Tag: Bengali news

Bengali news

  • Article 370: ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে ফের উত্তাল জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের

    Article 370: ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে ফের উত্তাল জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৭০ ধারা (Article 370) নিয়ে শুক্রবারও উত্তপ্ত হল জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা। বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা। এদিন বিজেপি বিধায়কদের পাশাপাশি মার্শালের নিশানা হলেন আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টির বিধায়ক খুরশিদ আহমেদ শেখ। স্পিকার আব্দুল রহিম রাথেরের নির্দেশে শুক্রবার খুরশিদের পাশাপাশি ১২ জন বিজেপি বিধায়ককেও সভা থেকে বার করে দেন মার্শাল। এর প্রতিবাদে বিজেপির বাকি ১১ বিধায়ক ওয়াকআউট করেন।

    এদিন ঠিক কী ঘটেছিল? (Article 370)

    এই নিয়ে টানা তিন দিন ৩৭০ ধারা (Article 370) নিয়ে অশান্তি হল দেশের নবীনতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভায়। শুক্রবার সভার শুরুতেই বিরোধী বিজেপির বিধায়কেরা জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। জবাবে বারামুলার সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার রশিদের ভাই খুরশিদ জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে স্লোগান তোলেন। আর এক বিরোধী দল পিডিপির বিধায়কেরাও তাঁর সঙ্গে গলা মেলান। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে মার্শালকে তলব করেন স্পিকার। পরে, বিজেপি বিধায়কদের বের করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবারও দু’পক্ষের অশান্তির কারণে মার্শাল ডেকে কয়েক জন বিজেপি বিধায়ককে বার করে দিয়েছিলেন স্পিকার। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সরকার বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরাতে চেয়ে প্রস্তাব পাশ করেছিল সেখানকার বিধানসভায়। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে অশান্তি।

    আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    বিশেষ মর্যাদা বিলোপের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়

    জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট নরেন্দ্র মোদি সরকার ৩৭০ নম্বর (Article 370) ধারা বাতিল করে। ফলে, বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু ও কাশ্মীর। এমনকি, কেড়ে নেওয়া হয় রাজ্যের তকমাও। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ-দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়। এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বরের রায়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়।

    জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে!

    পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, ওই বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল (Article 370) এবং কংগ্রেস। বিজেপির (BJP) জম্মু- কাশ্মীর সভাপতি রবীন্দ্র রায়না ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোটকে নিশানা করে বলেন, “ওরা পাকিস্তানের হাত শক্ত করছে। জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Aligarh University: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু তকমা! ঐকমত্যে না পৌঁছানোয় ঝুলে রইল সুপ্রিম কোর্টে

    Aligarh University: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু তকমা! ঐকমত্যে না পৌঁছানোয় ঝুলে রইল সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে (Aligarh University) সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল। সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারল না প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ। যদিও সাত সদস্যের এই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি-সহ চার সদস্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের আগের রায় খারিজ করে দিয়েছেন।

    ঠিক কী হয়েছে? (Aligarh University)

    আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে (Aligarh University) সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার সাংবিধানিক বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের রায়টি লেখেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। অন্যদিকে, বিরুদ্ধমত পোষণ করে স্বতন্ত্র রায় দেন বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র। সংখ্যাগরিষ্ঠের মতানুসারে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু তকমা ফেরার পথ প্রশস্ত হলেও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নতুন বেঞ্চ নেবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। চারজন পক্ষে এবং তিনজন বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। তবে এই রায়ে এখনই সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাচ্ছে না আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। এর জন্য তিন বিচারপতির আলাদা একটি বেঞ্চ গঠিত হবে। সেই বেঞ্চই যাবতীয় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে যে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাবে কি না। প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির সংখ্যালঘু তকমা খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত। ইন্দিরা গান্ধীর আমলে ১৯৮১-তে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করে এই প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণ চালু হয়েছিল। ২০০৬-এ ওই আইন খারিজ করে দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    সংখ্যালঘু তকমা পেলে কী সুবিধা মিলবে?

    কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু তকমা পেলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে। যদিও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (Aligarh University) বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সংরক্ষণ নীতি মেনে চলে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ স্কুল-কলেজের পড়ুয়ার জন্য সেখানে ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকে। মোদি সরকার প্রথম থেকেই আলিগড় এবং দিল্লি জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ তকমা দেওয়ার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিরোধিতার মুখে পড়লেও মোদি সরকারের যুক্তি হল, এই তকমা অসাংবিধানিক। সংসদের আইনের মাধ্যমে যে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে, পরে তাকে ধর্মের ভিত্তিতে বিশেষ তকমা দেওয়া দেশের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরুদ্ধে। তাছাড়া, সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্ধেক আসন সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত থাকায় তফসিলি জাতি, উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়াদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কারণ, সেখানে জাতপাতের ভিত্তিতে সংরক্ষণ থাকে না।

    সলিসিটর জেনারেল কী বললেন?

    এর আগে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্রের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা তাঁর সওয়ালে বলেন, “১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় (Aligarh University) প্রাক্- স্বাধীনতা যুগেও জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। তাই তাকে কেবলমাত্র সংখ্যালঘুদের জন্য বলা যেতে পারে না।”

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “আদালতকে দেখতে হবে কে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভাবনার নেপথ্যে কে আছেন। যদি দেখা যায় এই প্রতিষ্ঠান নেপথ্যে সংখ্যালঘু কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ছিল, তাহলে ৩০(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সেই প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পেতে পারে।” ১৯৬৭ সালের প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করতেই এবার তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলা পাঠালেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Attack: ভূস্বর্গে দুই ডিফেন্স গার্ডকে অপহরণ করে খুন, সেনার হামলায় নিকেশ দুই জঙ্গি

    Terrorist Attack: ভূস্বর্গে দুই ডিফেন্স গার্ডকে অপহরণ করে খুন, সেনার হামলায় নিকেশ দুই জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্ত ঝরল জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)। গত ৯ দিনের মধ্যে পর পর দুবার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটল। আর এবার জঙ্গিদের (Terrorist Attack) হামলায় জম্মু-কাশ্মীরের কিস্তেওয়ার থেকে দুই ভিলেজ ডিফেন্স গার্ডকে অপহরণ করা হয়। পরে তাদের হত্যাও করে জঙ্গিরা। পরিযায়ী শ্রমিকদের পর এবার নিশানায় নিরাপত্তা বাহিনী। এই ঘটনায় চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে উপত্যকায়।

    চোখ বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবি পোস্ট (Terrorist Attack)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাজির আহমেদ ও কুলদীপ কুমার নামক দুই নিরাপত্তারক্ষীকে মুঞ্জলা ধর জঙ্গল থেকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। তারা গরু চড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের অপহরণ করে খুন করে জঙ্গিরা (Terrorist Attack)। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা বাড়ি না ফেরায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। জইশ-ই-মহম্মদের শাখা কাশ্মীর টাইগারস এই হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। চোখ বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবিও পোস্ট করেছে তারা। এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। এই এলাকাটিতে গত কয়েক মাস ধরে জঙ্গি-হামলা হয়েই চলেছে। একজন সিনিয়র অফিসার বলেছেন, সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের সময় অন্তত দুবার এলাকায় জঙ্গি ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে। দিন কয়েক আগেই শ্রীনগরের বাজারে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছিলেন। ২৯ শে অক্টোবর, সেনাবাহিনী জম্মু জেলার বাটাল এলাকায় একটি অ্যাম্বুল্যান্সে হামলাকারী তিন জঙ্গিকে হত্যা করে।

    আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    যৌথ অভিযানে দুই জঙ্গি নিকেশ

    ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানের অধীনে সন্ত্রাসবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর শুক্রবার বারামুল্লা জেলার সোপোর এলাকায় দুই জঙ্গি (Terrorist Attack) নিহত হয়েছে। কাশ্মীর জোন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বারামুল্লার সোপোর এলাকার পানিপোরায় জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কিত একটি নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা একটি যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছিল। তল্লাশি চালানোর সময় গুলি বিনিময় হয়। তাতে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। সনাক্তকরণ এবং সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। অপরাধমূলক উপকরণ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও বিশদ বিবরণ অনুসরণ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০ অক্টোবর গান্দেরবাল জেলার শ্রীনগর-লেহ জাতীয় সড়কে একটি টানেল নির্মাণের জায়গায় জঙ্গিরা হামলা চালালে একজন ডাক্তার এবং ছয়জন নির্মাণ শ্রমিক নিহত হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Gurukul: বৈদিক শিক্ষার প্রসারে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, অযোধ্যার গুরুকুলকে অনুমোদন, মিলবে স্কলারশিপও

    Ayodhya Gurukul: বৈদিক শিক্ষার প্রসারে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, অযোধ্যার গুরুকুলকে অনুমোদন, মিলবে স্কলারশিপও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ পরিচালিত অযোধ্যার গুরুকুল বিদ্যাপীঠ (Ayodhya Gurukul) কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের কাছ থেকে অনুমোদন পেল। প্রসঙ্গত, এই গুরুকুলে চার বেদের (Vedic Education) ওপরে শিক্ষাদান করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে বৈদিক শিক্ষা ত্বরান্বিত হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, এই গুরুকুলের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি হলেন আচার্য মনোজ দীক্ষিত। কেন্দ্রীয় সরকারের এই ঘোষণার কথা একটি সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন গুরুকূলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি 

    তিনি বলেন, এই গুরুকুলে বৈদিক শিক্ষা প্রদানের জন্য আচার্যের পদও তৈরি করা হয়েছে। ৬ জন আচার্য থাকবেন। এদের মধ্যে তিনজন শুক্ল যজুর্বেদের বিষয়ে পাঠদান (Ayodhya Gurukul) করবেন। বাকি তিনজন যথাক্রমে অথর্ববেদ, সামবেদ এবং ঋকবেদ পড়াবেন। তিনি আরও বলেন, এই গুরুকুলে (Ayodhya Gurukul) আধুনিক বিষয় হিসেবে গণিত ও কম্পিউটার সায়েন্সও পড়ানো হবে ছাত্রদের। সংস্কৃত ভাষারও আচার্য নিয়োগ করা হয়েছে ইতিমধ্যে।

    আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর হামলা, ঢাকাকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাল ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    ১২ হাজার বর্গমিটার জুড়ে গুরুকূল, মিলবে স্কলারশিপও (Ayodhya Gurukul) 

    শুধুমাত্র তাই নয়, গুরুকুলের ছাত্ররা স্কলারশিপও পাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, কুড়িজন ছাত্র যারা বাটুক ব্রহ্মচারী নামে পরিচিত, তাদেরকে ৬০০০০ টাকা স্কলারশিপ প্রদান করা হবে বছরে। এছাড়া ১২ জন ছাত্রকে বছরে ১২ হাজার টাকা স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। স্কলারশিপের মাধ্যমে ওই পড়ুয়ারা নিজেদের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারবে। প্রসঙ্গত গুরুকুলটি ১২,০০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত রয়েছে। ক্যাম্পাসে বর্তমানে এখানে পাঁচটি স্কুল (Vedic Education) চলছে। আরও অন্যান্য স্কুল তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে কর্তৃপক্ষের। ২০০ ব্রহ্মচারী থাকার মতো হস্টেল নির্মাণেরও কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, ২০০ ছাত্র একসঙ্গে বসতে পারে, এমন একটি সেমিনার হল তৈরির কাজও ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। এছাড়া বড় একটি গ্রন্থাগার নির্মাণেরও কাজ চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Tunnel: যানজট কমাতে বড় পদক্ষেপ, গঙ্গার তলা দিয়ে কলকাতা-হাওড়া সুড়ঙ্গপথ তৈরিতে উদ্যোগী কেন্দ্র

    Kolkata Tunnel: যানজট কমাতে বড় পদক্ষেপ, গঙ্গার তলা দিয়ে কলকাতা-হাওড়া সুড়ঙ্গপথ তৈরিতে উদ্যোগী কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মধ্যে প্রথম নদীর তলা দিয়ে মেট্রো চলাচল শুরু হয়েছে কলকাতাতেই। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য কলকাতা (Kolkata Tunnel) থেকে হাওড়া পর্যন্ত গঙ্গার (Ganges) নীচ দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলের সুড়ঙ্গ তৈরি। এ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের প্রাথমিক কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে। আগামী বছর থেকেই সেই কাজ শুরু হয়ে যেতে পারে।

    কোথায় তৈরি হবে সুড়ঙ্গপথ? (Kolkata Tunnel)

    কেন্দ্রীয় সরকার কোন প্রকল্পে এই কাজ করবে, তাও ঠিক হয়ে গিয়েছে। এমনকী গঙ্গার নীচে কোথায় সেই সুড়ঙ্গ পথ তৈরি করা হবে, তার প্রাথমিক জায়গাও ঠিক করা হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি প্রকল্পের অধীনেই ওই সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতার দক্ষিণ প্রান্তে মেটিয়াবুরুজ থেকে হাওড়া যাওয়ার প্রস্তাবিত সুড়ঙ্গ (Kolkata Tunnel) মূলত ট্রাক যাতায়াতের জন্যই তৈরি হবে। এর ফলে বন্দর এলাকার ট্রাক হাওড়া হয়ে বিভিন্ন জাতীয় সড়ক ধরে রাজ্যের অন্যত্র যেতে পারবে। ২০২২ সালেই এমন পরিকল্পনা করেছিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর পরে গঙ্গার তলা দিয়ে বন্দর এলাকায় ট্রাক যাতায়াতের জন্য সুড়ঙ্গ বানানো সম্ভব কি না, তার পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শেষ হয়ে বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকে রিপোর্ট জমা পড়েছে।

    আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    এখন বন্দর থেকে কোনও ট্রাককে জাতীয় সড়কে যেতে হলে প্রধান পথ দ্বিতীয় হুগলি সেতু। সেই সেতু দিয়েই যাতায়াতের জন্য কলকাতা (Kolkata Tunnel) শহরে ঢুকতে হয় ট্রাককে। শহরের যান চলাচলে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, তার জন্যই সুড়ঙ্গপথের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সড়কমন্ত্রী নীতীন গড়কড়িকে দিয়েছিলেন শান্তনু। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পরেই ওই প্রস্তাব দেন। পরে ‘সম্ভাবনা’ পরীক্ষার অনুমোদন পাওয়া যায়। বন্দর কর্তৃপক্ষ সেই পরীক্ষা চালান একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে। সেই রিপোর্ট যে মন্ত্রকে জমা পড়েছে, সম্প্রতি তা লোকসভাতেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। প্রকল্প প্রসঙ্গে জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর  বলেন, “আপাতত যা ঠিক হয়েছে, তাতে ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে ওই প্রকল্পের জন্য। মোট ১৫ কিলোমিটার রাস্তা হবে। তার মধ্যে ৮ কিলোমিটার থাকবে সুড়ঙ্গপথ। ফলে, এই কাজ শুরু করা যেতে পারে। আর সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে গেলে শহরে কোনও ট্রাক ঢুকবে না। ফলে, যানজট অনেকটাই কমবে। আর শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হবে ওই সুড়ঙ্গ। যা পরিকল্পনা, তাতে ভিন্ রাজ্য তো বটেই, রাজ্যেরও সর্বত্র সহজে পৌঁছে যাওয়ার জন্য সংযোগকারী রাস্তা তৈরি এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে।”

    কোথায় যানজট?

    এখন কলকাতায় যানজট কমাতে দিনে ৮ ঘণ্টা ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। এর পরেও রাস্তায় বাকি গাড়ির জটের মধ্য দিয়ে গতি বাড়াতে পারে না ট্রাক। ফলে রাত পর্যন্ত অপেক্ষ করতে হয় অনেক ট্রাককে। আবার বন্দর থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু যাওয়ার জন্য গার্ডেনরিচ সার্কুলার রোড, খিদিরপুর রোড, হেস্টিংস পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়। গঙ্গার তলা দিয়ে হাওড়ায় যাওয়ার সুবিধা হয়ে গেলে এ সব থেকে কলকাতা মুক্তি পাবে বলে দাবি শান্তনুর। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গোটা দেশেই সড়কপথের চরিত্র বদলে গিয়েছে। দেশের গতি বেড়েছে। অনেক টানেল পথ দিয়ে গাড়ি, ট্রেন, ছুটছে। এ বার সেই গতি পাবে কলকাতা তথা বাংলাও।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kiren Rijiju: কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি মহারাষ্ট্রের মানুষ বিশ্বাস করবে না, ভোটের আবহে তোপ কিরেণ রিজিজুর

    Kiren Rijiju: কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি মহারাষ্ট্রের মানুষ বিশ্বাস করবে না, ভোটের আবহে তোপ কিরেণ রিজিজুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra)  জনগণ কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করবে না, এভাবেই তোপ দাগলেন সংসদীয় মন্ত্রী তথা ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা কিরেণ রিজিজু (Kiren Rijiju)। একই সঙ্গে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকেও একহাত নেন তিনি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নাগপুরে সংবিধান সম্মেলন করেন রাহুল গান্ধী। এ নিয়েই রিজিজু বলেন, ‘‘কংগ্রেস সংবিধান নিয়ে আলোচনা করতেই পারে না। কারণ পূর্বে একাধিকবার দেখা গিয়েছে সংবিধানকে সবচেয়ে বেশি অবমাননা করেছে তারা।’’

    কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরাতে চায় কংগ্রেস (Kiren Rijiju)

    তিনি বলেন, ‘‘ডক্টর বাবাসাহেব আম্বেদকরের তৈরি করা সংবিধানকে তারা (কংগ্রেস) অশ্রদ্ধা করে।’’ রিজিজু (Kiren Rijiju) আরও বলেন, ‘‘কংগ্রেস বলেছে সংবিধানের ৩৭০ ধারা পুনরায় কাশ্মীরে ফেরানো উচিত। কিন্তু এই ৩৭০ ধারার জন্যই সেখানে সংরক্ষণ ব্যবস্থা ছিল না। মোদিজি এই ধারা তুলে দিয়েছেন এবং সেখানকার তফশিলি জাতি এবং উপজাতিরা আজও সংরক্ষণ পাচ্ছেন। কংগ্রেস এইভাবে জনগণকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে না।’’ মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীরা যোগ্য জবাব পাবে বলেও মন্তব্য করেন রিজিজু। প্রসঙ্গত, আগামী ২০ নভেম্বর ভোট রয়েছে মহারাষ্ট্রে। সে রাজ্যের ২৮৮টি আসনে হবে নির্বাচন। ভোট গণনা হবে ২৩ নভেম্বর।

    কংগ্রেসকে আক্রমণ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর

    অন্যদিকে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মাও কংগ্রেসকে এক হাত নেন। বৃহস্পতিবার তিনি হাজির ছিলেন মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে এক নির্বাচনী জনসভায়। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস জনগণকে বোকা বানাতে চায়। কিন্তু জনগণ সেটা ধরে ফেলেছে, প্রত্যেকেই নিশ্চয়ই দেখেছেন কংগ্রেস কীভাবে জনতাকে জাতি ও বর্ণ ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করে।’’ তিনি আরও মন্তব্য করেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ডবল ইঞ্জিন সরকারই প্রতিষ্ঠিত হবে।’’ তাঁর মতে, ‘‘ভারত ও মহারাষ্ট্রের জনগণ নরেন্দ্র মোদিতেই আস্থা রেখেছেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা সম্পর্কে জানেন এবং তাঁর ইতিবাচক পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে অবহিত।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Hindus: চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর হামলা, ঢাকাকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাল ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    Bangladeshi Hindus: চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর হামলা, ঢাকাকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাল ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামে হিন্দুদের (Bangladeshi Hindus) ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানাল ভারত সরকার। এক বিবৃতিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ধরনের ঘটনা সে দেশের সংখ্যালঘুদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সাংবাদিক সম্মেলনে বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমরা লক্ষ্য করেছি, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর চট্টগ্রামে ব্যাপক হামলা হয়েছে। তাঁদের সম্পত্তি লুট করা হয়েছে। তাঁদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই ধরনের ঘটনায় যেন বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করে এবং উগ্র মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।’’

    ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে সমাজমাধ্যমে (Bangladeshi Hindus)

    হিন্দুদের (Bangladeshi Hindus) সুরক্ষার জন্য তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা বোঝাই যাচ্ছে যে উগ্র মৌলবাদীরা সে দেশে সমাজ মাধ্যমে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত বাংলাদেশের (Bangladesh) বন্দর শহর হল চট্টগ্রাম। সেখানেই হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে, একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে। ওই পোস্টের মাধ্যমে হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইসকনের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই সেখানে উত্তেজনা ছড়ায়। বৃহস্পতিবারই পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে যৌথভাবে সেখানে অপারেশন চালাতে হয়।

    শূন্যে গুলি চালায় যৌথবাহিনী

    জানা গিয়েছে, চট্টগ্রামের একজন স্থানীয় বাসিন্দা (যার নাম ওসমান) ফেসবুকে দাবি করে, ইসকনকে (Bangladeshi Hindus) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ এবং সেনার যৌথ বাহিনী ১০০ জনেরও বেশি সন্দেহজনকে আটক করেছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, যৌথ বাহিনীর ওই অপারেশনে শূন্যে গুলিও চালানো হয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর সময় বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ ও কালী মন্দির হামলা চালানো হয়েছে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ১০ বছরে সন্ত্রাস কমেছে ৭০ শতাংশ, শীঘ্রই আসছে জাতীয় সন্ত্রাস-দমন নীতি, জানালেন অমিত শাহ

    Amit Shah: ১০ বছরে সন্ত্রাস কমেছে ৭০ শতাংশ, শীঘ্রই আসছে জাতীয় সন্ত্রাস-দমন নীতি, জানালেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দশ বছরে সন্ত্রাসবাদ ৭০ শতাংশ কমেছে। মোদি জমানায় সন্ত্রাস দমনে এমনই সাফল্যের কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, খুব তাড়াতাড়ি জাতীয় সন্ত্রাস-দমন নীতি (National counter terrorism policy) আসতে চলেছে। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি আয়োজিত সন্ত্রাস-বিরোধী সম্মেলন-২০২৪-এ যোগদান করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই তাঁকে একথা বলতে শোনা যায়।

    কী বললেন অমিত শাহ (Amit Shah)? 

    অমিত শাহ বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ রাজ্য সরকারের ওপর ন্যস্ত। রাজ্য সরকারগুলির নিজস্ব ভৌগোলিক সীমানা রয়েছে এবং তাদের সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদের কোনও ভৌগোলিক সীমা নেই। তাই কেন্দ্র ও রাজ্যের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলিকে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়িয়ে কাজ করতে হবে, সন্ত্রাসের মোকাবিলা করার জন্য। এদিনের সন্ত্রাস-বিরোধী সম্মেলনে হাজির ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের ডিজিপি পদমর্যাদার আধিকারিকরা। তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করে অমিত শাহ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনআইএ সন্ত্রাস দমন মামলায় ইউএপিএ আইনকে ব্যবহার করে এবং তার ফলাফল যথেষ্ট ভালো। এখনও পর্যন্ত ৬৩২টি মামলার মধ্যে ৪৯৮টিতেই শাস্তি হয়েছে এই আইনে অভিযুক্ত ৯৫ শতাংশেরই।

    নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দেশ অবিশ্বাস্যভাবে এগিয়ে চলেছে

    অমিত শাহ (Amit Shah) আরও বলেন, ‘‘আমরা এরপর আর একটি পদক্ষেপ করব, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। এই কারণে আমরা খুব শীঘ্রই নিয়ে আসব জাতীয় সন্ত্রাস-দমন নীতি (National counter terrorism policy), যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কিন্তু আমি যেটা বারবার বলছি, পুলিশ হল রাজ্যের অধীনে। তাই সন্ত্রাস-বিরোধী বেশি লড়াই রাজ্যকেই করতে হবে। সমস্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদেরকে সাহায্য করবে, তথ্য দিয়ে।’’ তিনি আরও বলেন, নতুন এই সন্ত্রাস-দমন নীতি কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়াবে। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দেশ অবিশ্বাস্যভাবে এগিয়ে চলেছে এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছে। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সন্ত্রাসকে শেষ করার বিষয়ে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 08 November 2024: ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 08 November 2024: ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কর্মস্থানে বন্ধুদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) সঙ্গীতে সাফল্য পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) গাড়ি একটু সাবধানে চালান।

    ২) অর্শ-জাতীয় রোগ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটিতে বিবাদে জড়াবেন না।

    মিথুন

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে। 

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    সিংহ

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণা জন্মাতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে বেশি।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ সংযত রাখুন।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    তুলা

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) আপনার বিষয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সকালের দিকে একই খরচ বার বার হবে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) রক্তহীনতা বাড়তে পারে।

    ২) বাইরের লোকের জন্য দাম্পত্য কলহ।

    ৩) সংযমী হতে হবে। ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    মকর

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ।

    কুম্ভ

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তিবোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Firhad Hakim: রেখা পাত্রকে ‘কু-মন্তব্য’ ফিরহাদের! মুখ্যসচিব-ডিজিকে তদন্তের নির্দেশ জাতীয় মহিলা কমিশনের

    Firhad Hakim: রেখা পাত্রকে ‘কু-মন্তব্য’ ফিরহাদের! মুখ্যসচিব-ডিজিকে তদন্তের নির্দেশ জাতীয় মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাড়োয়ায় উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্রকে নিয়ে প্রকাশ্য জনসভা থেকে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে ফিরহাদের (Firhad Hakim) বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজনৈতিক মহলে। এবার ফিরহাদ হাকিমের ওই মন্তব্য নিয়ে তদন্ত করার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে নির্দেশ দিল জাতীয় মহিলা কমিশন। আইনি পদক্ষেপ করার জন্য কমিশন নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই তদন্ত শেষে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। এসেছে এমনই নির্দেশ।

    ফিরহাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ (Firhad Hakim)

    বৃহস্পতিবার সকালেই ফিরহাদের (Firhad Hakim) বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে বিধাননগর দক্ষিণ থানার দ্বারস্থ হন বিজেপির বিধাননগরের মণ্ডল সভাপতি সঞ্জয় পয়রা। কিন্তু, পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে দাবি তাঁর। পরবর্তীতে মেইল মারফত অভিযোগ দায়ের হয় বিধাননগর কমিশনারেটে। যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই বিজেপি নেতা। তিনি ক্ষোভের সুরে বলেন, “বাংলায় গণতন্ত্র নেই। আইনের শাসন নেই। শাসকের আইন রয়েছে। তাই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করল পুলিশ।”

    আরও পড়ুন: আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন হাসিনার, কৌশলী বার্তা আওয়ামী লিগের

    সরব হয়েছেন শুভেন্দু

    ফিরহাদের (Firhad Hakim) মন্তব্য প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রেখা পাত্রকে অপমান করার কোনও অধিকার নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য ফিরহাদ হাকিমের। একজন মহিলা সম্পর্কে ওই শব্দ ব্যবহার করা উচিত হয়নি।”  ‘কু-মন্তব্যের’ জন্য ফিরহাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। জাতীয় মহিলা কমিশনকে ট্যাগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। এরপর প্রধানমন্ত্রীর দফতর, জাতীয় মহিলা কমিশন, জাতীয় তফসিলি জাতি জনজাতি কমিশনকে ট্যাগ করে অভিযোগ জানান। সেই সঙ্গে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদারকেও ট্যাগ করেন তিনি। তাঁর দাবি, “শুধু একজন মহিলাকে নয়, পৌণ্ড্র ক্ষত্রিয় জনজাতিকেও অপমান করা হয়েছে”।

    সন্দেশখালির মা-বোনেদের অপমান

    এদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের জবাব দিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার জানিয়েছেন, জাতীয় মহিলা কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। তিনি এক্স মাধ্যমে লিখেছেন,”সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলাদের ওপর কী অত্যাচার হয়েছে, তা সবাই দেখেছে। এই মন্তব্য তাঁদের সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছে। এটা সমাজের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।” ফিরহাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন রেখা পাত্রও। তিনি বলেন, “আমাকে যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন, সেটা খুব নিন্দনীয়। আমার মতো খেটে খাওয়া পরিবারের মেয়েকে অপমান করা হয়েছে। এই অপমান গোটা সন্দেশখালির মা-বোনেদের অপমান।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share