায় পেট্রোল, ডিজেলের মতো জ্বালানিতে ভেজাল হিসেবে কেরোসিন ব্যবহার করা হয়। কেরোসিনের (Kerosene) অপব্যবহার বন্ধ করার জন্য গত জুন মাসেই পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক রাজ্য সরকারকে চিঠি দেয়। এরপরে সাংবাদিকদের রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাংলা পিছিয়ে রয়েছে ভাবলে ভুল হবে। এখান থেকে বিপুল পরিমাণে কেন্দ্রের দেওয়া ভর্তুকিযুক্ত কেরোসিন বাংলাদেশে পাচার হয়। খোঁজ করলে এমন পরিবার পাবেন না, যারা বাড়িতে কেরোসিন (Kerosene) ব্যবহার করেন। অনেকে রেশন থেকে কেরোসিন নেনও না। তবু সবটাই বিক্রি হয়ে যায়!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Office Schemes: পোস্ট অফিসে এখন ঝুঁকি ছাড়াই পাবেন ৭-৮ শতাংশ সুদ, জেনে নিন এই স্কিমগুলি

    Post Office Schemes: পোস্ট অফিসে এখন ঝুঁকি ছাড়াই পাবেন ৭-৮ শতাংশ সুদ, জেনে নিন এই স্কিমগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি শেয়ার বাজারে অস্থিরতা থেকে সরকারি প্রকল্পে (Post Office Schemes) টাকা বিনিয়োগ করে বেশি পরিমাণের রিটার্ন পেতে চাইছেন? তাহলে আজই পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করুন। কোনও রকম ঝুঁকি ছাড়াই (Without Risk) পাবেন ৭-৮ শতাংশের বেশি সুদ। পোস্ট অফিসে এরকম আকর্ষণীয় ৮টি স্কিম রয়েছে। আসুন জেনে নেই স্কিমগুলি সম্পর্কে।

    স্কিম গুলি কী কী

    পোস্ট অফিসে (Post Office Schemes) যে ৮ প্রকার স্কিমগুলি রয়েছে তা হল-পিপিএফ (পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড), মাসিক আয় অ্যাকাউন্ট, সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম, পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (এনএসসি), কিষাণ বিকাশ পত্র (কেভিপি) এবং সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট (এসএসএ)। এই স্কিমগুলিতে বিনিয়োগকারীরা সুদের আয় থেকে আয়কর আইনের ধারা ৮০সি-র অধীনে এক বছরে ১.৫ লক্ষ পর্যন্ত ছাড়ের সুবিধা পেতে পারেন। প্রকল্পগুলিতে সাধারণ স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের অন্তর্গত।

    পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (Post Office Schemes)

    এই স্কিমে (Post Office Schemes) প্রতি বছর ৭.১ শতাংশ সুদ প্রদানের কাজ করে থাকে। আর্থিক বছরে সর্বনিম্ন বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ এবং সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ। পিপিএফ থেকে টাকা তোলার জন্য বিধিনিষেধ রয়েছে। কারণ গ্রাহক অ্যাকাউন্ট খোলার বছর বাদ দিয়ে পাঁচ বছর পর টাকা তুলতে পারেন। এখানে টাকা তোলার পরিমাণ নির্ভর করে চতুর্থ বছরের শেষে বা তার আগের বছরের শেষে জমার পরিমাণে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত।

    মাসিক আয় অ্যাকাউন্ট

    এই স্কিমে (Post Office Schemes) ৭.৪ শতাংশ সুদ দেয়। ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১০০০ টাকা৷ একটি মাসিক আয়ের অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক বিনিয়োগের পরিমাণ সিঙ্গল অ্যাকাউন্টে ৯ লাখ এবং জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ।

    সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম

    এই স্কিমে (Post Office Schemes) বার্ষিক ৮.২ শতাংশ সুদ দেয়। অ্যাকাউন্টে ৩০ লাখের বেশি রাখা যাবে না। ১০০০ টাকা গুণিতকে এককালীন বিনিয়োগ করা যায়।

    পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্ট

    এই প্রকল্পে ব্যক্তিগত বা যৌথ অ্যাকাউন্টে (Post Office Schemes) বার্ষিক ৪ শতাংশ করে রিটার্ন দেয়। তবে খাতা খোলার জন্য সর্বনিম্ন ৫০০ টাকার প্রয়োজন।

    আরও পড়ুনঃ সেনার ৫৩তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না বাংলাদেশ?

    পোস্ট অফিস রেকারিং অ্যাকাউন্ট

    এই স্কিমে বার্ষিক ৬.৭ শতাংশ করে সুদ (Without Risk) দিয়ে থাকে। তবে কেউ কেউ সর্বনিম্ন ১০০ জমা করতে পারে। তবে এখানে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা নেই।

    ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট

    এই স্কিমে (Post Office Schemes) বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি ৭.৭ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়। একজন সর্বনিম্ন ১০০০ বিনিয়োগ করতে পারেন। এখানে অবশ্য সর্বোচ্চ জমার কোনও সীমা নেই।

    সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট

    এটি বার্ষিক ৮.২ শতাংশ সুদ দেয়। একজন আর্থিক বছরে সর্বনিম্ন ২৫০ এবং সর্বোচ্চ ১.৫ লাখ জমা করতে পারবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশকে ভাগ করে পৃথক হিন্দুদেশ গড়ার দাবি ভারতের প্রাক্তন সেনা প্রধানের

    Bangladesh: বাংলাদেশকে ভাগ করে পৃথক হিন্দুদেশ গড়ার দাবি ভারতের প্রাক্তন সেনা প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্রমাগত অত্যাচার চলছে হিন্দুদের ওপর। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ছবি প্রায় দিনই দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য হিন্দুদেশ তৈরির দাবি জানালেন প্রাক্তন সেনা কর্তা জেনারেল জিডি বক্সী (General GD Bakshi)। এ নিয়ে তিনি এক্স হ্যান্ডলে পোস্টও করেছেন। নিজের পোস্টে হিন্দুদেশের অঞ্চল কতটা হবে তাও উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারে ভারত সরকারের পাশাপাশি ব্রিটেন এবং আমেরিকাও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। এবার বাংলাদেশের হিন্দুদের একমাত্র সমাধান হিসেবে হিন্দুদেশ তৈরির দাবি জানালেন জেনারেল জিডি বক্সী। তিনি যে বাংলাদেশের (Bangladesh) মানচিত্রের ছবি পোস্ট করেছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের উত্তর অংশকে হিন্দুদেশ হিসেবে উল্লেখ করা রয়েছে। মূলত রংপুর এবং দিনাজপুর নিয়েই আলাদা দেশ তৈরির দাবি জানিয়েছেন জিডি বক্সী।

    এক্স হ্যান্ডলে কী লিখলেন জিডি বক্সী

    এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে তিনি (General GD Bakshi) লেখেন, “মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীনে বাংলাদেশ উগ্র জেহাদি দেশে পরিণত হয়েছে। গণহত্যা করে ওরা সংখ্যালঘু হিন্দুদের তাড়াতে চাইছে এবং যুদ্ধের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। ১৯৭১ সালে ৩৮০০-রও বেশি ভারতীয় সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনার জওয়ান প্রাণ দিয়েছিলেন খুনি পাক সেনার হাত থেকে এই দেশকে স্বাধীনতা দিতে আত্মবলিদান দিয়েছিলেন। কতটা অকৃতজ্ঞ হতে পারে…যদি ওরা হিন্দু সংখ্যালঘুদের এভাবেই শেষ করতে চায়, তবে এটাই সম্ভাব্য উপায়”

    হিন্দুদের ওপর বেলাগাম অত্যাচার চলছেই বাংলাদেশে

    গত বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রাম (Bangladesh) বিভাগের খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার নিজের বাড়িতে চুমকিরানি দাস নামে এক হিন্দু মহিলাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর ছেলের নাম প্রান্ত দাস। তিনি খাগড়াছড়ির সনাতন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক। তাঁকেও খুব মারধর করা হয়। প্রথমে দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে মাথায় আঘাত করে চুমকিকে। এরপর একে একে শরীর থেকে গয়না খুলে নেওয়া হয়। গলায় থাকা তুলিসীর মালা পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলা হয়। ঘরের টাকা পয়সা লুট করে নেওয়া হয়। আরও জানা গিয়েছে, তিনি সনাতন জাগরণ মঞ্চের সদস্য হিসেবে হিন্দু অস্তিত্ব রক্ষার দাবি তুলেছিলেন। তিনি বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায়ও নেমেছিলেন। তবে হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময় কৃষ্ণদাসকে গ্রেফতার করার পর থেকেই প্রতিবাদীদের নানা ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। এবার শিকার হলেন চুমকি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: এবার বাংলাদেশের স্কুল পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী!

    Bangladesh: এবার বাংলাদেশের স্কুল পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস জমানায় বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাথমিক স্কুলের বই থেকে বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (Bangabandhu Sheikh Mujibur) জীবনী। সূত্রের খবর, তাঁকে নিয়ে লেখা একটি পদ্য এবং তিনটি গদ্য বাদ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির একটি বই সম্পূর্ণভাবে বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী। এর পরিবর্তে বাংলাদেশের ৪ নেতার জীবনী যোগ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে রাসেলকে নিয়ে একটি ইংরেজি গদ্য রয়েছে, সেটিও বাদ দেওয়া হচ্ছে পাঠ্যসূচি থেকে।  জানা গিয়েছে, ‘মুজিব মানে মুক্তি’ কবিতাটি বাদ দেওয়া হচ্ছে।

    অগাস্ট মাস থেকেই মুজিবর রহমানের স্মৃতি মুছে ফেলতে পদক্ষেপ শুরু করে ইউনূস সরকার 

    প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাস থেকেই মুজিবর রহমানের (Bangabandhu Sheikh Mujibur) স্মৃতি মুছে ফেলতে পদক্ষেপ শুরু করে ইউনূস সরকার। ১৫ অগাস্ট তাঁর জন্মদিনে আনুষ্ঠানিক ছুটি বাতিল করে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার। গত অগাস্ট মাসেই জামাত-বিএনপির সমর্থকরা প্রথমে একের পর এক হাতুড়ির ঘা মেরে, পরে আর্থ মুভার দিয়ে ভেঙে ফেলে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি। বাংলাদেশের ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভেঙে জ্বালিয়ে দেয় মৌলবাদীরা। এবার বাংলাদেশের পাঠ্যবই থেকেও বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা শুরু করল ইউনূস সরকার। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর নাম সব জায়গা থেকে মুছে ফেলতে উদ্যোগী ইউনূস সরকার।

    নতুন করে নোটও ছাপছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ব্যাঙ্ক

    অন্যদিকে, নতুন করে নোট ছাপছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ব্যাঙ্ক। আর সেখানে নেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন হাসিনা। এরপরেই তাঁর ভাষণের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে ইউনূস সরকার। অগাস্ট থেকে লাগাতার অত্যাচার চলছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর। এই আবহে এবার পাঠ্যবই থেকে বাদ পড়ল বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা গদ্য-পদ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vijay Diwas 2024: সেনার ৫৩তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না বাংলাদেশ?

    Vijay Diwas 2024: সেনার ৫৩তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না বাংলাদেশ?

    সুশান্ত দাস

     

    আশঙ্কা ছিল। এবার তৈরি হল ধোঁয়াশা। প্রতি বছর ’৭১-এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন উদযাপন করতে ‘বিজয় দিবস’ (Vijay Diwas 2024) পালন করে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। বিশেষ করে এই দিনটির উদযাপনে বাড়তি উদ্দীপনা দেখা যায় কলকাতাস্থিত সেনার ইস্টার্ন কমান্ডে (Army Eastern Command)। কারণ, এই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর (1971 Victory Day) ইস্টার্ন কমান্ডের তৎকালীন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার সামনে আত্মসমর্পণ করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে নিয়াজি। 

    ভারতীয় সেনার পাক-জয়ের বর্ষপূর্তি

    ভারতীয় সেনার পাক-জয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের স্মরণে প্রতি বছর নিয়ম করে এই দিবস (Vijay Diwas 2024) পালিত হয়ে আসছে। আর এই উৎসবে যোগ দিতে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের (Bangladeshi Muktijoddhas) দল, বাংলাদেশ সেনার পদস্থ কর্তারা এবং তাঁদের পরিবার-পরিজন উপস্থিত হন কলকাতায়। এমনকী, উপস্থিত থাকেন সেদেশের মন্ত্রী থেকে শুরু করে কলকাতাস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার। 

    ‘‘এ বিষয়ে পরে জানানো হবে’’

    কিন্তু, এ বছর ছন্দপতন। কারণ, আগামী ১৬ ডিসেম্বর, ভারতীয় সেনার আয়োজিত বিজয় দিবসের (Vijay Diwas 2024) অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কোনও প্রতিনিধিদল হয়ত আসছে না। হয়ত, এই শব্দ ব্যবহার করতে হল কারণ, শুক্রবার সেনার তরফে স্পষ্ট করে কিছুই জানানো হয়নি এ বিষয়ে। এদিন কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামস্থিত সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের কর্তা মেজর জেনারেল অফ জেনারেল স্টাফ (এমজিজিএস) মোহিত শেঠকে আসন্ন বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি ছোট্ট উত্তরে বলেন, ‘‘এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।’’ ফলত, সেনার এই কথায় ধোঁয়াশা জিইয়ে থাকল।

    বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল আসবে কি?

    তবে, সেনার অন্য সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বছর বিজয় দিবস (Vijay Diwas 2024) অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনী বা বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ করার সম্ভাবনা কার্যত নেই। ফোর্ট উইলিয়ামের এক সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও), বিদেশ মন্ত্রক বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এখনও কোনও সবুজ সঙ্কেত আসেনি। কোনও বার্তা আসেনি বাংলাদেশের তরফেও। ফলে, বিষয়টা কার্যত পরিষ্কার যে— ভারতীয় সেনার ৫৩তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না বাংলাদেশ। 

    উপস্থিত না থাকার কারণ?

    উপস্থিত না থাকার কারণ? সেটা আরও পরিষ্কার। ফোর্ট উইলিয়ামের কোনও সেনাকর্তা এ বিষয়ে মুখ না খুললেও, তা বোঝার জন্য রকেট সায়েন্স জানার প্রয়োজন নেই। কারণটা অবশ্যই, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলা কূটনৈতিক টানাপোড়েন। যার শুরুটা হয়েছিল শেষ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই। পরবর্তীকালে, যা আরও জটিল আকার ধারণ করে যখন প্রতিবেশি রাষ্ট্রে নির্বিচারে হিন্দু-নিধন ও নিপীড়ন শুরু করে দেয় কট্টরপন্থী ইসলামি মৌলবাদীরা। হামলা চলেছে মন্দিরে। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিগ্রহ। লোপাট হচ্ছে গয়না। ভূলুণ্ঠিত হিন্দু মা-বোনেদের আব্রু। যত্রতত্র লুটপাট করা হয়েছে হিন্দুদের সম্পত্তি। নির্বিচারে হত্যালীলা চলেছে। কোথাও জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়, যখন হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় দাস প্রভুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীর মামলা ঠুকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কারণ, তিনি সেদেশে অত্যাচারিত ও দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া হিন্দুদেরকে লড়াইয়ের সাহস জুগিয়েছিলেন। অত্যাচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য হিন্দুদেরকে আহ্বান করেছিলেন চিন্ময়। ভারতের তরফে তাঁর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করা হয়। 

    বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ বৃদ্ধি

    শুধু সেদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের ওপর মৌলবাদীরা হামলা চালাচ্ছে তাই নয়। পদ্মাপাড়ে ক্রমাগত বাড়তে থাকা ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের ঘটনাতেও অসন্তুষ্ট দিল্লি। সম্প্রতি, সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে যে, সেদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে ভারতীয় পতাকা সকলে পায়ে মাড়িয়ে তার ওপর দিয়ে হাঁটছে। আবার, আগরতলা থেকে কলকাতাগামী বাসে হামলা চালাচ্ছে মৌলবাদীরা। বাসে ভারতীয় যাত্রীদের হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রভাব গিয়ে পড়ে আগরতলায়। হামলার প্রতিক্রিয়ায় আগরতলাস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাই-কমিশনের দফতরে বিক্ষোভ দেখাতে উত্তেজিত জনতা (Vijay Diwas 2024)। কয়েকজন ভিতরেও ঢুকে পড়ে। ভারত কিন্তু, এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেও, বাসে হামলার ঘটনায় কোনও দুঃখপ্রকাশ করেনি বর্তমানে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তদারকি সরকার। এখানে এখন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করছে পাকিস্তান। যাদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে একাত্তরে যুদ্ধ (1971 Bangladesh Liberation War) করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল সেদেশের মানুষ। বাংলাদেশের বন্দরে এখন আসছে পাকিস্তানের জাহাজ। ৫৩ বছরে এই প্রথম। কারণ, এই বাংলাদেশ আর আগের বাংলাদেশ নয়। বর্তমানে তারা পুরোটাই চালিত হচ্ছে মৌলবাদী জামাত ও কট্টরপন্থী বিএনপির নির্দেশমতো।

    ভুল বার্তা এড়াতেই কি?

    এই পরিস্থিতিতে, কেন্দ্রের শীর্ষ নেতৃত্ব যদি বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে থেকে থাকে, তাহলে তা আদ্যান্ত যথার্থ। কারণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতীয়দের মধ্যে, বিশেষ করে বঙ্গবাসীদের ও বাংলাভাষীদের মধ্যে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ নিয়ে একটা নেতিবাচক ভাবধারা জন্মেছে। অধিকাংশের মনে রাগ, ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, সেনার অনুষ্ঠানে (Vijay Diwas 2024) বাংলাদেশের উপস্থিত হলে হয়ত একটা ভুল বার্তা যেত জনমানসে। দেশের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তা বিলক্ষণ জানেন ও বোঝেন যে, দেশবাসীর ভাবাবেগে অবশ্যই আঘাত লাগবে। ফলে, অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য তাঁরা যদি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে, তা সমর্থনযোগ্য। 

    দুদেশের কূটনৈতিক যুদ্ধ

    সেনার এক প্রাক্তন কর্তা দাবি করেন, মুক্তিযোদ্ধারা (Bangladeshi Muktijoddhas) বর্তমান বাংলাদেশে আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁরা কেউ আসতে চাইছেন না। বা আসা সম্ভব নয়। এটা আংশিক সত্য হলেও, পুরোটা নয়। কারণ, মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যক্তিগতস্তরে আমন্ত্রণ পাঠানো হয় না। যা করা হয়, ভারতের প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে। ফলত, যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই মুহূর্তে সৌহার্দ্যের সম্পর্ক কার্যত রসাতলে, যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক যুদ্ধ চলছে, তাদের এই আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর কোনও গ্রহণযোগ্য যুক্তি নেই। যে দেশে ভারতীয় পতাকার অসম্মান হয়, বিজয় দিবসের (Vijay Diwas 2024) উদযাপনে সেই দেশের প্রতিনিধিদলকে এদেশে ডেকে এনে অতিথি আপ্যায়ন করার কোনও প্রয়োজন আছে কি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahaparinirvan Diwas: আম্বেদকরের কাছে ভারতীয় আধ্যাত্মবাদই সামজিক সাম্যতার মূলসূত্র, মার্কসবাদ নয়, কেন জানেন?

    Mahaparinirvan Diwas: আম্বেদকরের কাছে ভারতীয় আধ্যাত্মবাদই সামজিক সাম্যতার মূলসূত্র, মার্কসবাদ নয়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ৬ ডিসেম্বর বাবা সাহেব আম্বেদকরের (Dr. Ambedkar) মহাপ্রয়াণ দিবস (Mahaparinirvan Diwas)। তিনি ভারতের সংবিধানের খসড়া রচনা করে পিছিয়ে থাকা বর্গের মানুষের অধিকার এবং কর্তব্য নিয়ে দীর্ঘ সংগ্রাম করেছিলেন। সামাজিক বৈষম্য, ন্যায় বিচার, জাতপাত, অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন করেছিলেন। আজের দিনকে তাই সামাজিক সমতা দিবসও বলা হয়। তাঁকে পণ্ডিত নেহেরু পরিচালিত কংগ্রেস সরকার সেই মান্যতা কোনও দিন দেয়নি। তবে তিনি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করলেও, ভারতীয় সংস্কৃতিকে ত্যাগ করেননি, বৌদ্ধ ধর্মকে গ্রহণ করেছিলেন। একই ভাবে পাশ্চাত্য মার্কসবাদ এবং কমিউনিজেমের মিথ্যাচার, বৈষম্য, বিভাজন, লিঙ্গ বৈষম্যের, পুঁজিবাদ, শ্রেণী শত্রুর মতো ভাবনার বিরুদ্ধে নিজের স্পষ্ট মত রেখেছিলেন।

    ভারতীয় সভ্যতার একটা গড়ন রয়েছে (Mahaparinirvan Diwas)

    বাবা সাহেব (Mahaparinirvan Diwas) খুব নিবিড় ভাবে বুঝতে সক্ষম হয়েছিলেন যে ভারতের সংস্কৃতি, সমাজতত্ত্ব, দর্শন, আধাত্মবাদকে পাশ্চাত্য ভাবনার আদলে দেখলে চলবে না। প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের ভূ-খণ্ডের স্থান-কাল-পাত্র এক রকম নয়। মার্কসের শ্রেণী সংগ্রাম, ঐতিহাসিক বস্তুবাদ, দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ, পুঁজি, উদ্বৃত্ত মূল্য, শ্রেণী শোষণের এবং দুনিয়ার মজদুর এক হও – এই সব ভাবনা দিয়ে ভারতীয় সমাজ-সংস্কৃতি এবং জীবন অভিপ্রায়কে বোঝা সম্ভব নয়। পুঁজিবাদকে উৎখাত করতে শ্রেণী সংগ্রাম, বিপ্লবের ভাবনা ইউরোপে কাজ করলেও ভারতবর্ষের সমাজ মনের পরিবর্তন এই ভাবে সম্ভব নয়। ভারতীয় জতি, বর্ণ, ধর্মের নানা সাংস্কৃতিক স্তরের মাত্রা রয়েছে। ভারতীয় সভ্যতার নিজেস্ব কিছু মানদণ্ড রয়েছে তাকে নজর না রেখে পাশ্চাত্য ভাবনাকে চাপিয়ে দেওয়াকে কোনও দিন ঠিক বলে মনে করতেন না বাবা সাহেব (Dr. Ambedkar)। কারণ ভারতীয় সভ্যতার নিজেস্ব গড়ন রয়েছে। ভারতীয় সমাজের সমস্যাকে সমাধান করতে ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন।

    কমিউনিজেম সামজিক বৈষম্যের জন্মদেয়

    মার্কসবাদী তাত্ত্বিকেরা বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে মিলিয়ে সমাজের সাম্যতাকে ব্যাখ্যা করে থাকেন। কিন্তু বাবা সাহেব (Dr. Ambedkar) মানতেন যে বৌদ্ধ ধর্মের সাম্য, করুণা, অহিংসার সঙ্গে কমিউনিজেম বা মার্কসবাদের তেমন কোনও সামঞ্জস্য নেই। কারণ মার্কসবাদ যেভাবে সামাজিক অর্থনীতি, শ্রমিক, পুঁজিবাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নির্মাণ করে শ্রেণীশোষণকে হাতিয়ার করে বিপ্লববাদের জন্ম দিয়ে পরিবর্তন আনতে চায়, তাতে কতকগুলি আরও গভীর সমস্যার জন্ম দেয়। সমাজের সর্বহারা তত্ত্বের মধ্যে দিয়ে এক বর্গের মানুষের সঙ্গে অপর আরেক বর্গের মানুষের মধ্যে বিরাট প্রভেদ সৃষ্টি হয়। এই আর্থিক পরিবর্তন এবং বিপ্লবের সঙ্গে বৌদ্ধধর্মের অহিংসা, সাম্য এবং করুণার কোনও সম্পর্ক নেই। কামিউনিজেম দ্বারা সামাজিক বর্ণ বৈষম্য, জাতি বৈষম্য এবং আর্থিক বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পায়। হিংসা বাড়ে, বিপ্লবের নামে যুদ্ধ সংগ্রাম হয়। সমাধানের কোনও রাস্তা আসে না। অপর দিকে বৌদ্ধ ধর্ম অনেক বেশি শান্তিপূর্ণ সামাজিক অবস্থানের কথা বলে। নির্বাণ (Mahaparinirvan Diwas) বা মুক্তি বা সংযম ব্যক্তি নির্ভর, তা ব্যক্তি থেকে সমাজের মুক্তির কথা বলে।

    আধ্যাত্মবাদের মধ্যে কীভাবে লুকিয়ে রয়েছে সাম্যবাদ

    বাবা সাহেব (Dr. Ambedkar) বৌদ্ধ ধর্মের প্রাসঙ্গিকতাকে ভারতের জন্য আদর্শ বলে মনে করেছিলেন। কারণ এই ধর্ম অশান্তি নয় সম্প্রীতি এবং অহিংসার কথা বেশি বলে। সামাজিক ন্যায় বিচার সহানুভূতি দিয়ে আন্তরিক কাঠামোকে নির্মাণ করা প্রয়োজন। সাম্য এবং ভাতৃত্বনীতির উপর মূল্যবোধের কাঠামোকে নির্মাণ করতে হবে। তিনি বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে বলেছিলেন, “বৌদ্ধধর্ম হল একটি সর্ব শ্রেষ্ঠ উপহার, যা ভারত বিশ্ববাসীকে দিয়েছে। এই ধর্ম আমাদের শেখায় যে অসমতার নিরাময় হিংসার দ্বারা নয়, পরস্পরের মধ্যে শান্তি, ভালোবাসা এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমে সম্ভব।” ফলে বৌদ্ধ ধর্মই পারে একমাত্র সামাজিক ভাবে জাতপাতের শৃঙ্খলকে ভেঙে ফেলতে। সত্যকারের সাম্যবাদী সমাজ গঠনের চাবিকাঠি ভারতীয় দর্শন এবং আধ্যাত্মবাদের মধ্যে কীভাবে লুকিয়ে রয়েছে, তার অন্বেষণ করেছেন তিনি। তাই বাবা সাহেব নির্বাণের (Mahaparinirvan Diwas) আগের মুহূর্ত পর্যন্ত মার্কসবাদকে গ্রহণ করেননি। গ্রহণ করেছেন ভারতীয় ধর্ম দর্শন এবং সংস্কৃতিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: চট্টগ্রামে বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে খুন! ছেঁড়া হয় তুলিসীর মালা, চলে দেদার লুটপাট

    Bangladesh: চট্টগ্রামে বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে খুন! ছেঁড়া হয় তুলিসীর মালা, চলে দেদার লুটপাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাগাতার বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু নিধন অব্যাহত। এবার চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে এক হিন্দু মহিলাকে (Hindu woman) নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে মৃত মহিলা চিন্ময় প্রভুর সনাতন জাগরণ মঞ্চের সদস্যা ছিলেন। জামাত, বিএনপি, হিজবুল তাহেরির, ছাত্র শিবির, ইউনূস প্রশাসন এবং সেনা বাহিনী একযোগে অত্যাচার, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নি সংযোগ, মন্দির ভাঙা ইত্যাদিতে যে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দিচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এক কথায় পাকিস্তানের মতো এবার বাংলাদেশকে হিন্দু শূন্যের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়।

    সনাতন জাগরণ মঞ্চের সদস্য ছিলেন (Bangladesh)

    গত বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রাম (Bangladesh) বিভাগের খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার নিজের বাড়িতে চুমকিরানি দাস নামে এক হিন্দু মহিলাকে (Hindu woman) নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর ছেলের নাম প্রান্ত দাস। তিনি খাগড়াছড়ির সনাতন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক। তাঁকেও খুব মারধর করা হয়। প্রথমে দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে মাথায় আঘাত করে চুমকিকে। এরপর একে একে শরীর থেকে গয়না খুলে নেওয়া হয়। গলায় থাকা তুলিসীর মালা পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলা হয়। ঘরের টাকা পয়সা লুট করে নেওয়া হয়। আরও জানা গিয়েছে, তিনি সনাতন জাগরণ মঞ্চের সদস্য হিসেবে হিন্দু অস্তিত্ব রক্ষার দাবি তুলেছিলেন। তিনি বাংলাদেশে হিন্দু ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায়ও নেমেছিলেন। তবে হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময় কৃষ্ণদাসকে গ্রেফতার করার পর থেকেই প্রতিবাদীদের নানা ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। এবার শিকার হলেন চুমকি।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে তুরস্কের ড্রোন মোতায়েন করল বাংলাদেশ, সতর্ক ভারত

    লাগাতার হিন্দু নিধন চলছেই

    জানা গিয়েছে, আগে সামাজিক মাধ্যমেও বেশ কয়েকবার হুমকি দেওয়া হয়েছিল চুমকি দেবীকে। হিন্দু সংগঠনের সব রকম কর্মকাণ্ডকে প্রশাসনিক ভাবে যেমন কঠোর ভাবে দমন করা হচ্ছে, একই ভাবে কট্টর মুসলমান মৌলবাদীরা প্রকাশ্যে হিন্দু নিধনের কর্মযজ্ঞকেও নেতৃত্ব দিচ্ছে। অপর দিকে শান্তির জন্য নোবেল প্রাপক মহম্মদ ইউনূস হিংসাকে প্রশ্রয় দিয়ে উৎসাহদানের কাজ করছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীদের পর্যন্ত আদালতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। চলছে লাগাতার খুন-ধর্ষণ। এক কথায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। 

    উল্লেখ্য মাত্র কিছু দিন আগেই খাগড়াছড়িতে (Bangladesh) মৌলবাদীরা আক্রমণ করে বৌদ্ধ চাকমা এবং হিন্দু ত্রিপুরী সম্প্রদায়ের উপর হামলা করেছিল। সেখানে দুষ্কৃতীরা ২০০টির বেশি দোকান, বাড়ি, মঠ, মন্দির পুড়িয়ে দিয়েছিল। একই ভাবে ওই অঞ্চলের সংখ্যালঘু ৩ জন বৌদ্ধকে খুনের ঘটনাও ঘটেছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share