Tag: Bengali news

Bengali news

  • Hydrogen Train: জলের সাহায্যে চলবে এই রেলগাড়ি! দেশে আসছে হাইড্রোজেন ট্রেন, গতি কত জানেন?

    Hydrogen Train: জলের সাহায্যে চলবে এই রেলগাড়ি! দেশে আসছে হাইড্রোজেন ট্রেন, গতি কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেলের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। রেল ট্র্যাকে ছুটবে এমন একটি ট্রেন, যার জন্য লাগবে না কোনও ডিজেল, লাগবে না কোনও বিদ্যুৎ। শক্তি জোগাবে জল থেকে পাওয়া হাইড্রোজেন (Hydrogen Train)। যাবতীয় পরীক্ষায় যদি সফল হয় তাহলে এটাই হতে চলেছে ভারতের প্রথম ট্রেন যা জলের সাহায্যে চলবে। সম্প্রতি ভারতীয় রেলের বন্দে ভারত বা অমৃত ভারতের মতো ট্রেন সাড়া ফেলে দিয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। বুলেট ট্রেন চালানোর প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে হাই়ড্রোজেন ট্রেন চালুর হওয়ার বিষয়টি সর্বত্র সাড়া ফেলে দিয়েছে।

    কীভাবে চলবে? (Hydrogen Train)

    হাইড্রোজেন ট্রেন (Hydrogen Train) চালু হতে আর খুব বেশি দেরিও নেই। আগামী মাসে অর্থাৎ ডিসেম্বরেই এই ট্রেন চালু হবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে ভারতীয় রেলের লক্ষ্য হল, ২০৩০-এর মধ্যে রেলকে কার্বন-মুক্ত করে ফেলা। ভারতের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত একগুচ্ছ ট্রেন চলে প্রতিদিন। লোকাল ট্রেন থেকে দূরপাল্লার রুটে যে অজস্র ট্রেন চলে, তার জন্য দূষণও বাড়ে। এবার দূষণ মুক্ত করার লক্ষ্যে একধাপ এগোতেই হাইড্রোজেন ট্রেন চালু করতে উদ্যোগী রেল। এই ট্রেনের শক্তি জোগান দেওয়ার মূল উৎসই হল জল। ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের বদলে এতে থাকবে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল। জল আর বাষ্প থেকেই বিদ্যুৎ উপন্ন হবে। বায়ু দূষণ বন্ধ করতে ভারতীয় রেল ডিজেল ইঞ্জিনের ব্যবহার বন্ধ করতে চাইছে। এর ফলে বাতাসে মিশবে না কার্বন-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড। শুধু তাই নয়, নয়েজ অর্থাৎ ট্রেন থেকে যে শব্দ উৎপন্ন হয়, তার পরিমাণও কম হবে এই হাইড্রোজেন ট্রেনে। অন্তত ৬০ শতাংশ কম শব্দ উৎপন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। দেশ জুড়ে ৩৫টি হাইড্রোজেন ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।

    আরও পড়ুন: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে হতে হবে ভারত-কেন্দ্রিক, মনে করেন মোহন ভাগবত

    কোন রুটে চলবে এই ট্রেন?

    গোটা ভারতের বিভিন্ন রুটে এই ট্রেন (Hydrogen Train) চালানোরপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। হরিয়ানার জিন্দ-সোনিপাত রুটে এই ট্রেনের ট্রায়াল চলবে। ৯০ কিলোমিটার অতিক্রম করবে ওই ট্রেন। যে সব রুটে এই ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং-হিমালয়ান রেলওয়ে, নীলগিরি-মাউন্টেন রেলওয়ে, কালকা-সিমলা রেলওয়ে। মাথেরান, কাঙ্গরা ভ্যালি, বিলিমোরা ওয়াঘাই এবং মারওয়ার-দেওঘর রুটে চালানো হতে পারে।এক একটি হাইড্রোজেন ট্রেন তৈরিতে খরচ হবে ৮০ কোটি টাকা। এছাড়া রিফুয়েলিং স্টেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। ২০২৫ সালের মধ্যেই ৩৫টি ট্রেন হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।

    গতি কত হতে পারে?

    জলের সাহায্য চলবে বলে যে এই ট্রেনের (Hydrogen Train) গতি কম হবে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। রেল জানিয়েছে, একভাবে ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে ১ হাজার কিলোমিটার যেতে পারবে এই হাইড্রোজেন ট্রেন। অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় এই ট্রেনের আওয়াজ অন্তত ৬০ শতাংশ কম। তবে যাত্রা অত্যন্ত আরামদায়ক হবে বলেই মনে করছে রেল। জানা গিয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় ৪০,০০০ লিটার জলের প্রয়োজন হবে এই ট্রেন চলার জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Zakiur Rehman Lakhvi: লাহোরে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাক জঙ্গি লখভি, প্রকাশ্যে সেই ছবি

    Zakiur Rehman Lakhvi: লাহোরে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাক জঙ্গি লখভি, প্রকাশ্যে সেই ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের আদালতে কারাবন্দি হয়েছিলেন জাকিউর রহমান লখভি (Zakiur Rehman Lakhvi)। তিনি এখন অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির রাস্তায়। এই দুই শহরের মধ্যে একটি হল লাহোর, যেখানে ভারতীয় ক্রিকেট দলের চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফি (Champions Trophy) খেলতে যাওয়ার কথা (Indian Cricket Team) ছিল। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়দা নিষেধাজ্ঞা কমিটি তালিকাভুক্ত করেছে লখভিকে। সেই লখভিই আবু ওয়াসি ছদ্মনাম নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে পাকিস্তানের দুই শহরে।

    কে এই লখভি (Zakiur Rehman Lakhvi)

    ডেভিড হেডলি ছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত প্রাক্তন মার্কিন ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি এজেন্ট। ধরা পড়েছিলেন এফবিআইয়ের হাতে। তিনি তদন্তকারীদের জানিয়েছিলেন, লখভি ছিলেন লস্কর-ই-তৈবার প্রধান সামরিক কমান্ডার। তিনি ২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৭৫ জন। লখভির সমর্থক হিসেবে সক্রিয় ড. মহম্মদ সঈদ। তিনি ইসলামাবাদের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজেসের ইসলামিক চিন্তা ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। লখভির সঙ্গে তিনিও অংশ নেন ফিটনেস প্রশিক্ষণে।

    ভিডিওয় ফাঁস লখভির পরিচয়ের পর্দা 

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও। তাতে দেখা গিয়েছে, এক দাড়িওয়ালা ব্যক্তি একটি ফিটনেস পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। দাবি করা হয়েছিল যে, এই ব্যক্তি লখভি স্বয়ং। ইন্ডিয়া টুডের ওপেন সোর্স ইনভেস্টিগেশন টিম তিনটি ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রোগ্রামের সাহায্যে নিশ্চিত করেছে যে, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি আসলেই সেই ওয়ান্টেড জঙ্গি লখভি (Zakiur Rehman Lakhvi) নিজে।

    ওই ভিডিও ফুটেজে ড. জায়েদ হারিসকেও দেখা গিয়েছে। তিনি নিজেকে ইসলামী পণ্ডিত হিসেবে পরিচয় দেন। তাঁকে প্রায়ই ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে আলোচনা করা ভিডিওগুলিতে দেখা যায়। ভিডিওটিতে সঈদ এবং হারিস উভয়কেই লখভির জন্য উল্লাস করতে দেখা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: উগ্রবাদ দমনে ভালো কাজ করেছিলেন হাসিনা, অভিমত লিসা কার্টিসের

    ভিডিওতে মহম্মদকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ১৮ থেকে ১৯ মিনিটের মধ্যে ৬৩ বছর বয়সি একজন ব্যক্তি ব্যায়ামের ২১০ বার রিপিটেশন সম্পন্ন করেছে— এমনটি আমার পেশাগত অভিজ্ঞতায় কাউকে করতে দেখিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের অফিস অফ ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোলের অফিসিয়াল রেকর্ড অনুযায়ী, লখভি ১৯৬০ সালের ৩০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। সেই হিসেবে ২০২৪ সালে তাঁর বয়স দাঁড়ায় ৬৩ বছর।

    সূত্রের খবর, লখভির বাসস্থান রয়েছে রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর এবং ওকারায়। এই তিন শহরেই স্বাধীনভাবে চলাফেরা করেন তিনি  (Champions Trophy)। এই জঙ্গি নেতা সন্ত্রাসে অর্থায়ন মামলায় পাকিস্তানি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। সূত্রের দাবি, ভয়ঙ্কর এই জঙ্গি গ্রেফতার আদতে ছিল পাকিস্তানের একটি মিডিয়া নাটক (Zakiur Rehman Lakhvi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 196: “সংসারী লোকদের ঈশ্বরে অনুরাগ ক্ষণিক—যেমন তপ্ত লৌহে জলের ছিটে দিলে, জল তাতে যতক্ষণ থাকে”

    Ramakrishna 196: “সংসারী লোকদের ঈশ্বরে অনুরাগ ক্ষণিক—যেমন তপ্ত লৌহে জলের ছিটে দিলে, জল তাতে যতক্ষণ থাকে”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা মে

    নন্দনবাগান ব্রাহ্মসমাজে রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    শ্রীমন্দিরদর্শন ও উদ্দীপন—শ্রীরাধার প্রেমোন্মাদ

    “মন্দির দেখলে তাঁকেই মনে পড়ে—উদ্দীপন হয়। যেখানে তাঁর কথা হয় সেইখানে তাঁর আবির্ভাব হয়,—আর সকল তীর্থ উপস্থিত হয়। এ-সব জায়গা দেখলে ভগবানকেই মনে পড়ে।

    “একজন ভক্ত বাবলাগাছ দেখে ভাবাবিষ্ট হয়েছিল!—এই মনে করে যে, এই কাঠে ঠাকুর (Ramakrishna) রাধাকান্তের বাগানের জন্য কুড়ুলের বাঁট হয়।

    “একজন ভক্তের এরূপ গুরুভক্তি যে, গুরুর পাড়ার লোককে দেখে ভাবে বিভোর হয়ে গেল!

    “মেঘ দেখে—নীলবসন দেখে—চিত্রপট দেখে—শ্রীমতীর কৃষ্ণের উদ্দীপন হত। তিনি এই সব দেখে উন্মত্তের ন্যায় ‘কোথায় কৃষ্ণ!’ বলে (Kathamrita) ব্যাকুল হতেন।”

    ঘোষাল—উন্মাদ তো ভাল নয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সে কি গো? একি বিষয়চিন্তা করে উন্মাদ, যে অচৈতন্য হবে? এ অবস্থা যে ভগবানচিন্তা করে হয়! প্রেমোন্মাদ, জ্ঞানোন্মাদ—কি শুন নাই?

    উপায়—ঈশ্বরকে ভালবাসা ও ছয় রিপুকে মোড় ফিরানো 

    একজন ব্রাহ্মভক্ত—কি উপায়ে তাঁকে পাওয়া যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তাঁর উপর ভালবাসা।—আর এই সদাসর্বদা বিচার—ঈশ্বরই সত্য, জগৎ অনিত্য।

    “অশ্বত্থই সত্য—ফল দুদিনের জন্য।”

    ব্রাহ্মভক্ত—কাম, ক্রোধ, রিপু রয়েছে, কি করা যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ছয় রিপুকে ঈশ্বরের দিকে মোড় ফিরিয়ে দাও।

    “আত্মার সহিত রমণ করা, এই কামনা।

    “যারা ঈশ্বরের পথে বাধা দেয় তাদের উপর ক্রোধ। তাঁকে পাবার লোভ। ‘আমার আমার’ যদি করতে হয়, তবে তাঁক লয়ে। যেমন—আমার কৃষ্ণ, আমার রাম। যদি অহংকার করতে হয় তো বিভীষণের মতো!—আমি রামকে প্রণাম করেছি—এ-মাথা আর কারু কাছে অবনত করব না।”

    ব্রাহ্মভক্ত—তিনিই যদি সব করাচ্ছেন, তাহলে আমি পাপের জন্য দায়ী নই?

    Free Will, Responsibility (পাপের দায়িত্ব

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—দুর্যোধন ওই কথা বলেছিল (Kathamrita),

    “ত্বয়া হৃষিকেশ হৃদিস্থিতেন, যথা নিযুক্তোঽস্মি তথা করোমি।

    “যার ঠিক বিশ্বাস—‘ঈশ্বরই কর্তা আর আমি অকর্তা’—তার পাপ কার্য হয় না। যে নাচতে ঠিক শিখেছে তার বেতালে পা পড়ে না।

    “অন্তর শুদ্ধ না হলে ঈশ্বর আছেন বলে বিশ্বাসই হয় না!”

    ঠাকুর উপাসনাগৃহে সমবেত লোকগুলিকে দেখিতেছেন ও বলিতেছেন—“মাঝে মাঝে এরূপ একসঙ্গে ঈশ্বরচিন্তা ও তাঁর নামগুণকীর্তন করা খুব ভাল।

    “তবে সংসারী লোকদের ঈশ্বরে অনুরাগ ক্ষণিক—যেমন তপ্ত লৌহে জলের ছিটে দিলে, জল তাতে যতক্ষণ থাকে!”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: থমকে ছিল এক যুগ! সুকান্তর উদ্যোগে শুরু বালুরঘাট-হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ

    Balurghat: থমকে ছিল এক যুগ! সুকান্তর উদ্যোগে শুরু বালুরঘাট-হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জট কাটল। এই প্রকল্পের জন্য ১২ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল রেলের পিলার। বালুরঘাটের (Balurghat) সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগে দীর্ঘদিন ধরে থমকে থাকা প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে। সেই পিলারের কাজে এবার হাত লাগাচ্ছে রেল। তার অধিকৃত জমি খালি করা হচ্ছে। বালুরঘাটের খিদিরপুর এলাকায় রেলওয়ে ব্রিজের আগেই জমি খালি করা হচ্ছে। জেসিবি নামিয়ে ব্রিজের ১০০ মিটারের মধ্যে জায়গা খালি করা হচ্ছে। বেশকিছু বাড়ি ঘরও ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

    ৩০ শতাংশ জমি তুলে দেওয়া হয়েছে (Balurghat)

    রেল (Balurghat) সূত্রে খবর, ১২ বছর আগে ওই এলাকায় ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছিল। পিলারের কাজ হওয়ার পর আর কোনও কাজই হয়নি। এবার নতুন করে কাজ শুরু হওয়ায় এলাকায় খুশির হাওয়া। প্রসঙ্গত, সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) একাধিক বার রেল দফতরের কাছে বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জন্য দরবার করেন। রেল দফতর থেকে ইতিমধ্যেই রেলের জন্য টাকা বরাদ্দ করেছে। ওই টাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের তরফে ৩০ শতাংশ জমি ইতিমধ্যেই রেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, রেলের জন্য আরও জমি দেওয়া হোক। তার মধ্যে খিদিরপুর মৌজায় বেশি জমি রয়েছে। বালুরঘাটের খিদিরপুর এলাকায় বড় রেলের ব্রিজ তৈরি হবে। দ্রুত আত্রেয়ী নদীর ওপরে ওই রেলের কাজ শুরু হবে। ওই নদীপারের বেশকিছু বাড়ি ঘর পড়েছে। তারা রেলের হাতে জমি হস্তান্তর করে টাকাও পেয়ে গিয়েছে। সেই বাড়িঘর তারা বর্তমানে ছেড়েও দিয়েছেন। ওই বাড়িঘরগুলি এবার ভাঙার কাজ শুরু করল রেল দফতর। এদিন রেলের উচ্চপর্যায়ের ইঞ্জিনিয়াররা ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। এই বিষয়ে ঠিকাদার সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার দীপ্তমান তালুকদার বলেন, ‘‘শনিবার থেকে বালুরঘাট-হিলি রেলের কাজ শুরু হল। পাঁচ ছয় মাসের মধ্যে রেল ব্রিজের কাজটা শেষ হবে।’’ যদিও জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ‘‘অনেকটা জমি অধিগ্রহণ করে রেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসে আরও অনেকটা কাজ হবে।’’

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি বাপি সরকার বলেন, ‘‘দীর্ঘদিনের ধরে বালুরঘাটবাসীর (Balurghat) প্রত্যাশা ছিল হিলি-বালুরঘাট রেল লাইন নিয়ে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগে বালুরঘাট রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ শুরু হল। আমাদের বিশ্বাস ছিল সুকান্ত মজুমদার দ্বিতীয় বার সাংসদ হয়ে বালুরঘাট-হিলি রেল সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে। আর সেই কাজ শুরু হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 195: “নরেন্দ্র আমায় বলেছিল, সমাজমন্দির প্রণাম করে কি হয়?”

    Ramakrishna 195: “নরেন্দ্র আমায় বলেছিল, সমাজমন্দির প্রণাম করে কি হয়?”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা মে

    নন্দনবাগান ব্রাহ্মসমাজে রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    শ্রীমন্দিরদর্শন ও উদ্দীপন—শ্রীরাধার প্রেমোন্মাদ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) নন্দনবাগান ব্রাহ্মসমাজ-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। ব্রাহ্মভক্তদের সহিত কথা (Kathamrita) কহিতেছেন। সঙ্গে রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি আছেন। বেলা পাঁচটা হইবে।

    ৺কাশীশ্বর মিত্রের বাগান বড়ি নন্দনবাগানে। তিনি পূর্বে সদরওয়ালা ছিলেন। আদি ব্রাহ্মসমাজভুক্ত ব্রহ্মজ্ঞানী। তিনি নিজের বাড়িতেই দ্বিতলায় বৃহৎ প্রকোষ্ঠমধ্যে ঈশ্বরের উপাসনা করিতেন, আর ভক্তদের নিমন্ত্রণ করিয়া মাঝে মাঝে উৎসব করিতেন। তাঁহার স্বর্গরোহণের পর শ্রীনাথ, যজ্ঞনাথ প্রভৃতি তাঁহার পুত্রগণ কিছুদিন ওইরূপ উৎসব করিয়াছিলেন। তাঁহারাই ঠাকুরকে অতি যত্ন করিয়া নিমন্ত্রণ করিয়া আনিয়াছেন।

    ঠাকুর প্রথমে আসিয়া নিচে একটি বৈঠকখানাঘরে আসন গ্রহণ করিয়াছিলেন। সে ঘরে ব্রাহ্মভক্তগণ ক্রমে ক্রমে আসিয়া একত্রিত হইয়াছিলেন। শ্রীযুক্ত রবীন্দ্র (ঠাকুর) প্রভৃতি ঠাকুরবংশের ভক্তগণ এই উৎসবক্ষেত্রে উপস্থিত ছিলেন।

    আহূত হইয়া ঠাকুর ভক্তসঙ্গে দ্বিতলায় উপাসনামন্দিরে গিয়া উপবেশন করিলেন। উপাসনার গৃহের পূর্বধারে বেদী রচনা হইয়াছে। দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একটি ইংরেজী বাদ্যযন্ত্র (Piano) রহিয়াছে। ঘরের উত্তরাংশে কয়েকখানি চেয়ার পাতা আছে। তাহারই পূর্বধারে দ্বার আছে—অন্তঃপুরে যাওয়া যায়।

    সন্ধ্যার সময় উৎসবের উপাসনা আরম্ভ হইবে। আদি ব্রাহ্মসমাজের শ্রীযুক্ত ভৈরব বন্দ্যোপাধ্যায় দু-একটি ভক্তসঙ্গে বেদীতে বসিয়া উপাসনাকার্য সম্পন্ন করিবেন।

    গ্রীষ্মকাল—আজ বুধবার (২০শে বৈশাখ), চৈত্র কৃষ্ণা দশমী তিথি। ২রা মে, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ। ব্রাহ্মভক্তেরা অনেকে নিচের বৃহৎ প্রাঙ্গণে বা বারান্দায় বেড়াইতেছেন। শ্রীযুক্ত জানকী ঘোষাল প্রভৃতি কেহ কেহ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) কাছে উপাসনাগৃহে আসিয়া আসন গ্রহণ করিয়াছেন। তাঁহার মুখে ঈশ্বরীয় কথা শুনিবেন। ঘরে প্রবেশ করিবামাত্র বেদীর সম্মুখে ঠাকুর প্রণাম করিলেন। আসন গ্রহণ করিয়া রাখাল, মাস্টার প্রভৃতিকে কহিতেছেন—

    নরেন্দ্র আমায় বলেছিল(Kathamrita), ‘সমাজমন্দির প্রণাম করে কি হয়?’

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NCRTC: আপনি কি রিল বানান? নমো ভারত ট্রেনে বানিয়ে জিততে পারেন দেড় লক্ষ টাকা পুরস্কার!

    NCRTC: আপনি কি রিল বানান? নমো ভারত ট্রেনে বানিয়ে জিততে পারেন দেড় লক্ষ টাকা পুরস্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামাজিক মাধ্যমে রিল তৈরি করা অনেকেরই নেশা। কেউ কেউ আবার আয়ের খোঁজেও কাজ করছেন। ঘরে-বাইরে, রাস্তায়, প্রকৃতি, ট্রেন-বাস ইত্যাদি জায়গায় ব্যাপকভাবে রিল বানান এক শ্রেণির যুবক-যুবতীরা। কখনও কথন আবার কখনও অভিনয়-নাচে আকর্ষণ করেন সামজিক মাধ্যমের দর্শকদের। আবার পথ চলতি মানুষ বিরক্তও হন। এবার এই রিলকে লাভজনক ব্যবসা করতে কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Government) বিশেষ ভাবনা নিয়ে এসেছে। জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন বা এনসিআরটিসি (NCRTC) এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এই প্রতিযোগিতার নাম, ‘নমো ভারত শর্ট ফিল্ম মেকিং কম্পিটিশন’।

    প্রতিযোগিতার শর্ত কী (NCRTC)?

    এই প্রতিযোগিতায় (NCRTC) অংশগ্রহণকারীদের একটি শর্ট ফিল্ম বা রিল তৈরি করতে হবে। তবে শর্ত একটাই ওই শর্ট ফিল্ম বা রিল অত্যাধুনিক নমো ভারত ট্রেন এবং আরআরটিএস বা রিজিওনাল র‌্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম স্টেশন থাকতে হবে। কলেজ ছাত্র থেকে চলচ্চিত্র বা কন্টেন্ট নির্মাতা অথবা চাকরিজীবী বা ব্যবসা যে কেউ এই প্রতিযগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সকলের জন্য এই প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত। নির্দিষ্ট কোনও ধরাবাধা নিয়ম নেই। কেবল মাত্র আধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থাগুলিকে সুকুশল ভাবে উপস্থাপন করতে হবে।

    রিল জমা করার শেষ তারিখ ২০ ডিসেম্বর

    আরআরটিএস স্টেশন এবং নমো ভারত ট্রেনে প্রায় বিনামূল্যেই এই উচ্চমানের ভিডিও তোলা যাবে। আলাদা করে অতরিক্ত খরচ লাগবে না। তবে যাঁরা অংশ গ্রহণ করবেন তাঁদের হিন্দি বা ইংরেজি ভাষায় রিল তৈরি করে রিল জমা (NCRTC) দিতে হবে। সমস্ত রিল এমপি ৪ বা এমওভি ফর্ম্যাটে জমা দিতে হবে। তবে ন্যূনতম রেজোলিউশন হতে হবে ১০৮০কিউ। রিল জমা করার শেষ তারিখ ২০ ডিসেম্বর। প্রতিযোগীরা সাবটাইটেল দিতে চাইলে দিতে পারেন, কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়।

    আরও পড়ুনঃ সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    কোন ঠিকানায় আবেদন করবেন?

    একই ভাবে প্রতিযোগীদের (NCRTC) অংশগ্রহণ করতে গেলে রিল নির্মাতাদের pr@ncrtc.in এই ঠিকানায় ইমেল করতে হবে। ইমেলের বিষয় হিসেবে লিখতে হবে, অ্যাপ্লিকেশন ফর নমো ভারত শর্ট ফিল্ম মেকিং কম্পিটিশন। একই ভাবে প্রতিযোগীতায় রিল নির্মাতার সম্পূর্ণ নাম, ১০০ শব্দের মধ্যে কাহিনীর সংক্ষিপ্তসার এবং রিলের আনুমানিক সময়কাল লিখে জানাতে হবে। মূল্যায়নের (Modi Government) পর তিনজন বিজয়ীকে নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রথমস্থান অধিকারী পাবেন দেড় লক্ষ টাকা। দ্বিতীয়স্থান অধিকারী পাবেন এক লক্ষ টাকা এবং তৃতীয়স্থান অধিকারী পাবেন ৫০ হাজার টাকা। তবে জয়ীদের রিল বা ভিডিও এনসিআরটিসির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দেখানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: উগ্রবাদ দমনে ভালো কাজ করেছিলেন হাসিনা, অভিমত লিসা কার্টিসের

    Bangladesh Crisis: উগ্রবাদ দমনে ভালো কাজ করেছিলেন হাসিনা, অভিমত লিসা কার্টিসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে উগ্রবাদ। তা নিয়ে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীর উদ্বেগে, তা জানা গিয়েছে নানা সময়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আগেই। এবার উদ্বেগের সুর শোনা গেল হোয়াইট হাউসের ভূতপূর্ব এক কর্ত্রীর মুখেও।

    কী বলছেন লিসা কার্টিস (Bangladesh Crisis)

    লিসা কার্টিস নামের ওই কর্ত্রী বলেন, “ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শেখ (পড়ুন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) এটি (উগ্রবাদ) নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি ভালো কাজ করেছিলেন।” ট্রাম্প যখন প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, তখন লিসা ছিলেন দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা। ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার সিনিয়র ডিরেক্টর ছিলেন লিসা।

    উদ্বেগে লিসাও

    তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং তার পরিণতি কী হতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।” বৃহস্পতিবার লিসা বলেন, “বাংলাদেশ বর্তমানে একটি সঙ্কটময় সময়ের (Bangladesh Crisis) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পতন এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কারের প্রচেষ্টার ফলে অনেক আশা দেখা দিয়েছে। মানুষ আশাবাদী যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী হবে।” সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে গত ৫ অগাস্ট দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো দেশ ছাড়তেই শুরু হয় হিন্দু-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক হামলা। ৮ অগাস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন মহম্মদ ইউনূস। তিনিই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।

    আরও পড়ুন: প্রবৃদ্ধির গতি রোধ করতে খনিজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা চিনের! জবাবে কী করল ভারত?

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে লিসা বলেন, “তার পরেও অনেক উদ্বেগ রয়েছে। কিছু ইসলামী চরমপন্থীকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে (Bangladesh Crisis)। কিছু সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টানদের ওপর আক্রমণ হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের একটি ইতিহাস দেখেছি। ২০১৬ সালে আপনারা হোলি (আর্টিজান) বেকারি আক্রমণ দেখেছেন। এটি একটি খুবই গুরুতর ঘটনা। বাংলাদেশে কিছু আইসিস উপাদানও ছিল। শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বাংলাদেশে চরমপন্থী সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করেছেন।”

    লিসা বলেন, “এটি এই অঞ্চলের, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা কারও পক্ষেই ভালো হবে না। আমরা এখন বাংলাদেশে একটি সংবেদনশীল (Bangladesh Crisis) সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তাই যদিও এটি (নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট) ট্রাম্পের প্রথম অগ্রাধিকার নাও হতে পারে, তবে আমি মনে করি যা ঘটছে তার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে প্রেসিডেন্টকে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: ১০,০০০ ইঞ্জিন, ১৪,৩৭৫ কিমি ট্র্যাকে বসছে ‘কবচ ৪’ সুরক্ষা, বড় ঘোষণা রেলের

    Indian Railways: ১০,০০০ ইঞ্জিন, ১৪,৩৭৫ কিমি ট্র্যাকে বসছে ‘কবচ ৪’ সুরক্ষা, বড় ঘোষণা রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে ১৪,৩৭৫ রুট কিলোমিটারের বেশি ট্র্যাকে উন্নত ‘কবচ ৪’ (Kavach 4) স্বয়ংক্রিয় ট্রেন সুরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করার কথা ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। শুক্রবার রেলের তরফ থেকে একটি সাংবাদিক বার্তায় এই কথা জানানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে রেলে ট্রেনের দুর্ঘটনা কমাতে একাধিক উদ্যোগের মধ্যে কবচ ৪ মোতায়েন হল একটি উল্লেখযোগ্য দিক। সারা দেশে রেলের ব্যবস্থাকে আরও সুন্দর, নিরাপদ এবং শাক্তিশালী করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    কবচ সিস্টেম স্থাপনের জন্য দরপত্র বা টেন্ডার (Indian Railways)

    মালিগাঁও ও অসম রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একটি সাংবাদিক সম্মলেন করে জানিয়েছেন, “মোট ১৪,৭৩৫ রুট কিমি (আরকেএম) এর মধ্যে ১১০৫ আরকেএম সংযুক্তিকরণের জন্য বিড খোলা হয়েছে। বাকি দরগুলি চলতি মাসের শেষে প্রকাশ করা হবে। একই ভাবে ভারতীয় রেল (Indian Railways) ১০,০০০ ইঞ্জিনের কবচ সিস্টেম স্থাপনের জন্য দরপত্র বা টেন্ডারের আহ্বান করা হয়েছে। কবচের আগের মডেলগুলিকে সংস্করণ করে নতুন আঙ্গিকে লোকোমোটিভগুলিতে কবচ ৪ (Kavach 4) সিস্টেম আপগ্রেড করা হবে। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে অঞ্চলে, কবচ বাস্তবায়নের জন্য মালদা টাউন থেকে ডিব্রুগড় পর্যন্ত প্রায় ১,৯৬৬ রুট কিমি (আরকেএম) চিহ্নিত করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ঝাঁসির মেডিক্যাল কলেজে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ১০ শিশু! শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    ২০২৬-২৮ সালের জন্য ৩০,০০০ রুট কিমির পরিকল্পনা

    ভারতীয় রেলের (Indian Railways) পক্ষ থেকে ২০২৫-২৬ সালে অতিরিক্ত ১৭০০০ রুট কিমি (আরকেএম) বিডের পরিকল্পনা করা হয়েছে। একই ভাবে ২০২৬-২৮ সালের জন্য নির্ধারিত হয়েছে মোট ৩০,০০০ রুট কিমি (আরকেএম)। এই উন্নত কবচ ৪ (Kavach 4) সিস্টেমটি জুলাই ২০২৪ সালে গবেষণা ডিজাইন এবং স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন দ্বার অনুমোদন করা হয়েছিল। প্রথম সফল ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল, পশ্চিম-মধ্য রেলের কোটা থেকে সাওয়াই মাধোপুরের মধ্যে। মোট ১০৮ কিমি পথকে প্রসারিত করা হয়েছিল। এখন আবার পশ্চিম রেলের (Indian Railways) আমেদাবাদ এবং ভাদোদরার মধ্যে একটি ৮৪-কিমি সেকশেনেও ট্রায়ালের কাজ করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • China: প্রবৃদ্ধির গতি রোধ করতে খনিজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা চিনের! জবাবে কী করল ভারত?

    China: প্রবৃদ্ধির গতি রোধ করতে খনিজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা চিনের! জবাবে কী করল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অত্যাবশ্যক খনিজ ও যন্ত্রপাতি রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চিন (China)। ভারতের শিল্প প্রবৃদ্ধির গতি (Indias Growth) রোধ করতেই চিন অত্যাবশ্যক খনিজ ও যন্ত্রপাতির রফতানিতে বিধিনিষেধ জারি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়ামের মতো খনিজ। এগুলি সৌরশক্তি ও সেমিকন্ডাক্টরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। টানেল-বোরিং মেশিন রফতানিতেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এই মেশিন মূলত ব্যবহৃত হয় মেট্রো নির্মাণের মতো পরিকাঠামো প্রকল্পে।

    নয়া উপায় উদ্ভাবন (China)

    তবে চিন ভারতের সাপ্লাই চেনকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করলেও, ভারতীয় আমদানিকারীরা একটি নয়া উপায় বের করে ফেলেছেন। দুবাইয়ের জেবেল আলি বন্দরের মাধ্যমে সরবরাহ করে ঝামা ঘষে দিয়েছে বেজিংয়ের মুখে। সচল রয়েছে সাপ্লাই লাইন। ২০২৩ সালের অগাস্টে চিন (China) গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়াম রফতানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য কেবলমাত্র ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মতো দেশগুলির ক্ষেত্রে।

    ভায়া দুবাই আমদানি

    মোদি জমানায় রকেট গতিতে এগোচ্ছে দেশ। এই প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ওই খনিজগুলি ভারতের দ্রুত বেড়ে ওঠা রিউনিউয়েবল এনার্জি বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি খাতের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত সৌর সেল ও মডিউল তৈরিতে। চিন ওই খনিজগুলির বিশ্বের বৃহত্তম সরবরাহকারী দেশ। এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদেরই সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বেজিং। তার জেরে ভারতের সৌরশক্তি উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে অগ্রগতি যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয় তাই ভারতীয় আমদানিকারীরা এই খনিজ পদার্থ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দুবাইয়ের মাধ্যমে আমদানি করছে ভারতে।

    জানা গিয়েছে, এখন ক্যাপিট্যাল গুডসগুলি প্রথমে আমদানি করা হয় দুবাইয়ে। সেখানে সেগুলি বিক্রি করা হয় ভারতীয় ব্যবসায়ী ও কোম্পানিগুলির কাছে। কখনও কখনও আবার লিজও দেওয়া হয়। ফলে সরাসরি এড়ানো যায় চিনের রফতানি নিষেধাজ্ঞা।

    আরও পড়ুন: সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    সূত্রের খবর, দুবাই-ভিত্তিক ব্যবসায়ী বা কোম্পানিগুলি চিন থেকে যন্ত্রপাতি লিজে নেয় বা আমদানি করে। পরে সেগুলি রফতানি করে ভারতে। এই পদ্ধতি ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সাহায্য করে। এতে অবশ্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইনও লঙ্ঘিত হয় না। এই পদ্ধতির সব চেয়ে বড় ত্রুটি হল হাতফের হওয়ার দরুণ প্রকল্পের খরচ বেড়ে গিয়েছে ১০ শতাংশ পর্যন্ত। যে জিনিস আসতে ১৫ দিন লাগত, সেটাই হাত ঘুরে আসতে সময় লাগছে তিন মাস (Indias Growth)। এছাড়া, লজিস্টিকস, গুদামজাতকরণ এবং অর্থায়ন সম্পর্কিত অতিরিক্ত খরচও যুক্ত হচ্ছে (China)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Raiganj University: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক বেনিয়ম! প্রশ্ন ক্যাগ রিপোর্টে, জবাব তলব

    Raiganj University: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক বেনিয়ম! প্রশ্ন ক্যাগ রিপোর্টে, জবাব তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Raiganj University) বহু লক্ষ টাকার আর্থিক বেনিয়ম হয়েছে বলে দাবি করেছে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ)। রাজ্যের প্রিন্সিপাল অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের তরফে চিঠিও পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়কে। ৯ সেপ্টেম্বর পাঠানো সেই চিঠিতে যে যে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ মিলেছে, তার জবাব চাওয়া হয়েছে।

    প্রজেক্ট রিপোর্ট বানাতে ৩৭.৬৮ লক্ষ! (Raiganj University)

    ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় (Raiganj University) তৈরি হয়েছিল। সেই সময় থেকে অর্থাৎ, ২০১৫-১৬ আর্থিক বছর থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচের অডিট করে ক্যাগ (CAG)। গত ২২ এপ্রিল থেকে ২৪ মে পর্যন্ত চলে অডিট। এর পরে ইন্সপেকশন রিপোর্ট তৈরি করে তা বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠানো হয়েছে গত ৯ সেপ্টেম্বর।  আনন্দবাজার প্রত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, ক্যাগের রিপোর্টে বলা হয়েছে, উপাচার্যের বাংলো এবং কর্মীদের আবাসন বানানোর ক্ষেত্রে নির্মাণকারী সংস্থাকে অতিরিক্ত ২৫.৮১ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা। নিয়ম ভেঙে ৫৫ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ক্যাগ। ওই কাজের বরাত প্রথমে রাজ্য সরকার অনুমোদিত সংস্থাকে দেওয়া হলেও পরে তা নিয়ম ভেঙে অন্য এক সংস্থাকে দেওয়া হয় বলে দাবি ক্যাগের। বলা হয়েছে, ওই সংস্থাকে কোনও আইনি ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়নি, বিশ্ববিদ্যালয় কোনও চুক্তিও করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের প্রজেক্ট রিপোর্ট বানাতে ৩৭.৬৮ লক্ষ টাকা খরচ নিয়েও প্রশ্ন তুলে ক্যাগ। এ ছাড়াও, রাজ্য সরকারের টেন্ডার নীতি অমান্য করে কয়েকটি সংস্থাকে বারংবার বিভিন্ন কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। যে সব ক্ষেত্রে কোনও দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।

    আরও পড়ুন: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে হতে হবে ভারত-কেন্দ্রিক, মনে করেন মোহন ভাগবত

     চেয়ার-টেবিল আনতে খরচ ৫.৪৮ লক্ষ!

    আনন্দবাজার প্রত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, ক্যাগের দাবি, সিসিটিভি ব্যবস্থা, গ্রন্থাগার, স্মার্ট ক্লাসরুম বানানো কিংবা সল্টলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Raiganj University) নামে ভাড়া নেওয়া তিন কামরার ফ্ল্যাট-সহ অনেক কিছু নিয়ে ‘অস্বচ্ছতা’র অভিযোগ রয়েছে ক্যাগের রিপোর্টে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নীতি-নিয়মের তোয়াক্কা করা হয়নি বলে দাবি। এমন নানা তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি ক্যাগের দাবি, ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ৯৭ লক্ষ টাকার চেয়ার-টেবিল কেনে। যা দোকান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আনতে খরচ হয়েছিল ৫.৪৮ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের এমন বহু লক্ষ টাকার খরচ দেখানো হয়েছে, যারযথাযথ রসিদ নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশ্ববিদ্যালয় এক কোটি টাকার বেশি তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রেও কোনও টেন্ডার ডাকেনি। ক্যাগের দাবি,৪৩.২৯ লাখ টাকার গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে কোনও টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী একটি বিলে পাঁচ লাখ টাকার বেশি খরচ করতে হলে ই-টেন্ডার বাধ্যতামূলক।

    কী বললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য?

    উপাচার্য দীপককুমার রায় এবং রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার ক্যাগের কাছে চিঠির কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের (Raiganj University) পরবর্তী এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকের পরে চিঠির জবাব দেওয়া হবে।  কবে হবে সেই বৈঠক? উপাচার্য দীপককুমার বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার বা উচ্চশিক্ষা দফতরের অনুমোদন মিললেই বৈঠক হবে। তার পরেই চিঠির জবাব তৈরি হবে। যে যে দফতর, সংস্থা বা ব্যক্তিকে নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। ”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share