Tag: Bengali news

Bengali news

  • Amit Shah: “বাংলায় এসআইআর হবেই”, মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অনড় বার্তা অমিত শাহের

    Amit Shah: “বাংলায় এসআইআর হবেই”, মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অনড় বার্তা অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় এসআইআর হবেই।” এবার মমতাকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জবাব দিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা এবং ভুয়ো ভোটারদের ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন নিবিড় সংশোধন করবে। আর এই কাজের সরাসরি বিরোধিতা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতার দাবি, কেন্দ্র নাকি এসএইআর-কে হাতিয়ার করে এনআরসি করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও নাগরাকাটায় সাফ জানিয়েছেন, এসআইআর-এ (SIR) বাধা দিলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে রাজ্যে।

    জালিয়াতি রুখতে এসআইআর

    প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে নভেম্বরেই বিধানসভা নির্বাচন। ওই রাজ্যে এসআইআর-এর কারণে ৬৭ লক্ষের বেশি অবৈধ নাম বাদ পড়েছে। নির্বাচনের আবহেই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রসঙ্গ নিয়ে আজতক সংবাদ মাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “বিহারেও অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব একই কথা বলেছিলেন। সেখানেও সকলেই নথি জমা দিয়েছেন। এখন নির্বাচনও হবে। আর একই বিষয় বাংলাতেও হবে। ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব পড়বে, তাই বিরোধীদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনে জালিয়াতি রুখতে এসআইআর (SIR) একান্ত প্রয়োজন।” শাহ খুব স্পষ্ট করে বলে দেন বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর হবেই।

    ১৯৫৩ সালে এই কাজ শুরু হয়েছে

    বাংলায় এসআইআর ইস্যু নিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “দেশে এই প্রথমবার এসআইআর (SIR) হচ্ছে না। ১৯৫৩ সালে এই কাজ শুরু হয়েছে। অর্থাৎ রাহুল গান্ধির ঠাকুমার বাবার আমল থেকেই এই কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের সংবিধান নির্মাতারাই এই ব্যবস্থা তৈরি করে দিয়ে গেছেন। ভোটার তালিকাকে সংশোধন করতেই এই কাজ করা হয়। গত ১০, ১২ এবং ১৭ বছরে অনেক ভোটারদের মৃত্যু হয়েছে। এই সত্য হয়তো রাহুলকে কেউ বলেননি। এমন অনেকে রয়েছেন যারা কাজের জন্য ঠিকানা বদল করে নিয়েছে। এই সমস্ত ভোটারদের নাম বাতিল করা প্রয়োজন। তাই এসআইআর হবেই।”

  • Ramakrishna 482: “এদের কি বাড়ি ঘর-দোর নাই? আর কাজকর্ম নাই? এরা আসে কেমন করে?”

    Ramakrishna 482: “এদের কি বাড়ি ঘর-দোর নাই? আর কাজকর্ম নাই? এরা আসে কেমন করে?”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    কামিনী-কাঞ্চন ও তীব্র বৈরাগ্য

    “আর তোমার তো ছেলেপুলে নাই যে মন অন্যমনস্ক হবে। একজন ডেপুটি, আটশো টাকা মাইনে, কেশব সেনের বাড়িতে (নববৃন্দাবন) নাটক দেখতে গিছল। আমিও গিছলাম, আমার সঙ্গে রাখাল আরও কেউ কেউ গিছল। নাটক শুনবার জন্য আমি—যেখানে বসেছি তারা আমার পাশে বসেছে। রাখাল তখন একটু উঠে গিছল। ডেপুটি এসে ওইখানে বসল। আর তার ছোট ছেলেটিকে রাখালের জায়গায় বসালে। আমি বললুম, এখানে বসা হবে না,—আমার এমনি অবস্থা যে, কাছে যে বসবে সে যা বলবে তাই করতে হবে, তাই রাখালকে কাছে বসিয়েছিলাম। যতক্ষণ নাটক হল ডেপুটির কেবল ছেলের সঙ্গে কথা। শালা একবারও কি থিয়েটার দেখলে না! আবার শুনেছি নাকি মাগের দাস—ওঠ বললে ওঠে, বোস বললে বসে,—আবার একটা খাঁদা বানুরে ছেলের জন্য এই… তুমি ধ্যান-ট্যান তো কর?”

    মহেন্দ্র—আজ্ঞে, একটু একটু হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—যাবে এক-একবার?

    মহেন্দ্র (সহাস্যে)—আজ্ঞে, কোথায় গাঁট-টাঁট আছে আপনি জানেন,—আপনি দেখবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—আগে যেও।—তবে তো টিপে-টুপে দেখব, কোথায় কি গাঁটি আছে! যাও না কেন?

    মহেন্দ্র—কাজকর্মের ভিড়ে আসতে পারি না,—আবার কেদেটির বাড়ি মাঝে মাঝে দেখতে হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করিয়া, মহেন্দ্রের প্রতি)—এদের কি বাড়ি ঘর-দোর নাই? আর কাজকর্ম নাই? এরা আসে কেমন করে?

    হরি—আজ্ঞা, না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তবে কেন ভুলে গেলি?

    হরি—আজ্ঞা, অসুখ করেছিল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের)—কাহিল হয়ে গেছে,—ওর ভক্তি তো কম নয়, ভক্তির চোট দেখে কে! উৎপেতে ভক্তি। (হাস্য)

    ঠাকুর একটি ভক্তের পরিবারকে ‘হাবীর মা’ বলতেন। হাবীর মার ভাই আসিয়াছে, কলেজে পড়ে, বয়স আন্দাজ কুড়ি। তিনি ব্যাট খেলিতে যাইবেন,—গাত্রোত্থান করিলেন। ছোট ভাইও ঠাকুরের ভক্ত, সেই সঙ্গে গমন করিলেন। কিয়ৎ পরে দ্বিজ ফিরিয়া আসিলে ঠাকুর বলিলেন, “তুই গেলিনি?”

    একজন ভক্ত বলিলেন, “উনি গান শুনিবেন তাই বুঝি ফিরে এলেন।”

    আজ ব্রাহ্মভক্ত শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্যের গান হইবে। পল্টু আসিয়া উপস্থিত। ঠাকুর বলিতেছেন, কে রে,—পল্টু যে রে!

  • Gujarat: গুজরাট মন্ত্রিসভায় বিরাট রদবদল, বহু নতুন মুখ, মন্ত্রী হলেন ক্রিকেটার জাডেজার স্ত্রী

    Gujarat: গুজরাট মন্ত্রিসভায় বিরাট রদবদল, বহু নতুন মুখ, মন্ত্রী হলেন ক্রিকেটার জাডেজার স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে (Gujarat) বিজেপি সরকারের বড়সড় প্রশাসনিক রদবদলে ২৬ জন নতুন মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেছে। মন্ত্রী পদে একাধিক নতুন মুখ উঠে এসেছে। যার মধ্যে বিশেষ চমক রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা জাদেজা। তবে মন্ত্রীপরিষদে এই রদবদলের আগে মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel) ছাড়া বাকি সমস্ত মন্ত্রীকে ইস্তফাপত্র দিতে হয়েছিল। ২০২৭ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এক কৌশলগত রণনীতির প্রয়োগ করেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। নরেন্দ্র মোদির হাত ধরেই লাগাতার গুজরাটে একক ভাবে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তাই আগামী নির্বাচনে বিজেপির জয়কে আরও সুনিশ্চিত করতে আড়াই বছরের মাথায় এই রদবদল বিরাট ইঙ্গিত দেবে বলে মনে করেছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

    ২৬ জন মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেছেন (Gujarat)

    বৃহস্পতিবার গুজরাট (Gujarat) বিজেপির এক প্রবীণ বিজেপি নেতা সাংবাদিক সম্মলেন করে জানিয়েছিলেন, দুপুরের মধ্যে সমস্ত মন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র দেবেন। সেই মতোই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে দফতরও খালি করাও হয়েছিল। এরপর মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel) রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং নতুন মন্ত্রিসভার নাম সহ তালিকা জমা করেছিলেন। শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে গুজরাটের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হর্ষ সাংভি শপথ গ্রহণ করেন।

    নতুন মন্ত্রীসভায় ভুপেন্দ্রের নেতৃত্বে মোট ২৬ জন মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেছেন। মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ত্রিকম বিজলি ছাঙ্গা, স্বরূপজি সরদারজি ঠাকোর, প্রভেণকুমার মালি, রুষিকেশ গণেশভাই প্যাটেল, পিসি বারাণ্ডা, দর্শনা এম ভাগেলা, কান্তারতালাল শিবলাল আমরুতিয়া, কুন্বরজি মোহনভাই বাভালিয়া, রিভাবা রবীন্দ্রসিনহ্ জাদেজা, অর্জুনভাই দেবাভাই মোঢ ভাডিয়া, ড. প্রদ্যুমান বাজা, কৌশিক কান্তিভাই ভেজারিয়া, পুরুষোত্তম ও. সোলাঙ্কি এবং জিতেন্দ্রভাই সাভজিভাই ভাগানি।

    এছাড়াও মন্ত্রী সভায় রয়েছেন রামনভাই ভিখাভাই সোলাঙ্কি, কামলেশভাই রমেশভাই প্যাটেল, সঞ্জয়সিনহ্ রাজয়সিনহ্ মাহিদা, রমেশভাই ভুরাভাই কাটারা, মনীষা রাজীবভাই ভাকিল, ঈশ্বরসিনহ্ ঠাকোরভাই প্যাটেল, প্রফুল পন্সেরিয়া, হর্ষ সাংঘভি (উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন), ড. জয়রামভাই চেমাভাই গামিত, নরেশভাই মাগনভাই প্যাটেল এবং কানুভাই মোহনলাল দেশাই। ১৮২ বিধানসভা আসনবিশিষ্ট গুজরাটের সর্বোচ্চ ২৭ জনকে মন্ত্রী করা যায়। আগের মন্ত্রীসভায় মোট ১৭ জন সদস্য ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও আটজন পূর্ণমন্ত্রী এবং আটজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এইবারে সংখ্যাটা বৃদ্ধি হওয়ায় একে সম্প্রসারণই বলা যায়।

    ফের ২০২৭ সালে ক্ষমতায়নের লক্ষ্য

    নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে জাতি ভিত্তিক অঙ্ককেও মাথায় রেখে সমীকরণ করা হয়েছে। গুজরাটের (Gujarat) নতুন মন্ত্রীসভায় আটজন সদস্য ওবিসি তালিকা ভুক্ত। যার মধ্যে ছয়জন গুজরাটের প্রভাবশালী পাটিদারগোষ্ঠীর মানুষ। চারজন আদিবাসী সম্প্রদায় ভুক্ত, তিনজন তফশিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। মন্ত্রীদের মধ্যে দুজন ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়, একজন ব্রাহ্মণ আর একজন জৈন। গুজরাট বিজেপির পর্যবেক্ষকদের অবশ্য মত নতুন মন্ত্রীসভা গঠনে দল আরও মজবুত হবে। দলের সাংগঠনিক কাজের গতি আরও বৃদ্ধি পাবে। সরকারের নানা জনমুখী প্রকল্পের বাস্তবায়ন আরও দ্রুত হবে। রাজনৈতিক, প্রশাসনিক এবং সাংগঠনিক ভাবে বিজেপির শক্তিকে ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে আরও সুদূরপ্রসারী করতেই দলের এই সিদ্ধান্ত বলে বলে মনে করেছেন বিশেজ্ঞরা।

    রাজনৈতিক ওঠা-পড়া

    গুজরাটে (Gujarat) বিজেপির সাংগঠনিক এবং প্রশাসনিক রদবদল অবশ্য নতুন কিছু নয়। আগেও একাধিকবার পট পরিবর্তন হয়েছে। ২০১৪ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন আনন্দীবেন প্যাটেল। তিনি অবশ্য পরবর্তী সময়ে উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হন। কিন্তু ২০১৬ সালের অগাস্ট মাসেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে পদত্যাগপত্র দিলে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেন বিজয় রুপাণী। বিজয়ের নেতৃত্বে সেই বছর বিধানসভা নির্বাচন লড়ে বিজেপি। কিন্তু বিজয়কে ২০২১ সালে দলের নির্দেশে নির্বাচনের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হন ভুপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel) এবং তাঁর নেতৃত্বে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসে। ২০২৭ সালের গুজরাট নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিজেপির এই রণকৌশল আরও সাফল্য অর্জন করবে বলে আত্মবিশ্বাসী বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।

  • Suvendu Adhikari: এসএইআর করতে না দিলে বাংলায় হবে রাষ্ট্রপতি শাসন”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এসএইআর করতে না দিলে বাংলায় হবে রাষ্ট্রপতি শাসন”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এসএইআর করতে না দিলে বাংলায় হবে রাষ্ট্রপতি শাসন”, মমতা সরকারের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে ঠিক এইভাবেই আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নাগরাকাটায় বন্যাবিধস্থ এলাকায় ত্রাণ পরিষেবা দিতে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আবারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য নাগরাকাটায় বন্যাকবলিত মানুষকে ত্রাণ দিতে গিয়ে মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা মারত্মাক ভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর থেকেই বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে।

    বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা এবং ভূতুড়ে ভোটার বাদ (Suvendu Adhikari)

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী নাগরাকাটায় গিয়ে বলেন, “বাংলায় এসএইআর করতে না দিলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। নিবিড় সংশোধন হলে তালিকা থেকে বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা এবং ভূতুড়ে ভোটারদের নাম বাদ যাবে। তবে এক্ষেত্রে ভারতীয় মুসলমানদের নাম বাদ যাবে না। ছাব্বিশে বিজেপি ক্ষামতায় এসে সরকার গড়বে, তারপর বদলাও হবে এবং বদলও হবে।” এদিন এলাকায় ধিক্কার মিছিল করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু আরও বলেন, “২৬ সালে হলেই সুদে আসলে বদলা হবে। কালী পুজোর পরই বামনডাঙায় অভিযান হবে। সবে তো ট্রেলার দেখিয়েছি, এরপর সিনেমা দেখাব।”

    সময় শেষ হওয়ার আগেই মমতা সরকারের পতন?

    ভোটার তালিকায় সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশন এবং মমতা সরকারের নানা স্তরের সংঘাত নজরে এসেছে। এসআইআর নিয়ে খোদ মমতা (Mamata Banerjee) একাধিকবার সোচ্চার হয়েছেন। গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের একাধিক আধিকারিকরা বৈঠক করে সবরকম প্রস্তুতি করে গিয়েছেন। কালীপুজোর পর থেকেই রাজ্যে এসআইআর কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু যদি রাজ্য সরকার নির্বাচন কমিশনের কাজে বাঁধা প্রধান করে তাহলে সেই ক্ষেত্রে রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে। আর তা যদি আরও প্রকটরূপ ধারণ করে তাহলে সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারিও হয়ে যেতে পারে। ফলে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই মমতা সরকারের পতন হয় কিনা তাই এখন দেখার।

  • AI Curriculum: ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকেই তৃতীয় শ্রেণির স্কুল পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    AI Curriculum: ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকেই তৃতীয় শ্রেণির স্কুল পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬-২৭ সালের শিক্ষাবর্ষে তৃতীয় শ্রেণির স্কুল পাঠ্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI Curriculum) বা এআই চালু করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই পাঠ্যক্রম চালু করা হবে। ইতিমধ্যে সিবিএসই এক কোটির বেশি শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্কুলের কাঠামো নির্মাণের ভাবনাচিন্তাকে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্য মাত্রা স্থির করেছে। পরিচালনা ব্যবস্থা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সাক্ষরতা প্রদান বিষয় বর্তমান প্রজন্মের কাছে কতটা প্রয়োজনীয় সেই দিকগুলিকেই সামনে রেখে বিস্তৃত ভাবে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক (School Education)।

    ১ কোটি শিক্ষককে বিশেষ প্রশিক্ষণ (AI Curriculum)

    ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে বিকশত ভারত হতে গেলে সমস্ত প্রযুক্তি এবং টেকনোলজিকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বর্তমান সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI Curriculum) একটি উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তি। এআই ছাড়া কোনও ভাবেই নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তির শিক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভারতকে বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শিক্ষা দিতেই হবে। কেন্দ্রীয় স্কুল সচিব সঞ্জয় কুমার বলেন, “কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে এআই সম্পর্কে পড়াশুনার একটি পরিমণ্ডল তৈরি করতে চলেছে। দেশের মোট ১ কোটি শিক্ষককে এই সম্পর্কে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং তাকে কীভাবে জানা যাবে, শিক্ষার জন্য কোন কোন দক্ষতা থাকবে ইত্যাদি, সমস্ত বিষয়ের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে। দেশের বেশিরভাগ শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই প্রযুক্তির শিক্ষাকে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমাদের পদক্ষেপ এমন থাকবে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা (School Education) যেন আগামী ২-৩ বছরের মধ্যেই এই প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেরা সামাঞ্জ্যপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।”

    ১৮০০০০- এর বেশি সিবিএসই স্কুলে পাঠ

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI Curriculum) জন্য আগে প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষকের। শিক্ষকদের সঠিক পাঠ দিতে ইতিমধ্যেই ‘পাইলট প্রোজেক্ট’-এর কথা ভাবা হয়েছে। এই পর্যায় সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য প্রস্তুত করতে হবে। ১.৮ লক্ষের বেশি সিবিএসই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১৫ ঘণ্টার বিশেষ মডিউল ঠিক করা হয়েছে। একই ভাবে আবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এআইকে ঐচ্ছিক বিষয় করে রাখা হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে ইন্টেল, আইবিএম এবং ন্যাশনাল ইনস্টিউট অফ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি এর সহায়তায় ১০ হাজারের বেশি শিক্ষককে প্রশিক্ষণের কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডিউলে শিক্ষার্থী ভর্তির হার তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়ছে। নবম-দশম শ্রেণিতে ৭.৯ লক্ষ এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীরা এআইকে বেছে নিয়েছে। তবে শিক্ষাবিদদের মতে ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় মৌলিক সাক্ষরতা (School Education) বিষয়েও এআই দারুণ ভাবে কার্যকর হবে।

    ৮ মিলিয়ন কর্মসংস্থান বৃদ্ধি

    এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI Curriculum) নীতিটি জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সকল স্কুল পাঠ্যক্রমের মধ্যে এআই এবং ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি) এর মতো উদীয়মান প্রযুক্তিগুলিকে একীভূত করার ভাবনাকে একই সংযোজন করে রাখা হয়েছে। শুধু পড়াশুনাই নয় এআই অপর দিকে চাকরি বা ব্যবহারিক প্রয়োগের উপর নির্ভর করে পাঠ্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রের নীতি আয়োগের একটি প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে এআইকে তুলে ধরা হয়েছে। নীতি আয়োগের সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম সতর্ক করে বলেছেন, “কৌশলগত ভাবে প্রযুক্তির সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার না দেওয়া হলে ভারতের ৭.৫ মিলিয়ন আইটি কর্মী ২০৩০ সালের মধ্যে ৬ মিলিয়নে নেমে আসবে। এআই কাজ, কর্মী এবং কর্মক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন করে দিয়েছে। প্রায় দুই মিলিয়ন প্রথাগত বা ঐতিহ্যবাহী কাজের পরি সমাপ্তি ঘটতে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে কর্মেরচ্যুতিও। তবে আমরা যদি সঠিক ভাবে পরিকাঠামো গড়তে পারি তাহলে ৮ মিলিয়ন নতুন কর্ম ক্ষমতাকে বৃদ্ধি ঘটাতে পারি।

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেবল ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবেই থাকবে না। মৌলিক পাঠেও এই এআইকে রাখা হবে। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে এখনই যদি শিক্ষা বা জ্ঞান অর্জন না করা যায় তাহলে ২০৩৫ সালের মধ্যে যে সব পড়ুয়ারা স্নাতক হবেন তাঁদের জন্য সবথেকে বেশি অসুবিধা হবে। তাই সময় এবং যুগের চাহিদাকে মাথায় রেখে প্রযুক্তি এবং কৌশলকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া একান্ত আবশ্যক বলে মনে করে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক (School Education)।

  • Ramakrishna 481: “মহেন্দ্র গৌরবর্ণ ও সদা হাস্যমুখ, শরীর দোহারা, মহেন্দ্র ভূমিষ্ঠ হইয়া ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন”

    Ramakrishna 481: “মহেন্দ্র গৌরবর্ণ ও সদা হাস্যমুখ, শরীর দোহারা, মহেন্দ্র ভূমিষ্ঠ হইয়া ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল

    কামিনী-কাঞ্চন ও তীব্র বৈরাগ্য

    এই কথা বলিতে বলিতে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের আবার ভাবাবেশের উপক্রম হইতেছে। হঠাৎ আপনা-আপনি বলিতেছেন, “সংহারমূর্তি কালী!—না নিত্যকালী!”

    ঠাকুর অতি কষ্টে ভাব সম্বরণ করিলেন। এইবার একটু জলপান করিলেন। যশোদার কথা আবার বলিতে যাইতেছেন, শ্রীযুক্ত মহেন্দ্র মুখুজ্জে আসিয়া উপস্থিত। ইনি ও ইঁহার কনিষ্ঠ শ্রীযুক্ত প্রিয় মুখুজ্জে ঠাকুরের কাছে নূতন যাওয়া-আসা করিতেছেন। মহেন্দ্রের ময়দার কল ও অন্যান্য ব্যবসা আছে। তাঁহার ভ্রাতা ইঞ্জিনিয়ারের কাজ করিতেন। ইঁহাদের কাজকর্ম লোকজনে দেখে, নিজেদের খুব অবসর আছে। মহেন্দ্রের বয়স ৩৬। ৩৭ হইবে, ভ্রাতার বয়স আন্দাজ ৩৪।৩৫। ইঁহাদের বাটী কেদেটি গ্রামে। কলিকাতা বাগবাজারেও একটি বসতবাটী আছে। তাঁহাদের সঙ্গে একটি ছোকরা ভক্ত আসা-যাওয়া করেন, তাঁহার নাম হরি। তাঁহার বিবাহ হইয়াছে; কিন্তু ঠাকুরের উপর বড় ভক্তি। মহেন্দ্র অনেকদিন দক্ষিণেশ্বরে যান নাই। হরিও যান নাই, আজ আসিয়াছেন। মহেন্দ্র গৌরবর্ণ ও সদা হাস্যমুখ, শরীর দোহারা। মহেন্দ্র ভূমিষ্ঠ হইয়া ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন। হরিও প্রণাম করিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেন এতদিন দক্ষিণেশ্বরে যাওনি গো?

    মহেন্দ্র—আজ্ঞা, কেদেটিতে গিছলাম, কলকাতায় ছিলাম না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কিগো ছেলেপুলে নাই,—কারু চাকরি করতে হয় না,—তবুও অবসর নাই! ভাল জ্বালা!

    ভক্তেরা সকলে চুপ করিয়া আছেন। মহেন্দ্র একটু অপ্রস্তুত।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মহেন্দ্রের প্রতি)—তোমায় বলি কেন,—তুমি সরল, উদার—তোমার ঈশ্বরে ভক্তি আছে।

    মহেন্দ্র—আজ্ঞে, আপনি আমার ভালোর জন্যই বলেছেন।

    বিষয়ী ও টাকাওয়ালা সাধু—সন্তানের মায়া 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—আর এখানকার যাত্রায় প্যালা দিতে হয় না। যদুর মা তাই বলে, ‘অন্য সাধু কেবল দাও দাও করে; বাবা, তোমার উটি নাই’। বিষয়ী লোকের টাকা খরচ হলে বিরক্ত হয়।

    “এক জায়গায় যাত্রা হচ্ছিল। একজন লোকের বসে শোনবার ভারী ইচ্ছা। কিন্তু সে উঁকি মেরে দেখলে যে আসরে প্যালা পড়ছে, তখন সেখান থেকে আস্তে আস্তে পালিয়ে গেল। আর-এক জায়গায় যাত্রা হচ্ছিল, সেই জায়গায় গেল। সন্ধান করে জানতে পারলে যে এখানে কেউ প্যালা দেবে না। ভারী ভিড় হয়েছে। সে দুই হাতে কুনুই দিয়ে ভিড় ঠেলে ঠেলে আসরে গিয়ে উপস্থিত। আসরে ভাল করে বসে গোঁপে চাড়া দিয়ে শুনতে লাগল। (হাস্য)

  • Bihar Assembly Polls: বিহারে ১০১ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে ময়দানে বিজেপি, এখনও তল খুঁজছে কংগ্রেস?

    Bihar Assembly Polls: বিহারে ১০১ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে ময়দানে বিজেপি, এখনও তল খুঁজছে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় দফায় ১৮ জন প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি (Bihar Assembly Polls)। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এই তালিকা প্রকাশ করেছে পদ্মশিবির (BJP)। এনডিএ জোটের শরিক হিসেবে বিজেপির প্রার্থী দেওয়ার কথা ১০১টি আসনে। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪২টি। তার মধ্যে ১০১টিতে প্রার্থী দেওয়ার কথা পদ্ম শিবিবের। প্রথম দফায় যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল বিজেপি, সেখানে নাম ছিল ৭১ জনের। পরের দফায় ঘোষণা করা হয় ১২ প্রার্থীর নাম। তৃতীয় দফায় প্রকাশ করা হল ১৮ জনের নাম।

    বিজেপির প্রার্থী তালিকা (Bihar Assembly Polls)

    জানা গিয়েছে, বিজেপি নরকাটিয়াগঞ্জ আসনে প্রার্থী করেছে সঞ্জয় পাণ্ডেকে। চনপাতিয়ায় লড়বেন উমাকান্ত সিং। আর চিরাইয়া কেন্দ্রে লড়বেন লালবাবু প্রসাদ গুপ্তা। কোচাধামান আসনে প্রার্থী করা হয়েছে বীণা দেবীকে।  রাঘোপুরে লড়বেন সতীশ কুমার যাদব। আর মুরারি পাশোয়ান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন পিরপিয়ান্তি কেন্দ্র থেকে। বিজেপির প্রবীণ নেতা তথা পাঁচবারের বিধায়ক ভাগীরথী দেবীকে এবার আর পশ্চিম চম্পারণ জেলার রামনগর আসনে প্রার্থী করা হচ্ছে না। আখ শিল্পমন্ত্রী কৃষ্ণনন্দন পাশোয়ানকে আবারও হরসিদ্ধি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। লোকগায়ক বিনয় বিহারীও ফের লৌরিয়া থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। মোহানিয়ার বিধায়ক সঙ্গীতা কুমারী এবং ভভুয়ার বিধায়ক ভারত বিন্দ, যিনি রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদেরও ফের নিজদের আসনেই প্রার্থী করা হয়েছে। এদিকে, উপেন্দ্র কুশওয়াহার নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চাও তাদের বরাদ্দ আসনগুলির প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করেছে। দলীয় সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়াহার স্ত্রী স্নেহলতা রোহতাস বিধানসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন (BJP)।

    বেহাল দশা ইন্ডি জোটের

    বিহার বিধানসভা নির্বাচন হবে দু’দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন (Bihar Assembly Polls) হবে ৬ নভেম্বর, দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ওই মাসেরই ১১ তারিখে। এনডিএ যখন ঘর গুছিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে লড়াইয়ের ময়দানে, তখন ইন্ডি জোটের অন্যতম শরিক কংগ্রেসের ছন্নছাড়া দশা। ইন্ডি জোটে এখনও আসন বণ্টনই হয়নি, অথচ প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করতে শুরু করেছে সোনিয়া গান্ধীর দল। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস এ পর্যন্ত মাত্র ১৭ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে। সেটি আবার দলের সরকারি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে, যদিও ইন্ডিয়া ব্লকের ভেতরে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা এখনও অমীমাংসিত।

    তল খুঁজছে কংগ্রেস

    জানা গিয়েছে, কংগ্রেস ঔরঙ্গাবাদ থেকে আনন্দ শঙ্কর সিং, রাজাপাকার থেকে প্রতিমা দাস, বচ্ছাওয়াড়া থেকে শিব প্রকাশ গরিব দাস এবং নালন্দা থেকে কৌশলেন্দ্র কুমার (ছোটে মুখিয়া)-কে প্রার্থী করেছে। গোপালগঞ্জ থেকে হাত চিহ্নে লড়বেন ওম প্রকাশ গর্গ, অমরপুর থেকে জিতেন্দ্র সিং, বেগুসরাই থেকে অমিতা ভূষণ, সুলতানগঞ্জ থেকে লালন কুমার, কুটুম্বা থেকে রাজেশ কুমার, বরসালীগঞ্জ থেকে শশী শেখর, বারবিঘা থেকে ত্রিশূলধারী সিং এবং মুজাফফরপুর থেকে বিজেন্দ্র চৌধুরী (Bihar Assembly Polls)। গোবিন্দগঞ্জ থেকে লড়ছেন শশী ভূষণ রাই, বিক্রম থেকে অনিল কুমার এবং রোসেরা আসন থেকে বিকে রবি। সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া ব্লকের অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর আরও কয়েকটি নাম ঘোষণা করা হবে (BJP)। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিটি মোট ৪৩টি আসনের জন্য প্রার্থীর অনুমোদন দিয়েছে। আজয় মাকেনের নেতৃত্বাধীন উপ-কমিটি বুধবার আরও আটজন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছে বলে খবর।

    ফিল্ডে এনডিএ

    ইন্ডি জোটের যখন বেহাল দশা, তখন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ যথারীতি ফিল্ডে নেমে পড়েছে। সব মিলিয়ে ১০১টি আসনে লড়বে বিজেপি। বাকি আসনে লড়বে এনডিএর বিভিন্ন শরিক দল। বুধবার রাতেই পদ্ম শিবির তৃতীয় তালিকা প্রকাশ করে। এর আগে প্রকাশ করা হয়েছিল দ্বিতীয় দফার তালিকা। সেই তালিকায় ছিল ১২ জন প্রার্থীর নাম। এর মধ্যে রয়েছেন আলিনগর আসনে পদ্ম-প্রার্থী সঙ্গীত শিল্পী মৈথিলী ঠাকুর এবং বক্সার থেকে প্রাক্তন আইপিএস আনন্দ মিশ্র। তিন দফায় তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি তার ভাগের ১০১টি আসনের সব কেন্দ্রেই প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে ফেলল (Bihar Assembly Polls)।

    তালিকা প্রকাশ করল জেডিইউ

    এনডিএ-র শরিক জনতা দল (ইউনাইটেড) প্রথম দফার তালিকায় ৫৭ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে। উমেশ কুশওহা ও বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদবের মতো প্রবীণ নেতারা ইতিমধ্যেই মহনার ও সুপৌল আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সরাইরঞ্জন আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা বিজয় কুমার চৌধুরীর (BJP)। প্রসঙ্গত, এনডিএর আসন রফার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিজেপি এবং জেডিইউ প্রত্যেকে ১০১টি করে আসনে, এলজেপি (আরভি) ২৯টি আসনে এবং এইচএএম এবং আরএলএম ৬টি করে আসনে লড়বে (Bihar Assembly Polls)।

  • Amit Shah: মাওবাদী নেতাদের আত্মসমর্পণ “ঐতিহাসিক মাইলফলক”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: মাওবাদী নেতাদের আত্মসমর্পণ “ঐতিহাসিক মাইলফলক”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও-দমনের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তার পর থেকে জোরকদমে চলছে মাও-দমন (Maoist Leaders) অভিযান। কেন্দ্রীয় সরকারের রুদ্রমূর্তি দেখে এবং অন্নুনত এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাওয়ায় সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে থাকেন মাওবাদীদের শীর্ষ নেতৃত্ব। মাস কয়েক আগেই আত্মসমর্পণ করেছিলেন প্রয়াত মাওবাদী নেতা কিষেনজির স্ত্রী সুজাতা। দিন দুয়েক আগে ৬০ জন সহযোদ্ধা-সহ আত্মসমর্পণ করেছেন কিষেনজির ভাই বেণুগোপাল ওরফে সোনু ওরফে ভূপতি।

    ঐতিহাসিক মাইলফলক (Amit Shah)

    মাওবাদী নেতাদের এই আত্মসমর্পণের ঢেউয়ের প্রশংসা করেছেন শাহ। তিনি একে সরকারের মাওবাদ নির্মূলীকরণের চলমান প্রচেষ্টায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক বলে অভিহিত করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সব চেয়ে বেশি প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ৬ থেকে কমে এখন তিনে নেমে এসেছে। আর মোট প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ১৮ থেকে কমে হয়েছে ১১।”  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সন্ত্রাসমুক্ত ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে সরকার যে দ্বিমুখী কৌশল নিয়েছে, একদিকে লাগাতার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং অন্যদিকে উন্নয়নমূলক নানা পদক্ষেপ, তা বামপন্থী চরমপন্থার প্রভাব ও বিস্তার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “মোদিজির সন্ত্রাসমুক্ত ভারতের স্বপ্নের অধীনে অবিরাম সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ও জনগণকেন্দ্রিক উন্নয়নের ফলে বামপন্থী উগ্রপন্থীদের কর্মক্ষেত্র ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। তাদের লুকিয়ে থাকার আর কোনও জায়গা থাকছে না। ২০২৬-এর ৩১ মার্চের মধ্যে ভারত মাওবাদের অভিশাপ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হবে।”

    এদিকে, নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে মাওবাদীদের ৫০ জন ক্যাডার, যার মধ্যে ৩৯ জন মহিলা, ছত্তিশগড়ের কাঁকের জেলার কোয়ালিবেদা এলাকায় বিএসএফের ৪০তম ব্যাটেলিয়নের কামতেরার ক্যাম্পে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। দক্ষিণ জোনাল কমিটির সদস্য ও প্রবীণ মাওবাদী নেতা রাজমান মাণ্ডাভি এবং রাজু সালামের নেতৃত্বে ঘটে এই আত্মসমর্পণের ঘটনা। আত্মসমর্পণকারী ক্যাডাররা (Maoist Leaders) মোট ৩৯টি অস্ত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ৭টি একে-৪৭ রাইফেল, ২টি এসএলআর, ৪টি ইনসাস রাইফেল, ১টি ইনসাস এলএমজি এবং ১টি স্টেইন গান (Amit Shah)।

  • NCS Portal: বার্ষিক ২.৫ লক্ষ চাকরি দিতে জোম্যাটোর সঙ্গে চুক্তি কেন্দ্রের

    NCS Portal: বার্ষিক ২.৫ লক্ষ চাকরি দিতে জোম্যাটোর সঙ্গে চুক্তি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনসিএস পোর্টালের (NCS Portal) মাধ্যমে বার্ষিক ২.৫ লক্ষ চাকরি তৈরি করতে জোম্যাটোর সাথে ভারত সরকার চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ২০১৫ সালে এই পোর্টাল চালু হয়েছিল। আর সেই সময় থেকে কাজও শুরু করেছিল। ইতিমধ্যে ৭.৭ কোটির বেশি শূন্যপদে কর্মসংস্থান দিতে পারার কথা নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। এবার চুক্তি করে পোর্টালের মাধ্যমে চাকরি প্রার্থী এবং নিয়োগকর্তাদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক।

    প্রযুক্তি এবং সক্ষম জীবিকার সুযোগ (NCS Portal)

    গত মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ভারত সরকারের অনলাইন খাদ্যবিতরণ প্ল্যাটফর্ম (NCS Portal) জোম্যাটোর (Zomato) সঙ্গে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির ফলে ন্যাশনাল কেরিয়ার সার্ভিস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নমনীয় এবং প্রযুক্তি-সক্ষম জীবিকার সুযোগগুলিকে আরও সহজ ও নির্ভরযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করা যাবে। ফলে আনুমানিক বছরে আড়াই লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় বলেছেন, “এই চুক্তির ফলে পোর্টালে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আর্থিক পরিসরগুলির নানান দিকগুলিকে উন্মুক্ত করার পরিসরও খুলে যাবে। যুবক-যুবতী-মহিলাদেরও মর্যাদাসম্পন্ন প্রযুক্তি এবং সক্ষম জীবিকার মাধ্যমে সংযুক্ত করা যাবে। শুধু তাই নয় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে এই এনসিএস পোর্টাল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। লক্ষ লক্ষ কর্ম সংস্থান এবং জীবিকার সঙ্গে যুক্ত করতে আরও বেশি বেশি সুবিধা দেবে।”

    ভারত রোজগার যোজনার অন্তর্গত

    কেন্দ্রের শ্রম এবং কর্মসংস্থান বিষয়ের ভাবনাচিন্তাকে আরও প্রসারিত করে প্রতিমন্ত্রী শোভা কারান্দলাজে বলেন, “দেশের প্রতিটি সংগঠিত এবং অসংগঠিত শ্রমিকের জন্য সামাজিক সুরক্ষাকে আরও মজবুত করতেই এই পদক্ষেপ (NCS Portal)। এটি একটি যুগান্তকরী সিদ্ধান্ত হতে চলেছে। এই প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করতে পারলে বিকশিত ভারতের পথে দেশ আরও অগ্রসর হবে। ভারত রোজগার যোজনা এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠনে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত কার্যকর হবে। নতুন ‘অ্যাগ্রিগেটর’ বিভাগের অধীনে, জোম্যাটো এনসিএস পোর্টালে বার্ষিক প্রায় ২.৫ লক্ষ অতি সহজ জীবিকার সুযোগ তালিকাভুক্ত করবে। এই তালিকায় রয়েছে ডেলিভারি পার্টনার (Zomato) এবং গিগ কর্মীদের জন্য রিয়েল-টাইম আয়ের বিশেষ সুবিধা।

  • MEA: ট্রাম্পের দাবির প্রেক্ষিতে রুশ তেল কেনা নিয়ে কী বলল ভারত?

    MEA: ট্রাম্পের দাবির প্রেক্ষিতে রুশ তেল কেনা নিয়ে কী বলল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত তেল ও গ্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমদানিকারী দেশ। অস্থির জ্বালানি পরিস্থিতিতে ভারতীয় উপভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা আমাদের অগ্রাধিকার। আমাদের আমদানি নীতিগুলি সম্পূর্ণভাবে এই লক্ষ্য সামনে রেখেই পরিচালিত হয়।” এক বিবৃতি জারি করে এ কথা সাফ জানিয়ে দিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক (MEA)। বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত তেল কেনার (Russian Oil) বাজারকে আরও বিস্তৃত এবং বৈচিত্রময় করতে চায়। জ্বালানি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করতে আমেরিকার সঙ্গে আমাদের আলোচনাও চলছে।” যদিও সরাসরি ট্রাম্পের দাবি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ভারত।

    ট্রাম্পের দাবি (MEA)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক প্রশ্নের জবাবে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “তিনি (মোদি) আমার বন্ধু, আমাদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। রাশিয়া থেকে তেল কেনায় আমরা খুশি ছিলাম না। কারণ এর ফলে রাশিয়া এই হাস্যকর যুদ্ধ (ইউক্রেনের সঙ্গে) চালিয়ে যেতে পেরেছে,  যেখানে তারা পনেরো লাখ মানুষ হারিয়েছে।” তিনি এও বলেন, “আমি খুশি ছিলাম না যে ভারত তেল কিনছে (রাশিয়া থেকে)। আর (মোদি) আজ আমায় আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে তাঁরা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবেন। এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এখন আমাদের চিনকে দিয়েও একই কাজ করাতে হবে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারত হয়ত এখনই রাশিয়া থেকে তেল কেনা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে না, তবে প্রক্রিয়াটি শুরু হয়ে গিয়েছে।” ট্রাম্পের এহেন বার্তার প্রেক্ষিতেই এদিন মুখ খুলল ভারতের বিদেশমন্ত্রক।

    সস্তায় অপরিশোধিত তেল

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কো থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় ভারত। রাশিয়ার ওপর এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ (MEA)। যার ফলে দাম কমতে থাকে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের। প্রত্যাশিতভাবেই ০.২ শতাংশ থেকে ভারতে রুশ তেল আমদানির পরিমাণ বেড়ে হয় ৩৫ শতাংশ। মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনা চালিয়ে যেতে থাকে ভারত। যার জেরে ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেও দমানো (Russian Oil) যায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতকে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ভারতের আগের অবস্থানেও যে কোনও বদল হয়নি, এদিন বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতেই তা স্পষ্ট (MEA)।

LinkedIn
Share