Tag: Bengali news

Bengali news

  • Republicans Win Senate: আমেরিকায় লাল-বিপ্লব! ৪ বছর পর মার্কিন সেনেটও রিপাবলিকানদের দখলে

    Republicans Win Senate: আমেরিকায় লাল-বিপ্লব! ৪ বছর পর মার্কিন সেনেটও রিপাবলিকানদের দখলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রং বদলাল মার্কিন সেনেটের (Republicans Win Senate)। হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানের হাতেই গেল মার্কিন (US) সেনেটের রাশ। ভারতের মতো মার্কিন মুলুকেও আইনসভার দুটি কক্ষ – উচ্চকক্ষ (ভারতে নাম রাজ্যসভা) ও নিম্নকক্ষ (ভারতে নাম লোকসভা)। মার্কিন কংগ্রেসের (সংসদ) নিম্নকক্ষের নাম হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং উচ্চকক্ষের নাম সেনেট। এই সেনেটের রং দীর্ঘদিন ছিল নীল (পড়ুন ডেমোক্র্যাটদের দখলে, যে পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস)। সেই সেনেটেই এবার জয়জয়কার ট্রাম্পের পার্টির। হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভসও যেতে চলেছে লাল পার্টির (পড়ুন ট্রাম্পের দলের) দখলে।

    সেনেটের রং লাল (Republicans Win Senate)

    মার্কিন সেনেটের আসন সংখ্যা ১০০। তার মধ্যে চার নির্দলের সমর্থন নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের দখলে ছিল ৫১টি আসন। ট্রাম্পের দলের হাতে ছিল ৪৯টি আসন। বুধবার, ৬ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় মার্কিন মুলুকে। এদিনই নির্বাচন হয় সেনেটের ৩৪টি আসনেও। তার পরেই স্পষ্ট হয়ে যায়, এবার সেনেট দাপিয়ে বেড়াবেন রিপাবলিকানরা। জানা গিয়েছে, সেনেটের ৫১টি আসনের রশি গিয়েছে রিপাবলিকানদের (ট্রাম্পের দলের)  হাতে। একবার (Republicans Win Senate) নির্বাচনে জিতে যিনি সেনেটর হবেন, তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ৬ বছর। প্রতি দু’বছর অন্তর নির্বাচন হয় এক তৃতীয়াংশ আসনে। সেই হিসেবেই এবার ভোট হয়েছিল ৩৪টি আসনে। তার পরেই স্পষ্ট হয়ে যায়, চার বছর পর রং বদলাচ্ছে সেনেটের।

    হাউসেও এগিয়ে ট্রাম্পের দল

    হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভসে রিপাবলিকানরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। প্রাথমিক গণনার ফল বলছে, এবারও সেখানে দাপিয়ে বেড়াবে তারা। হাউসের আসন সংখ্যা ৫৩৮। ম্যাজিক ফিগার ২৭০। বুধবার বিকেল পর্যন্ত (ভারতীয় সময়) ২৬৭টি আসনে জয়ী হয়েছে ট্রাম্পের দল। ডেমোক্র্যাট পার্টি জয় পেয়েছে ২২৪টি আসনে। ফলে, এটা স্পষ্ট, হোয়াইট হাউসেও ফিরতে চলেছে ট্রাম্প-যুগ।

    আরও পড়ুন: ময়নায় বিজেপি নেতা খুন, কোমরে দড়ি পরিয়ে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    মার্কিন দেশের প্রেসিডেন্ট পদে যেই জিতুন না কেন, নয়া কোনও আইন পাশ করাতে গেলে এই দুটি কক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে সেনেটের গুরুত্ব খানিকটা হলেও বেশি। এ দেশে সেনেটের দখল পাওয়ার (US) অর্থ কর নির্ধারণ থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ, সবেতেই ক্ষমতা কায়েম থাকবে ট্রাম্পের দলের (Republicans Win Senate)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Dengue: পুজো কাটতেই জেলায় জেলায় চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি-চিকুনগুনিয়া! উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মালদা-মুর্শিদাবাদ

    Dengue: পুজো কাটতেই জেলায় জেলায় চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি-চিকুনগুনিয়া! উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মালদা-মুর্শিদাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো মিটতেই রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গির প্রকোপ। ফলে বাড়ছে চিন্তা। জেলায় জেলায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি। গত বছরের তুলনায় এবার রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও, এমন কয়েকটি জায়গায় সংক্রমণ বেড়েছে, যেখানে আগে এই হারে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়েনি। সবথেকে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদে। তালিকার ৭ নম্বরে রয়েছে কলকাতা। তবে একা ডেঙ্গি নয়, দোসর হিসেবে উপস্থিত চিকুনগুনিয়াও। ভয় ধরানো খবর এল মালদা থেকে।

    কোন জেলায় কত আক্রান্ত? (Dengue)

    স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৬৩। সবথেকে বেশি সংক্রমণ মুর্শিদাবাদে। আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৩২১। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। অক্টোবর মাস পর্যন্ত এই জেলায় ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৬৩ জন। সংক্রমণের নিরিখে তিন নম্বরে মালদা। আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯০৪। অক্টোবর পর্যন্ত তালিকায় সাত নম্বরে থাকা কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩১।

    আরও পড়ুন: ভোটে কারচুপি মার্কিন মুলুকে! ট্রাম্পের অভিযোগে শোরগোল আমেরিকায়

    কোন কোন এলাকায় মৃত্যু?

    গত বছরের তুলনায় এবার রাজ্যে আক্রান্তের (Dengue) সংখ্যা কম হলেও, এমন কয়েকটি জায়গায় সংক্রমণ বেড়েছে, যেখানে আগে এই হারে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়েনি। বিশেষজ্ঞদের কপালে ভাঁজ ফেলছে বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের পরিসংখ্যান। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত শনিবার রাজারহাট গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা ডেঙ্গি আক্রান্ত ৭০ বছরের এক মহিলার মৃত্যু হয়। গত ৭ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গি আক্রান্ত ১১ বছরের এক বালকের মৃত্যু হয় বাগুইআটিতে।

    কোন কোন ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে, উপসর্গ কী?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন জ্বর যেগুলি হচ্ছে, প্রথমে ডেঙ্গি (Dengue) আছে কিনা, দেখে নিতে হবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হলেও, হচ্ছে কিছুটা। সতর্কবার্তা এটাই, জ্বর হলে কিন্তু রক্ত পরীক্ষা করে অবশ্যই দেখতে হবে। ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া রুটিন পরীক্ষা অনুযায়ী করতে হবে। হলে তখন কী করা উচিত? বিশেষজ্ঞরা জানান, এই সময়ে শিরার মধ্যে থেকে জল বাইরে চলে আসে। তাই প্রচুর পরিমাণে জল এবং ওআরএস খেতে হবে।

    ডেঙ্গির দোসর চিকুনগুনিয়া!

    ডেঙ্গির (Dengue) পাশাপাশি এবার দোসর হল চিকুনগুনিয়া। মশাবাহিত এই অসুখের থাবা এবার মালদায়। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের কলাইবাড়ি গ্রামে ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে এই মুহূর্তে ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখেও ৩ নম্বরে রয়েছে মালদা জেলা। আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৯০৪ জন। মশাবাহিত এই রোগের পরিসংখ্যান উদ্বেগ বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের। মাসখানেক ধরেই কলাইবাড়ি অজানা জ্বরের আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল। হাতে-পায়ে অসহ্য ব্যথা হচ্ছিল জ্বরে আক্রান্তদের। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের রিপোর্টের ভিত্তিতে তড়িঘড়ি রক্তের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। রিপোর্ট আসার পর কলাইবাড়ি গ্রামে খোলা হয়েছে স্বাস্থ্য শিবির। চিকুনগুনিয়ার (Chikungunya) সংক্রমণ রুখতে শুরু হয়েছে মশা-নিধনের কাজ।

    কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?

    মূলত মশা থেকে এই রোগ ছড়ায়। তাই মশা নিধনের জন্য কীটনাশক প্রয়োগ করা উচিত। এছাড়াও জমা জল কোথাও যেন না থাকে সে বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে। এই সময় উচিত হাত-পা ঢাকা দেওয়া জামা পরা। রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা উচিত।  আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে গ্রামবাসীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রায় তিন মাস ধরে অজানা জ্বর নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে মালদার কলাইবাড়ি গ্রামে। জ্বরের সঙ্গে অসহ্য হাতে পায়ে ব্যাথা অনুভব করছেন এখানকার চিকুনগুনিয়া আক্রান্তরা। প্রথমদিকে, এই রোগ নির্ণয় করা যায়নি বলেই জানা গিয়েছে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের রিপোর্টের পর জ্বরে আক্রান্ত ৫০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাতেই জানা যায় সাধারণ জ্বর নয়, এই গ্রামে বহু মানুষ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tigers Missing: রণথম্বোরের জঙ্গল থেকে উধাও ২৫টি বাঘ, খোঁজ পেতে কমিটি গড়ল রাজস্থান

    Tigers Missing: রণথম্বোরের জঙ্গল থেকে উধাও ২৫টি বাঘ, খোঁজ পেতে কমিটি গড়ল রাজস্থান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুটো-পাঁচটা নয়, জঙ্গল থেকে নিখোঁজ ২৫টি বাঘ (Tigers Missing)। নিখোঁজ ‘মামা’দের খোঁজ পেতে তিন সদস্যের কমিটি গড়লেন রাজস্থানের মুখ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষক। বাঘ খোয়া গিয়েছে রণথম্ভোর টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে।

    মুখ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষকের অভিযোগ (Tigers Missing)

    ৪ নভেম্বর তারিখের একটি আদেশে মুখ্য বন সংরক্ষক (বন্যপ্রাণী) এবং মুখ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষক পবন কুমার উপাধ্যায় জানিয়েছেন, রণথম্ভোর টাইগার রিজার্ভে বাঘের নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কে তথ্য দীর্ঘদিন ধরেই টাইগার মনিটরিং রিপোর্টে আসছে। তিনি বলেন, “এই বিষয়ে রণথম্ভোর টাইগার রিজার্ভের ফিল্ড ডিরেক্টরকে একাধিকবার চিঠিও পাঠানো হয়েছে। তার পরেও পরিস্থিতির কোনও সন্তোষজনক পরিবর্তন হয়নি।” উপাধ্যায়ের মতে, রণথম্ভোরে আনুমানিক ৭৫টি বাঘ রয়েছে। এর মধ্যে টি-৫৮ এবং টি-৮৬ বাঘ দু’টি সম্প্রতি মারা গিয়েছে। তাই এগুলি গণনার মধ্যে ধরা হচ্ছে না।

    বাঘের খোঁজে কমিটি

    তাঁর আদেশে ১৪ অক্টোবরের একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ১১টি বাঘকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পাওয়া যায়নি (Tigers Missing)। আরও ১৪টি বাঘের অস্তিত্বও টের পাওয়া যায়নি। উপাধ্যায়ের মতে, এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। এই কমিটি নিখোঁজ বাঘগুলির বিষয়ে তদন্ত করবে এবং তাঁর কাছে রিপোর্ট দাখিল করবে। তিন সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন এপিসিসিএফ (বন্যপ্রাণী) রাজেশ কুমার গুপ্ত এবং বন বিভাগের দুই কর্মকর্তা টি মোহন রাজ এবং মনস সিং। দু’মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে তাঁদের।

    আরও পড়ুন: ‘মাধ্যম’ অফিসে পুলিশি হানা, কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত-ভারতী

    উপাধ্যায় বলেন, “যখন আমি প্রধান বন্যপ্রাণী রক্ষক হলাম, তখন আমি বাঘ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনগুলো স্টাডি করতে শুরু করি। আমি এই বিষয়ে প্রথম চিঠি লিখেছিলাম ২০২৪ সালের এপ্রিলে… কিন্তু উত্তরটি সন্তোষজনক ছিল না।” তিনি বলেন, “গত এক বছরের মধ্যে ১৪টি নিখোঁজ বাঘের মধ্যে একটি বাঘের সবচেয়ে পুরনো ছবি ২০২৪ সালের ১৭ মে এবং সর্বশেষ ছবি ৩০ সেপ্টেম্বরের।” তিনি বলেন, “এই বাঘগুলির খোঁজ মেলেনি মানে এই নয় যে, সেগুলিকে হত্যা করা হয়েছে অথবা চোরাশিকারিদের খপ্পরে পড়েছে। এমন হতেই পারে সেগুলি ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েনি (Tigers Missing)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: ময়নায় বিজেপি নেতা খুন, কোমরে দড়ি পরিয়ে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    NIA: ময়নায় বিজেপি নেতা খুন, কোমরে দড়ি পরিয়ে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতাকে খুনের (BJP Leader Murder) অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় (Moyna) এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার হলেন এক তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা। বিজেপি নেতাকে খুনের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ (NIA)। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তারপরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় পুলিশ আগেও একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও এই প্রথম কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (NIA)

    ২০২৩ সালের ১ মে বাকচার গোড়ামহল গ্রামে বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞাকে বাড়ির কাছ থেকে অপহরণ করে খুনের (BJP Leader Murder) অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিজয়ের স্ত্রী লক্ষ্মীরানি বাকচা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরা-সহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ময়না থানার পুলিশ অভিযুক্ত ন’জনকে গ্রেফতার করেছিল। তবে চার্জশিটে অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনের নাম তারা বাদ দেয়। এতে কয়েকজন আদালতে জামিন পান। এমন অবস্থায় বিজয় ভুঁইয়ার পরিবার ওই মামলার তদন্তে পুলিশের ওপর আস্থা না রেখে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে (NIA) দ্বায়িত্ব দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন।

    এপ্রিলে তদন্তভার নেয় এনআইএ

    চলতি বছর এপ্রিলে হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলাটির তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে দেন। আর সেই তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে নবকুমারের বিরুদ্ধে। এরপরই খুনের (BJP Leader Murder) ঘটনায় পলাতক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ এনআইএ (NIA) প্রতিনিধিরা নবকুমার মণ্ডল নামে ওই নেতাকে গোড়ামহল গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। কোমরে দড়ি পরিয়ে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। বুধবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এনআইএ বিশেষ আদালতে তোলা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ভোটে কারচুপি মার্কিন মুলুকে! ট্রাম্পের অভিযোগে শোরগোল আমেরিকায়

     গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কী বললেন?

    স্থানীয় সূত্রের খবর, গ্রামে নবকুমারের মুদির দোকান রয়েছে। তিনি এলাকায় তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচিত। খুনের মামলার অধিকাংশ অভিযুক্ত পলাতক ছিলেন। সেই তালিকায় ছিলেন নবকুমারও। তবে তিনি কয়েকদিন আগে বাড়িতে ফেরেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে এনআইএ ওই অভিযান চালায়। বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঞ্জিৎ ভৌমিক বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি (NIA) গ্রেফতার করেছে। বিজয়বাবুর খুনের ঘটনায় (BJP Leader Murder) যাঁদের নোটিশ পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা, তাঁদের অনেকেই গিয়েছেন হাজিরা দিতে। অনেকেই যাননি। তাঁদের খুঁজে বের করছে এজেন্সি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Subsidised Bharat Atta Rice: ভর্তুকিযুক্ত ‘ভারত’ ব্র্যান্ডের আটা-চাল বিক্রির দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা কেন্দ্রের

    Subsidised Bharat Atta Rice: ভর্তুকিযুক্ত ‘ভারত’ ব্র্যান্ডের আটা-চাল বিক্রির দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভর্তুকিযুক্ত ‘ভারত’ ব্র্যান্ডের আটা ও ভারত চালের (Subsidised Bharat Atta Rice) খুচরো বিক্রির দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। নয়াদিল্লিতে তিনি কয়েকটি মোবাইল ভ্যানের যাত্রার সূচনাও করেন। এই মোবাইল ভ্যানগুলি ভারতের ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ কনজিউমার্স ফেডারেশন, ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং কেন্দ্রীয় ভান্ডারের।

    ‘ভারত’ চাল-আটার দাম (Subsidised Bharat Atta Rice)

    মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এই (Price Rising) প্রকল্পে উপভোক্তারা ভারত আটা প্রতি কেজি ৩০ টাকা এবং ভারত চাল প্রতি কেজি ৩৪ টাকায় কিনতে পারবেন। জোশী বলেন, “এই উদ্যোগ ভারত সরকারের সংকল্পের একটি প্রমাণ, যা ভোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ভর্তুকিযুক্ত মূল্যে প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘ভারত’ ব্র্যান্ডের আওতায় চাল, আটা এবং ডালের মতো মৌলিক খাদ্যদ্রব্যের খুচরো বিক্রির মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করেছে।”

    কোথায় মিলবে ভারত চাল আটা

    জানা গিয়েছে, ভারত আটা এবং ভারত চাল কেন্দ্রীয় ভান্ডার, নাফেড এবং এনসিসিএফের দোকান ও মোবাইল ভ্যানে এবং ই-কমার্সের বড় চেইন খুচরো বিক্রেতাদের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘ভারত’ ব্র্যান্ডের আটা এবং চাল ৫ কেজি এবং ১০ কেজি ব্যাগে বিক্রি করা হবে। প্রাথমিকভাবে, খুচরো বিক্রয়ের জন্য ৩.৬৯ লাখ মেট্রিক টন গম এবং ২.৯১ লাখ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১৫.২০ লাখ মেট্রিক টন ভারত আটা এবং ১৪.৫৮ লাখ মেট্রিক টন ভারত চাল (Subsidised Bharat Atta Rice) সাধারণ গ্রাহকদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ‘মাধ্যম’ অফিসে পুলিশি হানা, কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত-ভারতী

    পাঞ্জাবে ধান সংগ্রহের অগ্রগতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “পাঞ্জাবে লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে নির্ধারিত ১৮৪ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করতে ও কৃষকদের দ্বারা মান্ডিতে আনা প্রতিটি (Price Rising) শস্যদানাই সংগ্রহ করতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি জানান, নভেম্বরের ৪ তারিখ পর্যন্ত পঞ্জাবের মান্ডিগুলিতে ধান এসে পৌঁছেছে ১০৪.৬৩ লাখ মেট্রিক টন (Subsidised Bharat Atta Rice)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 187: “চিটেগুড়ের পানা দিয়ে ভুলে থাকলে, মিছরীর পানার সন্ধান কত্তে ইচ্ছা হয় না”

    Ramakrishna 187: “চিটেগুড়ের পানা দিয়ে ভুলে থাকলে, মিছরীর পানার সন্ধান কত্তে ইচ্ছা হয় না”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই এপ্রিল

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও সাকার-নিরাকার

    রাত্রি প্রায় সাড়ে নয়টা। শ্রীশ্রীঅন্নপূর্ণা ঠাকুরদালান আলো করিয়া আছেন। সম্মুখে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ভক্তসঙ্গে দাঁড়াইয়া। সুরেন্দ্র, রাখাল, কেদার, মাস্টার, রাম, মনোমোহন ও অন্যান্য অনেক ভক্তেরা রহিয়াছেন। তাঁহারা সকলে ঠাকুরের সঙ্গে প্রসাদ পাইয়াছেন। সুরেন্দ্র সকলকে পরিতোষ করিয়া খাওয়াইয়াছেন। এইবার ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-বাগানে প্রত্যাবর্তন করিবেন। ভক্তেরাও স্ব স্ব ধামে চলিয়া যাইবেন। সকলেই ঠাকুরদালানে আসিয়া সমবেত হইয়াছেন।

    সুরেন্দ্র (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—আজ কিন্তু মায়ের নাম একটিও হল না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ঠাকুরের (Ramakrishna) প্রতিমা দেখাইয়া)—আহা, কেমন দালানের শোভা হয়েছে। মা যেন আলো করে বসে আছেন। এরূপ দর্শন কল্লে কত আনন্দ হয়। ভোগের ইচ্ছা, শোক—এ-সব পালিয়ে যায়। তবে নিরাকার কি দর্শন হয় না—তা নয়। বিষয়বুদ্ধি একটুও থাকলে হবে না; ঋষিরা সর্বত্যাগ করে অখণ্ড সচ্চিদানন্দের চিন্তা করেছিলেন।

    “ইদানীং ব্রহ্মজ্ঞানীরা ‘অচল ঘন’ বলে গান গায়,—আমার আলুনী লাগে। যারা গান গায়, যেন মিষ্টরস পায় না। চিটেগুড়ের পানা দিয়ে ভুলে থাকলে, মিছরীর পানার সন্ধান কত্তে ইচ্ছা হয় না।

    “তোমরা দেখ, কেমন বাহিরে দর্শন কচ্ছ আর আনন্দ পাচ্ছ। যারা নিরাকার নিরাকার করে কিছু পায় না, তাদের না আছে বাহিরে না আছে ভিতরে।”

    “তোমরা দেখ, কেমন বাহিরে দর্শন কচ্ছ আর আনন্দ পাচ্ছ। যারা নিরাকার নিরাকার করে কিছু পায় না, তাদের না আছে বাহিরে না আছে ভিতরে।”ঠাকুর মার নাম করিয়া গান গাহিতেছেন:

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 186: “ঠাকুর ভাবে মগ্ন…খুলির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া বলিতেছেন, আ মরি! আ মরি! আমার রোমাঞ্চ হচ্ছে”

    Ramakrishna 186: “ঠাকুর ভাবে মগ্ন…খুলির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া বলিতেছেন, আ মরি! আ মরি! আমার রোমাঞ্চ হচ্ছে”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই এপ্রিল

    ভক্তসঙ্গে সংকীর্তনানন্দে—সমাধিমন্দিরে

    এইবার সংকীর্তন আরম্ভ হইবে। খোল বাজিতেছে। গোষ্ঠ খোল বাজাইতেছে। এখনও গান আরম্ভ হয় নাই। খোলের মধুর বাজনা, গৌরাঙ্গমণ্ডল ও তাঁহাদের নামসংকীর্তন কথা উদ্দীপন করে। ঠাকুর ভাবে মগ্ন হইতেছেন। মাঝেমাঝে খুলির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া বলিতেছেন, “আ মরি! আ মরি! আমার রোমাঞ্চ হচ্ছে।”

    গায়কেরা জিজ্ঞাসা কল্লেন, কিরূপ পদ গাহিবেন? ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বিনীতভাবে বলিলেন “একটু গৌরাঙ্গের কথা গাও।”

    কীর্তন আরম্ভ (Kathamrita) হইল। প্রথমে গৌরচন্দ্রিকা। তৎপরে অন্য গীত:

    লাখবান কাঞ্চন জিনি। রসে ঢর ঢর গোরা মুঁজাঙ নিছনি ॥
    কি কাজ শরদ কোটি শশী। জগৎ করিলে আলো গোরা মুখের হাসি ॥

    কীর্তনে গৌরাঙ্গের রূপবর্ণনা হইতেছে। কীর্তনিয়া আখর দিতেছে।

    (সখি! দেখিলাম পূর্ণশশী।) (হ্রাস নাই মৃগাঙ্ক নাই)
                    (হৃদয় আলো করে।)

    কীর্তনিয়া আবার বলছে, কোটি শশীর অমৃতে মুখ মাজা।

    এইকথা শুনিতে শুনিতে ঠাকুর সমাধিস্থ হইলেন।

    গান চলিতে লাগিল। কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) সমাধি ভঙ্গ হিল। তিনি ভাবে বিভোর হইয়া হঠাৎ দণ্ডায়মান হইলেন ও প্রেমোন্মত্ত গোপিকার ন্যায় শ্রীকৃষ্ণের রূপের বর্ণনা করিতে করিতে কীর্তনিয়ার সঙ্গে সঙ্গে আখর দিতেছেন:

    (সখি! রূপের দোষ, না মনের দোষ?)
    (আন্‌ হেরিতে শ্যামময় হেরি ত্রিভুবন!)

    ঠাকুর নৃত্য করিতে করিতে আখর দিতেছেন। ভক্তেরা অবাক্‌ হইয়া দেখিতেছেন। কীর্তনীয়া আবার বলছেন। গোপীকার উক্তি — বাঁশি বাজিস না! তোর কি নিদ্রা নাই কো?

    আখর দিয়া বলছেন:

    (আর নিদ্রা হবেই বা কেমন করে!) (শয্যা তো করপল্লব!)
    (আহার তো শ্রীমুখের অমৃত।) (তাতে অঙ্গুলির সেবা!)

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ আসন পুনর্বার গ্রহণ করিয়াছেন। কীর্তন চলিতে লাগিল। শ্রীমতী বলছেন, চক্ষু গেল, শ্রবণ গেল, ঘ্রাণ গেল, ইন্দ্রিয় সকলে চলে গেল,—(আমি একেলা কেন বা রলাম গো)।

    শেষে শ্রীরাধাকৃষ্ণের মিলন গান হইল:

    ধনি মালা গাঁথে, শ্যামগলে দোলাইতে,
    এমন সময়ে আইল সম্মুখে শ্যাম গুণমনি।

    [গান—যুগলমিলন ]

    নিধুবনে শ্যামবিনোদিনী ভোর।
    দুঁহার রূপের নাহিক উপমা প্রেমের নাহির ওর ॥
    হিরণ কিরণ আধ বরণ আধ নীল মণি-জ্যোতিঃ।
    আধ গলে বন-মালা বিরাজিত আধ গলে গজমতি ॥
    আধ শ্রবণে মকর-কুণ্ডল আধ রতন ছবি।
    আধ কপালে চাঁদের উদয় আধ কপালে রবি ॥
    আধ শিরে শোভে ময়ূর শিখণ্ড আধ শিরে দোলে বেণী।
    করকমল করে ঝলমল, ফণী উগারবে মণি ॥

    কীর্তন থামিল। ঠাকুর, ‘ভগবত-ভক্ত-ভগবান’ এই মন্ত্র উচ্চারণ (Kathamrita) করিয়া বারবার ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিতেছেন। চতুর্দিকে ভক্তদের উদ্দেশ করিয়া প্রণাম করিতেছেন ও সংকীর্তনভূমির ধূলি গ্রহণ করিয়া মস্তকে দিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বাংলায় হিন্দুদের ওপর হামলা! রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি বিজেপির

    BJP: বাংলায় হিন্দুদের ওপর হামলা! রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে দুর্গা পুজো এবং কালী পুজোর বিসর্জনের সময় হিন্দুদের ওপর বেশ কয়েকটি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়ে হস্তক্ষেপ দাবি করলেন পুরুলিয়ার বিজেপি (BJP) সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত (Jotirmoy Singh Mahato)।

    ঠিঠিতে কী লেখা রয়েছে? (BJP)

    চিঠিতে (BJP) লেখা হয়েছে,  “দুর্গাপুজো, কালীপুজোর মতো উৎসব উদযাপনের সময় প্রতিনিয়ত বাধা, পাথর ছোড়া এবং হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। হিন্দু উত্সব এবং ধর্ম পালনের ন্যায্য এবং আইনানুগ আচরণ নিশ্চিত করুন। হিন্দু বিরোধী হিংসামূলক ঘটনাগুলি পরীক্ষা করে দেখুন। রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ এবং নীতিগুলি পর্যালোচনা করুন যা মৌলবাদী উপাদানগুলিকে উত্সাহিত করে বলে মনে হয়। হিন্দু উত্সব এবং ধর্মীয় পালনের ন্যায্য এবং আইনানুগ আচরণ নিশ্চিত করুন। হিন্দু বিরোধী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলিতে প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করুন এবং চরমপন্থী উপাদানগুলির সঙ্গে কোনও লিঙ্ক রয়েছে কি না তা তদন্ত করুন।” তিনি আরও লিখেছেন, “রাজ্যপাল হিসেবে, ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩ অনুচ্ছেদের অধীনে আপনার কিছু ক্ষমতা রয়েছে, যা এই বিষয়গুলির মোকাবিলা করতে পারে।”

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

    রাজাবাজারের ঘটনা উল্লেখ চিঠিতে

    সাংসদের (BJP) চিঠিতে রাজাবাজারের ঘটনাও উল্লেখ রয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, “শুধু এই বছর রাজ্যজুড়ে দুর্গা পুজো এবং কালী পুজোর বিসর্জনের সময় বেশ কয়েকটি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। কলকাতার রাজাবাজার এলাকায় একটি সাম্প্রতিক ঘটনায় একটি কালী পূজার বিসর্জন মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে, পুলিশ পরে বিষয়টিকে “পার্কিং বিরোধ” বলে উড়িয়ে দিয়েছে, যা শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং পক্ষপাতিত্বের উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে।” প্রসঙ্গত, ১ নভেম্বর কালীপুজোর বিসর্জনের মিছিল চলছিল। সেই সময়  উত্তর কলকাতার নারকেলডাঙ্গা- রাজাবাজারে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে একটি বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এবং র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (RAF) লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়, ফাটায় টিয়ার গ্যাসের সেল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madhyom: ‘মাধ্যম’ অফিসে আচমকা হানা মমতার পুলিশের, তুলে নিয়ে যাওয়া হল ২ সাংবাদিককে!

    Madhyom: ‘মাধ্যম’ অফিসে আচমকা হানা মমতার পুলিশের, তুলে নিয়ে যাওয়া হল ২ সাংবাদিককে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংবাদ মাধ্যমের বাক স্বাধীনতায় (Freedom Of Speech) হস্তক্ষেপ। মঙ্গলবার দুপুরে মমতার পুলিশ আচমকাই হানা দেয় মাধ্যম কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসে (Madhyom)। অফিস কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীদের দফায় দফায় জেরা চালাতে থাকে। সম্প্রতি কালীপুজোতে কালিন্দীতে একটি অশান্তিকে কেন্দ্র করে হওয়া ঘটনার প্রতিবেদন মাধ্যম ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। তার ভিত্তিতেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করে মাধ্যম অফিসে তল্লাশি অভিযানে চলে আসে। সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গিয়ে যা যা দেখেছেন, সেটাই প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে-এ কথা বারবার বোঝানো হলেও তারা কোনও কথা শুনতে চায়নি। তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে অফিসের কম্পিউটারের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে এবং শেষমেশ অফিসের দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে লেকটাউন থানায় নিয়ে যায়। একইসঙ্গে একটি কম্পিউটার এবং তার যাবতীয় সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। এক কর্মীর মা বাড়িতে একা থাকেন এবং তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, একথা বলা সত্ত্বেও তারা তাতে কান দেয়নি।

    দুপুরে আসে পুলিশ    

    এদিন দুপুরে অফিসের কাজকর্ম অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক গতিতে চলছিল। হঠাৎ পুলিশের আটজনের একটি দল অফিসে (Madhyom) ঢুকে পড়ে। তারা আদালত থেকে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে এসেছে বলেও দাবি করে। তাদের মূল অভিযোগ, সম্প্রচারিত ওই প্রতিবেদনে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। এতে নাকি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। উল্লেখ্য, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময়ে এবং বারবার তাঁর ভাষণে হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গা শব্দটি অবলীলায় ব্যবহার করে থাকেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক (Freedom Of Speech) যখন তাদের বারবার বোঝাতে থাকেন, তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন সরজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। ফিরে এসে যা দেখেছেন সেটাই প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে (Madhyom)। এর মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করার কোনও প্রবণতা ছিল না। কিন্তু মমতার দলদাস পুলিশ সেসব কথায় কর্ণপাত করেনি। 

    প্রতিহিংসার রাজনীতি

    মমতার পুলিশের আক্রমণের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসার রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন। রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব যেমন এই ঘটনার নিন্দা করেছে, তেমনি এই ঘটনার খবর পৌঁছে যায় দিল্লিতেও। সেখান থেকেও একের পর এক তীব্র প্রতিবাদ ভেসে আসতে থাকে। সাংবাদিক মহল থেকেও এই ঘটনার ধিক্কার (Madhyom) জানানো হয়েছে।

    ,

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Canada Relation: কানাডাভূমে শক্তি প্রদর্শন হিন্দুদের, প্রতিবাদে শামিল শিখরাও

    India Canada Relation: কানাডাভূমে শক্তি প্রদর্শন হিন্দুদের, প্রতিবাদে শামিল শিখরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডাভূমে শক্তি প্রদর্শন হিন্দুদের! রবিবার কানাডার ব্রাম্পটনে হিন্দু সভা মন্দিরে হামলা চালায় (India Canada Relation) খালিস্তানপন্থীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার হাজার হাজার ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষ পথে নামেন। এদিনের (Justin Trudeau) প্রতিবাদ মিছিলে বেশ কিছু শিখকেও হাঁটতে দেখা গিয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার যে খালিস্তানিদের তোল্লাই দিচ্ছে, তার বিরুদ্ধেই একজোট হয়েছেন কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দু ও শিখরা।

    হিন্দু জাগরণ! (India Canada Relation)

    এদিন প্রতিবাদীদের একদল যখন রাস্তা অবরোধ করছিলেন, তখন অন্যদল খালিস্তানপন্থীদের আক্রমণের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছিলেন। এদিনের এই প্রতিবাদ-যাত্রার আয়োজক ছিল উত্তর আমেরিকার হিন্দুদের সংগঠন কোয়ালিশন অফ হিন্দুজ ইন নর্থ আমেরিকা। এই প্রতিবাদ মিছিলের লক্ষ্যই ছিল, খালিস্তানিদের অযৌক্তিক সহিংসতার মোকাবিলায় ঐক্য ও সাহসিকতার বার্তা দেওয়া। কানাডার সাংবাদিক ড্যানিয়েল বোর্ডম্যান বলেন, “এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য এক ধরনের (India Canada Relation) জাগরণ। আগে কখনও হাজারে হাজারে হিন্দু এমনভাবে পথে নেমে প্রতিবাদ করেনি। খালিস্তানপন্থীরা সীমা অতিক্রম করেছে। আর হিন্দুরা সংগঠিত হয়ে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেছে।” তিনি জানান, এদিন সব সম্প্রদায়ের মানুষই খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’’, কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের

    পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমি হিন্দু সভা মন্দিরে ছিলাম। যেখানে হাজার হাজার হিন্দুদের পাশাপাশি শিখ, ইহুদি, খ্রিস্টান এবং ইরানি সম্প্রদায়ের মানুষ মন্দিরে খালিস্তানপন্থীদের আক্রমণ ও পিল পুলিশের ব্যর্থতার প্রেক্ষিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন জানাতে এসেছিলেন।” সাংবাদিক মোচা বেজিরগান জানান, খালিস্তানপন্থীদের আক্রমণ ও সরকারের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ বৃদ্ধি পায়। সড়ক অবরোধ ও যানবাহন ভাঙচুরের মাধ্যমে অশান্ত হয়ে ওঠে ব্রাম্পটন। এদিনের প্রতিবাদে হিন্দু এবং শিখ উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই অংশগ্রহণ করেন। পিল পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন তাঁরা। পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তোলেন প্রতিবাদীরা।

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক প্রতিবাদী বলেন, “শিখরা আমাদের ভাই। খালিস্তানপন্থীরা শিখ নয়। আমার শিখ বন্ধু ও ভাইয়েরা আছেন এবং তাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এই ঘৃণার সঙ্গে যুক্ত নয়। আমি চাই (Justin Trudeau) কানাডাবাসী এটি জানুক।” তিনি বলেন, “একটি মন্দিরে আক্রমণ করা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়। আমরা একত্র এবং ঐক্যবদ্ধ (India Canada Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share